পিচ্চি চাচাতো বোন(সিজন ২),পর্বঃ১০
আবির হাসান নিলয়
ব্রেক টাইম দেয়ার আগেই লাঞ্চরুমে
বসে আসি।উদ্দেশ্য জান্নাতের থেকে
প্রতিশোধ নেয়া।কিছু সময়ের ব্যবধানে
সবাই এসে হাজির হলো।অফিসের
কাজে সিনিয়র জুনিয়র থাকলেও
সবাই একসাথে লাঞ্চ করার রুলস
আগে থেকেই আব্বু করে রেখেছেন।
সে যাই হোক বসে আছি তখন ভাইয়া
এসে বসলো।
ভাইয়াঃকখন আসছিস?
আমিঃঅনেকক্ষণ হলো।
ভাইয়াঃজান্নাত এখানে আয়
জান্নাতঃনা ভাইয়া আমি ঠিক আছি
ভাইয়াঃআরে আয় তো
আমিঃনা আসলে এতো জোর করছিস
কেনো?ম্যানেজার মানুষ একটু ভাব আছে না।
কিছু না বলে চোখ দেখিয়ে আমাদের
টেবিলেই বসলো।
ভাইয়াঃতো কি খবর?
আমিঃমিমির পিছে লেগে আছি
ভাইয়াঃমিমি কে?
আমিঃতোর শালি,তবে তুই চিনিস না।
ভাইয়াঃচুপ থাক,আর তোরা ঘুরতে
যাচ্ছিস না কেনো?
আমিঃকারা?
ভাইয়াঃতুই আর জান্নাত
আমিঃহাহাহা,উনার সাথে আমি ঘুরতে
যাবো?উনি তো একে ম্যানেজার তার
উপর বিদেশ থেকে কাকে পটিয়ে বিয়ে
করে ফেলছে কে জানে।
জান্নাতঃদেখুন আপনি কিন্তু সবকিছু
না জেনে উল্টাপাল্টা বলছেন।
আমিঃওহ,তাহলে কি আপনার বিয়ে
হয়নি মি. নিলয়ের সাথে??
জান্নাতঃআপনি বা** দুই লাইন বেশি
বোঝেন।আপনার যা ইচ্ছা করেন
আমাকে জড়াবেন না।
আমিঃআপনি কে ভাই?যে আপনাকে
আমার কথার মাঝে জড়াবো।আপনি
নিজেই এখানে বসছেন।
জান্নাতঃভাইয়া বসতে বলছে।
আমিঃঅপরিচিত কেউ বসতে বললো
আর আপনার বসতে হবে?
ভাইয়াঃআমি জান্নাতের অপরিচিত?
আমিঃহ্যা
জান্নাতঃনা
আমিঃহ্যা বলছি না
জান্নাতঃনা
আমিঃআমি আপনার কে?
জান্নাতঃকেউ না
আমিঃতাহলে আমার ভাইয়া আপনার
কি হয়(দ্রুত বললাম)
জান্নাতঃকেউ না…সরি ভা….
আমিঃদেখলি
জান্নাতঃভাইয়া উনি আমাকে কনফিউজড
করে কথাটা শুনছে।
আমিঃবেশি কথা বলবেন না প্লিজ।কারণ
খাওয়ার সময় বেশি কথা বলতে নেই।
জান্নাতঃআমি না আপনি বেশি কথা
বলছেন?ডিস্টার্ব একটা।ভাইয়া আমি
অন্য টেবিলে যাচ্ছি।
আমিঃটাটা
জান্নাতঃকুত্তা ?
আমিঃধন্যবাদ
আর কথা না বাড়িয়ে অন্য টেবিলে
বসলো।ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে
অনেকটা সময় হাসলাম।
ভাইয়াঃহাসছিস কেনো?
আমিঃনা এমনি
ভাইয়াঃওকে রাগানোর কি দরকার ছিলো?
আমিঃআমি রাগাতে যাবো কেনো?
সে যদি নিজে থেকেই রেগে যায় তাহলে
আমি কি করবো বল?
ভাইয়াঃতাই বলে তোর ওকে……
আমিঃহু,এ কিছু না।সামনে এর থেকেও
বড় কিছু অপেক্ষা করছে ওর জন্য।
ভাইয়াঃএমন কিছু করিস না যার জন্য
সারাজীবনের জন্য ওর কাছে নিচু
মানুষ হয়ে থাকতে হবে।
আমিঃহুম সেই জন্যই খুব শীঘ্রই ডিভোর্স দেবো
ভাইয়াঃতুই পাগল হয়ে গেছিস
আমিঃহয়তো আগে ছিলাম,তবে
এখন সুস্থ আছি।
ভাইয়াঃএখন কথা না বলে লাঞ্চ শেষ
কর।আর কাজ কি করছিস?
