তোমার মাঝে,পর্ব_০৫ শেষ
সারিফা তাহরিম
“চুপটি করে বসেছিলাম
মনের আধাঁর ঘরে
হঠাৎ কেউ প্রেমপ্রদীপ জ্বালালো
আমারই হৃদমাঝারে।
স্নিগ্ধ আলোয় উঁকি মেরে
আমায় পাগল করে।
আমায় অস্থির করে সেই মায়াপরি,,
চলে যায় চুপিসারে।
জানতে চাও সে কে? আর কেউ নয়। আমার হৃদয়হরণী সেই মায়াপরিটি হলে তুমি। তোমার মায়ার মাঝে হারিয়ে গেছি। সেই প্রথম দেখায় তোমাকে দেখে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেছি।প্রতিটি দিন তোমার ছবি বুকে জরিয়ে ঘুমাই। ঘুম থেকে উঠে ছবিতে তোমার সেই মায়াভরা মুখটি দেখি। তোমার হাসিটি দেখে দিন শুরু করি। কিন্তু জানো তবুও তোমার শূন্যতা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয় নি। কারণ ওটা তো তোমার ছবি। তুমি না। আমি তো তোমাকে চাই। আমি চাই আমার ঘুম শুধু তোমাকে দেখেই নয় তোমার ভালোবাসার পরশে ভাঙ্গুক। প্রতিটি সকালে আমি তোমার নরম হাতের ছোঁয়া পেতে চাই। সকালের মিষ্টি রোদে তোমার মুখে ছড়িয়ে যাওয়া হাসির রেখার ছোট্ট টোলটি নিজ হাতে ছু্ঁয়ে দিতে চাই। সকাল বেলায় ঘুম জড়ানো চোখে তোমায় দেখে তোমার ভেজা চুলে মুখ ডুবাতে চাই।
কোনো একদিন আমি তোমার হাতে একটি লাল শাড়ি দিয়ে বলব,, ” যাও এটা পড়ে এসো। আজ আমরা এক গ্রামের দম্পতি হিসেবে নৌকোতে করে ঘুরে বেড়াব। চাষিদের প্রতি তাদের বউদের ভালোবাসা দেখব। গ্রাম্য প্রকৃতির রোমাঞ্চকর দৃশ্য দেখব। গ্রাম্য পরিবেশকে আমাদের ভালোবাসার জানান দিব। তোমার নৌকার মাঝি হয়ে নদীর মাঝখানে গিয়ে জোছনা বিলাস করব।”
তুমি আমার কথা শুনে খুশি হয়ে তারাতাড়ি তৈরি হতে চলে যাবে। আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করতে থাকব।আমার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে তুমি দরজা খুলবে। দরজা খোলার আওয়াজে আমি ফিরে তাকাব। তখন আমার চোখ আটকে যাবে #তোমার_মাঝে। আমি ডুবে যাব #তোমার_মাঝে।
আমায় এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখে তুমি আমার সামনে তুড়ি বাজাবে। এতে আমার ধ্যান ভাংবে। আমার অবস্থা দেখে তুমি খিলখিলিয়ে হেসে উঠবে। আমি মুগ্ধ নয়নে তোমার দিকে চেয়ে থাকব। হৃদ কম্পন বেড়ে যেতে থাকবে।মুখে ফুটে উঠবে এক চিলতে হাসি। তখন আমি তোমায় বলব,,
“জানো মায়াপরি তোমার এই হাসি আমি কতোটা ভালোবাসি?”
এতে তুমি লাজুক হাসবে। তারপর আমরা বেড়িয়ে পড়ব গ্রাম্য দম্পতির বেশে।
শুধু কল্পনা নয় বাস্তবেও আমি তোমাকে পেতে চাই। গ্রাম্য দম্পতির বেশে জোছনা বিলাস করতে চাই।হ্যাঁ মায়াপরি আমি #তোমার_মাঝে হারাতে চাই। সবার সম্মতিতে আমি তোমাকে আমার করে নিতে চাই।
তুমি কি দিবে আমায় #তোমার_মাঝে ডুবে যাওয়ার,,তোমাকে ভালোবাসার অধিকার?
