পিচ্চি চাচাতো বোন(সিজন ২),পর্বঃ১১

0
824

পিচ্চি চাচাতো বোন(সিজন ২),পর্বঃ১১
আবির হাসান নিলয়

পার্টির একপাশে গ্লাস হাতে নিয়ে ভাবছি
জান্নাতকে অনেক বেশি কষ্ট কিভাবে
দেয়া যায়।তখনি মিমি এসে হাজির।
মিমিঃকি ভাবছো?
আমিঃকিছু চিন্তাভাবনা।
মিমিঃজান্নাত যেগুলো বললো সেগুলো
কি ছিলো?
আমিঃতোমার রুমমেট মেয়েটা?
মিমিঃহ্যা
আমিঃওর মাথায় হয়তো সমস্যা আছে।
কিসব আজেবাজে কথা বলছিলো।ওকে
আগে কখনো দেখছি বলে মনে হয় না।
মিমিঃকিন্তু ড্রিংক?
আমিঃতোমার দিব্যি আমি ওসব খাই না
মিমিঃতাহলে হাতে?
আমিঃএটা আসলে,তোমার জন্য।
মিমিঃআমার জন্য?
আমিঃতোমার ফ্রেন্ডরা বললো,তুমি
নাকি এসব খেতে অনেক পছন্দ করো।
তাই তোমার জন্য নিয়ে আছি।এসব
দেখে তো আমার বমি চলে আসে।
মিমিঃঅনেক সুন্দর করে মিথ্যা বলতে
জানো দেখছি।
আমিঃকিছু ভালো হতে হলে যদি মিথ্যা
সুন্দর হয় তাহলে মিথ্যাটাই ঠিক আছে।
মিমিঃজান্নাত আর তোমার মাঝে কিসের
সম্পর্ক। সত্যি বলবে।
আমিঃবললাম তো আমি ও…..
মিমিঃসত্যি বলবে
আমিঃআমার কাজিন
মিমিঃধুর,তুমি সব সময় মিথ্যা বলো
আমিঃমিথ্যা না,তুমি হোস্টেলে গিয়ে
ওকে জিজ্ঞাস করো।
মিমিঃহুম

দুজন কিছু সময়ের জন্য নীরবতা থেকে
মিমির মলিন মুখটা এগিয়ে এনে কিস
করতে যাবে তখনি গ্লাসটা মিমির সামনে
ধরলাম।কি মেয়েরে বাবা,চেনা নাই জানা
নেই অপরিচিত ছেলেকে কিস করছে।
মিমিঃকি হলো?
আমিঃএসবের এখনো সময় হয়নি
মিমিঃওকে,,,আর অনেকটা রাত হয়ে
গেছে।এখন চলে যাওয়াই বেটার।
আমিঃওকে

ভিতরে আর না থেকে মিমিকে সাথে
নিয়ে বাইরে এসে হোস্টেলে রেখে
বাসায় চলে আসলাম।

পরেরদিন,,,,,,,,,,,,
ঘুম থেকে উঠতে অনেকটা দেরি হয়ে
গেলো।সকালের নাস্তা করে অফিসের
দিকে রওনা দিলাম।আজ কেনো
জানিনা মনের মধ্যে অন্যরকম লাগছে।
অনুভব করতে পাড়ছি না সেটা কিসের
জন্য এমন হচ্ছে।অফিসে এসে লক্ষ্য
করলাম আমার ডেস্কের সামনে কারো
বার্থডে পালন করার জন্য সাজানো
হয়েছে।পুড়ো অফিসে কি আমার ডেস্কটাই
সবাই পেলো?দাঁড়িয়ে না থেকে সোজা
ভাইয়ার রুমে গেলাম।
আমিঃএসব কি?
ভাইয়াঃকোন সব?
আমিঃআমার ডেস্কে বার্থডে পালন করার
আয়োজন করছিস কেনো?
ভাইয়াঃজান্নাতের বার্থডে
আমিঃওর বার্থডে আমার ওখানে কেনো?
ভাইয়াঃদেখ ও তোর স্ত্রী
আমিঃমানিনা আমার স্ত্রী
ভাইয়াঃতুই মানিস বা না মানিস কিন্তু
জান্নাতই তোর স্ত্রী এটা মানতেই হবে।
আমিঃযে স্ত্রী বাসর রাতে পালিয়ে….
ভাইয়াঃকেনো পালিয়েছে একবারও
ওর থেকে জিজ্ঞাস করছিস?একবারো
জানার প্রয়োজন মনে করছিস কেনো
ও তোর সাথে এমন করেছে?না করিস
নাই,আর করবি কেনো…!তুই তো
ওকে ভালোই বাসিস নাই।

