তোমাতেই
পর্ব_১৭
Arobi_Akter_Poly
হাত-পা কাঁপছে পুতুলের। প্রিয়ম জেল থেকে বেরিয়ে এসেছে? এখন কি হবে।
চৌধুরী পরিবার নাস্তার টেবিলে। মৃদ্ধা বিন্দাস খেয়ে যাচ্ছে এতে আজিজুল হক বেশ বিরক্ত হলেন। এই মেয়ের দ্বারা কিছুই হবে না।
-বিয়ের ব্যাপারে কি ভাবলে?
মৃদ্ধা রুটির টুকরো মুখে গুঁজেতে গুঁজতে উত্তর দিল।
-ভাবার কি আছে,পাত্র রেডি কর আমি রাজি।
সবাই একে অপরের মুখের দিকে তাকাচ্ছে। একি মৃদ্ধা এত সহজে রাজি হয়ে গেল কিভাবে! আজিজুল হক নড়েচড়ে বসলেন,
-নয়ন খুব ভালো ছেলে ওঁ তোমাকে,,,
মৃদ্ধা যেন আর কোনো কথাই শুনতে চাইলো না।
-এতকিছু বলা লাগবে না আমি দেখা করে জেনে নিব।
-ঠিক আছে নয়নকে ইনফর্ম করে দিচ্ছি ওঁ তোমার সাথে কথা বলে নিবে।
-ওকে বাপ্পি।
মুগ্ধ করিম সাহেবের সাথে দেখা করবে বলে তার অফিসে ওয়েট করছে। একজন সেক্রেটারি এসে করিম সাহেবকে তা জানালেন। করিম সাহেব ভিতরে আসতে বললে মুগ্ধ হাত থেকে ফোনটা পকেটে রেখে ধীর পায়ে হেঁটে চলে।
-হঠাৎ?
মুগ্ধ এসে চেয়ারে বসে পড়ল।
-সকালেই বলব ভেবেছিলাম কিন্তু আমি ঘুম থেকে উঠার আগেই তুমি অফিস চলে এসেছো তাই এখানে আসতে হলো।
-তোমার অফিস তোমাকে তো আসতেই হবে। তা বল কি বলবে?
মুগ্ধ সিরিয়াস হয়ে বলা শুরু করল।
-বাবা আমি ভাবছি পুতুলের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে আমার বিয়ের ব্যাপারটা….
করিম সাহেব একদৃষ্টিতে মুগ্ধের দিকে তাকিয়ে আছেন। তার কিছুই বিশ্বাস হচ্ছে না যেন।মুগ্ধ থেমে যায়,
-বাবা।
করিম সাহেব চেয়ার থেকে উঠে এসে উৎফুল্ল হয়ে মুগ্ধের কাঁধে সাবাশি দিয়ে বলে উঠেন।
-আমি তোমার থেকে এটাই আশা করেছিলাম মাই বয়।
কথাটি বলে মুগ্ধকে বুকে জড়িয়ে নেন উনি।
-আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সবকিছু অ্যারেঞ্জ করছি। আল্লাহ তোমাদের সুখি করুন।
করিম সাহেব একটি রিসোর্ট বুকিং করে নেন। পাশাপাশি সবাইকে ইনভাইট করতে থাকেন আজ বাদে ২ দিন পরেই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।তার মাথায় যেন আর কিছুই নেই। করিম সাহেবের পাগলামো দেখে মুগ্ধের ঠোঁটে এমনিতেই একটি হাসির ছাপ চলে আসে তবে পুতুলের মা হতে না পারার বিষয়টা জানার পর বাবা ভেঙে না পড়লেই হলো।
পুতুল চার্চের অনাথ শিশুদের চকলেট বিলিয়ে দিচ্ছে। হাওয়ায় একটি চেনা কন্ঠ ভেসে আসলো।
-তুমিও এখানে আসো?
