#নেশা
#পর্ব_১৫
#Tabassum_Kotha
নিচে পড়ে থাকা লাগেজটা হাতে তুলে দরজার দিকে হাটা ধরলাম। উদ্দেশ্য নির্ঝর বাড়ি থেকে আর উনার জীবন থেকে চির জীবনের জন্য চলে যাওয়া। ভুলেও কখনো আর উনার দিকে না ফেরা! সব সম্পর্কের মায়াজাল ছিন্ন করে চলে যাবো আমি।
চলে যাচ্ছি নির্ঝরের কাছে থেকে অনেক দূরে, যেখানে নির্ঝর থাকবে না কিন্তু উনার আর আমার ভালোবাসা সব সময় থাকবে। আমার স্মৃতিতে আমি আর নির্ঝর একসাথে থাকবো সবসময়।
.
দরজা দিয়ে বের হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে পিছন থেকে কেউ আমার হাত চেপে ধরলো। লোকটা যে নির্ঝর তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু আমি আর পিছনে ফিরতে পারবো না তাই নিজের জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছি। আচমকা নির্ঝর আমার হাত ধরে হ্যাচকা টান দিয়ে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলেন।
আমার খোলা চুলগুলো নির্ঝরের চোখেমুখে আছড়ে পড়ে, উনার কান্না ভেজা মুখে লেপ্টে গেছে। নির্ঝরের চোখের দিকে তাকানোর সাহস হচ্ছে না কিন্তু বেহায়া মন কে ফেরাতে পারছিনা। উনার চোখের দৃষ্টির আড়ালে, একনজর উনার মুখটা দেখে নিলাম।
— তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে পারবে না তৃষ্ণা। আমি তোমাকে যেতে দেব না। এক বছর আগে ছেড়ে যাওয়ার কারণ যা-ই থাকুক না কেন আই ডোন্ট কেয়ার। (নির্ঝর)
— কিন্তু আমি কেয়ার করি। আমি আপনাকে সারা জীবন নিঃসন্তান থাকতে দিতে পারি না। (তৃষ্ণা)
— আমার সন্তান চাই না তৃষ্ণা। আমার শুধু তোমাকে চাই।
— পাগলামি করবেন না নির্ঝর। যেতে দিন আমাকে।
— তৃষ্ণা, আমরা বাচ্চা এডপ্ট করে নেবো। তবুও তুমি আমাকে ছেড়ে যেও না।
— না। এটা কোনো সমাধান নয়। বাচ্চা আপনার নিজের হবে। অন্যের বাচ্চাকে এডপ্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই। অক্ষমতা তো আপনার মধ্যে নেই। অক্ষম আমি। তাই আপনি স্নিগ্ধাকে বিয়ে করে নিন।
— মেডিকাল সাইন্স অনেক উন্নত তৃষ্ণা। আমরা অন্য কোনো উপায়ে বাচ্চা নিতে পারি।
— না, সেটা সম্ভব নয়। নয়ন ম্যাম এবং রাজিব স্যার কোনো এডপ্টেড চাইল্ড কে তাদের বংশধর হিসেবে মেনে নিতে পারবেন না।
— হোয়াট! আব্বু আর আম্মু এ সম্পর্কে জানতো?
