নীল_ক্যানভাস,পর্বঃ১১
লেখিকা:তানজিল_মীম
“অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে শুভ্রতা আয়ুশের দিকে!’কারন আয়ুশ তার সামনে হাঁটু গেঁড়ে বসে রয়েছে!’হাতে তার ছোট্ট একটা সুন্দর লাল গোলাপ!’শুভ্রতা কিছু বলবে তার আগেই আয়ুশ বলতে শুরু করলঃ
—“আমি জানি তোমার মনে হাজারো প্রশ্নরা উঁকি মারছে এখন?’অনেক বড় বড় বিষন্নতা ঘিরে ধরেছে তোমায়,অনেক কিছু বলার আছে তোমায়!’ জানি না আমার সব কথাগুলো শুনে তুমি কেমন রিয়েকশন দিবে,
“এতটুকু বলে জোরে শ্বাস ফেলে আবারো বলতে লাগলো আয়ুশঃ
—“তোমার সাথে যেদিন প্রথম আলাপ হয়েছিল আমার,সেদিনই তোমার ভিতু ভিতু ভাব,কথায় কথায় চোখের চশমা ঠিক করা,সাথে তোমায় মায়াবী মুখ দেখেই এক অন্যরকম কিছু অনুভব হয়েছিল আমার,জীবনে অনেক মেয়ে দেখেছি কিন্তু তোমার মতো একটাও নয়,তুমি যে ছেলেদের ভিষণ ভয় পাও সেটা তোমার সাথে যেদিন প্রথম দেখা হয়েছিল সেদিনই বুঝেছিলাম আমি,তোমার এই ভয় জিনিসটাই আকৃষ্ট করেছিল আমায়,না চাইতেও সেদিন বার বার দেখছিলাম তোমায়,তারপর সেদিন যখন দুজন একসাথে লাইব্রেরিতে আঁটকে গিয়েছিলাম তখন তোমার ভয় পেয়ে আমায় জড়িয়ে ধরা সাথে অনেকটা সময় একসাথে কাটানো সবকিছুতেই এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছিল আমার!’কেন জানি না আমি না চাইতেও বার বার শুধু তোমায় দেখে গিয়েছিলাম সেদিন!’বাসায় গিয়ে তো বার বার মনে হয়েছিল তানভীর সেদিন না আসলেই ভালো হতো আমরা আরো কিছুটা সময় একসাথে থাকতে পারলাম,তারপর আবার হুট করে তোমার কাছে আসা সবকিছুতেই আকৃষ্ট আমি,তোমার নেশালো চুল,মায়াবী ফেস,গালের পাশে ছোট্ট তিল সবকিছুই ভালো লাগে আমার,অবশেষে বলবো,,
“জানি না কখন কিভাবে তোমায় নিয়ে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছি আমি,শুধু এতটুকু বলবো তুমি কি তোমায় নিয়ে করা আমার স্বপ্নগুলো পূরন করার সুযোগ দিবে,,তোমায় যে খুব ভালোবেসে ফেলেছি আমি,আই রিয়েলি লাভ ইউ চাশমিশ..,,
“পুরো এক শ্বাসে চোখ বন্ধ করে কথাগুলো বললো আয়ুশ!’
.
“শুভ্রতা হা হয়ে শুধু তাকিয়ে আছে আয়ুশের মুখের দিকে!’মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না তাঁর,সে তো ভাবতেই পারে নি আয়ুশ এমন কিছু বলবে!’
__________
—“তুই কি কিছু বলবি নাকি শুধু চুপ করে দাঁড়িয়েই থাকবি….
“একরাশ নীরবতা ভেঙে কথাটা বলে উঠল অনিক দিয়াকে!’কারন বেশ কিছুক্ষন যাবৎ দিয়া বলছে বলছে বলেও কিছু বলতে পারছে না!’
–“কি করে পারবে একটা মেয়ে কি একটা ছেলেকে কখনো তার মনের কথা গুছিয়ে বলতে পারে নাকি তাই তো এত প্রবলেম হচ্ছে…
“দিয়ার ভাবনার মাঝখানে আবারো বলে উঠল অনিকঃ
—“এই যে মিস “এলইডি বাল্ব” আপনি কি কিছু বলবেন নাকি এইভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবেন…
—“এত তাড়া কিসের তোর?’
