পত্রপ্রেম পর্ব_০৭

0
869

পত্রপ্রেম
পর্ব_০৭
লেখনীতে:স্পর্ষীয়া ভূমি

অদ্রির দিকে একনজর চেয়ে মৃদু কন্ঠে বলল রিক্ত,

‘ ইলায়রার সাথে কথা বলবে?কল দিব?’

অদ্রি ড্যাবড্যাব করে তাকিয়েই বলল,

‘ আজব! আপনার গার্লফ্রেন্ডের সাথে আমি কেন কথা বলতে যাব?অদ্ভুত কথাবার্তা!’

রিক্ত হাসল।সোজা হয়ে বসেই বলল,

‘ এক মিনিট!কল দিচ্ছি।’

অদ্রি তৎক্ষনাৎ উঠে বসল।রিক্তের হাত থেকে মোবাইলটা সাথে সাথে চিনিয়ে নিয়ে বলে উঠল,

‘ একদমই নাহ!আমি কথা বলব নাহ আপনার প্রেমিকার সাথে।আমাকে কি ভূতে ধরছে নাকি?আপনি প্রেম করুন, বিয়ে করুন, ডজন খানেক বাচ্চাও পয়দা করুন।আমার তাতে কোন সমস্যা নেই।আমার কি বলুন?আমি কে?’

রিক্ত চুপ থাকল।কিছুটা সময় একইভাবে চুপ থেকেই বলে উঠল,

‘ আপনি কে? আসলে এই উত্তরটা আমার কাছে নেই।তবে ঐ যে বললাম অভ্যাস!খুব জঘন্য খারাপ একটা অভ্যাস আপনি।কেন জানি এই খারাপ অভ্যাসে আমি আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গিয়েছি।ছটফট করে মরছি।কেমন একটা নেশা।যে নেশায় জ্বলছি,মরছি। জানেন যখন প্রথম আপনার চিঠি এসেছিল আমি বড় অদ্ভুত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চিঠিটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।এই যুগেও কেউ চিঠি লিখে নাকি?মাথায় শুধু ঐটুকুই ঘুরফাক খাচ্ছিল।তারপর পর পর মাসে, সপ্তাহে চিঠি আসল।প্রথম প্রথম ভাবতাম মেয়েটা বোধ হয় পাগল!নয়তে এভাবে চিঠি দিত?এতসব আজগুবি কথা লিখত?সত্যিই তখন বিষয়টাকে পাগলামি মনে হতো।তারপর হুট করেই বুঝতে পারলাম আমি আপনার চিঠির অপেক্ষায় থাকি।সপ্তাহে দুই তিনদিন দেরি হলেও অপেক্ষায় চটফট করতাম।এই বুঝি চিঠি আসবে।কি হলো তার?এই সপ্তাহে চিঠি দিল না কেন সে?আজব নাহ?ঠিক এভাবেই কিভাবে যেন চিঠিগুলো, আপনার অগোছাল অনুভূতিগুলে আমার অভ্যাস হয়ে গেল!আশ্চর্যজনক ভাবেই আমি আপনাকে অনুভব করতে শুরু করলাম।কল্পনাতে আঁকার চেষ্টা করতাম।হুটহাট আপনাকে দেখার ইচ্ছে জাগত।যদি একবার দেখা পাই।একবার!হয়তো সে চারপাশেই কোথাও আছে।যদি তাকে একবার দেখতাম।কিন্তু দেখা পেলাম নাহ আমি আপনার।অনেকবার ভেবেছি আপনার ঠিকানায় চিঠি দিয়ে বলে বসি দেখা দিবেন একবার?কিন্তু হয় নি।চিঠি দেওয়া হয় নি।’

রিক্ত লম্বা শ্বাস নিল কথাগুলো বলে।অদ্রি আহাম্মকের মতো তাকিয়ে থেকেই বিস্ময় নিয়ে বলে উঠল,

‘ কেন?কেন চিঠি দেওয়া হয় নি?’

