পদ্মাবতী,পর্ব-৪

0
3009

পদ্মাবতী,পর্ব-৪
নাহার

মাহিব দৌড়ে এসে দেখলো নিলা মেঝেতে পরে আছে। মাহিব তাড়াতাড়ি নিলাকে কোলে তুলে নিলার রুমে নিয়ে আসে। খাটে শুইয়ে দিয়ে ডাক্তারকে ফোন দেয়। পদ্ম একপাশে দাঁড়িয়ে নিরবে চোখের পানি ফেলছে। মনিরা নিলার পাশে বসে আছে। কিছুক্ষণ পরেই ডাক্তার চলে আসে। নিলার চেকাপ শেষে বললো,
— “হঠাৎ প্রেশার লো হয়ে যাওয়ায় সেন্স হারিয়েছে। উনি হয়ত এমন কিছু শুনেছে যেটা এক্সপেক্ট করেন নি। জ্ঞান ফিরলে বুঝতে পারবো কি রকম অবস্থা উনার।”

পদ্ম নিজের রুমে চলে এলো। বালিশে মুখ গুজে কাঁদতে শুরু করে। নিজেকে খুন করতে ইচ্ছে হয়। শুধু তার জন্য আজ বোনটার এই অবস্থা। কিভাবে পরলো বোনটা। সেই দৃশ্য মনে হলেই পদ্মের বুকের ভেতর দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘরটা আবারো অন্ধকার করে ফেলে। খাটে উপুর হয়ে শুয়ে বালিশে মুখ গুজে কাঁদে। পদ্মের মন এবং মস্তিষ্ক বলছে, “কি প্রেম করিলি রে, সে শুধু কান্না উপহার দিয়েছে।” পদ্ম ডুকরে কেঁদে উঠে।

একঘন্টা পর নিলার জ্ঞান ফিরে। জ্ঞান ফরার পরেও আবোল তাবোল কথা বলছে। মাহিব ভয় পেয়ে যায়। ডাক্তার দেখে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঘুমের ইনজেকশন দেয় নিলাকে। মাহিব নিলার মাথার কাছে বসে আছে। মনরা ফুপিও আছে। পদ্ম দরজার সামনে থেকে এক নজর দেখে চলে আসে রুমে। ভয় পাচ্ছে রুমে যেতে যদি মাহিব ভাইয়া তাকে খুব বকে। যদি মনিরা ফুপি বলে, “এসবের জন্য শুধু এবং শুধুমাত্র তুই দায়ী।” পদ্ম যে এসব সইতে পারবে না। এতোদিন কোনোরকম মনকে বুঝিয়েছে। কিন্তু যদি এসব কথা হয় সে নির্ঘাত গলায় ফাঁস দিবে। তাই দূরে দূরে আছে।

দুইদিন পার হয়েছে। নিলার অবস্থা এখন মোটামুটি আছে। পদ্ম নিজের রুমেই আছে। এইটুকুন জীবনে করা অনেক ভুল সে বুঝতে পেরেছে। পদ্ম এখন বুঝে, “বন্ধুবান্ধব সব সাময়িকের জন্য জীবনে আসে আবার চলেও যায়। পরিবার কখনো ছেড়ে যায়না।” পদ্মের তো বাবা মা নেই। শুধু একটা বড় বোন আছে। তাকেই এখন বাবা মা মনে করে। খুব বেশি কষ্ট হয় এখন। কারণ এখন নিলার সাথে মিলেমিশে থাকতে চেয়েও পারেনা। আর যখন সময় ছিলো তখন পাত্তা দেয়নি। জীবনটা আসলেই অদ্ভুত।

