তোমাতেই পর্ব_৫,৬

0
2473

তোমাতেই
পর্ব_৫,৬
Arobi_Akter_Poly
পর্ব_৫

-উফ তুমি এখন যাও তো ভাবি
-হা হা আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে তুমি থাকো তোমার মুগ্ধের সাথে আমি গেলাম,,

মৃদ্ধা মুগ্ধের ছবিতে একটা চুমু দিয়ে ল্যাপটপ বন্ধ করে হাতে কফির মগটা নিয়ে বারান্দায় চলে গেলো।

পুতুল রেডি হয়ে কুচি ঠিক করতে করতে সায়মা বেগমের কাছে আসলো,,,

-ওমা,,,, কি সুন্দর লাগছে তোকে পুতুল, ঠিক যেনো জীবন্ত এক পুতুল আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

পুতুল কিছুটা লঁজ্জা পেলো ,,,

-কিন্তু কি যেনো নেই নেই লাগছে,কি নেই বলতো।

পুতুল আয়নার দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে মা কেনো এমনটা বলল সবকিছুই তো ঠিকই আছে।

মুগ্ধ কাঁধে ব্যাগ নিয়ে, এক হাত পকেটে ঢুকিয়ে বিন্দাস হেঁটে রুমে চলে যায়।।

-এই সময় হলো তোর আসার? বলেছিলাম না সন্ধ্যায় দাওয়াতে যেতে হবে।

সায়মা বেগম রেগে মুগ্ধের রুমে আসেন। ধমাস করে খয়েরী রঙের পাঞ্জাবিটা বিছানায় রেখে বলেন,

-তাড়াতাড়ি কর তোর বাবা জানতে মারলে খুব রাগ করবে,
-আমি যাবো না মা তোমরা যাও

সায়মা বেগম ইমোশনাল হয়ে পড়েন,

-এটা বলে আর অশান্তি করিস না বাবা,, তোর বাবা খুব রেগে যাবে তুই মায়ের আবদার রাখবি না, মুগ্ধ?
-আমাকে না জানিয়ে এসব ইভেন্ট কেনো রাখো মা?
-এবারের জন্য চল, আমার লক্ষী ছেলে এবার মায়ের কথা শুন।

অন্যরুম থেকে করিম খান,

-মুগ্ধের মা, আমার ঘড়িটা খোঁজে পাচ্ছি না
-আসছি,,,,

মুগ্ধকে ইশারায় রিকুয়েষ্ট করে সায়মা বেগম চলে যান।। মুগ্ধ একঝাঁক বিরক্তি নিয়ে ফ্রেস হতে চলে যায়।।

রুবি মুগ্ধের পাঞ্জাবিটা ইস্ত্রি করছে। দৃশ্যটা দেখে পুতুলের মাথায় একটা দুষ্ট বুদ্ধি আসে। মুখ চেঁপে হেসে সে রুবির কাছে গিয়ে জানায়, রাঁন্না ঘরে সবজি জ্বলে যাচ্ছে। রুবি দৌড়ে সেখানে চলে যায় আর এদিকে পুতুল ইস্ত্রির হিট বাড়িয়ে দেয়,,,

যা হওয়ার তাই হলো। পুতুল মুগ্ধের পাশে এসে হালকা কেশে বলে,,

-আমার ড্রেসের রঙের সাথে মিলিয়ে পড়তে চেয়েছিলে না, তা কি আমি হতে দিতে পারি বল? সাথে একটা চোখ টিপ মারলো,

মুগ্ধ নাক,মুখ লাল করে এক নজর পুতুলের দিকে তাকালো। সে কিছুই বলল না। ওয়ারড্রব থেকে তার নীল পাঞ্জাবিটা বের করলো।

পুতুল খুব মজা করে বারান্দায় দাঁড়িয়ে তেঁতুলের আচার খাচ্ছে। হঠাৎ সায়মা বেগম তাকে টেনেহিঁচড়ে রুমে আনেন।। তাড়াহুড়ো করে বিরবির করতে করতে আলমারি খুলে পুতুলের হাতে একটা নীল শাড়ি ধরিয়ে দেন।

-রুবি মেয়েটাকে কতবার বলেছি সাবধানে কাজ করতে, না,কার কথা কে শুনে? দিলো তো পাঞ্জাবিটা জ্বালিয়ে। তুই জলদি এটা পড়ে নে মা, মুগ্ধ প্রায় রেডি।

পুতুল ভেবাচেকা খেয়ে রইলো। এতো কিছু সে কেনো করেছিলো তাহলে?

