দ্বিতীয়_জন পর্ব_৭

0
3010

দ্বিতীয়_জন
পর্ব_৭
#Meherika_Ayat_(আরাধ্যা)
অভিকঃ শুন তাহলে,
আমার একসিডেন্ট এর পর আদি প্রায় পাগলের মতো হয়েগেছিল।
আর আমার লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি,
তাই জানাজাও পড়াতে পারেনি বলে আমি আজ এই ভাবে আছি।
এর পর আদির কষ্ট দেখে আমি ভেবেছিল,
ওকে আমি আমার সাথে নিয়ে আসবো।
ও আমার সাথে ভালো থাকবে।
আমি জানি ও আমায় ছাড়া বাঁচতে পারবে না।
কিন্তু এরই মাঝে রিহা ও আদির বিয়ে হয়।
সবাই ভাবে আদি ঠিক হয়ে গেছে, কিন্তু না আদি মোটেও ঠিক হয়নি তখনও। রাতের গভীরে ওর কান্না গুলো শুধু আমি আর পশু পাখি ছাড়া কেউ দেখতো না।
তাই আমি ভেবেছিলাম ওর সামনে আসবো,
ওর সাথে কথা বলল।
কিন্তু রিহা মেয়েটা ওকে ১ মিনিট ও একলা থাকতে দিতো না। সারাক্ষণ ওর আগে পিছে থাকতো।
অনুঃ তাই বলে আপনি রিহাকে মেরে ফেললেন?
অভিকঃ আমি রিহাকে মারিনি, ও নিজেই মরে গেছে ভয়ের চটে। সেদিন আমার রুমে সে আমার ভয়ংকর রূপ দেখেছিল,
আর সেদিনই ও মরে গেছে।
আমি শুধু ওকে ভয় দেখিয়ে তাড়াতে চেয়েছিল,
এই বাড়ি থেকে।
অনুঃ তাহলে এখন আপনি কি চান? আমাকে ও তাড়াতে চান? নাকি মারতে চান?
অভিক অনু একদম কাছে চলে এসে বলল,
অনু তোমাকে আমি ভালোবাসি, খুব ভালোবাসি।
অভিক অনুকে ছুঁয়ে বলল,
এই যে দেখছ আমাকে তোমাকে ছু্ঁতে পেরিছি।
কারণ আমি আদির শরীরে আছি।
আমার নিজের কোনো শরীর নেই, তাই কাউকে ছুঁতে হলে আমাকে আদির মাঝে আসতে হবে।
কাল রাত থেকে আমি আদির ভেতরই আছি।
আর আমি ভেবে নিয়েছি, আমি এভাবেই থাকবো। তোমার সাথে আদির সাথে।
কথা বলেই অভিক অনুর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিল।
অনু ছোটার আপ্রাণ চেষ্টা করেও পারলো না,
২০ মিনিট পর অভি অনুকে ছাড়লো।
অভিঃ এতো ছোটাছুটি করছো কেন?
আমি আদিত্য আর আমি অভিক।
আর একটা কথা মনে রেখো, কলিজা।
যদি কোনো ভাবে তুমি আমাকে তাড়ানোর ফন্দি আঁটো, তাহলে তুমি আদিকেও হারাবে।
.
অনু নিচে চলে গেল,
সে বসে বসে ভাবছে এভাবে তো চলে না।
যে করেই হোক অভিক ভাইয়াকে নিজের আসল জায়গায় পৌঁছাতেই হবে।
টুনিঃ বউমণি আন্নেরে একখান কথা কওনের ছিল, আন্নে বিশ্বাস করবেন নি তা জানিনা।
তবে আমার মন কইতাছে এটা হাসাই ঘটের।
অনুঃ কি বলবে বল।
টুনিঃ আসলে বউমণি,
কাইল রাইতেরতে দেখছি যে, আদি ভাইজান দাঁতে দাঁত কাটতেছে। কিন্ত এই কাম খান তো ছোড থেইক্কাই অভি ভাইজান করতো। আর হেমনেই আদি ও অভি ভাইজান রে চিনন যাইতো।
আমার মন কইতেছে এতেন আদি ভাইজান না,
অভি ভাইজানের ভুত।
অনু মনে মনে বলল, তুমি ঠিকই ধরেছ টুনি।
আদির ভেতর এখন অভি ভাইয়ার ছায়া আছে, আর তাই আদি সব কাজই অভি ভাইয়ার মতো করছে।
কিন্তু আর নয় খুব তাড়াতাড়িই এই খেলা শেষ হবে।
টুনিঃ কি ভাবেনের বউমণি?
অনুঃ কিছু না, তুমি যা ভাবছো তা তোমার মনের ভুল টুনি। এমন কিছুই না, আদি ঠিক আছে।
টুনিকে তো একটা বুঝিয়ে দিলাম, কিন্তু আমি কি করবো এখন? মনে মনে বলল অনু।
.
অনু নিজের রুমে গিয়ে দেখলো, আদি রুমে নেই। উঁকি দিয়ে দেখলো সে অভিকের রুমে আছে।
এটাই সুযোগ, যা করার এখনই করতে হবে।
বলেই অনু নিজের রুমে গিয়ে দরজা লক করে দিল।
তারপর হুজুরের নাম্বারে একটা মেসেজ পাঠালো।
মেসেজ টা দিয়ে অনু পিছন ফিরে দেখলো…
চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here