তোমায় পাবো বলে,সূচনা_পর্ব
নিশাত_জাহান_নিশি
“কখনো শুনেছেন? কবুল বলার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে পরিবারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বিয়ে ভেঙ্গে বরকে পালাতে? আমি শুনেছি, এমনকি এই ঘটনাটা আমার সাথেই ঘটেছিলো! সেই পালিয়ে যাওয়া বরকে খুঁজতেই আমি আপনাদের এই অচেনা অজানা শহরে এসেছি, আপনাদের বাড়িতে উঠেছি৷ সেই ভরসাযোগ্য মানুষটাই যদি আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আমার গোপন অঙ্গে হাত রাখে তবে কি বিষয়টা মেনে নেওয়া আদৌ সম্ভব হবে?”
“পরশ ভাইয়ার” শক্ত হাতটা এখনো আমার শিথিল কোঁমড় ছুঁয়ে আছে। মনে হলো যেনো আমার তীক্ষ্ণ কথার বিপরীতে পরশ ভাইয়ার রাগের তীব্রতা দ্বিগুন হারে বৃদ্ধি পেলো! বিনা সংকোচে উনি একটু একটু করে আমার কোঁমড়ের নরম মাংসপেশীতে ধারালো নখের আঁচড় বসাতে আরম্ভ করলেন! কঠোর মুখভঙ্গি বজায় রেখে পরশ ভাই আমার দিকে অগ্নি ঝড়া দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললেন,,
“কোঁমড়টা ছাড়লেই তুমি এখন ছিটকে পড়বে সুইমিং পুলে। নাও ডিসিশান ইজ ইউর’স। হোয়াট ডু ইউ ওয়ান্ট?”
হতভম্ব চোখে আমি পরশ ভাইয়ার রাগী অবয়ব থেকে দৃষ্টি সরিয়ে পাশ ফিরে তাকাতেই বুঝতে পারলাম উনি সত্যিই বলছেন। আমার কোঁমড়ের বাঁধনটা একটু ঢিলে করলেই ছিটকে পড়ব আমি সুইমিং পুলে। বাড়ি ভর্তি শত শত গেস্টদের সামনে আমার মান-সম্মানের দফা রফা হয়ে যাবে। চাইলে ও নিজেকে এই অনর্থ থেকে বাঁচানোর জন্য মুভ অন করতে পারব না আমি। কারণ, সিল্কের লাল শাড়িটায় আমার পা দুটো আটকে আছে। উনার হাত থেকে সামান্য ছাড়া পেলেই ধপাস করে পড়তে হবে সুইমিং পুলে। উপায় বুদ্ধি না পেয়ে আমি ভীষন দ্বিধা দ্বন্ধে ভুগে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে চোখ ঘুড়িয়ে পরশ ভাইয়ার দিকে তাকালাম। অতঃপর করুন কন্ঠে পরশ ভাইয়ার তেজী চোখে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললাম,,
“নাহ্। ছাড়বেন না প্লিজ। আমি সত্যিই পড়ে যাবো!”
অকম্মাৎ পরশ ভাই অট্ট হেসে পরক্ষনে হাসি থামিয়ে চোয়াল শক্ত করে বললেন,,
“সো স্যরি৷ কথাটা বলতে একটু লেইট করে ফেললে!”
ভয়াল চোখে আমি পরশ ভাইয়ার ক্ষিপ্র চোখে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললাম,,
“প্লিজ নাহ্ পরশ ভাই। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি!”
