নীল_ক্যানভাস,পর্বঃ১২
লেখিকা:তানজিল_মীম
—“তবে যাই বল তোর ঘাবড়ানোর কান্ডটা কিন্তু বেশ হয়েছে, আমার তো দারুণ লেগেছে…
“একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে কথাটা বলে উঠল অনিক দিয়াকে!’অনিকের কথা শুনে দিয়া রাগী লুক নিয়ে বললোঃ
—“আমার ঘাম ছুঁটে যাচ্ছিল আর তুই মজা নিচ্ছিলি বান্দর ছেল..
“বলেই অনিককে কিল ঘুষি মারতে থাকে দিয়া!’দিয়ার মারের মাঝখানেই অনিক দিয়ার হাত ধরে নিজের দিকে টেনে বলে উঠলঃ
—“তুই কবে থেকে মারামারি করা শুরু করলি বল তো…
—“আজ থেকে…
“বলেই নিজেকে ছাড়িয়ে আবারো মারতে শুরু করল দিয়া অনিককে!’
“কিছুক্ষন পর…
—“তোর মারা শেষ হলে বলি আজ কি বাসায় যাবি না নাকি এখানে বসেই মারামারি করবি….
“এতক্ষণ পর অনিকের কথা শুনে মনে পরলো দিয়ার বাড়ি ফেরার কথা!’ঠোঁটে কামড় দিয়ে বললো সেঃ
—“উফ!’দেখছো একদমই ভুলে গিয়েছিলাম,ঠিক আছে বাই ফাটা টেনিস বল…
—“হুম বাই কাল কথা হবে “এলইডি বাল্ব”…
“তারপর দিয়া মুচকি হেঁসে রুম থেকে বেরিয়ে যায়!’অনিক কিছুক্ষন দিয়ার যাওয়ার পানে তাকিয়ে থেকে সেও মুচকি হেঁসে বেরিয়ে গেল রুম থেকে!’আজ সে খুব খুশি, কতদিনের আড়ালে লুকিয়ে রাখা ভালোবাসা প্রকাশ পেলো তার!’
_________
“গভীরভাবে এক অপরকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে আয়ুশ আর শুভ্রতা!’কারো মুখে কোনো কথা নেই দুজনেই চোখ বন্ধ করে আছে,যেন চোখ খুললেই সব সত্যিগুলো মিথ্যা হয়ে যাবে!’এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল আয়ুশের!’আয়ুশ চোখ বন্ধ করেই নিজের প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে মোবাইলটা বের করে কানে ধরে বললোঃ
—“হ্যালো…
—“আর কতক্ষণ জড়িয়ে ধরে থাকবি দোস্ত ভুলে গেলি নাকি তুই ভার্সিটির পিছনে দাঁড়িয়ে আছিস একবার তো লাইব্রেরিতে আঁটকে পরছিলি আবারও কি ভার্সিটিতে আঁটকে থাকার মতলব আছে নাকি…
“বলেই হেঁসে উঠলো তানভীর!’তানভীরের কথা শুনে হুস আসলো আয়ুশের সে তো একপ্রকার ভুলেই গিয়েছিল সবটা’!!
“চটজলদি আয়ুশ ছেড়ে দেয় শুভ্রতাকে তারপর বললোঃ
—“দেখছো তোমার চক্করে বাড়ি ফেরার কথাই ভুলেই গেছি…
—“আমি কি করেছি…
—“কিছু না চলো এখন তোমায় বাড়ি পৌঁছে দেই!’
“উওরে মাথা নাঁড়ায় শুভ্রতা!’সময়টা ঘড়ির কাঁটায় দুপুর তিনটার ছুঁই ছুঁই!’হাল্কা হাল্কা সোনালী রোদ্দুরে ঘিরে আছে চারপাশটা!’পুরো ভার্সিটি পুরো ফাঁকা!’কুটকুটে নীরবতা দিয়েই এক পা দু’পা করে এগিয়ে যাচ্ছে শুভ্রতা আয়ুশ!’ভালোবাসা জিনিসটা এই প্রথম বারই আঁকড়ে ধরেছে দুজনকে!’দুজনেই খুব খুশি,কিন্তু সেই খুশি খুশি ভাবটা কেউ কারো সাথে শেয়ার করতে পারছে না!’
