দলিল – ২

0
296

দলিল – ২

ড্রাইভার জামান ফোন দিয়েছে ভোর পাঁচটায়।
শুভ তখন গভীর ঘুমে। ফোনের শব্দে ঘুম ভাঙতেই তড়াক করে লাফিয়ে উঠে সে।
চোখ কচলে দেখে পাঁচটা বাজে। ভোরের আলো ফুটেনি তখনও। আবছা আঁধার চারপাশে।

এদিকে ফোন বেজেই চলেছে। তড়িঘড়ি করে কল রিসিভ করল। ওপাশে জামানের কন্ঠস্বর ভেসে আসে।

: স্যার আমি আফনেগো গেইটে খাড়া।

: ঠিক আছে তুমি গাড়ি গ্যারেজে রাখো।

: স্যার গেইট বন করা। মনে অয় তালাও লাগান।
আমি উপরে দিয়া দেকছি আফনেগো দারুয়ান বেটা গ্যারেজে মশারী টাঙাইয়া গুমায়।

অদ্ভুত রকম কথাবার্তা। শুভ হেসে ফেলে।

: ভোর পাঁচটায় গেইটে তালা দেয়া থাকে জামান। ওয়েট। আমি ইন্টারকমে কল দিচ্ছি।

ফোন রেখে শুভ ড্রয়িংরুমে ছুটল। ইন্টারকমে কল দিয়ে দারোয়ান আনিসকে গেইট খুলতে বলে দিয়েছে।
কিছুক্ষন পর বিশাল আওয়াজ করে গেইট খোলার শব্দ হলো। গাড়িও ঢুকেছে গ্যারেজে ।

শুভ চটজলদি রেডী হতে হতে তিথিকে ডাকে। তিথি রুমে নেই। কখন উঠল টের পায়নি।
ওয়াশরুমে সেভিং ফোম মেখে শুভ গুনগুন গান ধরে। এমন সময় দরজা ঠেলে তিথি উঁকি দেয়।

: বের হও, আমি ফ্রেশ হবো।

শুভ রেজার টানছে গালে।

: উহু, সময় লাগবে।

তিথি তোয়ালে হাতে গেস্টরুমে যাচ্ছিল। পেছন থেকে শুভ চেচিয়ে ডাকছে।

: জাস্ট দশ মিনিটের মধ্যে বের হবা।

: এত তাড়া কেন?

: তিথি বাড়িতে একটার মধ্যে পৌছতে হবে।

: ওকে।

তিথি একটা মুচকি হাসি দিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ল। শুভ টেনশান করছে। কিন্ত সেটা তিথিকে বুঝতে দিচ্ছে না। আজকের সব টেনশান লুকিয়ে রাখছে। বেশ ভালো বুদ্ধি। তিথি শাওয়ার নিয়ে বেশ দ্রুত বের হয়ে আসে।

চুল মুছে টাওয়াল ব্যলকনিতে রাখতে গিয়ে টবগুলোর দিকে নজর যায়। শিউলি গাছটা নতুন লাগিয়েছে সে। মাত্র একমাস হলো। কি সুন্দর সবুজ পাতা ছাড়ছে। পাশে বেলী আর রঙন গাছটাও কি সুন্দর লাগে দেখতে। হাত ছু্ঁয়ে দেয় তিথি।

রুমে ঢুকে দেখে শুভ একদম রেডী।
: তিথি সব ঠিকঠাক নিয়েছো?

