তোর উঠানে বিকাল ছায়া?,১১তম খন্ড,১২তম খন্ড
লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
১১তম খন্ড
তমা নিজেকে সামলাতে পারছে না।
আশে পাশের সব কিছু তচনচ করে দিতে মন চাইছে তার।
তমা চুপচাপ বসে ভাবতে থাকে অতীত এর কথা,
তমা তখন ছোট কিন্তু বুঝতে শিখেছে।
ছায়া ছিল এতিম।
তাদের চাচা চাচির এক মাত্র ১ বছরের সন্তান ছায়া।
ছায়ার মা বাবা হটাৎ একটা এক্সিডেন্ট এ মারা যায়।
সে দিন ছায়া কে ছায়ার মা বাবা তমার মা বাবার কাছে দিয়ে গেছিল।
কারন তাদের কোন কাজ ছিল ইম্পর্টেন্ট।
তমা যেহেতু বড়ো আর ছায়া তখন কথাও বলতে পারে না ১ বছর ২ মাস বয়স বাচ্চা টার।
তাই তমার মা ছায়াকে রেখে দেয় নিজের কাছে।
ছায়াকে রেখে দিয়ে অনেক বড়ো বিপদ থেকে ছায়াকে রক্ষা করে তারা।
তমার মা ভাইয়া ভাবির মৃত্যু তে ভিশন কষ্ট পায়।
সে ছায়াকে নিজের মেয়ের সাথে বড়ো করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এতে অবশ্য তমার বাবার কোন আপত্তি ছিল না।
তমা তখন বেশ বড়ো সবি বুঝে
তাই ছায়াকে সে আপন করে নিতে চাইত না।
কিন্তু তমার মায়ের একটাই কথা ছিল ছায়া যে আমাদের পরিবারের না এটা যেন কেউ কখনো জানতে না পরে।
এভাবে ছায়া বড়ো হয় তমার মা বাবার কাছে তমার বোন হিসাবে।
ছায়া আজও এক কথা জানে না।
ছোট থেকে তমা মনে করত ছায়া তমার ভাগে ভাগ বসিয়েছে
শুধুমাত্র ছায়ার জন্য তমার মা বাবা দ্বিতীয় কোন সন্তায় নেন নি।
ছায়াকে সময় দেবার জন্য।
এ সব কিছু তমার ভিশন খারাপ লাগত।
তমা ছোট থেকেই ছায়াকে সহ্য করতে পারত না।
এভাবে ছায়া তমা বড়ো হতে থাকে।
আর তমার মধ্যে এই কথাটা আরও বড়ো জায়গা করতে থাকে।
এভাবে চলতে থাকে দিন।
ছায়ার ছোট থেকে স্বপ্ন ছিল ও ডক্টর হবে।। পড়ালেখায় ও ভালো ছিল সে
সব সময় ছায়া বড়ো বড়ে ডক্টর দের দেখতো।
তাদের বলা কথা মোটিভেশন সে ফলো করতো।
এভাবে চলতে চলতে এক সময় ছায়া একটা মেগাজিন এ নির্ঝর কে দেখতে পায়।।
নির্ঝর সম্পর্কে পড়ে ছায়ার ভিশন ভালো লাগে নির্ঝর কে।
তাই সে নির্ঝর কে সার্চ করা শুরু করে।
নির্ঝরের ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুক, সব একাউন্ট চেক করে ছায়া।
ছায়ার নির্ঝর কে বেশ ভালোই লাগে।
তাই সে তমাকে নির্ঝর সম্পর্কে বলে।
এবং তমাকে নির্ঝরকে দেখায়।
তমা নির্ঝর কে তখনি প্রথম দেখে।
ছায়ার প্রসঙ্গে।
তমার কখনো ডক্টর দের প্রতি কোন ইচ্ছে ছিল না।
কিন্তু নির্ঝর কে দেখে ওর ভালো লেগে যায়।
তমা ছায়াকে না জানিয়ে নির্ঝরের ভার্চুয়াল লাইফে এড হতে চেষ্টা করে।
কিন্তু সেখানে নির্ঝর তমাকে ফলোয়ার বানিয়ে রাখে।
এটা দেখে তমা আরও বেশি আকৃষ্ট হয় নির্ঝর এর দিকে।
তমা বরাবর কখনোই ছায়াকে নিজের জীবনের কিছু সেয়ার করত না।
কিন্তু ছায়া বোনকে প্রায় সবি বলত।
তাই ছায়ার ও জানা ছিল না তমা নির্ঝর এর দিকে আকৃষ্ট।
সেদিন ছিল শীতের শেষ বসন্তের শুরু।
ছায়ার কলেজে অনুষ্ঠান।
আর অতিথি ছিল নির্ঝর।।
তমা তখন ইন্জিনিয়ারিং পড়ে।
ছায়া ভিশন উৎসহ নিয়ে তমাকে বলে,।
–আপু জানিস আমাদের কলেজে ডক্টর নির্ঝর আসছে।
তমার ছায়ার কথা শুনে চোখ বড়ো বড়ো তাকিয়ে পরে।
–কি!সত্যি!