“মেঘলা আর দিয়া কিছুক্ষন আগেই চলে গেছে!’তারপর অনিকও চলে গেছে,,
“ভার্সিটির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে তানভীর!’সে জানে আয়ুশ এখন শুভ্রতাকে বাড়ি পৌঁছে দিবে তা নিয়ে তার কোনো ক্ষোভ নেই,সে তো শুধু আয়ুশকে কংগ্রেস জানানোর জন্য দাঁড়িয়ে আছে!’
“বলতে না বলতেই আয়ুশ শুভ্রতা বেরিয়ে আসলো ভার্সিটির ভিতর থেকে!’আয়ুশ বের হতেই তানভীর জড়িয়ে ধরল তাকে’!!তারপর বললোঃ
—“যাক অবশেষে দোস্ত আমার সিঙ্গেল থেকে মিঙ্গেল হয়ে গেছে…
“তানভীরের কথা শুনে লজ্জা পায় শুভ্রতা আর আয়ুশ ঠোঁটে হাসি নিয়ে মাথা চুলকায়!’তারপর আয়ুশ আর শুভ্রতা তানভীরকে বাই জানিয়ে চলে যায়!’তানভীরও চললো তার নিজের গন্তব্যে…
“আর ফাঁকা পড়ে রইলো শুধু পুরো ভার্সিটি!’
“মাঝখানে কাটলো পুরো ১৫ দিন….
“খুনশুঁটি, আড্ডা, ঝগড়া আর ভালোবাসা নিয়ে কাটছে শুভ্রতা-আয়ুশ,দিয়া-অনিক, আর মেঘলা-তানভীরের দিন!’
||
“বিকেল পাঁচটা….
“ভার্সিটির সামনে শাড়ি পড়ে দাঁড়িয়ে আছে মেঘলা আর দিয়া!’তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে একজন আরেকজন তাদের ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে ঘুরতে যাবে!’তাই এত সাজগোছ, দিয়া একটা ব্লাক রঙের জামদানি শাড়ি পড়েছে চুলগুলো খোলা,হাতে ব্লাক কাঁচের চুড়ি,চোখের কাজল,মুখে হাল্কা মেকাপে অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাঁকে!’
“আর মেঘলা কলা পাতা রঙের জামদানী শাড়ি পড়েছে,চুলগুলো খুলে পিছনে সুন্দর বেলিফুল লাগিয়েছে সে,দু’হাত ভর্তি কাঁচের চুড়ি,চোখের কাজল,মুখে হাল্কা মেকাপে তাকেও খুব সুন্দর লাগছে,দুজনেই সেইম সাজ শুধু হেয়ার স্ট্যাইল আর শাড়িটা একটু ভিন্ন!’
“এরই মাঝে বাইকে করে হাজির অনিক!’পরনে তার ব্লাক জিন্স, ব্লাক শার্ট ,চুলগুলো সুন্দর করে গোছানো,হাতে ব্লাক ঘড়ি,পায়ে ব্লাক জুতো পুরো ব্লাকে সজ্জিত সে,অল্প সাজেই অপূর্ব লাগছে তাঁকে,দিয়া তো অনিককে দেখেই ক্রাশ খাইছে!’অনিক একটু স্ট্যাইল নিয়ে এসে বাইক থামালো দিয়া আর মেঘলার সামনে!’ফাস্ট টাইম অনিক দিয়াকে শাড়িতে দেখছে ওকে দেখেই চোখ আঁটকে যায় অনিকের!’পলক যেন পরছেই না তাঁর,,অনিককে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে লজ্জা পায় দিয়া!’মেঘলা অনিকের কিছুটা সামনে গিয়ে বললোঃ
—“কেমন লাগছে দিয়াকে?’
