পিচ্চি চাচাতো বোন(সিজন ২),পর্বঃ২
আবির হাসান নিলয়
আমিঃএইযে তোমার আর ভাইয়ার
মধ্যে গভীর চক্কর চলছে।
অরিতাঃহাহাহা,চক্কর মানে কি?
আমিঃবাসায় বললে এমনিতেই
ভাইয়ার থেকে শুনবে।
অরিতাঃখুব পাকনা হয়েছিস।
আমিঃআপু তোমার আর ভাইয়ার
মধ্যে কিসের সম্পর্ক?
অরিতাঃফ্রেন্ড আমরা
আমিঃআর আমি কি?
অরিতাঃতুই দেবর সরি সরি তুই
আমার ছোট ভাই।
আমিঃবুঝতে পারছি,তলে তলে
কাঁঠাল খাওয়া হচ্ছে তাই না।
অরিতাঃআরে হঠাৎ করে বের
হয়ে গেছে মুখ থেকে।
আমিঃতা ভাবিজান কতো দিনের
অরিতাঃকি কতোদিনের?
আমিঃআপনাগো প্রেমের
অরিতাঃবেশি পাকনামো কইরো
না।পরে এমন প্যাড়া দিনো চান্দু
টেরও পাবা না।
আমিঃআচ্ছা দিও,এখন আমি যাই?
অরিতাঃকই যাবি?
আমিঃআরে ধুর আমি ব্যাট রেখে
আসছি।পরে যদি খেলা শেষ হয়ে
যায় আমাকে ব্যাট দিবে না।
অরিতাঃখেয়ে দেয়ে যা।
আমিঃবাসায় গিয়েই খাবো
অরিতাঃতুই নাকি বাসা থেকে রাগ
করে আসছিস।
আমিঃকে বললো?
অরিতাঃনীল
আমিঃওর মাথায় ছিট আছে।আমি
গেলাম ভাবি থুক্কু হবু ভাবি।
অরিতাঃখেয়ে তারপর যাবি(হাত ধরে)
আমিঃশুধুমাত্র অর্ধেক মোগলাই খাবো
অরিতাঃওকে
দ্রুত খাচ্ছি তখন খেয়াল করলাম
ভাইয়াও রেস্টুরেন্টে ঢুকলো।
আমাকে হয়তো খেয়াল করেনি।
পকেট থেকে ফোন বের করে কল
দিতেই অরিতা আপুর ফোন বেজে
উঠলো।মানে আপুকেই কল দিচ্ছিলো।
আপু ঘুরে ভাইয়াকে ডাক দিতেই
আমাদের দেখে কাছে বসলো।
ভাইয়াঃতুই এখানে কেনো?
আমিঃভাবির থেকে জিজ্ঞাস কর।
আর তুই ছ্যাঁচড়ামি করে মিথ্যা
বলছিস কেনো?
ভাইয়াঃভাবি কে?
আমিঃআমাগো সামনে।
ভাইয়াঃআপনি আমাদের ভাবি?
অরিতাঃ…..(কিছু না বলে চোখ গরম করলো)
ভাইয়াঃতুই এখানে কেনো?
আমিঃআমার কথাও এইটা।তুই কেনো?
ভাইয়াঃকাজের জন্য আসছি
আমিঃকাজটা ভাবির সাথে দেখা
করা।তোরা কথা বল আমি গেলাম।
আর কোনো কথা না বলে দৌড়ে
চলে আসবো তখন আপু বললো;
অরিতাঃশেষ করে যা
আমিঃতোমরা দুজন শেষ করো
কথা না বাড়িয়ে এক দৌড়ে মাঠে
চলে আসলাম।আসতেই দেখলাম
রাকিব আউট গেলো।আহ কি কপাল,
এখন ব্যাট ধরতে পাড়বো।কোনো
কথা না বলে রাকিবের থেকে ব্যাট
নিয়ে গেলাম।লাস্ট বলে শফিক দুই
রান নিয়ে আমাকে স্ট্রাইক দিলো।
শফিকঃ১৯রান লাগে ৬বলে।ম্যাচ
পারতেই হবে কিন্তু।
আমিঃহো তোর দুলাভাই তো।যা বলবি
সেটাই হবে।
সবাই এটুকু জানি ব্যাটিং করার সময়
বাইরে থেকে কি পরিমাণ বকা খেতে
হয়।প্রথম বলে ৪ মেরে দ্বিতীয় বলে
সিঙ্গেল দিয়ে শফিককে দিলাম।চার
বলে ১৪রান।তৃতীয় বল ডট দিলো।
চতুর্থ বলে সিক্স মেরে অনেকটাই কাছে
নিয়ে গেলো।পরের বল ৪মেরে লাস্ট
বলে আউট। ?
