পিচ্চি চাচাতো বোন(সিজন ২),পর্বঃ১৭

0
695

পিচ্চি চাচাতো বোন(সিজন ২),পর্বঃ১৭
আবির হাসান নিলয়

…….নেহার কথা………
কেবিনে ঢুকার পর বসার আগেই বললেন;
ভাইয়াঃতোমাকে জব দিতে আমার কোনো
সমস্যা নেই।তবে একটা কন্ডিশন আছে।
নেহাঃআমি সব কন্ডিশন মানবো স্যার।
ভাইয়াঃআমার ভাইকে শিক্ষা দিতে হবে।
নেহাঃসরি,বুঝলাম না।
ভাইয়াঃআমার ভাইয়ের সাথে রিলেশনের
মতো কিছু একটাই যেতে হবে।কিন্তু তুমি
তাকে শুধুমাত্র বোঝাবে জান্নাতই তার
লাইফে সবচেয়ে বেটার।
নেহাঃজান্নাত কে?
ভাইয়াঃনিলয়ের স্ত্রী
নেহাঃযাকে ডিভোর্স দিয়েছেন?
ভাইয়াঃযেটাই দিক,তুমি যদি ওকে উপযুক্ত
শিক্ষা দিতে পারো তাহলে তোমার জব
কনফার্ম। কাল থেকেই জয়েন করতে পারো।
নেহাঃপরে যদি কোনো সমস্যা হয়?
ভাইয়াঃসেটা তোমার কাজের উপর
ডিপেন্ড করবে।তুমি চাইলে কেউ কিছুই
জানতে পাড়বে না।
নেহাঃস্যার যদি আমি সফল হয় তাহলে?
ভাইয়াঃরাজি আছো তাহলে?
নেহাঃজ্বি স্যার
ভাইয়াঃএখন বসো,বসে কথা বলি।
নেহাঃধন্যবাদ (বসে)
ভাইয়াঃএটা জান্নাত,আমার চাচ্চুর
একমাত্র মেয়ে।
নেহাঃস্যার কিছুটা বলেছেন তিনি।
আমাকে কি করতে হবে সেটা বলেন।
ভাইয়াঃপ্রথমে নিলয়ের সাথে রিলেশনে
যাবে।তারপর বার বার ভুল করবে।
যে পরিস্থিতিতে জান্নাত সেই ভুলগুলো
করেনি।কিন্তু তুমি ওর সামনে বার বার
সেগুলো করবে।
নেহাঃজানবো কি করে কোনটা ভুল
করবো আর কোন সময়ে।
ভাইয়াঃআমি তোমাকে জান্নাতের সাথে
দেখা করাবো।ওর থেকে জেনে নিবে।
নেহাঃও কি সত্যি আপনার কাজিন?
ভাইয়াঃশুধু কাজিন না,নিজের বোন
মনে করি ওকে।আমি চাই মেয়েটা
খুশি থাক,আর সেই খুশিটা একমাত্র
নিলয়ের কাছে থেকেই পাবে।
নেহাঃকেনো?
ভাইয়াঃনিলয়কে অনেক বেশিই ভালোবাসে
নেহাঃনিজের ভাইকে শিক্ষা দেয়া এবং
কাজিনের সংসার জোড়া লাগানো।
দুটোই করবো,কিন্তু বিনিময়ে আমি
কি পাবো?
ভাইয়াঃজবটা তো দিচ্ছি
নেহাঃঅফিসের কাজ তো করবোই।
কিন্তু আপনাদের পারসোনাল কাজটার
জন্য আলাদা কি পাবো?
ভাইয়াঃকি চাও?
নেহাঃ৫ লাখ টাকা।কিন্তু টাকাটা
এখন লাগবে না।যখন আমার লাগবে
তখন আমি আপনার থেকে চেয়ে নেবো।
ভাইয়াঃএতো টাকা নিয়ে তুমি কি করবে?
নেহাঃস্যার আপনি যেমন আপনার কাজ
করানোর জন্য আমাকে জব দিচ্ছেন
তেমনি আমার সুবিধার জন্য টাকা
লাগবে।শুধুই ৫ লাখ না,এর চাইতেও
অনেক বেশি টাকা লাগবে।তবে আপনি
আমাকে ৫ লাখ দিবেন।
ভাইয়াঃকিন্তু কারণ?
নেহাঃসময় হলে জানতে পারবেন।
ভাইয়াঃসেটা তোমার ইচ্ছা,কিন্তু যদি
নিলয় এসব জানতে পাড়ে তাহলে
তুমি জবটা হারাবে সাথে একটা টাকাও
পাবে না।
নেহাঃআপনি এসব নিয়ে ভাববেন না।
ভাইয়াঃএখন আসতে পারো,কাল
থেকে অফিসে জয়েন করবে।
নেহাঃধন্যবাদ স্যার,তবে লাস্ট একটা
কথা ছিলো।
ভাইয়াঃবলো
নেহাঃথাকার জন্য যদি একটা হোস্টেল
খুঁজে দিতেন।
ভাইয়াঃসেটা না হয় নিলয়ের থেকেই
চেয়ে নিবে।
নেহাঃকাজটা তো আপনার করছি।
ভাইয়াঃবেশি পাকনামো করতে এসো
না।দেখা যাবে পরে সব কিছু হারাবে।
নেহাঃসরি স্যার,আসছি।
ভাইয়াঃহুম

