দূরে তুমি দাঁড়িয়ে -২,০৩,০৪
শানজানা আলম
০২
মণি এসে বারান্দার খাটের উপর বসেছে। মা অপেক্ষা করছিলেন, তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কী রে মণি, ডাকছিল ক্যান?
-পিঠা বানাইতে বলছে রাত্রে,
-ওহ, যাইস এটটু, ভাবী পারে না একলা একলা!
-যাইতে তো সমস্যা নাই, কিন্তু চাচী কেমন জানি ব্যবহার করে, ভাল্লাগে না!
-থাউক, গায়ে মাখিস না, আমাদের যে সময় যা লাগে ভাবী দেয়, মনে নাই, তোর ফর্ম ফিলাপের টাকা, আব্বা দিতে পারলো না, পরে তোর চাচীর কাছ থেকে ধার নিলাম।
-ধারই তো দিছে মা, এমনে তো দেয় নাই, পরে সেই টাকার জন্য তাগাদা দিছে কতদিন!
-থাউক, অসময়ে ধার কেডা দেয়!
মায়ের সাথে তর্ক করা বৃথা, মা রেনু চাচীর চামচা পুরা।
আব্বা কেন টাকা দেয় নাই, মণি বোঝে না। আব্বার দোকান চলে ভালোই। কিন্তু বাড়িতে সে তেমন টাকা পয়সা আনে না। মণি চুপ করে যায়। পিঠা বানাতে যেতে হবে, নাইলে মা সারাক্ষণই কানের কাছে বকর বকর করতে থাকবে।
সন্ধ্যা নামছে। বিকেলের দিকে এক পশলা বৃষ্টি হয়েছিলো। উঠান কাঁদা কাঁদা হয়ে আছে। মণিদের বাড়ির সামনেই একটা পুকুর। পুকুরটা জাহেদ ভাইদের। পুকুরের পাশ দিয়ে মণিদের বাড়ি ঢোকার চিকন রাস্তা। বর্ষাকালে ইট দেওয়া থাকে। সন্ধ্যাবেলায় হাঁসের দল একসাথে প্যাক প্যাক করতে করতে ঘরে ফিরছে।
সন্ধ্যায় একটু চা মুড়ি খেয়ে ও বাড়িতে যাবে বলে ঠিক করলো মণি।কিন্তু তার আগেই আবার ডাক পড়লো। মণি কিছু না খেয়েই গেলো পিঠা বানাতে। পিঠা বানাতে বসেছে ও বাড়ির কাজের বুয়া বিলকিস খালা। আর মণি, দুনিয়ার ময়দা মাখা হয়েছে। রাত পেরিয়ে গেলেও পিঠা শেষ হওয়ার কথা না। রেনু চাচী পানের ডিব্বা পাশে নিয়ে বসে একের পর এক বলে যাচ্ছেন, এটা গোল করলি কেন, ওটা সোজা হবে না৷ তিনকোনা একটা বানা তো!
মণি দু’ঘন্টা বসে বানিয়ে শেষ করলো। রাত প্রায় দশটা বাজে, ঘাড় মাথা ব্যাথা হয়ে গেছে। সব গুছিয়ে নিতে নিতে জাহেদ এসে পৌছালো বাড়িতে। রেনু চাচী ছেলেকে কী খাওয়াবেন সেটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। মণির দিকে খেয়াল রইলো না। তাদের খাবারের জোগাড়যন্ত্র দেখে মণি একফাঁকে বাড়িতে চলে গেল। রেনু মণিকে খেয়ে যেতেও বললেন না।
জাহেদের খাওয়া শেষ হলে, পিঠা গুলো দেখে বললো, পিঠা গুলা তো দেখতে ভালো হইছে, কে বানাইলো এত পিঠা?
