নেশা #পর্ব_০৬ #Tabassum_Kotha

0
1210

#নেশা
#পর্ব_০৬
#Tabassum_Kotha

অসংখ্য গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজানো বিছানায় বসে আছি। পরনে নির্ঝরের দেওয়া লাল শাড়িটা, নতুন বউয়ের কোনো লক্ষণ আমার মধ্যে আছে বলে আমার মনে হয় না। রূপা আপুর ফুলশয্যায় দেখেছিলাম আপুকে অনেক গয়নায় মুড়িয়ে বড় একটা ঘোমটা দিয়ে বিছানার ঠিক মাঝখানে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। আর আমি! শাড়ির আঁচলের ঠিক নেই, গয়নার বালাই নেই, ঘোমটা সে তো অনেক দূরেই থাক। আমার মতো কনে আর কেউ দেখেছে হিহিহি।

দরজা খোলার শব্দে পিছনে ফিরে তাকালাম। দরজায় হেলান দিয়ে বাঁকা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন নির্ঝর। তার পরনে একটা ব্ল্যাক টিশার্ট আর গ্রে ট্রাওজার। লম্বা চুলগুলো বাম হাত দিয়ে পিছনের দিকে মেলে দিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে।

বসা থেকে দাড়িয়ে গেলাম আমি। কেনো যেনো ভীষণ ভয় করছে। নির্ঝর যতো আমার কাছে আসছেন ততোই আমার শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে। পিছিয়ে যাওয়ার শক্তি পাচ্ছি না, স্থির হয়ে বিছানার সামনে দাড়িয়ে আছি। উনি আলমিরার দিকে এগিয়ে গিয়ে আলমিরা থেকে একটা কাগজ বের করলেন।

উনার মুখোমুখী হতে চাই নি, তাই পাশ কাটিয়ে ওয়াশরুমের দিকে যাওয়ার জন্য এগিয়ে গেলে উনি পিছন থেকে আমার হাত চেপে ধরলেন। হার্টটা অসম্ভব দ্রুত বিট হচ্ছে, কপাল বেয়ে চিকন ঘাম ঝরছে। হয়তো ভয়ে এমনটা হচ্ছে। আজ আর আমার শেষ রক্ষা হবে না, আজ নিজেকে উনার হাতে সর্পে দেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ আমার কাছে খোলা নেই।
উনি আমার হাত ধরে হেঁচকা টান দিয়ে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলেন। আশ্চর্যজনক ভাবে উনি আমাকে নিজের বাহুডোরে জরিয়ে নিলেন। আজ নির্ঝরের স্পর্শে কোনো হিংস্রতা নেই, নেই কোনো ঘৃণা। আছে শুধু ভালোবাসা। কেনো যেনো মনে হচ্ছে আজ উনার ভালোবাসার জোয়ারে আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবেন। আমি উনার ব্যবহারে অবাক দৃষ্টিতে উনার মুখপানে তাকিয়ে আছি। উনি চোখ বন্ধ করে আছেন, কিন্তু সেই বন্ধ চোখের আড়ালে দুই ফোঁটা পানি তার গাল বেয়ে পরছে।

নির্ঝরের গালে হাত দিয়ে পানি মুছে দিতে গেলেই উনি চোখ খুলে ফেললেন। নির্ঝরের চোখ দেখে আমার আত্মা পর্যন্ত কেঁপে উঠলো। উনার চোখ দুটো রক্তবর্ণ ধারণ করে আছে। যেনো চোখ দিয়ে আগুন ঝরছে। ভালোবাসায় শিক্ত বাহুডোর ক্রমশ কষ্টদায়ক শিকলে পরিণত হচ্ছে। মনে হচ্ছে নির্ঝর তার সমস্ত শক্তি দিয়ে আমাকে চেপে ধরছেন। আমি ব্যথা পাচ্ছি কিন্তু উনার সেদিকে কোনো খেয়াল নেই। সে আগের মতোই রক্ত চক্ষু নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। আচমকা নির্ঝর আমাকে তার বুক থেকে সরিয়ে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিলেন।

নির্ঝরের হঠাত পরিবর্তন হওয়া রূপ টা বুঝতে পারছি না। এই মাত্রই তো মনে হয়েছিল উনি আমাকে ভালোবাসেন আর এখন!