পুতুল পেছনে তাকাতেই প্রিয়মকে দেখতে পায়। পুতুলের হাত থেকে চকলেটের বক্সটি পড়ে যায়। হাত কাঁপছে তার। পিছু করতে করতে এখানেও চলে এসেছে। প্রিয়ম তার পাশে এসে বিনয়ের সাথে তার হাতটি চেঁপে ধরে করুন স্বরে বলতে লাগে।
-ভয় পেয়ো না পুতুল।
পুতুল সেখান থেকে পালাতে চায় ঠিক সেই সময় প্রিয়ম পুতুলের পা চেঁপে ধরে কাঁন্নায় ভেঙে পড়ে,
-আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি। আমি তোমাকে পাওয়ার বাসনায় খারাপ কিছু করে ফেলেছি পুতুল। তোমাকে আমি ভালোবাসি কিন্তু প্রেম এক তর্ফা হতে পারে না আমাকে তুমি মাফ করে দাও।
পুতুল অবাক হয়।এত পরিবর্তন! প্রিয়ম কিছুতেই পুতুলের পা ছাড়ছে না।
-প্রিয়ম কি করছ? পা ছাড়ো আমার।
-তুমি যতক্ষন না আমাকে ক্ষমা করছ আমি এভাবেই থাকবো। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি ভালোবাসা জোর করে হয়না।আমি আমার ভুল শোধরাতে চাই। আমাকে একটিবার সুযোগ দাও পুতুল প্লিজ।
প্রিয়ম কাঁন্নায় ভেঙে পরেছে।
-আচ্ছা ঠিক আছে ঠিক আছে উঠো আমি তোমাকে মাফ করে দিয়েছি। কোনোদিন আমার চোখের সামনে আসবে না এতেই হবে কেমন।
-চাচ্চুর মুখে শুনলাম তোমার আর মুগ্ধের অনুষ্ঠান হচ্ছে আই মিন তোমরা অফিসিয়ালি কাপল হচ্ছো।
-হুম।
তো আমি কি ইনভাইটেড?
পুতুল প্রিয়মের দিকে এক নজর তাকিয়ে হাঁটা ধরে।
মৃদ্ধা বারান্দায় বসে কানে ইয়ারফোন দিয়ে কান শুনছে আর নাট খাচ্ছে। দিলারা বেগম এসে তার সামনে দাঁড়াতেই মৃদ্ধা কান থেকে ইয়ারফোনগুলো সরিয়ে নিলো।
-কি হয়েছে ?
দিলারা বেগম গম্ভীর হয়ে ধপাস করে মৃদ্ধার পাশে বসে পড়েন,
-করিম সাহেব কল করেছিলেন তোর বাপ্পিকে ১৬ আনা ইনভাইট করেছেন। মুগ্ধ আর পুতুলের বিয়ে হচ্ছে।
মৃদ্ধা তার মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। এখন সে আর নিজেকে আঁটকাতে পারছে না দু-চোখ বেয়ে পানি পড়ছে তার।
-জানিস তো মৃদ্ধা তুই যখন যা চেয়েছিস আমি আর তোর বাপ্পি তাই দেয়ার চেষ্টা করেছি কখনো না করিনি কিন্তু আজ বলছি তুই মুগ্ধকে ভুলে যা ওঁর জন্য নিজেকে কষ্ট দিস না।নিজেকে এগিয়ে নে মা। এক তর্ফা ভালোবাসা তোর।আমি বলি কি নয়নের সাথে দেখা কর। তোর পছন্দ হবে দেখিস।
-যাই হয়ে যাক আমি পারবো না মা।মুগ্ধকে আমি ভালোবাসি।
-ওই ছেলের নাম যদি আর একবার তোর মুখে শুনি তাহলে আমার মরা মুখ দেখবি তুই।
চোখের পানি মুছে দিলারা বেগম চলে গেলেন। মৃদ্ধা নিশ্চুপ হয়ে আছে। তখনই তার ফোনে জনির কল আসে,
-মৃদ্ধা?
