দখিনা প্রেম,পর্ব ০৮
লাবিবা ওয়াহিদ
—“স্যার আপনাকে ইদানীং আনমনে লাগছে কেন? মনে হয় যেন কোনো গভীর ভাবনায় ডুবে আছেন!”
সা’দ থতমত খেয়ে কারীবের দিকে তাকালো। কারীব জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে সা’দের পানেই তাকিয়ে আছে উত্তরের অপেক্ষায়! সা’দ নিজেকে সামলে হালকা হেসে বলে,
—“কবে দেখলে? আর এমন কেন মনে হলো?”
—“এই কয়েকদিন আপনাকে লক্ষ্য করছি, কিসের গভীর চিন্তা করেন স্যার? আমাকে কী বলা যাবে?”
—“তুষারের বিষয় নিয়ে কারীব! ছেলেটা বড্ড অমনোযোগী এবং খিটখিটে টাইপ। এর এসব অকাজের কারণে আমার শুটিংয়ের তো অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। যার তার সাথে আজেবাজে ব্যবহার আমার কথা তো বাদই দিলাম!”
—“এ আর নতুন কী? এর অবস্থা যা, প্রডিউসার, ডিরেক্টরের এর পিছে দৌড়াতে হয়। টাকায় কেনা গোলাম পাইসে নাকি? তবে যাই বলেন, আপনার ব্যবহার টা আমার সেই লাগে স্যার! তুষার ভিষণ নাকানিচুবানি খায়। আপনি যখন ওরে এভোয়েড করেন তখন ওর মুখটা দেখার মতো হয়! আমার তো ইচ্ছ্ব করে হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়তে!”
—“ওকে বুঝলাম। এখন গিয়ে চেক করো শিমির মেক আপ ডান হয়েছে কিনা, নেক্সট শিডিউলে কিন্তু শিমির পার্ট আছে।”
—“ওকে স্যার দেখছি!”
তখনই আজের সা’দের জন্য কফি নিয়ে আসলো। সা’দ মুচকি হেসে কফিটা নিয়ে মুচকি হেসে ছোট্ট করে ‘ধন্যবাদ’ জানালো! আজের একটা তৃপ্তিময় হাসি দিয়ে সেস্থান প্রস্থান করলো! সা’দ কফিতে চুমুক দিতে দিতে কিছুক্ষণ আগের প্রতিটা ক্যামেরার রেকর্ড চেক করতে থাকলো! সা’দের যেই সাইট পছন্দ হবে সে সেই ক্লিপটুকুই কাট করে সঠিক জায়গা মতো বসিয়ে দিবে। এভাবে দেখতে দেখতে থমকে গেলো একটা রেকর্ডে। তুষার পেছনের দিকে যাচ্ছিলো তৎক্ষণাৎ এক মেয়ের সঙ্গে ধাক্কা খায় আর মেয়েটি নিচে পরে যায়। মেয়েটি আর কেউ নয় সেই মায়াবতী! পড়ে যাওয়ায় ভ্রু কুচকে চোখ বুজে খিচে রাখে। ক্যামেরাটা তুষারের দিকে ফোকাস করা ছিলো বিধায় সেহেরের ভাবভঙ্গি বেশ ভালোভাবে দেখছে সা’দ। অদ্ভুত মায়ায় জড়িয়ে গেছে সে এই মেয়েটার প্রতি। না চেয়েও পারে না মেয়েটিকে ভুলতে। সেই সময়ের পর থেকেই অনবরত মেয়েটার আঁখিজোড়া চোখের সামনে ভাসছে। হঠাৎ সা’দের কী হলো সে জানে না। পাশে থাকা ভিডিও এডিটরকে বলে সে মেয়েটির ক্লিপটা নিজের পেনড্রাইভে নিয়ে শুটিংয়ের রেকর্ড থেকে ডিলিট করিয়ে নেয়। এরপর সা’দ সবটা একে একে মার্ক করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শিডিউল অনুযায়ী আবার তাদের শুটিং শুরু হলো।
★
সেহের বাসায় গিয়ে জানতে পারে তার বাবাকে নাকি পুলিশ এরেস্ট করেছে। ওদিকে নাকি জোহরা কেঁদেকেটে অবস্থা খারাপ করে ফেলছে। সেহের কিছুই বলছে না একদম চুপ। সেহেরের চোখে তার সেই নিকৃষ্ট দিনগুলো চোখে ভাসছে। আর কানে বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজছে কবিরের অশালীন কথাগুলো। সেহের কিছু না বলে নিজের ঘরে গিয়ে ব্যাগ ট্যাগ রেখে বাথরুমে ঢুকে পরলো গোসলের জন্য। বাথরুম থেকে বেরিয়ে চুল মুছতে মুছতে র্যমে এসে দেখলো দাদীমা আর রিমন বিছানায় বসে আছে। হাতে দুই প্লেট খাবারও আছে। সেহেরকে দেখে দাদীমা মুচকি হাসি দিয়ে বলে,
—“আইজ তোগো এক পাঁত থেইকাই দুই ভাইবোনরে ভাত খাওয়ায় দিমু। গতকাল বরইয়ের আচারও বানাইসিলাম!”