–হ্যা আমি শুনলাম। উনি নাকি প্রধান অতিথি।
–ওহ আচ্ছা ছায়া তুই ত কাল জাবি তাই না।
–হ্যা।
–শাড়ি পরবি?
–হুমম
–আমিও যাই তোর সাথে।
–হ্যাঁ অবশ্যই।
–আচ্ছা কাল তবে আমাকে ডেকে নিয়ে যাস হুম৷
–আচ্ছা আপু।
ছায়া খুশি খুশি নিজের রুমে চলে আসে।
পরের দিন,
ছায়া একটা নীল শাড়ি পরে। হালকা সেজে বেরিয়ে আসে তমাকে ডাকতে।
ছায়া তমার রুমে এসে অবাক।
তমা পুরাই বিয়ের সাজে সেজেছে।
ব্রাইডাল লুক।
ছায়া রুমে এসে নিজেকে আর তমাকে দেখছে
ছায়া শুধু একটু লিপস্টিক আর আইলাইনার দিয়েছে।
আর কিছু চুড়ি একটা চেইন এক জোড়া ঝুমকো।
আর তমা পুরাই ব্রাইডাল।
–আপু এতো সেজেছিস কেন।
–কেন ভালো দেখাচ্ছে না।
–হ্যাঁ কিন্তু একটু বেশি সুন্দর দেখচ্ছে।
–সেটাইত চাইছি।
–মানে।
–চল ত যাই।
–হুমম।
তমা আর ছায়া বেরিয়ে পরে।
কলেজে পৌঁছে ছায়া দেখে তমা তার বন্ধুদের ডেকেছে।
তাই তমা সেখানে চলে যায়।
এদিকে ছায়া তার এক মাত্র কাছের বান্ধবী কে বলেছে আমার আপু আসবে তোর সাথে যেতে পারব না।
ছায়া তমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে ভেতরে চলে আসে।
আসতেই ওর দেখা হয় রুহির সাথে।
রুহিও ছায়ার মতো হালকা সেজেছে।
–এই মেরি জান।
–ছায়া কখন এলি।
–মাত্র।
–ওহ আপু কই।।
–ও ওর বন্ধুদের সাথে।
রুহি বুঝতে পারে ছায়ার কষ্টটা।
তাই রুহি বলে,
–ওরে মেরি জান তোর ক্রাশ আজ কলেজে আসবে একটু হাস না৷
আমার শন্টুমন্টু।
রুহির মুখে শন্টুমন্টু শুনে ছায়া হেঁসে দেয়।
-চল ওদিকে যাই কলেজ টা আগে ঘুরে দেখি।
–আচ্ছা চল।
রুহি আর ছায়া চলে যায়।
এদিকে,
কলেজে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এবং নির্ঝর ওর পৌঁছে যায়।
তমা নির্ঝর এর দিকে তাকিয়ে পুরাই অবাক।
এ ত ছবির থেকেও সুন্দর ছেলেটা।
–তমা তোর জীবন মরন এই নির্ঝর ই।
তমা নির্ঝর এর দিকে খেয়াল করতে থাকে।
ওদিকে ছায়া রুহি কলেজ ঘুরতে থাকে।
নির্ঝর তার বক্তব্য দেবার আগে এক বার নিজেকে রিচেক দিতে চাই।
তাই নির্ঝর ওয়াসরুমে চলে আসে।
তার পাশেই তার জন্য একটা রুম সেট করে রাখা ছিল।
তমা নির্ঝর কে ফলো করতে করতে সেই রুমে চলে যায়।
এদিকে,
–রুহি আমার না কুচি খুলে যাচ্ছে চল ওয়াশরুমের।
–হুম চল যাচ্ছি।
রুহি আর ছায়া ওয়াশরুমের দিকে চলে আসতে থাকে।
যেহেতু এটা গার্লস কলেজ তাই আলাদা কোন ওয়াশরুম নাই।
ছায়া আর রুহি ওয়াশরুমের সামনে চলে আসে
নির্ঝর এর গার্ড রা তাদের খেয়াল করে নি কারন তারা কিছুটা দুরে ছিল।
–রুহি।
–হুম।
–আমি না আমার ব্যাগ টা ওই গাড়িতে রেখে এসেছি আমার কিছু চিপটিপিন লাগত একটু এনে দিবি।
–হুম ওকে।
রুহি চলে যায়।
ছায়া ওয়াসরুমের দরজা খুলে।
ভেতরে ৫-৬ টা ওয়াশরুম আর তার বাইরে বেসিং।
ছায়া ভেতরে কাউকে না পেয়ে ভাবলো কেউ নেই।
তাই নিজের কুচি ঠিক করতে লাগলো।
কিন্তু ঠিক করতে গিয়ে আরও বেঠিক হয়ে যাচ্ছে।
–ধুর এটা কি করে আল্লাহ মা তুমি কই।
–তুমি কে!