মুগ্ধকে আজ হেব্বি হ্যান্ডসাম দেখাচ্ছে।নীল রঙের পাঞ্জাবি যেনো শুধু তার জন্যই বরাদ্দ।

প্রোগ্রামে খুব ভিড়ভাট্টা,,,খান পরিবারকে দেখে তিথীর বাবা এগিয়ে এলো। এতক্ষণে আসার সময় হলো আপনাদের। তিথী কখন থেকে পুতুলের জন্য অপেক্ষা করছে।। মুগ্ধ আর পুতুল তিথীর বাবার পায়ে ধরে সালাম করলো।

-আহা!বেঁচে থাকো বেঁচে থাকো।

পুতুল গিয়ে তিথীর সাথে বসে। পাশেই সায়মা বেগম ও অনেকেই বসা। আর তার কিছুটা সামনে মুগ্ধ চেয়ারে বসে ফোন স্ক্রোল করছে,,,

-আপু ছেলে বাবু নাকি মেয়ে?
-ছেলে, মেয়ে দুটাই

পুতুল কিছুটা জোরেই বলে ফেলে,
-উফফ আমার টুইন বেবি এত পছন্দ এত পছন্দ কি বলব তোমাকে।

সবাই পুতুলের দিকে তাকিয়ে আছে। মুগ্ধরও এটেনশন পেলো সে।

পাশ থেকে এক আন্টি বলে উঠেন,

-তাহলে তুমি বেবি নিচ্ছো না কেনো? কোনো সমস্যা নেই তো,,,

মুগ্ধ অন্যদিকে তাকিয়ে বিরবির করে বলতে লাগে,,

-বাচ্চা? আবার এর সাথে? ইম্পসিবল,

পুতুল সেটা শুনে ফেলে,তাচ্ছিল্যের সাথে বলে

-সেইম তো ইউ।

মুগ্ধ সেখান থেকে উঠে অন্যকোথাও চলে যায়,,,,

সবার নজর এবার দুজনের দিকে

সায়মা বেগম চোক পাকাতে থাকেন।তারপর একটা ফেইক হাসি দিয়ে বলেন,,

-সমস্যা থাকবে কেনো? দুজনে আরও একটু ম্যাচিউর হোক তারপর না হয়,,,,,,

পুতুল টেবিল থেকে ম্যাংগো জুসের গ্লাস নিয়ে ফিরতেই প্রিয়মের সাথে ধাঁক্কা খায়। কিছুটা জুস পুতুলের শাড়িতে আর কিছুটা প্রিয়মের টি-শার্টে পড়ে,,,,,,,,,,

-পিঁছু করছ আমার?
-ওয়াট ননসেন্স, আমি কেনো আপনার পিঁছু করব?

প্রিয়ম মুচকি হেসে বলে,

-আমাকে তোমার ভালো লেগেছে তাই,

পুতুল টিস্যু নিয়ে শাড়ি মুছতে মুছতে সেখান থেকে চলে যায়,,,

মুগ্ধ ফোনে মৃদ্ধারে সাথে কথা বলছে।

-খেয়েছিস?
-এখনো না,
-হুম আংকেল আন্টি আছে সাথে?
-হ্যাঁ ওদের জন্যই এখানে আসা, ওকে বায় পরে কথা হবে,
-বাসায় গিয়ে মেইল করিস
-টুট,টুট

ফোনটা রেখে মৃদ্ধা দীর্ঘ শ্বাস নেয়। মুগ্ধ কি কোনোদিন তার ভালোবাসা বুঝবে?ভালোবাসতে পারবে তাকে? ,,,,, না পারলে না করবে কিন্তু সে থেমে যাবার মেয়ে না।

প্রিয়ম এসে মুগ্ধের কাঁধে হাত দিতেই মুগ্ধ ফিরে দাঁড়ায়,,,

-দোস্ত তুই, এখানে?
-তুই এখানে কি করছিস?
-আব্বুর এক বন্ধুর মেয়ের বেবি শাওয়ার ওঁরা কেউ আসতে পারবে না তাই আমাকেই পাঠিয়ে দিলো,,
-ওহ আচ্ছা।
-হুম চল
-চল

আবারও সেই আন্টি!

