নিয়তি,পার্ট১০,১১

0
809

নিয়তি,পার্ট১০,১১
লুৎফুন্নাহার_আজমীন
পার্ট১০

যা ভাবা ছিলো তাই ই।হৃদিকে হাসপাতাল থেকে নেওয়ার পথে মিসেস ছায়া হৃদির জন্য শপিং করে।একজন অচেনা অজানা মেয়ের জন্য মহিলাকে এমন করতে দেখে হৃদি খুব অবাক হয়।এখনকার দিনে মিসেস ছায়ার মতো মানুষ পাওয়া খুবই কঠিন ব্যপার।তার আচার আচরণে মনে হচ্ছে হৃদি যেন তার বহুদিনের চেনা।অল্পসময়েই মহিলা হৃদিকে আপন করে নিয়েছে।হৃদিরও কেমন যেন মন চাইছে মিসেস ছায়াকে আপন করে নিতে।কিন্তু কিছুটা হলেও খুতখুতানি মনে ভেতর কাজ করছে।অনেকটা দোটানায় পড়েছে হৃদি।

মলের সামনেই ফুচকাওয়ালা দাঁড়িয়ে আছে।মিসেস ছায়া হৃদিকে জিজ্ঞাস করেন,,

-হৃদি ফুচকা খাবে না ভেলপুরি নাকি ঝালমুড়ি বা চানাচুর মাখা?

হৃদি কী বলবে ভেবে পায় না।একটা অচেনা অজানা মহিলা এভাবে হৃদিকে খাওয়ার জন্য অফার দিচ্ছেন।হৃদি মুখ ফুটে কিভাবে বলবে যে সে এটা খাবে!ওটা খাবে!আত্মসম্মানে ভিষণ লাগছে হৃদির।মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েদের মনে হয় আত্মসম্মানটা একটু বেশিই থাকে।এদের জীবনের লক্ষ্যই থাকে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বাবা মার জন্য কিছু করতে পারা।আর পাঁচটা মেয়ের মতো হৃদিরও জীবনের লক্ষ্য তাই ছিলো।কিন্তু তা তো শুরুতেই শেষ হয়ে গেলো।

-হৃদি বললে না তো কী খাবে!

মিসেস ছায়ার ডাকে হ্রদির ধ্যান ভাঙে।হৃদি মুচকী হেসে বলে

– কিছু না আন্টি।
-মামা ভেলপুরি দাও তো।

অ্যাহ!এই মহিলা কিভাবে বুঝলো হৃদির ভেলপুরি খেতে মন চাচ্ছে?ভেলপুরি হৃদির খুব প্রিয়।কলেজ থেকে যখন হৃদি সাম্যের সাথে আসতো তখন প্রায়ই ভেলপুরি খেতো।কিন্তু এখন সে গুলো স্মৃতি মাত্র।আর স্মৃতি মানুষকে অনেক কষ্ট দেয়।হৃদির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হই নি।

-আফা বাটি নেন।

ফুচকাওয়ালার ডাকে হৃদির ধ্যান ভাঙে।বাটিটা হাতে নিয়ে আনমনে ভেলপুরি খেতে লাগে।মিসেস ছায়া বুঝতে পারেন হৃদি একটু হলেও মানসিক চাপে আছে।আর থাকাটাই স্বাভাবিক। কম ঝড় ঝাপটা তো যায় নি মেয়েটার ওপর দিয়ে।বিভোরের কাছ থেকে শুনেছেন মিসেস ছায়া।ছোটবেলা থেকেই নাকি মেয়েটা অনেক সংগ্রাম করেছে।বাস্তবতাকে খুব অল্প বয়সেই সে বুঝতে পেরে গেছে।ভেলপুরি খাওয়া হয়ে গেলে দাম মিটিয়ে মিসেস ছায়া হৃদিকে নিয়ে বাসার দিকে রওনা দেন।

বাসায় গিয়ে হৃদি ফ্ল্যাটটা ঘুরে ঘুরে দেখে।সব ঘর খুব পরিপাটিভাবে গুছানো শুধু একটা ঘর বাদে।নিশ্চিয়ই এটা অফিসার বিভোরের ঘর।লোকটা তো বাইরে বেশ পরিপাটি কিন্তু তার ঘর যে এমন হবে কে জানতো!
এক কথায় যাকে বলে বাইরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট। সাম্যদাও অনেকটা এই রকমই ছিলো।হৃদি নিজ হাতে প্রতিদিন সাম্যের ঘর গুছাতো এখন দায়িত্ব পড়েছে সিঁথিদির ওপর।

-কী দেখছো?বিভোরের ঘর? আর বলো না।ছেলেটাকে গুছাতে পারলাম না।একা মানুষ আমি আর কতটুকুই করতে পারতাম।তাও যতটুকু পারি চেষ্টা করি।