অনেকটা রেগে আর জোরে কথাগুলো
বললো।মেজাজটা একদম খারাপ
হয়ে গেলো।কিছু না বলে কেবিন থেকে
বের হয়ে আসলাম।অফিসের মধ্যেই
এদিক ওদিক হাটছি তখন নিলা বলল;
নিলাঃমন খারাপ?
আমিঃতেমন কিছু না
নিলাঃফ্রি আছেন আজ বিকেলে?
আমিঃকেনো?
নিলাঃআজ তো হাফ ডে।তাই বিকেলে
কোথাও ঘুরতে যেতাম।
আমিঃহুম যেতেই পাড়ি
নিলাঃতাহলে অফিস শেষ করে যাই?
আমিঃওকে,কাজ করুণ এখন।

কথা না বাড়িয়ে সেখান থেকে চলে
আসবো তখন মনে পড়লো কাছে
টাকা নেই।বাইকের পেট্রলও প্রায়
শেষ হবে।আবারো ভাইয়ার রুমে
চলে গেলাম।
ভাইয়াঃকি হয়েছে?
আমিঃটাকা লাগবে
ভাইয়াঃআমার কাছে নেই,জান্নাতের
থেকে চেয়ে নে।
আমিঃওর থেকে চেয়ে নেবো কেনো?
ভাইয়াঃকারণ আমি বলছি তাই
আমিঃএইবার কিন্তু বাড়াবাড়ি করছিস।
আমার হাতখরজের টাকা ওর কাছে
থেকে নিতে হবে কেনো?
ভাইয়াঃও তোর স্ত্রী +ম্যানেজার।এখন
থেকে যা কিছু লাগবে ওর কাছে চেয়ে
নিবি।বাসা কিংবা আমার থেকে একটা
টাকাও আর তুই পাবি না।
আমিঃদেখ ওকে আমি ভালোবাসি না।
ভাইয়াঃভালোবাসার মানে জানিস তুই?
আমিঃজানিনা,আর জানতেও চাই না।
ভাইয়াঃহুম,তুই ওর থেকে চেয়ে নে।
আমিঃমনে রাখিস
ভাইয়াঃনোট করে রেখে দিলাম।

সালা পাগলটাও ওর দিকে গেছে।
কাছে একদম টাকা নেই,বাসা
থেকে টাকা নেয়াও হয়তো হবে না।
এতোক্ষণে বাসায় কল দিয়ে হয়তো
বলে দিছে টাকা না দিতে।তবে একটা
জিনিস ভালো লাগছে ভালোবাসার
মানে জিজ্ঞাস করেছে।পাগলটার
এই কথা দিয়েই ওকে বশ করতে
পাড়বো। অনেকটা টাইম ভাবনাচিন্তা
করার পর জান্নাতের রুমে গেলাম।
আমিঃহ্যালো ম্যাম,আসবো?
জান্নাতঃকি?
আমিঃআমার টাকা লাগবে
জান্নাতঃকতো?
আমিঃ৩হাজার
জান্নাতঃকেনো?
আমিঃগার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরতে যাবো তাই।
জান্নাতঃসরি,দিতে পাড়বো না।
আমিঃদেখ টাকাগুলো লাগবে।
জান্নাতঃবললাম তো পাড়বো না।
আমিঃতাহলে বাইকের পেট্রল তুই
তুলে দে।আর এই নে ওয়ালেট।