ইতি,,,
#তোমার_মাঝে হারিয়ে যাওয়া সেই নামহীন প্রেমিক।”
চিরকুটটি পড়ে তিতলি স্তম্ভিত হয়ে গেল। কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা আর এই চিরকুটটির বিষয় কিছুই মাথায় ঢুকছে না।মাথায় শুধু একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে,, কে হতে পারে এই ব্যক্তি?
~~~~~~~~
“সময় এবং নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না।” বিষয়টি যেমন সবার জীবনে সত্যি,, তিতলির জন্যেও তাই। ভিন্ন কিছু নয়। তার জীবনে নামহীন প্রেমিকের খোঁজ নেওয়ার জন্য সময়কে ধরে রাখতে পারে নি।
সেদিনের সেই ঘটনাটির পরে এক বছর কেটে গেছে। পিচ্চি বাচ্চাটি প্রতিদিন তিতলির সাথে দেখা করতে আসে ভার্সিটিতে। আর সাথে একটি করে গোলাপ ও চিরকুট দিয়ে যায়।সাথে চুমু দিতে চাইলে তিতলি তার মামার ব্যাপারটি মনে করে পিছে সরে যায়।
এই একবছরে বেশ অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। তিতলি আর আনিকা অনার্স ২য় বর্ষে উঠেছে। পিচ্চি বাচ্চাটি আগে থেকে বড় হয়েছে। আর তার তোতলানো কথাগুলোও ঠিক হয়ে গেছে। এখন সে সম্পুর্ন স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারে।
আনিকা আর সাদাফের প্রেম অনেক আগে থেকেই জমে উঠে। প্রথমে আনিকা তেমন পাত্তা না দিয়ে মনে করেছিল সাদাফও অন্য ছেলেদের মতো শুধু ক্রাশ। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সে বুঝতে পারে যে তার ধারণা সম্পুর্ন ভুল। সে সাদাফকে ভালোবাসে।
সাদাফ আগে গম্ভীর থাকলেও তার কথার রাণীর সাথে থেকে থেকে তারই মতো প্রাণোচ্ছল হয়ে গেছে। সবার সাথে প্রাণ খুলে কথা বলে। হাস্যজ্জ্বল থাকে। আনিকা যেমন সাদাফের মধ্যে পরিবর্তন এনেছে,,সাদাফও তেমন আনিকার মধ্যে একটি কঠিন পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।আর সেটি হলো আনিকার ক্রাশ খাওয়ার ব্যাপারটি। প্রথম প্রথম আনিকা সাদাফকে তার ক্রাশের বিবরণ দিত আর সেগুলো শুনে সাদাফ রাগে ফুসতো। আনিকাকে এসব ব্যাপারে কথা বলতে মানা করত। কিন্তু আনিকা তেমন পাত্তা দিত না।
একদিন তো আনিকা সাদাফের সামনে একটি ছেলেকে দেখিয়ে বলে যে সে তার ক্রাশ। এমনকি আনিকা গিয়ে সেই ছেলেটির সাথে সেলফিও তুলে আসে।
এতে সাদাফ তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে।সেইদিনই সাদাফ প্রথমবারের মতো আনিকাকে তার ভালোবাসার কথা জানায়। আর বলে যে সে আনিকাকে ভালোবাসে দেখেই তার মুখে অন্য কারো নাম শুনতে পারে না। আর আনিকা যদি এমন ক্রাশ নিয়ে পরেই থাকে তাহলে যেন আর তার সাথে দেখা না করে এবং কথা না বলে। কথাগুলো বলে সাদাফ চলে যায়।
এদিকে আনিকা বোকা হয়ে যায় সাদাফের কথা শুনে। তারপর সে সাদাফকে অনেক কল দিল। কিন্তু সাদাফ ফোন রিসিভ করে নি। পরে ফোন বন্ধ করে রাখে। সাদাফের বাসার ল্যান্ডফোনে কল দিয়েও সাদাফের সাথে কথা বলতে পারে নি। অনেক চেষ্টা করেও আনিকা তিন দিন সাদাফের সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারে নি।তিন দিনে সে সাদাফের শূন্যতা বুঝতে পারে। সাদাফকে ছাড়া তার দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম। আনিকা তখন বুঝতে পারে যে সে সাদাফকে অনেক বেশি পরিমাণে ভালোবাসে।
