নীল আঁচল,পর্ব_২
সুলতানা সিমা
সকালে পাখির কলরবে ঘুম ভেঙে যায় নীলের। আড়মোড়া ভেঙ্গে পিটপিট করে চোখ খোলে তাকাতেই দেখলো নিলা তাঁর দিকে তাকিয়ে বত্রিশ পাটি দাঁত বের করে হাসছে। দাঁতগুলা চিকচিক করছে। গাঢ় নীল রংয়ের মাঝে চিকচিক দাঁতের হাসি ভয়ংকর রূপ ধারন করেছে। ঘুম থেকে উঠে এমন দৃষ্টি দেখে আহহহহহ বলে চিৎকার দিয়ে খাট থেকে উল্টে পড়ে গেলো নীল। নীলের চিৎকার বাড়ির সবার কানেই গেলো। নিলা দৌঁড়ে এসে নীলকে ধরলো। কোমরে হাত রেখে কিঞ্চিৎ স্বরে আর্তনাদ করে উঠল নীল। এমন ভূতকে বিয়ে করেছে বাকি জীবনটা যে কীভাবে কাটাবে এটাই ভেবে তাঁর কান্না পাচ্ছে। নিলা নীলকে তুলে খাটে বসিয়ে বলল” ছিঃ আপনি এতো ভিতু। বাবা বলেছিলো আমাকে বীরপুরুষের সাথে বিয়ে দিবে। কিন্তু বাবা আমাকে এ কী দেখে বিয়ে দিলো। একটা ভিতুর সাথে বিয়ে দিলো? কথায় কথায় আহহহ বলে চিৎকার করে।” নিলার কথাটা নীলের আত্মসম্মানে আঘাত করলো। এই ভূত তাঁকে ভিতু ডাকবে এটা কিছুই হতে পারেনা। নীল ঠিক করলো যা হবার হবে, সে আর চিৎকার দিবেনা। নীলের কোমরে ব্যথা করছে এদিকে তাঁর ওয়াসরুমেও যেতে হবে। উঠে এক’কদম এগিয়েই কোমরে ধরে বাঁকা হয়ে গেলো। নিলা চোখে মুখে বিস্ময় নিয়ে বলল “আপনি তো দেখি দূর্বলতায় ভুগছেন?” নীল সাথে সাথে কোমর ছেড়ে চলে গেলো ওয়াসরুমে। ব্যথা লাগুক কিন্তু প্রকাশ করা যাবেনা।
ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে দেখলো নিলা রুমে নেই। মনে হয় নিচে গেছে। নীল ফোন নিয়ে বারান্দায় গিয়ে আঁচল কে ফোন দিলো। আঁচল ফোন রিসিভ করেই বলল” ওই কুত্তা আমারে ফোন দিছস কেন? বউয়ের কাছে জায়গা পাসনি তাইনা? এখন আমাকে খুঁজতেছিস। আমি জানতাম তো ঘুরেফিরে তুই আমার কাছেই আসবি। আহহহহ তিনি নীল রংয়ের মেয়েকে বিয়ে করেছেন। আমার তো মনে হয় তুই কোনো ভূতকে বিয়ে করেছিস?
_ওই মুখ সামলে কথা বলবি। আমার বউ তুলে কথা বলবি না। আমি তো তোরে আমার বউ দেখতে দাওয়াত দিতে ফোন দিছি। জানিস আমার বউ আমারে নীল চা খাওয়াইছে। নীল চা। জীবনে নীল চা খাইছস। খাইবে কেমনে জীবনে চোখে দেখছিস কিনা সন্দেহ আছে।
_দ্যাত রাখ ফোন।” আঁচল ফোন রেখে দিলো। নীল নিচে আসলো। তাঁর বোন থরথর করে কাঁপছে নিলা সামনে দাঁড়িয়ে কী যেন বলছে। নীল গিয়ে বলল”কী রে কী হইছে কাঁপতাছিস কেন?” নীলের বোন ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে চলে গেলো। তাঁর ভাবীকে দেখলেই তাঁর ভয় লাগে। নীল এসে টেবিলে বসলো। নিলা একটা কাপ আর একটা বাটি এগিয়ে দিলো। নীল হাতে নিলে কপাল কুঁচকে তাকিয়ে নীলাকে বলল” এগুলা কী?
_কেন? চা আর পেয়াশ।” নীল চোখ বড় করে তাকিয়ে বলল”
_কিইইইইইই? চাচাচাচা চা? চা তো লাল হবে বাদামী হবে। এটা এতো নীল কেন?
_আপনি না নীল রং পছন্দ করেন?