রেনু তখন বললেন, আমরাই বানাইছি, কেডা আবার কাজ করবে। পাশ থেকে বিলকিস বলে উঠলো, আপনে তো ভাবী একটাও বানান নাই, ব্যাবাকটি মণি আফায় বানাইয়া থুইয়া গেল। ভাইজান খাইয়া দেখেন, পিঠা স্বাদও হইছে।
জাহেদ কথা বাড়ালো না৷ নিজের ঘরে চলে গেল। রুমিকে দেখতে আসবে বলে সে তাড়াহুড়ো করে বাড়িতে এসেছে।
★★★
মণি বাড়িতে ফিরে দেখে সবই রাতের খাবার খেতে বসেছে। মা জিজ্ঞেস করলেন, কি কি পিঠা বানাইলি?
-পাক্কন পিঠা মা!
-ওহ, খাইয়া আসছো তো?
মণির একটু রাগ হলো। ও ঠেস দিয়েই বললো, এখন তো পুরানা তরকারি নাই, খাইতে দিলে সাজো তরকারি দেওয়া লাগবো, তাই আর খাইতে বলে নাই!
মণির মা লজ্জা পেলেন৷ মণি বললো, খাইতে দাও মা, পিঠ ব্যাথা করতেছে।
মণিকে ভাত বেড়ে দিলেন রেবেকা। এতক্ষণ থাকার পরেও না খেয়ে আসবে বোঝেননি তিনি। খাইতে দিতো, আরেকটু সময় থাকলে, মেয়েটা থাকলো না। সে তো চাল একটু কম দিয়েছিলো!
ভাত খেতে খেতে মণি ভাবলো, অভাবে অভাবে মায়ের মাথা একদম খারাপ হয়ে গেছে, সারাক্ষণই কে কি দিবে, সেই চিন্তা। মণি প্রাইমারি স্কুলের পরীক্ষাটা ভালো করে দিবে, একটা চাকরি হলে এই টানাটানি কমবে কিছুটা। মনি দ্রুত খাওয়া শেষ করে উঠে পড়ে৷
ভাতের টান পড়লো না, রেনু বিলকিসকে দিয়ে এক গামলা ভাত আর ছোটো একটা টিফিন ক্যারিয়ারের বাটিতে মুরগির মাংস, চাল কুমড়োর তরকারি পাঠিয়েছেন। চারটা পিঠাও দিয়েছেন
মণির খেল না। রেবেকা তাড়াতাড়ি ভাত নিয়ে খেতে বসল। স্বামী ফিরলে আর আরাম করে খাওয়া হবে না। মানুষটা খেতে পছন্দ করে, বাটিতে ঝোল তরকারি যা থাকে, ঢেলে নিয়ে নেয়। এ নিয়ে প্রশ্ন করা যায় না।
মণি বসে খেয়াল করল, মা ভাত নিয়ে নিয়ে খাচ্ছে। আসলে বাড়ির রান্নায় তেল মশলা তেমন দেওয়া হয় না। কাঁচা মরিচ পেয়াজেই রান্না সারতে হয়। আব্বাকে দশ দিন বললে একটু একটু মশলা আনে। এ ঘর ও ঘর থেকপ রোজ রোজ তো আর চাওয়া যায় না।
মণির বাবা ফিরলেন অনেক রাতে। গায়ে একটা নতুন পাঞ্জাবী৷ মাথায় টুপি। আতরের ঘ্রাণ আসছে। কেমন যেন লাগল মণির।
আব্বা, ভাত দিব?