: হুম।

শুভ কালো টিশার্ট পড়েছে। সাথে জিন্স। হাতঘড়িটার চেইন লাগিয়ে ওয়ালেট মোবাইল চটপট তার ব্যাগে ঢুকিয়ে নেয়।
তিথি পড়েছে বুটিকসের সালোয়ার কামিজ। অফ হোয়াইট কালারের।
কোন মেকআপ নেই। শুধু চোখে কাজল দিয়েছে। খুব সিম্পল লুকস। তিথি এমন সাজেই থাকে বেশীরভাগ। তবে শুভ চাইছিল তিথি আজ আরেকটু সাজ করুক।
বউ মানুষ অত সাদামাটা হয় না। গ্রামের বাড়ির লোকজন হয়তো অন্যভাবে নিবে। কিন্ত তিথিকে বলতে পারল না।

শুভ প্রায় ভাবে তিথি আরেকটু ফর্সা হলেই পারত। ঠিক তার কলিগ সুহানার মত। সুহানার ধবধবে রঙ চোখে পড়ে। অফিসের সবাই এ নিয়ে আলোচনা করে। শুভর মন্দ লাগে না। সুন্দরী একজন মানুষকে নিয়ে পাশে বসলেও দু চারজন ঘুরে দেখে।
একটা অহংবোধ আসে।
তিথির সাথে বিয়ের আগেও শুভর এমন চিন্তা আসেনি। ইদানীং আসে।
শুভর পরিস্কার মনে আছে তিথিকে দেখার পর বাবা যখন হুঙ্কার দিয়ে বলেছিল ” আমাদের খান্দানে কোন কালো মাইয়া বউ হইয়া আসে নাই ”
সেদিন শুভ ভীষন রাগ করেছিল।
আজ মনে হয় বাবাই ঠিক ছিল। বিয়েশাদীর মত ইম্পরট্যান্ট বিষয়গুলোতে মুরুব্বীরা একদমই সত্যটা বলেন।

তবে মায়ের ভারী পছন্দ হয়েছিল তিথিকে। তিনি নিজের সোনার বালা জোড়া পরিয়ে তিথিকে দোয়াও। করেছিলেন।
শুভর অবাক লাগে মা ওমন রূপবতী হবার পরেও তিথির শ্যামবর্ণ নিয়ে গত তিন বছরে কোনই কথা বলেনি।
শুভ বুঝে গেছে তার মা চান ছেলে ভালো থাকুক। নিজের পছন্দের মেয়ে নিয়ে সুখে ঘর করুক। শুভও তিথিকে নিয়ে ভালোই আছে। তবে বোঝাপড়ার জায়গাটা কখনও কখনও জটিল হয়ে যায়।
এটাই সংসারের রীতি। মানিয়ে চলা কিংবা মেনে নেয়া।
যেমন বিয়ের সময় উথলে পড়া ভালবাসা ক্রমাগত ফিকে হয়।
এরপরও ভালবাসা চলতে থাকে।
কারন এটাই রীতি।
বাবা প্রায় বলত ” শুভ ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ডাক্তার না হয় ইঞ্জিনিয়ার মেয়ে বিয়ে করলো না কেন?
বড় আপা ইলোরা ঠোঁট টিপে বলেছিল ” বাবা শুভর অত চাওয়া নেই, দেখলা না কত সাধারন একটা মেয়েকে বিয়ে করলো।

ইলোরা তিথিকে পছন্দ করে না। এটা সুযোগ পেলেই শুভকে শোনাতো। শুভ প্রথম দিকে রাগ করলেও পরে অতটা আমলে নিতো না। আস্তে আস্তে তারও মনে হত পরিবারের চাওয়াটা বিয়ের আগে ভেবে নেয়ার দরকার ছিল। এতে শান্তি বজায় থাকে। মনোমালিন্য কম হয়।
শুভরা দুই ভাই বোন। সে ছোট। বড় ইলোরা।
বিয়ের পর ডাক্তার জামাই নিয়ে সেও কানাডায় সেটেলড হয়। এরপর বাবা মা দুজনকেই কানাডায় নিয়ে যায়।
তিথিকে ইলোরা প্রায় বলে ” শুভকে নিয়ে চলে আসো
কোথায় যে থাকো। কি আছে ওই দেশে।”
তিথি নিরব থাকে তখন। কারন নিজেদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিজেদের নেয়া উচিত।
শুভকেও বলেছিল। কিন্ত সে নিমরাজি।
বোন দুলাভাইয়ের ছায়ায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে না।