আমিঃকিছুই না,একটা ফাইল আছে
সেটা টুকটাক দেখছি।
ভাইয়াঃওকে
আর কোনো কথা না বলে ভাইয়ার সাথে
লাঞ্চ শেষ করলাম।ভাইয়া চলে যাওয়ার
পরেও কিছুক্ষণ বসে রইলাম।হয়তো
জান্নাতকে দেখার জন্য।কিন্তু বিপত্তি
হলো জান্নাতের পেছনের মেয়েটাকে নিয়ে।
অফিসে জান্নাতকে বড় কোনো ডোজ
দেয়ার একমাত্র হাতিয়ার কোনো মেয়ে
দিয়ে বিরক্তি করা।আহহহ,মাথায় এতো
হারামি বুদ্ধি আসে কোথা থেকে।টিফিন
গুছিয়ে রেখে জান্নাতের টেবিল থেকে
একটা চেয়ার টেনে নিয়ে ঐ মেয়েটার
কাছে বসলাম।পাশাপাশি টেবিল তাই
এক টেবিলে কিছু বললে অন্য টেবিলে
খুব সহজেই শোনা যাবে।
আমিঃহাই আমি নিলয়
নিলাঃআমি নিলা(হাত এগিয়ে দিয়ে)
আমিঃফ্রেন্ডস?
নিলাঃহাতে এঁটো লেগে আছে
আমিঃতাহলে থাক।অফিসে কতোদিন
থেকে কাজ করছেন?
নিলাঃ২৫ দিন
আমিঃনিউ
নিলাঃআপনিও তো নতুন,মাত্র আজ
আসছেন।আর আমাকে নিউ বলছেন।
আমিঃআসলে আমি আগে থেকেই
কাজ করতাম।কিন্তু জার্মান ট্যুরের জন্য
এক মাস ছুটি নিছিলাম।
নিলাঃওহহ,অফিস থেকে ছিলো?
আমিঃতা নয় তো কি,আমার মতো
সাধারণ ছেলে জার্মান যাওয়ার টাকা
আছে নাকি।
নিলাঃআমারও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
আমিঃঅফিস থেকে পার্টনার নিয়ে যেতে
বলছিলো।কিন্তু আমি তো সিঙ্গেল ছেলে
তাই কাউকে নিয়ে যায়নি।কিন্তু এখন
যদি আবার চান্স পাই তাহলে আপনার
মতো কিউট মেয়েকে নিয়ে যেতে কোনো
সমস্যা হবে না।
দুজন কথা বলছি তখনি পেছন থেকে
পিচ্চিটা,এখন পিচ্চি বললে ভুল হবে
আগে থেকে বড় হয়ে গেছে।সে যাই
হোক,পেছন থেকে বলল;
জান্নাতঃব্রেক টাইম শেষ। তাই কথা
না বলে যার যার কাজে চলে যান।
নিলাঃওকে ম্যাম
জান্নাতঃআর লাঞ্চ শেষ করে আমার
কেবিনে যাবেন নিলা।
আমিঃআমিও আসবো ম্যাম?
জান্নাতঃআপনার নাম যদি নিলা হয়
তাহলে আপনিও আসবেন।ইডিয়ট ?
জান্নাতের এমন রাগ দেখে না হেসে
পারলাম না।
নিলাঃআপনার জন্য এখন পানিশমেন্ট
খেতে না হয়।
আমিঃভয় পাচ্ছেন কেনো?
নিলাঃআপনি বুঝবেন না,আমি গেলাম।
আমিঃফ্রেন্ডস হওয়ার কি হলো?
নিলাঃফ্রেন্ডস
আমিঃথ্যাংকস
নিলাঃবাই
কথা না বাড়িয়ে দ্রুত রুম থেকে বের
হয়ে চলে গেলো।খেয়াল করলাম
সবাই চলে গেছে আমি ছাড়া।টেবিলের
উপর রাখা টিফিনটা নিয়ে ভাইয়ার
রুমে রেখে নিজের ডেস্কে আসলাম।
এরই মাঝে দুদিন চলে গেলো।অফিস
টাইম শেষ করে বের হবো তখনি
একটা অপরিচিত নাম্বার থেলে কল আসলো।
আমিঃকে বলছেন?