‘ কে জানে!চিঠি দিতে মন চাইলেও পরক্ষনেই চিঠি পাঠানোর বিষয়ে খুব আপত্তি জানাত মন।আমি আসলে আপনার মতো করে লিখতে পারতামও নাহ চিঠি।বুঝলেন?আপনি অনুভূতিকে যেভাবে সাঁজিয়ে লিখতেন আমব হয়তো পারতাম নাহ তেমন।আমি বরাবরই এমন। নিজের অনুভূতি সাজাতে পারি নাহ।সোজাসুজি অনেক কথা বলে বসি।কিন্তু অতো আবেগ আমার মাঝে কাজ করে নাহ।কেন কে জানে।’

‘ ওহ!’

রিক্ত হাসল।অদ্রির দিকে তাকিয়ে আবারও বলল,

‘ হু!জানেন? বিয়ের আগে আমি চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম।ঠিক আপনার দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে ঘুরপাক খেয়ে চলে এসেছিলাম আবার।আমি তো আপনার নামটাও জানি নাহ।ঠিকানায় থাকা বিল্ডিংটার সামনে আহাম্মকের মতো দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম আপনি এখানে থাকেন কিনা আধো।বিল্ডিংয়ের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা দারোয়ানকে যখন জিজ্ঞেস করলাম এখানে কোন মেয়ে থাকে কিনা।দারোয়ান বড় অদ্ভুত দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়েছিল।আমি পরমুহুর্তেই বিষয়টা বুঝতে পেরে তোতলানো জিহ্বায় বলেছিলাম অপরিচিতা নামের কেউ থাকে কিনা।উনি এবারও বিরক্ত নিয়ে তাকিয়ে বলেছিলেন” ধুর মিয়া!ফাইজলামি মারান?একবার কন মাইয়া তো একবার কন অপরিচিতা!অপরিচিতা কারো নাম হয় নাকি?”বুঝতে পারছেন?ব্যাপারটা কি ছিল।আমি সেদিন পুরাই হ্যাবলার মতো দাঁড়িয়ে ছিলাম।কিছু বলার মতো খুঁজে না পেয়ে অনেক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে ফিরে আসতে হয়েছিল আমাকে।’

অদ্রি হু হা করে হেসে উঠল তৎক্ষনাৎ।হাসি থামতেই বলে উঠল,

‘ সিরিয়াসলি?আপনি গিয়েছিলেন?আর ঐ চাচাটা আপনাকে এভাবে বলেছে?আহারে!আসলে ওটা রিক্তাদের বাসা।রিক্তাদের বাসার ঠিকানা দিয়ে চিঠি দিতাম।কেন তাই নাহ?আসলে আমার বাসায় আমাকে অপরিচিতা নামে আমার মা জানে।মাকে হুটহাট করেই বলে বসতাম, মা অপরিচিতা নামটা সুন্দর নাহ?আমার সাথে মানায় বলো।তো কোনদিন যদি আপনি চিঠি পাঠিয়ে দিতেন মা তো বুঝে নিত চিঠিটা আমার উদ্দেশ্যেই পাঠানো।তার থেকে রিক্তা চিঠিটা পেয়ে এনে দিল বেটার হতো।কজ ও তো আমার বেস্টফ্রেন্ড!’

‘ খুব খারাপ করেছেন!’

‘ খারাপ কেন বললেন?আপনার মতো তো আর কল করে প্রেম করছি নাহ।তাই নাহ?’

রিক্ত ডান চোখের ভ্রু উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করল,

‘ বারবার এক কথা বলে কি প্রমাণ করতে চাইছেন?শুনুন, আপনি ইলায়রার সাথে কথা বলুন সবটা ক্লিয়ার হয়ে যাবে তাহলে।’

অদ্রি ভ্রু কুঁচকে নিয়েই বলে উঠল,

‘ আপনি বললে কি হবে?বলুন তাহলে। শুনি।আমি আপনার প্রেমিকার সাথে কেন কথা বলতে যাব শুধু শুধু?’