—“অপূর্ব…
“অনিকের কথা শুনে হাল্কা হেঁসে দিল মেঘলা!’মেঘলার হাসিতে ধ্যান ভাঙল অনিকের!’অানমনে কি বললো সেটা ভেবেই মাথা চুলকাতে চুলকাতে মেঘলার দিকে তাকিয়ে বললো অনিকঃ
—“না মানে…
—“হয়েছে আর বলতে হবে না…(মেঘলা)
“হাল্কা হাসলো অনিক!’তারপর দু’মিনিট মেঘলার সাথে কথা বলে ওকে বাই জানিয়ে চলে গেল দিয়া আর অনিক!’আর মেঘলা চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো অপেক্ষা কখন তানভীর আসবে,
—“এই ছেলেটা অলএস লেট করে লেটুস একটা…
__________
“দখিনা বাতাসের মাঝে নদীর তীরে বসে আছে আয়ুশ আর শুভ্রতা!’আজকে শুভ্রতাও সেঁজেছে,নীল শাড়ি, চুলগুলো খোলা,হাতে নীল কাঁচের চুড়ি, চোখে কাজল আর মুখের হাল্কা মেকাপে অসাধারণ লাগছে তাকে,একটা মজার বিষয় হলো আজকে শুভ্রতা চোখে চশমা পড়ে নি,এতদিনে আজ প্রথম কাছ থেকে আয়ুশ শুভ্রতার মায়াবী চোখ দেখতে পেয়েছে!’অদ্ভুত মায়ায় আঁটকে গেছে সে,তাই তো প্রকৃতির না দেখে আয়ুশ শুধু শুভ্রতাকেই দেখে যাচ্ছে!’
“আজকে আয়ুশ পড়েছে এস কালার শার্ট, ব্লাক জিন্স, হাতে ব্লাক ওয়াচ,নদীর তীরে অসম্ভব বাতাস থাকায় তার গোছালো চুলগুলো অগোছালো হয়ে গেছে প্রায়!’তারপরও সুন্দর লাগছে তাকে!’
“খোলা আকাশের নিচে পাঁচ দশ গাছেদের আড়ালে একটা বিশাল নদীর তীরে বসে আছে তাঁরা,যতদূর চোখ যায় শুধু পানি আর পানি,নদীর ঢেউয়ের দিকে তাকিয়ে আছে শুভ্রতা!’খুব একটা বাহিরে বের হওয়া হয় না তাঁর সারাদিন চার দেয়ালে বন্দী থাকে শুভ্রতা শুধু এই ভার্সিটি আসা আর যাওয়া,তাই আজ এই মুক্ত আকাশের নিচে আসতে পেরে অসম্ভব ভালো লাগছে তাঁর!’প্রচন্ড খুশি হয়ে বলে উঠল শুভ্রতাঃ
—“এত সুন্দর একটা জায়গায় আমাকে নিয়ে আসার জন্য এওতোগুলো থ্যাংকু তোমায়…
“বিনিময়ে আয়ুশ কিছু বললো না হয়তো তার কান অবদি যাচ্ছে না শুভ্রতা কথাটা!’ সে তো শুভ্রতাকে দেখতে ব্যস্ত!’আয়ুশকে চুপ থাকতে দেখে শুভ্রতা আয়ুশের দিকে তাকিয়ে থেকে বললোঃ
—“কি হলো কথা বলছো না কেন?’কি করছো বলো তো…
—“তোমায় দেখছি..(আনমনে)
—“কি…
—“না কিছু না…
“হঠাৎই আয়ুশের হাত ধরে বসলো শুভ্রতা!’শুভ্রতার কাজে আয়ুশ অবাক দৃষ্টিতে তাকালো শুভ্রতার দিকে!’শুভ্রতা আয়ুশের চোখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলঃ
—“জানো,আজকের মতো এত খুশি আমি কোনোদিনও হয় নি,সারাদিন শুধু বাড়িতে থাকতে হয় আমায়,আমার বাবা কোথাও বের হতে দেয় না,আমারো মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াতে,রাতে জোৎসা ভরা আলো দেখতে,আলোকিত ল্যামপোস্টের নিচ দিয়ে আঁকা বাঁকা পথ পেরিয়ে নীরবে হাঁটতে!’চার দেয়ালে বন্দী থাকতে একদমই ভালো লাগে না আর,কিন্তু কি করবো বলো,, আজও তো তুমি না থাকলে কিছুই হতো না ফাস্ট টাইম আম্মুকে মিথ্যে বলে এতদূর চলে এসেছি,!’তাও বাবা বাড়ি ছিল না বলে,তোমায় এতগুলো ধন্যবাদ,,
“বলেই আয়ুশের হাতে চুমু কাটে শুভ্রতা!’আয়ুশ ভাবে নি শুভ্রতা এতটা খুশি হবে বিষয়টায়!’খুশি হয়ে বললো সেঃ
—“এতো খুশি হয়েছে…
—“খুব খুশি আমি…
—“ঠিক আছে বিয়ের পর আমরা প্রায় ঘুরবো ঠিক আছে…
—“সত্যি….
