তোমার_খোঁজে_এই_শহরে পর্বঃ২২:#মুখোমুখি

0
1033

গল্পের নাম:#তোমার_খোঁজে_এই_শহরে
পর্বঃ২২:#মুখোমুখি
লেখিকা :#নবনী_নীলা

টয়া কয়েকবার কলিং বেল বাজলো এই রিতুর বাচ্চা মরার মতো ঘুমাচ্ছে মনে হয়, দরজা খোলার নাম নেই। অনেকক্ষন দাড়িয়ে থাকার পর রিতু চোখ ডলতে ডলতে দরজা খুললো। ঘুমে চোখ জড়িয়ে এসেছিলো তবে টয়াকে দেখে ঘুম চলে গেছে। গেছিলো কাল রাতে ফিরেছে আজ সকালে? করেছে টা কি সারারাত। রিতুর চাহিনি টয়াকে আরো বিব্রত করছে এই মেয়ে আবার বেশি বুঝে সব কাজে। টয়া কোনো কিছু না বলে বড় বড় পা ফেলে নিজের রূমে গিয়ে শুয়ে পড়বে ভেবেছে কারন কিছু বলতে গেলেই এই মেয়ে হাজারটা প্রশ্ন করবে। যেই ভাবা সেই কাজ টয়া সুর সুর করে নিজের রুমের দিকে যাচ্ছিল। টয়া এতক্ষন বাহিরে দাড়িয়ে ছিলো অথচ চেঁচামেচি করলো না বিষয়টা রিতুর হজম হচ্ছে না। নিশ্চই ভয়ংকর কিছু হয়েছে। রিতু পিছু পিছু গিয়ে টয়াকে প্রশ্ন করলো,” গেছিলি কাল রাতে আইলি আজ সকালে কাহিনী কি? ”
টয়া এড়িয়ে যেতেও পারবেনা কারন তানা হলে রিতুর মনে সন্দেহ জাগবে আর সেটা হতে দেয়া যাবে না। টয়া শুকনো গলায় বললো,” কই কিছু না তো। আসলে কথা বলতে বলতে দেরী হয়ে গেছিলো।”
রিতুর সন্দেহ আরো বেড়ে গেলো কারন সে ঐ মেয়েকে কিছুক্ষণ পরেই বেরিয়ে যেতে দেখেছে, তাহলে কি টয়া সারারাত ইয়াদের সাথে কথা বলেছে রিতু মাথার চুলগুলো এক পাশে এনে বললো,” তুই সারারাইত ইয়াদের লগে কথা বলসস। ঐ মাইয়্যা তো অনেক আগেই বাহির হইয়া গেছে দেখলাম।”
টয়ার মাথা পুরো হ্যাং হয়ে আছে কি বলবে সে নিজেই বুঝছে না। টয়া বিচলিত হয়ে বললো,” আমার ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমাবো, পরে তোকে বলবো।”
এই কথা শুনে রিতুর সন্দেহ বেড়ে গেলো যে মেয়ে কই মাছের মতো ছোটফট করে সে মেয়ে এতো শান্ত গলায় কথা বলছে রিতু টয়ার চারপাশ ভালো করে দেখতে লাগলো। টয়া বার বার শুধু ঠোঁট কামড়াচ্ছে এই রিতুর বাচ্চা এমন করছে কেন? অসহ্য লাগছে। টয়া গলা ঝেড়ে বললো,” কি করছিস? এভাবে আমার চারপাশে ঘুরছিস কেনো?”
” তোদের মধ্যে কি কিছু হইসে? একসাথে ছিলি কিছু তো নিশ্চই হয়েছে।”, একটা শয়তানি হাসি দিয়ে বললো রিতু।
টয়া বুকের ভিতরটা ধক করে উঠলো। টয়া একটা রাগ দেখিয়ে বললো,” কিসব বলছিস?”
” কিছু না হলে বার বার ঠোঁট কামড়াচ্ছি কেনো? কিস করেছে তোকে ! নাকি অন্য কিছু হয়েছে। এক মেয়ে অর এক ছেলে একসাথে সারারাত ছিলো কিছু না হয় কিভাবে?” রিতুর কথায় লজ্জায় টয়া লাল হয়ে গেল। সেই অনুভূতির কথা মনে পড়তেই শরীরে কাটা দিয়ে উঠলো।
” এতো বেশী বুঝিস কেনো?”, একটা ঝাড়ি মেরে রিতুকে চুপ করানোর চেষ্টা করে টয়া।
” কি করছে রে? ঝাড়ি টাও দেখি ঠিক মতন দিতে পারছিস না!”, টয়া হুড়মুড়িয়ে নিজের রূমে ঢুকে সজোড়ে দরজা লাগিয়ে ফেললো।