আচারের কথা শুনে সেহেরে খুশির শেষ নেই। সে চটজলদি রিমনের পাশে গিয়ে বসে পরলো। দাদীমা এক প্লেট পাশে রেখে ভাত লোকমা করতে করতে একবার সেহেরকে তো একবার রিমনকে খাইয়ে দিচ্ছে। রিমন তো তার খেলা নিয়ে বকবক করতে ব্যস্ত। রিমনের কিছু কিছু কথায় সেহের আর দাদীমা একসাথে অটঠাসিতে ফেটে পরছে। চাচী আর জেঠু দরজার চৌকাঠে দাঁড়িয়ে ওদের আনন্দ দেখছে। চাচী আনমনে বলে উঠলো,
—“মেয়েটাকে কতোদিন পর হাসতে দেখলাম তাই না আবিদের আব্বা?”
—“তা যা বলেছো! মা ঠিকই করেছে কসম দিয়ে সেহেরকে এই বাড়িতে এনে। নাহলে মেয়েটা কেমন শুকিয়ে কাঠ হয়ে যেত, হাসিটা যেন কোথায় হারিয়ে যেত তার এই মায়ামাখা মুখ থেকে।”
—“হ্যাঁ গো! শুনলাম তোমার ভাইকে নাকি গতকাল পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে? আবার ছাড়া টাড়া পাবে না তো?”
—“সে জানি না। তবে বের হতে কতক্ষণ, আগেও তো কবির জেলে গেছে। বাটপারি করে, ঘুষ-টুষ দিয়ে বেরিয়ে গেছিলো। এবার কী হয় কে জানে। তবে কবির এখন আর চেয়ারম্যান নেই, গ্রামের মানুষ নতুন চেয়ারম্যানের খোঁজে আছে!”
—“তাহলে যদি নতুন চেয়ারম্যান আসার আগেই কবির ভাই ছাড়া পেয়ে যায় তখন?”
—“এমনটা হবে বলে মনে হচ্ছে না। গ্রামের মানুষ এখন সতর্ক হচ্ছে আগের চেয়ে, তাই তো হন্য হয়ে চেয়ারম্যানের খোঁজে আছে। তবে শুনেছি নির্বাচন করেই চেয়ারম্যান নেয়া হবে। দেখি এবারের নির্বাচনে কারা কারা দাঁড়ায়।”
—“তুমি দাঁড়াবে না?”
—“আরে না কী বলছো? আমাকে তো ওরা সরাসরি বারণ করে দিয়েছে। কবির আমার ভাই, তাই কবিরের পরিবার-বংশের উপর মুরব্বিরা খুব একটা ভরসা করতে পারছে না। সেই চাচা তো বলেছেন আমি সম্মানীয় ব্যক্তি আছি থাকবো তবে আগের মতো ভরসাটা থাকবে না!”
বলেই জেঠু চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। চাচী মুখ গোমড়া করে মাথা নিচু করলো। কবির যা করেছে তার জন্য তাদের পুরো পরিবারও ছোট হয়ে গিয়েছে। আর এমনিতেই গ্রামের মানুষ তিল কে তাল বানাতে অভিজ্ঞ। যেমনটা জেঠুকে পোহাতে হচ্ছে। দোষ করলো ভাই দোষী হয়ে গেলো পুরো পরিবার। জেঠু চেয়েও নিজের মাকে এসব বলতে পারছে না। বললে আবার বড়ো রকম অঘটন ঘটবে যা জেঠু বেশ ভালোভাবেই জানে। বিকালে সেহের উঠোনের একপাশে মুরগীদের খাবার ছিটিয়ে দিচ্ছিলো তখনই চাচী এসে বলে,
—“ফুল মা! আবিদটাকে একটু ডেকে নিয়ে আসতে পারবি? সেই কখন কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হলো এখনো তার খবর নেজ! নির্ঘাত জসিম চাচার টং দোকানে বসে আড্ডা মারছে। এই ছেলেকে নিয়ে আর পারি না!”
—“আরে চাচী। বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো দোষের কিছু না। যদি প্রয়োজন হয় আমি যাচ্ছি আবিদ ভাইয়াকে ডাকতে।”
—“যাবি?”