তিথি ইডেন থেকে মাস্টার্স করেছে তিথি। রেজাল্ট হয়েছে সদ্য। মা বাবার একমাত্র মেয়ে। উত্তরায় নিজের বাবার বাড়ি।
মিরপুরে সে ভাড়া ফ্ল্যাটে থাকলেও এ নিয়ে মনে কোন আক্ষেপ নেই।

মেইন দরজা লক করে লিফটে উঠে আসে শুভ। বেশ ফুরফুরে মুডে আছে ।গ্লাসে চোখ রেখে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে তিথির দিকে তাকায়।

: ভীষন মুডে আছো আজ।

শুভ হাসল।

: হুম।

ঠিক ছয়টায় গাড়ি স্টার্ট দেয় জামান।
টয়োটা প্রিমিও। রেড ওয়াইন কালার। ঝকঝকে গাড়ি।
পেছনের সিটে আরাম করে বসেছে তিথি।
মেইন রোডে উঠেই জামান বকবক শুরু করে। লোকটা শুভর পরিচিত ড্রাইভার। এর আগেও যতবার মময়মনসিংহ যাওয়া হয়েছে জামানের গাড়িতে গিয়েছে।

: স্যার বেড়িবাঁধ দিয়া যামু?

শুভ ইয়ারফোন গুজে আছে কানে। কিছুই শুনতে পায়নি।
তিথি পাশ থেকে খোঁচা মেরে দিতেই শুভ হকচকিয়ে যায়।
ইয়ারফোন খুলে জিজ্ঞেস করল।

: কি হয়েছে?

জামান আবারও প্রশ্ন করে বসে।

: বেড়িবাঁধ দিয়া যামু?

: যাও। তবে সাবধান। টার্ন নিতে গেলে স্পিড কমিয়ে দেবে।এত ফাঁকা রোডে দুম করে গাড়ি সামনে চলে আসতে পারে।

: জ্বি স্যার।

বেড়িবাঁধে গাড়িটা টার্ন নিয়েছে। স্পিড অনেক বেশী। ফাঁকা রোড পেলে ড্রাইভারদের হুশ থাকে না। তিথি মাথা এলিয়ে দিয়েছে সিটে। কি সুন্দর সকাল। দুচোখ ভরে দেখার মত। শনশন বাতাসে গাড়ি ছুটছে। তুরাগের টলমল পানিতে নতুন সূর্যির সকাল। পালতোলা নৌকা চলছে। এমন দৃশ্য খুব বিরল ঢাকা শহরে। কুয়াশার আবছা প্রলেপ সারা আকাশ জুড়ে। কেমন হিম হিম ভাব। ইশ! একটু ছুঁয়ে দিলে দারুন হত। কুয়াশা মুঠো ভরে তুলে আনা আর কি। নদীর পাড় ঘেষে ভারী যন্ত্রপাতি। নগরায়নের আয়োজন। তিথির মনে হল এতসুন্দর প্রকৃতিকে নষ্ট করার রাইট কারোর থাকার কথা না। কিছুদিন পর এই নদীর টলমলে পানি কিছুই থাকবে না। সেখানে ইট সুরকি সিমেন্টের ভবন উঠবে। আকাশ ফুড়ে সূর্যির আলো আর নদীতে পড়ে চিকচিক করবে না। সেই পানি মাটি দিয়ে ভরাট করা হবে। হরেক পদের সাইনবোর্ড লাগানো আছে। দখলদার বা মালিকপক্ষের।

: স্যার আইজকাই ফিরবেন নাকি থাকপেন?

: না না। আজই ফিরবো, কেন?

: না জিগাই।

: জামান অত স্পিড কেন?

