দুষ্টু বউয়ের ডেভিল বর,part:14,15
writer:Nurzahan akter allo
part:14
❤❤
সাদনান রুমে এসে দেখছে নুর ওয়াশরুমের দরজা খুলে উঁকিঝুকি মারছে,সাদনান নুরের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো আর নুর ঠাস করে দরজা আটকে দিল।আর কিছুক্ষন পরে আবার নুর উঁকি দিলো তখন সাদনান ওয়াশরুমে দরজার পাশে দাড়িয়ে ছিল,নুর সাদনানকে রুমে না দেখে খুব দ্রুত পায়ে শুধু টাওয়াল পেচিয়ে বের হয়ে, আলমারী খুলে ড্রেস বের করলো নাচতে নাচতে, নুর মনে করছে সাদনান বের হয়ে গেছে কিন্ত সাদনান দেওয়ালের সাথে হেলান দিয়ে,পকেটে এক হাত ঢুকিয়ে নুরের দিকেই তাকিয়ে ছিল।নুর পেছনে ঘুরেই দেখে সাদনানকে দেখে যে দেওয়াল ঘেষে দাড়িয়ে আছে,নুর একবার নিজের দিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে চিৎকার দিসে,আর সাদনান দৌড় দিয়ে ওর মুখ চেপে ধরছে,কারন নুরের বাপি আছে বাসায় না জানি কি না কি ভাবে?সাদনান নুরের দিকে তাকিয়ে দেখে নুর এখনো চোখ বন্ধ করে আছে,,.সাদনান নুরের কানে কানে ফিসফিস করে বললো,,
–
সাদনানঃআর কত রুপে আমাকে পাগল করবে গো দুষ্টু রাণী, তবে এই লুকে তোমাকে দারুন হট লাগছে,,,,
নুরঃউমমম উমমম[কথা বলতে পারছে না কারন সাদনান ওর মুখ চেপে ধরে আছে এখনো]
সাদনানঃউমমম উমম এটা আবার কেমন ভাষা,,, উফফ নুর সত্যি এখন তোমাকে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে,,
নুরঃ???
সাদনানঃতোমার মুখ আমি ছেড়ে দিচ্ছি একটা সাউন্ড যদি করো তবে এবার হাত দিয়ে তোমার মুখ বন্ধ করবো না।এবার ঠোঁটে ঠোঁট দিয়ে তোমার মুখ বন্ধ করবো,,মাইন্ড ইট
নুরঃ?? হুমম
সাদনানঃআমি কি তোমাকে কোন সাহায্য করতে পারি?
নুরঃঅসভ্য ছেলে তুই একটা কথাও বলবি না,লুচু, ডেভিল একটা???[ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে দৌড় দিয়ে]
সাদনানঃঅসভ্যতামির আর কি দেখলে?তোমার জন্যই তো আমি ডেবিল সেজেছি গো দুষ্টু রাণী, তবে এবার থেকে রোমান্টিক ডেভিল রূপে তোমার সামনে হাজির হবো??
–
সাদনান বসে বসে নুরের কথা ভেবে হাসছে,নুর এসে সাদনানের মুখের উপর টাওয়ার ছুড়ে মারলো,সাদনান নুরকে খুব সিরিয়াস ভাবে ডাকলো ফোনের দিকে তাকিয়ে, নুরও কিছু না ভেবে সাদনানের পাশে বসতেই সাদনান নুরকে বিছানার সাথে চেপে ধরে,,।নুর এমন বোকামির জন্য নিজেই নিজেকে গালি দেওয়া শুরু করলো,সাদনান দুষ্টু হাসি নিয়ে নুর দিকে তাকিয়ে আছে,,,
–
সাদনানঃআমি বলেছিলাম না আমার মুখে টাওয়াল এভাবে ছুড়ে মারবে না,তোমার শরীরের সেই মাদকতায় আমি যে কনট্রোল হারিয়ে ফেলি,এসব কি মুখে বলে বোঝাতে হবে,নাকি আমাকে এভাবে কাছে টানতে চাও আরে গাধী মুখে বললেই হয় আদর লাগবে,,
নুরঃএকদম ফালতু কথা বলবেন না,আপনি লুচু তাই সবাইকে লুচু ভাবেন,, আমাকে ছাড়ুন এত ওজন কেন আপনার?আপনি আসলেই জলহস্তী’ একটা,উফফ রে উঠুন আমার লাগছে,,?