জানালার পাশে বসে হাটুতে দুইহাত ভাজ করে রেখে হাতের উপর থুতনি রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। আর নিরবে চোখের পানি ফেলছে। এখন আর স্টাইল করতে ভালো লাগে না। সাজগোছ একদমই ভালো লাগে না। শর্ট ড্রেস, ছেড়া জিন্স, গেঞ্জি, ছোট বড় টপস একদমই ভালো লাগে না। আগে ওড়না দেখলেই রাগ হতো। আর এখন সেলোয়ার-কামিজ পড়ে ওড়নাটা সুন্দর করে গায়ে জডিয়ে রাখে। “এক সময়ের ভালোলাগা, পরবর্তী সময়ের বিরক্তিতে পরিণত হয়।” এখন কসমেটিকস এর জিনিসপত্র দেখলেই কেমন যেনো বিরক্তি লাগে। পদ্ম তার আধুনিক জামাকাপড়, কসমেটিকস সব একটা ব্যাগে ভরে খাটের নিচে ঢুকিয়ে রেখেছে। আলমারিতে শুধু নিলার কিনে দেয়া সেলোয়ার-কামিজ গুলো আছে। আনমনে বসে পুরানো সব স্মৃতিতে হেটে চলছে পদ্ম।

মাথায় কারো নরম হাতের স্পর্শে পায় পদ্ম। মাথা তুলে সামনে তাকিয়ে একটু থমকে যায়। ভেবেছে ঠাটিয়ে চড় মারবে কিন্তু তা হলো না। মিষ্টি একটা হাসি দিলো তার বোনটা। পদ্মের বুকের ভেতর তোলপাড় হয়ে যায়। চোখ নামিয়ে নেয়। জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিলো কিন্তু কিছু একটা ভেবে নিজেকে সংযত করে। নিলা পদ্মের রুমের সব জানালা খুলে দেয়। দখিনা বাতাস এসে রুমটা শীতল করে তুলে।কমলালেবু ফ্লেবারের স্প্রেটা পুরো রুমে মেরে দেয়। রুমটাকে মুহুর্তেই জান্নাত মনে হচ্ছে। হ্যাঁ প্রিয় মানুষটা সাথে থাকলে দুনিয়াটাই জান্নাত হয়ে উঠে। পদ্মের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ হচ্ছে তার বোন নিলা। সেটা আগে বুঝতে পারেনি। কিন্তু এখন ঠিক বুঝতে পারে। নিলা পদ্মের সামনে বসে। পদ্ম মাথা নিচু করে ফেলে। নজর মেলাতে পারছে না। নিলা পদ্মের দুইহাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে চুমু দেয়। মাথাটা টেনে এনে বুকের সাথে চেপে ধরে বললো,
— “এই চার পাঁচ দিনে একটু কিছুও মুখে নেসনি কেনো?”

পদ্ম ডুকরে কেঁদে দেয়। নিজের বোনকে জড়িয়ে ধরে। কেঁদে কেঁদে বললো,
— “আপু আমাকে যত ইচ্ছা মারো। বকা দাও। আমি দোষ করেছি। আমি অনেক অন্যায় করেছি। প্লিজ আমাকে শাস্তি দাও। আমার কারণে তোমার এই অবস্থা।”

পদ্মকে থামিয়ে দিয়ে নিলা বললো,
— “ওরে আমার পদ্মাবতী চুপ কর। আমার কোনো অভিযোগ নেই। ভুল করেছিস নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিস তাতেই অনেক।”

পদ্ম মাথা তুলে নিলার দিকে তাকিয়ে বললো,
— “আমার জন্য তোমার শ্বশুরবাড়ির কিছু মানুষ তোমাকে কথা শুনিয়ে গেছে আপু। শুধু আমার জন্য। আমি খুব খারাপ আপু। খুব…। ”

— “আর একটাও কথা না। চল বাহিরে চল। এই কয়দিন রুমের মধ্যে পরে আছিস। খাওয়া দাওয়া সব লাটে উঠেছে। পড়ালেখার ও ঠিক নেই।”

নিলা পদ্মের হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো। সোফায় মাহিব এবং মনিরা বসে আছে। নিলা পদ্মকে নিয়ে সেখানে বসায়। পদ্ম মাথা নিচু করে বসে আছে। নিলা খাবার এনে নিজের হাতে খাইয়ে দেয়। খাইয়ে দিতে দিতে বললো,
— “এতো বড় ধেমরি এখনো আমার হাতে খায়। দেখেছো ফুপি। এটাকে বিয়ে দিলে তখন কি হবে?”