-তোমাদের দু-জনকে খুব বানিয়েছে বলতে হবে।
-হুমম,, (ফেইক স্মাইল)
-জানো তো আমার মেয়ের জন্য একটা ছেলে দেখেছি। ঠিক মুগ্ধের মত দেখতে কিন্তু আমার মেয়ে পছন্দ করেনি,

কিছুটা আগ্রহ দেখিয়ে,,

-কেনো করেনি আন্টি? তার কি মুগ্ধের মত ছেলে পছন্দ না?
-না তা না,,, তার নাকি মুগ্ধকেই লাগবে,
-ওহ, আচ্ছা আচ্ছা
-এই শোনো।
-জ্বি
-তোমার আর মুগ্ধের সম্পর্ক কি আজও ঠিক হয়নি? তুমি বললে আমি ডিভোর্সের ব্যাবস্থা করিয়ে দিব?

পুতুল রীতিমতো বিরক্ত হয়ে গেলো,,

-তার কোনো দরকার নেই আন্টি আমরা ঠিক ঠাকই আছি।আর আপনার মেয়েকে বুঝাবেন, মুগ্ধ বিবাহিত, কেমন!

সেখান থেকে পুতুল চলে এলো।। তিথির সাথে কথা বলছে সে । দূর থেকে প্রিয়ম সেটা লক্ষ্য করলো,,

-মুগ্ধ দেখ, ওই দিনের মেয়েটা না? ওই যে মজা
করলাম

মুগ্ধ দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে আছে। এক নজর পুতুলের দিকে তাকিয়ে বলল,,

-হুম,
-যাই বলিস আজকে কিন্তু হেব্বি লাগছে মেয়েটাকে,,নীল শাড়িতে আগুন লাগছে, হাত দিলেই যেন হাতটা পুঁড়ে যাবে, কি অসাধারন কোমড়, উউফফ,মালটাকে যদি এক রাতের জন্য পেতাম,,,,

প্রিয়মের কথাগুলো যেন মুগ্ধের হজম হচ্ছে না। মনে খুব দাগ কেঁটে যাচ্ছে। ইচ্ছে করছে প্রিয়মকে জিন্দ দাফন করতে।। মুগ্ধ নিজেকে আর আঁটকাতে পারলো না। প্রিয়মের গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো তার সাথে ঘুষি।

মানুষ জড়ো হয়ে গেলো। কেউ কিচ্ছু বুঝতে পারছে না। একপর্যায় মুগ্ধ থেমে যায়। হাত বেয়ে রক্ত পড়ছে তার। কি করছে সে? কেনো? কার জন্য? ওই মেয়েকে কিছু বলাতে কেনো তার এমন লাগবে? ওঁ তার কে? সে তো ওকে দু-চোখেই দেখতে পারে না। তাহলে প্রিয়মের মুখে এমন কথা শুনে মুগ্ধ কোথায় হারিয়ে গেলো? কেনো পুতুলের ব্যাপারে এমন কথা সহ্য করতে পারলো না সে?

