দলিল -১০ম ও শেষপর্ব
রাত দশটা বাজে। তিথির ঘুম আসছে না একদমই। খানিকটা অস্থির সে। মনই বসছে না বাড়িতে । অথচ কতটা অস্থির হয়ে ছুটে এসেছিল এখানে একটু ভালো থাকার জন্য। নিজের বাড়ি বলে । কিন্ত কই কিছুই তো নিজের বলে মনে হচ্ছে না। উল্টো এখান থেকে চলে যেতে মন চাইছে । যেনো এখানে তার কিছুই নেই। কেউ তার আপন না।
কেমন পর পর লাগছে সবাইকে । কাছের মানুষগুলো এভাবেই বোধহয় ধীরে ধীরে দুরে চলে যায়। একসময় এতটা দূরত্ব তৈরী হয় তখন সম্পর্কগুলো বহুদুরের হয়ে যায়। এই যেমন এখন মনে হচ্ছে
তাইতো তিথি ইচ্ছে করলেও কারোর খুব কাছে আসতে পারছে না।
মন খুলে কিছু বলতে পারছে না।
তিথি এফবিতে ঢুকল। শুভ আজ কল দেয়নি। কোন মেসেজও নাই । শুভ কি তাহলে সত্যি সত্যি তিথিকে ছেড়ে ভালো আছে।
মেসেঞ্জারে শুভর আইডিতে সবুজ বাতি জ্বলছে। কয়েক সেকেন্ড তিথি থমকে রইল। কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে তার।
শুভ পরিস্কার তাকে ইগনোর করছে। তিথির রাগ করে ফোন বন্ধ করে ফেলল। কেমন অপ্রস্তুত একটা মুহুর্ত। তিথি এখানে এখন অনাহুত লোক।
কেউই চাইছে না সে থাকুক। পাভেলও কেমন দুরে দুরে থাকে। যেন তিথিকে সে চিনেই না। তানিও অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। আগের মত আন্তরিক না।
ওদিকে শুভও তাকে এড়িয়ে চলছে।
: তিথি শুয়ে পড়লি যে?
মায়ের আওয়াজ পেয়ে তিথি উঠে বসে। অল্প আলোতে মায়ের উদ্বিগ্ন মুখটা চোখে পড়ল। ভাঁজ পড়া চামড়ায় সায়রা বেগমের চিন্তিত মুখে ভালবাসা স্পষ্ট।
তিথির ভীষন কান্না পেলো মাকে দেখে। তার সত্যি খুব একা লাগছে।
সায়রা বেগম তিথির পাশে এসে বসলেন।
: এতক্ষন ধরে তোকে খুজছি। একবারও আমার রুমে গেলি না যে। শরীর খারাপ?
: নাতো।
তিথি বিমর্ষ হয়ে আছে। তবুও স্বাভাবিক হবার চেষ্টা করল।
: তোকে এমন লাগছে কেন রে?
সায়রা বেগম বিছানায় উঠে বসলেন। হাত দিয়ে তিথির চুলগুলো ঠিক করে দেন। মেয়েটা তার বড্ড চাপা। সহজে কিছু চায় না কষ্ট পেলেও বলে না।
তিথি হঠাৎ করে মাকে আকঁড়ে ধরল। তার সারা শরীর অদ্ভুত এক শিহরনে কেঁপে উঠে। মায়ের স্পর্শ ভীষন ভালো লাগে। কি সুন্দর ঘ্রান।
তিথির নাক টেনে ঘ্রান নেয়।
সায়রা বেগম হাসছেন। মেয়েটা তার এখনও ছোট।
: কি হয়েছে তিথি?
তিথি কিছু বলতে চাইল । কিন্ত তার কান্না চলে আসে। বাষ্পীভুত কান্নার দলা গলা বেয়ে নামে।
: কই, কিছু না।
সায়রা বেগম মেয়েকে ছাড়িয়ে বসেন। তারও মন ভার হয়ে আছে। মেয়েটা আসার পর থেকে শুভ একদিনও এলো না। তিথিও শুভর কথা বললে এড়িয়ে যায়।
জটিল কিছু কিনা। তার কপালে চিন্তার ভাঁজ।
: শুভকে আসতে বলব?
তিথি আতঁকে উঠে।
: না না।
: কেন না করছিস। আসুক ছেলেটা। কতদিন হয়ে গেলো তুই এখানে ওর তো আসা উচিত।
: মা আমি এখানে এসেছি বলে সবাই কি অখুশী?
: এসব কেমন কথা রে তিথি?
: ভুল বললাম?