পরে অনেক কষ্টে মেহরাবকে বলে সাদাফকে ভার্সিটিতে আনায়। সাদাফ জানতো না যে আনিকাও আছে। মেহরাব সেই পুকুর পাড়ে সাদাফকে রেখে আসে।সাদাফ সেখানে আনিকাকে দেখে চলে আসতে চাইলে আনিকা সাদাফের হাত ধরে। সাদাফ ফিরে তাকাতেই আনিকা সাদাফকে জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে দেয়। আনিকাও বলে যে সাদাফকে ছাড়া সে অসম্পূর্ণ। অনেক ভালোবাসে সাদাফকে।
সাদাফও নিজেকে আর দমিয়ে রাখতে পারে নি। সেও আনিকাকে নিজের সাথে শক্ত করে জরিয়ে ধরে।মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠে।
সেই থেকে আনিকা কখনো অন্য কোন ছেলের দিকে তাকায় নি। কারণ তার ক্রাশ রাজ্যে ছিল, আছে আর থাকবে শুধু সাদাফের বসবাস।
আনিকা আর সাদাফের রিলেশনের কথা তাদের পরিবার জানতে পারে। আনিকার পরিবার সাদাফের বাবা আর ভাই রাজনীতিবিদ হওয়ার কারণে প্রথমে একটু অনীহা প্রকাশ করলেও পরে সকলেই মেনে নেয়। আর ২ বছর পরে তাদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
আর তিতলি!! তিতলির তো প্রতিদিন মেহরাবের ছবি দেখা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। মেহরাবের ছবি না দেখলে কোনভাবেই তার ঘুম আসে না।এর মধ্যে মেহরাবেকে সে বেশ কয়েকবার দেখেছে। কিন্তু মেহরাব হয়তো তাকে খেয়াল করে নি। তিতলির মাঝে মাঝে ইচ্ছে করত মেহরাবের সাথে গিয়ে কথা বলার। কিন্তু দ্বিধাবোধ করার কারণে কখনো কথা বলা হতো না।
আর হ্যাঁ সেই চিরকুটগুলো পড়াও তার অভ্যাস। সেই সাথে পিচ্চি বাচ্চাটিও। কিন্তু সব হয়তো একসাথে শেষ হয়ে যাবে।কাল মেহরাবদের লাস্ট ক্লাস। ভার্সিটির মোস্ট ট্যালেন্টেড ব্যাচ হওয়ার কারণে ছোট খাটো একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু মেহরাব চলে যাবে,,আর হয়তো কখনো দেখা হবে না ভাবতেই তিতলির বুক হু হু করে উঠল। সেই বাচ্চাটিও বলেছে সে নাকি কালকের পরে ভার্সিটিতে আর আসবে না। তাহলে কি আর কোন চিরকুট পাবে না। এই অভ্যাসগুলো ছাড়া সে কিভাবে দিন কাটাবে? ভাবতেই খুব কষ্ট হচ্ছে তিতলির।এসব ভাবনা চিন্তার মাঝেই এক নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দিল সে।
~~~~~~~~~~~
পিচ্চি বাচ্চাটি অর্থাৎ তিতলির কিউট এঞ্জেল তার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।আজ অনুষ্ঠান। কিন্তু তিতলি এক কোণে বসে ছিল। কারণ সে মেহরাবকে দেখলে হয়তো তার কষ্ট আর ধরে রাখতে পারবে না। তার যন্ত্রণা আরো বেড়ে যাবে। তাই সে পুকুর পাড়ের এক কোণে বসে ছিল। হুট করে কোথা থেকে কিউট এঞ্জেল এসে “আমার সাথে চলো” বলে হাত ধরে নিয়ে যেতে লাগল।
~”আরে আরে কিউট এঞ্জেল কোথায় নিয়ে যাচ্ছো আমায়?”
