দ্বিতীয়_জন পর্ব ১

0
1395

দ্বিতীয়_জন
পর্ব ১
#Meherika_Ayat (আরাধ্যা)

অনুর বিয়ে হয়েছে ৪৮ দিন হলো।
এই ৪৮ দিনের ৪০ দিনই অনু বাবার বাড়িতে ছিল। অনুর বাবা মুদি দোকান করে গ্রামে।
অনুর আর কোন ভাই বোন নেই। অনুর বয়স মাত্র ১৭ বছর। SSC পাশ করতে না করতেই অনুর বিয়ে দিয়ে দিয়েছে ওর পরিবার। টানা – টানির সংসারে মেয়ের জন্য এতো ভালো পাত্র পাবে সালমান সাহেব
(অনুর বাবা)
ভাবতেই পারেন নি। তাই আর দেরি না করে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিলেন।
.
অনুর বিয়ে হয়েছে ঢাকার বড় শিল্পপতি আনোয়ার হাসানের একমাত্র ছেলে আদিত্য হাসানের সাথে। আদির বয়স ২৮। আদিত্যর আগে এক বিয়ে হয়েছে। আদিত্য দেখতে খুবই সুদর্শন এক যুবক। ভদ্রতা নম্রতা চরিত্র সব দিক দিয়ে আদিত্য পারফেক্ট। তবে খুবই গম্ভীর স্বভাবের মানুষ সে। প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে বলতে পছন্দ করে না আদি।
আদিত্যের একটা বোন আছে, আনহা।
বেশ মিশুক মেয়ে টা । সে হোস্টেলে থাকে পড়ালেখার জন্য।
আদির বাবা মা দুজন লন্ডন থাকে আদিত্যের দেশে থাকতেই ভালো লাগে তাই দেশের ব্যবসা আদিত্যই দেখে। আদিত্যদের এতো বড় বসায় কেউ নেই বলে অনু ওখানে যেতে চায় না।
.
তবে আজ অনুকে নিতে আদিত্য এসেছে।
আদি বসে আছে অনুদের ড্রয়িংরুমে।
অনুঃ আমি যাবো না মা, ওখানে আমার একা একা ভালো লাগে না।
আয়েশা বেগমঃ না মা, তুই এমনিতেও বিয়ের পর থেকে ও বাড়িতে তেমন যাস নি।
আর বিয়ের পর মেয়ের আসল বাড়ি হচ্ছে তার স্বামীর বাড়ি। (অনুর মা)
অনুঃ কিন্তু মা,
সালমান সাহেবঃ কোন কিন্তু না,
ছেলে টা কতক্ষণ থেকে বসে আছে। আজ থাকতে বলেছি, তার নাকি কি কাজ আছে তাই থাকতে পারবে না।
অনু তুমি এখন বড় হয়েছ, এভাবে বাচ্চামু করা তোমাকে মানায় না।
অনু আর কোন কথা বলল না,
রেডি হয়ে আসলো।
অনুঃ মা আমি যাচ্ছি, অনেক জ্বালিয়েছি তোমাদের পারলে ক্ষমা করে দিও। আর আসবো না তোমাদের কস্ট দিতে।(কেঁদে কেঁদে)
আয়েশা বেগমঃ এমন কেন বলছিস মা,
তুই যাতে ভালো থাকিস তাই এতো বড় ঘরে বিয়ে দিলাম তোকে। তুই এভাবে কাঁদলে ভালো লাগে বল?
অনুঃ আমি সব বুঝি,
যাচ্ছি।
সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।
.
অনু গাড়িতে বসে জানালার দিকে তাকিয়ে আছে আর কেঁদেই চলেছে। আদিত্য ড্রাইভ করছে।
আদিত্যঃ এভাবে কাঁদছো কেন? আমরা কিছু দিন পর আবার এখানে আসবো।
অনু চুপ কিচ্ছু বলছে না।
আদিত্যঃ আচ্ছা, আইসক্রিম খাবে?
অনু লাফিয়ে উঠে বলল,
আইসক্রিম?
আদিত্যঃ হুম,
অনুঃ খাবো।
.
কিছুক্ষণের মধ্যেই ওরা আদিত্যদের বাসায় এসে পৌঁছালো।
বিশাল একটা গেট দুজন দারোয়ান খুলে দিল, আদিত্য গাড়ি নিয়ে ঢুকলো।
আদিঃ আমি গাড়ি টা গেরেজে রেখে আসি,
তুমি ভেতরে যাও।
অনুঃ আচ্ছা।
বাসার ভেতর থেকে টুনি এসে বলল,
বউমণি আপনি আইছেন?
এটা আমার হাতে দেন। চলেন আপনেরে ভেতরে নিয়া যাই।
প্রায় একমাস আগে অনু এই বসায় এসে ছিল তাও দুদিনের জন্য।
কেমন সব নতুন নতুন লাগছে ওর।
অনু আদির রুমে বসে আছে।
আদিত্যঃ তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও আর কিছু খেয়ে রেস্ট নাও। আমার অফিসের কাজ আছে আমি স্টাডি রুমে আছি। কিছু লাগলে টুনিকে ডেকে নিও।
অনু ফ্রেশ হয়ে একটা শাড়ি পরে নিল।
খাটের উপর শুয়ে কখন যে ঘুমিয়ে গেল অনু।
ঘুম থেকে উঠে দেখলো আদি স্টাডি রুমে নেই।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে।
অনু নিচে নামলো,
পাখিঃ আরে বউমণি আপনে? কিছু লাগবো?
অনুঃ না এমনিতেই, সারাক্ষণ রুমের ভেতর আর ভালো লাগে না।
অনু কিছুক্ষণ হাটাহাটি করলো তারপর উপরে চলে গেল।
রাত প্রায় ১১ টা
বাসার কাজের লোক গুলো ঘুমিয়ে গেছে।
অনুর কেমন যেন ভয় করছে।
অনু রুমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।
হঠাৎ দরজায় কেউ নক করলো।
চলবে…….
.
(গল্পটা 1 তারিখ থেকে দিব ভেবেছিলাম।
কিন্তু আজকেই দিয়ে দিছি। ২ /৩ দিন পর পর দিব। প্রতিদিন দেওয়া সম্ভব হবে না। লেখা কেমন হইছে জানি না। আপনারা বললে পরের পর্ব দিব।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here