পিচ্চি চাচাতো বোন(সিজন ২),পর্বঃ৮
আবির হাসান নিলয়
ভাইয়া এবং তার দুটো ফ্রেন্ডকে কোর্টে
পাঠিয়ে অরিতাদের বাসার সামনে রাতের
বেলা দাঁড়িয়ে আছি।ভাইয়ার পরিবর্তে
আমি আসছি,কারণ বাসার কেউ দেখলে
তেমম কিছু ভাববে না।কারণ সেই ছোট্ট
থেকে অরিতাকে আপু বলি।প্রায় ২০
মিনিট রাস্তার এপাশ ওপাশ করতে করতে
নিচে আসলো।
আমিঃএতো দেরি লাগে?
অরিতাঃএগুলো গোছাতে ব্যস্ত ছিলাম
আমিঃকি আছে?
অরিতাঃকিছু টাকা আর গহনা।
আমিঃএগুলো দিয়ে কি করবে?
অরিতাঃযদি কাজে লাগে তাই।
আমিঃহেয় ভাইয়ের হবু স্ত্রী,আমরা
গরিব হতে পারি কিন্তু মনটা বড় আছে।
তোমার বাবার টাকার কোনো দরকার নেই।
অরিতাঃতুই কথা বন্ধ করে যাবি?
আমিঃহ্যা চলো।
দুজনে সিএনজির মধ্যে বসলাম।
অরিতাঃতুই আসছিলি কেনো?
আমিঃভাই আসলে তুমি ইমোশনাল
হয়ে কান্না করে দিতে।তাই ওকে রেখে
আসছি।কারণ সব কিছু তাড়াতাড়ি
করতে হবে।
অরিতাঃতুই সব সময় কথাগুলো এমন…..
আমিঃকারণ আমিও একজন আর্টিস্ট।
অরিতাঃসেটা কিভাবে?
আমিঃপ্রতিটা মানুষ আর্টিস্ট হয়ে থাকে,
কারণ তাদের মধ্যে কিছু একটা থাকে
যেগুলো তারা খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে
তুলতে পাড়ে।
অরিতাঃওহ
আমিঃহুম
অরিতাঃযাচ্ছি কোথায়?
আমিঃএখান থেকে অনেক দূরে
অরিতাঃকেনো?
আমিঃকম বেশি অনেকেই তোমাকে
চেনে।তাই যদি কেউ আমাদের আটকিয়ে
তোমার বাবাকে কল দেয় তাহলে তো
আমরা শেষ।
অরিতাঃআমার অনেক ভয় করছে
আমিঃতাহলে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসি
অরিতাঃ….?
আর কোনো কথা না বলে চুপচাপ রইলো।
অনেকটা সময় পর কোর্টে এসে পৌছালাম।
যতোটা তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে হলো।
কোর্ট থেকে বের হয়ে বাইরে দাঁড়াতেই
ভাইয়ের এক বন্ধু রিদু বলল;
রিদুঃএখন বাসায় যাওয়া ঠিক
হবে না।অনেক রাত হয়েছে তাই
বরং আজ রাতের জন্য কোথাও
থেকে যা।কাল সকাল হতেই বাসায়
চলে যাস।
ভাইয়াঃহুম কিন্তু তোরা কোথায় যাবি?
রিদুঃআমরা বাসায় যায়
অরিতাঃতুইও যাবি?
আমিঃনা
কাইফঃতো তুই ওদের মাঝে কি করবি?
আমিঃওদের মাঝে থাকতে যাবো কেনো?
রিদুঃতাহলে?
আমিঃআসার সময় একটা বিয়ে দেখেছি।
ওখানে গিয়ে কোনো একটা মেয়েকে
পটিয়ে লাইফ পার্টনার বানাবো।
অরিতাঃতোর ছ্যাঁচড়ামো বাদ যাবে না?