~”তুমি না এতোদিন আমার মামাকে দেখতে চেয়েছিলে….তাই আজ তোমাকে আমার মামার কাছে নিয়ে যাচ্ছি।”
~”কিউট এঞ্জেল আজ না আমার মন ভালো নেই। আজ যেতে ইচ্ছে করছে না। অন্যসময় এসে দেখিও তোমার মামাকে।”
~”না তিতলি মাম্মাম। তোমার আজই যেতে হবে। আমি আর কোনো কথা শুনব না।”
তিতলি অগত্যা আর কথা না বাড়িয়ে তার সাথে যেতে থাকল। সেখানে গিয়ে তো তিতলি অবাকের চরম সীমানায় পৌঁছে গেল। কারণ তার সামনে মেহরাব এগিয়ে আসছে। তিতলির সামনে এসেই মেহরাব হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে।
“” মায়াপরি আজ ভার্সিটির শেষ দিন।আর কখনো আসব কিনা জানি না। আর তোমাকে ওভাবে চিঠিও দেওয়া হবে না।তাই ভাবলাম আজ চিরকুটের জায়গায় আমি নিজেই নিজের অনুভূতির কথা তোমায় বলি। তোমাকে কলেজের সেই অনুষ্ঠানে দেখেই আমার মধ্যে এক অদ্ভুত অনুভুতির জন্ম হয়। সেদিনই আমি তোমার ডিটেইলস বের করি যার কারণে অনুষ্ঠানে আসতে দেরি হয়েছিল।তারপর থেকে তোমার অগোচরেই তোমার খোঁজ খবর রাখি। তোমার পরীক্ষা ছিল বলে কিছুই জানাইনি। তারপর ভার্সিটিতে আসার পর থেকে পরিচয় গোপন করে চিঠি দেওয়া শুরু করি।
হুট করে আমি তোমাকে এমন কিছু বললে তুমি হয়তো কখনোই মেনে নিতে না। এতোদিনেও আমি তোমার মনে জায়গা করে নিতে পেরেছি কিনা আমি জানি না। কিন্তু আমি সত্যিই তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আর তোমার যদি আমায় পছন্দ না হয় তাহলে আমি দূরে চলে যাব কখনো তোমায় বিরক্ত করতে আসব না। তোমার অমতে কিছুই হবে না।
ভালোবাসি মায়াপরি। খুব বেশি ভালোবাসি।আমি তো #তোমার_মাঝেই হারিয়ে গেছি মায়াপরি। আমার অবুঝ মনটা শুধু তোমাকেই চায়।তোমার সাথে #তোমার_মাঝেই ডুবে যেতে চায়। তুমি কি দিবে আমায় সেই অধিকার? “”
এতোটুকু বলেই মেহরাব তিতলির দিকে একগুচ্ছ গোলাপ এগিয়ে দিয়ে উৎসুক নয়নে চেয়ে আছে।তিতলির তো যেন অবাকের রেশ কাটতেই চাইছে না। সে এতোদিন ধরে যাকে চেয়েছিল,আজ সেই তাকে ভালোবাসি বলছে। তিতলি একবার চারপাশে তাকিয়ে দেখে সবাই উৎসুক দৃষ্টিতে তিতলির দিকে তাকিয়ে আছে। সকলেই তিতলির উত্তরের অপেক্ষায় আছে। তিতলি এবার মেহরাবের দিকে তাকিয়ে এক আংগুল উপর নিচে নাড়িয়ে মেহরাবকে বসা থেকে উঠতে ইশারা করে।
মেহরাব ভাবছে তিতলি এখনই তাকে বলে দিবে যে সে তাকে ভালোবাসে না। আর মেহরাবকে বিরক্ত করতে মানা করবে। এসব ভেবে মেহরাব উঠে দাঁড়িয়ে একটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।মেহরাব মাথা নিচু করে কিছু বলতে যাবে তার আগেই তিতলি এসে সবার সামনেই তাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে। ঘটনার আকস্মিকতায় মেহরাব হকচকিয়ে যায়। তার এখন ব্যাপারটি বুঝতে কষ্ট হচ্ছে।