-হুম।
-কাজটা কবে শেষ করতে হবে?
-ক্যান্সেল।
-কি?
-হুম। আমি মুগ্ধকে ভালোবাসি তার ভালো থাকাই আমার সব। সে যদি পুতুলের সাথে থাকতে চায় তাহলে তাই হবে।
-এসব কি বলছ?
-বায়।
বিকেলে মৃদ্ধা নয়নের সাথে দেখা করতে যায়।রেস্টুরেন্টের দরজা থেকেই মৃদ্ধা নয়নকে দেখতে পায়। কালো শার্ট, হাতে ব্র্যান্ডের কালো ঘড়ি, চুলগুলো জেল দিয়ে সেট করা।হালকা করে ক্রাস খেয়েছে মৃদ্ধা।
মৃদ্ধা ফাস্ট টেবিলের দিকে এগিয়ে গিয়ে হালকা কেশে উঠে। নয়ন তার দিকে তাকায়,
-বসতে পারি?
-ইয়েস সিট।
খুব কম্ফোর্ট লাগছে মৃদ্ধার।
-হায় আই এম মৃদ্ধা।
কথাটা বলে মৃদ্ধা তার হাত বারিয়ে দিলো। দুজন হ্যান্ডসেক করে নেয়।
-আমম,,,কিছু অর্ডের করেন নি?
-কোল ড্রিংকস?
-ওকে।
ওয়েটার দু-গ্লাস লাচ্চি নিয়ে আসে।
-হ্যাভ এ নাইস ডে স্যার।
নয়ন মৃদ্ধার দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করে,
-আপনি বিয়ের জন্য রেডি তো নাকি ফ্যামিলি চাঁপে করছেন?
-তেমন কিছু না।
-এক্স আছে?
-না।
-এতো সুন্দরী মেয়ের এক্স নেই। আমাকে কি আপনার বোকা মনে হয়?
-তবে আমি কেউকে ভালোবাসতাম এখনো বাসি।
-তাহলে তাকে বিয়ে করছেন না কেনো?
-সে বিবাহিত। তাই এখন,,,
-ওহ আচ্ছা ইস্ট ফাইন।
-আপনার কেমন মেয়ে পছন্দ?
-আপনি হলেই চলবে।
মৃদ্ধা নয়নের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতে থাকে। নয়ন গ্লাসে চুমুক দিয়ে মৃদ্ধার দিকে তাকিয়ে আছে।
___________________
বিয়ের সব রীতিনীতি শেষ করে পুতুল মুগ্ধের বিছানায় বধূ বেসে বসে আছে। বাসরঘরটা সব মাতাল করা ফুল দিয়ে সাঁজানো হয়েছে। পুতুলের পা দুটি লাল গোলাপের পাপড়ির নিচে ডুবে আছে।
মুগ্ধ রুমে ডুকে হালকা কেশে নিলে পুতুল লম্বা ঘোমটার নিচে তার মুখ লুকিয়ে ফেলে।মুগ্ধ রুম লক করে পুতুলের দিকে এগুতে থাকে। মুচকি হেসে পুতুলকে জিজ্ঞাসা করে,
-মুখ লুকিয়ে আছো কেনো?
পুতুল কিছু বলছে না। বিছানা থেকে উঠে মিটিমিটি পায়ে হেঁটে মুগ্ধকে কদমবুসি করতে চাইলে মুগ্ধ থামিয়ে দেয়। পুতুল দাঁড়িয়ে থাকলে মুগ্ধ তাকে কুলে করে বিছানায় বসিয়ে অন্যহাত থেকে পুতুলকে একটি সাদা গোলাপ উপহার দেয় সে। পুতুল খুব অবাক হয়।সাদা পুতুলের পছন্দের রঙ মুগ্ধ কিভাবে জানলো? তাও আবার গোলাপ! সাদা গোলাপ আসলেই র্যার।
মুগ্ধ পুতুলের হাত দুটো আঁকড়ে ধরে।
-আই লাভ ইউ।
পুতুল লঁজ্জায় কিছুই বলতে পারে না শুধু মুচকি হেসে যায়।
-কখনোই তোমাকে একা ছেড়ে দিব না। সবসময় তোমার পাশে থাকবো।
-তা আমি জানি।
-কি জানো?