‘ ইলায়রা যাকে বলছেন সে আমার ফ্রেন্ড!বুঝলেন?যার সাথে আপনি প্রেম করি বলছেন।ওর আরো চারবছর আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে।একটা পুচকে মেয়েও আছে।আর আপনি কিনা তার সাথে আমাকে জড়িয়ে নিলেন!’

অদ্রি ড্যাবড্যাব করে তাকিয়েই বলল,

‘ মানে?আপনি আর অন্য কাউকে ভালোবাসেন নাহ?’

‘ কাকে বাসব?’

‘ আমি ভেবেছিলাম আপনি অন্য কাউকে ভালোবাসেন তাই বোধ হয় চিঠির একটাও উত্তর পাওয়া হয় নি।আর বিয়ের পর আপনি স্ত্রী হিসেবেও মেনে নেন নি।তাই ভেবেছিলাম।’

‘ হুহ!ভাববেন তো!হুট করে হারিয়ে গিয়ে আরো কতকিছু ভাববেন আজব!আচ্ছা হারিয়েছিলেন কোথায়? চিঠি দেন নি কেন এতগুলো দিন?’

অদ্রি হেসে উঠল।মুচকি হেসে বলল,

‘ হারায় নি তো।আমি দেখতে চেয়েছিলাম আপনি আমায় চিঠি দেন কিনা। আপনি আমায় কোনদিনও একটা চিঠি দেন নি কিন্তু।অভিমান, রাগ, ক্ষোভে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলাম আমি আর চিঠি দিব নাহ।যদি নাহ আপনি দিন।অনেক চিঠি লিখেও শেষে ছিড়ে ফেলে দিয়েছিলাম।অবশেষে আপনার চিঠি এল।কিন্তু পড়ার সুযোগটা আমার হয়ে উঠল নাহ।রিক্তার কাছ থেকে চিঠিটা নিয়ে সেদিন বাসায়ও যায়নি।সোজা হোস্টেলে এসেছিলাম।এসে ব্যাগ খুলে দেখি চিঠি নেই।হারিয়ে গিয়েছে।সেইবার কতটুকু কেঁদেছিলাম আমার মনে নেই তবে চেয়েছিলাম আপনি আরেকটা চিঠি দিন।কিন্তু দেন নি।তাই আর পাঠানো হয় নি।’

রিক্ত অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল।কিছুটা সময় চুপ থেকেই চোখ টিপে বলল,

‘ আমাকে চিনলেন কিভাবে?আপনার বাসা সেই চট্টগ্রাম।আর আমি এখানকার।দেখা সাক্ষাৎ হওয়ার কথা তো নয়।কিভাবে প্রেমে পড়লেন?

অদ্রি মৃদু হাসল।

‘ চিঠি?চিঠিতেই উত্তরটা দিব বুঝলেন মিঃ রিক্ত চৌধুরী!আপনি না একটা চিঠি চেয়েছিলেন?যেটাতে কেবল দুইজনের স্পর্শ থাকবে?আচ্ছা!আমার চিঠি গুলো আছে আপনার কাছে?কতগুলো চিঠি দিয়েছিলাম আমি।বলেছিলাম তো একদিন এসে চেয়ে বসব?’

রিক্ত বাঁকা হেসেই বলল,

‘ ওহ আচ্ছা।কিন্তু চিঠি গুলো যে আপনাকে দেওয়া হচ্ছে নাহ আর।’

‘ কেন?কেন দিবেন নাহ?ওগুলো আমার লেখা চিঠি।’

‘ তো?আপনার লেখা হতেই পারে।কিন্তু ওগুলো এখন আমার সম্পত্তি বুঝলেন?আপনি, আপনার চিঠি সব আমার।কেবল আমার।’

অদ্রি চোখ মুখ কুচকে মুখ ফুলাল।ঠোঁট কামড়ে বলে উঠল,

‘ সম্পত্তি? এটা কোন ধরণের সম্বোধন?’

