নাইওরি,পর্ব ১২,১৩
মৌরি মরিয়ম
পর্ব ১২
হারুন ব্যাপারী আসরের নামাজ পড়ার জন্য পুকুর থেকে ওযু করে এলেন। এসে দেখেন ধুনারি (লেপ তোষক বানানোর কারিগর) এসে উঠানে বসে আছে। তিনিই ডেকেছেন নতুন লেপ বানানোর জন্য। পুরোনো লেপগুলো অল্প দিনেই ভারী হয়ে গেছে। গায়ে দিতে কষ্ট হয়। তুলা ভালো পড়েনি। তাকে দেখেই হারুন ব্যাপারী বললেন,
“কি হে ধুনারী, তোমাকে বলছিলাম সকালে আসতে। এটা একটা আসার সময় হইল?”
“বেইন্যাবেলায় ম্যালা কাম আছিল ব্যাপরীসাব। মাফ করবেন।”
“দাঁড়াও তোমার চাচীরে ডেকে দেই। সে যেমন লেপ চায় তেমন করেই বানাইয়া দিও। খরচ বেশি পড়লে দাম বেশি নিবা। জিনিস যেন ভালো হয়।”
“জিনিস নিয়া আমনে কোনো চিন্তা কইরেন না সাব। খুব ভালো কইরা বানাইয়া দিমু।”
হারুন ব্যাপারী ভেতরে ঢুকতেই তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম এসে বললেন,
“আব্দুর রহমান আসছে। আপনের সাথে দেখা করতে চায়। বললো খুব জরুরি।”
“নামাজটা পড়ে যাইতেছি। ধুনারী আসছে উঠানে বসা। যাও তারে মাপঝোপ সব বুঝাইয়া দাও।”
“আচ্ছা।”
হারুন ব্যাপারী নামাজটা সেড়ে কাচারি ঘরে গেলেন। আব্দুর রহমান তার মাছের আড়তের এক কর্মচারী। খুব বিশ্বস্ত লোক। তাকে দেখামাত্র উঠে দাঁড়ালো, চোখেমুখে আতঙ্ক। তিনি বললেন,
“বসো আব্দুর রহমান। আমি তো একটু পরেই আড়তে যাইতাম। কী এমন জরুরি খবর যে এতদূর থেকে বাড়ি আসলা?”
“সর্বনাশ অইয়া গেছে চাচা।”
হারুন ব্যাপারী ভ্রু কুঁচকে বলল,
“কী সর্বনাশ? সরাসরি বলো।”
“উকিলসাব খুন অইছে।”
চমকে উঠলেন হারুন ব্যাপারী। নিজের অজান্তেই তার মুখ থেকে বের হলো,
“আলমগীর মৃধা খুন হয়েছে?”
“জি চাচা। রাইতের অন্ধকারে গলা কাইটা হ্যার বাড়ির রাস্তায় ফালাইয়া রাখছে। আমনেরে কইছিলাম জয়নাল মির্জা দরকারে খুনও করতে পারে। এর আগেও হে এরহম অনেক কাম করছে।”
হারুন ব্যাপারী একটুও সময় নষ্ট না করে তৎক্ষনাৎ পটুয়াখালী রওনা দিলেন।
জেসমিন দুপুরবেলা পুকুর থেকে গোসল করে এসে চুল ঝারছিল। তখন মতি এলো রঞ্জুর চিঠি নিয়ে। রঞ্জুকে চিঠি পাঠানোর এক দিন পর থেকেই নিয়মিত মতিকে পোস্ট অফিসে পাঠায় সে। চিঠি না আসা পর্যন্ত পাঠাতে থাকে। চিঠিটা হাতে নিয়ে জেসমিন সোজা নিজের ঘরে ঢুকলো। দরজা লাগিয়ে বিছানার উপর আয়েশ করে পা ঝুলিয়ে বসে চিঠি খুলে পড়তে শুরু করলো,
তুমি নেই সঙ্গে সখি
তুমি নেই চোখেরও সমীপে,
আছো তুমি অঙ্গে সখি
আছো পরশও প্রতাপে।
যে অঙ্গসুধা এনেছি ভরে হৃদয় কোঠর
ফুরাবেনা গেলে সহস্র কোটি বছর
তুমি নেই বক্ষে সখি
তুমি নেই কক্ষে,
আছো তুমি রোমন্থনে
আছো স্মৃতির দংশনে।
প্রিয় জেসমিন,
তোমার চিঠি পেয়েছি। আশা করি তুমিও ভালোই আছো। গত সপ্তাহে বাবার চিঠি পেয়েছিলাম। তিনি জানিয়েছেন যে তুমি আমাদের বাড়ি গিয়েছো। তুমি যাওয়াতে তারা দুজনেই খুব খুশি হয়েছেন।
তোমার কামিনী গাছ দেখি ভালোই কথা শিখেছে। এরপর গেলে তাকে বলো, খুব দ্রুতই তার কাছে আমাদের ভালোবাসার সুবাস পৌঁছাবে।