-তুমি একজন ভালো হাজব্যান্ড আর একজন ভালো বাবাও হবে। জানো আমার মনে হয় আমাদের টুইন বেবি হবে দেখো তুমি।
বাবা শব্দটা শুনে মুগ্ধের মন কালো অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে গেলো মুহূর্তেই। চারপাশের যেন সবকিছুই কালবৈশাখীর মেঘে ঢেকে গেছে। মুগ্ধকে চুপ করে থাকতে দেখে পুতুল তাকে আলতো ধাঁক্কা দিল। সাথেসাথেই মুগ্ধ বাস্তবে ফিরে আসে।
-কি হয়েছে মুখ পেঁচার মতো করে আছো কেনো?
-না কিছু না।
-হুমম না কিছু একটা হয়েছে বলো না কি?
-অনেক রাত হয়েছে ঘুমাবে নাহ?
-ধুর, বলবে কি না?
মুগ্ধ কিছুতেই পুতুলের থেকে কিছু আড়াল করতে পারছে না।
-পুতুল, বাবা হওয়াটা কি এতোই জরুরি?
পুতুল চোখ দুটো বড় বড় করে মুগ্ধের দিকে তাকিয়ে আছে। মুগ্ধ কি বলছে এসব সে কিছুই বুঝতে পারছে না। পুতুল আমতা আমতা করে জিজ্ঞাসা করে,
-মা..মানে?
-আমি কখনোই বাবা হতে পারবো না পুতুল।
মুগ্ধ রীতিমতো কেঁদে ফেলে। চোখ দুটো লাল হয়ে আছে। তার অবস্থা দেখে পুতুলের চোখ থেকে আপনা-আপনি পানি পড়তে লাগে সে মুগ্ধকে জড়িয়ে ধরে।
-তুমি ভয় পাচ্ছো কেনো? আমি তোমাকে কখনোই ছেড়ে যাবো না। যাই হয়ে যাক আমি তোমার পাশে আছি। কত অনাথ শিশু বাবা-মায়ের আদর পায় না আমরা তো তাদের পিতা-মাতা হতে পারি বলো।তুমি টেনশন করো না আমি সবসময় তোমার সাথে আছি।
পুতুল এক দমে কথাগুলো শেষ করে মুগ্ধকে বোঝানোর চেষ্টা করছে। চোখ যেনো কোন বাধাই মানছে না পুতুলের। মুগ্ধ মুগ্ধতম দৃষ্টিতে পুতুলের দিকে তাকিয়ে থাকে।
-কি হয়েছে এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো? আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি বুঝেছো?
মুগ্ধ ড্রয়ের থেকে পুতুলের রিপোর্ট গুলো তাকে দেখালো। রিপোর্ট গুলো দেখার পর পুতুল স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো পুতুল।
-আমি তোমাকে ঠকিয়েছি আর তুমি কিনা।
মুগ্ধ পুতুলের কপালে চুমু খেয়ে বলতে শুরু করে,
-কেউ কাউকে ঠকায়নি আমরা। আমাদের লাকে যা ছিলো তাই হয়েছে।
-তাই বলে তুমি তো নিসন্তান থাকতে পারো না। মা বাবা ওঁরা যদি আমাকে আশ্রয় না দিতো তাহলে আমি আজ কোথায় থাকতাম বলো তো, ওনাদের একমাত্র ছেলে তুমি! কত আশা নিয়ে মা বসে আছে। আমি ওনাদের কষ্ট দিতে পারি না মুগ্ধ। তুমি প্লিজ আরেকটা বিয়ে করে নাও।
-তুমি যেমনটা বলেছো সেরকমই হবে।
রক্তলাল চোখ দুটো মুগ্ধের দিকে তাকিয়ে আছে পুতুলের। তাহলে কি আরেকটি বিয়ে করছে মুগ্ধ?
