তোর ছায়ার সঙ্গী হব,পর্ব ৪
লেখক-এ রহমান
৮
হাসপাতালের করিডোরে দেয়ালের সাথে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে দাড়িয়ে আছে ঈশা। চোখ বেয়ে অঝরে পানি পড়ছে। আজ তার ভুলের জন্য এতো বড় একটা ঘটনা ঘটে গেলো। সব কিছুর জন্য নিজে দায়ী। তার বাবা এসে তার মাথায় হাত দিতেই সে চোখ খুলে তাকাল। তার দিকে তাকিয়ে বলল
–কাদিস না মা। ইভান এখন ঠিক আছে।
বাবার কথা শুনে সে তার চাচির দিকে তাকাল। চাচির চোখে তার জন্য এক অজানা অভিমান। সে অপরাধীর মতো তার চাচির পায়ের কাছে গিয়ে বসলো।কোলে মাথা গুঁজে কাঁদতে লাগলো। চাচির দিকে তাকিয়ে বলল
–আমাকে মাফ করে দাও চাচি। আমার জন্য আজ তোমাকে কষ্ট পেতে হচ্ছে।
চাচি তার দিকে তাকিয়ে বলল
–আমার ছেলেটাকে ভালো করে দে। তুই পারিস তাকে ভালো রাখতে।
চাচির কথা শুনে ঈশা আর কিছু না ভেবে উঠে ভিতরে চলে গেলো। ইভান ঘুমাচ্ছিল। তার বাম হাতে ব্যান্ডেজ। আসলে ঈশার সাথে আরাফকে কথা বলতে দেখে ইভান সহ্য করতে পারেনি। ঘরের দরজা বন্ধ করে নিজের বাম হাতের পালস কেটেছে। অনেকটা রক্ত ঝরে যাওয়ায় সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। দরজা ভেঙ্গে তাকে বের করে হসপিটালে আনা হয়। ঈশা তখন ঠিক এই ভয়টাই পাচ্ছিলো। কারন ঈশা জানতো ইভান তাকে অন্য কারও সাথে কথা বলতে দেখলে এমন কিছু করে বসবে। ঈশার সাথে কাউকেই ইভান সহ্য করতে পারেনা। এটা নতুন কিছু না। আগেও অনেক বার ইভান এভাবে নিজেকে কষ্ট দিয়েছে ঈশার উপরে রাগ করে। কিন্তু এই বারের বিষয়টা বেশ সিরিয়াস।ইভানের শরীর থেকে অনেক টা রক্ত পড়ে গিয়েছে। বেশি দেরি হলে তার জিবনও চলে যেতে পারতো। তাই তো সবাই এতো ভয় পেয়েছে। আর ঈশার মধ্যে অপরাধ বোধটা একটু বেশিই। কারন সব কিছু তার ভাবা উচিৎ ছিল। ভাবতেই চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগলো ঈশার। ইভানের মুখের দিকে তাকিয়ে সে ভাবতে লাগলো আগের কথা।
…………………………………………………
ঈশা ইভান ছোট বেলা থেকেই দুজন একসাথে বড় হয়েছে। ইভান খুব জেদি। তার রাগও অনেক বেশি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল ইভান ঈশার সাথে কখনও জেদ করতনা। এমন কি তাকে রাগও দেখাতনা। তার ক্ষেত্রে ইভানের আচরণ সব সময় আলাদা ছিল। ঈশার উপরে রাগ হলে নিজের ক্ষতি করত। কিন্তু ঈশাকে কিছুই বলতনা। ঈশার জেদ চাওয়া পাওয়া সব কিছু পুরন করত ইভান। তার মনে সেই ছোট্ট ঈশা তখনি জায়গা করে নেয়। তখন হয়ত ইভান ভালোবাসার মানে বুঝতনা। কিন্তু সেই ছোট বেলার অনুভুতি গুলো তার কাছে অনেক মুল্যবান ছিল। সেগুলো সে সবার সামনেই প্রকাশ করত। ধিরে ধিরে দুজন বড় হতে থাকে।