_তাই বলে পায়েশটাও নীল হবে? এটা না হয় সাদা দাও।
_এগুলা খাবেন নাকি ভাত এনে দিবো।
_ওকে তাহলে ভাত এনে দাও।” নীলের কন্ঠে প্রফুল্লতা। এতো সকাল সকাল ভাত খেতে পারবে না। তবুও আপাতত এটা দিয়েই ক্ষিধা মিটাতে হবে। নিলা একটা প্লেটে করে নীল রংয়ের ভাত নিয়ে আসলো। নীলের অবস্থা এখন মরে গেলে বাঁচি এমন।
_এ এ এ এসব কী বউ।
_কেন ভাত।
_নী নী নী নীল কেন? আ আ আ আমি খাবো না এসব।
_ওমা এতো কষ্ট করে আপনার জন্য নীল চাল এনে রান্না করলাম আর আপনি কিনা খাবেন না বলছেন?
_ওই বোকা পাইছো আমায়? নীল রংয়ের চাল পাইবা কই তুমি?
_নীল রংয়ের মানুষ থাকলে চাল থাকবে না কেন?
নীলের রাগ উঠে গেলো। রাগে একটা গ্লাস হাতে নিয়ে ফ্লোরে ছুঁড়ে মারল। গ্লাস ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। গ্লাস ভাঙ্গার শব্দে নিলা কিঞ্চিৎ কেঁপে উঠে৷ কিন্তু পরক্ষণে আগুন হয়ে যায়। রাগে গিজগিজ করতে করতে কিচেনে গিয়ে খুন্তি নিয়ে আসে। নিলার হাতে খুন্তি দেখে নীলের কলিজা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। ভয়ার্ত চোখে নিলার দিকে তাকিয়ে শুকনো একটা ঢোক গিলে। গলা শুকিয়ে গেছে তাঁর। নিলা এসে প্লেট নীলের সামনে টাস করলো রাখলো। তারপর কর্কশ গলায় বলল”
_ চুপচাপ এগুলা খাবি তুই, আমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকবো।
_তু তু তু তুই তুকারি করছো কেন?
_খাবি নাকি ডান্ডা লাগাবো। “নীল কাঁদো কাঁদো হয়ে ভাত মাখাতে লাগলো। দেখেই ঘৃণা লাগছে মুখে তুলবে কেমনে। আজ আঁচলের কথা খুব মনে পড়ছে। আঁচলের বার্থডে তে নীল রংয়ের কেক নিছিলো। আঁচল নীল রংয়ের কেন প্রশ্ন করছিলো বলে। নীল কেক ফেলে চলে আসছিলো। আঁচলে সেদিন বলেছিলো নীল হচ্ছে বিষ রং। আসলে সত্যিই বলছে আঁচল, নীল বিষের রং। চোখ বন্ধ করে বির বির করে বলল” আল্লাহ মরে যেন নাই যাই গো আল্লাহ।” দুইবার মুখে তুলতে গিয়েও তুললো না।
নীল নিলার দিকে তাকিয়ে অনুরোধের স্বরে আহ্লাদ করে বলল”
_বউ। ও বউ। আমার ডাইনি বউ। রাক্ষসী বউ। পেত্নি বউ। ভূত বউ। আমারে মাফ করে দেও প্লিজ। “নিলা চোখ বড় বড় করে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকাল। নীল দ্রুত না সূচক মাথা নেড়ে বলল” না না না সুন্দরী বউ রূপসী বউ লক্ষী বউ। প্লিজ মাফ করে দাও।” নীলা তাকালো না। নীল বেশ কয়েকবার ডাকার পরে কেঁদে কেঁদে বলল” “নীল নীল নীলাঞ্জনা একবার কথা শুননা।
_কোনো কথা শুনা যাবেনা চুপচাপ খেতে বলছি মানে চুপচাপ খাবি।” নীল ভয়ে কেঁপে উঠল। বাবা মায়ের দরজার দিকে অসহায় চোখে তাকাল। উনাদের দরজা বন্ধ। হয়তো এই ভূতের ভয়ে দূরে দূরে থাকছেন। চোখ বন্ধ করে এক লোকমা মুখে তুলল। গিলার সময় মনে হচ্ছে তাঁর নাড়ী ভুড়ি বাইরে চলে আসছে। নিলার অগ্নিচোখের দিকে তাকিয়ে গিলে ফেলল। দ্বিতীয় লুকমাটাও গিলল। কিন্তু তিনবারের বেলায় চোখ বড় বড় করে মুখ চেপে ধরে দৌঁড়ে বেচিনে গিয়ে বমি করতে লাগলো। বমিতে বেচিন নীলে নীল হয়ে গেলো। নীল নিলাকে ডাক দিয়ে বলল” বউ আমার পেটের ভেতর সব নীল হয়ে গেছে।” নিলা গিয়ে শার্টের কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে এনে আবার টেবিলে বসালো। নীল ভ্যাঁ করে কেঁদে দিলো। নিলা বলল” ওই চুপ একদম কাঁদবি না।” নীল অবাক চোখে তাকালো। রেগে যখন কথা বলে তখন গলাটা একদম আঁচলের মতো লাগে। নিলা বলল”
_এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?