আমিঃমাত্র তো শুরু হয়েছে ভাবিজান।
এখন চলো তোমাদের আগে একটা
হোটেল খুঁজে দেয়।
ভাইয়াঃহুম
অনেক খুঁজাখুঁজি করার পর একটা
হোটেল পেলাম।সেখানে দুজনকে
তুলে দিয়ে সোজা বিয়েতে বাড়ি
চলে গেলাম।জানিনা কবে যে এতো
সুন্দর করে বিয়ে করবো।সবার সাথে
টুকটাক কথা বলতে লাগলাম।
কেউ ভাবছে বর পক্ষ আবার কেউ
বলছে কনে পক্ষ।কিন্তু আমি তো
মিডল পক্ষ।রাতটা কোনো রকম
পার করে দিয়ে ভোর হতেই হোটেলে
চলে গেলাম।আগে থেকেই দুজন
রেডি হয়ে ছিলো।তিনজন মিলে
রেস্টুরেন্ট থেকে নাস্তা করে বাসার
দিকে রওনা দিলাম।বাসার মধ্যে
ঢুকার আগ মুহূর্ত অবধি সবাই
হাসিখুশি ছিলাম।কিন্তু বাসায়
যেতেই আব্বু উঠে এসে ভাইয়াকে
দরজা থেকেই বের করে দিলো।
ভাইয়া কিংবা আমাকে কিছু বলারই
সুযোগ দিলো না।বার বার বোঝাতে
চেয়েও ব্যর্থ হয়ে গেলাম।তখন
ভাইয়া আর ভাবি পুনরায় হোটেলে
চলে যায়।কিছুদিন নিজেদের পরিচয়
গোপন রাখে জেনো ভাবির আব্বু
জানতে না পারে।পাসওয়ার্ড ভিসা
ঠিক হতেই দুজন হাসমত দাদার
কাছে চলে যায়।হাসমত দাদা আব্বুর
চাচা।কখনো উনার কাছে যাওয়া
হয়নি কিন্তু শুনেছিলাম অনেক ছোট
থেকেই তিনি সেখানে থাকে।তারপর
তো সবাই জানেন ভাইয়া আর ভাবি
কিভাবে দেশে ফিরে আসে।যার জন্য
তাদের কাছে পেয়েছি সেই পিচ্চিটাই
এখন কাছে নেই।
⁂*******বর্তমান*****⁂
রাঙামাটি প্রায় কুড়ি দিনের মতো
ছিলাম।মনটা আগের থেকে হালকা
লাগছে তবে পিচ্চিটাকে পুরোপুরিভাবে
ভুলতে পাড়িনি,হয়তো পাড়বোও না।
রাতে সব কিছু গুছিয়ে রাখলাম।কাল
সকাল হতেই বাসায় চলে যাবো।পরের
দিন ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নাস্তা
করে বেরিয়ে পড়লাম,গন্তব্য বাসা।
রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে বাসায়
আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেলো।
বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে ঘুম দিলাম।
আস্তে আস্তে সব স্বাভাবিক হতে শুরু
করলো।কলেজে যাওয়া,বন্ধুদের সাথে
আড্ডা দেয়া,বাসায় সবার সাথে সময়
দেয়া মনে হচ্ছিলো কিছুই হয়নি।কিন্তু
একটা শূন্যতা মনের ভিতর ঝাক বেধে
বসে আছে।চাইলেও বের করে ফেলে
দিতে পারবো না।কলেজে বন্ধুদের
জন্য অপেক্ষা করছি তখন তানিয়া
আসলো।তবে অবাক করার বিষয়
হলো সে একা।
তানিয়াঃহাই
আমিঃহুম
তানিয়াঃকেমন আছো?
আমিঃভালো
তানিয়াঃমন খারাপ?
আমিঃজেনে লাভ আছে?
তানিয়াঃএমনি বললাম,তোমার সাথে
সেদিন যে মেয়েকে দেখলাম ও কোথায়?