তিথি বেশ বিরক্ত নিয়ে কথা বলছে। জামান একগাল হেসে উত্তর দিচ্ছে।

: ম্যাডাম আমার ওজনে গাড়ি চালাই। বিশ বছর অইয়া গেছে।

তিথি আশ্চর্য হয়ে যায়। কি আজব কনফিডেন্ট।

: বুঝেছি। তবে অত জোরে গাড়ি চালাবেন না।

জামান মুখ বন্ধ করেছে।

হঠাৎ করে গাড়ি স্লো হয়ে এলো। তিথির চোখ বন্ধ হয়ে এসেছিল। স্পিড কমে যেতেই সে জেগে উঠে।
জামানও আচমকা হৈ হৈ করে উঠে।

তিথি চোখ মেলে দেখে দীর্ঘ গাড়ির বহর। সারি সারি গাড়ি দাঁড়ানো। এতো কঠিন জ্যাম। কি কারনে এখানে জ্যাম তৈরী হলো বলা যাচ্ছে না। শুভ ইয়ারফোন খুলে ফেলেছে। চিন্তার ভাঁজ কপালে।
মিনিট খানেক পর সে জামানকে অধৈর্য হয়ে নামতে বলল।

: জামান কি হয়েছে দেখো তো।

গ্লাস নামিয়ে জামান মাথা বের করে। উল্টো পথে এলোমেলো প্রচুর গাড়ি আসছে।একটা আধভাঙা পিকআপ দেখে জামান চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করে।

: কি হইছে সামনে?

পিকআপে চৌদ্দ পনের বছর বয়সী একটা ছেলে বসা। চুল খাড়া। লাল রঙ লাগানো। ছেলেটা পান খাওয়া দাঁত বের করে ফিক ফিক করে হাসছে।

: ওস্তাদ গাড়ি মাইর খাইছে।

জামান চরম আনন্দিত এই খবরে।

: কি গাড়ি?

: ওস্তাদ টেরাক।

: হালায় আছে নাকি শেষ?

: মনে অয় শেষ।

ক্ষিক ক্ষিক করে জামান হাসছে। তার আনন্দিত ভাবসাব দেখে মনে হয় ট্রাকের সাথে জন্মের শত্রুতা।

শুভ গাড়ি থেকে নামল। বিশাল জ্যাম। অনেকটা দুর তারা চলে এসেছিল। বেড়িবাঁধ পেরিয়ে উত্তরা দিয়াবাড়ি পর্যন্ত। শুভর আফসোস হচ্ছে সামান্য রাস্তাটুকু পার হলেই টংগীতে চলে যেতো।
সেটা আর সম্ভব হলো না। অবস্থা যা দেখছে তাতে সহসা মুক্তি মিলবে ন।
তিথি গ্লাস নামিয়ে ফেলে। খুব বিরক্তিকর সময়। শুভ একা একা হাঁটছে। তিথিকে দেখেই হাত ইশারায় ডাকে।

: নেমে আসো।

তিথি নেমে পড়ে। কি সুন্দর জায়গা।

: কোথায় এলাম?

: দিয়াবাড়ি পর্যন্ত।

: চলো কিছু খেয়ে নিই।
শুভ সিগারেট ফু্কছে। তার চেহারায় টেনশান থাকলেও তিথির সাথে তা শেয়ার করছে না।
এখন সাড়ে সাতটা বাজে। শুভর প্ল্যান ছিল আটটা সাড়ে আটটায় গাজীপুর পৌঁছাতে পারলে।ওখানে হাইওয়ের পাশে গ্রাম্য পরিবেশে কোন খাবার ঘরে ব্রেকফাস্ট করে নিবে।
প্রতিবার তাই করে। খাবারের মান যেমনই হোক তাতেই সে সন্তষ্ট।

কিন্ত আজ সেটা সম্ভব হল না।
তিথি চোখ বুলিয়ে চারপাশে দেখে নেয়। ছোট বড় খাবারের অনেক ঘর। বাশ ছন দেয়া ছোট ছোট কটেজ। নানা নাম।

” ইরার খাবার ঘর, তটিনী বিলাস, তিথির ভর্তা ভাত হোটল”

: তিথির ভর্তা ভাত হোটলে?

