ধৈর্য,১৯

0
489

ধৈর্য,১৯
Tahmi_Chowdhury
:
বেলকোণীর গ্রিল ধরে উদাস নয়নে বাহিরে তাকিয়ে ভাবছে প্রিয়ন্তি……
একটু আগে জহুরা হোসেন একগাদা কথা বুঝিয়ে গেলেন প্রিয়ন্তিকে!
প্রিয়ন্তিকে মনে করিয়ে দিলেন উনার অনুগ্রহের কথা,,মনে করিয়ে দিলেন উনি যদি আজ না থাকতেন তাহলে হয়তো প্রিয়ন্তির মাথার উপর ছাদটা থাকতো না!
মাথায় হাত বুলিয়ে এও বলে গেলেন,,বিয়েতে যেন প্রিয়ন্তি আর আপত্তি না করে!
জহুরা হোসেন কথার কোন উত্তর দেওয়ার মতো মুখ ছিলো না প্রিয়ন্তির!
হয়তো তিনি ঠিকই বলছিলেন ভাবলো প্রিয়ন্তি!
নিলাশার বিদায়ের আজ তিনদিন হলো……
মেহরাবরা আজ চলে যাবে,,প্রিয়ন্তিও যাবে তাদের সাথে!
যেহেতু প্রিয়ন্তি বাবার বাড়ি যেতে পারবে না তাই প্রিয়ন্তির বিদায়টা হবে মেহরাবের বাড়ি থেকেই!
মেহরাবদের বাড়ি থেকেই আয়াতের বাড়ির বউ হয়ে আসবে এক সপ্তাহ পর প্রিয়ন্তি!
চোখের জলগুলো গাল বেয়ে পড়লো প্রিয়ন্তির!
সারাহ এসে কাদে হাত রাখলো প্রিয়ন্তির!
পেছনে না তাকিয়েই দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো প্রিয়ন্তি__
-নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন সারাহ!
তাই আমি আল্লাহর কাছে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিবো!
আর এই পরীক্ষায় আমায় জিততেই হবে!
আমি একদম হতাশ হবো না সারাহ দেখিস!
আমি একদম ভেঙ্গে পড়বো না।
প্রিয়ন্তির মনের অবস্থা বুঝতে পারলো সারাহ!
দু হাত দিয়ে নিজের দিকে ঘুরিয়ে প্রিয়ন্তির চিবুকে হাত দিয়ে মুখ তুললো সারাহ!
চোখের পানিগুলো সাথে সাথে উপচে পড়ে গেলো গাল বেয়ে!
দু হাতে প্রিয়ন্তির চোখের জল মুছে দিলো সারাহ!
-প্রিয়ন্তি আমি জানি তোর মনের অবস্থা!
আমি বুঝতে পারছি সব!
জানিস প্রিয়ন্তি ভাইয়াও হয়তো এবার রাজি হয়ে যেত!
ভাইয়াও তোকে পছন্দ করে প্রিয়ন্তি………
প্রিয়ন্তি ওড়না দিয়ে তড়িঘড়ি করে মুখ ঢেকে নিলো,,
প্রিয়ন্তিকে বিচলিত দেখে পেছনে তাকালো সারাহ!
আয়াত দাঁড়িয়ে আছে দরজার সামনে,,,
তার দৃষ্টি স্থির প্রিয়ন্তির দিকে!
ভয় পেয়ে গেলো প্রিয়ন্তি,,
আয়াত কি কিছু শুনতে পেয়েছে?
এগুতে লাগলো আয়াত!
প্রিয়ন্তির ভয় হতে লাগলো প্রচুর!
-সরি! ডিস্টার্ব করতে চাই নি!
কিন্তু তুমি কি বলতে চাইছিলে তাই……
তটস্থ প্রিয়ন্তি বললো,,
-না না ডাক্তার বাবু আমি কিছু বলতে চাই না!
মানে আমি তখন এমনি সে কথা বলেছিলাম!
কিছুই বলার নেই আমার!