—কে হতে পারি?
আমিঃএকজন মেয়ে
—চিনতে পারছেন না?
আমিঃওহ নিলা?
—এই নিলাটা কে?
আমিঃআপনি নিলা না?
—আমি মিমি
আমিঃসরি,আসলে কাজের ফাঁকেফাঁকে
কতোবার যে নিলা কল করে তাই
ভেবেছিলাম আপনি নিলা।
মিমিঃনিলা কে?
আমিঃগার্লফ্রেন্ড
মিমিঃহোয়াট
আমিঃআমার না,আমার এক ফ্রেন্ডের।
ফ্রেন্ডটা অনেক অসুস্থ,তাই বার বার
কল দিয়ে জিজ্ঞাস করে খোজ নিচ্ছে।
মিমিঃতো আপনি না বললেন কাজের
ফাকে কল দিচ্ছে।
আমিঃআসলে আমি সেই বন্ধুটার ঐসব
কাজ করছি।আর ঐসব মানে কি সেটা
তো আপনি বুঝতেই…..
মিমিঃহু জানি আমি।
আমিঃতা প্রেমে পড়েছেন?
মিমিঃউহু,ভাবছি।
আমিঃতা কি মনে কল দিলেন?
মিমিঃরাতে একটা পার্টি আছে।
আমিঃকোথায়?
মিমিঃআড্ডা ঘরে,সব ফ্রেন্ডরা যাচ্ছে
তাদের হাসবেন্ড বা বিএফ নিয়ে।
আমিঃআমিও তো আপনার বয়,মানে
ফ্রেন্ড তাই না।
মিমিঃজ্বি না,জাস্ট আপুর দেবর।
আমিঃকিছুদিনের মধ্যেই অন্য কেউ হবো।
মিমিঃআসবেন কি?
আমিঃইনভাইট যেহেতু করেছো না গিয়ে
থাকতে পারি নাকি।আপনাকে পিক করতে
হবে কখন সেটা বলেন।
মিমিঃ৯টায়
আমিঃওকে
মিমিঃএখন রাখছি,বাই
আমিঃবাই
কল কেটে দিয়ে সামনে দিকে যাবো
তখন দেখলাম জান্নাত তাকিয়ে আছে।
এতো সুন্দর সুযোগ কি আর হাতছাড়া
করা যায়…!জান্নাতকে শুনিয়ে শুনিয়ে
বলতে লাগলাম;”পড়েনা চোখের পলক,
কি তোমার রুপের ঝলক। দোহাই লাগে
মুখটি তোমার দেখাইও আমাকে।আমি
জ্ঞান হারাবো,মরেই যাবো তোমার এই
ময়দা মাখা চেহারা দেখে।”
এটুকু বলতেই অফিস থেকে দেয়া গাড়িতে
উঠে চলে গেলো।আর কতো যে জ্বালাবো
রে তোকে আমি নিজেও জানি না।কুত্তী
ছেড়ে যাবি না,মারার কি দরকার ছিলো।
এখনো রাতের বেলা দুঃস্বপ্নে আমাকে
তারা করে তোর সেই বাসর রাতের মাইর।
দাঁড়িয়ে না থেকে বাইক নিয়ে বাসায়
চলে আসলাম।
বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে কিছু সময় বিশ্রাম
করার জন্য বসলাম।বলে রাখা ভালো,
জান্নাত আমার জন্য এখানে থাকে না।
কোনো এক হোস্টেলে থাকে।ওর লাইফ
ওর মতো করে চলুক তাই কিছু শুনি
নাই,কোথায় থাকছে,কি খাচ্ছে ইত্যাদি।
এসব ভাবছি তখন ভাবি আসলো।
আমিঃহ্যালো কিউটি
আভাঃচাত্তু
আমিঃআসো(কোলে নিয়ে বসালাম)
কখন আসলে বাসায়?
ভাবিঃবিকেলে
আমিঃবিয়ের কি খবর?
ভাবিঃআগামী সপ্তাহতে বিয়ে।
আমিঃগুড নিউজ আভা,তোর আন্টির
বিয়ে হয়ে যাচ্চে।ইয়াহু ?
ভাবিঃকিন্তু নীল এখনো রাজি হয়নি
আমিঃআব্বুর কথা বলো।
ভাবিঃকোনো কথায় শোনে না।তোর
কথা তো শোনে তাই তুই বলে দেখ।
আমিঃবলবো,কিন্তু এখন কিছু টাকা
লাগবে।ভাইয়ার থেকে এনে দাও।
ভাবিঃবললাম না,আমার সাথে কথা
বলছে না।তুই এখন একটু যা।
আমিঃপাগল নাকি,অফিস থেকে আসছে
এখন একটু বিশ্রাম নিক তারপর বলবো।
ভাবিঃহুম,কিন্তু টাকা দিয়ে কি করবি?