জান্নাতের টেবিলে ওয়ালেট ছুরে
দিতেই সেটা খুলে দেখলো।একটা
৫০টাকা এবং ২টা ২০টাকার নোট
ছিলো।সেগুলো দেখে ওয়ালেটটা
রেখে জান্নাতের ব্যাগ বের করলো।
উকি মেরে দেখতে চাইলেও কিছু
দেখতে পাড়লাম না।ব্যাগ থেকে
কিছু টাকা ওয়ালেটে দিয়ে আমার
দিকে এগিয়ে দিলো।
আমিঃকতোটাকা দিলি?
জান্নাতঃদেখে নেন
আমিঃ…..(খুলে দেখলাম ৩হাজার)
জান্নাতঃএখন আউট
আমিঃভাইয়াকে জাদু করেছিস?
জান্নাতঃমানে?
আমিঃমনে হলো আর কি।আর কাল
রাতে কিন্তু তোর আপু এখানে লম্বা
কিস করেছে(ঠোঁট দেখিয়ে)।
জান্নাতঃকুত্তা তুই বের হো আমার
কেবিন থেকে।
আমিঃযাবো না
জান্নাতঃতোকে আমি

জুতা খুলে মাড়তে যাবে তখনি
কেবিন থেকে দ্রুত বের হয়ে
আসলাম।পিচ্চিটা মেয়েটা রেগে গেছে।
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।
টাকা নিয়ে অফিস থেকে বের হবো
তখনি দারোয়ান বলল;
—স্যার কোথায় যাচ্ছেন?
আমিঃবাসায়
—কিন্তু আজ তো যেতে বারণ করেছে।
আমিঃতো?
—স্যারের সাথে কথা বলুন দয়া করে
আমিঃচাকরি হারাতে চাও?
—না স্যার
আমিঃতাহলে রাস্তা ছাড়ো
—সরি স্যার
সামনে থেকে সরে গেলো।সেখানে
আর দাঁড়িয়ে না থেকে বাইক নিয়ে
পেট্রল তুলে বাসায় চলে আসলাম।

আম্মুঃচলে এলি যে
আমিঃএমনি
আম্মুঃজান্নাতদের বাসায় যাচ্ছি
আমিঃওহ
আম্মুঃতুইও রেডি হো
আমিঃআমি কেনো হবো?
আম্মুঃতুইও যাবি
আমিঃআমার কাজ আছে
আব্বুঃআজ জান্নাতের বার্থডে
আমিঃজানি
আব্বুঃজান্নাত কষ্ট পাবে
আমিঃআমিও পেয়েছিলাম,হয়তো
অনেক বেশিই।কিন্তু কাউকে বোঝাতে
পারিনি,কেউ বুঝতেও চায়নি।
আম্মুঃঠিক আছে,তাহলে আমরা
গিয়ে আর কি করবো।কল দিয়ে
না করে দাও।
আমিঃআমার সাথে তোমাদের হাত কোথায়?
আম্মুঃনা,এমনি যাবো না।
আমিঃতোমরা কিন্তু একপ্রকার……
আম্মুঃথামলি কেনো?
আমিঃঠিক আছে যাবো
আব্বুঃরেডি থাকিস ৩টায়,নীল
আসলেই চলে যাবো।
আমিঃহুম
সবাই মিলে কথা বলছি তখনি রাফি
কল দিলো।সালা এতোদিন পর কি
মনে করে কল দিলো।

উঠে একটু দূরে এসে রিসিভ করলাম।
আমিঃহ্যালো
রাফিঃকই তুই?
আমিঃকেনো?
রাফিঃমাঠে আয় কথা আছে।
আমিঃএখন মাঠে গিয়ে কি করবো?
রাফিঃসালা ঘাস খাওয়াবো,আয়।
আমিঃআসছি
কথা বলতে বলতে বাইরে চলে আসছি।
বাসা থেকে মাঠের দূরত্ব বেশি দূর না।
তাই হেটেই রওনা দিলাম।একপাশের
গাছে নিচে সালা বসে আছে।কাছে
গিয়ে জিজ্ঞাস করলাম।
আমিঃকি হয়েছে?
রাফিঃবাসা থেকে মেয়ে দেখছে।
আমিঃগুড নিউজ
রাফিঃকিন্তু আমার প্রিয়াকে ভালো লাগে।
আমিঃমাথা ঠিক আছে?
রাফিঃভাই সত্যি
আমিঃতুই পাগল হয়ে গেছিস।প্রিয়া
আমাদের বেষ্ট ফ্রেন্ড।
রাফিঃকিন্তু ওকে আগে থেকেই অনেক
ভালো লাগতো।কিন্তু বলার সাহস পায়নি।
আর আজ দেখ,সেই ভয়টাই শেষ করে দিচ্ছে।
আমিঃপ্রিয়া জানে এসব?
রাফিঃজানিনা,কখনো বলিনি
আমিঃশোন,প্রিয়া চাইলেই….
রাফিঃএটুকু আমার জন্য কর
আমিঃকল করছি ওকে।কিন্তু যদি কোনো
সমস্যা হয় তোর খবর আছে।
রাফিঃওকে

