দুষ্ট বউয়ের ডেভিল বর,Part:19(Last part)
writer:Nurzahan akter allo
❤❤
সাদনান আর নুর দুজনেরই পড়ে আছে, পিচ ঢালা সেই রাস্তায়,একটু অসাবধানতা জন্য ঝরে গেল দুটো জীবন,সাদনান আর নুরকে ওখানকার মানুষজন হসপিটাললে নিয়ে যাই,দু’জনেই খুব আঘাত পেয়েছে,,সাদনানের ফোন থেকে ওর বাবার কাছে ফোন যাই, আর ওদের দুজনের খবর জানাই,সাদনানের বাবা আর মা ওরা দৌড়ে যাই,ওদের একমাএ ছেলে সাথে তার বউ তাদের উপর দিয়েই বা কি যাচ্ছে?শুধু তারাই জানে,,
–
সাদনানের মা সাদনানের কথা শুনে হাউমাউ করে কেদে দিসে,ওরা হসপিটালে গিয়ে দেখে ওদের ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে,সাদনানের অবস্থা বেশি করুন,কারন সাদনান নুরকে জড়িয়ে ধরে ছিল আর সব কাঁচ এসে ওর মাথা সহ ওর শরীরে ঢুকে গেছে,নুরের বাপিকে ফোন দিয়ে সব জানানোর পর নুরের বাপি দৌড়ে আসে আর কেঁদে দেই,কয়েকটা দিন হলো বিয়ে হওয়া আর এর মধ্যে এত বড় একটা বিপদ,নুরের বাপির আর সাদনানের বাপি ওরা ডাক্তারে সাথে কথা বলছে,ওখানে না ওদের চিকিৎসা দরকার হলে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাবে,তাও ওদের যেভাবেই হোক ওদের দুজনকে সুস্থ করতেই হবে,কারন ওরা ওদের বাবা মায়ের জীবন,ওদের কিছু হয়ে গেলে ওরাই বা বাঁচবে কি করে?
–
সাদনানের আস্তে আস্তে রেসপন্স করা কমে যাচ্ছে, নুরেরও একি অবস্থা?ডাক্তার এসে ওদের বাবা মাকে জানাই ওদের অবস্থা আরো করুন হয়ে যাচেছ,ওরা বাঁচবে কি না বলতে পারছে না? সাদনান আর নুরে কিছু হয়ে গেলে,ওদের বাবা মা একবারে ভেঙে পড়বে,,,টানা চার ঘন্টা পর ডাক্তার ওটি থেকে বের হয়,নুর ভাল আছে কিন্ত সাদনান ভালো নেই,সাদনান রেসপন্স না করলে কোমাতে চলে যাবে।নুর আর সাদনানকে একই কেবিনে রাখা হয়েছে,ওদের পুরো শরীর bandej করা,ওদের বাবা মা নামাজের বসেছে একমাএ উপরওয়ালাই পারে ওদের এই অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে,ওদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকেও ডাক্তার আনা হয়েছে,নুরের কোন রিস্ক নেই বাট সাদনানকে নিয়ে সবার চিন্তা,,
–
১২ ঘন্টা পর নুরের সেন্স আসে,হাজারো কষ্ট আর ব্যাথা মাঝেও নুরের মুখে প্রথম বলা কথা ছিল,,সাদ,,, না,,নান
নুরের সেন্স আসাতে সবার মুখে হাসি ফুটলেও, সাদনান জন্য সবার বুক ফেটে যাচ্ছে, নুর সাদনানের কথা বার বার জিজ্ঞাসা করছে আর সবাই এড়িয়ে যাচ্ছে, নুর রেগে সব খুলে ফেলতে চাইলে, সাদনানের মা বাবা সামনে থেকে সরে যাই নুরকে সামনে দিকে তাকাতে ইশারা করে,নুর সাদনানের এই অবস্থা দেখে আবার সেন্সর হারাই,,,,
–
১বছর ৩ মাস পর,,
–
সাদনানঃনুর দেখো তোমার জন্য লাল গোলাপ এনেছি,এই নুর আর কত আমার উপর অভিমান করে থাকবে বলো না,কবে আমাকে ডেভিল বলে ডাকবে আমাকে একবার জড়িয়ে ধরো না নুর,একবার আমার কোলে মাথা রাখো না,কতদিন তোমার মুখের হাসিটা দেখি নি, কতদিন আবদার করো নি,নুর এভাবে আমাকে আর কষ্ট দিও না, একটা বছর তুমি কোমাতে আছো,তোমার সাদনান তোমাকে কত ভালবাসে তাও তুমি কেন রেসপন্স করছো না,ডেভিল বর বলে ডাকছো না।???