যতক্ষন রিতু বাসায় আছে টয়া রুম থেকেই বের হবে না ভেবে অনেক্ষন নিজের রুমে বসে ছিলো তবে শেষমেশ বাধ্য হয়েই রুম থেকে বেরিয়ে আসতে হলো। খিদে লেগেছিল তার, আজ ভার্সিটিতে যাওয়া হয়নি তার। বেরিয়ে রিতুকে না দেখে খুব শান্তি লাগছে তার। রিতু নিশ্চয় ভার্সিটিতে গেছে। টয়ার কয়েকটা পাউরুটি টোস্ট করে খেয়ে নিলো কিছু করে খেতে ইচ্ছে করছে না তার। ফোন হাতেbনিয়ে দেখে নিরবের অনেকগুলো মিসড কল এসেছে। টয়া ফোন হাতে নিতেই আবার টয়ার ফোনে নিরবের কল। টয়া ফোন রিসিভ করে কানে দিতেই নিরব চিন্তিত গলায় বলল,” কি হয়েছে তোর ফোন দিলে ফোন ধরিস না কেনো। ঠিক আছিস?”

” আরে না তেমন কিছু হয় নি। একটু ব্যাস্ত ছিলাম। তোর কি অবস্থা বল।”

” আমার সাথে এখন দেখা করতে পারবি? দরকার আছে।”

” হুম, পারবো তবে ট্রিট দিতে হবে।”

” হ্যা সেতো তুই আমাকে ফকির বানিয়ে ছাড়বি আমি জানি।”

” ভালো হবে দুজনে একসাথে বসে ভিক্ষা করবো। এখন ফোন রাখ। আমি রেডি হবো।”