হৃদি আর কিছু বলে না।মুচকী হাসে।দুপুর দুটো বাজে।হৃদিকে দেখে মনে হচ্ছে হৃদির নাওয়া খাওয়া হয় নি।মিসেস ছায়া হৃদির হাতে টাওয়েল আর জামা কাপড় দিয়ে বলে,,

-যাও গা ভিজিয়ে আসো।

মিসেস ছায়াকে দেখে হৃদির মায়ের কথা মনে পড়ে গেলো।হৃদির মাও হৃদির হাতে টাওয়েল জামা কাপড় দিয়ে গোসল করতে বলতেন।কেন যেন মিসেস ছায়ার মধ্যে হৃদি নতুন করে নিজের মাকে খুঁজে পাচ্ছে।।

-স্যার আসসালামু আলাইকুম।
-জ্বী ওয়ালাইকুম আস সালাম।
-স্যার আমার মেয়েটা..
-কোন মেয়ে। নাম বলুন।
-হৃদি।

মুহুর্তের মধ্যেই ফাইল থেকে চোখ সরে টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক বয়স্ক ব্যক্তির ওপর পড়ে বিভোরের।তিনিই হয়তো হৃদির মামা।বেশ কয়েকবার ফোনে উনার সাথে কথা হয়েছে।

-আপনার ভাগ্নি তো আপনাদের বাসায় যেতে রাজী নয়।
-হাসপাতালেই কী আছে ও?শুধু চোখের দেখা দেখেই আসবো।আর জিজ্ঞাস করবো কি জন্য ও ফিরতে চায় না।
-নাহ উনি হসপিটালে আর নেই।আমার মা উনাকে আমাদের ফ্ল্যাটে নিয়ে গেছেন।আপনি এক্টু ওয়েট করুন।কিছুক্ষণ পরেই বাসায় যাবো।সঙ্গে আপনাকেও নিয়ে যাবো।প্লিজ সিট।

বিভোরের আহবানে সালাম সাহেব বসেন।কাজ গুছানো হয়ে গেলে সালাম সাহেবকে বাইকের পেছন চাপিয়ে রওনা দেন বাসার দিকে।

*
-হৃদি!

রান্না ঘরে মিসেস ছায়ার হাতে হাতে কাজ গুলো করে দিচ্ছিলো হৃদি।সালাম সাহেবের ডাকে পিছন ঘরে তাকায় হৃদি। প্রথমে ভেবেছিলো মনের ভুল হয়তো।কিন্তু না। ঘুরে দেখে পিছনে সয়ং সালাম সাহেবই দাঁড়িয়ে আছেন।

-কেমন আছো মামা?
-তোকে ছাড়া আমি কিভাবে ভালো থাকি।বাসায় ফিরবি না?
-নাহ।
-কেন?

সত্য লুকিয়ে আর লাভ কী?আর মিথ্যা বলেও পাপের বোঝা বাড়ানোর ইচ্ছে আর হৃদির নেই।সালাম সাহেবকে নিয়ে একটা আলাদা ঘরে যায় হৃদি। গোঁড়া থেকে শুরু করে সব বলে দেয় মামাকে।সবটা শুনে সালাম সাহেব বলেন,,,

-কিহ?সাম্যের তোর সাথেও সম্পর্ক ছিলো?
-সাথেও মানে?বুঝলাম না মামা।
-সাম্য তো বলেছিলো ওর শুধু সিঁথির সাথে সম্পর্ক ছিলো।তাই তো সিঁথির সাথেই ওর বিয়ে দিয়েছি।আগে যদি জানতাম ওর তোর সাথে।সম্পর্ক ছিলো তাহলে কখনো ওই মেয়েকে আমি ঘরে তুলতাম না।

সালাম সাহেবের কথা শুনে।হৃদির পায়ের তলার মাটির সরে যায়।একটা মানুষ কিভাবে এরকম করতে পারে?তাহলে সব কি নাটক ছিলো?হতেও পারে!মানুষ দ্বারা তো কোনো কিছু অসম্ভব না।ভালোই হয়েছে হৃদি সরে এসেছে।

-মামা,তোমার কাছে তো আমার এক্সামের সার্টিফিকেট গুলা আছে তাই না?
-হু।
-কষ্ট করে সেগুলা দিয়ে যাবা?
-কী করবি আগে সেটা বল।
-প্রথমে একটা ছোটখাটো চাকরি জোগার করবো।তারপর আবার পড়াশোনা শুরু করবো।
-চাকরি এখনই করা লাগবে না।পড়বি তুই।খরচ আমি দেবো।
-কিন্তু মামা…..!
-কোনো কিন্তু না।যা বলছি তাই করবি।