আমিঃঅপমান করতে আসছিস?
তানিয়াঃঅপমান করতে আসবো কেনো?
আমিঃভাবি হয়তো বলেছে কি হয়েছে
সেসব শুনে আসছিস আমার কাছে।
তানিয়াঃআপু আমাদের সাথে এখনো
আগের মতোই যোগাযোগ বন্ধ রাখছে।
আমিঃওহ
তানিয়াঃফ্রেন্ডস?
আমিঃনো থ্যাংকস
তানিয়াঃওকে,আর সরি সব কিছুর জন্য।
আর কোনো কথা না বাড়িয়ে উঠে চলে
গেলো।তখনি প্রিয়া আসলো।
প্রিয়াঃকি বললো রে?
আমিঃবন্ধু হতে চাইলো
প্রিয়াঃকি বললি?
আমিঃনা করে দিছি
প্রিয়াঃওহ,তবে ও আগের থেকে
অনেক চেঞ্জ হয়েছে।
আমিঃআমার মনে হয় না।
প্রিয়াঃসে যাই হোক,আসছিস কখন?
আমিঃঅনেকটা সময় নিয়েই।ওরা
কি আসবে না?
প্রিয়াঃনা
আমিঃকেনো?
প্রিয়াঃকিছু একটা সমস্যা হয়েছে তোর
এই অবস্থাতে তোকে কিছু বলেনি।
আমিঃওহহ
প্রিয়াঃচল আজ ক্লাস করবো না।
আমিঃকই যাবি?
প্রিয়াঃলেকের পাড় যায়
আমিঃএই রোধের মধ্যে না।
প্রিয়াঃওহ?
আমিঃঅনেক রোধ পড়েছে,বিকেলে
রোধ পড়লে তোকে নিয়ে যাবো।
প্রিয়াঃবিকেলে আমার টিউশনি আছে।
আমিঃআজ ছুটি দে
প্রিয়াঃকিন্তু
আমিঃবিকেলে কয়টা পড়াস?
প্রিয়াঃসব মিলিয়ে ১টা
আমিঃআগে যে ৩টা পড়াতি?
প্রিয়াঃপড়ার চাপ অনেক তাই সব না
করে দিছি।কিন্তু আন্টিটা কোনোভাবেই
ছাড়তে রাজি হয় না।তাই বাধ্য হয়ে
পড়াতে হচ্ছে।
আমিঃকল দিয়ে বল আজ যাবি না।
প্রিয়াঃহু এমন করলে একদম বাদ
দিতে হবে।নেহাত আন্টিটা অনেক ভালো।
আমিঃছেরে দিলে তো তোর ভালোই হবে।
প্রিয়াঃহু হবে,কিন্তু হাত খরচের টাকা?
আমিঃকতো টাকা লাগবে
প্রিয়াঃফাজলামো বাদ দে
আমিঃহুম।আচ্ছা প্রিয়া,তোকে যদি একটা
ইচ্ছা পূরণ করার সুযোগ দেয়া হয় তখন
তুই কোন ইচ্ছা পূরন করবি?
প্রিয়াঃঅসহায় মানুষদের থাকার ব্যবস্থা
করে দেবো।চাইনা তারা প্রচণ্ড রোধে
রাস্তায় বসে থাকুক,এটাও চাই না তারা
কনকনে শীতের মধ্যে কোনো পোশাক
ছাড়া রাস্তায় বসে থাকুক।
আমিঃওহহ
প্রিয়াঃআর তোর কি?