ছায়া কুচি ধরে ছিল হটাৎ একটা ছেলে কন্ঠ শুনতে পেয়ে হাত থেকে সব কুঁচি মাটিয়ে পরে গেল।
আর আয়নার দিকে চোখ গেল।
নির্ঝর ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে ছায়ার দিকে।
নিজের এই অবস্থায় নির্ঝর এর সামনে পরে ছায়া পুরাই বিভ্রান্তি তে পরে গেল।
কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না সে।
–কি সমস্যা তোমার ওভাবে তাকিয়ে আছো কেন।
–ইয়ে মানে আমি সরি আমি জানতাম না কেউ আছে।
নির্ঝর ছায়ার দিকে এগোতে গেলে
–কাছে,
ছায়া চিৎকার করে কথাটা বলতে গেল।
কিন্তু অর্ধেক বলার সঙ্গে সঙ্গে নির্ঝর ছায়ার মুখ চেপে ধরলো।
–কি সমস্যা (চোখ রাঙিয়ে)
–ম ম৷
নির্ঝর ছায়ার দিকে তাকিয়ে ছায়ার মুখের শব্দ ভুলে যায়।
মায়াবী কোন পরি তার সামনে নেমে এসেছে
চোখের উপরের লাইনারের কলো লাইন টার জন্য চোখ দুটো তার বড়ো দেখাচ্ছে।
ছায়া বেশ কিছু সময় পর নির্ঝর এর রেসপন্স না পেয়ে নির্ঝর এর পেটে গুতা দেয়।
নির্ঝর ব্যাথা পেয়ে সরে আসে।
–হাট মেয়ে বেয়াদপ নাকি।
— ধরেই রেখেছেন ছাড়ছেন ই না কি করব তা (দম নিয়ে নিয়ে)
–তোমাকে আমি।
হটাৎ নির্ঝর এর ডাক আসে,
–পরে দেখে নিবো।
কথাটা বলে নির্ঝর বেরিয়ে যায়।
চলবে,
তোর উঠানে বিকাল ছায়া?
১২তম খন্ড
লেখিকা-লামিয়া রহমন মেঘলা
ছায়া এখনো ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে আছে।
–এই বেডি এই তুই এখনো কুচি ধরে দরজা খুলে দাঁড়িয়ে আছিস।
আর এখানে ডক্টর নির্ঝর ছিল?
–হুম।
–কি বলিস উনি তোকে এভাবে দেখেছে?
–হুম!
–ইয়া আমার আল্লাহ বেআক্কল মেয়ে তুই দেখবি না।
–কি করব বল,
(কাঁদো শুরে)
–কি আর করবি।
রুহি দরজা বন্ধ করে ছায়াকে শাড়ি পরিয়ে দিতে লাগলো।
,
,
ওদিকে,
নির্ঝর তার বক্তব্য শেষ করলো।
–স্যার আপনার বক্তব্য দেবার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য। আপনি একটু রেস্ট নিন আপনার জন্য কিছু ছোট্ট ব্যাবস্থা করেছি ওগুলো প্লিজ গ্রহন না করে যাবেন না।
প্রিন্সিপাল স্যার নির্ঝর কে কথা গুলো বলে হাতে হাত মিলালো।
নির্ঝর আর প্রিন্সিপাল কে না করলো না।
তার আরও একটা উদ্দেশ্য ছিল অবশ্য ছায়ার খোঁজ করা।
নির্ঝর এর জন্য প্রস্তুত করা রুমটিতে নির্ঝর গেল।
সে গিয়ে হটাৎ একটা মেয়েকে দেখতে পেয়ে অবাক হলো,
–কে আপনি?