পকেট থেকে ফোনটা বের করে কল
দিলাম।কয়েকবার রিং হওয়ার পর
কেটে দিলো।আরো দুবার কল দিলাম
কিন্তু বার বার কেটে দিলো।আর কোনো
কল না দিয়ে প্রিয়ার কলের অপেক্ষা
করতে লাগলাম।মিনিট ৫যাওয়ার
পর কল ব্যাক করলো।
প্রিয়াঃকি খবর?
আমিঃএইতো খবর,কোনো খোজই
নিস না আমাদের।
প্রিয়াঃসময় আর কই রে।
আমিঃকল কেটে দিচ্ছিলি কেনো?
প্রিয়াঃক্লাসে ছিলাম।
আমিঃওহ,একটা কথা বলার ছিলো।
প্রিয়াঃহ্যা বল
আমিঃতোকে হারাতে চাই না আমি
প্রিয়াঃহাহাহা,হারিয়ে যাচ্ছি কই?
আমিঃনা,তোর যদি অন্য কারো সাথে
বিয়ে হয় তখন তো চলে যাবি।তাই
বলছি তোকে বিয়ে করে সারাজীবন
সাথে রাখবো।
প্রিয়াঃকুত্তা তুই অলরেডি বিবাহিত
আমিঃজয়কে কর।
প্রিয়াঃওর বিয়ে ঠিক হয়ে আছে।
আমিঃতাহলে রাফিকে কর,রাফি তো……
প্রিয়াঃতোরা আমার বেষ্ট ফ্রেন্ডস।তাই
এসব নিয়ে মজা করিস না।মাত্র কয়েক
মাস চাকরি পেয়েছি,নিজেকে এবং
নিজের পরিবারটাকে সেটেল হতে
হবে তারপর এসব বিয়ে।
আমিঃতুই চাইলে আমি রাফিকে
অপেক্ষা করাতে পাড়ি।বন্ধুর জন্য
বন্ধু একটু তো অপেক্ষা করবেই।
প্রিয়াঃকাহিনি কি বলতো?
আমিঃকাহিনি কিছুই না।
প্রিয়াঃদোস্ত,তোরা প্লিজ এসব বলিস না।
আমরা ফ্রেন্ডস তাই না।
আমিঃহুম
প্রিয়াঃসারাজীবন বন্ধুই থাকতে চাই।
আমিঃতোমাদের এই ভদ্র সমাজে
কেউ কথা রাখেনি।
প্রিয়াঃকুত্তা একদম ইমোশনাল করবি না।
আমিঃবিয়ে তো তোর ইচ্ছাতেই করবি।
তাই প্লিজ বোনু রাজি হয়ে যা।তুই তো
রাফিকে আগে থেকেই চিনিস।অনেক
ভালো ছেলে,প্রাইভেট কোম্পানিতে আছে।
ভালো বেতনও পাচ্ছে।
প্রিয়াঃতোর ফাজলামো বাদ দে,আর
রাফির তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দে।অনেক
দিন হলো বিয়ে খাই না।
আমিঃকষ্ট পাইলাম
প্রিয়াঃতোর কি খবর,জান্নাতের সাথে
কথা হয় এখন?
আমিঃহ্যা হয়
প্রিয়াঃকোথায় আছে এখন?
আমিঃআমাদের অফিসে ম্যানেজার পদে
প্রিয়াঃপিচ্চি মেয়ে ম্যানেজার হলো কি করে?
আমিঃবা** আব্বু দিছে।আর বয়স কম
হলেও কুত্তীর জ্ঞান আছে।কখন কি করতে
হবে সব আগে থেকেই ভেবে রাখে।
প্রিয়াঃমানে আঙ্কেল নিজে জান্নাতকে
ম্যানেজারের দায়িত্ব দিছে?
আমিঃহ্যা
প্রিয়াঃতুই তো গেছোস মামা
আমিঃশালি তুইও প্যাড়া দিস না।সকালে
৩হাজার টাকা চাইতেই কথা শোনাইছে।
প্রিয়াঃমাত্র তো শুরু হয়েছে।সামনে
দেখতে থাকো আমাদের পিচ্চি ভাবিটা
আরো কতো কিছু করবে।
আমিঃযাই করুক,তুই আমার কথাটা
ভেবে দেখিস।না হলে রাফির অন্য কোনো
হিল্লে করাতে হবে।
প্রিয়াঃআমার মতামত, না
আমিঃতবুও ভাবার সময় দিলাম।
প্রিয়াঃআল্লাহ হাফেজ
আমিঃআলবিদা