সালাকে সবাই কি পরিমাণ বকা দিচ্ছে
সেটা ও নিজেই জানে।ম্যাচ হেরে গিয়ে
সবাই মিলে কিছু সময় বসে থেকে আড্ডা
দিয়ে আমি বাসায় চলে আসলাম।
রুমে এসে ফ্রেস হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
রাতে………..
—এইযে উঠছো না কেনো?উঠো
বড় মা ডাকছে তোমাকে।
আমি বিয়া করলাম কবে,ঘুম ভেঙে
গেছে কিন্তু চোখ খুলছিনা।কিন্তু
যখন আবার বউ ডাকার মতো করে
ডাকলো ওমনি লাফ দিয়ে বসলাম।
জান্নাত..! পিচ্চি একটা মেয়ে আমাকে
এসব বলে সম্বোধন করছে।মন চাইছে
লাথি মেরে জলে ফেলে দেয়।
আমিঃতুই এখানে কেনো?
জান্নাতঃকাল নাকি সবাই মিলে ঘুরতে
যাবেন তাই।
আমিঃহুম,কিন্তু তুই কেনো?
জান্নাতঃআমিও যাবো
আমিঃকেনো?
জান্নাতঃতুমি একাই ঘুরবে নাকি,আমিও
সবার সাথে গিয়ে আনন্দ করবো।
আমিঃতুই আমাকে ঘুমের মাঝে
কি বলে ডাকছিলি?
জান্নাতঃকি বলে ডাকবো?
আমিঃতাহলে ওগো,কি হলো এসব
করে কে ডাকছিলো।
জান্নাতঃতো কি করে ডাকবো?
আমিঃভাইয়া বলতে পাড়িস না?
জান্নাতঃআমার ভাইয়া নেই,আর
তোমাকে তো জীবনেও ভাইয়া বলা
যাবে না।আল্লাহ পাপ দিবে।
আমিঃকেনো?
জান্নাতঃকারণ i love you.
আমিঃথাপ্পড়াইয়া কান ফাটাই দেবো।
তুমি চিনো আমারে?
জান্নাতঃবয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ডকে মারতেই
পারে।চাইলে তুমি মারতে পারো।
আমিঃতোর লগে আমি মজা লইতাছি?
জান্নাতঃএটা আমি কখন বললাম
আমিঃবোইন তুই মাত্র ক্লাস ৬এ উঠছিস।
মাথায় এই প্রেমের ভুত চাপলো কই থেকে?
জান্নাতঃবারে,আমার বান্ধুবীরা সবাই
প্রেম করে।তাই আমিও তোমার সাথে
করছি,এতে ভুত চাপার কি আছে?
আমিঃতুই যাবি এখান থেকে?
জান্নাতঃতুমিও চলো।
আমিঃআমি গিয়ে কি করবো?
জান্নাতঃআব্বু বড় আব্বু সবাই
আপনাকে ডাকছে।মনে হয় খাওয়ার
জন্য হয়তো।
আমিঃআমি খেয়েই ঘুমাইছিলাম আর
তুই আমার ঘুম নষ্ট করে দিলি।
জান্নাতঃআরে চলো তো।
টানতে টানতে নিচে নিয়ে আসলো।
আমিঃকি হয়েছে?
জান্নাতঃভদ্র ভাবে কথা বলতে পারো
না?বলো;কিছু বলবা আব্বু?
আমিঃছোট মা তুমি তোমার মেয়েকে
বারণ করবে নাকি আমি কয়েকটা দেবো।
জান্নাতঃআম্মু আমাকে কি বলবে?বড় মা
তুমিই বলো আমি কি খারাপ কিছু বলেছি?
আম্মুঃনাহ,একদম ঠিক বলেছিস মা।
জান্নাতকে কোলে নিয়ে বসলো।
আমিঃকি বলবা বলো
আব্বুঃকাল আমার মিটিং আছে
আর এটা অনেক জরুরী কয়েকটা
দিল লাগবে এই মিটিং শেষ হতে।
আমি যেতে পাড়বো না।তোরা সবাই
ঘুরে আয়।
আমিঃ………….(চুপ করে রইলাম)
আম্মুঃনিলয়,আমিও বলছিলাম কিন্তু
মিটিংটা জরুরি। তাই তোর আব্বুকে
থাকতে হবে।
আব্বুঃতোর আম্মু,চাচ্চু,ছোট মা আবার
জান্নাতও থাকবে।দেখবি অনেক
ভালো লাগবে।
ছোট মাঃনিলয়…?
আব্বুঃকি হলো,কিছু বলছিস না যে?
