ধর্ষনের দাগ?,প্রথম_পর্ব

0
5639

ধর্ষনের দাগ?,প্রথম_পর্ব
লেখক_নিহান হোসেন নীল?

আনহা বিছানা থেকে উঠে সোজা নিহানকে জড়িয়ে ধরে.. ওর ঠোঁটের সাথে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দিলো। নিহান আনহার উষ্ণ ঠোঁটের ছোঁয়া পেয়ে.. আনহাকে জড়িয়ে নিলো নিজের বাহুডোরে। আনহা যখন নিহানের ঠোঁট ছেড়ে দিলো.. তখনই নিহান আনহাকে কোলে করে নিয়ে.. বিছানায় শুয়ে দিয়ে নিহানও আনহার পাশে শুয়ে.. আনহাকে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে.. অন্য হাত দিয়ে আনহার শরীরের বিভিন্ন জাগায় সুরসুরি দিচ্ছে। অনেক সুন্দর অদ্ভুদ এক অনুভূতি হচ্ছে আনহার। আনহা বার বার কেঁপে উঠছে নিহানের এই স্পর্শে। আনহা অারো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো নিহানকে। নিহান আনহাকে আরও কাছে টেনে এনে খানিকটা উপরে তুলে আনহার ঠোঁটে অালতো করে একটা কিস দিলো। আনহা আবার কেঁপে উঠল নিহানে ঠোঁটের স্পর্শে।

নিহানঃ জানু.. তোমার লিপস্টিক পঁচা!!

আনহাঃ পচাঁ!! তারপরেও তোহ তোমার জ্বালায় আমি ঠিকমত ঠোঁটে লিপস্টিক রাখতেই পারি নাহ!” একদম সব খেয়ে সাবার করে ফেলো!!

নিহানঃ হুহ.. তোমার লিপস্টিক খেয়ে.. এখন আমার পেট ব্যাথা করছে!!

আনহাঃ একদম.. ঠিক হয়ছে!!

কথাটা বলেই আনহা নিহানকে দেখিয়ে ঠোঁটটা ভেংচি কাটল। আনহাকে ভেংচি কাটতে দেখে নিহান আনহাকে বুকে টেনে নিয়ে.. আবার ওর ঠোঁটে চুমু দিলো।

আনহাঃ আমার লিপস্টিক খেলে কিন্তু আবার তোমার পেটে ব্যাথা বেড়ে যেতে পারে??

নিহানঃ পেট ব্যাথা কমানোর জন্য তোহ.. তোমার মত সুন্দরী একটা বউ আছেই।

আনহাঃ অনেক হয়ছে.. এখন ছাড়ো আমাকে!!

নিহানঃ কেনো??

আনহাঃ এখনো আমারর অনেক কাজ বাকী আছে।

নিহানঃ আজকে তোমার কোনো কাজ করতে হবে নাহ!!

বলে আমি আনহাকে আমার আরও কাছে টেনে নিয়ে আদর করতে থাকি। আনহা আমার আদর উপভোগ করছে.. আর বলছে,,,,

আনহাঃ তাহলে কি খাবে আজকে??

নিহানঃ রেস্টুরেন্টে থেকে গিয়ে খেয়ে আসবো আজকে!!

আনহাঃ বাসায় বউ থাকতে.. তুমি রেষ্টুরেন্টে যাবা কেনো??

নিহানঃ কারন তোমাকে আমি ছাড়বো নাহ!!

আনহাঃ কেনো.. ছাড়বা নাহ??

নিহানঃ এখন আমি তোমার লিপস্টিক খাবো.. তাই।

কথাটা বলেই নিহান আবার আনহার ঠোঁটে সাথে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দিলো। আনহাও কম কিসে.. আনহাও নিহানের প্রত্যেকটা চুমুর রেসপন্স করছে আর নিহানকে চার হাত-পা দিয়ে জড়িয়ে ধরে রাখছে।

নিহান আর আনহা বিয়ে করছে ১মাস হতে চলল। পারিবারিক ভাবেই তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। নিহান যখন ছোট.. তখনিই তার মা-বাবা তাকে ছেড়ে.. নাহ ফেরার দেশে চলে গেছে। নিহানের দাদুই নিহানকে ছোট থেকে বড় করেছে। নিহান ইন্টার পরীক্ষা দিয়ে দাদুকে একা রেখেই আমেরিকা চলে যায় পড়াশোনার করার জন্য। নিহান পড়াশোনা শেষ করে আবার দেশে ফিরে আসে.. নিজের দাদুর কাছে।