ইভান ঈশার মায়ের কাছে নিজের ছেলের মতো হয়ে উঠে। ঈশার মা বাবা দুজনি ইভান কে খুব ভালবাসে। ইভান কে তার বাবা ভালো পড়ালেখা করার জন্য ঢাকায় পাঠায়। ইভান সেখানে গিয়ে নিজের পড়ালেখায় মনোযোগ দেয়। ঈশা তখন স্কুলে পড়ে।সে খুব ভালো স্টুডেন্ট ছিল। কিন্তু ইভানের মনে ঈশার জন্য অনুভূতির পরিবর্তন হতে থাকে। যত বড় হতে থাকে ইভান বুঝতে পারে ঈশার প্রতি তার অনুভুতি ভাইয়ের মতো না। সে ঈশাকে ভালবাসে। ঈশা তার জীবন। কিন্তু ঈশা অনেক ছোট তাই তার অনুভুতি সে নিজের ভিতরেই আবদ্ধ রাখে। সে ভাবতে থাকে ঈশাকে একবারে বিয়ে করে বউ করে ঘরে তুলে নিবে। তাই সে নিজের পড়ালেখায় মনোযোগ দেয়। নিজের পড়ালেখা শেষ করে তারপর বাড়ি ফিরে বিয়ের কথা জানাবে। কারন ঈশার প্রতি তার অনুভূতির কথা কারও অজানা নয়। কিন্তু এই দিকে ঈশা স্কুল শেষ করে। কলেজে ভর্তি হয়। সেই সময় কলেজে যাওয়া আসার পথে ঈশার বাবার বন্ধুর ছেলে আরাফ ঈশাকে দেখে পছন্দ করে ফেলে। কোন ভাবে এসব ইভানের কানে যায়। তখন ইভানের শেষ পরিক্ষা। সে ভাবে আর দেরি করা ঠিক হবেনা। বাসায় গিয়েই তাদের বিয়ের কথা বলবে। সে পরিক্ষা শেষ করে বাড়িতে আসে। কিন্তু বাড়িতে এসে জানতে পারে। ঈশার বিয়ে ঠিক হয়েছে আরাফের সাথে। কথাটা শুনে সে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনি। ইভানের মনে হচ্ছিলো তার জীবন হারিয়ে যাচ্ছে তার কাছ থেকে। সে অনেক বড় শক খায়। সে তখন সিধদান্ত নেয় ঈশার সাথে কথা বলার। কারন এক মাত্র ঈশার মতামতই এই মুহূর্তে সব কিছু ঠিক করতে পারে।
ইভান ঈশাকে ফোন করে আসতে বলে তাদের বাড়িতে। ঈশা ইভানের সাথে দেখা করতে যায়। ঈশা তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখে ইভান ছাদে দাড়িয়ে আছে। ঈশা তার পিছনে দাড়াতেই ইভান তার দিকে ঘুরে দাঁড়ায়। ইভানের চেহারা দেখে ঈশা আতকে উঠে। চোখ মুখ সব লাল হয়ে আছে। ইভান তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ঈশার দিকে তাকিয়ে আছে। ঈশা ভয় পেয়ে ঢোক গিলে জিজ্ঞেস করে
–ভাইয়া তোমার কি হয়েছে?
ইভান ঈশার দুই বাহু শক্ত করে চেপে ধরে বলে
–তুই বিয়ে করছিস?
ইভানের কথা শুনে ঈশা ভয় পেয়ে যায়। কারন ইভানের আচরণ ঈশার জানা আছে। সে রেগে গেলে কি করতে পারে তা ঈশা জানে। তাই খুব শান্ত ভাবে বলল
–বাবা ঠিক করেছে।
–আর তুই?
–আমি আবার কি বলব।
–তোর কিছুই বলার নাই ঈশা?
–কেন বলছ এসব?
–তুই কি কিছুই বুঝিস না। এতদিন ধরে তোকে ঘিরে আমার সমস্ত অনুভুতি এসব কি ছিল ঈশা?