না না, খাইয়া আসছি। তোরা ঘুমা।
রেবেকা শুয়েছিল। উঠে আসতেই মনোয়ার বিরক্ত হয়ে গেলেন। আসা লাগবে না, ঘুমাও।
মনোয়ার থাকেন বারান্দায়। মধ্যঘরে রেবেকা মুক্তাকে নিয়ে ঘুমায়৷ মণি এদের সাথে শোয় না৷ ও পেছনে একটা চকি দিয়ে ওটার উপর বিছানা করেছে৷ পাশে একটা ছোট্ট টেবিলে বইখাতা রাখা।
জাহেদ ভাইকে অনেকদিন পরে দেখলো। আগের চাইতে দেখতে আরো ভালো হয়েছে, শহরের পানিতে লবন কম, শহরে গেলেই সবার রঙ খুলে যায়। জাহেদ ভাই একটু মোটাও হয়েছে। মণির সাথে জাহেদ কথা বলেছে খুব কম, অনেক দিন আগে একটা বই পড়তে এনেছিলো মণি, সেটার ভেতর একটা পাসপোর্ট সাইজের ছবি ছিল জাহেদ ভাইয়ের। সেই ছবিটা মণি রেখে দিয়েছিল। জাহেদ কোনোদিনও মণিকে খেয়ালই করে নি সেভাবে। যেন মণি নেই, বা অদৃশ্য কেউ! আচ্ছা জাহেদ ভাইয়ের কি কোন বান্ধবী আছে শহরে? সে নিশ্চয়ই খুব সুন্দরী, নিশ্চয়ই তার মতোই ধনী পরিবার! মনটা খারাপ লাগে, বেশি টাকার দরকার নেই, কিন্তু আরেকটু অবস্থা ভালো হতে পারতো মণিদের। কেন এত পার্থক্য হয় দুজন মানুষের, দুটো পরিবারের মধ্যে!
(চলবে)
শানজানা আলম
দূরে তুমি দাঁড়িয়ে-৩
রুমিকে দেখতে এলো চারজন। মণি যেতে চায় নি কিন্তু সকাল সকালই রেণু ডাকলেন আর মা জোরাজোরি করল। রেণু নিজে কিছুই করেন না। বিলকিস সব প্লেট বাটি ধুয়েমুছে রেখেছিল৷ মণির কাজ হলো সব নাস্তা সাজিয়ে দেওয়া। রুমি মণিকে খুব ভালো জানে। তাই রেনু চাচীর উপর বিরক্তি রুমির ক্ষেত্রে দেখালো না মণি।
পাত্র ডাক্তার। সুন্দর দেখতে, মা, বাবা আর এক চাচীকে নিয়ে এসেছে। রুমিকে পছন্দ হলো। আর সাথে সাথেই চেইন পরিয়ে দিলো।
জাহেদ ভাই একটা পাঞ্জাবী পরেছেন, কালো রঙের। গলায় চকোলেট সুতার কাজ করা। হাতে একটা কালো বেল্টের ঘড়ি। মণি আঁড়চোখে খেয়াল করে, বুকের মাঝে কেমন একটা লাগে কিন্তু কিছু করার নেই আসলে। মণি জানে, জাহেদ কখনো ওর দিকে তাকায়ও না।
রুমির শ্বশুরবাড়ির লোকদের আপ্যায়ন করার সময় মণির সাথে কয়েকবার কথা হলো।
মণি, পানিটা নিয়ে এসো।
মণি পিঠা উঠিয়ে দাও।
মণি নুডুলসটা গরম করে দিও।
এই টুকু কথায়ই মনে হলো মণির অনেক দায়িত্ব। জি, দিতেছি- বলে মণি সব গুছিয়ে দিলো। রুমিকে পছন্দ হওয়ায় সবাই খুব খুশি। রেণু চাচী ভীষণ হাসিখুশি। একবারো কোনো আজেবাজে কথা বলেননি। মণির মা এসে বসেছে পাকের ঘরে। রেণু ডেকে পিঠা মিষ্টি দিলেন। চা দিলেন। এটা দেখে মণির একটু মনটা ভালো হলো।
সবাই চলে গেল সন্ধ্যার আগে আগে। মণিও যাবে, বিলকিস বলল, একটু গুছাইয়া দিয়া যাও। খালাম্মা কিচ্ছু করবে নানে। সবটি আমার করা লাগবে। মণি আস্তে আস্তে বাকি খাবার, পিঠা সব গুছিয়ে বক্স করে দিলো। বিলকিস এটো থালাবাসন ধুতে কলতলায় চলে গেল। রেণু জাহেদের সাথে বসেছেন নিজের ঘরে। আরো কিছু সময় থেকে মণি সব গুছিয়ে রাখলো।
মণি বসেছিল পেছনের বারান্দায়। দাদীবু ঘুমাচ্ছেন অসময়ে। হঠাৎ মণি মণি শুনে মণির কান সজাগ হয়ে গেল। আড়ি পেতে শুনলো জাহেদ বলছে, তুমি তো কিছুই পারতে না মণি না থাকলে। কাল থেকে ও সব সামলে নিয়েছে। আজকেও সব কাজ গুছিয়ে দিলো।
মণির একটা ভালো লাগায় মনটা ভরে গেল।রেণু চাচী কোনো কথা বললেন না দেখে আরো ভালো লাগল। রুমি বলল, মণি খুব ভালো মেয়ে দাদা।
হুম৷ সেটাই দেখলাম। সব গুছিয়ে করেছে। রুমি, ওর জন্য একটা জামা কিনিস। খুশির খবর হলো যখন!
