নীরবতা পর্ব_২৫
#নাইমা_জাহান_রিতু
অস্থিরতায় আচ্ছন্ন হয়ে চেয়ারে বসে ভ্যানিটি ব্যাগ মেঝেতে ছুঁড়ে ফেললো জ্যোতি। হোটেল থেকে সরাসরি অফিসে আসা মোটেও উচিৎ হয়নি তার। ঘুম থেকে উঠে মৌমি এবং মাজহারুল কারোই দেখা না পেয়ে এমনিতেই পুরো মাথা আওলিয়ে আছে। এর মাঝে রাশেদ ফোনের উপর ফোন দিয়েই যাচ্ছে! চেয়ারে শরীর এলিয়ে চোখজোড়া বুজলো জ্যোতি। লম্বা একটি দম ছেড়ে গতরাতের কথা স্মরণ করলো। রাতে মাথা ঠিক ছিল না তার। যা হয়েছে ঝোকের বশে হয়েছে। ভুল ক্রমে হয়েছে! তবে ভুল তো সে একা নয়, মাজহারুলও করেছে। তারপরও কেনো মাজহারুল এই কাজটি করলো? শেষবারের মতো মেয়েটিকে একটু মন ভরে কেনো দেখতে দিল না? ওদিকে ফোন টাও বন্ধ করে রেখেছে। একবার কী মেসবাহর চেম্বারে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবে ওরা ঢাকাতেই আছে কিনা? থাকলে না হয় আরেকটিবার মেয়েকে বুকের ভেতর আঁকড়ে ধরবে। শেষবারের মতো মুখে হাজারো ভালোবাসার ছোঁয়া লাগিয়ে দেবে। পরমুহূর্তেই নিজের মন স্থির করলো জ্যোতি। গতরাতে যা হয়েছে তারপর আবারও মাজহারুলের মুখোমুখি হতে চায় না সে। তবে তার মেয়ে? তার তো কোনো দোষ নেই এসবের মাঝে। বুকচিরে গভীর এক দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল জ্যোতির। বুকটা প্রচুর ফাঁকাফাঁকা লাগছে। আর কখনোই তার এই বুকে আসবে না মৌমি ভাবতেই দম বন্ধ হয়ে আসছে…
-“আশ্চর্য! এত বারবার কল দিচ্ছি অথচ তুমি পিক কেনো করছো না? সমস্যা কী তোমার জ্যোতি?”
ফোনের অপর প্রান্ত থেকে রাশেদ রহমানের কড়া গলা শুনে ছোট্ট একটি নিঃশ্বাস ফেললো জ্যোতি। ক্ষীণ স্বরে বললো,
-“বাসে ছিলাম..”
-“বাসে কেনো থাকবে? বাসা থেকে তোমার অফিসে যেতে বাস লাগে?”
-“না..”
-“তাহলে আজ কেনো লাগলো?”
-“জানি না..”
-“জানো.. ইউ নো এভরিথিং। তুমি কাল রাতে বাসায় ছিলেনা। সত্যি করে বলবা কোথায় ছিলে কাল রাতে তুমি?”
-“মৌমির সঙ্গে…”
-“মৌমির সঙ্গে মানে? তুমি কোথায় কার বাসায় ছিলে? আর মাজহারুল? সেও কী তোমার সাথেই ছিল?”
নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টায় ব্যর্থ হলো জ্যোতি। একেরপর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছে রাশেদ। কিন্তু কেনো? এ অধিকার কি তাকে দিয়েছে সে?
-“আমি যেখানেই থাকি আমাকে এ জাতীয় প্রশ্ন করার তুমি কে? আমাকে আমার মতো করে চলতে দাও, রাশেদ। নয়তো আমাদের সম্পর্ক এখানে শেষ করতে আমি দুবার ভাববো না।”
দাঁতে দাঁত চেপে একদমে কথাগুলো বলে কল কেটে ফোন বন্ধ করে রাখলো জ্যোতি। হাত পা অনবরত কেঁপে যাচ্ছে তার। বুকের মাঝে চলছে তুফান। দু’চোখের জ্বালায় তাকিয়ে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। অসহ্য লাগছে এই পৃথিবীকে। দীর্ঘদিনের এই একাকীত্বও তাকে এতোটা কষ্ট দেয়নি যতোটা না আজ পাচ্ছে সে!