আমিঃজানিনা,এখন কিছু মাথায় আসছে না।
প্রিয়াঃচল ক্লাসে যাবো
আমিঃহুম চল
আর কোনো কথা না বাড়িয়ে দুজন ক্লাসে
চলে আসলাম।সব গুলো ক্লাস করে
প্রিয়াকে বিদায় দিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
এভাবেই চলছিলো দিনকাল।।
********২বছর পর*********
অনার্স শেষ করার পাশাপাশি মাস্টার
কমপ্লিট করতে দুটো বছর চলে গেলো।
কিন্তু জান্নাতের কোনো খোজ পায়নি।
আব্বু মাঝে মাঝে চাচ্চুকে কল দেয়
কিন্তু সেটা অল্প কিছু সময়ের জন্য।
আম্মুর রাগটা আগের থেকে সামান্য
কমেছে,দিনের বেশিরভাগ সময়টা
আভাবে নিয়ে কাটাই।ভাবিও এখন
নিজের পরিবারের সাথে টুকটাক কথা
বলে তবে এখনো তাদের বাসাতে যায়নি।
আর এদিকে আমি বেকার,বাসায়
শুয়ে বসে দিন কাটাই।চুল দাড়িও
অনেকটা বড় হয়ে গেছে,এলাকার
পোলাপান তো অনেকেই অনেক
কথা বলে।কিন্তু সেদিনে কান না
দিয়ে একাকী জীবন পার করছি।
রাতের বেলা শুয়ে ফেসবুক চালাচ্ছি
তখনি ফোনে একটা মেসেজ আসলো।
—Hi
কিছু না ভেবে রিপ্লে দিলাম।
আমিঃহ্যালো
—কি করেন?
আমিঃকিছু না
—বাসায় কে কে আছে?
আমিঃআপনি কে?
—একটা মানুষ
আমিঃজ্বি সেটা বুঝতে পাড়ছি কিন্তু
আপনি কে?পরিচয় দিন।
—পরিচয় দিলে চিনবেন?
আমিঃচেষ্টা করতে পাড়ি।
—মায়াবিনী
আমিঃএটা আপনার প্রোফাইল নাম
—আমার আসল নামটাও এটাই
আমিঃমজা নেয়া হয়ে গেলে বাই
—আরে শুনুন
আমিঃকি?
—কাউকে ভালোবাসেন?
আমিঃনা
—আগে বাসেন নাই?
আমিঃআপনার আজাইরা কথা যদি
বলা শেষ হয় তাহলে রাখছি।
—আপনি তো দেখছি সেই ত্যাড়া
আমিঃজ্বি ধন্যবাদ
—আচ্ছা শোনেন একটা কথা বলবো।
আমিঃহুম
—আপনাকে বিয়ে করতে চাই?
আমিঃআমারো ইচ্ছা করছে তবে সেটা
বিয়ে নয় ব্লক লিষ্টে ফেলতে। আলবিদা।
কোনো কথা না বাড়িয়ে একদম ফেসবুক
থেকে ব্লক করে দিলাম।অনলাইন থেকে
বের হয়ে “মনটা অবাধ্য”গানটা প্লে করে
ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।এভাবে আরো
কিছুদিন চলে গেলো।তবে আজকাল
আব্বুকে কেমন একটা দেখায়।মনে
হয় কিছু একটা নিয়ে টেনশনে আছে।
কিন্তু কারো সাথে এটা নিয়ে কখনো
কথা বলে না।আম্মু নিজেও কয়েকবার
জিজ্ঞাস করেছে কিন্তু কখনো বলেনি।
আভা বড় হচ্ছে,প্রায় ৩বছরের বেশি
হবে।হাটতে পাড়ে কিন্তু স্পষ্ট করে
কথা বলতে এখনো শেখেনি।
ছুটির দিনে সবাই বাসায় বসে আছি
তখনি চাচ্চু আর ছোট মা আসলো।
উনাদের দিকে না দেখে প্রথমেই
আম্মুর দিকে তাকালাম। প্রথমে
মুখে একটা হাসি ভেসে উঠলেও
নিমিষেই হারিয়ে গেলো।উনাদের
দেখে সবাই দাঁড়িয়ে গেলাম।
চাচ্চুঃকেমন আছো ভাই?
আব্বুঃএইতো ভালো,আয় বস।
চাচ্চুঃহুম
আব্বুঃতা কি মনে করে?