টয়া ফোন রেখে রেডি হয়ে বের হয়ে গেলো।
রেস্টরেন্টে টয়া নিজের প্রিয় খাবার গুলো সামনে নিয়ে আরাম করে খাচ্ছে। নিরব হাঁটুর উপর এক পা তুলে বসে টয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। নীরব ভ্রু কুঁচকে বললো,” এতো খাইতে পারোস তুই! আজ পর্যন্ত আমার কোনো গার্লফ্রেন্ড দুসপ্তাহেও এতো খায় নাই।”
” প্রেম করিস তো সব শুঁটকি মাছের সাথে। একেকটাকে ফু দিলে উড়ে যাবে। সবগুলো তো ফিগারের চিন্তায় খায় না।”, কটাক্ষ করে বললো টয়া।
” তুই মনে হয় খুব শক্তিশালী।”, আড় চোখে তাকিয়ে বলল নিরব।
” তোর শুঁটকি মাছগুলোর থেকে বেটার। তা মিস্টার রোমিও আপনার এ দশা কেনো?”, জুসের গ্লাসটা নিজের দিকে নিয়ে বললো টয়া।
” ওদের কথা বলিস না। আর প্রেমটেম করবো না। এরপর সোজা বিয়ে।”, এক হাত টেবিলেরেখে বললো নিরব।
” তোকে কে বিয়ে করতে যাবে? সেধে সেধে কার কুয়ায় লাফ দিতে ইচ্ছে হবে “, উপহাস করে বললো টয়া।
” কেউ না করলে তুই তো আছিস।”, একটু হেসে বললো নিরব।
বিয়ের কথা শুনেই টয়ার মুখটা কেমন যেন হয়ে গেলো। মনে পড়ে গেলো ইয়াদ আর তার বিয়ের কথা। টয়া যেনো কোথাও হারিয়ে গেলো।
” আরে চিল। মজা করছিলাম তোকে বিয়ে করলে হয়েছে আমার মাথা খারাপ করে দিবি তুই।”, তুরি বাজিয়ে বললো নিরব। শব্দে টয়ার হুশ ফিরল টয়া নড়ে চড়ে বললো,” কি জন্যে ডেকেছিস সেটা বল।”
নীরব দুই হাত টেবিলের সামনে রেখে বললো,” তুই আমার বেস্টফ্রেন্ড তাই বলছি এক ঘটনা শুন,” টয়া ভালোমত শুনতে মাথা আরো এগিয়ে আনলো।
” সেদিন আমি বাইক নিয়ে বেড়িয়েছিলাম। রাস্তায় কাদা ছিলো বৃষ্টির কারণে তাই ভূল বসতো বাইক কাদা উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে এক মেয়ের গায়ে কাদার ছিটকে যায়।”, এতটুকু শুনে টয়া ভ্রু কুঁচকে বললো,” বেয়াদব কোথাকার! চোখ কি বন্ধ করে গাড়ী চালাস।”
” চুপ কর! পরে কি হলো শুন। আমি ভদ্রতার খাতিলে বাইক থামিয়ে মেয়েটিকে sorry বলতে এগিয়ে গেলাম। মেয়েটির জামায় কিন্তু বেশি কাদা লাগে নি। এদিক মেয়েটা পুরা ধানি লঙ্কা। তারপর কি কি যে কোথা শুনালো বিশ্বাস করবি না মানুষ জড়ো হয়ে গেছিলো। শেষমেশ কোনো ভাবে কেটে পড়েছিলাম। মেয়েটা sorry শুনার পর বললো,” আপনার সরি দিয়ে আমি কি করবো? আপনার সরি দিয়ে কি আমার কাপড় কাচা হবে নাকি জামার দাগ উঠে দৌড় দিবে?” বিশ্বাস করবি না অমন মেয়ে বাপের জন্মে দেখি নাই। আমি জামার দাম দিয়ে দিতে চাইলাম বলে কিনা দাম দেওয়া লাগবে না জামাটা ধুয়ে দিলেই হবে। ভাব আমাকে বলছে কিনা তার জামা ধুয়ে দিতে।”, নিরবের এই কাহিনি শুনে টয়া পেট ধরে হাসতে লাগলো।

নিরব টয়ার হাসি দেখে বললো,” হাসি থামা। ওই মেয়েটাকে তুই খুজে বের করবি, এই জন্যে তোকে ডেকেছি।”, টয়া অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে বললো,” ওই মেয়েকে দিয়ে তুই কি করবি? আর আমি কই থেকে ঐ মেয়েকে খুজবো। ”
” পারবি মেয়েটার গলায় তোদের ভার্সিটির আইডি কার্ড ছিলো। নাম রোল দেখে নিলে ভালো হতো but it’s ok। তুই খুজে বের করতে পারবি।”, নিশ্চিত হয়ে বললো নিরব।
“তাতে আমার কি লাভ?”, একটা ভ্রু তুলে বললো টয়া।
” তোদের এনজিও তে আমি ডোনেট করবো। আর একবছরের Netflix এর বিল আমি pay করবো।”

” বাহ্ । মেয়েটা দেখছি তোর মনে একেবারে বসে গেছে। ok Then deal done।”, টয়া একটু চিন্তা করতে লাগল কিভাবে মেয়েটাকে খুজে বের করবে।