চোখের চশমাটা নেড়ে দু হাত প্যান্টের পকেটে গুজে প্রিয়ন্তির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো আয়াত!
অস্বস্তিতে পড়ে গেলো প্রিয়ন্তি,,
ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় বললো প্রিয়ন্তি…
-আপনার চোখের জিনা হচ্ছে ডাক্তার বাবু!
মুখ ফিরিয়ে নিলো আয়াত!
তারপর গম্ভীর স্বরে বললো প্রিয়ন্তিকে,,,
-তোমার কি সত্যি কিছু বলার ছিলো না পিও?
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে তুমি কিছু বলতে চাইছো?
সারাহ উদগ্রীব হয়ে প্রিয়ন্তির দিকে তাকালো!
প্রিয়ন্তি ও তাকালো সারাহর দিকে,,,
সারাহ ইশারায় বুঝালো সত্যিটা বলে দিতে!
মাথা নিচু করে ফেললো প্রিয়ন্তি!
জহুরা হোসেনের কথাগুলো তীরের মতো বিধেছে প্রিয়ন্তির বুকে!
পারবে না সে এমন করতে!
কি করে করবে এমন!
কতো করেছেন উনারা আমার জন্য……
প্রিয়ন্তিকে চুপ থাকতে দেখে আবারও বললো আয়াত……
-পিও?
-না ডাক্তারবাবু আমার কিছু বলার নাই!
-সত্যি বলছো তো পিও?
পরে কোন কারণে আফসোস করো না যেন!
কথাগুলো বলেই তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সারাহর দিকে ছুড়ে দিয়ে বেড়িয়ে গেলো আয়াত!
নড়েচড়ে উঠলো সারাহ!
আলমারির কাছে গিয়ে কাপড় গুছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো প্রিয়ন্তি……
প্রিয়ন্তির দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস নিলো সারাহ!

-তোর জন্য কিছুই করতে পারলাম না তনয়া!
মাফ করে দিস বোনটি!
ছলছল নয়নে তনয়ার দিকে তাকিয়ে বললো মিতিশা!
মিতিশাদের খালাতো বোন তনয়া!
এবার অনার্সে এডমিশন নিয়েছে সবেমাত্র!
শ্যাম বর্ণের মেয়েটির চোখে মুখে যেন আল্লাহ অপার মায়া ঢেলে দিয়েছেন!
পুরো একটা মায়াবতী এই শ্যামবর্ণের তনয়া মেয়েটি!
ক্লাস টেন থেকেই আয়াতকে পছন্দ করে তনয়া!
আয়াতকে নিয়ে অনেকটা স্বপ্ন ও দেখে নিয়েছে ইতিমধ্যে সে!
কিন্তু যখন শুনলো তার ডাক্তার অন্য কারো,,অন্য কাউকে পছন্দ করে নিজেকে আটকে রাখতে বড্ড কষ্ট হচ্ছে তনয়ার!
আয়াত হয়তো তনয়াকে মনে করার কোন ফোসরতই নেই তার কাছে!
আসার পর থেকে তো একবার ও তাকালো না তনয়ার দিকে!
অভিমান ভীর করলো তনয়ার মনে!
কিন্তু এই অভিমানের ও দাম নেই যে,,কার সাথে করবে এই অভিমান!
তার ডাক্তারের সাথে?
তার ডাক্তার তো পরশু অন্য কারো হতে যাচ্ছে!
হ্যাঁ আয়াত আর তনয়ার বিয়ের আর মাত্র ২ দিন,,
২ দিন পরই আয়াত হয়ে যাবে অন্য কারো!
তনয়ার কলিজা জ্বলছে যেন!
অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নেয় তনয়া……
মিতিশার দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে বলে তনয়া,,
-ভালোবাসা জোর করে হয় না রে মিতি!
ডাক্তার অন্য কাউকে ভালোবাসেন,,এখানে তোর বা আমার কিছুই করার নেই যে!
মিতিশা তনয়ার দিকে করুণ চোখে তাকায়!