—“তাড়া তো একটু থাকবেই আমি বুঝতে পারছি না তুই যখন কিছু বলতে চাস তাহলে বলছিস না কেন?’
—“আরে বলছি তো…
—“কোথায় বলছিস সেই তো কখন থেকে শুধু বলছি বলছি করছিস…
—“বেশি বকলে আমি কিন্তু বলবো না বলে দিলাম…
—“না বললে না বলবি,হুহ তোর কথা শোনার আমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই…
—“তা থাকবে কেন,তুই তো একটা শয়তান,ফাটা টেনিস বল কোথাকার…
—“বেশি বকিস না বলে দিলাম আমি কিন্তু চলে যাবো “এলইডি বাল্ব”….
“বলেই যেই না অনিক পিছন ঘুরতে নিবে সাথে সাথে দিয়া চেঁচিয়ে বলে উঠলঃ
—“তুই এমন করছিস কেন বলতো আর এত পিছন ফিরার কি আছে,সামনে ফিরে থাক…
“দিয়ার চেঁচানোতে অনিক আর পিছন ফিরে তাকায় না!’সামনের দিকে তাকিয়েই কিছুটা বিরক্ত নিয়ে বলে উঠলঃ
—“আমি এক থেকে দশ পর্যন্ত গুনবো তার ভিতর তুই যদি না বলিস আমি সত্যি সত্যি চলে যাবো…
“দিয়া অনিকের কথা শুনে কি করবে বুঝতে পারছে না, সে তো চায় অনিককে সবটা বলতে কিন্তু কোনোকিছুই যেন মুখ থেকে বের হচ্ছে না তার!’ধুর ছাতা আজ তার ধারা অনিককে প্রপোজ করা হবে না, তা সে ভালোই বুঝতে পেরেছে?
“অনিকের খুব হাসি পাচ্ছে দিয়ার কান্ডে’!তারপরও নিজের হাসিকে যথাসম্ভব চেপে রেখে আবারে বলে উঠল সেঃ
“আমি কিন্তু গুনতে শুরু করলাম “এলইডি বাল্ব”…
—“এক, দুই, তিন,চার,পাঁচ, ছয়, সাত,আট..
“অনিকের নাম্বারিং শুনে আরো ঘাবড়ে গেল দিয়া!’
—“না আজ আর তার ধারা প্রপোজ করা হলো না অনিককে!’
—“নয়, দশ…
“বলেই অনিক পিছন ঘুরে তাকালো,অনিককে পিছন ঘুরতে দেখে দিয়াও আর কিছু বলতে পারলো না, বেশি কিছু না বলেই সে রুম থেকে থেকে বেরিয়ে যেত নিলো কারন সে বুঝে গেছে আজকে তার ধারা অনিককে প্রপোজ করা পসিবল নয়,,
“দিয়াকে চলে যেতে দেখে অনিক গিয়ে পিছন থেকে দিয়ার হাত ধরে দিল টান!’আচমকা এমনটা হওয়াতে দিয়া তালসামলাতে না পেরে পরলো সোজা অনিকের বুকে!’হুট করে অনিক এমন কিছু করবে এটা একদমই কল্পনার বাহিরে ছিল দিয়ার!’অবাক দৃষ্টিতে তাকালো সে অনিকের মুখপানে…
“দিয়ার চোখের দৃষ্টি দেখেই বুঝে গেছে অনিক দিয়া কি বলতে চায়!’অনিক দিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো তারপর নীরব কন্ঠে বলে উঠল সেঃ
—“এভাবেই চলে যেতে দিবো নাকি মিস “এলইডি বাল্ব”…
“অনিকের কাজে ঘাবড়ে যায় দিয়া’!!হুট করে সে অনিকের এতটা কাছে চলে আসবে বুঝতে পারে নি,বুকের ভিতর দক দক করছে তার,সাথে বুকের হার্টবিট উঠা নামা শুরু করে দিয়েছে তার’!!দিয়া কিছুটা কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠলঃ
—“ম.. মা নে…
—“মানে এটাই এইভাবে তো না বলে যেতে দিচ্ছি না তোমায়…
“এই ফাস্ট টাইম অনিক দিয়াকে তুমি করে কথা বললো,এক অদ্ভুত শিহরণ বয়ে গেল দিয়ার ভিতর দিয়ে,কিছুটা অস্পষ্টভাবে বললো সেঃ
—“হটাৎ কি হলো তোর…
—“হয়েছে তো অনেক কিছুই ভেবে ছিলাম তুমি বলবি সবটা কিন্তু..