টয়া আর নিরব কথা বার্তা শেষে এনজিও তে গিয়ে কিছু কাজ সেরে নিলো, সেগুলো করতে করতে রাত হয়ে গেলো। ফ্ল্যাটে ফিরলো রাত ৯টায়। আজ ইয়াদ আগেই কাজ শেষে ফ্ল্যাটে ফিরেছে। রাতে একবার প্রভাদের বাড়িতে যাওয়ার কথা আছে স্যারের অবস্থা নাকি যত সময় যাচ্ছে ততই খারাপ হচ্ছে। একবার গিয়ে দেখে আসাও দরকার। ইয়াদ সে কারণেই বের হচ্ছিল ইয়াদ লিফটের দিকে যাবে এমন সময় টয়া আর নিরব লিফট থেকে একসাথে বের হলো। ইয়াদ ব্যাপারটা খেয়াল করলো না সে নিজের রুমের কার্ডটা মানিব্যাগ এ ভরতে গিয়ে ভুল করে আইডি কার্ড সহ কিছু কার্ড ফেলে দেয় আর ইয়াদ সেগুলো তুলতেই বেস্ত হয়ে পড়ে। টয়া ইয়াদকে দেখেই পালাই পালাই করছে ইয়াদ ব্যাস্ত থাকায় সে এসুযোগে কেটে পরতে চাইলো। কিন্তু এই নিরব নামক আপদ ইয়াদের কার্ডগুলো তুলতে সাহায্য করতে গেলো। টয়া ইয়াদের পিছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো যাতে ইয়াদ তাকে না দেখে। এদিকে তাড়া দুজনই কার্ডগুলো তুলে উঠে দাড়ালো। ইয়াদ উঠে দাঁড়িয়ে নিরবকে দেখে চোখ মুখ শক্ত করে ফেললো।
নিরব ইচ্ছে করেই ইয়াদের হেল্প করতে গেলো কারন এর আগে গালফ্রেন্ডে বলার কারণে টয়া অনেক রাগ করেছিলো তাই এসুযোগে সবটা মিটিয়ে নেওয়া যাবে। এদিকে পিছে টয়ার ইচ্ছে করছে নিরবের কান ধরে টেনে নিয়ে আসে। আজ খুব মানবদরদী হয়ে উঠেছে বেয়দপটা।

