পিচ্চি চাচাতো বোন(সিজন ২),পর্বঃ৫

0
748

পিচ্চি চাচাতো বোন(সিজন ২),পর্বঃ৫
আবির হাসান নিলয়

ঘুমের জন্য একটা নেশাগ্রস্থ মেয়ের
মতো আচরণ করছে।তবুও টানতে
টানতে বাসার বাইরে নিয়ে আসলাম।
জান্নাতঃদেখুন আমি কিন্তু বড় আব্বুকে
বলে দেবো।আপনি আমাকে জোর
করে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
আমিঃচুপচাপ গাড়িতে বস
জান্নাতঃআপনি কে যার কথা শুনবো
আমিঃতোর ভাই
জান্নাতঃকিন্তু আব্বু আম্মু তো বলতো
তাদের শুধুমাত্র আমিই একমাত্র মেয়ে
আমিঃতুই গাড়িতে উঠবি নাকি ঠাটিয়
আরেকটা গালে দেবো।
জান্নাতঃএবার মারলে সত্যি কান্না
করে দেবো আমি।
আমিঃউঠ গাড়িতে।

বকা দিতে দিতে গাড়িতে উঠতে
যাবে তখনি গাড়ির সাথে বারি
খেয়ে মাটিতে পরে গেলো।বুঝলাম
না,কথা বলার সময় ঠিকি বলছে
কিন্তু কাজকর্ম একদম নেশাগ্রস্থদের
মতো করছে।গাড়ির দরজা না খুলেই
উঠতে গিয়ে এমন অবস্থা।অনেক
রাগ হচ্ছিলো কিন্তু রাগটাকে কন্ট্রোল
করে দৌড়ে এসে পিচ্চিটাকে তুলে
গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে বেল্ট লাগিয়ে
দিলাম।বলা যায়না কখন কি করে
ফেলে।দাঁড়িয়ে না থেকে আমিও
গাড়িতে উঠে ড্রাইভ করতে
লাগলাম।
আমিঃজান্নাত
জান্নাতঃকি
আমিঃসরি
জান্নাতঃসরির গুষ্টি তোর।
আমিঃকি হলো
জান্নাতঃতুই আমাকে মারছিলি
আমিঃআমি কিন্তু তোর বড়
জান্নাতঃছোট হলে তোর চুল ছিঁড়তাম
আমিঃআচ্ছা আমি সরি
জান্নাতঃলাগবে না আপনার সরি
আমিঃতুই না আমাকে ভালোবাসিস
জান্নাতঃএখন বাসি না।
আমিঃতবে এখন আমি বাসি
জান্নাতঃঢং
আমিঃতুই ঘুমা,ওখানে পৌঁছাতে
প্রায় ভোর হয়ে যাবে।
জান্নাতঃকোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?
আমিঃতোকে বিক্রি করে দিতে
জান্নাতঃকি সব বলছেন?
আমিঃআরে কান্না করিস কেনো?
জান্নাতঃআমাকে বাসায় নিয়ে যাও
বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান আমি।
আমিঃচুপ,তুই কি পাগল।তোকে কেনো
আমি বিক্রি করতে যাবো?
জান্নাতঃতুমি তো বলছো
আমিঃএমনি বলছি
জান্নাতঃকোথায় নিয়ে যাচ্ছো আমাকে?
আমিঃসারপ্রাইজ,তুই রেষ্ট নে।
জান্নাতঃবেচে দিলে আপনার খবর
আছে বলে দিলাম।
আমিঃবিশ্বাস করিস না আমাকে?
জান্নাতঃকরি কিন্তু আপনি অনেক
বেশি বদমেজাজি,তাই ভরসা নেই।
আমিঃকষ্ট পাইলাম?
জান্নাতঃগুড নাইট

আর কোনো কথা না বলে ঘুমানোর
চেষ্টা করলো।পাগলিটাকে নিয়ে
বাইরে বার্থডে সেলিব্রেট করার
জন্য নিয়ে যাচ্ছি।এটা না করলে
আমার সাথে কখনো কথা বলবে
না সাথে আব্বু আম্মুর থেকেও
বকা খেতে হবে।এখন আফসোস
করছি এই জান্নাতের জন্যই।যদি
ঐ পিচ্চিটাকেই ভালোবাসতাম
তাহলে হয়তো সেদিন রাতে গাড়িতে
অনেক কিছু বলতাম।কিন্তু তখন
তো ঐ পিচ্চিটা শুধুমাত্র একটা
পিচ্চি ছিলো আমার কাছে।