আর কোনো কথা না বাড়িয়ে কেবিন
থেকে বের হলো।ভেবেছিলাম এক্সিডেন্ট
এর কথা জিজ্ঞাস করবে কিন্তু উনি
আমার নামটাও জিজ্ঞাস করলো
না।কাজ শেষ হওয়ার পর টাকা দিবে
তো…?না দিলে আমিও নিলয় স্যারকে
সব বলে দিবো।এখন অন্তত মায়ের
চিকিৎসা আর ঔষধের জন্য এই
জবটা করি।

******নিলয়ের কথা*******
কেবিনে বসে আছি,আজ হাতে তেমন
কোনো কাজ নেই।টুকটাক কাজের
পাশাপাশি বিশ্রাম করছি তখন বাইরে
থেকে নক করলো;
—আসবো স্যার?
আমিঃইয়ে’স
নেহাঃবড় স্যার রাজি
আমিঃতাহলে কাল থেকে জয়েন করো।
নেহাঃআপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
জবটা আমাকে দেয়ার জন্য।
আমিঃব্যাপার না।
নেহাঃস্যার মায়ের সাথে একটু কথা
বলানো যাবে?
আমিঃহ্যা,এই নাও ফোন।

ফোনটা নিয়ে কল দিলো।
নেহাঃমা আমি নেহা বলছি
—……..
নেহাঃমা আমি একটা জব পেয়েছি।
—……….
নেহাঃকিন্তু এখানে থাকতে হবে।
—………..
নেহাঃকোনো হোস্টেলে,তোমাকে
দুএকের মধ্যে কোথাও শিফট করবো।
—………..
নেহাঃনা,তাও লাগবে।আমি তোমারে
পরে কল দেবো।আর এটা বসের
নাম্বার কল কইরো ন।
—………….
নেহাঃরাখলাম মা,খেয়াল রেখো।
—…………..
নেহাঃআল্লাহ হাফেজ।

কল কেটে দিয়ে আমাকে ফোন দিলো।
নেহাঃস্যার একটা হেল্প করবেন?
আমিঃকি হেল্প?
নেহাঃএই শহরে আপনি ছাড়া তো
আর কেউ নেই।তাই যদি এখানে
থাকার জন্য একটা হোস্টেল খুঁজে
দেন।আমি আসলে ঠিকমতো কিছুই
চিনিনা।
আমিঃঠিক আছে।
নেহাঃআর যেখানে এক্সিডেন্ট করছিলাম
সেখানে গিয়ে আমার মোবাইল আর
ফাইলগুলো বের করতে হবে।
আমিঃও তোমাকে দেয়ার কথা মনে
নেই।আমি পরেরদিন ওখানে গিয়ে
একটা দোকান থেকে এসব পেয়েছি।
(মোবাইল আর ফাইল দিয়ে)
নেহাঃথ্যাংক ইউ
আমিঃহুম,এখন চলো।
নেহা;কোথায়?
আমিঃতুমি তো বললে থাকার জায়গা নেই।
নেহাঃঠিক আছে চলেন।

বসে না থেকে নেহাকে সাথে নিয়ে
হোস্টেলের খোঁজে বের হলাম।
অফিসের আশেপাশের হোস্টেল
দেখালাম জেনো চলাচল সুবিধা হয়।
অফিস থেকে ১০ মিনিট দূরত্বের
একটা হোস্টেলে থাকার জন্য বললাম।
নেহাকে হোস্টেলে রেখে বের হবো
তখন মিমি কল দিলো।
আমিঃহ্যালো মিমি,কি খবর?
মিমিঃএকটু হোস্টেলে আসবে?
আমিঃকেনো?
মিমিঃকাজ আছে
আমিঃআসছি
মিমিঃঅপেক্ষা করছি।