তনয়া যে আয়াতকে পছন্দ করে সেটা মিতিশার অজানা নয়!
দুজনেই একই বয়সী,,মিতিশার সাথে অনেক কিছুই শেয়ার করে তনয়া তাই আয়াতকে পছন্দ করে এটাও লুকোয় নি সে মিতিশার থেকে,
এসব ও বলে দিয়েছিলো মিতিশাকে!
মিতিশা ভাইকে বলেছিলো তনয়া যে আয়াতকে পছন্দ করে!
তখন তনয়া সবেমাত্র ক্লাস টেনে পড়ে!
আয়াত তখন মিতিশার কথাটা হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলো!
কিন্তু তনয়া……তনয়া পারে নি হেসে আয়াতের মতো উড়িয়ে দিতে!
কেন পারে নি তনয়া?
ভাবনার গভীরে ঢুকে যায় তনয়া……!
:
বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছে মেহরাব!
আজ অকারণেই কান্না আসছে মেহরাবের!
ছেলেদের কাঁদতে নেই জানে মেহরাব!
তবুও আজ চোখের কোণে জলগুলো অকারণেই যেন চিকচিক করছে!
বুকের এক কোণে চিনচিন ব্যথাটা ও বাড়ছে যেন!
মেহরাব উঠে মাটিতে সিজদায় লুটিয়ে পড়লো!
আল্লাহই ধৈর্য দেওয়ার মালিক!
প্রিয়ন্তিকে নিয়ে ভেবে আর পাপ করতে চায় না মেহরাব!
সবরের প্রার্থনা করে মেহরাব!
.
আজ এতোদিন হলো মা ফোন দিচ্ছেন না কেন?
কিছু হলো না তো মায়ের?
উদগ্রীব হয়ে ফোনটা হাতে নিলো প্রিয়ন্তি,,,
অনিতাকে ফোন দিবে এখুনি সে,,
কিন্তু আজ অনিতা কি আর ফোন ধরতে পারবেন!
বলতে কি পারবেন আর মেয়েকে,,
-মা চিন্তা করিস না,,,সবর কর আল্লাহ সাহায্য করবেন!
শুনাতে পারবেন কি আর শান্তনার বাণী!
মায়ের কোলে মাথা রেখে আর কি স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ হবে প্রিয়ন্তির?
মায়ের নাম্বারে কাপাকাপা হাতে ডায়াল করলো প্রিয়ন্তি!
হাতের সাথে কেন জানি শরীর ও কাঁপছে প্রিয়ন্তি!
যদি বাবার হাতে ফোন পড়ে যায়!
কি করবে সে?
এসব ভাবতে ভাবতে আরো অস্থিরতা ঘিরে ধরলো প্রিয়ন্তিকে!
ওপাশে তিনবার রিং হতেই রিসিভ হয়ে গেলো কলটি,,
প্রিয়ন্তি বিচলিত হয়ে বললো,,
-মা কেমন আছো তুমি?
কল দিলা না কেন এতোদিন?
মা বাবা কিছু জানতে পারে নি তো?
মা বাবা জানতে পারে নি তো তোমার মুসলিম হওয়ার কথা?
মা………মা কথা বলছো না কেন?
এক নাগাড়ে কথা বলে দম নিলো প্রিয়ন্তি!
মায়ের ফোনটা মহেশ নিজের কাছেই রেখে দিয়েছিলো অকারণেই!
এখন মনে হচ্ছে ফোনটি নিজের কাছে রেখেই ভালো করেছে মহেশ!
মায়ের মুসলিম হওয়ার খবর জানতো মহেশ!
সে এটা লুকিয়েও রেখেছিলো!
শত হোক মা,,মাকে তো আর কিছু বলতে পারবে না সে!
তাই তো পুরো মুসলিমদের মতোই গোসল কবর দেওয়া হয়েছে অনিতাকে!
-মা কথা বলছো না কেন তুমি?