অনেকে হয়তো বুঝতে পারছেন
আমরা কোথায় যাচ্ছি।তবে যারা
এখনো আন্দাজ করতে পারেননি
তাহলে এখন বলছি।আমরা রাঙামাটি
যাচ্ছি,জান্নাতের বার্থডে সেলিব্রেট
করার জন্য।প্রায় ৬ঘণ্টার পথ।
কিন্তু রাতের বেলা এতোটা সময় লাগবে
না।রাস্তায় কোনো জ্যাম নেই,নেই
বেশি গাড়ির আনাগোনা। যেতে
প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা বা তার থেকে
সামান্য একটু বেশি হবে।বাসা
থেকে বের হয়েছি ১০টার পর।
পোঁছাতে না হলেও ৩টাবাজবে।
Long journey অনেকেই হয়তো
পছন্দ করে,আমিও করি তবে
সেটা একা না।পাশে একজন
কথা বলার জন্য থাকলে অনেক
বেশিই কমফোর্টেবল এবং ভালো
লাগে।যদিও জান্নাত সাথে আছে
তবে সে কথা বলার জন্য না।তিনি
তো ঘুমানোর জন্য ব্যস্ত।সে যাই হোক
গাড়ির রেডিওটা চালু করে দিলাম।
অন্তত কারো কথা তো শুনতে পাবো
সে আশাতে।

অনেক বেশি ক্লান্ত লাগছে,চোখটাও
লেগে গেছে।তবে অনেকটা কাছে
চলে আসছি তাই আর অলসতা
করে গাড়ি থামানো ঠিক হবে না।
কিছুক্ষণ আগেই মানিকছড়ি পাড়
হয়েছি।আর বেশি রাস্তা নেই।
আনমনে গাড়ি চালাচ্ছি এমন
সময় জান্নাত উঠলো।
জান্নাতঃতুমি এখনো গাড়ি চালচ্ছো?
আমিঃহুম,দেখতে পাড়ছিস না?
জান্নাতঃকয়টা বাজে?
আমিঃ২ঃ১৩ বাজে
জান্নাতঃবাসা থেকে বের হয়েছি কখন?
আমিঃ১০টা হবে হয়তো।
জান্নাতঃকোথাও গাড়ি থামাও
আমিঃকেনো?
জান্নাতঃপারসোনাল কাজ সারবো।
আমিঃএই মুহূর্তে সব কিছু বন্ধ।আমাদের
যেতে আর ৪৫ মিনিট লাগবে।
জান্নাতঃকিন্তু…..
আমিঃকি?
জান্নাতঃতোমাকে কেমন জানি লাগছে।
আমিঃকেমন লাগবে আমাকে?
জান্নাতঃদেখে অনেক ক্লান্ত লাগছে।
আমিঃও কিছু না।তুই আরেকটু
অপেক্ষা কর।
জান্নাতঃওকে,আমার ফোন আনছিলে?
আমিঃতোর ফোন আছে?
জান্নাতঃকেনো থাকবে না,১১শ
দিয়ে কিনেছি।
আমিঃচাচ্চু কিনে দিলো?
জান্নাতঃআমার টাকা দিয়ে কিনছি।
আর তুমি আমার ফোন আনছো
কিনা তাই বলো।
আমিঃতোর ঐ বাটন ফোন এনে
আমি কি করবো?
জান্নাতঃবাটন ফোন হতে পাড়ে,তবে
ওটাই এখন আমার সব।
আমিঃজানতাম না,তাই আনিনি।
জান্নাতঃএখন যদি রুমে গিয়ে
আম্মু ফোন দেখে তাহলে একদম
কেরে নিবে।
আমিঃকেউ জানেনা তোর ফোন আছে?
জান্নাতঃশুধু ফ্রেন্ডসরা জানে।
আমিঃফোন দিয়ে তুই কি করিস?
জান্নাতঃআপনি তো ক্লাস টেন
থেকে ফোন ব্যবহার করছেন।
সেটাও আবার স্মার্ট ফোন।আর
আমি এইট থেকে বাটন ফোন
ব্যবহার করতে কেনো পারবো না?
আমিঃতুই আগে যেকোনো একটা
বলে সম্বোধন করেন।হয়তো আপনি
করে বল না হলে তুমি করে বল।
জান্নাতঃযেটা ইচ্ছা সেটা বলবো।