—“আরে হ্যাঁ সমস্যা কোথায়? এখান থেকে এখানে, এক গ্রাম পার করে তো যেতে হচ্ছে না!”
—“ঠিক আছে তাহলে সাবধানে যা। তবে হ্যাঁ মাথায় ওড়না বেঁধে মুখোশ ভালো করে পেঁচিয়ে নিবি, জানিস তো গ্রামের মহিলাগুলো কেমন ভয়ংকর! তোকে এই সময় বের হতে দেখলে কটুকথা ছড়াবে!”
—“আরে চাচী চিন্তা করিও না। ওদের মুখ আছে বলতে দাও আমার সমস্যা নেই। যাইহোক যাচ্ছি।”
বলেই ওড়না বাঁধতে বাঁধতে বেরিয়ে গেলো। আর চাচী সেহেরের জায়গায় মুরগীদের খাবার দিতে ব্যস্ত হয়ে পরলো। রিমন গেছে বন্ধুদের সাথে ঘুড়ি উড়াতে। সেহেরেরও রিমনের সাথে খোলা মাঠে গিয়ে ঘুড়ি উড়ানোর ইচ্ছা হয় কিন্তু সে ইচ্ছা অপ্রকাশিত। বসন্তের প্রথম দিক থেকেই দখিনার শীতল হাওয়া সকলকে কাঁপিয়ে দেয়। গ্রামাঞ্চল বিধায় এর প্রকোপ যেন আরও বেশি! দুই ক্ষেতের চওড়া রাস্তা দিয়ে পা আলগিয়ে আলগিয়ে হাঁটছে সেহের। ফজরের পর ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়েছে বিধায় এখানে মাটি পানিতে চুপচুপ হয়ে কাঁদামাটিতে পরিণত হয়েছে। আর মাটি যা পিচ্ছিল, একবার পিছলিয়ে পরলে কোমড় নির্ঘাত যাবে। তবে সারাদিনের রোদের তাকে খুব একটা কাঁদা নেই তবুও পিছলিয়ে পড়ার মতো যথেষ্ট কাঁদা রয়েছে। সেহের সামনে তাকাতেই দেখলো একজন মধ্যবয়সী লোক ভুলবশত কাঁদাতে পা দিয়ে ফেলে যার ফলে সে পিছলিয়ে প্রায় পড়ে যায়। এতে তার পাজামা ঢোলাঢালা ফতুয়ায় কিছুটা কাঁদায় মাখামাখি হয়ে গেলো। সেহের জলদি করে লোকটির কাছে এগিয়ে লোকটিকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করলো। লোকটিকে ধরে উঠানোর ফলে হাতে ওড়না টান লেগে মুখোশটা খুলে যায় কিন্তু সেহেরের সেদিকে খেয়াল নেই। লোকটি কাঁদামাখা হাত ক্ষেতের পানিতে ধুঁয়ে নিজের ফতুয়ায় হাতটা মুছে চোখের মোটা ফ্রেমের চশমাটা ফতুয়ার এক অংশ দিয়ে মুছলো। মোছা শেষ হতেই চশমাটা চোখে লাগিয়ে লোকটি সেহেরের দিকে তাকালো। সেহের কিছুটা মলিন সুরে বলে উঠলো,
—“আপনি ঠিক আছেন তো চাচা?”
সেহেরের কথায় লোকটি বেশ অবাক হয়। তাও নিজেকে সামলে কিঞ্চিৎ হেসে জবাব দিলো,
—“হ্যাঁ মা ঠিক আছি! আসলে হয়েছে কী এই জায়গাটা পার হওয়ার সময়ই চশমাটায় গাছের এক বিন্দু পানি পরে। এরপর যা অঘটন ঘটার ঘটে গেলো। ভাগ্যিস এসেছিলে নয়তো এই বুড়োকে সারাদিন এই কাঁদামাটিতে হাত-পা ছড়িয়ে বসে থাকতে হতো!”
লোকটির রসিকতায় সেহের মৃদ্যু হাসলো। সেহেরের হাসিতে লোকটিও তাল মেলালো! সেহের বুঝলো লোকটি বেশ রসিক মানুষ।
—“আচ্ছা তাহলে আজ আসি! তোমার উপকার আমি ভুলবো না!”
—“আপনার যেতে সমস্যা হবে না তো?”
—“না তেমন কিছু না, যেতে পারবো।”
—“ঠিক আছে চাচা, সাবধানে যাবেন আল্লাহ হাফেজ!”