শুভ বুঝল না। তিথি হাত উঁচিয়ে শুভকে সাইনবোর্ডটা দেখায়
শুভ হাসল।

: চলো তোমার হোটলে যাই।

তিথির মজা লাগল। ওরা খাবার ঘরে ঢুকে পড়ে। লোকজন কম। দু চারজন কাস্টমার বসা। চা চলছে। শুভ মেনু দেখে অসন্তুষ্ট। কিন্ত কিছু করার নেই। পেটের ক্ষিধে এতসব মানবে না।
পরোটা সবজির অর্ডার হল।
তিথি চেয়ার টেনে বসেছে। কি সুন্দর পরিবেশ। দূর থেকে গাড়ির বহর দেখে সময় কাটানো লাগবে।
জামানকে দেখা যাচ্ছে লোকজনের মাঝে।
জমিয়ে আড্ডায় ব্যস্ত। শুভ হাত নেড়ে ডেকে আনে।
লোকটা বকর বকর করতেও পারে।

সবজি পরোটা এলো। শুকনো করে ডাল সবজি মিক্স। মশলা নাই একদমই। চোখ মুখ বন্ধ করে খেতে হবে। তিথি দুটো পরোটা খেতে খেতে শুভ আরো দুটো অর্ডার করে বসে।
জামান সবজি খেয়ে ডিম পোচ চেয়ে বসে। দুটো ডিম পোচ চলে আসে।

খাওয়া শেষ করে শুভ সিগারেট ধরায়। তার মাথা কাজ করছে না। গাড়ির নড়াচড়া নাইই। কখন পরিস্থিতি ভালো হবে বলা মুশকিল। এখন নয়টা বেজে গেছে। ঘন্টাখানেকের মধ্যে জ্যাম না ছাড়লে মুক্তাগাছায় পৌঁছানো যাবে না।
শাকিল লিটনের সাথে গাড়িতে উঠেই কথা বলেছে। তারা বারবার বলেছে বেলা দুইটায় রেজিস্ট্রি অফিসে কাগজ জমা পড়বে।

তাই একটার মধ্যে না যেতে পারলে অনেক বড় ধরা খেতে হবে।
শুভ দুইটা সিগারেট শেষ করল। মাথাটা ফাঁকা।ফাঁকা।লাগছে।
এত বড় ঝামেলা হয়ে যাবে ভাবতেই পারেনি।
বেড়িবাঁধে জন্মেও সে জ্যামে পড়েনি। তাহলে এটাই তার ভাগ্য। নাকি তিথিকে ফাঁকি দেবার ফল সে হাত হাতে পেয়ে যাচ্ছে।
নাহ! শুভ আর চিন্তা করতে পারছে না। হঠাৎ করে তার মনে হল তিথিকে সবটা কি বলে দিবে?

কল এলো।

শুভ তড়িঘড়ি করে রিসিভ করে।

: বারেক কি খবর?

: কাকা আফনেরে কইছে একটার মদ্দে আইয়া পড়তে।
সাব রেজিস্টার বেডা দুইডার পরে আইজকা নাকি যাইবগা।

: ওহ, শিট।

শুভ কথা শেষ করে দেয়। সে এই মুহুর্তে কিছুটা অস্থির। কিছুক্ষন হাঁটাহাঁটি করে একটা জায়গায় গিয়ে বসল। গাড়ির জটলা বাড়ছেই। তিথি চলে গেছে। খাবার খেয়েই গাড়িতে গিয়ে বসেছে। জামান সিটে নাই।
রাস্তার পাশে বসা। শুভকে আড়াল করে সে সিগারেট টানছে।
শুভও আরেকটা সিগারেট বের করে।
ধোঁয়া টানতে হবে। সবটা টেনশান দুর করতেই হবে।

তামান্না হাসান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here