কল কেটে দিয়ে মিমির হোস্টেলে
আসলাম।আমাকে দেখে কিছু না
বলে এগিয়ে এসে;
মিমিঃঠাসসস,শুয়োর তুই জান্নাতের
সাথে রিলেশনে ছিলি?
আমিঃরিলেশনে না বা**।বিয়ে করছিলাম
কিন্তু ডিভোর্স হয়ে গেছে(গালে হাত দিয়ে)
মিমিঃঠাসসস,ওর মতো একটা মেয়ের
সাথে তোর এমন করতে একবারো
খারাপ লাগেনি?
আমিঃও কোন কালের ভালো?
মিমিঃতোরে আমি?
মারার জন্য হাত তুলতেই দূরে দাঁড়ালাম।
আমিঃকি বলবে সেটা বলো।
মিমিঃআপু কল দিয়ে তোর এসব বলল
আমিঃতো?
মিমিঃতো তোর সাথে আমার এতোদিন
যা হয়েছিলো সব শেষ।আমার কপাল
ভালো তোর সাথে বেশি কিছু করিনি।
আমিঃএগুলো সুন্দর করেও বলা
যেতো।হুদাই গায়ে হাত তুললা।
মিমিঃতোরে তো আরো মারা উচিত।
জান্নাত অনেক বেশিই ভালো মেয়ে।
যখন এই হোস্টেলে আসে তখন অন্য
রুমে থাকতো।কিন্তু ওর কথাবার্তা
ব্যবহার দেখে আমি আমার রুমমেট
করি।আর তুই ওকে…?
আমিঃআচ্ছা আমি ভুল করেছি,কিন্তু
আর গায়ে হাত না।জান্নাত ওর মতো
হ্যাপী আছে আর আমি আমার মতো।
মিমিঃএখন তুই কেটে পড়।
আমিঃআমি না?
মিমিঃকি?
আমিঃতোমাকে মেরে শোধ নেবো না?
মিমিঃকুত্তা তুই দাড়া

কে শোনে কার কথা,এক দৌড়ে বাইরে
এসে গাড়ি নিয়ে ভোঁ।কি মেয়েরা বাবা।
কুত্তীটার জন্য সবার থেকে বকা খেতে
হচ্ছে।আর এই ছেমরি তো ডিরেক্ট
থাপ্পড়ের উপর রাখছে।আজ আর অফিসে
যাবো না।বাসায় চলে আসলাম।তবে
বাসায় এসে একটু না বরং অনেক
বেশিই অবাক হলাম।জান্নাত,চাচ্চু
ছোট মা সবাই আমাদের বাসায়।আড়
চোখে জান্নাতের দিকে দেখতেই বলল;
জান্নাতঃকি হলো ভাইয়া আমার দিকে
এমন করে কি দেখছেন?
আম্মুঃভাইয়া…!
জান্নাতঃবড় আব্বু ছেলেকে ভাইয়া না
বলে কি বলবো শুনি?
আম্মুঃতোদের….
জান্নাতঃবড় আম্মু ওসব ভুলে যাও তো।
আমিঃতুই এখানে কেনো?
জান্নাতঃআব্বু আম্মু মেডিকেল হোস্টেলে
রেখে যাওয়ার জন্য আসছিলো।যাওয়ার
সময় দেখা করার জন্য আসছে।
আমিঃউনারা আসছে আসুক,তুই কেনো?
জান্নাতঃসেটা তো আমার ইচ্ছা ভাইয়া।
আমিঃতুই বা*** ভাইয়া বলা বাদ দে।
জান্নাতঃভাইকে ভাই বলবো কি বলবো?
আমিঃআমার নাম ধরেই বলবি।
জান্নাতঃতুই আমার থেকে বড় ভাই।
আমিঃমর তুই
জান্নাতঃউহু,বাঁচবার জন্য স্টাডি করছি।
আমিঃতুই আমার পিছু ছাড়বি কবে?
জান্নাতঃআজকের পর থেকেই।আজকের
পর থেকে তোর সাথেই না বরং তোর
ফ্যামিলির সবার সাথে দেখা করবো না।
যদি কারো প্রয়োজন হয় সে নিজে
দেখা করতে যাবে।তবে তুই জেনো
আমার পেছনে না আসিস।
আমিঃআমাকে তোর কুত্তা মনে হয়
যে তোর পিছে পিছে ঘুরবো।
জান্নাতঃকুত্তা কেনো মনে করবো?
আমিঃতাহলে বলছিস কেনো?
জান্নাতঃতোকে ছ্যাঁচড়া মনে হয়।
আমিঃসবাই না থাকলে আজ তোর
খবর করে ছাড়তাম।
জান্নাতঃকোন চ্যানেলের খবর ভাইয়া?
আমিঃকুত্তী,ভেবেছিলাম ডিভোর্স পেয়ে
কান্না করবি,সুইসাইড করবি।
জান্নাতঃকিন্তু আফসোস আমি আর
পাগলি নেই।আমার জীবন আমি
সামলাতে পাড়বো।
আমিঃতোকে আমি..(মারতে চাইলাম)
জান্নাতঃসবাই দেখছে আমাদের।
আমিঃবেঁচে গেলি
জান্নাতঃতুই অফিস ছেড়ে এখানে কেন?
আমিঃআমার বাসা আমি যখন ইচ্ছা
আসবো।যখন ইচ্ছা যাবো তোর কোনো
সমস্যা হয়?
জান্নাতঃআমার কি ওয়াক??
আমিঃথাক কুত্তী