আমিঃওহ,গুড নাইট।
আর কোনো কথা না বলে দৌড়ে রুমে
এসে ভিতর থেকে লক দিয়ে রাখলাম
জেনো কেউ খুলতে না পাড়ে। আর
আমার রুমের চাবি শুধুমাত্র আমার
কাছেই।তাই কেউ চাইলেও খুলতে
পাড়বে না।হ্যা আমার মন খারাপ।
অনেক বেশিই মন খারাপ,সব কিছু
ঠিক করার পর যদি বলা হয় যাবো
না।তাহলে সেখানে মন খারাপ
হওয়ারই কথা।বাইরে থেকে আম্মু
ছোট মা,জান্নাত সবাই ডাকছে।
অনেকটা বিরক্তি হয়ে কানে
এয়ারফোন ঢুকিয়ে dls17
খেলতে লাগলাম।অনেকগুলো
ম্যাচ খেললাম।টাইম দেখতেই
দেখলাম ১টা বেজে গেছে।আর
জেগে থাকা চলবে না।পরে
দেখা যাবে অসুখে পড়বো।
ঘুমানোর চেষ্টা করলাম,কিন্তু
ঘুম আসছে না।বার বার ট্যুরের
কথা মনে পড়ছে।মোবাইল হাতে
নিয়ে ইউটিউবে গিয়ে ট্যুর লিখে
সার্চ দিতেই অনেক স্থানের ভিডিও
আসলো।অনেক খুঁজাখুঁজি করার
পর দেশের বিভিন্ন স্থান সম্পর্কে
দেখতে লাগলাম।অনেক রাগ
হচ্ছিলো আব্বুর প্রতি।কিন্তু সেটা
প্রকাশ করছিলাম না।এবার ভিডিও
গুলোর উপরেও বিরক্তি হয়ে ফোন
রেখে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।চোখ
বন্ধ করে কিছু সময় থাকার পর
ঘুমিয়ে গেলাম।।
পরেরদিন,,,,,,,,,
ঘুম থেকে উঠে দেখলাম ১০টার
বেশি বেজে গেছে।মাথাটা কেমন
ধরে আছে।বাইরে থেকে জান্নাত
একাধারে ডেকেই চলেছে।বিরক্তি
হয়ে রুমের দরজা খুলে দিলাম।
কিন্তু বিপত্তি ঘটলো কিছুক্ষণ পর।
জান্নাত প্রশ্ন করলো কি হয়েছে।
কোনো উত্তর না দিয়ে দৌড়ে ওয়াশরুমে
গিয়ে বমি করে দিলাম।এটারই
হওয়ার কথা ছিলো।যখনি রাত জাগি
সেদিন সকালেই অসুস্থ হয়ে পড়ি।
মুখে পানি নিয়ে ফ্রেস হয়ে জান্নাতকে
ধরে রুমে এসে বিছানার উপর বসলাম।
জান্নাতঃতুমি রাত জেগেছিলে?
আমিঃজান্নাত এখন বিরক্তি করিস
না।একদম ভালো লাগছে না।
জান্নাতঃআমি কি করলাম?
আমিঃতুই যা,আমাকে একা থাকতে দে
জান্নাতঃবড় মাকে কি পাঠিয়ে দেবো?
আমিঃতোকে যেতে বললাম না?
জান্নাতঃহয় আমি থাকবো না হলে
বড় মাকে ডেকে আনবো।
আমিঃতুই যা এখান থেকে
এক প্রকার ধাক্কা দিয়ে তারিয়ে দিলাম।
কিন্তু দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।কিছু
বলার সাহস পাচ্ছে না।হয়তো ভয়
পেয়ে আছে।ওর দিকে ওর আর খেয়াল
না করে টেবিল থাকা পানি খেতেই
আবার বমি আসলো।কোনোরকম
ওয়াশরুমে যেতে সাক্ষম হলাম।
টু-শার্টে ভরে যাওয়ার জন্য খুলে
নিচে রাখলাম।
ক্লান্ত হয়ে শুয়ে রইলাম।এটা আগের
থেকেই হয়ে থাকে আমার সাথে।
যেদিনই বেশি রাত জাগি তখনি
আমার অসুখ হবে।চোখ বন্ধ করে
আছি তখন কারো হাত কপালে
অনুভব করলাম।সম্ভবত জান্নাত
হবে।মাথাটা টিপে দেয়াতে অনেকটা
ভালো লাগছিলো।কিন্তু ভয়ে কিছু
বলতে পারছিলো না।অনেকটা
সময় শুয়ে থাকার পর চোখ খুলে
দেখলাম আস্তে আস্তে কাকে জেনো
গালি দিচ্ছে।
আমিঃরেগে আছিস কেনো?
জান্নাতঃবড় আব্বুর প্রতি।
আমিঃকেনো?
জান্নাতঃউনি যাবে না বলেই তো
তুমি অসুস্থ হয়ে পড়লে।
আমিঃহুম
জান্নাতঃআমরা আজ বাসায় যাবো।
আমিঃকেনো?
জান্নাতঃথেকে কি করবো?