-ওনাদের আমরা নিরাশ করব না। কত অনাথ শিশু,,,
পুতুল মুগ্ধকে থামিয়ে দেয়,,
-মুগ্ধ না এমনটা পসিবল না। আমার জন্য তোমার লাইফ শেষ হয়ে যাক তা আমি চাই না।
-কেনো পসিবল না? এমনটাই হবে তুমি শুধু আমার সাথে থেকো।
-কিন্তু,,,
-চুপ
মুগ্ধ পুতুলকে তার বুকে টেনে নিলে পুতুল চোখ বন্ধ করে মুগ্ধের বুকের দরপন অনুভব করছে।
সকালে পুতুল নাস্তার টেবিলে আসতে দেরি করলে সায়মা বেগম রুবির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে।পুতুল গোসল সেড়ে দৌড়ে সেখানে পৌঁছায়৷
-সরি সরি দেরি হয়ে গেলো মা।
সায়মা বেগম তার মুখের হাসি যেন তামাতেই পারছেন না ফিক করেই বলে উঠলেন –
-আমাদের এতে কোনো আপত্তি নেই। যত ভালো মজুরি তত ভালো ফলন।
পুতুল ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়। মুগ্ধ পুতুলের দিক থেকে চোখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকায়।মনে হচ্ছে সে বেস বুঝতে পেরেছে মায়ের কথা!
-মানে?
সায়মা বেগম পুতুলকে জোর করে চেয়ারে বসিয়ে তার সামনে দুধের গ্লাস,ফল,বাটার, ব্রেড এগিয়ে দিতে দিতে বলেন,
-এখন তোর এনার্জির প্রয়োজন সব খেতে হবে কিন্তু।
পুতুল বাধ্য মেয়েটির মতো খাওয়া শুরু করে। সায়মা বেগম বেস উৎফুল্লের সাথে চেয়ারে বসে বলতে লাগে।
-জানিস মেরির ৮ মাসেই ডেলিভারি হয়ে গেছে।কতো ভাগ্যবান রীতা সময়ের আগেই দিদা ডাক শুনতে পেরেছে। আল্লাহ যেনো আমাদেরও কবুল করেন আমিন।
এই বলে উনি খাওয়া শুরু করেন। কিন্তু পুতুল পাথর হয়ে আছে হাতে ব্রেডের টুকরো নিয়ে সে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে। খাবার যেন গলা দিয়ে নামছে না তার।
পুতুল তাড়াহুড়ো করে বারান্দায় চলে যায়। রিমঝিম বৃষ্টি হচ্ছে তার সাথে হালকা বাতাস।পুতুল বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে অনাবৃত কাঁদতে থাকে। মুগ্ধ দৌড়ে এসে পুতুলের কাঁধে হাত দিতেই পুতুল ঘোরে দাঁড়ায়। মুগ্ধ পুতুলের ভেজা গাল দুটো মুছে জিজ্ঞাসা করে,
-এভাবে চলে এলে কেনো?
-আমি মায়ের কষ্ট দেখতে পারবো না। তুমি প্লিজ আরেকটা বিয়ে,,,,
-সুউউউউ
মুগ্ধ পুতুলকে থামিয়ে দেয়।তার ঠোঁট জোড়ায় আলতো চুমু খায় মুগ্ধ। আস্তে আস্তে পুতুলের ওড়নাটা সরিয়ে নিজের দখলে করে নেয় পুতুলকে। দুজন পারি জমায় অজানা সুখের রাজ্যে।
চলবে,,,,,