–আমি তমা। (খুশি খুশি হয়ে বলল)
–আমাকে দিয়ে কাজ?
–আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম আমি আপনার অনেক বড়ো ফ্যান স্যার।
–ধন্যবাদ।
–স্যার এটা সেলফি তুলতে পারি?
–জি না৷
আমি কোন প্রোফেশনাল একটার না যে সেলফি নিবেন সরি।
নির্ঝর এর না শুনেও তমা চুপচাপ সেখানে নির্ঝর এর দিকে তাকিয়ে আছে।
–আর কিছু বলবেন।
–জি ফেসবুকে ফ্রেন্ড হতে পারি প্লিজ।
নির্ঝর কিছু চিন্তা করে বলল,
–ওকে।
তমা নির্ঝর এর সাথে এড হলো।
–আর কিছু না বললে আপনি আসতে পারেন।
নির্ঝর এর কথায় তমা অপমান বোধ করলো।
এবং সেখান থেকে চলে গেল।
এসেই সোজা ছায়াকে না নিয়ে গাড়িতে করে নিজের বাসায় চলে এলো।
এদিকে,
নির্ঝর কিছুটা শান্ত হয়ে সেখানে বসে রইলো।
কিছু সময় পর সব টিচার রা চলে আসে।
নির্ঝর তাদের সাথে কথার প্রসঙ্গে ছায়ার খবর শুনে নেয়।
,
–তমা আপু ত ফোন ও ধরছে না ছায়া এবার কি করবি?
–তুই চলে যা রুহি রাত হয়েছে।
–ধুর এমন বললে হয় আমি তোকে বাসায় নিয়ে যাই চল।
(রুহির বাসা এক দিকে ছায়ার বাসা অন্য দিকে। ছায়ার বাসার দিকে রাতের সময় একা যাওয়া টা ঠিক নয়।। কিন্তু রুহির বাসা পুরাই একটা নিরাপদ জায়গায়। যার জন্য রুহি চাইছে ছায়াকে নিয়ে যেতে)
–আরে না বাবাকে ফেন করি।
ছায়া তার বাবাকে ফোন করে,
–হ্যালো বাবা।
–হ্যাঁ ছায়া বল মা।
–বাবা আমি না কলেজে ফেঁসে গেছি নিয়ে যাবে আমাকে বাসায়।
–তমা ছিল তোর সাথে মা।
–বাবা আপু মনে হয় বাসায় চলে গেছে আর ফোন তুলছে না৷
–কি বলছিস তোকে একা ফেলে তমা চলে গেছে।
–বাবা তুমি ভুল বুঝো না আমি কি করব সেটা বলো।
–মা তুই বসতে লাগ আমি আসছি আমি আসলে ডিউটি তে আছি।
ছায়ার বাবা এক জন এসআই।
সে এখন ফোর্স নিয়ে একটা ডিউটি তে আছে।
তাও মেয়ের ফোন পেয়েছে এখন তাকে জলদি সব শেষ করতে হবে।
কিন্তু মাঝ থেকে বেঁধেছে আরেক বিপত্তি।
যে ঔষধ এর দোকানে রেড দিয়েছে সেখানের মালিক পগাল পার।।
,
এদিকে,
ছায়া রুহিকে পাঠিয়ে দিলো।
নিজে অপেক্ষা করছে বাবার।
কিন্তু প্রায় ১ ঘন্টা হতে চলল বাবার কোন খোঁজ নাই৷
এবার বাবও ফোন তুলছে না।
ছায়ার এবার একা একা ভয় হতে লাগলো।
–ইয়া আল্লাহ কি করব আমি।
ছায়া ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে।
নির্ঝর টিচার দের বিদায় জানিয়ে বেরোতে গেলে ছায়াকে দেখতে পায়।
–এতো রাত করেছে মেয়েটা বাসায় যায় নি কেন।
নির্ঝর ভ্রু কুঁচকে ছায়ার দিকে এগিয়ে গেল।
গিয়ে দেখে ছায়া কাঁদছে।
নির্ঝর বিভ্রান্তি তে পরে গেল,
–কি হয়েছে তোমার কাঁদছো কেন।
–আপু চলে গেছে ফোন ধরছে না৷ বাবাও আসছে না আমি কি করে যাবো বাসায় ভয় হচ্ছে আমার।