‘ উহ!সম্বোধন নাহ তো। ‘

অদ্রি মুখ ফুলিয়ে তাকাতেই রিক্ত হাসল।যে হাসি শত মুগ্ধতাকেও এক মুহুর্তেই যেন হার মানিয়ে দিবে।

___________

ভার্সিটিতে আজ দুইদিন কেথাও নিষাণকে দেখা যায় নি।অদ্ভুত ভাবে সে রিয়াকে সবদিক থেকে ইগনোর করে যাচ্ছে।কল করলে হয়তো রেখে দিচ্ছে নয়তো মোবাইল অফ।বাসার সামনে উঁকিঝুকি মেরেও কোন লাভ হয় নি।নিষাণের দেখা পাওয়া যায় নি বাসার সামনে।নিজের বাসায় ফিরে গিয়েছে এমনও নাহ।ফিরে গেলে ছাদে গেলে নিশ্চয় এক আধবার দেখে যেত সে নিষাণকে।কিন্তু নাহ!তার দেখা পাওয়া যায় নি।নিতুর কলেজটা ভার্সিটির ঠিক সামনেই।একটু পা বাড়িয়েই গেলে হয়তো নিতুর সাথে দেখা হয়ে যাবে এই আশায় ঠিক পনের মিনিট কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে রইল রিয়া।কিন্তু নিতুর দেখা পাওয়া গেল তারও ঠিক বিশ মিনিট পর।রিয়া হন্তদন্ত হয়ে নিতুর পথ আটকিয়ে বলে উঠল,

‘ এই নিতু।শোনো একটু কথা ছিল।প্লিজ!’

নিতু সরু চোখে তাকিয়েই বলল,

‘ আপনি?রিয়া আপু?কি কথা বলুন।আমাকে প্রাইভেটে যেতে হবে।’

রিয়া একটু থেমে তারপরই বলল,

‘ নিষাণ আর তুমি তো রিলেশনে আছো তাই না?’

নিতু বিরক্তি নিয়ে বলে উঠল,

‘ ঢং দেখাচ্ছেন নাকি?আপনার জন্যই তো রিলেশন হতে হতেও হলো নাহ।আপনি না থাকলে তো এতদিনে নিষাণ আমায় ভালোবেসে ফেলত নিশ্চিত।’

রিয়ার অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল।

‘ মানে?কি বলছো?’

‘ বুঝতে পারছেন নাহ নাকি?এমন একটা ভাব ধরছেন যেন কিছু জানেন নাহ।আজব!দেখুন আপনি মানুষটাকে আমি এমনিতেও সহ্য করতে পারি নাহ।চাই নাহ রাগের মাথায় কিছু বলে বসি।’

কথাটা বলেই নিতু পথ এড়িয়ে চলে গেল।রিয়া হতবাক হয়ে চেয়ে রইল।নিতুর কথাগুলোর একটা কথারও অর্থ উদ্ধার করতে না পেরে অসহায় চাহনি নিয়ে এদিক ওদিক তাকাল।নিষাণ এভাবে তাকে ইগনোর করতে পারে নাহ। কিছুতেই নাহ।এতগুলো কল,এতগুলো ম্যাসেজ!কি মনে হচ্ছে তার?এমনি এমনি দিচ্ছে?নিষাণের সাথে এরপর দেখা হলেও কথা বলবে নাহ সে।কিছুতেই নাহ।মনে মনে নিষাণকে নিয়ে এতসব প্রতিজ্ঞা করে দু পা বাড়িয়ে রিক্সায় উঠতেই কল আসল মোবাইলে।চোখ মুখ কুচকে নিয়ে ব্যাগ থেকে মোবাইলটা বের করতেই চোখ মুখ হকচকিয়ে উঠল।কলটা নিষাণের ছিল।কি অদ্ভুত!যাকে এতবার কল দিয়ে পাওয়া যায় নি সে নিজে থেকেই কল দিয়েছে?রিয়া ড্যাবড্যাব চাহনিতে তাকিয়ে কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ভেসে আসল রেগে যাওয়া তীক্ষ্ণ কন্ঠটা।