সাদনানঃআমার খুব ইয়ে পাচ্ছে,,
নুরঃইয়ে পাচ্ছে তো ওয়াশরুমে যান,এখানে করবেন নাকি,,,
সাদনানঃআরে বোকা আমার খুব আদর আদর পাচ্ছে,,,
নুরঃআমার খুধা লাগছে আর এখন আপনার এসব ন্যাকামি বন্ধ করুন,,
সাদনানঃতোমাকে তো এখনো ভালো করে ধরি নি,,,তাহলে এত ছটপট করছো কেন?এত কথা না বলে একটু আদর দিলেই হয়,,
–
সাদনান নুরের গলায় মুখ ডুবায় আর নুর চোখ বন্ধ করে নেই,সাদনান নুরের গলার দিকে তাকায় একটা চিকন চেইন ওর গলাতে চিকচিক করছে,ফর্সা গলায় একটা ভাজ পড়ছে খুব মোহনীয় লাগছে দেখতে,সাদনান ডিপকিস করে আর ঠোঁটের দিকে এগোতেই
(আপনারা এভাবে হা করে তাকিয়ে আছেন কেন?ওদের রোমাঞ্চ করতে দিন,,,,,ওদের এভাবে ডিসটাব করবেন না,,??? ইসসস কেমনড্যব ড্যাব করে তাকিয়ে ওদের রোমাঞ্চ দেখছে,
এবার অামার কথা হাসছেন,,?
এখন এটা নিয়েই কমেন্ট করবেন বলে ঠিক করছেন তাই না,,??,
এবার খিলখিল করে হাসছেন, আস্তে হাসুন দাঁত খুলে যাবে,?,,
যা বাবা এবার ভাবছেন লেখিকাটা আসলেই দুষ্টু,,??,
আরে হাসি চাপিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন কেন? আপনি আমার কথায় আবারো হেসে ফেলছেন ,,?)
নুরের বাপি নুরকে ডেকে ওঠে,সাদনান নুরের চোখের পাতায় কিস করে,আর নুরের কানে কানে বলে,,,
সাদনানঃআর কত পালিয়ে বেড়াবে ম্যম,তুমি যত আমাকে দুরে সরিয়ে রাখবে,আমি তোমাকে তত কাছে টানবো,,
নুরঃবা বা বাপি ডাকছে,,, [লজ্জায় লাল হয়ে]
–
সাদনান নুরকে ছেড়ে দেই,সাদনানও সাওয়ার নিয়ে নেই আর সবাই একসাথে ব্রেক ফাস্ট করে নেই,সাদনান আর নুর আজ ওদের বাসায় চলে যাবে,নুরের বাপি জামাই আদর করা শুরু করে,একটা মাএ জামাই বলে কথা,বিভিন্ন ধরনের মাছ, মাংস, ফল, শাক সবজি উনি নিজে হাতে বাজার করে এনেছেন,সাথে সাদনানের বাসায় পাঠানোর জন্যও,কে না চাই এসব দিতে,তবে উনি ভারবেসে দিচ্ছে যদিও সাদনান এসবের কিছু জানে না এখনো,,,
–