ইয়াদ নিরবকে দেখে মোটেও খুশী হয় নি চোখ মুখ শক্ত করে তাকিয়ে আছে। নিরব এসেছে তার মানে এতক্ষন টয়া নিরবের সাথে ছিলো ভেবেই ইয়াদের রাগের পরিমাণটা বেড়ে গেলো। নিরবের হাতে ইয়াদের আইডি কার্ড সেটার দিকে তাকাতেই নিরবের চোখ মুখ কুচকে গেলো। ইয়াদ আফরান নামটা পরেই নিরব টয়ার দিকে তাকালো। নীরব এভাবে তাকিয়ে আছে কেনো টয়া বুঝতে পারছেনা তাড়াতাড়ি কার্ড দিয়ে চলে এলেই পারে। ইয়াদ নিরব এভাবে কি দেখছে ভাবতেই ইয়াদ পিছে ফিরল টয়া পরে গেলো মহা বিপদে। টয়া এখানে তারমানে দুজনেই এক সাথে ছিলো। ইয়াদ রাগটা সামলাচ্ছে কোনো
ভাবে।
” ইয়াদ আফরান “, হিংস্রতার সাথে নিরব বলে উঠলো। ইয়াদ একটু অবাক হয়েই নিরবের দিকে তাকালো। সাহস হচ্ছে কিভাবে এই ছেলের এভাবে আমার নাম ধরে ডাকার। নিরব কিছু বলে উঠার আগেই টয়া নিরবের হাত থেকে কার্ডটা নিয়ে ইয়াদের দিকে এগিয়ে দিলো। ইয়াদ কার্ডটা হাতে নিয়েই নিরবের দিকে তাকালো। টয়ার যে করেই হোক নিরবকে ইয়াদের সামনে থেকে সরিয়ে নিতে হবে। নিরব সেদিনের পুরো ঘটনাটা জানে সেদিনের পর টয়া ভীষণ ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে তার জন্যে নিরবের ইয়াদের প্রতি ক্ষোভ জমে আছে। ইয়াদের কোন অধিকার নেই সেদিন টয়াকে এতগুলো কথা শুনানোর। সেদিন যা হয়েছিলো তারপর টয়া যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্যে দায়ী ইয়াদ। অবশেষে ইয়াদের মুখোমুখি হলো নিরব।
নিরব ঝাঁঝালো গলায় বলল,” আপনি সেই… বাকিটা বলার আগেই টয়া নিরবের হাত ধরে থামলো তারপর বলল,” দেরী হয়ে যাচ্ছে চল।” টয়া নিরবকে টেনে নিয়ে আসতে লাগলো নিরব নিজের রাগ সামলে নিলো। টয়া কেনো তাকে থামলো সেটার উত্তর টয়াকে দিতেই হবে।
ইয়াদের মাথায় যেনো রক্ত উঠে গেলো। টয়া তার সামনে কিভাবে অন্য ছেলের হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো। এই বিষয়টার একটা হেস্ত নেস্ত হতে হবে। ইয়াদ এই ব্যাপার আর নিতে পারছে না। ইয়াদ রেগ সামলাতে না পেরে দেওয়ালে গিয়ে হাত দিয়ে সজোড়ে আঘাত করলো।

টয়া নিরবকে রুমের ভিতরে নিয়ে এলো। ভিতরে এসে নিরব হাত ছাড়িয়ে শাসিয়ে বললো,” থামালি কেন আমায়? অপমান কাকে বলে আমিও দেখিয়ে দিতাম। এই ছেলের সাথে তুই পাশাপাশি ফ্ল্যাট আছিস। তুই আছিস কিভাবে? সবটা জেনেও তোর উচিৎ ছিল আমাকে জানানো। ”
টয়া হাত উঠিয়ে নিরবকে থামিয়ে বললো,” তুই খুব ভালো করেই জানিস যা হয়ে গেছে সেটা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। আমি ভাবতেও চাই না। সেটা আমার জীবনের অন্ধকার একটা অধ্যায়, সে অধ্যায়ের পাতা উল্টে আমাকে কষ্ট দিস না।”
” ওকে আমি ছেড়ে দিবো তুই এটা বলছিস?”, দাতে দাত চেপে বললো নিরব।
“যাকে আমি ধরে রাখিনি তুই ছাড়তে পারবি না কেনো?। আমি নিজের দুর্বলতাটা অন্য কাউকে দেখাতে চাই না।”, শুকনো গলায় বলল টয়া। কলিং বেল বেজে উঠলো হটাৎ। টয়া নিরবকে ঠাণ্ডা হতে বললো তারপর ওকে রুমে বসিয়ে বাহিরে এলো। দরজা খুলে ইয়াদকে দেখে ভয়টা বেড়ে গেলো টয়ার। টয়া উপায় না পেয়ে দরজা লাগিয়ে দিতে নিলো তখনি ইয়াদ টয়ার কোমড় জড়িয়ে ধরে ওকে কাধে তুলে নিলো। টয়া চিৎকার করতে নিলো কিন্তু করতে গিয়েও থেমে গেলো। চিৎকার করলেই নিরব ভিতর থেকে এসে পড়বে তারপর যা হবে সেটা টয়া ভাবতেও পারছে না। টয়া ইয়াদের পিঠে মুষ্টি বন্ধ হাত দিয়ে জোড়ে জোড়ে আঘাত করতে লাগলো।

[ চলবে ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here