—“তু…ই এ…ক…টু দূ…রে.. গি…য়ে ক…থা ব…ল..বি.. প্লিজ!’
“দিয়ার কথা শুনে হাল্কা হেঁসে বললো অনিকঃ
—“এখনই কাঁপছো…
—“ইয়ে না মানে হয়েছে কি আমি না বাড়ির ছাঁদে কাপড় শুকাতে দিয়েছিলাম সেগুলো বাড়ি গিয়ে রুমে আনতে হবে আরকি…
“দিয়ার এবারের কথা শুনে অনিক কি বলবে বুঝতে পারছে না!’নিজের হাসিকে চেপে রেখে বললো সেঃ
—“বিয়েটা হয়ে যাক দুজন একসাথে কাপড় শুকিয়ে আনবো ইডিয়েট…
—“তুই আমায় ইডিয়েট বললি…
—“ইডিয়েট বলবো না তো কি করবো এমন একটা মোমেন্টে তোর কাপড় শুঁকানোর কথা মনে পড়লো…
—“এতক্ষণই তো ঠিক ছিলি তাহলে হঠাৎ তুই তে গেলি কেন?’
—“ঠাটিয়ে একটা থাপ্পড় মারবো,ভালোবাসি তোকে গবেট…
—“তুই আমায় প্রপোজ করছিস নাকি গালি দিচ্ছিস..
—“তোর মাথা করছি, যা মুডটাই নষ্ট করে দিলি..
“বলেই অনিক ছেড়ে দেয় দিয়াকে!’অনিকের কাছ থেকে ছাড়া পেতেই জোরে জোরে শ্বাস ফেলতে লাগলো দিয়া!’আর কিছুক্ষন ওভাবে থাকলে দম বন্ধ হয়ে আসতো তার!’হঠাৎ দিয়ার মাথায় বাজলো অনিকের বলা কথাটা____
“ভালোবাসি তোকে”
“তার মানে অনিকও তাকে ভালোবাসে!’কথাটা ভাবতেই খুশি হয়ে গেল দিয়া!’পাঁচ দশ কিছু না ভেবেই দৌড়ে অনিককে ঝাপটে জড়িয়ে ধরল সে!’ঘটনাচক্রে অনিকের চোখ বড় বড় হয়ে গেল…..
.
“অন্যদিকে দরজায় বাহিরে মেঘলা এদের কান্ড দেখে হাসতে হাসতে শেষ!’শুরু থেকেই মেঘলা দাঁড়িয়ে ছিল শুরুতে তো সেও ভেবেছিল দিয়া কিছু বলতে পারবে না কিন্তু অনিকের কাজে চরম অবাক হয়েছে মেঘলা….
—“যাগ গে দিয়ার আর কিছু বলা লাগলো না অনিক নিজেই দিয়াকে ভালোবাসে!’মেঘলা আর বেশিক্ষণ দাঁড়ালো না ওখানে হাল্কা হেঁসে চলে যায় ওখান থেকে, এখন আরেক জুটি দেখা পালা,না জানি শুভ্রতা কেমন রিয়েকশন দিলো আয়ুশের কথা শুনে,ওর তো ছেলে দেখলেই হাঁটু কাপে, ভাবতে ভাবতে এগিয়ে গেল মেঘলা…..
___________
—“তুমি কি কিছু বলবে না শুভ্রতা….