নুরের মনটা খারাপ ওর যেতে ইচ্ছে করছে না,নুর ওর বাপির রুমে গিয়ে দেখে, নুরের বাপির রকিং চেয়ারে বসে আছে কপালের উপর এক হাত রেখে চোখ বন্ধ করে,,,নুর গিয়ে ওর বাপির পায়ের কাছে বসে পড়ে আর কোলে মাথা দেই,নুরের বাপির চোখ খুলে দেখে নুর,,উনি বুকের কষ্টটা চাপা দিয়ে, মুখে হাসি এনে চোখ ছলছল দৃষ্টিতে নুরের দিকে তাকিয়ে আছে,নুর ওর বাবার দিকে তাকিয়ে ভ্য ভ্য করে কেঁদে দিল,,,একটা বাবা জানে তার কলিজা টুকরো যখন বাড়ি ফাঁকা করে দিয়ে চলে যাই,তখন তার কেমন লাগে,,,
–
একটা মেয়ে যখন বাসায় থাকে,তার নুপূরের শব্দ, হাসির আওয়াজ, বাবার কাছে হাজারোও আবদার,দুষ্টুমি,রাগ,অভিমান সব মিলিয়ে বাড়িটা পরিপূর্ণ হয়ে থাকে,কিন্ত যখন বাড়িটা ফাকা করে চলে যাই,তখন বাড়িও মনে হয় কেঁদে ওঠে,,।
নুরের বাপি নুরকে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর কত কি বুঝাচ্ছে, ওদিকে সাদনান নুরকে না দেখে পেয়ে খোঁজা শুরু করলো,,,,।
সাদনান খুঁজতে খুঁজতে দেখে নুর আর ওর বাপি কথা বলছে,এজন্য সাদনান চলে আসতে গেলে নুরের বাপি সাদনানকে ডাক দেয়,সাদনান গিয়ে ওখানে দাড়ায় দেখে নুর কাঁদছে,সাদনানের খুব রাগ হলো নুরের চোখে পানি দেখে,,,,
–
বাপিঃসাদনান বসো বাবা,নুরের মনটা খারাপ এজন্য ওকে বোঝাচ্ছি,,,। মাথাতেই বড় হয়েছে একদম বুদ্ধি হয়নি, ওকে একটু দেখে রেখো বাবা,,
সাদনানঃবাপি আপনি একদম এসব নিয়ে ভাববেন না,আমি ওর পাশে আছি আর সারাজীবন থাকবো,,।আপনার পরের যদি ওর ছায়া হয়ে দাড়াই সে হচ্ছি আমি,আমি আপনার মত পারবো না ওকে সামলাতে তবে আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি ওকে আমি আমার বেষ্টটা দিয়েই আগলে রাখবো,,,
বাপিঃআমি জানি বাবা আর তোমার উপর আমার সেই বিশ্বাস আছে,,,।নুর চল লাঞ্চের সময় হয়ে গেছে,(ঘড়ির দিকে তাকিয়ে)
নুরঃবাপি আমার খেতে ইচ্ছে করছে না,??
সাদনানঃআমাদের তো বের হতে হবে তাই না,,,,
বাপিঃহুমম আমি দেখি ওদের খাবার দিতে বলি,তোমরা এসো কেমন,,
সাদনানঃজি আচ্ছা,,,
নুরঃ?? (মাথা নিচু করে বসে আছে)
সাদনানঃতুমি কি আমাকে ভয় পাচ্ছো?না মানে সকালে যেটা বললাম তার জন্য,,, ??(নুরকে হাসানোর জন্য)
নুরঃআপনাকে ভয় পাবো কেন?আমার ভাল লাগছে না এসব,,
সাদনানঃআমার তো তাই মনে হচ্ছে সেজন্যই তুমি এখন কাঁদছো,হাজবেন্ডের ভয়ে বউ কেঁদে দিছে যাতে যেতে না হয়,,???