চলবে,,,

#নিয়তি
#লুৎফুন্নাহার_আজমীন
#পার্ট১১

হৃদির মুখে সাম্যের কথা শুনে সালাম সাহেবের মন চাইছে ছেলেকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলতে।কিন্তু সে হৃদির কাছে প্রতিজ্ঞা করেছে সে সাম্যকে কিছুই বলবে না।মেয়েটা একদম মায়ের মতো হয়েছে।সারাজীবন শুধু অন্যের দোষটা আড়াল করে গেলো।অন্যকে বাঁচাতে গিয়ে বারবার নিজে বিপদে পড়ে।তাও অন্যকে নির্দোষ প্রমাণ করতে,অন্যকে রক্ষা করতে পিছপা হয় না।অনেক হয়েছে।এবার মেয়েটাকে বুঝতে হবে স্বার্থপর দুনিয়ায় বেঁচে থাকতে হলে নিজেকেও স্বার্থপর হতে হবে।

মিসেস ছায়ার মাতৃস্নেহে হৃদি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে।ঠিক সেই পুরোনো হৃদি।প্রয়োজন ছাড়া যে মেয়ে কোনো কথা বলতো না আজ সেই মেয়েই সারাদিন বকবক করে সবাইকে জ্বালাচ্ছে।হৃদির এমন আচরণ আর কেউ উপভোগ করুক বা না করুক মিসেস ছায়া ঠিকই উপভোগ করছেন।বিভোর তো প্রায় সময়ই বাহিরে থাকে। আগে একা একা লাগলেও এখন মিসেস ছায়ার একাকিত্ব করার কোনো সুযোগই নেই।পর পর দুইটা বড় বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে হৃদি।মিসেস ছায়ার মমতায় আজ হৃদি সম্পুর্ন সুস্থ স্বাভাবিক।

মিসেস ছায়া সেদিন গিয়েছিলেন বোনের বাড়ি।হৃদির ভার্সিটিও সেদিন তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে গিয়েছিল।আলভীর সাথে কাটানো লোমহর্ষক মুহুর্ত গুলো হৃদি মন থেকে সরাতে পারছেনা।সাম্যের ধাক্কাটা হৃদি ভাগ্যের লিখন হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু আলভী….
ঘটনাটা এখনো হৃদিকে আঘাত করে চলেছে।সব ছেলের মাঝে হৃদি আলভীর আর সাম্যের ছায়ার সম্মিলিত রূপ দেখতে পায়।শুধু বিভোর বাদে।ছেলেটাকে সম্পুর্ন আলাদা লাগে হৃদির।কেমন একটা যেন ভিন গ্রহের প্রানী।

মিসেস ছায়া কোথাও যাওয়ার হলে বিভোর আর হৃদিকে ফ্ল্যাটের চাবি দিয়ে যান।ক্যাম্পাস থেকে এসেই হৃদি বিছানায় গা এলিয়ে দেয়।হৃদির আগে হয়তো বিভোর এসেছিলো।পুরো ফ্ল্যাটটা কেমন অগোছালো যেন!কি খুঁজছিলো কে জানে!আন্টিকে সারপ্রাইজ দিলে কেমন হয়?আজ হৃদি যদি পুরো ফ্ল্যাটটাকে সাজিয়ে গুছিয়ে মা ছেলেকে সারপ্রাইজ দেয়!বিষয়টা নিশ্চয়ই খারাপ হবে না!
হৃদির আবার শ্বাসকষ্টের প্রবলেম আছে।তো মাস্ক পড়ে কাপড় দিয়ে চোখ মুখ ঢেকে লেগে পড়ে সে।বিভোরের ঘর বাদে বাকী সব ঘর একটু ঝাড় মোছাতেই হয়ে যায়।বিভোরের ঘরে ঢুকতেই হৃদির যেন কেমন ইরিটেড লাগতে শুরু করে।লাইক সিরিয়াসলি? এই ঘরে মানুষ থাকে?জানালা না খোলায় ঘরের মধ্যে কেমন যেন একটা গ্যাস জমে আছে।হৃদি গিয়ে জানালা খুলে দিতেই গ্যাস গুলো বেরিয়ে যায়।তারপর চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা কাপড় গুলো বাথরুমে নিয়ে যায়।সেগুলো কেচে রোদে দিয়ে ঘর ঝাড়ুর কাজে লেগে পড়ে।
এ কেমন ছেলেরে বাবা!কতদিন ধরে ঘর পরিষ্কার করে না আল্লাহই জানেন।যেখানেই হাত দেয় সেখানেই চিপস চকলেটের প্যাকেট পায় হৃদি।বিশেষ করে চিপা চাপায়।সাম্যেরও এই রকম বদভ্যাস ছিলো।কত যে এ নিয়ে মামীর কাছে বকা খেয়েছে!যাক গে অতীত টেনে এনে লাভ নেই।বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে হৃদিকে ভাবতে হবে।নিজের কথা ভাবতে হবে।অনেক হয়েছে অন্যের কথা ভাবা।