— কি ভেবেছিলে? নির্ঝর আহমেদ চৌধুরী তোমার মতো একটা রাস্তার মেয়ের প্রেমে পরে গিয়েছে? নাকি ভেবেছিলে এইভাবে আঁচল ফেলে, চুল খুলে আমাকে সিডিউস করবে? কোনটা?

— আমি কিছুই ভাবি নি। আর আপনার ভালোবাসা আশাও করি না।

— আশা করাও উচিত নয়। তুমি সেটার যোগ্য নও। নাউ গেট আপ এন্ড সাইন দিজ পেপার্স।

— কিসের কাগজ এগুলো?

— তোমার আর আমার কন্ট্রাক্ট ম্যারিজের কাগজ। এটাতে লেখা আছে ৩ মাস পর আমি তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে দেবো।

— কন্ট্রাক্ট ম্যারিজ!!

— কেনো ভুলে গেলে নাকি? দুপুরেই না বললাম তিন মাসের জন্য বিয়ে করবো। আর তুমি তো জানোই আমার কতো টাকা। সেই টাকা দিয়েই নিমিষে পেপার্স রেডি করে ফেললাম।

নির্ঝরের দেওয়া কাগজগুলো আমার হৃদয় ক্ষত বিক্ষত করে দিচ্ছে। বাসর রাতেই নিজের ডিভোর্স পেপার্সে সই করতে হবে আমাকে! এমন ভাগ্য নিয়ে কয়টা মেয়ে পৃথিবীতে আসে। আমি কি সত্যিই এতো খারাপ একটা মেয়ে! যে আমার ভাগ্যে কোনো সুখই বেশিদিন টিকে না!

— কোন খেয়ালে ডুব দিলে। সাইন দ্য পেপার্স। ফাষ্ট!

দুচোখের কার্নিশ বেয়ে গড়িয়ে পরা পানি আড়ালে মুছে নিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে সই করে দিলাম। আমার তালাক নামায়!

বৈবাহিক জীবন শুরু করার আগেই তালাকের চুক্তি করে নিলাম। অবশ্য উনার দোষ না এতে। উনি তো আগেই বলেছিলেন তিন মাসের জন্য আমাকে বিয়ে করবেন। আমিও সেই শর্তে রাজি হয়েই টাকা নিয়েছিলাম। নিজের মন কে যতোই মানাচ্ছি যে এসব হওয়ারই ছিল। তবুও কেনো যেনো বুকের বা পাশটায় অসম্ভব যন্ত্রনা হচ্ছে। মনে হচ্ছে কলিজাটা ছিড়ে বেরিয়ে আসবে কিছুক্ষণের মধ্যে।

নিজেকে যথা সম্ভব স্থির রেখেছি, চোখের পানিও আটকে ধরে রেখেছি। নির্ঝরের সামনে কিছুতেই নিজেকে দুর্বল দেখানো যাবে না। নির্ঝর কন্ট্রাক্টের কাগজ গুলো সযত্নে আলমিরাতে রেখে আমার দিকে এগুতে লাগলেন। কিছুক্ষণ আগেও তার হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলাম কিন্তু এখন আর সেই শক্তি নেই। এক টুকরো কাগজ আমার সব শক্তি শুষে নিয়েছে। উনি আমার কাছে এসে আচমকা আমাকে পাঁজাকোলে তুলে নিলেন। আমাকে কোলে নিয়ে উনি ব্যালকোনির দিকে হাঁটা ধরলেন। কিছুই বুঝতে পারছি না উনি কি করতে চাইনেন।

উনি আমাকে ব্যালকোনির ঠিক মাঝ বরাবর নিয়ে গিয়ে ঠাস্ করে নিচে ফেলে দিলেন। নিচে পরতেই আমি ব্যথায় কুঁকিয়ে উঠলাম। কোমড়ে ভীষণ ব্যথা পেয়েছি এভাবে এতো উঁচুতে থেকে ফেলে দেওয়ায়।

— এটাই তোমার আসল জায়গা। টাকার লোভে আমাকে বিয়ে করেছো না, এখন বুঝবে এই বিয়ের মজা। মাত্র তিন মাস তুমি আমার কাছে থাকবে। এই তিন মাসে তোমাকে কষ্ট জিনিস টা হারে হারে টের পাইয়ে দেবো।

নির্ঝর আমার পাল্টা উত্তরের আশায় দাড়িয়ে আছেন। কিন্তু আমি চুপ করে আছি। প্রতিবার এই তর্ক আর ভালো লাগে না। উনি কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকেও উত্তর না পেয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় গ্লাস লক করে গেছেন যাতে করে আমি ভিতরে ঢুকতে না পারি।

.
.
.
.