দাঁড়িয়ে না থেকে রুমে আসতে যাবো
তখন পেছন থেকে বলল;
জান্নাতঃআলবিদা মেরি ভাই।
আমিঃ…?
কিছু না বলে রুমে এসে ফ্রেস হয়ে নিলাম।
কিছু সময় টেলিভিশন দেখে ঘুম দিলাম।

ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নিচে আসলাম।
ছোট মা, আম্মু আর ভাবি অন্যদিকে আব্বু
আর চাচ্চু কথা বলছে।কিন্তু জান্নাতকে
পেলাম না।
আমিঃছোট মা জান্নাত কই?
ছোট মাঃচলে গেছে
আমিঃকোথায়?
ছোট মাঃহোস্টেলে
আমিঃকোন হোস্টেলে?
ছোট মাঃMain Hostel SSMC
আমিঃএতো দূরে কেনো?
ছোট মাঃওখান থেকেই কাছে হয়।আর
ও নিজেও দূরেই থাকতে চাইছিলো।
আমিঃওহহ,আমাকে বলে গেলো না…!
আম্মুঃতোকে বলতে হবে কেনো?
আমিঃকারণ আমি ওর ভাই
আম্মুঃকোনো ভাই টাই না
আমিঃএইডা কোনো কথা?
আম্মুঃহ্যা
আমিঃআমি বাইরে যাচ্ছি

বাসার বাইরে আসার সাথে সাথে
পকেট থেকে ফোন বের করে জয়কে
কল দিলাম।
জয়ঃকিরে?
আমিঃকই আছিস?
জয়ঃবাসায় যাচ্ছি
আমিঃফ্রি আছিস?
জয়ঃএখন তো ফ্রি
আমিঃমাঠে আয়
জয়ঃএখন?
আমিঃহ্যা
জয়ঃঠিক আছে তুই বস আমি আসছি
আমিঃওকে
জয়ঃরাফিকেও ডাক
আমিঃদেখি।

কল কেটে দিয়ে রাফিকে কল দিলাম।
—কে বলছেন?(মেয়ে কণ্ঠে)
আমিঃরাফির ফ্রেন্ড নিলয়
—ও ভাইয়া,রাফি শাওয়ার নিতে গেছে।
আমিঃওহ
—কিছু বলবেন?
আমিঃআসলে কল দিতে বলেন।
—ঠিক আছে

কল কেটে দিয়ে মাঠের দিকে হাটতে
লাগলাম।মাঠে আসার ঠিক আগ মুহূর্ত
রাফি কল দিলো।
রাফিঃকিরে হুসনা বলছিলো তুই
কল দিছিলি।
আমিঃমাঠে আয়
রাফিঃকেনো?
আমিঃএমনি
রাফিঃএকা আছিস?
আমিঃহ্যা জয় আসছে
রাফিঃঠিক আছে আসছি।