নুরঃ আচ্ছা ফালতু না বকলে আপনার হয় না,আপনাকে আমার ভয় পেতে বয়েই গেছে,,
সাদনানঃওহহ তাই বুঝি,তাহলে এভাবে কাঁদছো কেন?আচ্ছা মন খারাপ করো না আদর দিয়ে সব পুষিয়ে দিবে কেমন,আর আমি তো আছি তোমার পাশে তাহলে এত মন খারাপ করছো কেন?তোমার এই পেচি মুখ আমার দেখতে ভাল লাগছে না,,
নুরঃচলুন খেতে চলুন,,
–
সাদনান আর নুর ওরা লাঞ্চ সেরে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে গেল,
চলবে,,,
দুষ্টু বউয়ের ডেভিল বর
writer:Nurzahan akter allo
part:15
❤❤
সাদনান আর নুর গাড়িতে গিয়ে বসলো,ওরা এবার বেরিয়ে পড়লো সাদনানের বাসার উদেশ্যে,সাদনান ড্রাইভ করছে আর নুর জানালার দিকে মাথা লাগিয়ে, বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে।সাদনান নুরের দিকে তাকিয়ে গান ধরলো,,
–
যে টুকু সময় তুমি থাকো পাশে
মনে হয় এ দেখে প্রাণ আছে
বাকিটা সময় যেন মরণ আমার
হৃদয় জুড়ে নামে অথৈই আধার
–
নুর সাদনানের দিকে তাকিয়ে একটা লজ্জা মাখা হাসি দিয়ে,সাদনানের দিকে তাকিয়ে বললো,
–
নুরঃআপনার গানের গলা খুব সুন্দর,,,আপনি গান নিয়ে কিছু ভাবলেও তো পারেন,,,
–
সাদনানঃনা তেমন ভাবে কিছু ভাবা হয়নি, টুকটাক পারি আর কি?গান ভাল গাইতে পারি মানলাম, আর আমি বুঝি সুন্দর না,,,একটু আমার প্রশংসা করতেও তো পারো,জানো তো নিজের বউয়ের কাছে নিজের প্রশংসা শুনতে খুব একটা মন্দ লাগে না।তুমি তো কিপ্টা মন খুলে বরের প্রশংসা করতেও পারো না।
–
নুরঃআমি তো সেটা বলিনি,সব কথা সবসময় বলতে নেই,কিছু কিছু জিনিস আছে মুখের উপর বললে,তাহলে যাকে বলি তার ভাব বেড়ে যাই,,,
–
সাদনানঃআজ তোমার থেকে আমি কিছু চাই,আর সেটা তোমাকে দিতে হবে,,আশা করি আমাকে ফিরিয়ে দিবে না
–
নুরঃহুমম বলুন শুনি আপনার কি চাই?আমার কাছে যদি থাকে তাহলে অবশ্যই দিবো কথা দিলাম,,??
(নিজের লাইফটা আপনার জন্য দিতে রাজি আছি,আপনি শুধু একবার চেয়ে দেখেন, আমি আপনাকে কখনোই ফিরিয়ে দিবো না।)
–
সাদনানঃ সত্যি তো পরে আবার কথা উল্টে দিবে না তো,প্রমিস করো,,,
–
নুরঃ হুমম,,, আপাতত বাচ্চা ছাড়া যা চাই তাই দিবো,,পাক্কা প্রমিস,,
–
সাদনানঃ???তুমি এত বেশি বুঝো কেন?বাচ্চার কথা আসলো কোথায় থেকে,আচ্ছা মুখটা বন্ধ করো আমি তোমাকে যা বলি মনোযোগ দিয়ে শোনো কেমন,,পুরো কথা শেষ না করা পযন্ত কোন কথা বলবে না কেমন,,,
–
নুরঃহুমম বলুন??