ল্যাবএইড থেকে বেরিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রিক্সা নিল মেসবাহ। আজ রোগীর সংখ্যা তেমন একটি ছিল না বললেই চলে! তাহলে কি রোগীরাও জেনে গেছে আজ তার উল্লাসী বাড়িতে একা.. তাকে দ্রুত বাড়ি ফিরতে হবে? আনমনেই হেসে উঠলো মেসবাহ। দিনেদিনে তার চিন্তাভাবনা বেশ পাগলাটে হয়ে যাচ্ছে। তবে আজ পুরো একটি দিনে সে প্রহর গুনে গেছে আজ রাতের। বেশ কদিন পর মেয়েটাকে একা পাচ্ছে সে। সন্ধ্যায় একসাথে বসে টেলিভিশন দেখা, দুজনে মিলে খেতে বসা, গল্পগুজব হয় না অনেক দিন! আজ না হয় সব চাওয়া পূরণ করে নেয়া যাবে! স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে একটি সিগারেট ধরালো মেসবাহ৷ রাতের অন্ধকার আকাশে তারারা জ্বলজ্বল করছে আর অন্ধকার পৃথিবীর বুকে তার হাতের জ্বলন্ত সিগারেট। দুটোর মাঝে অদ্ভুত একটি মিল থাকলে অমিলের সংখ্যা অগণিত। যেমনটা তার এবং উল্লাসীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বয়সের ব্যবধান, চালচলন, চিন্তাভাবনা প্রতিটি ক্ষেত্রে অসংখ্য বৈসাদৃশ্য থাকার পরও উল্লাসীর প্রতি তার মনের টান যেনো দিনেদিনে বেড়েই চলছে। মায়ার বাঁধন বেশ জটিল বাঁধন। এ বাঁধন ভালোবাসায় রূপ নিতেও সময় নেয়না।
-“চা কতক্ষণে পাবো?”
-“এইতো.. আপনার চা।”
চায়ের কাপ হাতে নিয়ে ইশারায় উল্লাসীকে পাশে বসতে বললো মেসবাহ। ধোঁয়া উঠা গরম চায়ের কাপের দিকে তাকিয়ে নরম গলায় বললো,
-“কোচিং-এ কথা বলে এসেছি। কাল থেকে এসময় কোচিং-এ থাকতে হবে তোমার।”
-“আচ্ছা।”
-“কাল গেলে হাসিব মাহমুদ নামের এক লোক বইয়ের একটি লিস্ট দেবে তোমায়। ওটা ঠিকঠাক রেখো। আমি পরশু বই খাতাপত্র যা লাগে কিনে আনবো।”
-“আচ্ছা।”
-“ক্লাসে সবার সাথে বেশি একটা মিশবে না। দেখে শুনে তারপর একটি মেয়ে বন্ধু বানিয়ে নেবে।”
-“আচ্ছা।”
-“সবাই হয়তো নানান কথাবার্তা শোনাবে, আমার সম্পর্কে নানান কিছু জানতে চাইবে.. তবে তুমি শুধু এটুকুই বলবে, আমি জানি না। এসম্পর্কে আমার স্বামীকে জিজ্ঞেস করুন। ঠিকাছে?”
-“আচ্ছা।”
এপর্যায়ে চায়ের দিক থেকে নজর সরিয়ে উল্লাসীর দিকে দিল মেসবাহ। ভ্রু কুঁচকে বললো,
-“এত অস্থির লাগছে কেনো তোমায়?”
-“জানি না।”
-“কী হয়েছে খুলে বলো তো!”
-“জানি না.. আমি যাই!”