স্টাডি টেবিল গুছাতে গিয়ে হৃদির হাত লেগে একটা ডায়েরি পড়ে যায়।ডায়েরীটা তুলতে গিয়ে হৃদি যেন পুরো আকাশ থেকে পড়ে।সিঁথির ছবি বিভোরের কাছে এলো কিভাবে?ডায়েরিটার ভেতর হয়তো ছিলো।মানুষের ব্যক্তিগত ডায়েরি পড়া কখনো ভদ্রতার মধ্যে কাতারে যায় না।আপাতত ছবিটা রেখে দিক তারপর কোনো একসময় বিভোরকে জিজ্ঞাস করা যাবে নি।

মিসেস ছায়া ফোন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি আজকে আসতে পারছেন না।রান্না করে তিনি রেখে গিয়েছেন সময় মতো গরম করে হৃদি আর বিভোরকে খেতে বলেছেন।রাত তখন প্রায় সাড়ে দশটা।কলিং বেলের আওয়াজ শুনে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে হৃদি।বিভোর ঘরে প্রবেশ করে।ক্লান্ত শরীর নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে নিজের ঘরে যায় বিভোর।বিছানায় গিয়ে গা এলিয়ে দেয়।হঠাৎ করেই চারপাশটা সে খেয়াল করে!আরে!এটা তো বিভোরের ঘর নয়।হৃদি বা মার ঘরে চলে এলো না তো বিভোর!নাহ এটা তো বিভোরেরই ঘর।কিন্তু এমন কেন?

-অবাক হওয়ার বা ঘাবড়ানোর কিছু নেই।আপনার ঘর আমি আজ পরিষ্কার করেছি।

রান্নাঘর থেকে চিৎকার করে বলে হৃদি।বিভোর ক্লান্ত গলায় হৃদির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে বসে বিভোর।ঢগঢগ করে এক গ্লাস পানি খেয়ে নেয় বিভোর।তারপর হৃদিকে কাজে সাহায্য করতে গেলে হৃদি বলে,,

-এমা আপনি আসছেন কেন?সব প্রায় শেষের দিকে।আপনি বসুন আমি নিয়ে আসছি।সারাদিন ডিউটি করে আসছেন।আমায় হেল্প না করলেও চলবে।

বিভোর বরাবরই শান্ত প্রকৃতির ছেলে।তাই আর কথা বাড়ায় না।টেবিলে গিয়ে বসে।হৃদি খাবার গরম করে এনে বিভোরের সামনে পরিবেশন করে।খাবার খেতে খেতে অনেকটা অসস্থি মাখা কন্ঠে হৃদি বলে,,

-আপনার কাছে সিঁথি দির ছবি আসলো কিভাবে?

সিঁথির কথা শুনে বিভোর যেন খাবার খেতে গিয়েও থেমে যায়।রুটির টুকরোটা বিভোরের অজান্তেই হাত থেকে পড়ে যায়।সিঁথি!এই মেয়ে সিঁথির কথা জানলো কিভাবে?আর ও কী সিঁথিকে চেনে?কৈশোরের প্রথম প্রেম সিঁথি।সিঁথি আর বিভোর একই স্কুলে পড়তো।প্রেম নিবেদনটা সিঁথিই করেছিলো বিভোরও সিঁথির প্রতি দুর্বল থাকায় ওকে ফিরিয়ে দিতে পারেনি।কিন্তু এসএসসির পর আর বিভোর সিঁথির দেখা হয় নি।

-আপনি ওকে চিনেন?
-চিনবো না কেন?ও তো আমার ভাবি আগে।কিন্তু আমি আমার প্রশ্নের উত্তর পেলাম না!

হুহ!উত্তর!যাকে নিজের করার কোনো সুযোগ নেই তখন আর কী বলার।বিভোর মুচকী হেসে বলে,,

-আমার ক্লাস মেট।এম্নেই ছবিটা রেখে দিয়েছিলাম।
-কিন্তু আপনার কথায় তো অন্যকিছু মনে হলো।If you feel comfortable you can share with me…

বিভোর দীর্ঘশ্বাস ফেলে।সেই শ্বাসের মধ্যে হাতাশার উপস্থিতি হৃদির চোখ এড়ায় নি।বেশি জোর করা ঠিক হবে না।এম্নেতেই উনি একটু অন্যরকম ধাচের মানুষ। হৃদি আবার বলে,,

-যখন আপনার মনে হবে যে আমার সাথে আপনি সিঁথিদির ব্যাপারটা শেয়ার করতে পারেন তখন করিয়েন।

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here