আকাশে মেঘেরা জড়ো হচ্ছে ধীরে ধীরে। হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশের বুক চিড়ে অজস্র জলরাশি নেমে ধরাকে ভিজিয়ে দেওয়ার কাজে লেগে পরবে।

আমার ধারণাকে সত্যি প্রমাণ করে দিয়ে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই মুশলধারে বৃষ্টি শুরু হলো। ব্যালকোনিতে কোনো ছাওনি নেই। খোলা আকাশের নিচে দাড়িয়ে ভেজা ছাড়া আর কোনো উপায় আমার কাছে নেই। বৃষ্টির পানি আর আমার চোখের পানি একে অপরের সাথে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। জানি না কতোক্ষণ ভিজছিলাম আর কখন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি!

.
ঘুম ভাঙতেই নিজেকে নির্ঝরের বিছানায় আবিষ্কার করলাম। ব্ল্যাংকেট জরানো গায়ে, রাতের শাড়িটাও চেঞ্জ। চুলগুলো এখনও খানিকটা ভেজা, মানে ভোরের দিকে আমাকে ঘরে এনেছেন নির্ঝর। ঘড়িতে ৮ টা বাজে। হয়তো অফিসের জন্য বেরিয়ে পরেছেন উনি। বিছানা ছেড়ে উঠে আলমিরা খুলতেই আমি হতবাক। পুরো আলমারির অর্ধেকটা জুরে মেয়েদের জিনিসপত্র। উনিই হয়তো করেছেন সব। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে একটা শাড়ি হাতে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।

নির্ঝর বাড়িতে না থাকার সুযোগে তিতলিকে দেখার জন্য বেরিয়ে পরলাম। কিন্তু হসপিটালে গিয়ে যা শুনলাম তাতে মনে হলো আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তিতলি নামের কোনো পেশেন্ট হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য এই হসপিটালে ভর্তিই ছিল না। হসপিটাল রেকর্ডস যদি বিশ্বাস করি তাহলে এতোদিন যা হয়েছে তা কি ছিল? তন্ময় নিজে আমাকে বলেছিলেন তিতলি অসুস্থ! আমি নিজে তিতলিকে হাসপাতালে ভর্তি দেখেছিলাম। আর ভাবতে পারছি না। মাথা ঘুরাচ্ছে আমার। এসব কি হচ্ছে? তিতলির জন্য আনা টাকা! তাহলে কি তন্ময় আমাকে ধোঁকা দিয়ে টাকা গুলো নিয়েছে? তিতলির অসুস্থতার মিথ্যে কথা বলেছেন আমাকে? নাকি তিতলির অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়ে গেছে! নাহ আমাকে সবটা জানতে হবে, তন্ময়ের সাথে কথা বলতে হবে।

হাসপাতাল থেকে সোজা তন্ময়ের বাড়িতে এসে উঠলাম। তন্ময়ের বাড়ির সদর দরজা খোলা থাকায় ডাকাডাকি না করে সোজা ভিতরে ঢুকে পরলাম।

.
.
.

ড্রয়িং রুমের সোফায় তন্ময় বসে আছে, তার কোলে একটা মেয়ে বসে তার ঠোঁটে অনবরত চুমু খেয়ে যাচ্ছে। মেয়েটি আমার বয়সি। তাদের এই অবস্থায় দেখে তাদের মধ্যাকার সম্পর্ক খুব ভালোই আন্দাজ করতে পারছি। এই তাহলে তন্ময়ের আসল চেহারা। আর এতোদিন সে আমার প্রতি বিশ্বাস আর মায়ার নাটক করেছেন!

তন্ময় আমাকে দরজার সামনে দাড়ানো দেখে ধরফরিয়ে উঠে দাড়ালো। তার সাথে মেয়েটি কোনোমতে মুখ লুকিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেলো। তন্ময় ভূত দেখার মতো চমকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

— এটাই তাহলে আপনার আসল রূপ তাই না? কেনো করলেন তন্ময়? কেনো আমার সাথে এতোবড় খেলা খেললেন?

— তৃষ্ণা তুমি ভুল ভাবছো বিশ্বাস করো।

— বিশ্বাস! তাও আবার আপনাকে! আমার নিজের চোখ কে আমি কিভাবে অবিশ্বাস করবো? আপনি এতোটা নিচ.. আপনি এসব! ছিঃ!