আর কোনো কথা না বলে চুপ
করে রইলাম।মেয়েটার মাথায়
সমস্যা আছে,সব সময় ত্যাড়ামো
করে।তাই চুপ থাকাই বেটার।
জান্নাতঃজানেন আমি আপনাকে
কেনো ভালোবাসি?
আমিঃকেনো শুনি?
জান্নাতঃআপনার মধ্যে কিছু তো
একটা আছে যার জন্য আমি
সেই ছোট্ট থেকে পড়ে আছি।আপনি
নিজেই বলেন,কোন মেয়ে আপনার
জন্য এতোটা পাগল?
আমিঃসাদিয়া,টিনা,নিলুফা
জান্নাতঃউনারা আপনাকে ভালোবাসে?
আমিঃবলে তো সেটাই।
জান্নাতঃআপনি কার সাথে প্রেম করেন?
আমিঃসবাইকে
জান্নাতঃসত্যি করে বলেন
আমিঃসত্যি
জান্নাতঃপ্লে-বয় আপনিও
আমিঃসেটা কি?
জান্নাতঃযেকোনো একজনকে ভালোবাতে হয়
আমিঃকিন্তু আমি তো কাউকে
ভালোবাসি না।
জান্নাতঃতাহলে বললেন যে উনাদের
সাথে প্রেম করেন।
আমিঃহ্যা করি
জান্নাতঃদেখুন এবার সব কিছু
ঘোলাটে করবেন না।ঠিকঠাক
করে বলুন।
আমিঃপ্রেম সবার সাথে করি কিন্তু
কাউকেই ভালোবাসি না।
জান্নাতঃপ্রেম আর ভালোবাসা কি আলাদা?
আমিঃতোর কি মনে হয়?
জান্নাতঃদুটো একই
আমিঃকিন্তু না।
জান্নাতঃতো বলুন
আমিঃতুই অনেক ছোট এসব
তোর মাথায় ঢুকবে না।
জান্নাতঃঢুকবে আপনি বলেন
আমিঃবললাম তো বুঝবি না
জান্নাতঃধুর

আর কোনো কথা না বলে মুখটা
গোমরা করে বসে রইলো।তবে
এখন এসব ওকে বলা ঠিক হবে না।
তাই যতোই বায়না করুক কোনোভাবেই
বলবো না।আরো কিছু সময় ড্রাইভ
করার পর হোটেল সুফিয়া’র সামনে
গাড়ি পার্ক করে জান্নাতকে নিয়ে
ভিতরে গেলাম।ম্যানেজার ভিতরে
আধমরা অবস্থাতে শুয়ে আছে।
আমিঃহ্যালো শুনছেন(টেবিলে আওয়াজ দিয়ে)
ম্যানেজারঃজ্বি বলুন।(আচমকা
ঘুম থেকে উঠে বললো)
আমিঃআমি নিলয়,অনলাইনে
দুটো রুম বুক করেছিলাম।
ম্যানেজারঃস্যার আপনার জন্যই
চোখের পাতা এক করতে পারিনি।
সারাটা রাত জেগে আছি।
জান্নাতঃকিন্তু এখানে এসে তো
দেখলাম খুব আরামেই ঘুমাচ্ছেন।
ম্যানেজারঃসরি ম্যাম,আসলে চোখটা
অনেক লেগে গেছিলো।
জান্নাতঃইট’স ওকে
ম্যানেজারঃস্যার এই নিন চাবি
আর আপনাদের বিবাহিত জীবনে
স্বাগতম ??।
জান্নাতঃধন্যবাদ
আমিঃধুর মিয়া কি বলেন এসব।
আমরা দুজন কাজিন।
জান্নাতঃকিন্তু বিয়ে ঠিক হয়ে আছে।
আমিঃতোকে আমি,ধন্যবাদ জেগে
থাকার জন্য।বাই
ম্যানেজারঃHave a nice dream.