পুতুল গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠে,

-গুন্ডা, এখানেও গুন্ডামী করা ছাড়লো না।

মুগ্ধ আর কিছুই ভাবতে পারছে না।কেউকে কিছু না বলেই হন হন করে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লো সে।

চলবে,,
#তোমাতেই
#পর্ব_৬
#Arobi_Akter_Poly

মুগ্ধ আর কিছুই ভাবতে পারছে না।কেউকে কিছু না বলেই হন হন করে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লো সে।তার পিঁছু পিঁছু খান পরিবার।

মুগ্ধ ধপাস করে দরজাটা খুলে সোজা রুমে চলে যায়। রাগে ফুপিয়ে উঠছে সে। এটা কি করলো! পুতুলের জন্য সে তার প্রাণ প্রিয় বন্ধুর গায়ে হাত তুললো।কি করবে সে ভাবতে পারছে না আর।ইতিমধ্যে প্রিয়ম মুগ্ধকে কয়েকবার কল করে ফেলেছে। মুগ্ধ মিসেড কল দেখে জলদি প্রিয়মকে কল ব্যাক করে,

-দুস্ত, তুই ঠিক আছিস? কি হয়েছিলো বলবি তো নাকি,, না, কিছু না বলে মারার শুরু করলি। আচ্ছা এবার বল কি হয়েছিলো?

কথাগুলো শুনে মুগ্ধের মনে অনুতাপ জন্মাতে থাকে আর পুতুলের জন্য ঘৃণা! কার জন্য সে কাকে মারছিলো?প্রিয়ম কতবার তাকে বিপদ থেকে বাঁচিয়েছে, কত পথ দুজন একসাথে পাড়ি দিয়েছে আর আজ কিনা একটা আজাইরা মেয়ের জন্য সে তাকে মারলো! পুতুলকে সে কখনোই ক্ষমা করবে না।

-ব্রু, আই এম রিয়েলি সরি। তুই তো জানিস চারপাশের জামেলায় কতটা ডিপ্রেসড থাকি।
-আরে, ফ্রেন্ডশিপে নো সরি নো থ্যাংকিউ, তুই টেনশন নিস না আমি ঠিক আছি। দু-প্যাক নিলে ঠিক হয়ে যাবো।
-হা হা হা,
-হি হি হি ওকে বায়
-ওকে

মুগ্ধ রুম থেকে বেরিয়ে করিডরের বেসিনে মুখ ধুঁচ্ছে। আয়নার বিপরীতে পুতুলের রুম।মুগ্ধ আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখে পুতুল বেখেয়ালি হয়ে শাড়ি পালটাচ্ছে। দরজাটা পর্যন্ত বন্ধ করেনি।দৃশ্যটা দেখে ভীষণ রেগে যায় মুগ্ধ।এতো নির্লজ্জ মেয়ে আগে দেখেনি সে।পুতুলের চেহারা বিষাক্ত লাগছে তার কাছে, সে কি ইচ্ছে করে মুগ্ধকে এসব দেখাচ্ছে?

মুগ্ধ গম্ভীর হয়ে ডাইরেক্ট পুতুলের রুমে চলে যায়। রুমের দরজা অফ করে দেয় সে তারপর ট্রাউজারের পকেটে হাত ঢুকিয়ে এক-দৃষ্টিতে পুতুলের দিকে তাকিয়ে থাকে।

পুতুল গুনগুন করে গান গেয়ে কানের ঝুমকো খুঁলছে । দরজা লাগানোর শব্দ শুনে সে আঁতকে উঠে। শাড়ির আঁচলটা ফ্লরে পড়ে আছে তার। গায়ে শুধু ব্লাউজ। মুগ্ধকে দেখে সেইরকম জোরে চিৎকার করর পুতুল। তড়িঘড়ি করে শাড়ির আঁচলটা আঁকড়ে ধরে সে।

-বাঁচাও মা-বাবা, বেরিয়ে যাও রুম থেকে ইডিয়ট

মুগ্ধ খুব স্বাভাবিক হয়ে পুতুলের দিকে আগাতে থাকে,

– তুমি তো এটাই চাইছো না? আমি যেনো তোমাকে দেখি তাইতো, ওকে ফাইন দেখাও

-ওয়েট, ওয়াট! এখান থেকে বেরিয়ে যাও। এটা আমার রুম তুমি ঢুকলে কি করে,

মুগ্ধ বিস্ফুরিত হয়ে পুতুলকে শাসিয়ে বলল,

-আর যদি দেখেছি দরজা খুলে চেইঞ্জ করছো, তাহলে তোমার যে কি হাল করব আমি তা ভাবতেও পারবে না। গেট ইট?