— আমাকে ক্ষমা করে দাও তৃষ্ণা। আমি ভুল করে ফেলেছি। আসলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নি। তুমি তো জানো রূপার যাওয়ার পর থেকে একা ছিলাম, ভেবেছিলাম সেদিন তোমার সাথে বিয়ে হলে একজন সঙ্গী পাবো কিন্তু বিয়েটাও হলো না। আর আজ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরেই,,, ক্ষমা করে দাও তৃষ্ণা।

— আপনার কি মনে হয় আপনাকে আমি এই কারণে বিয়ে করতাম? ছিঃ! আপনার মন মানসিকতা এতোটা বাজে আমার জানা ছিল না। আপনার আর আমার বিয়ের একমাত্র কারণ ছিল তিতলি। তিতলির জন্যই আপনাকে বিয়ে করতে যাচ্ছিলাম। আর সেই তিতলির অসুস্থতার নাটক করেছেন আপনি। আপনার কি একবারও রুহ কাঁপে নি নিজের মেয়ের জীবন নিয়ে মিথ্যে বলতে?

— এসব কি বলছো তৃষ্ণা? মিথ্যে নাটক!

— আর অভিনয় করতে হবে না। আমি জানি আপনি অনেক ভালো অভিনেতা। আমি হসপিটাল থেকে আগেই সব জেনে এসেছি।

— ওহ তাহলে সব জেনে গেছো?

— হ্যাঁ। আপনার মতো একটা নিচ মানুষের কথায় বিশ্বাস করে আমি নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছি। নিজের আত্মসম্মাণকে নিজের হাতে খুন করেছি। শুধুমাত্র তিতলিকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু আমি তো জানতাম না, বাবা নামক এই কীট টা এতোটা খারাপ যে নিজের মেয়েকে নিয়ে মিথ্যা বলে টাকা হাতায়! আপনি বাবা হওয়ার যোগ্য নন। বাবা নামের কলঙ্ক আপনি।

আর কিছু বলার আগেই তন্ময় আমার গালে ঠাস্ করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো।

— অনেক বড়বড় কথা বলতে শিখে গেছিস দেখছি। তা এতো সাহস কোথায় পেলি? নির্ঝর দিয়েছে বুঝি? আমার মেয়ের মরার নাটক করি বা মেরে ফেলি,, তাতে তোর কি আসে যায়? মেয়েটা তো তোর নয়। আমার মেয়ে আমার অধিকার। এতোই যখন অধিকার ফলানোর ইচ্ছা হয় তখন একটা মেয়ে জন্ম দিয়ে নে না। আর আমার ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট কে চেয়েছে তোর কাছে? তুই নিজেও তো নির্ঝরের সাথে রাত কাটিয়েছিস। এখনও কাটাচ্ছিস। রাতের অন্ধকারে বন্ধ দরজার আড়ালে নির্ঝর আর তোর মাঝে কি হয় আমি বুঝি না ভেবেছিস।

— ছিঃ! আপনার ওই নোংরা মুখ দিয়েই এসব নোংরা কথা বের হতে পারে।

— আরেহ চুপ! যতো শুনছি ততো শুনাচ্ছিস। বেরিয়ে যা আমার বাড়ি থেকে। আমার মেয়ের ত্রিসীমানায়ও যেনো আর না দেখি তোকে। তিতলি আমার মেয়ে আর আমার মেয়ের আশেপাশে থাকার অধিকারও আমি তোকে দেবো না।

তন্ময় আমার হাত ধরে টেনে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দিলেন।

— তন্ময় এমন করবেন না প্লিজ। আমাকে তিতলির থেকে দূর করবেন না। আমি মরে যাবো তিতলিকে ছাড়া। প্লিজ দরজা টা খুলেন। তিতলি আমার কলিজার টুকরা। ওকে ছাড়া আমি বাঁচবো না। আমি যে ওর মা তন্ময়। আমার বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বনটুকু কেঁড়ে নেবেন না তন্ময়। তন্ময়!

তন্ময়ের বাড়ির দরজার কাছে পরে আর্তনাদ করতে থাকে তৃষ্ণা। তার মেয়েকে দেখার জন্য। যদিও সে তিতলিকে জন্ম দেয় নি তবুও মা তো মা ই হয়!!

চলবে..

[দেরি করার জন্য দুঃখিত। সকাল থেকে wifi ছিল না। ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। ধন্যবাদ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here