তোর ছায়ার সঙ্গি হব_২,পর্ব ১৮
লেখক- এ রহমান
লাল নিল ছোট ছোট আলোতে সেজেছে পুরো বাড়ি। আজ ইলহাম আর সীমানার বিয়ে। সবাই খুব ব্যস্ত। ঘরোয়া ভাবে বিয়েটা হওয়াতে বাইরের তেমন লোকজন নেই। খুব নিকট আত্মীয় জাদের না বললেই নয় শুধু তারাই উপস্থিত। ঈশা সীমানাকে সাজিয়ে দিচ্ছে। ইরাও বসে আছে সেখানে। এটা সেটা এগিয়ে দিয়ে হেল্প করছে। ইরা অপেক্ষা করছে কখন সীমানার সাজা শেষ হবে তারপর সে সাজবে। একটা লাল রঙের লেহেঙ্গা পরেছে। ঈশার সমস্ত মনোযোগ এখন সীমানার উপরে। সাজাটা শেষ করে ঈশা একটা তপ্ত শ্বাস ছাড়ল। ভালো করে দেখে নিলো কেমন লাগছে। ইরার দিকে তাকিয়ে বলল
–দেখ তো ঠিক আছে কিনা?
ইরা ভ্রু কুচকে মনোযোগ দিয়ে মাথাটা ঘুরে ফিরে দেখে বলল
–সবি তো ঠিক আছে।
–ঠিক বলছিস তো?
ঈশার প্রশ্ন শুনে আবারো তাকাল। বেশ ভালো করে দেখে বলল
–হুম! ঠিক আছে।
ঈশা যেন সস্তি পেলো। এবার ইরার পালা। সে বসে পড়লো ঈশার সামনে। ঈশা এবার তাকে খুব জত্ন করে সাজিয়ে দিলো। তারপর নিজে সাজল। সাজতে সে এতটা ব্যস্ত যে এদিকে সেই কখন থেকে তার ফোন বেজেই যাচ্ছে সেদিকে কোন খেয়ালি নেই। সব কাজ শেষ করে গুছিয়ে নিলো ঈশা। এখন বউকে নিয়ে কমিউনিটি সেন্টারে যাবে। মুল অনুষ্ঠান ওখানেই হবে। ঈশা ফোনটা হাতে নিয়ে দেখল ১৫ টা মিসড কল। সব ইভানের ফোন। চোখ মুখ খিচে বন্ধ করলো। তাতেই আবার ফোন বেজে উঠলো। ঈশা ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ইভান দাতে দাত চেপে বলল
–সমস্যা কি তোর? কখন থেকে ফোন করছি?
ঈশা আমতা আমতা করে বলল
–মানে আমি…।
ঈশার কথা শেষ করতে না দিয়েই ইভান আবারো ধমক দিয়ে বলল
–মানে কি? কি করছিস তুই?
–রাগ করনা প্লিজ! আমি আসছি। একটু অপেক্ষা করো।
ঈশার অসহায়ের সুরে বলা কথাটা শুনে ইভানের রাগ সম্পূর্ণ ভাবে দমে গেলো। একটা নিশ্বাস ফেলে বলল
–রাগ করতেও দিস না তুই।
ঈশা হাসল। ইভান হেসে বলল
–তাড়াতাড়ি আয়।
ফোন রেখেই ঈশা ইরা আর সীমানাকে নিয়ে রওনা দিলো। সারা রাস্তা তারা খুনসুটি পূর্ণ কথায় মেতে থাকল। খানিকবাদেই পৌঁছে গেলো কাঙ্খিত জায়গায়। গাড়ি থেকে নেমেই আরমানের সাথে দেখা হল। ঈশা নামতেই আরমান সামনে এসে বলল
–তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে ঈশা।
ঈশা একটু হেসে বলল
–ধন্যবাদ আরমান ভাইয়া!
বলতেই দেখল আরমানের পিছনে ইভান দাড়িয়ে আছে। চোখে মুখে তার রাগ। ঈশা কারণটা বুঝতে পারল না। কিন্তু এতো রেগে থাকার পরেও ঈশার সাথে খুব স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলল। খুব শান্ত ভাবে বলল
–তোরা ভেতরে যা।
সবাই ভিতরে চলে গেলো। ইভান আরমানের সামনে এসে দাঁড়াল। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে বলল
–আমার ঈশার দিকে কেউ নোংরা চোখে তাকালে আমি তার চোখ তুলে ফেলি। আজ পর্যন্ত এর ব্যতিক্রম হয়নি। তোর ক্ষেত্রেও হবে না। এটা জাস্ট ওয়ার্নিং!