পদ্ম ফুপিয়ে কেঁদে দেয়। মনিরা হেসে পদ্মকে জড়িয়ে ধরে মাহিবকে উদ্দেশ্য করে বলে,
— “মাহিব শুনো আমার পদ্মের জন্য এমন ছেলে বেছে এনো যে আমার মেয়েকে নিজের হাতে খাইয়ে দেবে।”

মাহিব হেসে বললো,
— “জামাই বুড়া হলে চলবে? বুড়া জামাইদের কোনো কাজ কাম থাকে না। পদ্মাবতীকে সে অনায়াসে নিজের হাতে খাইয়ে দেবে।”

ফুপিসহ মাহিব হেসে দেয়। নিলাও হাসছে
পদ্ম নিলাকে জড়িয়ে ধরে। মুখ লুকায় নিলার বুকে। লজ্জা লাগছে কেনো যেনো। সবাই এতোটা স্বাভাবিক আচরণ করবে পদ্ম ভাবেনি।

পরেরদিন নিলাই পদ্মকে কলেজে দিয়ে আসবে বলে। নিলা রেডি হয়ে ড্রয়িংরুমে বসে আছে। পদ্ম বেরিয়ে নিলার সামনে আসলেই নিলা অবাক হয়। পদ্মকে কাছে টেনে বলে,
— “এভাবে রেডি হয়েছিস যে? আগে তো এভাবে যাসনি। সবার ভয়ে বোরকা পরেছিস? ভয় পাওয়ার দরকার নেই পদ্ম। আমি আছি তোর সাথে। আর তুই নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিস তাতেই অনেক।”

— “না মানে সেটা নয়। আসলে প..পর্দা করাতো ফরজ তাই…।”

পদ্ম ইতস্তত করছে। নিলা মুচকি হেসে পদ্মের কপালে চুমু দিয়ে বেরিয়ে যায়। তার বোন সঠিক পথে ফিরছে তাতেই সে অনেক খুশি। মাঝে মাঝে আল্লাহ আমাদেরকে বিপদে ফেলে নিজের ভুল বুঝতে পারার জন্য। নিজেকে সুধরে নেয়ার জন্য। আমাদেরকে বিপদে ফেলে আমাদের পায়ের নিচের মাটি শক্ত করার জন্য। নড়েবড়ে কোমড় শক্ত করার জন্য। নিজে শক্ত হয়ে দাঁড়ানোর জন্য। আল্লাহ যা করেন আমাদের ভালোর জন্যেই করেন।

——————————
রাত তেমন বেশি হয়নি। অন্ধকার ঘনিয়েছে দুই কি তিন ঘন্টা হবে। চারিদিকে শীতল বাতাস। পরিবেশটা ঠান্ডা। পদ্মের কোমড় সমান চুল ছেড়ে দাঁড়িয়ে আছে। শীতল হাওয়া চুল উড়িয়ে দিচ্ছে বারবার। রেলিংটাকে ধরে দাঁড়িয়ে বহুদূরে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছে পদ্ম। চার বছর পেরিয়ে গেছে সেই তিক্ত অতীতের। সবাই ভুলেই গেছে সেই ঘটনা। চার বছর আগে ভাইরাল হওয়া মেয়েটার মুখটা এখন কারো মনে নেই। কিন্তু সেই তিক্ত অতীত পিছু ছাড়েনি শুধু ভাইরাল হওয়া মেয়েটার। বুক চিড়ে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে।