—“হুম!’
“খুশি হয়ে শুভ্রতা জড়িয়ে ধরে আয়ুশকে!’আয়ুশও ধরে…
“ভালোবাসা হয়তো এমনই কারনে অকারণে প্রিয় মানুষকে জড়িয়ে ধরা!’ধবধবে সাদা রঙের আকাশের নিচে,নদীর ঢেউদের ভিড়ে,আর চারপাশের শীতলমেশানো বাতাসদের ভিড়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আছে শুভ্রতা আর আয়ুশ!’ঠোঁটে মুখে রয়েছে তাদের মিষ্টি হাসি….
_________
“রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে মেঘলা তানভীরের দিকে!’কারন তানভীর আসতে খুব লেট করেছে,,তানভীর মেঘলার সামনে এসে কান ধরে বললোঃ
—“সরি একটু দেরি হয়ে গেছে….
“তানভীরের কথা শুনে কোমড়ে হাত দিয়ে বললো মেঘলাঃ
—“এখানে একটু দেরি…
—“না মানে…
—“রাখো তোমার মানে,তুমি থাকো তোমার লেট নিয়ে আমি গেলাম…
“বলেই রেগে চলে যায় মেঘলা’!!মেঘলাকে যেতে দেখে দৌড়ে চলে যায় তানভীর মেঘলার সামনে!’তারপর ওর হাত ধরে বললোঃ
—“আরে সরি বললাম তো…
—“তোমার সরি রাখো তোমার কাছে,আমি থাকবো না তোমার সাথে….
“তানভীর মেঘলার হাত ধরে টেনে নিয়ে বসিয়ে দিল বাইকে’!!তারপর বাইক স্ট্যার্ট দিল!’মেঘলাকে কিছু বলার সুযোগই দিল না সে…
.
.
.
“একটা বিশাল বড় ব্রিজের ওপর এসে বাইক থামালো তানভীর!’বাইক থামতেই মেঘলা কাট কাট আওয়াজে বলে উঠলঃ
—“আমায় এখানে কেনো এনেছো..
—“বলবো,এত রাগ করছো কেন?’
—“রাগ করবো না তো কি করবো কতক্ষণ যাবৎ দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি তোমার জন্য..
—“সরি বললাম তো…
—“শুধু সরিতে হবে না…
“এতটুকু বলে রেলিং এর দিকে মুখ করে মুখ ভাড় করে দাঁড়িয়ে পরলো মেঘলা!’তানভীর কিছুক্ষন এপাশ ওপাশ তাকিয়ে পকেট থেকে একটা রিং বের করে হাঁটু গেড়ে বসলো মেঘলার সামনে’!!হঠাৎই তানভীরকে নিচে বসতে দেখে অবাক হয়ে তাকালো মেঘলা তানভীরের দিকে!’মেঘলা তাকাতেই তানভীর বলে উঠলঃ
—“প্রথম যেদিন তোমায় শপিং মলে দেখেছিলাম সেদিনই এক অন্যরকম অনুভূতি ফিল হচ্ছিল আমার,তোমার হাতের স্পর্শে এক অজানা ভালোলাগা কাজ করছিল সেদিন,না চাইতেও বার বার সেদিন তোমায় শুধু দেখেই গেছি আমি,তেমার সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত আমি আজও ফিল করি মেঘুপরী,,সবই ঠিক ছিল কিন্তু হঠাৎই করে দমকা হাওয়ার মতো সবটা এলেমেলো হয়ে গিয়েছিল তোমার চোখের দেখা সত্যির মাঝে কিছু ছোট্ট ভুল ধারনার জন্য কষ্ট পেতে হলো দু’দুটো বছর,কিন্তু তারপরও তোমায় ভুলেনি আমি,আরও এই দু’দুটো বছর তোমাকে কল্পনা করে নতুন ভাবে তোমার প্রেমে পরেছি আমি,কারন আমার বিশ্বাস ছিল আজ নয় কাল তুমি আমার কাছে ফিরবেই আর আজ দেখো তাই হলো!’আবারো শুরু হলো মেঘলা তানভীরের প্রেমকথা,তবে আরো একটা কথা বলতে চাই তোমায় একবার ভুল বুঝে কষ্ট দিয়েছো মেঘুপরী আমি সয়ে নিয়েছি কিন্তু প্লিজ আর ভুল বুঝো না আমায় তবে যে আমি পুরো শেষ যাবো!’অবশেষে বললো তোমায়ঃ
—“ইউল ইউ মেরি মি মেঘুপরী….