সায়রা বেগম সত্যি রাগ করেছেন। তার গম্ভীর মুখে তিথি আর তাকায়নি।
: তোর মায়ের কাছে তুই আসবি এতে কে কি ভাবলো এসব দেখলে চলবে। তিথি এই বাড়িতে সবার সমান অধিকার আছে। এটা ভুলে যাস না। পাভেলের যতটুকু অধিকার। ঠিক ততখানি তোর আর তানির বুঝলি।
তিথির শান্তি শান্তি লাগছে। ভেতর থেকে বাজে অস্বস্তি দুর হয়েছে।
: মা?
তিথি আস্তে করে মায়ের হাতটা ধরল।
: কি বল?
: সংসারে এত জটিলতা কেন থাকে। সম্পর্কগুলো আগের মত নাই। সবাই কেবল নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। যখন ছোট ছিলাম এসব বুঝতামই না। কেন যে বড় হলাম। মাঝে মাঝে মনে হয় আগের জীবনটা কত সুন্দর ছিল।
সায়রা বেগম মেয়েকে কাছে টানেন। আদর করে চুমু খেলেন কপালে। তিথির ভেতরের কষ্টগুলো এক নিমিষে চলে গেলো।
: জীবনটা এমনই মা। আমরা সবাই এই জটিল জীবনে আটকে আছি রে। সুখ দুঃখ নিয়েই আমাদের চলতে।হয়। এগুলো থাকবে। সবার জীবনেই থাকে।
ধৈর্য সহনশীলতা দিয়ে জীবনের সব অধ্যায়গুলো।পার করতে হয়।
তবে জটিলতা যখন সীমার বাইরে।চলে যায় তখন তাকে রুখতে হয়। কঠিন হবি তখন। যতটা কঠিন হওয়া যায়।
একটা কথা মনে রাখিস নিজের সুখটা নিজেই তৈরী করে নিবি। তোর জন্য কেউ সুখের স্বর্গ বানিয়ে রাখবেনা।
আর যার সাথে সংসার করছিস তাকে বুঝে নিবি।
তার মাঝে কেবল মন্দ খুজবি না। ভালোটাও আছে।
সেটা বুঝে নিবি।
: মা ভাবীকে তুমি খুব পছন্দ করো?
তিথির এমন প্রশ্নে সায়রা বেগম কিছুটা বিচলিত হন। তিথি প্রসঙ্গ বদলেছে। তার মনে অনেক কথা। সেটা সায়রা বেগম বুঝে গেছেন।
: কেন রিয়াকে তোর কাছে খারাপ মনে হয়?
: আমি সেটা বলিনি। সেতো পরের মেয়ে। তোমরা তাকে সত্যিই কি অনেক পছন্দ করো?
: পছন্দ করি। কারন সংসারে শান্তির জন্য সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে হয়।
ধর রিয়ার মাঝে আমরা যদি দোষ খুজে বেড়াই। ওদের দুজনার মাঝে এসব নিয়ে ঝগড়া হবে। এতে কি হবে জানিস পাভেল সুখী হবে না। পাভেল অসুখী মানে সংসারে অশান্তি।
এগুলো বুঝতে হয় রে।
তাই বলে এটা ভাবিস না রিয়ার মাঝে দোষ নাই। সব আছে। এতকিছু দেখলে হয় না।
তিথি বুঝে গেছে সংসারে সমস্যাগুলো নিয়ে বেশী নাড়াচাড়া করলেই বিপদ। এগুলো বুঝে শুনে চলতে হয়।
: হুম। বুঝেছি।
তিথির নিশ্চুপ থাকা। মন খারাপের কারন সায়রা বেগম বুঝে গেছেন। মেয়েটা তাকে অনেক কিছু বলতে চাইছে। কিন্ত পারছে না।
: তুই আমাকে কিছু বলতে চাস?
তিথি মাথা দুলিয়ে না করল।
: শুভ তো খুব ভালো ছেলে তিথি।
তিথি ঝিম ধরে আছে। সে জানে মা এখন গাদা গাদা কথা বলবে শুভকে নিয়ে। আর সেসব কথা তাকে এখন শুনতে হবে।
: তুই শুভ সংসারটা আকড়ে থাকবি। ছোট ছোট বিষয়গুলোকে বড় করবি না। ভুল ভ্রান্তি থাকবেই।
তাই বলে সম্পর্ক নষ্ট হতে দিস না।
দুজনার মাঝে কোন তৃতীয় ব্যক্তি যেন না আসতে পারে।সেদিকে খেয়াল রাখিস।
সংসারে সবাই এক হয় না। কেউ কেউ অশান্তির জন্য দুজনার মাঝে দ্বন্দ্ব তৈরী করতে পিছনে লেগে থাকে। চোখ কান খোলা রেখে এসব সামলাবিন।
তিথির হঠাৎ কি হলো কে জানে। মাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগল। তার খুব একা লাগছে। ভীষন একা।
সায়রা বেগম মেয়েকে এক হাতে আকড়ে থাকলেন। খানিক পর তিথির মুখটা তুলে বললেন।
: শুভকে আসতে বলবো?