ঈশা এবার ইভানের চোখের দিকে কৌতূহলী চোখে তাকায়। ইভানের কথার মানে বুঝতে। ইভান এবার ঈশার এক গালে আলতো করে হাত দিয়ে বলে
–আমার জিবনের প্রথম মেয়ে তুই। আমার জিবনের প্রথম অনুভুতি তোকে ঘিরে। ভালোবাসা যখন বুঝতে শিখেছি তখন তোকেই ভালবাসি।
ইভানের কথা গুলো শুনে ঈশা তার কাছ থেকে একটু দুরে সরে দাঁড়ায়। নিস্পলক তার দিকে তাকিয়ে থাকে। ইভান ঈশার চাহুনি দেখে বুঝতে চায় তার মনে কি চলছে। ঈশা কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বলে
–অনেক দেরি হয়ে গেছে ভাইয়া। আমার বিয়ের সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে। ৭ দিন পর বিয়ে।
ইভান এবার রেগে বলে
–তুই ভাবলি কি করে এসব? তুই না করে দে ঈশা।
ঈশা ইভানের দিকে খুব শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল
–সম্ভব না। সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে। এখন আর কারও হাতে কিছু নাই।
কথাটা বলতেই ঈশার চোখ বেয়ে দুই ফোটা পানি ঝরে পড়লো। ঈশা আর ইভানের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারলনা। উলটা দিকে ঘুরে দাঁড়ালো। ইভান নিজেকে আর সামলাতে পারলনা। হাঁটু গেড়ে নিচে বসে বলল
–তুই আমার জীবন। তোকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবোনা। আমাকে ছেড়ে যাস না জান। আমি মরে যাব।
ইভানের কথা গুলা ঈশার বুকের ভিতরে তোলপাড় করে দিলো। ঈশা সেখানে আর থাকতে পারলনা। বাড়ি চলে এলো। নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে কাঁদতে লাগলো। একি রকম অনুভুতি ঈশার মনেও ইভানের জন্য। কিন্তু ইভান কখনও মুখ ফুটে না বলায় ঈশা সাহস করে বলতে পারেনি। বিয়ের কথা শুনে ঈশারও এমনি মনে কষ্ট হয়েছিলো। কিন্তু ইভান তাকে ভালবাসে কিনা তা সে জানতোনা। তাই কিসের আশায় বিয়েটা সে না করে দিবে। আজ ইভানের কথা গুলো তাকে ভেঙ্গে দিয়েছে। ইভানের উপরে ঈশার আজ খুব অভিমান। ইভান এতদিন যদি বলত তার ভালোবাসার কথা তাহলে এমন কিছুই হতনা। ইভানের সাথেই হয়ত তার বিয়েটা হয়ে যেত। কিন্তু অনেক দেরি করে ফেলেছে ইভান। ইভানের প্রতি তার অভিমান যেন বেড়েই চলেছে। সে চোখ মুছে নিজেকে শান্ত করে নিয়ে বলল
–তুমি অনেক দেরি করে ফেলেছ। এখন সব ভাগ্যের উপরে। হয়ত এটাই আমাদের ভাগ্যে লেখা ছিল। এখন আর কারও কিছুই করার নেই। নিজের অনুভূতির চেয়ে কর্তব্যটাই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মুহূর্তে। তাই আমাকে সব ভুলে নিজেকে স্বাভাবিক করতেই হবে।
৯
আজ ঈশার গায়ে হলুদ। অনেক আত্মীয় সজন এসেছে। সারা বাড়ি সাজানো হয়েছে। সবাই ব্যস্ত নানা কাজে। আরাফদের বাড়ি থেকে ঈশার জন্য হলুদের তত্ত এনেছে। কিছুক্ষন পর ঈশাকে স্টেজে বসানো হবে। সে ঘরে রেডি হচ্ছে। ইরাকে তার মা বলল
–তোর আপুকে ডেকে আন।
ইরা আপু আপু বলে ডাকতে ডাকতে ঘরে গেলো। কিন্তু ঘরের দরজা খুলে দেখল ঈশা নেই। ছোট্ট ইরা দৌড়ে নেমে এসে তার মাকে বললো
–মা আপু নেই।
তার মা তার কথা বুঝতে নে পেরে উপরে চলে গেলেন দেখতে। গিয়ে তিনিও তার মেয়েকে খুজলেন।কিন্তু কোথাও পেলেন না।সারা বাড়িতে সোরগোল পড়ে গেলো। ঈশাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। সবাই অনেক রকম কথা বলতে লাগলো। সবাই চিন্তিত হয়ে গেলো। তার পরিবারের লোকজন ভাবতেই পারছেনা যে ঈশা পালিয়ে যেতে পারে। কারন ঈশার কারও সাথে কোন সম্পর্ক নেই। যদি থাকতো তাহলে কেউ না জানুক অন্তত ইভান জানতো। কিন্তু ইভানের কাছেও সেরকম কোন কিছু জানা যায়নি।