আর শোনো মেয়ে, কামিনী ফুল শীতকালে ফোটে না। এটা বর্ষার ফুল। বর্ষা আসলেই আবার ফুটবে তুমি আমি থাকি বা না থাকি।
জেসমিম আর কটা দিন একটু কষ্ট করো। আমি এখন বাড়ি গেলে এই একমাস আমার ঢাকা থাকা বৃথা। কারণ আমার পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষাগুলো দিয়ে চলে আসব। এরপর থেকে আর ক্লাস করব না শুধু পরীক্ষার সময় এসে পরীক্ষা দেব। তোমাকে ছেড়ে থাকাটা আমার জন্যে কতটা কষ্টের আশা করি বুঝবে। একটু ধৈর্য ধরো আমার ফুল। খুব শীঘ্রই তোমার নাইওর শেষ হবে।
ভালোবাসা নিও।
ইতি তোমার রঞ্জু।
আলমগীর মৃধার মৃত্যুর আগেই মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল। হারুন ব্যাপারী আলমগীর মৃধার সহকারীর কাছ থেকে সকল তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে শুনানির দিনে আদালতে উপস্থিত হন। বাদী পক্ষের উকিল জীবিত না থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেন নি। কিন্তু তার রেখে যাওয়া সকল তথ্য প্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়েছে। বিবাদী পক্ষ সমনপত্র গ্রহন করেও আদালতে উপস্থিত না হওয়াতে সকল তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কালিসুরির জমির দখল হারুন ব্যাপারীকে হস্তান্তর করেছে আদালত। উক্ত জমিটি এতদিন অন্যায় ভাবে ভোগদখলের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ জয়নাল মির্জাকে জরিমানা করা হলে হারুন ব্যাপারী জানালো সে ক্ষতিপূরণ চায় না। জমি ফেরত পেলেই সে খুশি। হারুন ব্যাপারী ভীষণ আনন্দিত। অবশেষে তার স্বপ্নের জমিখানা তার হলো। জয়নাল মির্জাকে কোনো উচ্চবাচ্য করতে দেখা গেল না। সে বিনাবাক্যে জমির দখল ছেড়ে দিল।
চলবে…
নাইওরি
মৌরি মরিয়ম
পর্ব ১৩
পুকুরে জাল ফেলে বড় বড় মাছ ধরা হয়েছে। বড় কাতল ও বোয়াল ধরা পড়েছে জালে। খাসিও জবাই করা হয়েছে। এতদিন বাদে জামাই আসছে বলে কথা। লোক পাঠিয়ে গৌরনদীর রসমালাই ও দই আনালেন জয়নাল মির্জা। আয়োজনের কোনো কমতি রাখলেন না।
জেসমিনও আজ ভীষণ খুশি। এতদিন বাদে রঞ্জু আসছে। গতকাল সূর্যমনি এসেছে। আজ কেশবপুর আসবে জেসমিনকে নিতে। কিছুদিন আগে সে ঢাকা থেকে একটা ঢাকাই জামদানি পাঠিয়েছিল। সেটা আজ পরেছে জেসমিন। শাড়িটা পরে রঞ্জুর দেয়া শেষ চিঠি টা ভাঁজ করে আঁচলে বেঁধে নিল সে। প্রতিদিন গোসল করতে যাওয়ার আগে চিঠিটা আঁচল থেকে খুলে ঘরে রেখে যায়। আবার গোসল করে ধোয়া শাড়ি পরে সেই আঁচলে বেঁধে নেয়। এই চিঠির কবিতাটা তার এত বেশি পছন্দের যে যখন তখন আঁচল থেকে খুলে চিঠিটা পড়ে সে! এ পর্যন্ত কবিতাটা যে কতশত বার পড়েছে তার হিসাব নেই।
জেসমিন ঘর থেকে বের হলো। কাচারি ঘরের পেছনে একটা জবা ফুলের গাছ আছে। সেখান থেকে কিছু ফুল এনে রাখলে হয়। রঞ্জু খুশি হবে। ফুল খুব পছন্দ করে মানুষটা।