জামা কিনুক বা না কিনুক৷ এইটুকু কথায় মণির এত ভালো লাগল৷ ওর মনে হলো ও স্বপ্নে দেখছে।
রেণু বেঁচে যাওয়া খাবার দুই ভাগ করলেন৷ মণিদের বাড়িতে দিলেন আর বিলকিসকে। মণি চলে যাওয়ার পরে বিলকিস গিয়ে ডাকল।
-ও মণি আপা, এইদিকে আসো। এই বাক্সটা নিয়া যাও।
মণি বের হলো না। রেবেকা গিয়ে বাক্সটা নিয়ে এলো ঘরের ভিতরে।
-ও মণি, দেখছ কত কিছু দিছে?পাক্কান পিঠা তো খুবই মজা হইছে, তোর আব্বার জন্য রাখি। পুডিংও আছে দুই পিস। কত্ত গুলা মিষ্টি।
মণি এবারে নিচে এলো। বাক্সটা দেখে কেমন একটা লাগল, দুটো বক্স বের করে রেণু চাচী বলেছিলেন, ও বিলকিস, এই দুইটা ধুইয়া রাখ৷ বাড়িতে নিবি আনে কিসে!
তার মানে একটা তাকে দিয়েছে আরেকটা মণিকে। মনটা বিষণ্ণ হয়ে গেল। মণি আর বিলকিস কী একই রেণু চাচীর চোখে!
রাত দশটার দিকে মণির আব্বার কাছে দুইজন লোক এলো। তারা কী বলল, বোঝা গেল না। বাইরে গিয়ে ফিসফাস কথা হতে লাগল। মণি এত গুরুত্ব দেয় নি।
সাড়ে দশটার দিকে একটা মেয়ে এসে ঢুকলো বাড়িতে। সবুজ ধরণের কাতান শাড়ি পরা। মণির চাইতে বড় বা মণির বয়েসী হতে পারে।
আব্বা বললেন, রেবেকা, সাবিনারে ঘরে উঠাও। তোমার বোন লাগে।
মণির কেমন একটা লাগল, আব্বা বিয়ে করে নিয়ে আসছে!
চলবে
শানজানা আলম
দূরে তুমি দাঁড়িয়ে-৪
মণি বা মুক্তা দুজনেই হতভম্ব হয়ে বসে রইল। রেবেকা সুর করে কান্না শুরু করেছেন।
মণির কাছে বিষয়টা আস্তে আস্তে পরিস্কার হয়ে গেল। আব্বা বাড়িতে ঠিকঠাক টাকা পয়সা কোনোদিনই দেয় নি। আগে জানতো জুয়ার নেশা আছে। কিন্তু তলে তলে এই কাহিনি কতদিন, কে জানে! এত কষ্টের মধ্যেও মণির মনে হলো জাহেদ ভাই তো শুনবে! ছি ছি! কি লজ্জা!