নিহান একদিন সকালবেলা হাটতে বের হয়.. আর তখনই সে আনহাকে প্রথম দেখতে পায়। আনহার হাসি দেখেই নিহান আনহার প্রেমে পরে যায়। নিহান বাসায় গিয়ে তার দাদুকে আনহার কথা বলে। নিহানের দাদুও নাতিকে আর নাহ করতে পারে নি!! তাই সে নিজেই গিয়েই আনহার বাবার সাথে এইসব বিষয়ে কথা বলে। আনহার বাবা এমন সুযোগ্য পাত্র মোটেও হাত ছাড়া করতে চাই নি!! তাই তখনই তাদের পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেওয়া হয়।

এই কয়দিনের মধ্যে নিহান আর আনহা.. একজন আরেকজনের অনেক আপন হয়ে গেছে। সারাক্ষণ দুজন দুজনের সাথে খুনশুটি নিয়ে মেতেই থাকে। নিহানের দাদুও নিহানকে এতো খুশি দেখে.. তিনিও অনেক খুশি!!

রাতের নিহানের দাদু.. নিহান আর আনহা একসাথে ডিনার করতে বসল। নিহান আর আনহা টেবিলের এক পাশে বসে আর দাদু টেবিলের অন্য পাশে বসেছে।

নিহানঃ দাদু.. এই কয়দিন তোহ বিয়ের জন্য ঠিক মত অফিসই করা হয় নি!! ভাবছি কালকে থেকেই আবার অফিসে যাবো।

দাদুঃ দাদুভাই.. তুই আরো কয়েকদিন বাসায় থেকে আনহার সাথে সময় কাটা। অফিসের দিকটা নাহ হয়.. এখন আমি দেখি।

নিহানঃ আচ্ছা। আমেরিকার প্রজেক্টটার কাজ কিন্তু আমিই করবো। আর কয়েকদিন পরে থেকে আমি অফিসে গেলে.. তুমি কিন্তু আমাকে এই প্রজেক্টের বিষয়ে সবকিছু বুঝিয়ে দিবে।

দাদুঃ ঠিক আছে.. দাদুভাই। এই নিয়ে তুই আর কোনো টেনশন করিস নাহ!!!

আনহাঃ হয়ছে!! তোমরা এতো কথা নাহ বলে.. এখন তারাতাড়ি ডিনার শেষ করে তোহ!!

দাদুঃ নাত বউ.. তোর কি বেশি ঘুমে ধরে গেছে নাকি??

আনহাঃ নাহ.. দাদুভাই!! কিন্তু খাওয়ার সময় এতো কথা বলা ঠিক নাহ!!

দাদুঃ নাত বউ.. তুই একদম ঠিক কথা বলছিস।

আনহাঃ দাদু.. এখন কথা নাহ.. ভালো ছেলের মত.. চুপটি করে তারাতাড়ি খাও তোহ!!

দাদুঃ আচ্ছা।

ডিনার শেষ করে.. নিহান যখন ঘুমাতে যাবে তখন আনহা নিহানকে জড়িয়ে ধরে বলল,,,

আনহাঃ ওই.. বাবু!! আজকে নাহ অনেক সুন্দর চাঁদ উঠছে!! আজকে দু’জনে মিলে ছাঁদে বসে চাঁদের জোৎসনা দেখবো.. চলো!!

নিহানঃ আচ্ছা.. চলো।

আনহাঃ আচ্ছা.. চলো মানে??

নিহানঃ তুমিই নাহ মাত্র বললা এখন ছাঁদে গিয়ে.. চাঁদের জোৎসনা দেখবা??

আনহাঃ হুম.. বলছি তোহ!! কিন্তু আমি ছাঁদে হেটে যেতে পারবো নাহ!!

আনহা কোমরে হাত দিয়ে.. নিহানের চোখের দিকে তাকিয়ে.. চোখের পাপরিগুলি নাচিয়ে কথাটা বলল। নিহান আনহার কথার জবাব দিলো,,,

নিহানঃ এতো ভাব ধরতে হবে নাহ.. নিয়ে যাচ্ছি আমি!!