“কিছুটা হতাশ হয়ে কথাটা বলে উঠল আয়ুশ!’বেশ কিছুক্ষন যাবৎই আয়ুশ দাঁড়িয়ে আছে শুভ্রতার সামনে,কিন্তু শুভ্রতা তেমন কোনো রিয়েকশনই দিল না সে তো শুধু তাকিয়ে আছে আয়ুশের মুখের দিকে!’যেন আয়ুশ কি বললো সব তার মাথার উপর দিয়ে গেল!’শুভ্রতাকে চুপ থাকতে দেখে আবারো বলে উঠল আয়ুশঃ
—“কি হলো চাশমিশ হ্যাঁ না কিছু তো একটা বলো…
“শুভ্রতা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে উঠল আয়ুশকেঃ
—“আপনি সত্যি বলছেন আপনি আমায়…(একবার আয়ুশের দিকে আঙুল আর একবার নিজের দিকে আঙুল দেখিয়ে)
“এতক্ষণ পর শুভ্রতা মুখে এমন কথা শুনে আরো নিরাশ আয়ুশ’!!কিছুটা শুভ্রতার কাছে এগিয়ে গিয়ে বললো সেঃ
—“কি মনে হচ্ছে তোমার আমি তোমার সাথে ড্রামা করছি…
—“ড্রামাই করছেন হয়তো,তা না হলে আপনি আমায় না না এটা কি করে সম্ভব,আপনার মতো এত সুন্দর ছেলে আমাকে না না এটা কিছুতেই হতে পারে না…
“শুভ্রতার কথা শুনে আয়ুশ হতভম্ব হয়ে বললোঃ
—“এতকিছু বললাম সবকিছু তোমার ড্রামা মনে হলো চাশমিশ,
মানুষ কি শুধু চেহারার সৌন্দর্যতার প্রেমে পড়ে নাকি,আর কে বলছে তুমি সুন্দর না,তোমার ঠোঁট বলে তুমি সুন্দর,তোমার চশমার আড়ালে লুকিয়ে থাকা চোখগুলো বলে তুমি সুন্দর,তোমার চুল বলে দেয় তুমি সুন্দর,তোমার গালের পাশে থাকা কালো তিল বলে দেয় তুমি সুন্দর,তার থেকেও বড় কথা তোমার সুন্দর মন বলে দেয় তুমি কতোটা সুন্দর…
“শুভ্রতা আয়ুশের কথায় মুগ্ধ!’মাথা নিচু করে মিনমিন কন্ঠে বলে উঠল সে নিজেকেঃ
—“এটা কি করে সম্ভব আমিও যে ভালোবাসি ওনাকে কিন্তু উনি কি আমায় ভালোবাসতে পারে…
“শুভ্রতা কথা শুনে অবাক হয়ে বললো আয়ুশঃ
—“কি বললে, তুমি আমাকে ভালোবাসো…
“এই রে খাইছে আয়ুশ সব শুনে নিলো!’এদিকে আয়ুশ খুশি নিজের এক্সাইটিংকে ধরে রাখতে না পেরে জড়িয়ে ধরল শুভ্রতা’!!তারপর বললোঃ
—“তুমিও আমায় ভালোবাসো এটা এতক্ষণ বলো নি কেন?’
“আয়ুশের কাজে শুভ্রতা ঘাবড়ে যায় কাঁপা কাঁপা গলায় বলে সেঃ
—“ইয়ে মানে…
—“হয়েছে রাখো তোমার ইয়ে মানে, সবার আগে তোমার ইয়ে মানে শেষ করতে হবে…
—“মানে…
—“তোমার মাথা ভীতুরডিম…
—“আপনি আমায় ভীতুর ডিম বললেন…
—“এত ভয় পেলে চলে নাকি…
—“আপনি আমায় ভালোবাসেন বিশ্বাস হচ্ছে না তাই তো সবটা এলেমেলো হয়ে গেল…
—“পাগলী একটা…
—“আচ্ছা আপনি তো আমায় জড়িয়ে ধরেছেন আমিও কি আপনাকে জড়িয়ে ধরতে পারি…
“শুভ্রতার কথা শুনে হেঁসে উঠলো আয়ুশ’!!মুচকি হেঁসে বললো সেঃ
—“হুম!’
“আয়ুশের কথা শুনে খুশি হয়ে শুভ্রতাও জড়িয়ে ধরল আয়ুশকে!’
“ভার্সিটির পিছনে সবার আড়ালে খোলা মাঠের এক কিনারায় মস্ত বড় গাছের নিচে একে অপরকে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে শুভ্রতা আয়ুশ!’দুজনের মুখেই রয়েছে মুচকি হাসি,,ধবধবে সাদা খোলা আকাশ,গাছের পাতার মিষ্টি বাতাস,সাথে চিকচিক করা গাছের পাশে থাকা পুকুরের পানি,মুগ্ধ করা প্রকৃতি যেন এক নতুন গন্ধে সেজেছে তারা,আর এই সবকিছুই সাক্ষী রাখছে আয়ুশ শুভ্রতার নতুন ভালোবাসার গন্ধের সম্মেলনকে….