ছায়ার অর্ধেক কথা নির্ঝর বুঝতে না পারলেও এ টুকু বুঝেছে ছায়া বাসায় যেতে পারছে না।
নির্ঝর ছায়াকে টেনে ওর চোখের পানি মুছিয়ে দেয়,
–পাগল মেয়ে কাঁদছো কেন আমি ত আছি চলো বাসায় দিয়ে আসবো।
–আমি কি আপনাকে চিনি নাকি।
–চেনা লাগবে না চলো।
নির্ঝর ছায়া নিয়ে ওর বাসায় আসলো।
আর ছায়ার মায়ের হাতে ছায়াকে তুলে দিলো,
–আন্টি মেয়েটা কাঁদছিল ভয়ে বাসায় আসতে পারছে না বলে।
একটু খেয়াল রাখবেন।
–আল্লাহ তুই না তমার সাথে গেলি তমা বাসায় আমি ত ভাবছি তুই বাসায় এসে বোধ হয় ঘুমিয়ে গেছিস তমা ত এটাই বলল।
–আসলে,
ছায়া বলতে চাইছিল না তমার ভুলটা কারন মা ওকে বকবে।
–থাক আর বলা লাগবে না আয় ঘরে আয়।
আপনিও আসুন কিছু মুখে দিন।
— না আন্টি এখন না পরে কখনো। আজ আসি।
নির্ঝর চলে এলো।
ছায়া নির্ঝর এর যাওয়ার দিকে তকিয়ে রইলো।
নির্ঝর এর জন্য এক রাস ভালো লাগা কাজ করতে লাগল ছায়ার মনে।
,
,
সে দিন তমা নির্ঝর কে দেখেছিল।
নির্ঝর এর ছায়াকে পৌঁছে দেওয়া টা তমার বিন্দু মাত্র সহ্য হচ্ছিল না।
তাও সহ্য করেছিল কারন তার কাছে কোন উপায় ছিল না।
,
এভাবে কাটতে থাকে দিন।
নির্ঝর ছায়াকে মাঝে মাঝে ফোন করে।
বির্ঝর এর ক্লান্তি দুর হয় ছায়ার সাথে কথা বলে।
ছায়াও কথা বলে।
ছায়া ধিরে ধিরে নির্ঝর কে ভালোবেসে ফেলে।
নির্ঝর এর ক্ষেত্রে ও বেতিক্রম নয়।
কিন্তু নির্ঝর কখনো ছায়াকে বলে নি।
এই না বলা টাই সব থেকে বড়ো ভুল ছিল
(বিয়ের আগে নির্ঝর এর এমন ব্যাবহার এর রহস্য ধিরে ধিরে ফাস হবে)
,
সেদিন ছিল শুক্রবার,
তমা নির্ঝর কে ফেসবুকে প্রপোজ করে কিন্তু নির্ঝর তমাকে ব্লক করে।
যার জন্য তমা আবির কে টার্গেট করে।
,
,
,
–তমা কি ভাবছো।
আবিরের কথায় তমার ধ্যান ফিরে।
–কিছু না তুমি কখন আসলে।
–এই ত মাত্র।
–ওহ আচ্ছা।
,
,।
এদিকে,
–তোমার প্রেশার লো কেন কিসের এতো চিন্তা। আর এতো কম খাবার কেউ খায়?
–আমি কি জানি আমার প্রেশার লো কেন।
নির্ঝর এবার রেগে যায়।
–তুমি এখনি এই দুধ খাবে।
–আরে ভাই আর যা কিছু খেতে বলে খেয়ে নিবে এগুলা খাবো না আমি প্লিজ।
–ছায়া তুমি এতো বাচ্চাদের মতো কেন করো।
রেগে গিয়ে বলল নির্ঝর।
–প্লিজ (ভিশন নরম কন্ঠে)
–না কেন প্লিজ নাই।
–আপনি মহা পাজি ত।। —
–কি আমি পাজি।
–হয়।
–ছায়া।। (শক্ত কন্ঠে);
–দেখুন (নরম কন্ঠে)
— এখন দেখবো না রাতে দেখবো নি এখন খেয়ে নেও নাহলে রাতে কাজ এখনি শেরে নিবো।
নির্ঝর এর কথার মানে বুঝতে পেরে ছায়ার চোখ রসগোল্লা হয়ে গেল।
–কি ওভবে তাকিয়ে আছো কেন।
–আপনি ভিশন খারাপ।
কথাটা বলে ছায়া গ্লাসটা নিয়ে দুধ টুকু খেয়ে নিলো।
–বাহ বউ লক্ষি তাহলে।
–হুহ,
ছায়া ভেংচি কেটে ওয়াসরুমে চলে গেল
আর নির্ঝর সেখানে বসে হাসতে লাগলো।
–পাগল মেয়ে।
চলবে,