–
সাদনানঃনুর আমি চাই আমাদের এই পবিএ বন্ধনের
মাঝে ঝগড়া,অভিমান,রাগ, জেদ, সন্দেহ, এই পাঁচ টা জিনিসের জায়গা না দিতে,কারন এগুলো একটা রিলেশন ভেঙে দেই,এগুলো মনে পুষে রাখলে এটা বিশাল আকার ধারন করে, এবং একটা সময় বেষ্ট কাপলদের মাঝেও ফাটল ধরে,আমাদের মাঝে আমরা কেউ কারো কাছে থেকে কোন কথা গোপন রাখবো না,যে যত বড় ভুলই করুক আমরা সবার আগে দুজন দুজনের কাছে শেয়ার করবো।
আমরা আমাদের সম্পর্কটাকে নিজের মত করে তৈরী করবো,যেখানে অসীম ভালবাসা,দুষ্টুমি আর বিশ্বাস থাকবে।আমাদের এই পবিএ বন্ধনটাকে ঝগড়া,মারামারি,অবিশ্বাস এসব করে কাটাতে চাই না,আমি তোমার সাথে সুখের জীবন কাটাতে চাই,একসাথে চলতে চাই, দুজন দুজনের এক আত্মা হতে চাই,,,তোমার কাছে এটাই আমার চাওয়া প্লিজ নুর আমি তোমাকে এত পরিমাণ ভালবাসি যে, তোমার একফোঁটা চোখের পানি আমার মনটাকে ক্ষত বিক্ষত করে দেই,আমি তোমার মুখে হাসি হতে চাই,তোমার লজ্জা পেয়ে সেই লজ্জা পাওয়া মুখের হাসির কারন হতে চাই,,,
–
নুরঃহুমম [আজ আপনার এত মনোমুগ্ধকর কথা গুলো,অাপনার প্রতি আমার ভালোবাসা আরো হাজার গুন বেড়ে গেল,আপনার প্রতিটা কথা আমার মন ছুয়ে দিল,যে এত ভাল করে বোঝাতে পারে, সে কখনো অভিনয় করতে পারে না,যার কথায় পবিএতা খুজে পাওয়া যাই সেই কখনোই ঠক হতে পারে না,আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আমি আপনাকে আমার জীবন সঙ্গী হিসেবে পেয়েছি,সাদনান আই রিয়েলি লাভ ইউ,,আমি আপনারও বেষ্ট সঙ্গী হয়েই নিজেকে তৈরী করবো,,।মনে মনে)
–
সাদনানঃশুধু হুমম,,, আর কিছু না,আচ্ছা তোমরা মেয়েরা এত কথা লুকাও কেন?ভালোবাসো ভাল কথা,, মুখে বলে দিলেই তো পারো,এভাবে নিজেরাও কষ্ট পাও আর আমাদেরও কষ্টটা বাড়িয়ে দিয়ে,খুব মজা নাও,,।
–
নুরঃহুমম বলা শেষ আপনার,সব সময় বেশি বোঝা ভাল না,আর আগ বাড়িয়ে এত ভাবতে আপনাদের কে বলে শুনি?
–
সাদনান নুরের সাথে কথা বলছিলো আর ড্রাইভ করছিলো,ওদের কথা বলতে বলতে খুব জোরে বৃষ্টি চলে আসলো, সাদনানের ফোন আসলো গাড়িটা কেমন নিরিবিলি একটা জায়গাতে থামিয়ে ওখানেই এক সাইডে রেখে, ফোনে কথা বলা শুরু করলো,কথা বলা শেষে পাশ তাকিয়ে দেখে নুর নেই,সাদনান ভ্রু কুচকে নুরকে খোঁজার জন্য এদিক ওদিক তাকালো,গাড়িতে রাখা ছাতাটা বের করে গাড়ির সিটে বসেই নীচু হয়েই প্যান্টে কয়েকটা ভাজ দিয়ে জড়িয়ে নিল,আর খালি পায়েই গাড়ি থেকে নামলো।সাদনান জানে এখন নুরকে কোন রকম বৃষ্টিতে ভেজা থেকে আটকানো যাবে না,সাদনান ছাতা হাতে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দেখে নুর একটু দুরে একটা নদীর পাশে বসে আছে,আর কার সাথে যেন কথা বলছে,,
–
সাদনান ওর গাড়ি থেকে নামলো,আর নুরের কাছে এগিয়ে গেল,ওখানে গিয়ে দেখে কয়েকটা ছেলে মেয়েসহ কি যেন খাচ্ছে? যদিও ওদের পোশাক দেখে মনে হচ্ছে এরা কোন আদিবাসী হবে,কিন্ত এখানে কোন আদিবাসি থাকার কথা না,ওরা এখানে আসলো কি করে?এসব ভাবতে ভাবতেই সাদনান আরো কাছে গিয়ে দেখে,,নুর বসে বসে কি যেন খাচ্ছে?