কথা গুলো বলে দম নেওয়ার সময়টা পেলাম না পর্যন্ত। পরশ ভাই উনার হাতের বাঁধনটা ছেড়ে দিতে এক সেকেন্ড সময় ও ব্যয় করলেন না। এতোটাই ভয় পেয়েছিলাম আমি যে, মুখ খুলে আর্তনাদ প্রকাশ করার দমটা ও জোগাতে পারলাম না। সুইমিং পুলের ঠিক মাঝখানটায় হাবুডুবু খাচ্ছি আমি। দীর্ঘ শ্বাস নির্গত করে আমি প্রানপনে চেষ্টা করছি হাঁতড়ে পাড়ে আসার। তবে পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন মানুষটার মন গলল না একটু ও। আমার আহাজারি দেখে ও নরম হলেন না এক রত্তি! কঠোর ভাবভঙ্গি নিয়ে পরশ ভাই প্যান্টের পকেটে দু হাত গুজে দাঁতে দাঁত চেঁপে আমায় উদ্দেশ্য করে বললেন,,
“একটা কথা কান খুলে শুনে রাখো “টয়া।” এই “পরশ রেদওয়ান” অকারনে কখনো কোনো মেয়ের দিকে তাকাতে ও হাজার বার ভাবে। এক বার নয় হাজার বার ওকে? সেই জায়গায় অকারনে কোনো মেয়েকে টাচ করা তো তার কাছে সম্পূর্ণ অভাবনীয় ব্যাপার। তুমি ঠিক ভুল যাচাই-বাছাই না করেই আমার দিকে আঙ্গুল তুলেছ। যার ফল স্বরূপ তোমাকে শাস্তি পেতেই হলো।”
ডান হাতটা পকেট থেকে বের করে পরশ ভাই আঙ্গুল উঁচিয়ে উচ্চ আওয়াজে বললেন,,
“ইউ ডিজার্ভ ইট।”
আর এক মুহূর্ত সময় ও ব্যয় করলেন না পরশ ভাই। রাগে গজগজ করে শার্টে ঝুলে থাকা টাইটা একটানে খুলে বাড়ির সদর দরজার দিকে পা বাড়ালেন। একবার ও পিছু ফিরে তাকানোর প্রয়োজনটা ও বোধ করলেন না। ড্রিংকস হাতে নিয়ে বাড়ির সমস্ত গেস্টরা আমার দিকে উদ্বিগ্ন দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন। দল পাকিয়ে এক এক করে সবাই সুইমিং পুলের আশপাশটা ঘিরে নিলেন। পরশ ভাইয়ার অফিস কলিগ থেকে একজন পরিচিত লেডি কলিগ আমার দিকে হাত বাড়িয়ে বললেন,,
“উঠে এসো টয়া। হঠাৎ সুইমিং পুলে পড়লে কিভাবে?”
কোনো রকমে সাঁতরে আমি সুইমিং পুলের পাড়ে এসে দম নিলাম। ঢুলুঢুলু শরীরে আমি চোখে অবাধ্য জল নিয়ে মিথিলা আপুর দিকে ডান হাতটা বাড়িয়ে দিলাম। ভেজা শাড়িতে পাড়ে উঠতে ভীষণ অস্বস্তি কাজ করছিলো আমার। কারণ, বাড়ির সব পুরুষ গেস্টরা আমার দিকে কেমন কুদৃষ্টি নিক্ষেপ করছিলো। এর মধ্যেই পায়েল কোথা থেকে যেনো দৌঁড়ে এলো আমার কাছে। এক হাতে ভারী লেহেঙ্গাটা ধরে পায়েল অন্য হাতে বিশাল একটা উড়না আমার গাঁয়ে পেঁচিয়ে দিয়ে হাঁফিয়ে উঠা কন্ঠে বলল,,
“ইসসস। সামলে চলতে পারো না একটু? এখন যদি ভাইয়া আমাকে উড়নাটা আনার কথা না বলতেন তবে তো এই ভেজা শরীরেই তোমাকে এতো গুলো পুরুষের লালসার শিকার হতে হতো!”
কাঁপা কাঁপা শরীরে আমি উড়নাটা ভালো করে গাঁয়ে জড়িয়ে দৃষ্টি উঠিয়ে পরশ ভাইয়ার রুমের ব্যালকনিতে দৃষ্টি স্থির করলাম। সাথে সাথেই মনে হলো কেউ একজন ব্যালকনী থেকে সরে গেছেন। পুরুষের ছায়া আমি স্পষ্ট দেখেছি। জানি না, লোকটি কি আদৌ পরশ ভাই ছিলেন নাকি অন্য কেউ ছিলেন! বাড়ি ভর্তি এতো গেস্ট। পরশ ভাইয়ার রুমে অন্য কোনো পুরুষ থাকাটা অবশ্য অস্বাভাবিক কিছু না।
দীর্ঘশ্বাস নির্গত করে আমি মনে মনে হেয় হেসে বললাম,,
“হাহ্। পরশ রেদওয়ানের করুনার অন্ত নেই। অন্যায় করে করুনা দেখাতে ও উনার কুন্ঠা বোধ হয় না। কি দরকার ছিলো? এই ভালো মানুষীর নাটকটা করার? পায়েলের হাত দিয়ে অহেতুক উড়নাটা পাঠাবার? পানিশমেন্ট তো পানিশমেন্ট ই। তাই না?”