— হ্যাঁ, তারা জানত। কিন্তু তাদের কোন দোষ নেই। কোন মা-বাবা চাইবেন না তাদের সন্তান কষ্টে থাকুক। একাকীত্ব জীবন কাটানো কতটা কষ্টের সেটা আপনি বুঝবেন না।
— আমি কিছু বুঝতে চাইনা। আমি শুধু তোমাকে চাই। তোমার সাথে সারাজীবন কাটাতে চাই।
— আর আমাকে ঘিরে রয়েছে অপূর্ণতা। কখনও আপনাকে পূর্ণ করতে পারবোনা। বৈবাহিক জীবনে সন্তান না থাকার কষ্ট টা কি এখন বুঝতে পারবে না। সময়ের সাথে সাথে বুঝতে পারবেন কতটা কষ্ট হয়। আপনার সামনে যখন অন্যান্য সবাই তাদের সন্তান নিয়ে খেলা করবে,, তাদের সন্তান নিয়ে সুখে থাকবে, তখন আপনি বুঝতে পারবেন কষ্টটা কি, নিজের সন্তান হীন জীবনের কোন মানে হয়না।
— আমরা একটা বাচ্চা দত্তক নিতে পারি অথবা সারোগেসির মাধ্যমে নিজেদের সন্তান পেতে পারি।
— কি দরকার এসবের নির্ঝর? যেখানে আপনি সন্তান জন্মদানে সক্ষম। দোষ তো আমার মধ্যে.. আপনি স্নিগ্ধা কে বিয়ে করে নিন।
— তুমি তোমার জেদ ছাড়বে না তাইতো? ঠিক আছে এখন যা করার আমি করব।
.
.
নির্ঝর আমাকে পাঁজা কোলে তুলে সিড়ি বেয়ে উপরের ঘরে নিয়ে গেলেন। আমি নিজেকে উনার কোলে থেকে নামানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু উনার শক্তির সাথে পেরে উঠতে পারছি না। বেশকিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি করেও কোনো লাভ হলো না। ক্লান্ত হয়ে আমি হাল ছেড়ে দিলাম।
নির্ঝর আমাকে ঘরে নিয়ে বিছানার উপর ধপ করে ফেলে দিলেন। আমি অবাক দৃষ্টিতে নির্ঝরের দিকে তাকিয়ে আছি। কি করতে চাইছেন? উনি এভাবে ঘরে নিয়ে এলেন কেনো?
— কি করছেন আপনি? এভাবে আমাকে ঘরে নিয়ে এলেন কেন?
— শুরুর দিকটায় তোমাকে চেয়ারের সাথে বেঁধে রেখেছিলাম এই ঘরে, যাতে তুমি পালাতে না পারো। আজ আবার প্রয়োজনে তোমাকে বেঁধে রাখবো তবু যেতে দেবো না।
— আমি আপনার সাথে থাকতে চাই না। আমাকে যেতে দিন। আর স্নিগ্ধাকে বিয়ে করে জীবনে এগিয়ে যান।
— খুব ইচ্ছা তোমার আমার বিয়ে দেখার তাইনা। ঠিক আছে। তোমার ইচ্ছা আমি পূরণ করব।
— মানে? কি বলতেছেন আপনি? আপনি কি স্নিগ্ধাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন?
— হ্যাঁ। করবো আমি বিয়ে। স্নিগ্ধাকেই করবো। কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে। যেটা তোমাকে মানতে হবে।
— কি শর্ত ?
— আমার আর স্নিগ্ধার বিয়ে তুমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দেবে। বিয়ে শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তুমি কোথাও যেতে পারবেনা।
— আপনার আর স্নিগ্ধার বিয়ে দেখার কোনো ইচ্ছে আমার নেই.. আমাকে যেতে দিন।
— তুমি কোথাও যেতে পারবে না। বিয়ে আমি অবশ্যই করবো। কিন্তু তোমাকে আমার বিয়ের দিন আমার সামনে উপস্থিত থাকতে হবে। তুমি খুশি মনে আমার আর স্নিগ্ধার বিয়ে এনজয় করবে।
.
নির্ঝরের কথায় আমি বাকরুদ্ধ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছি। ইতোমধ্যে আমার দু চোখ ছল ছল করে উঠেছে। কি বলছেন উনি এসব! উনার বিয়ে তাও আবার অন্য কারো সাথে.. আমি কিভাবে সহ্য করবো?
আমি তো জীবিত থেকেও হাজার বার মরবো তাকে অন্যকারো হতে দেখে। আমার জেদের এতো বড় শাস্তি দেবেন নির্ঝর আমাকে!!