বলেই ইভান ঘুরে দাঁড়াল। আরমান ইভানের দিকে তাকিয়ে বাকা হেসে বলল
–তাকানোর মানুষটাই যদি তোর না থাকে তাহলে।
কথাটা শুনেই ইভান থেমে গেলো। আরমানের দিকে ঘুরে বলল
–আমার জীবন থাকতে ঈশা আমার থাকবে। আমি মরে গেলেও ওকে সেভাবেই রেখে যাব।
আরমান হেসে বলল
–ওয়েট এন্ড সি!
বলেই চলে গেলো। ইভান কথার মানে বুঝতে তাকিয়ে থাকল। কিছু সময় ভেবে ভিতরে চলে গেলো। ঢুকেই ঈশাকে দেখে থেমে গেলো। লাল শাড়িতে ঈশাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। ইভান মুগ্ধ হয়ে দেখছে। ঈশা ইভান কে এভাবে দেখে থাকতে দেখে একটু এগিয়ে গেলো। ইভানের সামনে দাড়িয়ে ভ্রু নাচিয়ে বলল
–কি দেখছ?
–এতো সেজেছিস কেন?
ইভান কঠিন ভাবে বলল। ঈশা একটু হেসে বলল
–বিয়ে বাড়িতে তো সাজেই। এটা নতুন কি?
–তুই বউ না যে এতো সাজতে হবে।
ঈশা হাসল। একটু দুষ্টুমি করে বলল
–কেন সাজলে কি হয়? নিজেকে সামলাতে কষ্ট হয়?
ইভান ঈশার হাত টেনে কাছে নিয়ে আসল। কানের কাছে ফিস ফিস করে বলল
–বাসায় গিয়ে দেখাবো কি হয়।
ঈশা বড় বড় চোখে তাকাল। ইভান এক চোখ টিপ মেরে হাসল। ঈশা হাত ছেড়ে দিয়ে চলে গেলো।
———-
অবশেষে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে সবাই বাসায় ফিরে এসেছে। নতুন বউকে বরন করে ঘরে নিয়ে গেছে ইরা। ইভান অনেকটা সময় ধরে ঈশাকে খুজে যাচ্ছে কিন্তু কথাও পাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে ইরাকে জিজ্ঞেস করলো
–ঈশা কোথায় রে?
ইরা একটু ভেবে বলল
–জানিনা তো ভাইয়া। অনেকক্ষণ দেখিনি।
ইভান সারা বাড়িতে ভালো করে খুজে দেখল। কোথাও ঈশা নেই। বেশ কয়েকজন কে জিজ্ঞেস করেও তার খবর পায়নি। ফোন বের করে ঈশাকে ফোন করছে কিন্তু ফোনটা রিসিভ করছে না। অনেক বার ফোন দেয়ার পরও যখন রিসিভ করলো না তখন ইভানের অনেক চিন্তা বেড়ে গেলো। ইলহাম ইভান কে এরকম চুপ করে বসে থাকতে দেখে কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো
–কি রে কি হয়েছে?
ইভান একটু চিন্তিত হয়েই বলল
–ঈশাকে দেখেছিস?
ইলহাম চারিদিকে একবার চোখ বুলিয়ে বলল
–না তো। অনেকক্ষণ দেখিনি।
ইভানের এবার সত্যি খুব চিন্তা হচ্ছে। ঈশা বাড়িতে থাকলে কেউ না কেউ তাকে দেখত। কিন্তু সবাই একি কথা বলছে দেখেনি। তার মানে ঈশা বাসায় নেই। আর অনেক্ষন কেউ দেখেনি মানে কমিউনিটি সেন্টার থেকেই কি সে বাসায় আসেনি? তাহলে ঈশা কোথায়? ইলহাম ইভান কে এভাবে চিন্তা করতে দেখে বলল
–কি হয়েছে ইভান? এতো চিন্তা করছিস কি নিয়ে?
বেশ কিছুক্ষন পর ইভান ইলহামকে খুব শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো
–আরমানকে দেখেছিস?
ইলহাম না সুচক মাথা নাড়াল। ইভানের ভয়টা এবার বেড়ে গেলো। ইলহাম তার ঘাড়ে হাত দিলো। ইভান জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকল। দাতে দাত চেপে বলল
–আমি যা ভাবছি টা যদি সত্যি হয় তাহলে আমি আরমান কে শেষ করে ফেলব। আমার ঈশার কিছু হবে না।
শেষের কথাটা চিৎকার করে বলতেই ইলহামের ভিতরে আঁতকে উঠলো। নরম সরে জিজ্ঞেস করলো
–ঠিক কি হয়েছে বলতো?