জেসমিন ফুল ছিড়ে ছিড়ে আচলে রাখছে। এরই মাঝে শুনতে পেল কাচারি ঘরে তার বাবা এবং ভাইয়েরা রঞ্জুর নাম নিয়ে কিছু বলাবলি করছে। যেহেতু রঞ্জুর নামটা আসছে তাই কৌতূহলবশত সে কাচারি ঘরের পেছনের বারান্দায় জানালার কপাটের আড়ালে গিয়ে দাঁড়ালো। এরপর সে যা শুনলো তাতে তার শিরদাঁড়া বেয়ে একটা শীতল স্রোত নেমে গেল। তার বাবা এবং ভাইয়েরা মিলে আজ রাতে রঞ্জুকে খুন করার পরিকল্পনা করছে! তাও সামান্য একটা জমি হারিয়েছে বলে ছেলেকে মেরে বাবার উপর প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে! তার বাপ ভাইয়েরা ভয়ংকর তা সে জানতো, তাই বলে এতটা হিংস্র! পালাতে হবে, এই মুহূর্তে এখান থেকে পালাতে হবে। রঞ্জু রওনা দেয়ার আগে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে রঞ্জুর আসা আটকাতে হবে। জেসমিন দৌড় দিল। দূর্ভাগ্যবশত তাড়াহুড়োয় তার হাতের সাথে জানালার কপাট একটা ধাক্কা খেল। শব্দ শুনে জালাল জব্বার পেছনের বারান্দায় তাকাতেই দেখতে পেল জেসমিনকে। কিছু বুঝতে আর বাকি রইলো না তাদের। জব্বার লাফিয়ে পড়ে দৌড় দিল জেসমিনের পেছন পেছন। কয়েকটা বাড়ি পার হয়েই জেসমিনকে ধরে ফেলল। জেসমিন ক্রোধে গর্জন করতে লাগলো,
“খুনীর বাচ্চা খুনী ছাড় আমারে, ছাড় কইতাছি।”
জব্বার জেসমিনের মুখ চেপে ধরে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলো। জেসমিন কিছুতেই যাবেনা। সে আপ্রাণ চেষ্টা করছে নিজেকে ছাড়ানোর। জব্বার তাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ি নিয়ে যেতে লাগলো। কাচারি ঘরে নিয়ে তবেই মুখটা ছাড়লো। সেখানে জয়নাল মির্জা এবং জালাল বসে ছিল। জব্বার যখন গেছে ধরে আনতে পারবে বলেই তাদের বিশ্বাস ছিল। জেসমিনের মুখটা ছাড়তেই সে চেঁচিয়ে উঠলো,
“আব্বা আমনে নিজের মাইয়ার স্বামীরে খুন করার কথা ক্যামনে চিন্তা করলেন? এতবড় কষাই আমনে?”
জয়নাল মির্জা ঠান্ডা মাথার মানুষ। সহজে বিচলিত হন না। সে শান্ত স্বরে মেয়েকে বললেন,
“অরা আমাগো শত্রু মা। তোমার শ্বশুর অনেক বড় পরিকল্পনা কইরা পোলারে তোমার পিছনে লাগাইছিল। কালিসুরির জমিখান যৌতুক নিতে চাইছিল। আমি তো তহন বুঝতে পারি নাই মা। অগো ফাঁদে পা দিয়া ফালাইছি। আমারে মাফ কইরা দেও।”
“মিথ্যা কতা কইবেন না আব্বা। আমি এগুলান বিশ্বাস করি না।”
“বিশ্বাস করো আর না করো, সত্য বলছি। তুমি তারে ভুইলা যাও। তোমারে আরও ভালো পোলা দেইখা বিয়া দিমু।”
জেসমিনের ক্রোধ পরায়ন চোখ দুটো এবার ভিজে এলো। কাঁদতে কাঁদতেই সে চিৎকার করল,
“আল্লাহর গজব পড়ুক। আমারে ছাড়েন, জমি আমনের নামে লেইখ্যা দেতে কমু রঞ্জুরে।”
জয়নাল মির্জা হুক্কায় টান দিতে দিতে বলল,
“জমি দিয়া কী করমু এহন আর? যে সম্মান আমার গেছে তা কি ফেরত পামু?”
“ওরে জল্লাদ রে!”
জেসমিন এবার উপর দিকে চেয়ে দ্বিগুণ স্বরে চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বলল,
“আল্লাহ তোমার দুনিয়ায় কোনো বাপ কি এমন অয়?”
জয়নাল মির্জা জালাল জব্বারকে বলল,
“অরে এখন আর বাড়ির ভিতর নেওন যাইবো না। চিল্লাইয়া বাড়ির সবাইরে জানান দেবে। কাচারি ঘরেই আটকাইয়া রাখ। আর হাত-মুখ বাইন্দা রাখ। তেজ বেশি মাইয়ার।”
“আব্বা!”