‘ কি সমস্যা কি তোর রিয়া?কি সমস্যা?নিতুর কাছে কেন গিয়েছিলি?আমি বলেছিলাম ওর কাছে যেতে?তোর এত আগ্রহ কেন?কেন?আমার আর নিতুর রিলেশন থাকলেও কি না থাকলেও কি?তোর কি?তুই সাদাফ ভাইয়ের তাই না?সাদাফ ভাই তোকে ভালোবাসে।প্রচুর মেধাবী, প্রতিষ্ঠিত, তোর ভাইয়ার ফ্রেন্ড।সেই জায়গায় আমি কিছুই নাহ।বাউন্ডুলে একটা ছেলে,এখনো পড়ালেখায় কম্প্লিট করলাম নাহ আবার প্রতিষ্ঠিত!বাদ দে।সব কিছু ভুলে যা প্লিজ।আমি কখনো তোর জীবনে ছিলাম ভুলে যা।আমি অন্য কোথাও শিফট হয়ে যাব খুব শীঘ্রই।ভালো থাকিস।’

রিয়া ফুঁফিয়ে কেঁদে উঠল।নিষাণ যেমনই হোক কখনো এতটা রেগে তার সাথে কথা বলে নি।এভাবে চিৎকার করে কখনো কথা বলে নি।কি এমন করেছে রিয়া?যার জন্য এমন করছে নিষাণ?একটু বেশি করছে নাহ কি নিষাণ!চোখের পানিটা মুঁছে কিছু বলবে সেই সুযোগটাই হয়ে উঠল নাহ।নিষাণ ওপাশ থেকে কল রেখে দিয়েছে। এখন যে শতবার কল করেও লাভ হবে নাহ তা জানে রিয়া!কি অদ্ভুত!যার সাথে ছোট থেকে বড় হয়েছে তার সাথে আজ দেখা করার জন্য কতটুকু পরিশ্রম করতে হচ্ছে।

__________

বাসার কলিংবেল বাঁজাতেই ভেতর থেকে অদ্রি দরজা খুলে দিল।বাসায় পা রেখেই মাথা ঘুরিয়ে উঠল রিয়ার। সোফায় সাদাফ, সাদাফের বাবা মা বসা।সাথে তার মামা মামি।একপাশেই রিক্ত দাঁড়ানো।অদ্রি অসহায় চোখে তাকিয়েই বলে উঠল,

‘ তুমি কি কিছু জানতে এসব বিষয়ে রিয়া?’

রিয়া অবাক হয়ে বলল,

‘ কোনসব বিষয়ে?’

‘ সাদাফ ভাইয়ের সাথে কি তোমার কোন সম্পর্ক আছে?নাকি কেবল উনিই তোমায় পছন্দ করেন।উনারা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসল কেন?’

রিয়া আরো এক ধাপ অবাক হয়ে বলে উঠল তৎক্ষনাৎ,

‘ কি?কিসের বিয়ে!এখন কিসের বিয়ে?ভাইয়া?ভাইয়া কি বলেছে?’

অদ্রি রিয়াকে আশ্বাস দিয়ে বলল,

‘ কুল রিয়া!তোমার মতের বিরুদ্ধে কিছু হবে নাহ।তবে মামা মামি একটু বেশি হইচই করছে শুধুশুধু।আমি চাই নাহ তোমার বিয়েটা এক্ষুনি হয়ে যাক।সবে বিয়ে হয়েছে।ননদের সাথে আমার সময় কাঁটানো হলো কই?’

রিয়া বানোয়াট হাসি নিয়ে বলল,

‘ তাই তো।ভাবি প্লিজ!ভাইয়া হয়তো হ্যাঁ ও বলে দিতে পারে কারণ সাদাফ ভাই ভাইয়ার ফ্রেন্ড।আমি বিয়ে টিয়ে করতে চাই না এক্ষুনি।’

অদ্রি হাসল।রিয়ার গালে হাত দিয়ে বলল,

‘ ওকে ননদীনি।যাও ফ্রেস হয়ে আসো।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here