ইভান তার কথার কোন উত্তর না দিয়ে ফোনটা নিয়ে আরমানের নাম্বার ডায়াল করলো। একবার রিং হয়ে কেটে যেতেই আবার ফোন করলো। আরমান এবার ফোনটা ধরে বলল
–তোর ফোনের অপেক্ষাতেই ছিলাম।
ইভান রেগে জোরে চিৎকার করে বলল
–তোকে আমি খুন করে ফেলব। আমার ঈশার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আমি সব কিছু তছনছ করে দিবো।
ইভানের চিৎকার শুনে সবাই তার দিকে ঘুরে তাকাল। কথা বলা শেষ করে ইভান মেঝেতে বসে পড়লো। ঈশার মা এসে ইভান কে ধরে ফেলল। তিনি খুব নরম সরে বলল
–ঈশার কি হয়েছে?
ইভান কেদে ফেলল। ঈশার মার চোখে চোখ রেখে বলল
–আমি ব্যর্থ বড় মা। এতদিন আমার ঈশাকে আমি আগলে রেখেছিলাম। তার কোন ক্ষতি হতে দেইনি। কোন আঁচ আসতে দেইনি। কিন্তু আজ আমি পারলাম না। আমার ভুলের মাশুল ঈশাকে দিতে হচ্ছে। কেন? আই ব্যর্থ। আমি ঈশাকে আগলে রাখতে পারিনি। আমি ঈশার যোগ্য না। ঈশা ঠিক বলেছিল।আমি ওকে বিয়ে করেই ওর জিবনে বিপদ হয়ে এসেছি।
ঈশার মা কিছুই বুঝতে পারলেন না। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন
–কি বলছিস এসব?
–ঈশাকে কিডন্যাপ করেছে।
–কে?
ঈশার মা অস্ফুট সরে বলল। ইভান দাতে দাত চেপে বলল
–আরমান।
সবাই তার কথা শুনে অবাক হয়ে তাকায়। কিছু বুঝতে না পেরে চুপ করে ইভানের কথা শোনার জন্য অপেক্ষা করে। আরমান এমন কাজ করবে সেটা ভাবতেই পারছে না। আর কেনই বা করবে। সবার কৌতূহলী চাহুনি বুঝতে পেরে ইলহাম সব কিছু খুলে বলল সবাইকে। সবাই অবাক হয়ে সব শুনছে। এতো কিছু হয়ে গেছে অথচ কেউ কিছুই বুঝতে পারেনি। কেউ কিছুই জানল না। ইভানও কাউকে কিছুই জানাতে দেয়নি। ইভানের বাবা সবটা শুনে বলল
–আর দেরি করা ঠিক হবে না। এখন পলিশকে জানাতে হবে। ঈশার কোন ক্ষতি হওয়ার আগেই তাকে খুজে বের করতে হবে।
ইভান কথাটা শুনে চিৎকার করে বলল
–ঈশার কিছু হবে না। আমি বেচে থাকতে ঈশার কিছুই হতে দিবো না। কাউকে জানাতে হবে না। আমি জানি ঈশা কোথায়।
কথাটা শেষ করেই ইভান বেরিয়ে গেলো। পিছন থেকে সবাই ডাকতে লাগলো কিন্তু কারও কথাই এই মুহূর্তে তার কানে গেলো না। সে বের হয়ে চলে গেলো।
———
একটা অন্ধকার ঘরে চেয়ারের সাথে হাত পা বাধা অবস্থায় আছে ঈশা। তার সামনেই বসে আছে আরমান। সে ঈশার দিকে তাকিয়ে আছে। ঈশা কিছুই বুঝতে পারছেনা তার সাথে কি হচ্ছে। সে শুধু ছটফট করছে নিজেকে ছুটানোর জন্য। এক পর্যায়ে বলেই বসলো
–কেন আমাকে এখানে এনেছ আরমান ভাইয়া?
আরমান নিস্পলক ঈশার দিকে তাকিয়ে আছে। ঈশার কথা যেন তার কানেই গেলো না। চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে ঈশার সামনে হাঁটু গেড়ে বসলো। এক আঙ্গুল দিয়ে কপালের চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে বলল
–কি আছে তোমার মধ্যে যার কারনে ইভানের মত ছেলে আজ পর্যন্ত কাউকে পাত্তা দেয়না। শত শত মেয়ে তার জন্য পাগল। অথচ সে তোমার জন্য পাগল। বলে কিনা তুমি ওর জান। কি দিয়ে বশ করেছ ওকে?
বলেই হাসতে লাগলো। আরমানের এমন নোংরা স্পর্শ আর নোংরা ইঙ্গিত ঈশার খুব খারাপ লাগে। সে বুঝতে পারেনা আরমান কেন এমন করলো। সে অসহায় হয়ে বলল
–আমি তোমাকে আমার ভাইয়ের মতো দেখতাম। আর তুমি আমার সাথে এমন করলে? কেন?