–
আর কেমন থম মেরে বসে আছে,কিছুক্ষন পর পর হাসছে আবার কাঁদছে, সাদনান চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে,এতটুকু সময়ের ভিতরে এই মেয়ে এরকম কিছু ঘটিয়ে ফেলবে সেটা কল্পনাও করে নি,সাদনান ওখানে নুরের পাশে বসে নুরের মাথায় ছাতা ধরে,ভালো করে দেখে নুরের হাতে ভাং নামক কোন তরল নেশা জাতীয় কিছু,,,
–
সাদনানঃইয়া আল্লাহ এই মেয়েকে আমি সামলাবো কি করে?সুস্থ থাকতেই আমাকে পাগল করে দেই,আর এখন তো এসব হাজিবাজি খেয়েছে,, আমি এখন কি করবো বুঝতে পারছিনা?মন চাচ্ছে ঠাস করে চড় মেরে দেই,ফাজিল মেয়ে একটা,,
নুরঃভালবাসি খুব ভাল বাসি,,, আমার ডেভিলকে আমি খুব ভালবাসি,, i really love u sadnan,,,,i love my davil kinggggggggggg ,(চিৎকার করে,ওর নেশা হয়ে গেছে,তাই মাতলামো করে)
সাদনানঃ?? হুমম বুঝলাম,আমাকে বিপদে ফেলে আপনার এখন,ভালবাসা উতলে পড়ছে,,আর সেন্স থাকতে তো কাছে ঘেষেও দাড়ান না,,,
–
সাদনান নুরকে উঠানোর চেষ্টা করছে,আর নুর শক্ত হয়ে বসে আছে উঠতে চাচ্ছে না,কাদা মাটির ভেতরে একদম লেপ্টে বসে আছে,নুর সাদনানের হাত ধরে টেনে সাদনানকেও বসিয়ে দিল,আর সাদনানের হাত থেকে ছাতাটা কেড়ে ফেলে দিল,নদীর ধারে তারউপরে বৃষ্টি হচ্ছে, ঠান্ডা বাতাসে শরীর শিওড়ে উঠছে,,,,
–
বৃষ্টি মুষল ধারে হচ্ছে, থামার কোন নাম নেই,সন্ধ্যা হয়ে গেছে নিরিবিলি জায়গার কারনে আরো কেমন অন্ধকারটা বেশি মনে হচ্ছে, সাদনান ওঠে দাড়িয়ে আদিবাসীদের বানানো একটা তাবুতে গিয়ে কাউকে ডাকলো,যদি কাউকে পাওয়া যাই,সাদনানের ডাকে একজন মাঝ বয়সী মহিলা বের হলো আর সাদনান সব ঘটনা মহিলাটাকে বললো,সাদনান পকেটে হাত দিয়ে দেখে ফোনটা ভিজে একাকার অবস্থা, অনেক চেষ্টা করেও ফোন অন করা গেলো না,,,
–
মহিলাটি সাদনানকে একটা তাবু দেখিয়ে দিল, সাদনানের সাথে মহিলাটি এমন ব্যবহার করছে যেন অনেক দিন আগের চেনা,ব্যবহারেই কারো মনে জায়গা করে নিতে পারে সাদনান,,,,,,,,,সাদনান নিজেও ভিজে একাকার অবস্থা,নুরকে গিয়ে কোলে তুলে নিল আর নুর চার হাত পা ছুটাতে শুরু করলে সাথে ভ্য ভ্য করে কেঁদে দিল,সাদনানের কোল থেকেও নেমে গেল,আর সাদনানের গলা জড়িয়ে ধরে পায়ের উপর পা রেখে উপরে উঠলো,সাদনান নুরের কোমর জড়িয়ে ধরলো, নুরের কোন হুশে নেই,নিজেকেই সামলাতে পারছে না,বার বার পড়ে যাচ্ছে ।সাদনানের গলা জড়িত ধরে খুব আল্লাদি সুরে বললো,,,
–
নুরঃওই ভেভিল বর তোমার ঠোঁট খাবো,তোমার শরীরের মাতাল করা ঘ্রাণ খাবো,তোমার মনোমুগ্ধকর কন্ঠ খাবো,তোমার বুকের পশম গুলোও খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে,তোমাকেই আমি খেয়ে ফেলবো,,,তোমার কানের নিচে যে তিলটা আছে ওটাও খাবো,,আমাকে খুব করে টানে,,।আমাকে খেতে দিবে,আমি তোমাকে খেতে চাই,,???