অনেকটা সময় অপেক্ষা করার পর
জয় আসলো।দুজন বসে বসে বাদাম
খাচ্ছি আর কথা বলছি তখন রাফি
আসলো।
জয়ঃএতো দেরি করলি যে?
রাফিঃরেডি হচ্ছিলাম।তো কি খবর
তোর কি অবস্থা?
আমিঃএইতো অবস্থা,বন্ধুরা তাদের
বিয়েতে দাওয়াতই দেয় না।
জয়ঃহুম,সালা বিয়ে করলো একবার
জানালোও না।
রাফিঃতোদের তো বলছি হুট করেই
সব হয়ে গেছে।যেদিন আম্মু আব্বু
আর আন্টি দেখতে গেছিলো সেদিনই
আন্টি বলে বিয়ে করে নিয়ে যেতে।
আর তাছাড়া হুসনার পারিবারিক
অবস্থা খুব একটা ভালো না রে।তাই
আন্টি এমনটা করছে।
জয়ঃসালা একবার জানাতে পারতিস।
রাফিঃপরে ট্রিট দেবো
আমিঃপ্রিয়াকে ওসব বলছিলাম।
রাফিঃপরে সব বলেছিলাম,আর আমি
ওকে সরি বলেছি ওসবের জন্য।
জয়ঃতুই সালা ফয়িন্নি
রাফিঃচল কোথাও খেতে যাই
আমিঃক্ষুধা নেই,পড়ে যাবো।
জয়ঃসালা তুই এখনো ভাবিকে দেখাস নাই।
রাফিঃকাল বাসায় আয়
জয়ঃবাসায় তো অবশ্যই যাবো।কিন্তু
তার আগে তোর একটা কাজ আছে।
রাফিঃবল
জয়ঃকয়েকদিন পর ঘুরতে যাবো,সব
খরচ তোর দেয়া লাগবে।
আমিঃদাড়া আমি মনে হয় পাড়বো না।
জয়ঃকেনো?
আমিঃঅফিসে চাপ পড়েছে।
জয়ঃযখন কম থাকবে তখন বলবি।
আর সালা তুই রাজি তো?
রাফিঃঠিক আছে

তিনজন আরো কিছু সময় কথা
বলে লাঞ্চ করে বাসায় চলে আসলাম।

পরেরদিন,,,,,,
কেবিনে বসে আছি তখন নেহা আসলো।
নেহাঃস্যার আপনার কফি।
আমিঃকফির কথা বলেছি?
নেহাঃনা,বাট আপনার তো প্রয়োজন।
আমিঃএকবারের জন্যও তোমাকে বলছি?
নেহাঃস্যার একটা কথা বলি?
আমিঃবলো
নেহাঃআপনি সব সময় খিটখিটে করেন
কেনো?ভালো করে কথাও তো বলতে পারেন।
আমিঃপারিনা আমি।
নেহাঃদায়িত্বটা আমাকে দিতে পাড়েন।
আমিঃকেমন দায়িত্ব?
নেহাঃআপনাকে খুশি রাখার
আমিঃসেটার কোনো দরকার নেই।আমি
নিজে নিজেই খুশি থাকতে পাড়ি।
নেহাঃতাহলে কি হবে…!
আমিঃকিছু বললে?
নেহাঃনা,কফি নিয়ে যাবো?
আমিঃরেখে যাও।
নেহাঃওকে,আর স্যার
আমিঃআবার কি?
নেহাঃএকটু হাসিখুশি থাকুন,শরির
এবং মন দুটোই ভালো থাকবে।
আমিঃপ্রথম দিন এসেই এতো বদজাত
হয়ে গেলে কি করে?
নেহাঃআমাকে এসব বললে সত্যি
কান্না করে দেবো?
আমিঃঠিক আছে বলবো না
নেহাঃআমি আপনার পিএ,তাই যা
যা প্রয়োজন সবকিছুর দায়িত্ব আমার।
তাই আপনার লাইফের কিছু তো বলতেই পাড়ি।
আমিঃকাজ ছাড়া কিছু না।
নেহাঃহু?
আমিঃএখন বাইরে যাও
নেহাঃওকে

দাঁড়িয়ে না থেকে কেবিনের বাইরে চলে
গেলো।এই মেয়ে এতো পাগল হলো
কি করে।প্রথম দিন জয়েনিং করেই
যেমন করছে কিছুদিন গেলে তো
একদম মাথা খেয়ে ফেলবে।কাজের
পাশাপাশি কফিটা খেয়ে শেষ করলাম।

চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here