.
“দূর থেকে এদের কান্ডে খুশি হলো তানভীর!’যাক সব ঠিকঠাক হলো তাহলে,ভেবেই মুচকি হেঁসে চললো তানভীর..
“কিছু দূর যেতেই আচমকা কারো সাথে ধাক্কা লাগলো তার!’
—“উফ!’তানভীর চোখে দেখ না নাকি..(মেঘলা)
—“উফ সরি সরি আমি আসলে খেয়াল করি নি..
“বলেই মেঘলার চোখে ফু দিতে লাগলো তানভীর!’কারন মেঘলা চোখে ব্যাথা পেয়েছে!’
“১৫ সেকেন্ড পর…
—“ঠিক আছে…
“মেঘলা কয়েকবার চোখে পলক ফেলে বলে উঠলঃ
—“হুম!’
—“এখন বলো উপরের কি খবর…
“তানভীরের কথা শুনে মেঘলা খুশি হয়ে বললোঃ
—“ফাস্ট ক্লাস!’আর এখানে…
“মেঘলার দু’কাঁধ ধরে হাল্কা ঝুঁকিয়ে বললো তানভীরঃ
—“নিজেই দেখো…
“আয়ুশ শুভ্রতা কান্ড দেখে অবাক হয়ে বললো মেঘলাঃ
—“সিরিয়াসলি শুভ্রতা মেনে নিলো আয়ুশ ভাইয়াকে,ওর তো ছেলে দেখলেই হাঁটু কাপতো…
“মেঘলার কথা শুনে হেঁসে উঠলো তানভীর!’তানভীরের হাসি দেখে বললো মেঘলাঃ
—“তুমি হাসছো…
—“হাসবো না তো কি করবো শুনি…
—“আরে আমি সত্যি বলছি এই শুভ্রতা একদমই অন্যরকম ছেলেদের খুব ভয় পায়!’
—“এখন আর পাবে না ম্যাডাম…
—“তা তো দেখতেই পাচ্ছি…
—“হুম,তাহলে জড়িয়ে ধরো আমায়…
“তানভীরের কথায় ভ্রু-কুচকে বললো মেঘলাঃ
—“জড়িয়ে ধরবো কেনো?'(হাঁটতে হাঁটতে)
—“বারে দু’দুটো জুটি জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে আমরা কেনো বাদ যাবো শুনি…
—“না,আমরা জড়িয়ে ধরবো না…
—“কেনো…
উওর দিল না মেঘলা!’মেঘলা উওর না পেয়ে মুখ ভাড় করে ফেলে তানভীর!’তানভীরের কান্ডে হাল্কা হাসলো মেঘলা’!!তারপর হাঁটা বন্ধ করে দাঁড়িয়ে পরলো সে’!!মেঘলাকে দাঁড়াতে দেখে ওর কাছে এসে বললো তানভীরঃ
—“কি হলো যাবে না…
“মাথা নাড়িয়ে না বলে মেঘলা!’তারপর হাল্কা হেঁসে জড়িয়ে ধরল সে তানভীরকে’!!মেঘলার কাজে তানভীরও খুশি হয়ে যায় তারপর মুচকি হেঁসে জড়িয়ে ধরল সে মেঘলাকে!’
“একজলক খুশি এসে ভড় করলো মেঘলা – তানভীর, আয়ুশ-শুভ্রতা আর দিয়া- অনিকের লাইফে…..
“আজকে সবাই খুশি যে যার ভালোবাসার মানুষকে পেয়ে গেল!’
_________________________________________
______________________
—“এটা কি হলো শুনি,আমার নুমেন্টিকে কাপড় দিয়ে এখন জড়িয়ে ধরা হচ্ছে…
“হাল্কা ইনুসেন্ট লুক নিয়ে কথাটা বললো অনিক দিয়াকে!’অনিকের কথা শুনে দিয়া বললোঃ
—“যা করেছি বেশ করেছি তুই জানতিস আমি তোকে প্রপোজ করবো তাই না…
“মাথা নাড়ায় অনিক!’
—“তুই যখন সবটাই জানতিস তাহলে বলিস কেন?’
—“আসলে কি বলতো তোর ঘাবড়ানো কান্ডটা বেশ লেগেছে আমার…
“হাসলো অনিক!
চলবে……