সাদনানঃনুর এভাবে বলিস না রে বউ,আমি কখন না জানি নিজের প্রতি কনট্রোল হারিয়ে ফেলি,,,,তোমার কথা গুলো যে আমার বুকের ঝড় তুলছে,কি করে তোকে বোঝায় বলতো?
–
সাদনানের পায়ের উপর দাড়িয়ে ওকে এভাবে হেটে নিয়ে যেতে বললো,সাদনান নুরের কোমর ধরে ধীর পায়ে তাবুর দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো,নুর সাদনানকে থামিয়ে দিয়ে সাদনানের গালে কিস করে দেই,নুর এরকম পাগলামিতে সাদনানেরও কেমন পাগল -পাগল লাগছে,সাদনান নুরকে পায়ের উপর রেখেই আবার হাঁটা শুরু করলো,কারন এভাবে না গেলে নুর যাবে না তাই।সাদনানের বুকের মাথা দিয়ে, সাদনানের বুকের হাত দিয়ে দেখিয়ে নুর বললো,,
–
নুরঃএখানে শুধু আমার নাম বলছে,,,এই মন শুধু আমাকে চাই বলছে,এই নিঃশ্বাস, এই বার বার হার্টবিট গুলোও আমার নাম করছে,এই বুকে শুধু আমার জায়গা এখানে শুধু আমার বসবাস,,, তোমার সকল অনুভূতি, ভালবাসা,আদর, সব আমার জন্য, আমি কাউকে দিবো না,তুমি শুধু আমার,,
সাদনানঃহুমম রে দুষ্টু বউ আমি শুধু তোমার,আর কারো না,উপরওয়ারা ছাড়া, কেউ পারবে না আমাকে তোমার থেকে আলাদা করতে,,খুব ভালবাসি তোকে,,
অনেক ভেজে গেছে আর না এবার জর না বাধিয়ে বসো তুমি,আমার তো মন বলছে ভাং খেয়ে ঠিক করছো,আজ কত না বলা কথা গুলো জেনে নিলাম।আমাকে খাবে ভাবা যাই,,,???
–
সাদনান নুরকে কোলে তুলে নিল,তাবুর কাছে গেল,তাবুটা একটু উচু ডিবির উপরে, এজন্য পানি উঠেনি,তাবুর ভেতরে ঢুকে নুরকে কোন রকম শুয়ে দিয়ে,ওই মহিলাকে ডাকলো,কোনরকম কোন কাপড় দিতে বললো,,,যাতে নুরের শরীরটা মুছে দেওয়া যাই,,,,তা না হলে জর আসবে সিওর
কারন বৃষ্টি কমলেই ওরা গাড়ি করে চলে যেতে পারবে,কিন্তু এত সময় তো আর এভাবে ভিজা কাপড়ে থাকা যাবে না,মহিলাটা একটা শাড়ি ধরিয়ে দিল,,,,
আর নুরকে ড্রেস বদলে দিতে বললো,আর একটা গামছা দিয়ে ওর মাথা মুছে দিতে বলল,,,। সাদনান তো বলতেও পারছে না যে ও পারবে না নুরকে ড্রেস বদলে দিতে,যদি বলে তো এরা ভুল বুঝবে,কারন এসব আদিবাসীরা খুব খাতারনাক হয়,,,,যদি জানে তো মেরে পুঁতে দিতেও পারে কারন ওরা শহর ছেলেমেয়েদের এভাবে চলাফেরা পছন্দ করে না,,,
–
সাদনান শাড়িটা নিয়ে একবার নুরের দিকে তাকাচ্ছে একবার শাড়িটার দিকে, ব্লাউজ ছাড়া শাড়ি কেমনে পড়াবে,এরা কি করে পড়ে?তবে মুভিতে দেখছে নায়িকাদের পড়তে,, বাট কি করে পড়ে,,,এই নিয়ে আধা ঘন্টা পার হয়ে গেছে,,, সাদনান মাথায় হাত দিয়ে বসে থেকে তারপর উঠে নুরের ওড়না দিয়ে সাদনানের চোখ বেধে দিল,,,আর
চলবে,,,