লোকটি উত্তরে মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেলো। সেহের সেখানে কিছুসময় দাঁড়িয়ে চলে গেলো জসিম দাদার টং দোকানে।
★
—“এ কী ফারুক আঙ্কেল, আপনার এ অবস্থা হলো কী করে?” সা’দ কিছুটা উত্তেজিত কন্ঠে বলে উঠলো ফারুক হোসাইনকে।
—“আর বলো না চশমায় পানি পরায় পিছলিয়ে কাঁদায় পরে গেছিলাম। ভাগ্যিস একটা মিষ্টি মেয়ে এসে বাঁচিয়েছিলো নয়তো কী-ই না ঘটে যেত।”
সা’দ এবার অপরাধীর সুরে বলে উঠলো,
—“আই এম এক্সট্রেমলি সরি আঙ্কেল! আমার উচিত ছিলো মেইন রোড থেকে কারো মাধ্যমে আপনাকে রিসিভ করা। কে জানতো আপনি বিকালেই চলে আসবেন!”
—“আরে ব্যাপার না। গ্রামে শুটিং থাকলে আমি আগে পুরো গ্রাম ঘুরে দেখি এরপরই সেটে যাই। তাই এতে অপরাধীর মতো থেকো না। আমার কিছুই হয়নি জাস্ট কাঁদাতে পড়ে জামা-কাপড় নষ্ট হয়েছে এর বেশি কিছু না!”
—“তাও, উসমান! আঙ্কেলকে নিয়ে সড়াইখানা যা, ওনাকে ফ্রেশ করিয়ে চেকআপ করিয়ে নিবি!”
—“ওকে স্যার।”
উসমান পথ দেখিয়ে ফারুক হোসাইনকে অতি সাবধানে সড়াইখানায় নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে একজন ডাক্তার এনে রাখা হয়েছে, যাতে করে যেকোনো সমস্যা হলেই আগে থেকে ট্রিটমেন্ট নিতে পারে! ফারুক হোসাইনের একবারের জন্যে তুষারের দিকে চোখ গিয়েছিলো। ফারুকের কাঁদামাখা অবস্থা দেখে মুখ সিঁটকালো। ফারুক সেদিকে পাত্তা না দিয়ে মুচকি হেসে উসমানের সাথে কথা বলতে বলতে চলে গেলো। হঠাৎ সা’দের মাথায় এলো ফারুক হোসাইন মিষ্টি মেয়ের কথা বলেছে। “মিষ্টি মেয়ে” শব্দটা মাথায় আসতেই সেই মায়াবীচোখ জোড়া তার তার চোখের সামনে আবারও ভেসে উঠলো। স’দ বিরক্ত হয়ে নিজের মাথায় হালকা চাপড় মেরে শুটিং সেটের দিকে চলে গেলো।
সেহের ঘন্টাখানেক ধরে এপাশ তো আরেকবার অন্যপাশ ফিরছে। ঘুম যেন তার জানালা দিয়ে পালিয়েছে। সেই ছেলেটার চেহারা একমনে তার চোখে ভেসেই চলেছে। সারাদিনের ব্যস্ততায় ছেলেটার কথা ভুলে থাকলেও আঁধার রাতের একাকীত্বে ছেলেটার চেহারা যেন তার ঘিরে ধরেছে। সেহের না চেয়েও বারবার সেই ছেলেটাকে ভেবে গভীর ভাবনায় ডুবে যাচ্ছে।
এদিকে সা’দেরও একই অবস্থা। হাজার চেয়েও এই এক মুহূর্তের চোখজোড়াকে সে ভুলতে পারছে না। বলা যায়, আঁখিজোড়া তাকে ঘুমোতেই দিচ্ছে না। কোন মায়ায় ঘায়েল হয়েছে সেটা সা’দ কিছুতেই বুঝতে পারছে না। না চাওয়া সত্ত্বেও বারংবার একজনকে নিয়ে ভাবনা। এই ভাবনায় যেন হাজারো অদ্ভুত অনুভূতির মেলা। দখিনার হাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে সাদা পর্দাগুলো উড়ছে। সা’দ উঠে বসে বিছানা ছেড়ে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। শীতল হাওয়ায় লোম যেন দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। তাও প্রকৃতির এই হাওয়া যেন সা’দের সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দিচ্ছে। বাতাসে সা’দের টিশার্টের কলার এবং চুল একসাথে দুলছে।
দুজন দু-প্রান্তে থেকেও একই অনুভূতি যেন তাদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। এ কিসের অনুভূতি? এই একটা প্রশ্নের উত্তর মেলাতে মেলাতে রাতের প্রহর শেষ হয়ে নতুন সকালের সূচনা হলো। তবুও যেন তাদের উত্তর মিললো না।
চলবে!!!