–
সাদনান নুরের হাত ধরে চোখের পানি ফেলতে থাকে,সেদিন নুর সেন্স হারানোর কারনে আজ নুর কমাতে,ওর ব্রেণ ইস্টক করে,,। একটা বছর নুর এভাবে বিছানায় পড়ে আছে,আর আল্লাহর রহমতে আর বাবা মায়ের চোখের পানির আর নুরের প্রতি ভালবাসার জোরে সাদনান ফিরে এসেছিলো।নুরের কমােতে থাকার পরেও সাদনানের ভালবাসা একটু কমে নি,বরং বেড়ে গেছে।তবে নুর একটু একটু করে রেসপন্স করে,আগের তুলনায়,,
–
আরো ৬ মাস পর,,,
আল্লাহর রহমত আর
উন্নত চিকিৎসা সাথে সাদনের ভালবাসার জোরে নুর উঠে দাড়িয়েছে,সাদনানের ভালবাসার জয় হয়েছে।তবে নুর যে খুব চেষ্টা করতো রেসপন্স করার সেটা,ওর চোখের পাতা ইঙ্গিত দিতো।আজ সাদনান আর ওদের নতুন ভাবে জীবন শুরু করতে যাচ্ছে, আর ওদের আর কোন চাওয়া নেই, শুধু আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া জানাই ওরা।
রিয়েল লাভগুলো ভালবাসা সাথে,দুঃখ, কষ্ট, সব থাকে, আর সেগুলো মেনে নিয়ে যে সফল হবে, সেই হবে প্রকৃত সুখী বাট কতজন পারে এমন সৌভাগ্য নিয়ে জন্মাতে,,।
–
(আমি জানি তোমরা ভাবছো,এতকিছু হলো লেখিকা ওদের রোমাঞ্চ করাচ্ছে না কেন?আরে বাবা রে ওয়েট করো,সব হবে,,,এত হাইপার হলে চলবে না ???????)
–
আজ আবার ওদের জন্য বাসরঘর সাজানো হয়েছে,কারন এত কষ্টের পর, আজ ওদের এক হওয়ার দিন।অনেক বাঁধা পেরিয়ে আবার ওরা এক হয়েছে,সাদনান রুমে ঢুকে দেখে নুর বারান্দার দাড়িয়ে আছে,সাদনান গিয়ে নুরকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে,সাদনান বুঝলো নুর কাঁদছে,সাদনান নুরকে সামনের দিকে ঘুরাতেই নুর সাদনানকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেই,আর সাদনানকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।সাদনানের পান্জাবী খামছে ধরে,সাদনান ব্যাথা পাচ্ছে তবুও সাদনান কিছু বলছে না,সাদনানও নুরকে জড়িয়ে ধরে।সাদনান নুরকে জড়িয়ে ধরেই বলে,,
–
সাদনানঃনুর এভাবে কাঁদছো কেন?আমি আর তুমি আবার এক হয়েছি,আমাদের ভালবাসা সত্যি ছিল,আমাদের দুজনের চাওয়া একছিল,এভাবে কেঁদে আজকের রাতটা তুমি নষ্ট করো না প্লিজ । আজ এতদিন বউ থাকতেও ব্যাচালার ছিলাম,আমাকে এবার সুযোগ না দিলে,আমি আমার অধিকারটা নিয়েই ছাড়বো,,।আর এভাবে নাকে পানি, চোখের পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিও না তো,,।আর এভাবে খামছে ধরছো কেন?তোমার এই নখ বসানোতে তো, আমি আরো কনট্রোল হারিয়ে ফেলবো,,
নুরঃআপনি আসলেই অসভ্য,,, মুখে কিছু আটকায় না তাই না☺☺
–
সাদনান নুরকে কোলে তুলে নিয়ে যাই,আর বেডে শুইয়ে দেই।নুর সাদনানের দিকে তাকিয়ে দেখে সাদনান দুষ্ট হাসি দিচ্ছে, নুর লজ্জা পেয়ে দুইহাত দিয়ে নিজের মুখ ডেকে নেই।আর সাদনান নুরের মুখ থেকে হাত সরিয়ে, বেডের সাথে চেপে ধরে,আর নুরের গলাতে মুখ ডুবায়,,, আজ ওদের ভালবাসার একটা রাত,নিজেকে আপন করে নেওয়া একটা রাত,,,সাদনান আর নুরের ভালবাসার পথ পাড়ি দেওয়ার রাত,,??,,।
–
(আর আমার জানা নেই,ইয়ে মানে আমি আর কিছু জানিনা,,আমি দৌড় দিলাম,আমি ছোট বাচ্চা আমার এসব জানতে নেই,,,।নিজ দায়িত্বে বুঝে নিবেন,,, ????
,আমি চানাচুর খাচ্ছে, আপনারা খাবেন,ঢেলে দেই,, যদিও দিতাম না,ওই আর কি ভদ্রতা দেখালাম???,আর ওদের দিকে আর তাকিয়ে লজ্জা দিবেন না,,,আজ আপনারাও কেমন জানি,হা করে তাকিয়ে আছেন ওদের দিকে,,)
–
ভাল থাকুক সাদনান আর নুর,বেঁচে থাকুক ওদের ভালবাসা।এভাবেই একসাথে পাড়ি দিক, সুখ দুঃখের পথ।এভাবেই ভালবেসে হাজার হাজার রিয়েল লাভ এর জয় হোক,সবাই তাদের প্রিয় মানুষ গুলোকে নিয়ে সুখে থাকুক,,
ধন্যবাদ সবাইকে, আপনার পছন্দের গল্প পড়তে ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প পেইজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন
সমাপ্ত,,