: না।
তিথির অভিমানগুলো কান্না হয়ে ঝরছে। তার সব অভিযোগ মায়ের কাছে। সায়রা বেগম হাসলেন।
মেয়েটা এখনও সংসার বুঝে উঠতে পারছেনা।
: সংসার হলো সমুদ্রের মত বুঝলি। এখানে ঢেউ থাকে।
জোয়ার ভাটা থাকে। আনন্দ যেমন জোয়ারের মত আসে। তেমনি একসময় তা ভাটার সময় মিলিয়েও যায়। তারপর আবার সব ঠিক হয়
এটাই প্রকৃতির নিয়ম। আমরা সবাই এই নিয়মের মাঝে বন্দী।
তিথির কেমন যেন ঘুম ঘুম পাচ্ছে। সেই ছোটবেলার মত মায়ের বুকে শোবার ইচ্ছেটা প্রকট হচ্ছে।
শুভ অনেক রাত করে বাসায় ফিরেছে। খালি বাড়ি। কেমন যেন লাগে। এসেই সে সিগারেট নিয়ে ব্যলকনিতে চলে যায়।
তিথি বাসায় নেই। কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে।
কিন্ত শুভ তো চেয়েছিল তিথি চলে যাক। সে তিথিকে ইদানীং খুব একটা সহ্য করতে পারছিল না। তিথির দোষগুলো প্রকট হয়ে উঠেছিল তার চোখে।
সেই হিসাবে তিথি চলে গিয়েছে। এখন তো তার ভালো থাকার কথা।
একটা মানুষ বাড়িতে নেই। এতে পুরো বাড়িটাই অস্বাভাবিক লাগছে।
শুভর ক্ষিধে পেয়েছে অনেক। ডাইনিং এসে ফ্রিজ খুলে দেখে খাবার তেমন কিছু নাই। তিথি দুই পদের মাছ গোশত রেঁধে রেখে গিয়েছে। অল্প কিছু আছে তলানিতে পড়া। দেখে খাবারের ইচ্ছেটা শেষ হয়ে গিয়েছে।
সিগারেট ফেলে শুভ বেরিয়ে পড়ল। রাস্তায় নেমে দেখে বেশীরভাগ খাবারের দোকান বন্ধ। এত তাড়াতাড়ি সব বন্ধ হবার কারন কি। শুভ বুঝতে পারল না। মোবাইলটা অন করে দেখে রাত এগারটা ত্রিশ।
শুভ হতাশ হলো। এত রাত হয়েছে তার হুশ নাই। সেকি ঘোরের মধ্যে আছে।
এখন কি করবে বুঝতে পারছে না। এতোক্ষনে সে হাঁটতে হাঁটতে মেইনরোডে চলে এসেছে।
মেইনরোডও মোটামুটি ফাঁকা। মানুষের চলাচল কম। দু চারটা বাস উড়ে যাচ্ছে। দুজন বাদামওয়ালা বসে আছে। বাদাম নিয়ে। শুভ এখন বাদাম কিনে খাবে।
এছাড়া আর উপায় কি। খাবারের দুইটা দোকান মেইনরোডে। সেগুলোও বন্ধ।
নাহ ভাগ্যটা আজ খুবই খারাপ তার। শুভর মনে হলো তিথি বাসায় থাকলে রাতের খাবারের জন্য এতটা উদ্বিগ্ন হতে হত না।
মোবাইল বাজছে তার। রাত্রির কলগুলো অদ্ভুত হয়।
বেশীরভাগ খারাপ খবর থাকে। নাম্বারটাও অচেনা । শুভ ভয়ে ভয়ে কল রিসিভ করল।
: হ্যালো, কে বলছেন?
: শুভ, আমি তিথির মা বলছি বাবা কেমন আছো?
: জ্বি, আম্মা ভালো, আপনি কেমন আছেন?
: ভালো আছি বাবা।
শুভ বুঝল না এত রাতে কল দেবার কারন কি। তিথি ঠিক আছে তো। তার ভেতরে একটা সংশয় রইল।
: বাবা তুমি একদিনও এলে না। তিথি এতদিন হয়ে গেছে এখানে আছে।
: জ্বি আসব।
: তুমি খেয়েছো বাবা?
শুভ ইতস্তত করছে। কি বলবে। মিথ্যাটা বলা ঠিক হবে না। কিন্ত বলতেই হবে।
: জ্বি।
: তোমার গলাটা ওমন লাগছে কেন?