~”ভালো কি শুধু আপনিই বাসতে পারেন আমি পারি না। আমিও তো আপনার মাঝে বিভোর হয়ে গেছি। আপনি আমার ঘুম কেড়ে নিয়েছেন।আপনার ছবি দেখে ঘুমাই। নাহলে তো আমার দু চোখের পাতাও এক হতে নারাজ। কিন্তু এখন আমি আপনার ছবিকে না আপনাকে দেখে ঘুমাতে চাই। আপনার মাঝে বিভোর থাকতে চাই। আপনার মাঝে হারিয়ে যেতে চাই। কারণ আমি ভালোবাসি আপনাকে। অনেক বেশি ভালোবাসি।”
মেহরাব তো যেন আকাশের তারা পেয়ে গেছে। চারপাশে সকলেই বেশ খুশি হয়েছে তিতলির কথা শুনে। তারাও কর তালি দিতে থাকে। মেহরাবও তিতলিকে শক্ত করে জরিয়ে ধরব।
~”কিন্তু মায়াপরি,,আপনার মাঝে কথাটি কেমন হজম হয়নি। কেমন পর পর লাগছে।”
তিতলি মেহরাবের বুকে মাথা রেখেই মুচকি হেসে বলে,,
~”আমি বিভোর হতে চাই,, ডুবে যেতে চাই শুধু #তোমার_মাঝে।
~~~~~~~~~~~
বাজিমাতের আওয়াজে তিতলি তার অতীতের স্মৃতি থেকে বের হয়।এতোক্ষণ সে ৫ বছর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর স্মৃতিচারণ করছিল। জীবনকে সুন্দর করতে সেই দিনগুলো যেন অপরিহার্য ছিল।
তিতলি শব্দ শুনে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে খুব সুন্দর করে ফানুশের মাধ্যমে লিখা উঠছে,
“Happy Anniversary Mayapori”
হুম,আজ তিতলির বিবাহ বার্ষিকী। তবে এটি ২য়। আজ থেকে ২ বছর আগে তিতলি আর মেহরাবের বিয়ে হয়। আর আজ ২য় বিবাহ বার্ষিকী শুরু করতেই অর্থাৎ রাত ১২ টা থেকে প্রতিটি মুহুর্ত উপভোগ করতে মেহরাব এসব করেছে।
মেহরাব এগিয়ে এসে তিতলিকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরে। তিতলির ঘাড়ে মুখ রেখে কানের কাছে ফিসফিস করে বলে,,
“Happy Anniversary Mayapori”
তিতলিও মুচকি হেসে মেহরাবের হাতের উপর হাত রেখে বলে,,
“Happy Anniversary ”
তিতলির হাত ধরে মেহরাব তিতলিকে নিজের দিকে ঘুরায়। তারপর হাঁটু গেড়ে বসে তিতলিকে একটি ডায়মন্ডের রিং পড়িয়ে দিয়ে চুমু খায়। তারপর তিতলির কোমর জরিয়ে পেটে চুমু খেয়ে বলে,,
“তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি মায়াপরি। কিন্তু এখন থেকে আরও বেশি ভালোবাসব। কারণ এখন যে আমাদের ভালোবাসার ছোট্ট অংশ বেড়ে উঠছে
তোমার মাঝে।”
সমাপ্ত
সংক্ষিপ্ততার মাঝে ও খুব ভালো ভাবে গল্প টি গুছিয়ে লেখা হয়েছে।আর খুব ভালো লেগেছে গল্প টি পড়ে। thank you so much for the story.