তিন মা মেয়ে কোনো সাড়াশব্দ না করলেও লোকজন কিছু এলো বাড়ির উঠানে। উঠানে আলো জ্বালানো হলো। মণি উঁকি দিয়ে দেখল উকিল চাচা বিচার সভা বসিয়েছেন। না, মণির বাপ আলাদা মানুষ হতেই পারে, কিন্তু সংসারের কিছু নিয়ম আছে। বউ দুই মেয়ে রেখে আরেকটা বিয়ে করলেই সমাজের সবাই মানবে কেন।
এক কথা দুই কথায় মণির আব্বা স্বীকৃত হলেন দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এই মেয়ের বাড়ি আসা যাওয়া করতেন। মেয়ের আত্মীয় স্বজন জানতে পেরে জোর করেই বিয়ে দিয়েছে।
এত লজ্জা! কোথায় লুকাবে মণি!
আফজাল উকিল জিজ্ঞেস করলেন, মণির মা কী চায়? সে বলুক এখন কী করণীয়?
রেবেকা কথা বলার অবস্থায় নেই। তবু তাকে ধরে আনা হলো। মাথা তুলে সে বলল৷ এই ঘরে আমি আমার মেয়েদের নিয়া থাকব। এটুকু বলে সে পড়ে গেল। মণি মুক্তা তাকে ধরে ঘরে আনতে গেল।
আফজাল উকিল বললেন, মনোয়ার, তুমি অন্যত্র বাসা কইরা এই বউ নিয়া থাকো। মনির মা দুই মেয়ে নিয়ে এখানে থাকুক। প্রতিমাসে তুমি ওদের বাজার সদাই ভরণ পোষণ দিবা।
এই সিদ্ধান্ত হলে মণির আব্বা চুপচাপ মেনে নিলেন আপাতত। রাতে তো আর যাওয়ার জায়গা নেই, তাই নতুন বউ নিয়ে বাড়ির বারান্দা জায়গা নিলেন। পুরো সালিশে সাবিনা একটা কথাও বলল না।
রেবেকাকে ঘরে এনে শুইয়ে দিলো মণি মুক্তা। বাড়ি ভরা লোকজন। বেশিরভাগই মজা দেখতে এসেছে। বয়স হয়ে যাওয়া মহিলা প্রতিবেশীরা নিজেরা গা টেপাটেপি করছে৷ আগে ট্যার পায় নাই?
না, সত্যিই টের পায় নি, অথবা সহজ সরল রেবেকা বুঝতে পারেনি৷ বছর কয়েক ধরেই তার স্বামী সংসারে উদাসীন।
ও বাড়ি থেকে দেওয়া পিঠা পুডিং পরে রইল, কারো খাওয়া প্রবৃত্তি হলো না।
রেবেকা ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুম হলো না মণির। পরদিন কীভাবে সবাইকে মুখ দেখাবে, এই চিন্তায় আচ্ছন্ন হয়ে রইল। বাপের বউয়ের মুখও দেখে নি। পাশের বাড়ির চাচীরা বউয়ের ঘোমটা সরিয়েছিল। কম বয়সী একটা মেয়ে। তাও ভালো মুখ খোলে নি। কিছুই করার নেই, সবই মানিয়ে নিতে হবে। যে যাই বলুক চুপচাপ সহ্য করতে হবে।
সকাল হলো যেন অনেক দেরীতে তবুও মণির মনে হলো আরো একটু দেরী হোক। শেষ রাতে চোখটা লেগে এসেছিল।
সাতটার দিলে বিলকিস এসে মণির ঘুম ভাঙালো। রেণু চাচী ডাকছেন। রেবেকা তখনো ওঠেনি। সামনের বারান্দায় খিল দেওয়া। মণি ঘাট থেকে চোখে মুখে পানি দিয়ে রেণু চাচীর কাছে গেল। সকালে ভাত চড়াতে হবে, কলেজে আজ যাওয়া হবে না। মায়ের শরীর কেমন হয়, কিছুই বোঝা যাচ্ছে না৷
চলবে