আমিঃসেটাও ঠিক।
জান্নাতঃতুমিও চলো
আমিঃনারে,তার থেকে বরং তুই
কিছুদিন এখানে থেকে যা
আমিঃওকে।
অনেকটা সময় চুপ থাকার পর
জান্নাত আমতা আমতা করে বললো;
জান্নাতঃএকটা কথা বলি?
আমিঃবল
জান্নাতঃভালোবাসা কি?
আমিঃতুই এই বয়সে এসব কি বলিস?
জান্নাতঃতুমি বলোই না
আমিঃআমি জানিনা
জান্নাতঃতুমি কিন্তু বলছো না।প্লিজ
বলোই না।এটাই শেষ।
আমিঃভালোবাসার সঙ্গা একেকজনের
কাছে একেক রকম।আমি যেটা মনে
করি তুই সেটা বুঝবি না।আবার তুই
যেটা ভাবিস সেটা আমি বুঝবো না।
জান্নাতঃতোমার কাছে কি?
আমিঃবিনী সুতার বাধন।এর থেকে
বেশি কিছু বলবো না।
জান্নাতঃওকে,আমারটা শুনবে?
আমিঃনা,তুই এখন যা।
জান্নাতঃঠিক আছে তুমি বিশ্রাম
করো আমি বড় মাকে বলছি।
আর কোনো কথা না বাড়িয়ে রুম
থেকে বের হয়ে চলে গেলো।চোখ
বন্ধ করে শুয়ে রইলাম।যদিও জেগে
আছি কিন্তু চোখটা বন্ধ।হটাৎ দ্রুত
কারো আগমনে চোখ খুলে দেখলাম
আম্মু আসছে।কাঁদোকাঁদো চেহারা
নিয়ে জিজ্ঞাস করলো;
আম্মুঃতোকে রাত জাগতে বলছে কে?
আমিঃ….(চুপ করে আছি)
আম্মুঃউঠ,নাস্তা করবি চল।
আমিঃএখন কিছু খাবো না।
আম্মুঃডাক্তার কি বলেছে?এমনটা
হলে হালকা কিছু খেয়ে নিতে।
আমিঃহুম
আম্মুঃকাল আমরা ঘুরতে যাচ্ছি
সেটাও তোর আব্বুকে রেখে।
আমিঃতিনি গেলে আমি এমনিতেই
যাবো না।
জান্নাতঃকিন্তু আব্বু যে বললো আজ
বাসায় চলে যাবে।
ছোট মাঃযাবে না।
জান্নাতঃতাহলে তো অনেক ভালো হবে।
আচ্ছা আমরা যাবো কোথায়?
ছোট মাঃকক্সবাজার,সাজেক।
জান্নাতঃসেখানে আমি আর নিলয়
একসাথে থাকবো।
আমিঃসবার সামনে অন্তত ভাই বল
জান্নাতঃবললাম তো,আমি এসব ভাই
বলে ডাকতে পাড়বো না।আর ডাকলেও…
আমিঃআম্মু তোমাদের মেয়েকে চুপ
করাও।এই বয়সে অনেক পেকে গেছে।
আম্মুঃজান্নাত যেটা খুশী সেটা বলবে।
তুই এখন নিচে চল।
আমিঃহুম
নিচে এসে খাওয়া দাওয়া করছি তখন
আম্মু ভাইয়াকে কল দিয়ে আমার
কথা বললো।আম্মু কিছুক্ষণ কথা বলে
আমাকে ফোন দিলো।
আমিঃহ্যালো
ভাইয়াঃতোকে রাত জাগতে বলছে কে?
আমিঃকি যে
—কি হলো আর রেগে কথা বলছো কেনো?
ভাইয়াঃতুমি একটু চুপ থাকো।আর তুই
বল,কি হয়েছিলো?
আমিঃকিছুই না।
ভাইয়াঃতাহলে অসুখে পরলি কেনো?
আমিঃআচ্ছা রাখলাম।
ভাইয়াঃতোকে রাখতে বলছি?
আমিঃখাওয়ার সময় বেশি কথা
বলতে নেই।আমার স্পষ্ট মনে আছে।
ভাইয়াঃতোরে আমি…
আমিঃওকে ঔষধ খাবো
আর কোনো কথা না বলে বিরক্তি
হয়ে ভাইয়া নিজেই কেটে দিলো।
খাওয়া শেষ করে ঔষধ খেয়ে
সোফাতে ছোট মার কোলে মাথা
রেখে শুয়ে আছি।কারণ পিচ্চিটা
আম্মুর কোল দখল করে নিছে।
জান্নাতঃবড় মা আমি নিলয়কে
বিয়ে করবো।
আম্মুঃহাহাহাহা,তুই বিয়ে সম্পর্কে
কি জানিস?
চলব………….