পায়েল আমায় নিয়ে ধীর পায়ে হেঁটে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করল। ড্রইং রুম ভর্তি গেস্টরা আমার দিকে উজবুক দৃষ্টি নিক্ষেপ করছেন। মনে হচ্ছে যেনো ফ্রিতে চিড়িয়াখানার বিচিএ প্রাণী দেখছেন। লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছিলো আমার। এর মধ্যেই সামিনা আন্টি (পরশ ভাইয়ার আম্মু) হঠাৎ আমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে উদ্বিগ্ন কন্ঠে বললেন,,
“এই টয়া? কি হয়েছে তোমার? এভাবে ভিজলে কিভাবে?”
মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আমি কম্পিত কন্ঠে মাথা নিচু করে বললাম,,
“শাশাড়িতে পাপাপা আটকে পপপড়ে গিয়েছিলাম সুইমিং পুলে!”
“ইসসস। কি যে করো না। যাও যাও তাড়াতাড়ি রুমে যাও। ভেজা শাড়িটা পাল্টে পায়েলের একটা শাড়ি পড়ে নাও। একটু পরেই পিয়ালীর এনগেজমেন্টের প্রোগ্রাম শুরু হয়ে যাবে! বর পক্ষরা হয়তো এলো বলে।”
পাশ থেকে একজন মধ্য বয়সী মহিলা আন্টিকে উদ্দেশ্য করে জিগ্যাসু কন্ঠে বললেন,,
“মেয়েটা কে সামিনা? এর আগে তো মেয়েটাকে কখনো তোমাদের বাড়িতে দেখি নি!”
আন্টি মৃদ্যৃ হেসে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,,
“এই হলো আমার আরেকটা মেয়ে। “টয়া রানী।” খুব লক্ষীমন্ত মেয়ে। আমার ভীষন পছন্দের!”
আন্টি ব্যতিব্যস্ত ভঙ্গিতে গেস্টদের খাতির যত্নে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। মহিলাটি ও মৃদ্যু হেসে আন্টির সাথে প্রস্থান নিলেন৷ আন্টির ভালোবাসা দেখে দিন দিন আমি মুগ্ধ না হয়ে পারছি না। মাএ এক মাসের পরিচয়ে কেউ কাউকে মেয়ে হিসেবে এতোটা ভালোবাসতে, আদর-স্নেহ করতে পারে? আন্টিকে না দেখলে হয়তো বুঝতেই পারতাম না!
হিম শীতল ঠান্ডায় এক প্রকার কাঁপছিলাম আমি। চোখের পলক ফেলতে ও ভীষন কষ্ট হচ্ছিলো। স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না এক জায়গায়। আমার অসহনীয় পরিস্থিতি বুঝে পায়েল আমাকে শক্ত হাতে ধরে সিঁড়ি টপকে নিজের রুমে নিয়ে এলো। কাবার্ড থেকে নীল রঙ্গের একটা সিল্ক শাড়ি বের করে পায়েল শাড়িটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে মৃদ্যু হেসে বলল,,
“যাও আপু৷ শাড়িটা পাল্টে এসো। আই হোপ সো, এই নীল শাড়িটায় ও তোমাকে অপ্সরী লাগবে। সবাই জাস্ট হা করে তোমার দিকে তাকিয়ে থাকবে। তুমি নিঃসন্দেহে অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারিনী।”
নিরুত্তর থেকে আমি শাড়িটা হাতে নিয়ে হেলেদুলে ওয়াশরুমে প্রবেশ করলাম। দরজাটা ভেতর থেকে আটকে আমি দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে মুখ চেঁপে ঢুকড়ে কেঁদে উঠলাম। কাঁদতে কাঁদতে দেয়াল বেয়ে আমি ধপ করে ফ্লোরে বসে পড়লাম। পরশ ভাইয়ার হিংস্র আচরনে আজ ভীষন কষ্ট পেয়েছি আমি। প্রায় ১ মাস হলো আমি উনার বাড়িতে আছি, থাকছি, উনার সাথে মেলামেশা করছি। এই পর্যন্ত কখনো উনি বিনা কারনে আমার সাথে কোনো রূপ খারাপ ব্যবহার করেন নি৷ তবে আজ কেনো উনি আমার মনের ভাব বুঝে ও এতোটা হিংস্র আচরন করলেন? আমি তো ভেবে চিন্তে স্ব-ইচ্ছায় উনাকে ইনসাল্ট করতে চাই নি৷ আমি তো বুঝতেই পারি নি, সুইমিং পুলে কখন আমি শাড়িতে পা আটকে পড়ে যাচ্ছিলাম। কিছু আঁচ করার পূর্বেই তো উনি আকস্মিকভাবে কোথা থেকে ছুটে এসে খপ করে আমার কোঁমড় জড়িয়ে ধরলেন! বুঝব কি করে আমি? কেউ আমাকে বাঁচানোর জন্য আমার কোঁমড় জড়িয়ে ধরেছিলো?