নীল বাচ্চাদের মতো কাঁদো ফেইসে ঠোঁট উল্টে বলল”
_আমার গার্লফ্রেন্ডের কথা মনে পড়ছে।
_আলতু ফালতু কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে চুপচাপ খাবি।
_আমার গার্লফ্রেন্ডও আমায় তুই করে বলে। আমরা প্রেম করার আগে বেস্টফ্রেন্ড ছিলাম তো তাই।
_ওই তোর কিচ্চা শুনতে এখানে দাঁড়িয়ে আছি? খাওয়া শুরু কর।
_বউ একটু দয়া করো প্লিজ। আমি না খেয়ে থাকতে পারবো । তুমি যা বলবা তাই করবো। তবুও এগুলা খেতে বলবা না প্লিজ।
নিলা কিছুক্ষণ কী যেন ভাবলো তারপর বলল” ঠিক আছে রুমে চলো।”নীলের যেন প্রাণ ফিরে পাইছে। উঠে এক দৌঁড়ে চলে গেলো রুমে। নিলা এক বালতি পানি এনে নীলকে বলল “রুম মুছো”। নীল তীক্ষ্ণ গলায় বলল “কিইইইই। আমি রুম মুছবো।”
_হ্যাঁ তুমি মুছবে। যদি না মুছো তো বলে দাও।” নীল কাঁদো কাঁদো হয়ে বালতি হাতে নিয়ে গিয়ে রুম মুছতে লাগলো। নিলা কানে হেডফোন গুঁজে গান শোনছে আর পা নাচাচ্ছে। একটুপরে হেডফোন খুলে নীলকে বলল” ওই গান গাও তো।” নীল শোনলো না। নিলা ধমক দিয়ে বলল” ওই গান গাইতে বলছি না?” নীল গান ধরলো
“কারে দেখাইবো মনের দুঃখ গোওওও, আমার বুক ছিঁড়িয়া।
অন্তরে নীল রংয়ের আগুন জ্বলে রইয়া রইয়া”
_ওই চুপ। কী গাচ্ছো এগুলা?” নিলার ধমকে নীল থেমে গেলো। নিলা বলল নীল নীল নীলাঞ্জনা গান গাও। নীল কেঁদে কেঁদে গান ধরলো।
নীল নীল নীলাঞ্জনা
চোখ দুটো কানা কানা
চিকচিক ওই দাঁত
নীল নীল ওই ভাত
একদিনেই জীবন হলো তেনা তেনা
নীল নীল নীলাঞ্জনা
জীবনটা তেনা তেনা
গান গেয়ে গেয়ে রুম মুছলো নীল। রুম মুছার পরে ওয়াসরুমে গিয়ে কমোড ধুয়ে দিলো। এটা নিলার আদেশ ছিলো। উল্টা পাল্টা গান গাওয়ার শাস্তি।
সারাদিন কেটে গেলো নীল একফোঁটা পানিও খেলোনা। কেন যে সে আঁচলকে কথায় কথায় এটা বলতে গেছিলো, সে নীল মেয়েকে বিয়ে করে দেখাবে। এখন তো তাঁর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। নীলের বাবা মা নীলের বোন ঘর থেকে বের হলে তিনজন এক সাথে বের হন। একজন আরেকজনকে ধরে থাকেন যেন সুলতানা বিবিয়ানা খেলতে নামেন।
রাতে নীল রুমে এসে দেখলো নিলা ঘুমিয়ে আছে। এতো গাঢ় নীল নিলার গায়ের রং, যে নিলার চেহারার আকার আকৃতিও আন্দাজ করা যাচ্ছেনা। রাত বাড়লে মেয়েটাকে আরো ভয়ানক লাগে। নীল কাঁপা কাঁপা পায়ে এসে খাটের এককোণায় শুয়ে পরলো। একটু নড়লেই নীল খাট থেকে ধপাস করে পড়ে যাবে। হাত পা কাচুমাচু করছে। খুব শীত লাগছে। রুমে একটাই কম্বল যেটা নিলা গায়ে দিয়ে ঘুমাচ্ছে। এটার নিচে নীল যাবে না তাঁর ভয় লাগছে। ভয় পেয়ে লাইটটাও অফ করেনি সে। একটুপরে নিলা উঠে গিয়ে লাইট অফ করে দিলো। নীল লাফ দিয়ে উঠে বসলো। ভয়ার্ত স্বরে বলল “ক্ক ক্ক কে ওখানে?” কোনো জবাব নেই। নিশ্বাস ভারি হয়ে এলো নীলের। নিলা ড্রিম লাইট জ্বালালো। ভয়ানক একটা ভূত এগিয়ে আসছে নীলের দিকে। নীল এক দুই না ভেবে দৌঁড় দিলো। দৌঁড়াতে গিয়ে নিলার সাথে ধাক্কা খেয়ে আবার এসে খাটে উল্টে পড়ল। নিলা নীলকে বলল” ছিঃ একটা পুরুষ মানুষ এতো ভিতু হয়।” নীল আর কিছু বললনা। তাঁর ভয় এখনো কাটেনি। শুকনো এক ঢোক গিলে আগের জায়গায় শুয়ে পড়লো। মনে মনে আয়াতুল কুরসি পড়ছে।