উল্লাসী উঠে দাঁড়াতেই তাকে থামালো মেসবাহ। হাত ধরে টেনে আবারও সোফায় বসিয়ে বললো,
-“কোথায় যাবে?”
-“কাজ আছে..”
-“কোনো কাজ করতে হবে না। আজ প্লিজ আমার সাথে বসো।”
কোনো উপায় না পেয়ে অস্থির মনে মেসবাহর পাশে বসলো উল্লাসী। মুন্নি সরকারের কথামতো তাকে আজ বড় আদর নিতেই হবে। উনার দেয়া একটি কপালের চুমু ভালোলাগার চরম শিখরে নিয়ে যায় তাকে। তবে সেটিও নিতে হয় হাজারবার চেয়ে চেয়ে। সেখানে পুরো শরীরে চুমু চাইতে তাকে কত আবদার করতে হবে ভেবেই গলা শুকিয়ে আসছে তার।
-“এই উল্লাসী? আমার কথা শুনছো?”
-“হু..”
উদ্বিগ্ন মুখে উল্লাসী জবাব দিতেই সন্দেহ হলো মেসবাহর। কিছু একটা হয়েছে মেয়েটির। নয়তো মনোযোগী শ্রোতা বেশে যার কাজই তার প্রতিটি কথা শোনা, সে আজ অন্যমনস্ক!
রাতের খাবার শেষে ব্যালকনিতে মেসবাহ সিগারেট খাবার জন্য যেতেই মুন্নি সরকারের দেয়া নাইটি নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলো উল্লাসী। সময় নিয়ে তা পড়ে আয়নায় তাকিয়ে নিজেকে দেখে নিল। ছোটবেলায় হাতাকাটা ফ্রক সে অনেক পড়েছে। মুন্নি সরকারের দেয়া এই নাইটিটি কিছুটা সেরকমই। শুধু পার্থক্য এতে পিঠ ও বুকের অনেকটা অংশ বেড়িয়ে আছে এবং পা পুরোটা দেখা যাচ্ছে। যা অত্যন্ত অস্বস্তিকর! চোখমুখ কুঁচকে নাইটি খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েও তা বদলে ফেললো উল্লাসী। এসব পড়লে যদি নিজের জিনিস নিজেরই থাকে তাহলে কিছুক্ষণের জন্য পড়লে ক্ষতি কী? তাছাড়া মুন্নি সরকার বারবার বলে দিয়েছেন, স্বামীকে শরীর দেখালে কোনো পাপ হবে না। এসব দেখার অধিকার একমাত্র তারই…
-“শুনছেন? ভেতরে আসুন।”
ঘরের ভেতর থেকে উল্লাসীর ডাক শুনে সিগারেট ফেলে উঠে পড়লো মেসবাহ। মেয়েটি এখন তার বায়নার ঝুঁড়ি খুলে বসবে। যা মানতে খানিকটা নারাজ থাকলেও তার বায়নার সাথে না পেরে উঠে শেষমেশ মানতেই হবে তাকে। ঠোঁট ভর্তি হাসি নিয়ে ঘরে ঢুকতেই চারশো আশি ভোল্টেজের শক খেলো মেসবাহ। জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছে না তো সে? নয়তো স্লিভলেস নাইটি পরিহিতা উল্লাসীকে কিভাবে দেখবে সে? ঢোক গিললো মেসবাহ। স্বপ্ন নয় এটি। তার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে স্বয়ং তার সহধর্মিণী উল্লাসী। এ যেনো অবাস্তব সত্য! খানিকক্ষণ আগেই মেয়েটি ক্লান্ত পরিশ্রান্ত শরীর নিয়ে ঘেমে একাকার হয়ে খাবার গোছাচ্ছিল। অথচ এখন সেসবের চিহ্নটুকুও নেই! বিপরীতে এতদিন যাকে বাচ্চা বাচ্চা বলে মুখে থুতু বের করে ফেলেছিল তাকে আজ কোনোদিক দিয়েই বাচ্চাদের মতো লাগছে না। হালকা গোলাপি রঙের নাইটিতে তার শরীরের তিন চতুর্থাংশ বেরিয়ে আছে। ফর্সা গায়ের রঙ যেনো জ্বলজ্বল করে জানান দিচ্ছে তার শরীরের সৌন্দর্য্য।
-“কী হলো? আমাকে ভালো লাগছে না?”