আমিঃবাইকের পেট্রল তুলবো এবং
তোমার বোনকে নিয়ে পার্টিতে যাবো?
ভাবিঃতুই অলরেডি বিবাহিত
আমিঃডিভোর্স লেটার রেডি করতে বলছি।
সব সমস্যা তোমাদের,তখন যদি আমাকে
ধরে বাল্যবিবাহ না দিতে তাহলে এতোদিন
ডিভোর্স লেটার রেডি হয়ে যেতো।
ভাবিঃআমরা তখন দেশে ছিলামও না
আমিঃতোমার শ্বশুর,শ্বাশুরিতো ছিলো
ভাবিঃহুম,আর তারা আপনার কি হয়?
আমিঃসে যাই হোক,ওটার জন্য লেট
হচ্ছে।ডিভোর্স দিয়ে তোমার বোনকে
বিয়ে করবো।
ভাবিঃআমি এসব জানি না।তুই রেস্ট
নে আম আভাকে নিয়ে যাচ্ছি
আমিঃউম্মাহ মামনি
আভাকে সাথে নিয়ে ভাবি চলে গেলো।
——————————————————–
বাসা থেকে সাড়ে ৮টার দিকে বাইক
নিয়ে বের হলাম।বেশি একটা দূরে
না।২০ কিংবা ২৫ মিনিট লাগবে।
হোস্টেলের নিচে এসে কল দিলাম।
আমিঃআমি আপনার হোস্টেলের নিচে
মিমিঃএকটা সমস্যাতে পড়ে গেছি
আমিঃকি?
মিমিঃআমরা তিনজন রুমমেট আছি।
কিন্তু একজন হঠাৎ করেই অসুস্থ
হয়ে পড়েছে।
আমিঃআপনার রুম কোনটা?
মিমিঃসেকেন্ড তলা ৭নাম্বার রুম।
আমিঃওকে
বাইকটা এক পাশে করে উপরে চলে
গেলাম।রুমটা আলাদা করে খুঁজতে
হয়নি,কারণ সব গুলো এক সিরিয়ালে।
সে যাই হোক,রুমের মধ্যে যেতেই
দেখলাম পিচ্চিটা ফোন হাতে নিয়ে
দাঁড়িয়ে আছে।
আমিঃআপনি এখানে?
জান্নাতঃকুত্তা তুই এখানে কেনো?
আমিঃহোয়াট দ্যা কথাবার্তা।চিনো
আমারে,যে তুই তুকারি করে বলছেন।
জান্নাতঃদেখ মেজাজ খারাপ করবি
না।এমনিতেই সমস্যায় আছি।যা
বলার তাড়াতাড়ি বলে কেটে পর।
আমিঃও হ্যালো,আপনার জন্য আসিনি।
ওয়েট এটা ৭নাম্বারই তো?
জান্নাতঃতোর চোখ নেই?
আমিঃওহ তাহলে ৭ই হবে।
জান্নাতঃকি চাই এখানে?
আমিঃতোর রুমমেটকে
জান্নাতঃমানে?
আমিঃআমার আর মিমির মধ্যে একটা……
জান্নাতঃতোর আর মিমির মধ্যে কি?
আমিঃচক্কর চলছে
জান্নাতঃশুয়োর নিজের বউ থাকতেও
অন্য মেয়ের সাথে ডেট করিস….
টেবিলে থাকা বই ছুরে মারলো।ক্রিকেট
খেলে ক্যাচ ধরতে শিখেছি না হলে নেহাত
মুখে এসে লাগতো।
আমিঃআপনার মুখের ভাষা ঠিক করেন
জান্নাতঃকরবো না কি করবি তুই?
(কলার ধরে বলল)
আমিঃএখন আমার দোষ তাই না,সব
কিছু ছেড়ে তোকে বিয়ে করেছিলাম না?
আর তুই বিয়ের রাতেই আমাকে ছেড়ে
চলে গেছিস অন্য কারো কাছে।আর
এখন আমি নতুন করে আমার লাইফটাকে
এনজয় করছি আর তুই এসে এসব
বলছিস।তোর মাথাতেই সমস্যা আছে।
জান্নাতঃসমস্যা আমার না তোর।
আমিঃতাই নাকি,তাহলে চ…….