প্রিয়ন্তির চিন্তিত কন্ঠ শুনে মুখ খুললো মহেশ……
-দি……
কেপে উঠলো প্রিয়ন্তি!
ভাইয়ের কন্ঠ শুনতে ভুল হলো না প্রিয়ন্তির!
কিন্তু এখন কি করবে সে,,,
ভাই যদি বাবাকে বলে দেয় সব!
সে তো না বুঝেই অনেক কথা বলে ফেলেছে!
ওরা যদি খুঁজে নেয় আমায়?
-দি কথা বলো প্লিজ?
ফোনটা কান থেকে কিছুক্ষণের জন্য নামিয়ে আবার কানে ধরলো প্রিয়ন্তি……
নিজেকে সামলে খুব ধীর গলায় বললো,,
-মা কোথায় মহু?
মহেশ চুপ মেরে রইলো,,বোনের কথার কি উত্তর দিবে ভেবে পেলো না!
-সে কি বলবে মা আর নেই!
না না দির সাথে দেখা করেই বলবো!
মনে মনে ভেবে নিলো মহেশ!
-মা কোথায় মহেশ!
প্রিয়ন্তির গলা কেন জানি বারবার শুকিয়ে যাচ্ছে!
বড্ড পানির তেৃষ্টা পেয়েছে প্রিয়ন্তির!
-দি তুমি কোথায়?
প্রিয়ন্তির বড্ড চিন্তা হচ্ছে মাকে নিয়ে!
আর এখন তো সে নিজের মুখেই সব বলে দিলো!
মাকে যদি ওরা এখন……
ভাবতে পারলো না প্রিয়ন্তি!
ফের একই প্রশ্ন করলো ভাইকে প্রিয়ন্তি……
-মা কোথায় মহেশ?
-তুমি কোথায় দি……বলো দি……
ভাইয়ের কান্নামাখা কন্ঠ শুনে যেন একদম চুপসে গেলো প্রিয়ন্তি!

ছাদে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে তনয়া!
আয়াত এসে ছাদের দরজায় দাঁড়িয়ে রইলো কিছুক্ষণ,,
চাঁদের আলোয় তনয়ার মায়াবী মুখটা আরো মায়াবী লাগছিলো!
গাল বেয়ে দুঃখের অশ্রু ঝড়ে পড়ছিলো তনয়ার!
আকাশ পান থেকে চোখ সরিয়ে চোখ মুছে চলে আসতে নিলে আয়াতকে দেখে থমকে গেলো তনয়া!
গম্ভীর হয়ে আস্তে আস্তে হেটে ছাদের রেলিং ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো আয়াত……
-কত্ত বড় ভুল করতে গিয়েছিলাম আমি,,,তোমার ডাক্তার কতো বড় ভুল করে ফেলতো তনয়া!
“তোমার ডাক্তার” আয়াতের মুখে কথাটি শুনে ঝট করে আয়াতের দিকে ফিরে তাকালো তনয়া!
আয়াতের দৃষ্টি তখনো আকাশপাণে……
মৃদু হেসে বললো আয়াত…
-অবাক হওয়ারই কথা!
কি জানো তনয়া ভালোলাগা আর ভালোবাসা সত্যি এক না!
পিও আমাদের বাড়িতে ৪ টি মাস ছিলো,,কিন্তু কি জানো তনয়া ওকে না আমি একবারই দেখেছিলাম!
মেয়েটা অসম্ভব রকমের সুন্দর জানো……
নিজের পছন্দের মানুষটির মুখে অন্য কারো সৌন্দর্যের বর্ণনা শুনতে বড্ড কষ্ট হচ্ছিলো তনয়ার!
নিরবে চলে আসতে চেয়েছিলো আবার……
কিন্তু কথা দিয়ে আটকে দিলো আয়াত……
-আমার কথা শেষ হয় নি তনয়া!
থেমে থেমে বললো তনয়া,,
-আমাদের এইভাবে কথা বলা ঠিক হচ্ছে না!