— কি হলো চুপ করে আছো যে! লুক তোমার ইচ্ছাই আমি পূরণ করতে চাইছি। তুমিই তো এতোক্ষণ বলছিলে যে আমি যেনো স্নিগ্ধাকে বিয়ে করে নেই। ওকে দ্যান। আমি রেডি।
আমার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না। কষ্টগুলো দলা পাকিয়ে গলায় আটকে যাচ্ছে বারবার।
— আপনি বিয়ে করবেন এটাতো খশির খবর। কিন্তু আমি তো আপনার খুশিতে ভাগীদার হতে পারবো না। আসলে সেই যোগ্যতা আমার নেই। (তৃষ্ণা)
— তোমার যোগ্যতা দেখে আমি তোমাকে ভালোবাসি নি। আমি তোমাকে ভালোবেসেছি। এখন বিয়েটাও তোমার কথাতেই করবো। আর এই জন্য তুমি আমার বিয়ের সব ফাংশনে থাকবে।
— বন্ধা মেয়ে মানুষের কোনো শুভ কাজে থাকতে নেই।
— তোমার মতো মেয়ের মুখ থেকে আমি এমন কুসংস্কারপূর্ণ কথা এক্সপেক্ট করি নি তৃষ্ণা। ভেবেছিলাম তোমার বলা কথাগুলো তোমার ভিতরের কষ্টের রিফ্লেক্শন ছিল। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তুমি কুসংস্কারের জর্জরিত।
— আপনার যা ভাবার আপনি ভাবতে পারেন। শুধু আমাকে যেতে দিন।
— এটা আর হচ্ছে না। থাকো এই ঘরে বন্দী হয়ে।
.
নির্ঝর আমাকে ঘরে আটকে রেখে, দরজার বাইরে থেকে বন্ধ করে সেখান থেকে চলে গেলেন। নির্ঝর আমাকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনে করছেন কিন্তু তাকে সত্যিটা বলতে পারছিনা। যাকে জীবন দিয়ে ভালবাসি তাকে নিজের চোখের সামনে অন্য কারো হতে আমি কিভাবে দেখতে পারি?
আবারো সেই বন্দি জীবন শুরু হলো আমার। আগে শুধু একটাই ইচ্ছা ছিল নির্ঝরের প্রতি নিজেকে দুর্বল না করা। আর আজও সেই একই ইচ্ছা,, নির্ঝরের প্রতি নিজেকে দুর্বল না করা। তাকে অন্য কারো হতে যাতে দেখতে পারি, সেই জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
তৃষ্ণার ঘর থেকে বেরিয়ে নির্ঝর তার মোবাইল ফোন বের করে তার ম্যানেজারকে ফোন করে।
— আই নিড সাম ইনফরমেশন। (নির্ঝর)
— ,,,,,,,
— ইটস আর্জেন্ট। যত দ্রুত সম্ভব আমার ইনফরমেশনগুলো চাই।
— ,,,,,,,
— ওকে ডু ইট ফাস্ট।
.
.
.
.
নিজের ঘরে বিছানায় শুয়ে বালিশে মুখ গুঁজে কান্না করছে স্নিগ্ধা। একটু আগে তৃষ্ণা বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সময় স্নিগ্ধা সিঁড়ির উপরে দাঁড়িয়ে সব দেখছিল। সে ভেবেছিল তৃষ্ণা আজই চলে যাবে। তার আর নির্ঝরের মধ্যে থেকে সব বাঁধা দূর হয়ে যাবে। সব আগের মত ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তার ভাবনায় জল ঢেলে দিয়ে নির্ঝর তৃষ্ণাকে পাজা কোলে করে ঘরে নিয়ে গেলো। সেই দৃশ্য দেখার পর থেকে স্নিগ্ধা অঝোরে কান্না করে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে তার বুকে কেউ অনবরত ছুরিকাঘাত করে যাচ্ছে।
” ভালোবাসায় কেন এত কষ্ট? নিজের ভালোবাসাকে অন্যের সাথে দেখলে কেমন লাগে.. তা একমাত্র সেই বুঝতে পারবে যে এমনটা অনুভব করেছে বা দেখেছে নিজের চোখে। এই ব্যথা অন্য কেউ বুঝতে পারবে না। বারবার চোখের পানি মুছতে মুছতে স্নিগ্ধার দুই চোখে কাজল লেপ্টে কালিমা ধারণ করেছে।”
.