কথা শেষ করে কলটা কেটে দিলাম।
লাউড স্পিকার ছিলো তাই সবকিছুই
রাফি শুনেছি আলাদা করে কিছু বলতে
হচ্ছে না।
আমিঃতাহলে বিয়ে করবি?
রাফিঃবাইন*** তোর এটা কনভেস
করা হয়েছে?
আমিঃসালা কি কস এসব
রাফিঃআমি প্রিয়াকেই বিয়ে করবো।
আর তুই প্রিয়াকে বিয়ের জন্য রাজি
করাইবি। তা না হলে আমি সুইসাইড করবো।
আমিঃআমিঃসেটা কিভাবে করবি?
বিষ পান করবি নাকি গলাই দড়ি দিবি?
রাফিঃতোর মজা মনে হচ্ছে?
আমিঃতাছাড়া আর কি,দেখ প্রিয়া
আমাদের ফ্রেন্ড,ওকে জোড় করতে
পাড়বো না।
রাফিঃআর আমি কি?
আমিঃছ্যাচড়া সালা নিজের বান্ধুবীর
পেছনে লাগছিস।লোকজন কি ভাববে।
রাফিঃওকে ভালোবাসি আমি
আমিঃকিছুক্ষণ আগে না বললি প্রিয়াকে
তোর ভালো লাগে।এখন ভালোবাসা
আসলো কই থেকে।
রাফিঃভাই প্লিজ?
আমিঃসালা তু…..

আর কিছু বলার আগেই ফোনে
অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসলো।
আমিঃহ্যালো
নিলাঃআমি নিলা বলছি
আমিঃহ্যা বলুন
নিলাঃআপনি কোথায় আছেন?
আমিঃসরি,আসলে হঠাৎ করেই অসুস্থ
হয়ে পড়েছি তাই বাসায় চলে আসছি।
নিলাঃকি হয়েছে?
আমিঃপেটের সমস্যা
নিলাঃওহহ,আচ্ছা বিশ্রাম করেন।
আমিঃসরি আজ যেতে পাড়লাম না।
নিলাঃসমস্যা নেই,আজ না হয় অন্য
একদিন যাবো।
আমিঃহুম রাখছি।
নিলাঃবাই

কেটে দিয়ে রাফিকে বললাম;
আমিঃওর সাথে দেখা করে কথা
বলতে হবে।
রাফিঃওকে বলিস,কিন্তু উত্তর হ্যা লাগবে
আমিঃবাসায় গেলাম।
রাফিঃআমিও যাবো
আমিঃচল

দুজন কথা বলতে বলতে বাসায়
চলে আসলাম।বাসায় আসতেই
আম্মু রেডি হওয়ার জন্য বললো।
মাত্র ২ঃ৩০ বাজে,এখনি যাওয়ার
জন্য কিসব পায়চারি করছে।কিছু
বললেই উল্টো বকা দিবে তাই আর
কোনো কথা না বলে রেডি হয়ে নিলাম।
কিছু সময় পর ভাইয়া আসতেই সবাই
মিলে রওনা দিলাম।আমি আর ভাইয়া
সামনে বসে আছি আর পেছনে অন্যরা।
সবাই টুকটাক কথা বললেও কিছু না
বলে চুপ করে আছি।সবাই যদি জান্নাত
জান্নাত করে সেখানে আমারই কিবা
বলার আছে।

চলবে………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here