আপনি আমার জন্য গায়রে……
-জানি তনয়া! তাইতো……
থেমে গেলো আয়াত!
ফিরে তাকালো তনয়ার দিকে!
আয়াতকে তাকাতে দেখেই মুখ ফিরিয়ে নিলো তনয়া!
মিতিশার থেকেই অনেক কিছু জেনেছে তনয়া!
ইসলামিক বিষয় অনেক কিছুই অজানা ছিলো,,
কিন্তু প্রিয়ন্তির সাথে থেকে থেকে মিতিশা মেয়েটি এখন ইসলামকে আঁকড়ে ধরতে শিখে গেছে,,,যথাসম্ভব ইসলামের সব বিষয় মেনে চলার চেষ্টা করে এবং অন্যকেও মানার দাওয়াত দেয়!
সেই সুবাদেই তনয়াকেও
কিছু নসিহত করলো মিতিশা!
ভদ্র, নম্র,শান্তশিষ্ট তনয়া ইসলামের সকল বিষয়কেই শ্রদ্ধা করে ধর্মের প্রতি অঘাত ভালোবাসা তার!
মিতিশা যা নসিহত করেছে তা অনেক কিছুই অজানা ছিলো তনয়ার!
এই যেমন আয়াত তার জন্য পরপুরুষ তার সামনে হুটহাট যাওয়া অকারণে কথাবার্তাটাও জায়েজ নয়!
এই বিষয় মা কখনো তনয়াকে নিষেধ করেন নি!
বরং আগে তো এখানে আসলেই আয়াতের আশেপাশে থাকতো অনেকটাসময় তখনো কেউ এসব বিষয় নিয়ে সাবধান করে নি!
বা মুখ ফুটে কেও বলেও নি যে এগুলোতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি!
তাহলে জানবে কি করে তনয়া!
ইসলামিক পরিবেশের থেকে অনেক দূর তনয়া!
ইসলামিক পরিবেশে বড় হয় নি তা ই তো এতো অজ্ঞ সে!
ছোট্ট থেকে শুধু জেনেছে মুসিলমদের বুঝি দায়িত্ব শুধু কোরআন শিক্ষা নেওয়া আর নামায পড়াতেই সীমাবদ্ধ!
কিন্তু মুসিলমদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে পর্দা,, মাহরাম-গায়রে মাহরাম মেন্টেন,,হালাল-হারাম বেছে চলা সব যেন অজানাই ছিলো তনয়ার!
মিতিশার মুখে এসব শুনে নতুনই শুনছে এমনই মনে হয়েছে তখন তনয়ার!
ভাবনার জগত থেকে ফিরে এলো তনয়া যখন দেখলো আয়াত ঠিক তার এক হাত দূরেই দাঁড়িয়ে আছে!
কয়েক কদম পিছিয়ে গেলো তনয়া!
-আমি এতোক্ষণ কি বলছিলাম তার কি কিছুই শুনতে পেয়েছো তনয়া!
মাথা নিচু করে ফেললো তনয়া!
কারণ ভাবনার জগতে এতোটাই নিমগ্ন ছিলো যে আয়াতের অনেক কথাই কানে ঢুকে নি তার……
-তনয়া!
আয়াতের মিষ্টি কন্ঠ শুনে হঠাৎ করেই কান্না পেলো তনয়ার!
এই ডাকটা সে আর দুদিন পর হয়তো শুনতে পাবে না!
আর ডাকবে না তার ডাক্তার তনয়া বলে!
এই মিষ্টি সুরে তনয়া বলে হুটহাট আর এইভাবে ডাকবে না কেউ তাকে!
“আমার ডাক্তারকে” আমি চিরদিনের জন্য হারাতে যাচ্ছি………
হ্যাঁ “আমার ডাক্তারকে…
চোখ বেয়ে জলধারা নেমে এলো তনয়ার!
চাঁদের আলোয় তনয়ার কান্নামাখা মুখ দেখে মৃদু হাসলো আয়াত……

#চলবে ইন শা আল্লাহ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here