হঠাৎ দরজায় কড়া পড়ায় স্নিগ্ধা ধরফরিয়ে উঠে বসলো। পেছনে তাকাতেই স্নিগ্ধা নির্ঝরকে তার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। অনেকটা অভিমান নিয়ে স্নিগ্ধা অপর দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিল। স্নিগ্ধার অভিমান বুঝতে পেরেও নির্ঝর তেমন পাত্তা না দিয়ে ঘরের ভিতরে এগিয়ে এলো। স্নিগ্ধা এখনও অন্য নির্ঝরের বিপরীত দিকে তাকিয়ে আছে।
— আই ওয়ান্ট টু ম্যারি ইউ স্নিগ্ধা। এস সুন এস পসিবল.. সম্ভব হলে এই সপ্তাতেই। তোমার কোন আপত্তি থাকলে এখনই বলতে পারো।
নির্ঝরের কথা শুনে মুহূর্তে স্নিগ্ধার দুচোখ খুশিতে ভরে উঠল। কোন ছোট বাচ্চা যেমন তার কাঙ্ক্ষিত খেলনা পেলে খুশি হয়ে ওঠে ঠিক তেমনি স্নিগ্ধার চোখে মুখেও খুশির ঝলক দেখা যাচ্ছে।
বিয়ের কথাটা বলে নির্ঝর স্নিগ্ধার উত্তর জানতে না চেয়েই সেখান থেকে বেরিয়ে গেলো। বিয়ের কথা শুনে স্নিগ্ধা নিজেও পাগল হয়ে ওঠে তৃষ্ণা ব্যাপারে কিছু জানতে চাইল না। অবশ্য তৃষ্ণার কি হলো সে ব্যাপারে জানার তার কোন আগ্রহও নেই। তৃষ্ণা তার জন্য কোন ম্যাটারই করেন না। তার সবটা জুড়ে রয়েছে নির্ঝর। নির্ঝরকে পেলে সে দুনিয়া ভুলতে পারে। তৃষ্ণা একপ্রকার এক্সিষ্টই করে না তার জন্য।
চোখের পানি মুছে ফেলে স্নিগ্ধা তার বিয়ের শপিং এর লিস্ট বানানোর জন্য নয়না বেগমের ঘরের দিকে ছুটল। একটু আগে তৃষ্ণা ও নির্ঝরের মধ্যে যেসব কথাবার্তা হয়েছে তাতে আদৌ স্নিগ্ধার কিছু আসে যায় কিনা বোঝা যাচ্ছে না। সে খুশি মনে তার বিয়ের আয়োজন করার কাজে ছুটে চলেছে।
.
.
নয়না বেগমের ঘরে গিয়ে স্নিগ্ধা নয়না বেগমকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে। নয়নাভিরাম খানিকটা ঘাবড়ে গেলেও স্নিগ্ধার কণ্ঠ শুনে স্বাভাবিক হন।
পেছন ফিরে নয়না বেগম স্নিগ্ধাকে জিজ্ঞেস করেন,
— হঠাৎ এত খুশি লাগছে তোমাকে কি হয়েছে! নির্ঝর বুঝি তৃষ্ণাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
— বাড়ি থেকে বের করেনি তবে নির্ঝর আমাকে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়ে গেছে।
— কিহ!!