–সে অনেক কথা। তোমার সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই। কিন্তু ইভানের জন্য আজ তোমার এই অবস্থা। অনেক বড় ভুল করে ফেলেছে যার মাশুল আজ তোমাকে দিতে হচ্ছে।
আরমান কথাটা বলে ঈশার দিকে হাত বাড়াতে গিয়েই থেমে গেলো। কারও গলার আওয়াজ কানে আসতেই চমকে গেলো।
–আমার ভুলের মাশুল ঈশা দিবে না। আমি এটা হতে দিবো না।
আরমান পিছনে ঘুরেই ইভান কে দেখে চমকে যায়। ইভান কে এখানে সে আসা করেনি। কোনভাবেই ইভান এই জায়গার খবর পাওয়ার কথা না। তাহলে কিভাবে পেলো?
–তুই এখানে?
ইভান আরমানের প্রশ্ন শুনে হাসল। তারপর খুব স্বাভাবিকভাবেই বলল
–কি অবাক হচ্ছিস তো? অয়াবক হওয়ার কিছু নেই। ঈশাকে নিয়ে প্রতিটা বিষয় আমার জানা। তোর কি মনে হয় তুই ঈশাকে তুলে এখানে এনেছিস?
শব্দ করে হাসল ইভান। তারপর আবারো বলল
–তুই এতো বোকা আমার জানা ছিলনা। এটা তোর প্ল্যান না। সবটা আমার গোছানো প্ল্যান! তোর এসব কথা না আমি ঈশাকে বোঝাতে পারছিলাম না কাউকে বলতে পারছিলাম। তাই তো ঈশার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানর জন্যই তোকে এটা করার সুযোগ দিয়েছিলাম। জাতে ঈশা বুঝতে পারে তুই ঠিক কেমন!
ইভানের কথা শুনে ঈশা অবাক হয়ে গেলো। ইভান শুধু সত্যিটা বোঝানর জন্য তাকে এমন একটা বিপদে ফেলে দিলো। যদি বড় কিছু হয়ে যেত তাহলে?
কিন্তু ইভান ভাবলেশহীন। তার চোখে মুখে চিন্তার কোন ছাপ নেই। সে ঈশাকে ভালো করে দেখে নিয়ে একটা ফোন করে কাকে আসতে বলল। আরমানের কোন কিছুই মাথায় ঢুকছে না। ইভান তার সাথে ডাবল গেম খেলল সেটা সে কিছুতেই মানতে পারছে না। তার সমস্ত প্ল্যান ভেস্তে দিলো সে। এখন কি করবে সে? তার ভাবনার মাঝেই আরাফ ভিতরে ঢুকল। সাথে ইলহাম আর কয়েকজন ছেলে আছে। সবাইকে দেখে আরমান খুব ঘাবড়ে যায়। এর মধ্যেই ইভান ঈশাকে ছাড়িয়ে নেয়। এক হাতে ঈশাকে জড়িয়ে ধরে বাসায় ফোন করে জানিয়ে দেয় যে ঈশা ঠিক আছে। তাদের এসবের মাঝে আরাফ আরমানের পাশে থাকায় সে তড়িৎ গতিতে আরাফের মাথায় বন্দুক তাক করে ধরল। ঈশা ইভান কে ছেড়ে দিয়ে আরাফের দিকে আগাতেই আরমান চিৎকার করে বলে
–তোর জন্য এতো কিছু করলাম আর তুই আমাকে আমার প্ল্যানেই ফেলতে চাস? এটা আমি হতে দিবনা।
–দেখ আরমান আমার সাথে তোর শত্রুতা আর বাকি সবাইকে ছেড়ে দে। অদের সাথে কিছু করিস না।
ইভান কে অসহায়ের মতো দেখে আরমান বলল
–তোকে মেরে ফেললে তো সব শেষ। কিন্তু এভাবে প্রিয়জন হারিয়ে বেচে থাকার কষ্টটা তুই বুঝতে পারবি না। তোর ভুলের কারনে আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি। বাবা নিজের অপমান সহ্য করতে না পেরে ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছে। তকেও আমি এই কষ্টটা দিতে চাই।
আরমান এবার বন্দুক ফিরিয়ে ঈশার দিকে তাক করে বলল
–তোর সব থেকে প্রিয় মানুষটাই যদি না থাকে!
–না আরমান ঈশাকে কিচ্ছু করবি না তুই।
ইভানের কথাটা শেষ হতেই আরমান ট্রিগারে আঙ্গুল রেখে চাপ দিতে দেয়ার আগেই ইভান ঈশার কাছে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে। আর গুলি এসে লাগে ইভানের গায়ে। গল গল করে তরল রক্ত বেরিয়ে পড়ছে ইভানের শরীর থেকে। কিন্তু তবুও সে ঈশাকে পরন জত্নে জড়িয়ে ধরে আছে। এ যেন তার জিবনের শেষ আলিঙ্গন!
চলবে….