উল্লাসীর গলার স্বরে ঘোর কাটলো মেসবাহর। ঘনঘন কিছু নিঃশ্বাস ফেলে ঢোক গিলে সে বললো,
-“এসব কী পড়েছো?”
-“নাইটি।”
-“তা তো দেখতেই পাচ্ছি.. কেনো এসব পড়েছো তুমি?”
-“আপনার জন্য।”
পিছন ফিরলো মেসবাহ। অস্থির গলায় বললো,
-“যাও খুলে এসো এসব।”
-“কেনো খুলবো? তাছাড়া আপনি ওইদিকে ঘুরলেন কেনো?”
-“প্রশ্ন করো না তো। যেটা বলছি সেটা করো..”
-“আপনি আগে আমার দিকে ফিরুন।”
গলার স্বর খানিকটা তীক্ষ্ণ করলো মেসবাহ। বললো,
-“উল্লাসী এসব আমার পছন্দ নয়। তুমি প্লিজ গিয়ে চেইঞ্জ করে এসো!”
-“বললেই হলো! চেইঞ্জ করবো না করবো না করবো না।”
-“জেদ করো না। তাছাড়া তুমি এসব পেলে কোথায়?”
মেসবাহর দিকে এগিয়ে তার মুখোমুখি দাঁড়াল উল্লাসী। তবে পরমুহূর্তেই আবারও মেসবাহকে পিছন ফিরতে দেখে ভ্রু কুঁচকে গেল তার। কটমটে গলায় সে বললো,
-“আপনি আমাকে দেখছেন না কেনো?”
-“তুমি আগে চেইঞ্জ করে এসো.. তারপর বলবো।”
-“না.. আমি চেইঞ্জ করলে আবারও আপনি ওই চামচিকাকে আদর করবেন। তা মনে হয় বুঝি না আমি?”
অবাক হলো মেসবাহ। বিস্মিত গলায় বললো,
-“চামচিকা কে?”
-“ওই যে! ইভানা..”
-“আরে ও আমার ফ্রেন্ড!”
-“ফ্রেন্ড না ছাই! সব বুঝি আমি! পুরুষ মানুষ ঘরে না পেলে বাইরে যাবে। এটা তাদের স্বভাব।”
বিস্ময়ের শেখরের পৌঁছে গেলো মেসবাহ। এই মেয়ে এসব কী বলছে? যে মেয়ের স্বামী স্ত্রীর মাঝের বন্ধন সম্পর্কেই অবগত নয় তার মাথায় পুরুষ মানুষের চাহিদার কথা এল কিভাবে?
-“আপনি আমার জিনিস তা বোঝে না কেনো ওই মেয়ে? আপনি কালই কোথাও থেকে মৌমাছির চাক জোগাড় করবেন। ঘরের যেকোনো এক কোণায় লাগিয়ে রাখবো। তবুও আপনি মধু খুঁজতে ওই মেয়ের কাছে যাবেন না।”
পাশ ফিরলো মেসবাহ। ছানাবড়া চোখে উল্লাসীর দিকে তাকিয়ে বললো,
-“মানে? মধু, মৌমাছির চাক কী বলছো এসব?”
-“হ্যাঁ.. আপনি মৌমাছির চাক যখন ঘরে পাবেন তখন আর বাইরে মধু খুঁজতে বেরুবেন না। আমি ভাই বুঝি না! মধু ঘরে থাকতেও আপনার মৌমাছির চাক কেনো লাগবে! এই শহরে ওসব পাওয়া কী সহজ নাকি!”