খুব বেশি ভরসা বা ভালোবাসলে হয়ত এভাবেই প্রতারিত হতে হয়। নিজের সবটুকু দিয়ে চাইলে বোধহয় এভাবে প্রতারিত হতে হয়। খুব কি বেশি ক্ষতি হতো যদি সৌরভ এভাবে প্রতারণা না করতো? খুব কি ক্ষতি হতো যদি সৌরভ এভাবে না ঠকাতো? আচ্ছা একটু ভালোবাসা আর একটু আগলে রাখলে কি হতো? কি হতো শরীরটা না চেয়ে মনটা চাইলে? এসব ভেবে আবারো একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে পদ্ম। তখন মনটা বলে উঠে, “যে ব্যাক্তি আল্লাহর চেয়ে অন্য কোনো ব্যাক্তি বা বস্তুকে ভালোবাসবে, তখন এটা অনিবার্য হয়ে যাবে যে, সে তার ভালোবাসার এই ব্যাক্তি বা বস্তু দাড়াই আঘাত পাবে।” পদ্ম মনে মনে সচেতন হয়ে যায়। নড়েচড়ে দাঁড়ায়। মনের অজান্তেই সে আবার এসব ভাবছিলো এটা মনে হতেই নিজেকে কড়া ধমক দেয়। কতটা বেহায়া হলে আবার এসব ভাবতে পারে। তাড়াতাড়ি চুল খোপা করে নিচে নেমে আসে। সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে নিলার বলা কথাটা মনে পরে, “যখন কেউ তোর জীবন থেকে চলে যাবে দুঃখ পাবি না। মনে রাখবি তাড়া তোকে ছেড়ে যায়নি। আল্লাহ তাদেরকে তোর জীবন থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। কারণ ইউ ডিজার্ভ ব্যাটার।” পদ্ম মুচকি হেসে রান্নাঘরে যায়। রাতের খাবার রান্না করতে হবে। আজ টিউশন ছিলো না। তাই আজ বাসায় আছে। ভাতের পানি বসিয়ে দিয়ে সবজি কাটতে শুরু করে। ফুপি সন্ধ্যায় বলেছে সবজি রান্না করতে। তাই সেই ব্যবস্থা করছে। নিজেকে এখন একজন নারী হিসেবে গড়ে তুলেছে পদ্ম।

রান্নাবান্না শেষ করার আগেই এশার আযান পরে। পদ্ম সব কাজ শেষ করে অজু করে এসে নামাজে দাঁড়িয়ে যায়। নামাজ শেষ হলে খাবার বেড়ে দেয় তার ফুপিকে। এই চার বছরে অনেক কিছু পালটে গেছে। পদ্ম নিজে সম্পূর্ণ পালটে গেছে। এখন প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে যায়না। ঘরের সব কাজ নিজেই করে। আগে এসব কাজ চাকরদের ভাবতো। কিন্তু রান্নাবান্না জানায় যে একটা আলাদা ক্রেডিট আছে সেটা এখন বুঝতে পারে পদ্ম। মেয়েটা রান্নাবান্না পারে এটা যেই শুনে সেই একটা আলাদা নজরে দেখে। পুরুষ যতই ভালো রাধুক আর ঘর ঘুছিয়ে রাখুক না কেনো, একজন নারীর ছোয়ায় যতটা স্নিগ্ধ হয় সেই ঘর পুরুষের অত্যাধুনিক সাজসজ্জায় ততটা স্নিগ্ধ মনে হয়না। চলাফেরা, ড্রেসাপ সম্পূর্ণ পাল্টেছে পদ্ম। সেলোয়ার-কামিজ পরে এখন নিজেকে পরিপূর্ণ মনে হয়। বোরকা পরে যখন রাস্তা দিয়ে হাটে খুব ভালো লাগে পদ্মের। টিউশনের বাচ্চাদের মাগুলোও পদ্মকে খুব সম্মান করে।

ডাইনিং টেবিলে খাবার বেড়ে ফুপিকে ডাকতে যাবে এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠে। পদ্ম মাথায় ঘোমটা দিয়ে দরজা খুলে দেখে তার বোন দাঁড়িয়ে আছে। পদ্ম খুশিতে নিলার বুকে ঝাপিয়ে পরে। নিলাও পদ্মের কপালে চুমু দেয়। মাহিব দুইহাতে বাজার নিয়ে বাসায় ঢুকেছে। পদ্ম হেসে বললো,
— “ভাইয়া আপনি এখনো এতো বাজার নিয়ে আসেন কেনো? আমাদের বাসায় বাজার আছে।”

