#নেশা
#পর্ব_১০
#Sumaya_Tabassum_Kotha
” হাউ ডেয়ার ইউ স্নিগ্ধা? তৃষ্ণাকে এভাবে অপমান করার সাহস তোমাকে কে দিয়েছে?”
তৃষ্ণার হাত ধরে ভিতরের দিকে টেনে নিয়ে নির্ঝর কথাটা বললো।
.
স্নিগ্ধার চেচামেচিতে নির্ঝরের ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠে স্নিগ্ধার বলা কথাগুলো সে শুনে ফেলে।
— তুমি জানো না নির এই ছোটলোকটা কতো ডেঞ্জারাস প্ল্যানিং করেছে তোমাকে ফাঁসানোর। (স্নিগ্ধা)
— মাইন্ড ইউর ওয়ার্ডস্ স্নিগ্ধা। তৃষ্ণাকে ছোটলোক বলার রাইটস্ তোমাকে কে দিয়েছে? (নির্ঝর)
— নির! তুমি এই কাজের লোকটার জন্য আমার সাথে কড়া গলায় কথা বলছো? আমি তোমার উড বি ওয়াইফ আমার ভ্যালিউ এই লো ক্লাস মেয়েটার থেকে অনেক বেশি।
— আই টোল্ড ইউ স্নিগ্ধা মাইন্ড ইউর ওয়ার্ডস। নয়তো আমি এমন কিছু বলতে বাধ্য হবো যেটা শুনলে তুমি কষ্ট পাবে।
— নির তুমি একটা কাজের লোকের জন্য আমার সাথে মিসবিহেভ করছো!
— জাষ্ট শাট আপ স্নিগ্ধা। তৃষ্ণা কাজের লোক নয়। আর তুমি এভাবে তৃষ্ণাকে অপমান করতে পারো না।
— তুমি আমাকে এই কথা বলতে পারলে? তোমার কাছে আমার চেয়ে এই কাজের লোকটা বেশি হয়ে গেলো?
— তোমাকে বারবার ওয়ার্ন করছি যে তৃষ্ণাকে অপমান করো না। তৃষ্ণা কোনো কাজের লোক নয়। হোয়াই ডোন্ট ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড ড্যাম ইট?
— এই মেয়েটা যদি তোমার বাড়ির সার্ভেন্ট না হয় তাহলে ওর সাথে তোমার কি সম্পর্ক? সারা রাত তোমার ঘরে এই মেয়েটা কি করছিল? কি সম্পর্ক তোমাদের দুজনের? বলো নির চুপ করে আছো কেনো?
— তোমার সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া প্রয়োজনীয় মনে করি না।
— তোমাকে উত্তর দিতেই হবে। তোমার স্ত্রী আমি।
— লাইক সিরিয়াসলি স্নিগ্ধা! তোমার আর আমার বিয়ে জাষ্ট ঠিক হয়েছে। এখনও বিয়ে হয় নি। সো বি ইন ইউর লিমিট।
— তুমি এই থার্ড ক্লাস মেয়েটার জন্য আমাকে অপমান করছো!!
নির্ঝর আর স্নিগ্ধার চেচামেচিতে নয়না বেগম তার ঘর থেকে নির্ঝরের ঘরে ছুটে আসেন।
— কি হয়েছে স্নিগ্ধা? তুমি কাঁদছো কেনো? (নয়না বেগম)
— আম্মু,, আজ এই কাজের মেয়েটার জন্য নির আমাকে ইনসাল্ট করলো। আমি নির কে এতো ভালোবাসি আর সেই নির আমার সাথে এমনটা করতে পারলো!
— নির! এসব কি শুনছি? তুমি স্নিগ্ধার সাথে মিসবিহেভ করেছো! কেনো?
— আম্মু মিসবিহেভ সবার আগে স্নিগ্ধা শুরু করেছে তৃষ্ণার সাথে। আমি শুধু উত্তর দিয়েছি।
— তুমি একটা কাজের লোকের জন্য চৌধুরী বাড়ির হবু বউকে অপমান করছো!
— তৃষ্ণা কাজের লোক নয়।তৃষ্ণা আমার স্ত্রী। তৃষ্ণার সম্পর্কে একটা বাজে কথা আমি মেনে নিতে পারবো না।
.
.
.
.
.
.
নির্ঝরের কথায় সেখানে উপস্থিত সবার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পরলো। মুহূর্তেই নীরব একটা ঝড় সেখান দিয়ে বয়ে গেলো।
.
পিনপতন নীরবতা বিরাজ করছে পুরো বাড়িতে। নয়না বেগম আর স্নিগ্ধা বাকরুদ্ধ দৃষ্টিতে নির্ঝর আর আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এমন একটা পরিস্থিতির জন্য তারা মোটেও প্রস্তুত ছিল না।
প্রায় ২০ মিনিট অতিক্রম হয়ে গেছে কিন্তু উনি এখনও আমার বাম হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছেন। মনে হচ্ছে হাত ছেড়ে দিলেই বুঝি আমি হারিয়ে যাবো।
আমার ঠিক সামনে দাড়িয়ে স্নিগ্ধা নিঃশব্দে কান্না করে যাচ্ছে। মুহূর্তেই মেয়েটার দুনিয়া উলোট পালোট হয়ে গেলো। কোথায় সে বিয়ের স্বপ্ন দেখছিল, সংসার জীবন নিয়ে নতুন কল্পনার জগত সাজাচ্ছিল! সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দিলাম আমি। সব কিছুর জন্য আমি দায়ী। আমার দ্বারা কখনও কারো ভালো হয় নি। হয়তো হবেও না।
চলবে..
[এতোটুকু পর্ব দেওয়ার জন্য কেউ বকা দিবেন না প্লিজ। সকাল থেকে জ্বর আমার। আজকে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল না। তবুও দিলাম। রাতে এতোটুকু লিখে রেখেছিলাম। দুঃখিত। ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।]