“পুরো একশ্বাসে কথাগুলো বললো মেঘলা তানভীরকে!’আর মেঘলা শুধু তাকিয়ে ছিল তানভীরের মুখপানে,নিমিষেই তার সব রাগ ভেঙে গেল!’মেঘলা অত্যাধিক খুশি হয়ে তানভীরের দিকে নিজের হাত এগিয়ে দিয়ে বললোঃ
—“ইয়েস আই ইউল মেরি ইউ..
“মেঘলার উওর পেতেই তানভীর খুশি হয়ে মেঘলার আঙুলে রিংটা পড়িয়ে দিল!’তারপর মেঘলাকে জড়িয়ে ধরে বললঃ
—“কখনো ছেড়ে যেও না মেঘুপরী…
—“কখনো যাবো না…
“খুশি হয়ে যায় তানভীর!’সময়টা প্রায় সন্ধ্যা হওয়ার পূর্বাভাস!’চারপাশটা পুরো লালচে বর্ন ধারণ করেছে!’দু’একটা গাড়ি টপকে চলে যাচ্ছে ওদের, সাথে হিম শীতল মেশানো ঠান্ডা বাতাস!’বাতাসের তীব্রতা মেঘলা তানভীরকে ছুঁয়ে দিচ্ছে খুব কিন্তু সেদিকে তাদের কোনো আক্ষেপ নেই তারা তো তাদের কাজে ব্যস্ত!’
_________________________________________
______________________
“একের পর এক দোকান ঘুরে এটা ওটা কিনছে দিয়া আর অনিক!’কারন তারা মেলায় ঘুরতে এসেছে!’রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথেই দিয়া দেখতে পেয়েছে এখানে মেলা হচ্ছে!’আর মেলা দিয়ার খুব পছন্দ তাই আর কোথাও না গিয়ে মেলার ভিতরই ঘোরাঘুরি করছে তাঁরা!’দিয়া কিছু চুড়ি দেখিয়ে বললো অনিককেঃ
—“ফাটা টেনিস বল এই চুড়িগুলো নেই…
—“হুম নে “এলইডি বাল্ব”….
—“ঠিক আছে!’
“এদিকে দোকানদার দিয়া আর অনিকের একে অপরের আহামরি নাম শুনে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে ওদের দিকে!’দোকানদার অনিকের সামনে এসে বললোঃ
—“ভাইজান আপনেরে একখান কথা বলি…
—“হুম বলুন…
—“বেশকিছুক্ষন যাবৎই আপনাদের লক্ষ্য করছি আমি…
“লোকটির কথা শুনে অনিক অবাক হয়ে বললোঃ
—“কেনো..
—“না মানে আপনি আপনার সাথের মেয়েটিকে এলইডি বাল্ব, আর মেয়েটি আপনারে ফাটা টেনিস বল নামে ডাকছে, এটা কেন…
“অনিক হেঁসে বললোঃ
—“ওটা কিছু না,আমরা ভালোবেসে একে অপরকে এই নামে ডাকি বুঝছেন ভাইজান…
“এরই ভিতর দিয়া ডাকদিল অনিককে!’অনিকও আসছি বলে চলে যায়!’…
“এদিকে দোকানদার ভাবছে….
—“এরা যদি ভালোবেসে এই নামে ডাকে তাইলে রাগলে কি নামে ডাকে ভাই…?
চলবে…..