আর একটা কথাও না বাড়িয়ে পিচ্চিকে
হাত ধরে চেপে ধরে রুমে নিয়ে আসলাম।
আমিঃতোর মুখে কিছু আটকাই না?
জান্নাতঃসত্যি বলতে ভুল কোথায়?
আমিঃতোকে আমি..?
জান্নাতঃআর একবার গায়ে হাত
তুললে বাসায় গিয়ে এমন এমন
মিথ্যা বলবো যা আপনি কখনো
ভাবতেও পারবেন না।
আমিঃওকে মারবো না।এই রুমে তুই
যা,এটা অনেক সুন্দর,বেলোকোনিতে
অনেক বেশি ফুল আছে।
জান্নাতঃদুজন একটাতে থাকলেও
পাড়তাম ডাবল বেড।
আমিঃনারে,আর এখন তুই যা।
অনেক ঘুম পাচ্ছে।
জান্নাতঃআপনার ফোন দেন
আমিঃকেনো?
জান্নাতঃবাসায় কল দিয়ে বলবো।
আমিঃকি বলবি?
জান্নাতঃএই যে আপনি আমাকে
এখানে নিয়ে আসছেন।না হলে
বাসায় টেনশন করবে।
আমিঃএখন না দিয়ে সকালে দিস
জান্নাতঃবলতে হবে না আমাকে।?
আমিঃগুড নাইট পিচ্চি।
জান্নাতঃঐ আপনার লক বলবে কে?
আমিঃআমি ফোনে লক দেয় না।
জান্নাতঃধন্যবাদ।
আমিঃসকাল হতেই আমাকে ডেকে
দিবি।দুটো চাবিই তোর কাছে রাখ।
জান্নাতঃওকে
আর কোনো না বলে রুমে এসে
ফ্রেস হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।

অন্যদিকে জান্নাত…….
রুমে এসে প্রথমেই বাথরুমে গেলো।
সেখান থেকে বের হয়ে ফ্রেস হয়ে
রুমে এসে নিলয়ের ফোন হাতে নিলো।
প্রথমেক গ্যালারিতে প্রবেশ করলো।
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো কোনো
মেয়ের ছবি আছে কিনা।একটা মেয়ের
সাথে নিলয়ের অনেক গুলো ছবি আছে।
অনেকটা রাগ হলো,সব গুলো ছবি
দেখতে দেখতে লক্ষ্য করলো নীল
ভাইয়াও তাদের দুজনের মধ্যে আছে।
তাহলে কি নীল ভাইয়া জানে নিলয়
এই মেয়ের সাথে রিলেশনে আছে..!
থাকলে কুত্তাটার খবর করে ছাড়বো।
নিলয়ের সাথে সেই মেয়েটার সব ছবি
কেটে দিলো।নীল ভাইয়ার সাথে যা
ছিলো সেগুলোও বাদ যায়নি।অন্য
যতো মেয়ের ছবি ছিলো সব কেটে
দিলো।পরিবারের সবার ছবির সাথে
জান্নাত নিজেকে খুঁজতে লাগলো।
যদিও নিলয়ের সাথে ছবি আছে
কিন্তু তাদের দুজনের না।সেখানে
পরিবারের অন্য সবাই ছিলো।
সব গুলো ছবি দেখে ফোনে ভোর
৫টার এলার্ম দিয়ে ফোনটা চার্জে
দিলো।ভোর হতেই এই ফোন দিয়ে
অনেক গুলো ছবি উঠতে হবে।

ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই ফ্রেস হয়ে
নিলো।নিলয়ের কথাটা সত্যি ছিলো
বেলকোনিতে অনেক ফুল লাগানো
আছে।রুমের মধ্যেও সুন্দর সাজানো
একটা সোফাসেট আছে।সোফার
উপর শুয়ে থেকে গাড়ি থেকে আনা
মোবাইলের সাথে স্ট্যান লাগিয়ে
একটা ছবি তুললো।কিছু সময়
একটা ছবিই দেখার পর নিজের
কাছে ভালো লাগলো না।আরো সুন্দর
করে স্মাইল দিয়ে আরো কয়েকটা
পিক নিলো।সব গুলোর মধ্যে
জান্নাতের শুধুমাত্র একটা পছন্দ
হয়েছে।সেই পিকটা রেখে অন্য
পিকগুলো কাটতে গিয়ে কিছু
একটা মনে করে আর কাটলো না।
হঠাৎ মনে পড়লো নিলয় তাকে
ভোর বেলা ডাকতে বলেছে।মোবাইলের
স্কিনে তাকিয়ে দেখলো ৫ঃ৪২ বাজে।
নিলয়কে ডাকার জন্য রুমের বাইরে
যাবে তখনি নিলয়ের ফোনে কল
আসলো।আব্বু দিয়ে সেভ করা।
কলটা রিসিভ করে বললো;
জান্নাতঃহ্যা বড় আব্বু বলো
আব্বুঃজান্নাত তুই কোথায় আছিস?
জান্নাতঃহোটেল সুফির মতো কিছু
একটা বাইরে থেকে দেখেছিলাম।
সেখানে আছি।
আব্বুঃতুই নিলয়ের ফোনে কেনো?
জান্নাতঃকারণ তিনিও আমার সাথে।
আব্বুঃকোথায় তোরা?
জান্নাতঃরাঙামাটিতে
আব্বুঃকেনো?
ছোট মাঃতুই কোথায় আছিস মা?
জান্নাতঃরাঙামাটিতে আম্মু
ছোট মাঃকিন্তু ওখানে কেনো?
জান্নাতঃআগেই তো বলেছিলাম
আমার বার্থডে এবার বাইরে করবো।
ছোট মাঃকিন্তু মা তুই তো আমাদের
একবার বলতে পারতিস।
জান্নাতঃএখন কান্না করো না তো।
তোমাদের কতোবার বলেছি আমার
নিজেরই মনে নেই।আর এখন বলছো
আমি তোমাদের কিছু বলেনি।
ছোট মাঃওখানে গেলি কি করে?
জান্নাতঃনিলয়কে সাথে নিয়ে আসছি
আম্মুঃতুই নিয়ে গেছিস নাকি ও তোকে
সাথে করে নিয়ে গেছে।
জান্নাতঃতোমার ছেলের সাহস নেই
আমাকে জোর করে নিয়ে আসার।
আমি নিজেই ওকে জোর করে এখানে
নিয়ে আসছি।
চাচ্চুঃনিলয় এখন কোথায়?
জান্নাতঃপাশের রুমে ঘুমাচ্ছে।
চাচ্চুঃবাসায় অনুষ্ঠান আছে যে।
জান্নাতঃসন্ধ্যা হতেই চলে যাবো
চাচ্চুঃপাক্কা?
জান্নাতঃতোমাকে কখনো মিথ্যা
বলেছি আমি,তুমি আমার সব
থেকে ভালো বন্ধু।
চাচ্চুঃসাবধানে আসিস।
জান্নাতঃওকে আব্বু
কথা বলা শেষ করে নিলয়ের রুমে
গেলো।