এটা বলে মুগ্ধ চলে যায়। পুতুল মুগ্ধকে ব্যঙ্গ করে,

-কি করব ভাবতেও পারবে না। আমার বয়ে গেছে ওঁর কথা শুনতে।

ল্যাপটপের স্ক্রিনে হঠাৎ একটি ইমেইল বেসে উঠলো।

-খুব লেগেছে হাতে?

মুগ্ধ ইমেইলটা অপেন করলো।

-না
-কেনো মারামারি কর,জানো না তোমার কিছু হলে আমি ভীষণ কষ্ট পাই।

আর কিছু লিখার সাহস হচ্ছে না মুগ্ধের। সে জানে মৃদ্ধা তাকে পাগলের মত ভালোবাসে। খুব বেশিই ভালোবাসে। কিন্তু মুগ্ধ কি করবে? বন্ধুত্বের বেশি কিছু সে যে আর ভাবতে পারে না। সেটা মৃদ্ধাকে সে শত শত বার বলেছে তারপরেও মৃদ্ধা! আহা,নারী জাতি কতই না রহস্যময়। কেউ ব্যাথা দেয়,কেউবা আবার সেই ব্যাথায় কষ্ট পায়। কি আজব!

হঠাৎ মুগ্ধের মৃদ্ধার সেই স্কার্ফটিতে চোখ আঁটকে যায়। মুগ্ধ আলতো করে স্কার্ফটি হাতে নেয় এবং কাটা যায়গায় বেঁধে ফেলে।

বারান্দায়, চেয়ারে বসে আছে মুগ্ধ।আকাশের দিকে তাকিয়ে হারিয়ে যায় সেই অতীতের কথায়…

জনির সাথে খুব মারপিট হচ্ছে মুগ্ধের। পেছন থেকে জনির ভাই রকি এসে মুগ্ধকে আঘাত করতে চায়। ঠিক সেই সময় মৃদ্ধা নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে রকিকে আঁটকাতে যায় আর এক সময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়।। সেই দিন থেকেই মৃদ্ধার সাথে তার বন্ডিং স্ট্রং হয়ে গেছে। সে মৃদ্ধাকে কষ্ট দিতে চায় না। কখনো না।

গভীর রাত। মুগ্ধ এখনো জেগে আছে। কিছুতেই ঘুম আসছে না তার। ড্রইংরুমে গিয়ে সোফায় শুতেই ঘুমিয়ে পড়ে সে। ছোট্ট মুগ্ধ একই কাজ করতো। কিছু অভ্যাস মানুষের সারাজীবনের জন্য।

মুগ্ধের হাতে কেউ কিছু করছে। খুব জ্বলছে হাতটা। মুগ্ধ আসতে আসতে চোখ খুলতে ট্রাই করছে কিন্তু পারছে না। খুব গভীর রাতে ঘুমিয়েছে তো। ঝাপসায় দেখতে পাচ্ছে কেউ একজন হাটু গেড়ে বসে তার হাতে মলম দিয়ে দিচ্ছে আর মাঝে মাঝে ফুঁক দিচ্ছে। মুগ্ধ আন্দাজ করতে পারে এটা সায়মা বেগম।

মুগ্ধ ঘুম ঘুম চোখে বলে,

-তেমন কিছু হয়নি, তুমি চলে যাও।

পুতুল কিচ্ছু বলছে না। বেন্ড-এইড লাগিয়ে চলে যাচ্ছে সে।মুগ্ধ পুতুলের হাত ধরে ফেলে। পুতুলের হৃদ-স্পন্দন বেড়ে যায়। মুগ্ধ এক টানে পুতুলকে তার বুকের সাথে মিশিয়ে ফেলে। কানের কাছে ঠোঁট দুটো এগিয়ে ফিসফিস করে বলতে লাগে,,

-আই লাভ ইউ।

পুতুলের চোখ দুটো বড় বড় হয়ে যায়।রীতিমতো ঘামতে শুরু করে সে।।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here