রাত দুইটা বাজে। নীল ঘুমাচ্ছে তাঁর দিকে অপল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আঁচল। এই পাগলটাকে সে অনেক বেশি ভালোবাসে। তাইতো নিজের বাবা মায়ের শত বকা শুনেও নীল রং গায়ে দেওয়া বাদ দিলোনা। ক্লাস নাইন থেকে তাঁরা বেস্টফ্রেন্ড ছিলো। আঁচল নীলকে আগেই প্রপোজ করেছিলো। সম্পর্কের শুরু হয়েছিলো থেকে নীল তাঁকে সবসময় নীল নীল নীলাঞ্জনা গান গেয়ে শুনাতো। এই গান ছাড়া যেন দ্বিতীয় কোনো গান তাঁর জানা ছিলো না৷ এ নিয়ে আঁচলের ফ্রেন্ডগুলা তাঁকে নিয়ে অনেক মজা করেছে। তবুও নীলের এসব ছাড়াতে পারেনি সে। আঁচল যদি একবার বলতো নীল রং তাঁর পছন্দ না। তাহলে পনেরো দিনের জন্য তাঁদের ব্রেকআপ হয়ে যেতো। চার বছরের সম্পর্কে কম হলেও হাজারবার ব্রেকআপ হয়েছে তাঁদের। সব বারের ব্রেকআপে একটা কারণ ছিলো, সেটা হলো নীল রং। শেষেরবার যখন ব্রেকআপ হয়, তখন নীল বলে সে নীল রংয়ের মেয়ে বিয়ে করবে। আঁচল নীলকে অনেক বেশি ভালোবাসে। নীলকে ছাড়া তাঁর জীবন তেজপাতা ছাড়া কিছুই না। কিন্তু নীলের মাথা থেকে নীলের ভূত যে ছাড়াতে হবে। তাই এই সুযোগটা সে কাজে লাগিয়ে এক ডিলে দুই পাখি শিকার করলো। নীলকেও পাওয়া হলো নীলের ভূতও তাড়ানো হলো। তাঁর বাবা মা তো নীলের ছবি দেখেই পছন্দ করে ফেলছেন। করবেন না কেন। নীল যে মানুষটাই এমন, দেখলে চোখে নেশা ধরে যায়।
নীলের কপালে চুমু খেলো আঁচল। নীলের সিল্কি চুলগুলায় হাত বুলিয়ে দিলো আঁচল। সরু নাক,মুখের খোচাখোচা দাড়ি,ঘন জোড় ভ্রু, ঠোঁটের মাঝখানে লাল রংয়ের একটা তিল। যা গুলাপি ঠোঁটের সাথে মিশে আছে। আঁচলের খুব লোভ হলো ঠোঁট জোড়া একবার নিজের দখলে নিতে। কিন্তু না জেগে যাবে নীল। কিন্তু হালকা করে তো চুমু এঁকে দেওয়া যায়। আঁচল ঝুকে একটা চুমু খেল। নীল কিঞ্চিৎ নড়ে উঠল। নীলের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে। ইস কত কিউট তাঁর বর। যখন ভয় পায় তখন আরো কিউট লাগে। নীলের শার্টের দুটো বোতাম খুলে তাঁর উন্মুক্ত বুকে চুমু খায় আঁচল। পুরো শরীরে অন্য রকম শিহরণ জেগে ওঠল। শীতল স্রোত শিরায় শিরায় বইতে লাগলো। এটাকে কী কাছে পাওয়ার তৃষ্ণা বলে? ভাবতেই আঁচলের চোখে মুখে লজ্জা ফুটে উঠলো। লজ্জায় মুখ লুকাতে নীলের বুকে শুয়ে পড়লো আঁচল। ইস নীল জেগে থাকলে কতটা লজ্জা পেতে হতো তাঁকে। নীল সারাদিন কিছু খায়নি খারাপ লাগছে আঁচলের। কিন্তু এই পাগলের মাথা থেকে যে নীলের রংয়ের ভূত তাড়াতে হবে। তারপর না হয় ভালোবাসা দেখাবে। আর তখনই সে তাঁর পরিচয় দিবে।
চলবে…..।