একটা অন্ধকার ঘরে ঈশা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। ইভান ঈশার পাশে বসে আছে। তার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল
–তুই আমার কাছে আর কোন উপায় রাখলিনা জান। শেষ পর্যন্ত তুলে আনতে বাধ্য করলি।সেদিন ভালো করে কথা শুনলে আর আমাকে এসব করতে হতনা। তুই আমাকে সাধারন প্রেমিক দের মতো ভেবেছিলি। তুই বলবি অনেক দেরি হয়ে গেছে আর আমি তোকে ছেড়ে দিবো। তুই বলবি তোকে ভুলে যেতে আর আমি তোকে ভুলে যাব। তুই বলবি এসব ভাগ্য আর আমি মেনে নিবো। আমার ভাগ্যে শুধু তুই আছিস আর তোর ভাগ্যে আমি আছি। তুই আমার জান। আর আমি তোকে কিছুতেই হারাতে পারবোনা। কি ভেবেছিলি তুই অন্য কারও সাথে সংসার করবি আর আমি বসে বসে দেখব। আমি বেঁচে থাকতে তুই অন্য কারও হতে পারবিনা। তোর ভাগ্য আমার সাথে বাধা।
কথা গুলা শেষ করেই ইভান ফোনটা তুলে ঈশার বাবাকে ফোন দিলো। ঈশার বাবা ফোন তুলেই বলল
–ইভান কই তুই? এইদিকে ঈশাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
–ঈশা আমার কাছে বড় বাবা।
ইভান খুব শান্ত ভাবে কথাটা বলল। তার কথা শুনে ঈশার বাবা কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়ে বললেন
–তোরা কোথায় আর না বলে কোথায় গিয়েছিস? তাড়াতাড়ি আয় কিছুক্ষন পরেই অনুষ্ঠান শুরু হবে।
–হসপিটালে আসো বাবা।
কথাটা শেষ করেই ফোনটা রেখে দিলো ইভান। একটু বাকা হেসে ঈশা কে কোলে তুলে হসপিটালে নিয়ে গেলো।
সবাই হন্তদন্ত করে হসপিটালে চলে আসলো। সবার চোখে কৌতূহল ঈশা কোথায়? ইভান কে দেখতে পেয়ে সবাই জিজ্ঞেস করলো ঈশা কোথায়। ইভান চুপ করে বসে আছে। সেই সময় ডাক্তার বের হয়ে এলো। ঈশার বাবা জিজ্ঞেস করলো
–ঈশার কি হয়েছে? কেমন আছে?
ডাক্তার আশ্বস্ত করে বলল
–ওনাকে ক্লোরফরম দিয়ে সেন্সলেস করে দেয়া হয়েছিলো। এখন সুস্থ আছেন।
সবাই এসব কথা শুনে এবার ইভানের দিকে ঘুরে তাকাল। কি হয়েছিলো জানার জন্য। ইভান খুব শান্ত ভাবে বলল
–ঈশাকে কিডন্যাপ করেছিলো।
ইভানের বাবা জিজ্ঞেস করলো
–কে করেছিলো এই জঘন্য কাজ। আর কেনই বা করেছিলো।
–এই সব কিছুর থেকে এই মুহূর্তে ঈশার অবস্থা নিয়ে ভাবা বেশি গুরুত্ব পূর্ণ। এসব নিয়ে আমরা পরে কথা বলব।
ইভান সবার উদ্দেশ্যে কথাটা বলল। সবাই তার কথা শুনে চুপ করে গেলেন। কিন্তু ঈশার মা বলে উঠলো
–এখন আমার মেয়ের কি হবে? তার বিয়ে…
কথাটা শেষ না করেই তিনি থেমে গেলেন। সবাই তার কথা শুনে চিন্তিত হয়ে গেলো। কাল তার বিয়ে। তার শশুর বাড়ির লোকজন এসব কিভাবে নিবে। ইভান একটু বাকা হাসল।
–কি হয়েছে আঙ্কেল?
আরাফের কথা শুনে সবাই তার দিকে ফিরে তাকায়। আরাফ সবার দিকে তাকিয়ে আছে তার প্রশ্নের উত্তর জানতে। ইভান তার দিকে তাকিয়ে উঠে বলে
–ঈশা কে কেউ কিডন্যাপ করেছিলো।
কথাটা শুনে আরাফের মাথায় বাজ পড়লো। সে কি বলবে ভেবে পেলনা। কিন্তু আরাফের পরিবার সব শুনে একটু অন্য রকম আচরণ করলো। আরাফের বাবা বলল
–ঈশা সুস্থ হলে আমরা বিয়ে নিয়ে ভেবে দেখব।
বলেই সবাই চলে গেলো। সবার মুখে চিন্তার ছাপ থাকলেও একজন এই মুহূর্তে বেশ নিশ্চিন্ত। কারন সে এমনি চেয়েছিল। সব কিছুই যে তার প্ল্যান মতো হচ্ছে। নার্স এসে বলল ঈশার জ্ঞান ফিরেছে। সবাই ঘরে চলে গেলো। ইভানও গেলো ঘরে। এক পাশে দাড়িয়ে দেখছিল সে ঈশাকে। ঈশার এই অবস্থার জন্য তার খুব কষ্ট হচ্ছিলো। কিন্তু এই মুহূর্তে ঈশাকে পাওয়ার এই একটাই উপায় তার কাছে ছিল। সে ঈশাকে হারাতে পারবেনা।
চলবে………।
(একটা রহস্য খুলে দিলাম। সামনে আরও রহস্য আছে। ঈশা ইভান কে ভালোবাসার পরেও কেন বিয়েতে রাজি হয়েছিলো?)