— ইয়েস। এন্ড গেস ওয়াট! এই সপ্তাহেই নির্ঝর আমাকে বিয়ে করতে চায়। আমার যে কত খুশি লাগছে বলে বোঝাতে পারবো না আম্মু। ইচ্ছে হচ্ছে ডান্স করতে।
— তুমি সত্যি বলছো স্নিগ্ধা। নির্ঝর কি সত্যি তোমাকে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়ে গেছে?
— অফকোর্স আম্মু।
— কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব? নির্ঝর তৃষ্ণাকে কিভাবে ভুলতে পারলো? সেটাও এত তাড়াতাড়ি,, এত তাড়াতাড়ি নির্ঝর তৃষ্ণাকে ভুলে যাবে বিশ্বাস হচ্ছে না আমার।
— কাম অন আম্মু! এখানে বিশ্বাস না হওয়ার কি আছে? নির্ঝর তৃষ্ণাকে ভালোবাসেনা আর এমনিতেও নির্ঝর আর আমার বিয়ে হওয়ারই কথা ছিল। সেটা কিছুদিন আগে হলে কি ক্ষতি হবে।
— তুমি বুঝতে পারছ না আমি কি বলছি। আমি ক্ষতির কথা বলিনি। কিন্তু যেই নির্ঝর তৃষ্ণাকে এক বছরেও ভুলতে পারিনি সেই নির্ঝর একদিনের মধ্যে তৃষ্ণাকে ভুলে তোমাকে কিভাবে বিয়ে করতে রাজি হল।
— উফ আম্মু এত চিন্তা করছো কেন? যে কারণেই হোক না কেন রাজি হয়েছে এটাই তো সব থেকে বড় কথা তাই না।
— আমার চিন্তা অন্য জায়গায়। নির্ঝর এত সহজে রাজী হওয়ার পাত্র নয়। নিশ্চয় নির্ঝরের মাথায় অন্য কিছু চলছে। (মনে মনে)
— আম্মু আই হ্যাভ টু গো। আমার অনেক শপিং এর লিস্ট করা বাকি আছে। আবার ওগুলো শপিং করতে হবে, বিউটিশিয়ান এর অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নিতে হবে,, আমার কত কাজ!! আমাকে যেতে হবে বাই।
স্নিগ্ধা নয়না বেগমের ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে নয়না বেগম চিন্তিত মুখে ধপ করে সোফায় বসে পড়েন। নির্ঝরের রাজি হওয়া টা যেন সে কিছুতেই স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারছে না। তার বারবার মনে হচ্ছে কোথাও কোন একটা খটকা আছে।
.
.
.
.
.
পুরো চৌধুরী বাড়িতে কাজের ধুম পরে গেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলের বিয়ে যে কি না শহরের সবচেয়ে ইয়াং হোটেলিয়ার। বিয়েটাও তেমনই আলিশান হতে চলেছে। কাজের চাপ আরো বেশি পরেছে কারণ বিয়েটা এই সপ্তাহেই হবে। নয়না বেগমও নিজের সব সংঙ্কা ভুলে বিয়ের আয়োজনে লেগে পরেছেন। নির্ঝর বিয়েতে তাড়াহুড়া করলেও আয়োজনে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
এদিকে দুইদিন হতে চললো তৃষ্ণা উপরের ঘরটাতে বন্দী। আগে নির্ঝর প্রতিরাতে তৃষ্ণার ঘরে এলেও এই দুইদিনে একবারও তৃষ্ণার মুখোমুখী হয় নি। শুধু সময় মতো সার্ভেন্ট এসে তৃষ্ণার প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে গেছে।
চলবে..
[আমার পড়ার চাপ হুট করেই বেড়ে যাওয়াতে প্রতিদিন গল্প দেওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে। তাই এক দিন পর পর দেবো। আশা করি সবাই বুঝবেন ব্যাপার টা। ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। ধন্যবাদ।]