কথাটা বলেই নিহান আনহাকে কোলে তুলে নিলো। তারপরে আনহাকে কোলে করে নিয়েই সিঁড়ি বেঁয়ে ছাদে উঠল। নিহান ছাঁদে গিয়ে আনহাকে দোলনাতে বসিয়ে দিয়ে.. নিজেও দোলনাতে বসল।

আনহা একনজরে আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদ দেখছে। আজকের চাঁদটা সত্যিই অনেক সুন্দর। চাঁদের আলোয় চারদিক একবারে মুখরিত হয়ে গেছে। আনহা এর আগেও অনেকবার এইরকম ছাঁদে বসে জোৎসনা দেখেছে কিন্তু আজকে এক অন্যরকম অনূভুতি হচ্ছে।

আনহা নিহানের দিকে তাকিয়ে দেখে.. নিহান অপলক ভাবে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে। নিহানকে এইভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে আনহা বলল,,,

আনহাঃ আজকে সত্যিই চাঁদটা অনেক সুন্দর।আচ্ছা.. তুমি চাঁদ দেখছো নাহ কেনো??

নিহানঃ কে বললো আমি চাঁদ দেখছি নাহ??

আনহাঃ আমি বলছি!! আমি তোহ লহ্ম করছি.. তুমি চাঁদের দিকে নাহ তাকিয়ে.. আমার দিকে তাকিয়ে আছো!!

নিহানঃ তুমিই তোহ আমার কাছে সবথেকে সুন্দর আর আলোকিত চাঁদ। তাই তোহ তোমার দিকে তাকিয়ে আছি।

বলেই নিহান আনহাকে নিজের কাছে টেনে.. একটা চুমু দিলো। আনহাও দু’হাত দিয়ে নিহানকে জড়িয়ে ধরে.. নিহানের চুমুর রেসপন্স করছে।

আনহাঃ বাবু.. আসো আমরা রুমে চলে যায়।

নিহানঃ এইখানেই তোহ অনেক ভালো লাগছে। তাহলে রুমে যাবো কেনো??

আনহাঃ ওইইই.. কুত্তা বুঝোস নাহ?? এইখানে আমার লজ্জা লাগছে??

নিহানঃ এইখানে তোহ আমি আর তুমি ছাড়া কেও নাই?? তাহলে তুমি কাকে দেখে লজ্জা পাচ্ছো??

আনহাঃ চাঁদ দেখে লজ্জা পাচ্ছি।

কথাটা বলেই আনহা নিহানের বুকে মুখ লুকিয়ে ফেলল। নিহানও আর আনহাকে মাথা তুলতেই নাহ দিয়েই.. আনহাকে পাজাকোলে করে রুমে নিয়ে গেলো।

নিহানঃ ছাঁদেই কত ভালো লাগছিলো। আর তোমাকে আদর করতেও মজা লাগছিলো।

আনহাঃ আমার কাছে একটুও ভালো লাগছিলো নাহ!!

নিহানঃ কেনো?? তুমিই তোহ বললা ছাঁদে যাওয়ার কথা??

আনহাঃ হুম.. আমি ছাঁদে যেতে বলছি.. তাই বলে কি চাঁদের সামনেই আমাকে এইভাবে আদর করবা?? আমার বুঝি লজ্জা লাগে নাহ!!

নিহানঃ চাঁদ কি কোনো মানুষ নাকি যে লজ্জা পাবা??

আনহাঃ যাইহোক।

নিহানঃ আচ্ছা.. এইসব কথা এখন বাদ দেও তোহ!! তোমাকে এখন আদর করতেও দেও??

আনহাঃ আমি কি তোমাকে আদর করতে মানা করছি নাকি??

নিহান আর কোনো কথা নাহ বলে.. আনহার কোমড়ে হাত দিয়ে আনহাকে নিজের আর একটু কাছে টেনে আনলো। আনহার বুকটা গিয়ে নিহানের বুকের সাথে মিশে.. নিহানের নিঃশ্বাসের সাথে তালমিলিয়ে ওঠানামা করছে। নিহান বুঝতে পারছে আনহার নিঃশ্বাস প্রচন্ড ভারী হয়ে যাচ্ছে।

নিহান আনহার ঠোঁটের সাথে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দিলো। আনহাও নিহানের ভালোবাসার মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে। নিহান আর আনহা তাদের কাজ সম্পন্ন করে.. নিহান আনহাকে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে নিয়ে ঘুমের দেশে হারিয়ে গেলো।

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here