মাহিব হেসে বললো,
— “তো কি হয়েছে? আমিতো এই ঘরকে পরের ঘর মনে করিনা। নিজের ঘর মনে করে বাজার আনি।”

পদ্ম সব গুছিয়ে রেখে সোফায় নিলার পাশে বসে বললো,
— “তোমরা খেয়ে এসেছো?”

— “না রে। তোর দুলাভাই এতো তাড়া দিচ্ছিলো তাই আর খাওয়া হয়নি।”

— “আচ্ছা আসো আমাদের সাথে খেয়ে নাও। আমি সবজি আর মাছ রান্না করেছি। এগুলো দিয়েই খেয়ে নাও।”

চারজনে বসে খেয়ে নেয়। খাওয়া দাওয়া শেষে মাহিব, নিলা এবং মনিরা ফুপি সোফায় বসে কথা বলতে। কি যেনো গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে তাদের। পদ্ম রান্নাঘরে সব ধুয়ে কিছু ফল কেটে এনে সবার সামনে রেখেছে। নিলা পদ্মের হাত ধরে পাশে বসিয়ে দেয়। মাহিব বললো,
— “ফুপি আসলে গুরুত্বপূর্ণ কথাটা হলো পদ্মের জন্য একটা সমন্ধ এসেছে। ছেলে আমার বন্ধুর ছোট ভাই। একটা মাল্টিন্যাশনাল কম্পানিতে জব করে। আর তাছাড়া সে ইন্টারনেটের আরো কি কি কাজ যেনো জানে। তারা কালই আসবে পদ্মকে দেখতে। এখন আপনি কি বলেন?”

মনিরা বললেন,
— “তোমরা যা ভালো বুঝো করো। পদ্মের চাচা, জেঠাকেও বলো। তারাও উপস্থিত থাকুক।”

— “সবাইকে জানানো হয়েছে। সবাই আসবে কাল বিকেলের দিকে। আর পাত্রপক্ষ আসবে সন্ধ্যায়। পদ্মের আপত্তি আছে?”

পদ্ম কিছু বললো না। উঠে নিজের ঘরে চলে গেলো। নিলা বললো,
— “আমি দেখে আসি পদ্মের কি হয়েছে।”

নিলা রুমে ঢুকলেই পদ্ম বললো, “আপু আমি আমার অতীত গোপন করে বিয়ে করতে চাই না। যে আমাকে বিয়ে করবে সে আমার সম্পর্কে সব জেনে যদি আমাকে নিতে চায় তাহলে আমার আপত্তি নেই।”

নিলা মুচকি হাসলো। কেনো হাসলো সেটা নিলাই জানে। পদ্মকে কোলে শুইয়ে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। মনে মনে খুব খুশি নিলা।

নিলা চলে গেলে পদ্ম দরজা লাগিয়ে ঘুমাতে যাবে এমন সময় মোবাইলের টোন বেজে উঠলো। মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলো মেসেজ এসেছে। মেসেজ ওপেন করেই পদ্মের হাত কেঁপে উঠে। সৌরভ মেসেজ করেছে। এতো বছর পর সৌরভ মেসেজ করেছে। পদ্ম ভিষণ অবাক হয়। আরো বেশি অবাক হয় মেসেজটা পড়ে। মেসেজটা ছিলো, “কাল একবার দেখা করবে পদ্মাবতী? তোমায় খুব দেখতে ইচ্ছে করে। সব বান্ধুবিরা থাকবে কাল। চলে এসো আমাদের সেই পুরানো জায়গায়। সৌরভ।”
পদ্ম মোবাইল রেখে শুয়ে পরে। যাবে কি যাবে না এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতেই ঘুনিয়ে যায়।

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here