শুভ সত্যি ধরা খেয়ে গেছে। তবুও সে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করল।
: না না আমি ঠিক আছি।
: ওহ। খেয়াল রেখো নিজের দিকে। তিথির শরীরটাও ভালো নেই। মেয়েটা এত চাপা কিছুই বলে না আমাকে।
ঠিক আছে বাবা, তুমি এসো কিন্ত সময় করে।
শুভর চিন্তাটা ঘনীভূত হচ্ছে। সে উদ্বিগ্ন হলেও জিজ্ঞাস করতে পারল না
কি হয়েছে তিথির?
কেমন একটা লজ্জা লজ্জা লাগল।
ফোনটা রেখে দেয় তিথির মা।
শুভ কিছুক্ষন চিন্তা করল। কি করবে এই মুহুর্তে।
তিথির জন্য মন কেমন করছে। এখন এত রাতে উত্তরায় যাওয়া পসিবল কিনা আরেকবার ভাবলো।
রাত বাড়ছে একটু একটু করে। নিশুতি রাতের নিথর সময়টা ভারী অন্যরকম। কেমন যেন খা খা করে বুকের ভেতর। তিথি ওপাশ ওপাশ করছে । কোন ঘুম নেই চোখে।
জানালা খোলা। বেশ ঠান্ডা বাতাস আসছে। তিথি কাঁথা জড়িয়ে নেয়। শুভকে একটা ফোন দেয়া দরকার। ফোনটা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করে রেখে দেয়।
একটা অভিমান এসে ভর করে।
একসময় দরজায় টোকা পড়ে।
তিথি কিছুটা বিরক্ত হয়ে জানতে চায়।
: কে?
: তিথি দরজাটা খোল মা।
মায়ের গলা শুনে তিথি বিছানা ছেড়ে উঠে আসে । এত রাতে মা ডাকছে। । কি কারনে। তিথি দরজাটা খুলে দেখে মা নেই। গা শিরশির করা একটা ঠান্ডা অনুভুতি শরীর বেয়ে নেমে আসে। বুক ধকধক করছে। সে দু কদম পিছিয়ে আসে। দোতলার এই রুমটা খুব নিরিবিলি। এমনিতে একটু ভয় ভয় লাগে। নীল আলোতে চারপাশের সব কেমন ভুতুড়ে দেখায়। তিথি ঝট করে দরজাটা ভিড়িয়ে দেবার আগে দেখল একটা ছায়ামূর্তি আস্তে করে রুমে ঢুকে পরেছে।
তিথি ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করতেই বুঝল কেউ তাকে জড়িয়ে ধরেছে। সে চেচিয়ে উঠতেই একটা শক্ত হাত ঠোট জোড়া চেপে ধরে।
গরম তপ্ত নিঃশ্বাস তিথির ঘাড় ছুঁয়ে যায়। তিথি চোখ মেলে দেখে শুভ। তিথির বিস্ময়ের সীমা রইল না।
কোন রকমে বলল।
: তুমি?
শুভ আলতো করে ঠোট ছুয়ে দেয় তিথির ঘাড়ে। তার হাত দুটো।শক্ত করে জড়িয়ে নেয়।
সে ফিসফিস করে কথা বলছে।
: বাসায় যাবে না?
তিথির চোখ ভরে পানি এল। রাগ হলো অনেক।
: না।
শুভ আরো জোরে আকড়ে ধরল।
: কি করেছি আমি?
: তুমি আমাকে,,
তিথি কথাগুলো শেষ করতে পারল না।
তার আগেই শুভ ঠোট চেপে ধরল।
: ভীষন ফিল করছি তোমাকে, চলো।
তিথি একেবারে চুপ হয়ে গেছে। শুভ দরজাটা বন্ধ করে দিয়েছে। তিথি এই প্রথম ভালো করে শুভকে তাকিয়ে দেখল। এলোমেলো চুল। মুখটা কেমন শুকিয়ে গেছে। চোখগুলোতে এত মায়া। তিথি আটকে যায় এই মায়ায় বারবার।
তিথির কানে বাজছে মায়ের কথাগুলো। “সংসার হলো সমুদ্রের মত বুঝলি এখানে ঢেউ থাকে। জোয়ারভাটা আসে। জোয়ারের সময় সব ফুলে ফেপে উঠে। তারপর ভাটায় সব মিলিয়ে যায়।
এটাই নিয়ম। এটাই বাস্তব সত্য।
বিঃদ্র- গল্পটা আরো বড় করার ইচ্ছে ছিল। কিন্ত সামনে বইমেলা। কিছু কাজ জমে গেছে। সেগুলো শেষ করতে হয়। তাই প্রিয় পাঠকদের কাছ থেকে সময় চেয়ে নিলাম। ইচ্ছে আছে আরো নতুন গল্প নিয়ে সামনে আসবো ইনশাল্লাহ।
আপনারা সকলে আমাকে অনেক অনুপ্রেরনা দিয়েছেন। পাশে থেকেছেন এটা আমার অর্জন। সবার জন্য এতো এতো ভালবাসা রইল।
তামান্না হাসান