কান্না থামিয়ে আমি তাৎক্ষণিক শাড়িটা পাল্টে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে এলাম। টাওয়াল দিয়ে চুলটা মুছতে মুছতে পুরো রুমে চোখ বুলিয়ে ও পায়েলকে কোথাও দেখতে পেলাম না। নিচ তলা থেকে বাড়ি ভর্তি গেস্টদের শোরগোলের আওয়াজ আসছে কানে। পুরো বাড়িটা আলো, রোশনাই, খুশিতে ঝলমল করছে। আজ পরশ ভাইয়ার মেঝো বোনের এনগেজমেন্ট। যার কারনে পুরো বাড়িতে হৈ, হট্টগোল, আনন্দ, উল্লাসের ছড়াছড়ি। দরজার দিকটায় যেতেই পাশের রুম থেকে কিছু ভাঙ্গ চূড়ের প্রখর আওয়াজ আমার কানে এলো। পাশের রুমটা নিঃসন্দেহে পরশ ভাইয়ার রুম। তবে কি উনি রুমে কিছু ভাঙ্গছেন?
তাড়াহুড়ো করে আমি টাওয়ালটা বিছানার উপর ছুড়ে মেরে ভেজা চুলে দৌঁড়ে রুম থেকে প্রস্থান নিয়ে সোজা পরশ ভাইয়ার রুমের সম্মুখস্ত হয়ে দাঁড়ালাম। ভেজানো দরজাটা হালকা হাতে ঠেলে আমি রুমে প্রবেশ করতেই চরম আশ্চর্যিত হয়ে মুখে হাত দিয়ে স্তব্ধ ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে পড়লাম। উন্মুক্ত শরীরে পরশ ভাই প্রখর রাগান্বিত হয়ে রুমের প্রতিটা আসবাবপএ ছুড়ে ফেলছেন ফ্লোরে। ঘাঁড়ের প্রতিটা রগ টান টান হয়ে আছে উনার। ধবধবে ফর্সা অবয়বটা রক্তিম বর্ণ ধারন করেছে নির্দ্বিধায়। চুল গুলো ঘামে ভিজে কপালের উপরিভাগে লেপ্টে আছে। হালকা গোলাপী ওষ্ঠদ্বয় শুকিয়ে বিবর্ণ রূপ ধারন করেছে। নাকে সিগারেটের বিশ্রী গন্ধ ভেসে আসছে। বুঝাই যাচ্ছে পরশ ভাই স্মোকিং করেছেন। এমনকি কোনো কারণে প্রচন্ড ক্ষীপ্ত হয়ে আছেন। নির্জীব অবস্থায় দাঁড়িয়ে না থেকে আমি উনার পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ভয়ার্ত কন্ঠে উনাকে প্রশ্ন ছুড়ে বললাম,,
“কি হয়েছে পরশ ভাই? রুমের আসবাবপএ এভাবে ভাঙ্গচূড় করছেন কেনো?”
হাতে থাকা ফুলের টব টা পরশ ভাই ফ্লোরে ছুড়ে ফেলতে চেয়ে ও হঠাৎ থেমে গেলেন। ঘাঁড় ঘুড়িয়ে হিংস্র দৃষ্টিতে আমার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললেন,,
“হোয়াট আর ইউ ডুয়িং ইন মাই রুম?”
শুকনো কন্ঠে আমি জিভ দ্বারা ওষ্ঠদ্বয় ভিজিয়ে বললাম,,
“পাশের রুম থেকে ভাঙ্গচূড়ের বিকট আওয়াজ আসছিলো কানে। তাই কৌতুহল বশত দেখতে এলাম!”
পরশ ভাই আমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হাতে থাকা টব টা বিকট শব্দে ফ্লোরে ছুড়ে মেরে বললেন,,
“আই নো। হোয়াই ডিড ইউ কাম টু মাই রুম! আই টোল্ড ইউ না? কয়েকদিনের মধ্যেই আমি “হিমেশকে” খুঁজে বের করে আনব? আমার ফ্রেন্ডকে খুঁজে আমি তোমার মুখোমুখি দাঁড় করাব। দাঁড়িয়ে থেকে তোমাদের দুজনের বিয়েটা দিবো! সো ইউ জাস্ট ডোন্ট ওরি এন্ড গেট আউট অফ মাই রুম রাইট নাও।”
চলবে…?