আর কিছু বলার আগেই ওয়াশরুম
থেকে মিমি এবং একটা মেয়ে আসলো।
আমিঃএটা কে?
মিমিঃআমার জুনিয়র বোন।জান্নাত
তুই কল করে জানিয়ে দিছিস?
জান্নাতঃহ্যা,কিছু সময়ের মাঝেই
নিয়ে চলে আসবে।
আমিঃএখন কি করবেন?
মিমিঃওকে স্যালাইন দিতে হবে।
আমিঃবাহ,হবু বউয়ের তো দেখছি
অনেক এক্সপেরিয়েন্স।
মিমিঃসবার সামনে অন্তত চুপ করেন।
আমিঃতা ঠিক,এখনকার সময়ে একজনের
ভালোবাসা দেখে অন্যরা সহ্য করতে পাড়ে না।
মিমিঃচুপ করেন,জান্নাত তুই ওর পাশে
থাকতে পাড়বি?আমার যেতে হবে।
জান্নাতঃহ্যা,কিন্তু স্যালাইন লাগানো
মিমিঃওহ,সেটা আমি লাগিয়ে যাবো
জান্নাতঃওকে
কিছু সময়ের জন্য সবাই চুপ হয়ে রইলাম।
মুচকি হাসি দিতেই জান্নাত বললো;
জান্নাতঃমিমি আপু,উনি আপনার কে?
মিমিঃআমার ফ্রেন্ড
আমিঃবয় ফ্রেন্ড
জান্নাতঃআপনার কাছে শুনেছি?
আমিঃঢং
জান্নাতঃআমি কিন্তু রাস্তায় এই ছেলেটাকে
দেখেছিলাম।নেশা করে কয়েকটা মেয়ের
সাথে বাজে ব্যবহার করেছিলো।
মিমিঃকিহহ
জান্নাতঃহ্যা আপু,আমাকেও বাজে মন্তব্য
করেছিলো।একা ছিলাম তাই কিছু বলিনি।
মিমিঃও সত্যি বলছে?
আমিঃআরে একে তো আমি চিনিই না।
জান্নাতঃড্রিংক করার পর মানুষের হুশ থাকে?
মিমিঃআমি আস……..
কিছু বলার আগেই মধ্যবয়সী একটা লোক
এসে প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে গেলো।মিমি
সেটা খুলে অসুস্থ মেয়েটাকে লাগিয়ে
দিয়ে রেডি হতে গেলো।
আমিঃতুই ওকে আজাইরা কথা বলছিস কেন?
জান্নাতঃআমি আজাইরা না,তুই আজাইরা
কথা বলছিস।তুই আমাকে রাগানোর জন্য
মিমি আপুর সাথে রিলেশন করছিস।
আমিঃহাহাহা,তোকে রাগাতে যাবো কেনো?
মিমিঃএইযে মিমি আপু আমার রুমমেট
আমিঃআমিও জানতামও না তুই এই
হোস্টেলে থাকিস।জানলে বাসর রাতে
যেটা অপূর্ণ ছিলো সেটা করতাম।
জান্নাতঃছি:
আমিঃছি: বলার কি আছে,,যখন স্বামীকে
ছেড়ে দিয়ে অন্য কারো কাছে গেছিলি
তখন কি হয়েছিলো?
জান্নাতঃমেজাজ খারাপ করবি না
আমিঃহুম,চুপ থাক তুই।
আর কোনো কথা না বলে জান্নাত সোফার
উপর বসলো।কিছু সময়ের মাঝে মিমি
রেডি হয়ে বাইরে আসলো।
আমিঃএকদম অপ্সরীর মতো লাগছে।
মিমিঃথ্যাংক ইউ,আর জান্নাত তোকে
ধন্যবাদ।বাইরে গিয়ে উনার সাথে
হিসাব মিটাচ্ছি।বাই।
আমিঃবাই জাহান্নাম সরি জান্নাত
জান্নাতঃশুয়োর
কোনো উত্তর না দিয়ে চলে গেলাম।
কুত্তীর মাথার কোন তার ছেড়া কে জানে।
বাইরে এসে মিমিকে বাইকে তুলে সোজা
আড্ডা ঘরে চলে আসলাম।আগে থেকেই
অনেকের সমাগম ছিলো,আমরা এসে
শুধুমাত্র জয়েন্ট করলাম।মিমি ওর কিছু
ফ্রেন্ডসদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো।
চলবে………………