বোধগম্য হলো না মেসবাহর। দু’হাতে নিজের মাথা চেপে ধরে সে বললো,
-“যথেষ্ট হয়েছে.. তুমি যাও। আর চেইঞ্জ করে এসো।”
নড়লো না উল্লাসী। ঠাই দাঁড়িয়ে রইলো মেসবাহর সামনে। অপরদিকে মেসবাহ ক্রমেই নিজের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। বুকের ভেতর তুফান শুরু হয়েছে তার। উল্লাসীকে নিয়ে ভাবে সে। নিজের স্ত্রী হিসেবে যতটা ভাবা উচিৎ ভাবে। তবে বিবেকের কাছে নিজেকে দৃঢ় রেখে মনের বাসনাগুলো মনের গহীনেই লুকিয়ে রাখে। রোজরাতে উল্লাসীর ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে নিজেকে শান্ত রাখে। একটি সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে। তবে আজ উল্লাসী এ কোন নেশায় আকর্ষিত করলো তাকে? নিজেকে সামলে নেয়া যে বড্ড দায় হয়ে পড়েলো!
-“আপনি আমাকে ভালোবাসেন না। আপনি ওই মেয়েকে ভালোবাসেন.. তাই না? বুঝি তো আমি। সব বুঝি।”
ছলছলে চোখে ক্ষীণ স্বরে উল্লাসী কথাটি বলতেই ঠোঁটে হাসি ফুটলো মেসবাহর। ছোট্ট একটি নিঃশ্বাস ফেলে সে বললো,
-“সব বোঝো?”
-“হ্যাঁ.. উনি সুন্দর। উনার মত আমি ইংরেজিতে কথা বলতে পারিনা, উনার মত চুল রঙ করা নেই আমার, উনার মত জামা পড়ি না আমি… এজন্যই আপনি আমাকে ভালোবাসেন না। আমাকে ছোট আদর দিয়ে শান্ত রেখে উনাকে বড় আদর দেন। আমি সব বুঝি..”
হঠাৎ উল্লাসী ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠতে দেখে তার মুখ আঁজলে তুলে ধরলো মেসবাহ। মুগ্ধ দৃষ্টিতে তার দিকে চেয়ে বললো,
-“এসব কে বলেছে তোমায়?”
-“যেই বলুক! আমি বুঝি।”
-“উহু.. বোঝো না।”
-“তাহলে আপনার কাছে আমার এত চাইতে হয় কেনো? ওই মেয়েকে তো না চাইতেই দিয়ে দেন!”
-“এব্যাপারে কালও তোমায় বুঝিয়েছি উল্লাসী।”
-“না, আমি বুঝি নি। আমার বড় আদর চাই। দিন না আমায় একটু বড় আদর করে!”
-“দিব.. সময় হলেই দিব।”
-“সময় হয়েছে। আজই দেবেন। দিন না একটু! দিন না.. দিন না..”
-“সত্যিই তোমার বড় আদর চাই?”
-“হ্যাঁ.. চাই।”
ঘনঘন কিছু নিঃশ্বাস ফেলে সিদ্ধান্ত নিল মেসবাহ। মন এবং বিবেকের যুদ্ধে মনকে জিতিয়েই উল্লাসীকে পাঁজকোলে উঠিয়ে বিছানায় ধীরেসুস্থে নামিয়ে নিজের ভরটাও ছেড়ে দিল তার উপর।
-“এভাবে চেপে ধরেছেন কেনো?নিঃশ্বাস নিতে পারছি না তো!”
উল্লাসীর কথায় তাল না দিয়ে নিজের ঠোঁটজোড়া ডুবিয়ে দিল তার ঠোঁটের মাঝে। ধীরেধীরে শুষে নিতে শুরু করলো ঠোঁটের সাথে তার সকল চাওয়া পাওয়া গুলোকে। একের পর এক ঠোঁটের স্পর্শ এঁকে দিতে লাগলো উল্লাসীর পুরো শরীরজুড়ে।
(চলবে)