জেসমিন আর কিছু বলার সুযোগ পেল না৷ জব্বার হাত ধরে রেখেছে, জালাল মুখ বেঁধে ফেলল। তারপর চেয়ারে বসিয়ে দুই হাতলের সাথে দুই হাত বাঁধলো। জেসমিন নুন পড়া জোঁকের মত ছটফট করছে। কিছুতেই নিজেকে ছাড়াতে পারলো না। জয়নাল মির্জা বেরিয়ে গেলেন আগে। জালাল ও জব্বার শেষে দরজায় তালা মেরে বের হলেন। ভারী কাঠের চেয়ারের সাথে এমন শক্ত করে বেঁধেছে যে জেসমিন আর নড়তেও পারলো না। অসহায়ের মত কেঁদে চললো শুধু।
রঞ্জু এলো সন্ধ্যার পর। শ্বশুরের সাথে বসে গল্প করছে। জেসমিনকে কোথাও দেখতে পাচ্ছে না। জিজ্ঞেস করতেও একটু লজ্জা লাগছে। এরই মাঝে জেসমিনের মা খেতে ডাকলো। খেতে বসেও জেসমিনকে দেখতে না পেয়ে অবশেষে জিজ্ঞেস করেই ফেলল,
“আম্মা জেসমিনকে দেখছি না। ও কোথায়?”
কোহিনূর বানু স্বামীর কাছ থেকে যা জেনেছেন তাই বললেন,
“মিনুর বাচ্চা অইবে তো। কি সমেস্যা জানি অইছে। আমাগো এদিকের হাসপাতালে আনছে। খবর পাইয়া জব্বার গেছে, লগে জেসমিনও গেছে। আইয়া পড়বে, তুমি খাও বাবা।”
রঞ্জুর একটু মন খারাপ হয়েছিল, ৩ মাস পর বাড়ি এলো অথচ জেসমিনকে দেখতে পাচ্ছে না! এখন অবশ্য মন খারাপ লাগাটা আর নেই। শাশুড়ির হাতের রান্না বরাবরই রঞ্জুর খুব প্রিয়। সে খুব তৃপ্তি করে কব্জি ডুবিয়ে খেল। খাওয়া বেশি হওয়াতে সে একটু উঠোনে হাঁটতে নামলো। কাচারিঘরের সামনেই হাঁটছিল সে। জালাল পেছন থেকে বলল,
“রঞ্জু ময়নার বিলে মাছ কোপাইতে যাবা নাকি?”
জেসমিন একথা শুনে চমকে উঠলো। রঞ্জু এসে পড়েছে? তখনই রঞ্জুর গলা শোনা গেল,
“আরে ভাইজান দারুণ আইডিয়া! কতদিন মাছ কোপাই না! চলেন যাই। জেসমিন বাড়িতে নাই ভালোও লাগছে না।”
জেসমিনের হৃদয়টা হুঁ হুঁ করে উঠলো। কতদিন পর রঞ্জুর গলার স্বর শুনতে পেল। রঞ্জু তার এত কাছে!
জালাল হাঁক ছেড়ে বলল,
“এ কুদ্দুস ফুলকুচি আর কোচ গুলান লইয়া আয়। জামাইরে নিয়া মাছ ধরতে যামু।”
জেসমিন মরিয়া হয়ে উঠলো রঞ্জুকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু কীভাবে বাঁচাবে তাকে? চেয়ারটা এত ভারী যে সে একটুও নড়াতে পারলো না। মাটির মেঝেতে ঠেসে আছে চেয়ারের পায়াগুলো। আশেপাশে তাকিয়ে জয়নাল মির্জার রেখে যাওয়া হুক্কা টা দেখতে পেল। সেটাকেই পা বাড়িয়ে ছোঁয়ার চেষ্টা করলো। অনেক কষ্টে যখন ছুঁতে পারলো তখন সেটা উলটে দিল যাতে শব্দ হয়। আর শব্দটা রঞ্জুর কানে যায়। যদিও এটা সন্দেহ হওয়ার মত কিছু নয় তবুও একটা চেষ্টা।
শব্দটা শুনে রঞ্জু বলল,
“কাচারি ঘরে তো তালা মারা। তাহলে ভেতরে কীসের শব্দ ভাইজান?”
জালাল বলল,
“বিলোই হানছে মনে হয়। বাদ দেও। চলো মাছ ধরতে যাই।”
হুক্কাটা ধাক্কা খেয়ে দূরে গিয়ে পড়েছে আরেকটা শব্দ করার মত কোন উপায় জেসমিনের রইলো না। পায়ের আওয়াজ দূরে থেকে আরও দূরে যেতে থাকলো। জেসমিন বুঝতে পারলো জালাল ও রঞ্জু চলে যাচ্ছে। শেষ, সব আশা শেষ! জেসমিন অঝোরে কাঁদতে লাগলো। পেটের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল,
“তোর আসার খবরটা তোর বাপরে দেয়ার জন্য এত উতলা হইয়া বাড়ি আসতে কইছিলাম, তারপরেও কত অপেক্ষা! অথচ তোর বাপ জানতেও পারলো না তোর আসার কথা!”
চলবে…