চাচ্চুঃআমাদের অনেক আগেই
আসার কথা ছিলো।কিন্তু সাহস
হয়ে ওঠেনি।কিন্তু আর কতোদিন
এভাবে থাকবো..!ভাইয়ের কাছে
তো ক্ষমা চাইতেই হতো তাই চলে
আসলাম।আমরা দুজন সত্যি ভাই
অনেক লজ্জিত জান্নাতের সেদিনের
ব্যবহারের জন্য।আর তুমি তো জানো
ওকে কখনো শাসন করা হয়নি।তাই
নিজের ইচ্ছাতে অনেক ভুল করে
কিন্তু কি বলবো ওকে।তোমরাও
তো ওকে কিছু বলোনি তাহলে আমি
বা নাফিসা কি করে ওর গায়ে হাত
তুলি?অনেক কান্না করে ফোন দিয়ে।
আব্বুঃজান্নাত তোদের সাথে কথা বলে?
চাচ্চুঃহুম গত ১বছর ধরে।
আব্বুঃও আছে কোথায়?
চাচ্চুঃসেটা কিছু বলেনা।তোমরা ওকে
ক্ষমা করে দিলে দেশে ফিরবে।
আব্বুঃওসব ভুলে যা,ওকে দেশে নিয়ে আয়।
চাচ্চুঃভাবি আমরা জানি তুমি আমার
মেয়েটাকে নিজের মেয়ের মতোই
ভালোবাসতে।জানিনা ওর মাথায়
কি চেপেছিলো যার জন্য তোমার
মতো মাকে হারিয়েছে।কিন্তু ভাবি
প্লিজ তুমি আমার মেয়েকে মাফ করে
দাও।আমার মেয়েটাকে আমাদের
কাছে আসার জন্য প্লিজ ওকে মাফ
করে দাও??
আম্মুর দিকে তাকালাম দেখলাম
কান্না করছে।মুখ দিয়ে কিছু না
বলে মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যা বললো।
চাচ্চু কথা না বাড়িয়ে পকেট থেকে
ফোন বের করে কাকে জেনো ভিডিও
কল দিলো।প্রথমে আম্মুর কাছে
ফোন দিলো।কথা বলার আগেই
ঝরঝর করে কান্না করে দিলো।
আম্মুঃবিয়ে করবি না সেটা একবার
হলেও আমাদের বলতে পারতি।
জান্নাতঃসরি বড় আম্মু আমি
তখন কিছু বুঝতে পারছিলাম না।
আম্মুঃচলে আয় দেশে
জান্নাতঃহ্যা
আম্মুঃতোর বড় আব্বুর সাথে কথা বল
জান্নাতঃহুম
আব্বুঃকোথায় আছিস?
জান্নাতঃকোথাও আছি,তোমাদের
অফিসে কোনো একটা পদ হবে?
আব্বুঃকেনো?
জান্নাতঃজয়েন্ট করবো।
আব্বুঃম্যানেজার হলে চলবে?
জান্নাতঃএতো বড় দায়িত্ব কেনো?
আব্বুঃতুই আগে দেশে আয়।
জান্নাতঃহুম আর বড় আব্বু
আব্বুঃহ্যা বল
জান্নাতঃনা কিছু না।আচ্ছা রাখছি
আব্বুঃবল কি বলবি
জান্নাতঃকিছু না,আভাকে দেখাও
আব্বুঃহুম ঐযে
তাদের এমন কথা বলা দেখে এক
চিলতে হাসি দিয়ে বাসা থেকে বের
হয়ে লেকের পাড় চলে এলাম।
আর বাসায় থেকেও তো আমার
লাভ নেই।যেখানে সবার সাথে কথা
বলতে ব্যস্ত আমার সেখানে না থাকাই
বেটার।আর কথা বলবেই বা কি করে
নামটাই হয়তো মনে নেই।
চলবে…………