******আমার কাহিনী*****
জান্নাতের ডাকে ঘুম থেকে উঠলাম।
আমিঃকয়টা বাজে?
জান্নাতঃ৬টা
আমিঃফোনটা দে
জান্নাতঃকেনো?
আমিঃকাজ আছে
জান্নাতঃওকে নেন
ফোন নিয়ে চাচ্চুর নাম্বারে কল দিলাম।
আমিঃচাচ্চু আমি সরি
চাচ্চুঃসরি কেনো?
আমিঃআসলে আমি আর জান্নাত
রাঙামাটি আসছি তোমাদের না জানিয়ে।
চাচ্চুঃআরে এটার জন্য সরি বলতে
হবে কেনো।সরি তো তোকে বলা উচিৎ।
ঐ পাগলিটা তোকে জোর করে নিয়ে গেছে।
আমিঃমানে?
চাচ্চুঃজান্নাত আমাদের বলছে সব।ও
নিজে তোকে জোর করে নিয়ে গেছে।
আমিঃতোমাদের কল দিছিলো?
চাচ্চুঃহ্যা
আমিঃআচ্ছা চাচ্চু এখন রাখি
চাচ্চুঃঠিক আছে,আর সাবধানে আসিস।
পাগলিটার জেনো কিছু না হয়।জানিস
তো ঐ পাগলিটাই আমাদের সব।
আমিঃজানি চাচ্চু,চিন্তা করো না।
চাচ্চুঃরাখছি
আমিঃহুম বাই

কল কেটে দিয়ে জান্নাতের দিকে
তাকাতেই দেখলাম আমার দিকে
তাকিয়ে আছে।
আমিঃকিরে?
জান্নাতঃআব্বু কি বললো?
আমিঃবললো তুই উনাদের সব তাই
তোর জেনো কিছু না হয়।সাবধানে
বাসায় যেতে বলছে।
জান্নাতঃওহ
আমিঃতোর মাথায় এতো বুদ্ধি আসলো
কোথায় থেকে?
জান্নাতঃকিসের?
আমিঃতোকে এখানে যে আমি আনছি
সেটা না বলে নিজের কথা বলছিস কেনো?
জান্নাতঃআপনার নাম বললে বড় আম্মু
ইচ্ছামতো মারতো।তাই সব ভার আমার
উপর নিছি।
আমিঃপিচ্চিটা তো দেখছি বড় হয়ে গেছে।
জান্নাতঃতবুও তো সেই পিচ্চিই বলেন।
আমিঃতো কি বলবো তোকে?
জান্নাতঃতুমি করে সম্বোধন আর বাবু,
সোনা,জান এসব বলবে।
আমিঃহাহাহাহা?

চলবে…………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here