পিছুটান,পর্বঃ ০১
লেখকঃ আবির খান
~ আরশি…এই আরশি, ঘুম থেকে উঠ মা। আজ তোর ভার্সিটিতে প্রথম ক্লাস। দেরি হয়ে যাবে তো।
আরশি ওর মায়ের ডাকাডাকিতে আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকায়। দক্ষিণা জানালা থেকে স্নিগ্ধ সকালের মিষ্টি রোদ এসে ওর চোখের উপর পড়ে। তাই ও চোখের উপর হাত রেখে বিরক্তি নিয়ে বলে উঠে,
~ উফফ, আম্মু তুমি রোজ রোজ এসেই আগে পর্দাটা সরাও কেন? আমার চোখে লাগে তো।
~ তোর ঘুম যাতে তাড়াতাড়ি ভাঙে তাই এই পন্থা। এবার তাড়াতাড়ি উঠ৷ ঘড়িতে কয়টা বাজে জানিস?
~ কয়টা?
~ নয়টা।
আরশি একলাফে উঠে বসে৷ আর অবাক কণ্ঠে বলে,
~ কিহ! নয়টা? আমাকে আগে ডাকবে না? সিট! দেরি হয়ে যাবে এখন আমার।
আরশির মা ওর দিকে ভ্রুকুচকে তাকিয়ে আছে। আরশি ওর মাকে রাগী হতে দেখে জিহবায় কামড় দিয়ে তার কাছে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে বলে,
~ আচ্ছা সরি। দোষ আমারই। তুমি রাগ করো না প্লিজ।
~ হুম। এবার তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিচে আয়৷ আমি আর তোর বাবা অপেক্ষা করছি। একসাথে নাস্তা করবো।
~ আচ্ছা আচ্ছা আসছি।
আরশির মা নিচে চলে যান। আরশি আড়মোড়া দিয়ে বেড ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে আয়নার সামনে যায়। নিজেকে কতক্ষণ ভালো করে দেখে লজ্জাসিক্ত একটা হাসি দিয়ে বলে,
~ হায়! আরশি তুই কত সুন্দরী। না জানি আজ কত ছেলে তোর উপর ক্রাশ খেয়ে পাগল হয়ে যাবে। উফফ! তাদের যে কিভাবে সামলাবি। হাহা।
সত্যি বলতে আরশি আসলেই অনেক সুন্দরী। ফরসা মেদহীন মুখ, কাজল কালো বড়ো পাপড়িওয়ালা মুক্তার মতো চোখ দুটো, খাড়া খাড়া নাক, অসম্ভব সুন্দর নেশা লাগানো গোলাপি মিষ্টি ঠোঁট, লম্বা ঘন কালো চুল আর বেশ আকর্ষণীয় একটা ফিগার আরশির। যে কোন ছেলেই ওকে পাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যাবে। ওর এত সুন্দর রূপ পাওয়ার একমাত্র কারণ ওর বাবা-মা। তাদের একমাত্র মেয়ে ও। বেশ আদর যত্নসহ কারে ওকে তারা বড়ো করেছেন। আরশির বাবা একজন বড়ো শিল্পপতি। টাকার কোন কমতি তার কাছে নেই। তাই বলা যায় আরশি সোনার চামচ মুখে দিয়েই বড়ো হয়েছে। ঢাকায় অনেক বড়ো একটা ডুপ্লেক্স বাড়িতে ও থাকে। তিন চারটা গাড়ি শুধু ওর জন্যই আছে। সবগুলো অনেক দামী দামী। আরশি দ্রুত ওয়াশরুম চলে যায়৷ ফ্রেশ হয়ে এসে ভার্সিটির জন্য রেডি হয়ে নেয়৷ আজ ও বেশ দামী একটা ড্রেস পরেছে। একদম প্রিন্সেসের মতো লাগছে ওকে। আরশি একদম রেডি হয়ে নিচে নাস্তা করতে চলে আসে। ও নিচে আসতেই দেখে ওর বাবা-মা ওর অপেক্ষায় বসে আছে। ওদের বাসায় একজন অনেক পুরনো কাজের সার্ভেন্ট আছে। তার নাম হলো, নায়লা। আরশি তাকে নায়লা আণ্টি বলে ডাকে। ওর সেই নায়লা আণ্টি ওকে দেখে বলে উঠে,
~ মাশাল্লাহ! আমাদের আরশিমনিকে তো আজ পরীর মতো লাগছে৷ দেখছেন আপনারা? আল্লাহ কারো নজর না লাগুক।
আরশি বেশ লজ্জা পেয়ে বসতে বসতে বলে,
~ আণ্টি আপনি সবসময় একটু বেশিই বলেন৷
~ ঠিকই বলেছে নায়লা। তোকে আজ অনেক সুন্দরী লাগছে মা।
— মেয়েটা কার দেখতে হবে না? (বাবা)
~ হ্যাঁ মেয়ে তো শুধু তোমার একারই।
~ আহ! আমি তোমাদের দুজনেরই। আণ্টি নাস্তা দেও তো আমার দেরি হচ্ছে।
~ আচ্ছা আচ্ছা।
নায়লা এরপর ওদের নাস্তা সার্ভ করে দেয়৷ আরশির মা যথারীতি বলে উঠেন,
~ তুই দাঁড়িয়ে আছিস কেন? বস।
~ থাক না আপা। আপনারা খান৷ আমি এটা ওটা এগিয়ে দিব নি৷
— আরে লায়লা বস বস। তোকে ছাড়া আমরা খেলেও আরশি খাবে না। দেখ খাবার নিয়ে বসে আছে।
নায়লা তাকিয়ে দেখে আসলেই আরশি অপেক্ষা করছে। ও আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না৷ আরশির পাশে বসে পড়ে। আর বলে,
~ আচ্ছা আমিও নিচ্ছি। এবার আপনারাও খান। (খুব খুশি হয়ে)
আরশিও এবার হাসি দিয়ে খাওয়া শুরু করে। নায়লার বয়স এখন ২৮। ওর স্বামী ওকে ছেড়ে দেওয়ায় বাঁচার তাগিদে কাজের সন্ধানে বের হয়েছিল ও৷ ভাগ্যক্রমে আরশি মা ওকে পেয়ে যায়৷ সেই থেকেই নায়লা ওদের পরিবারের একজন সদস্য হয়ে যায়। নায়লার মনে এখন বিন্দু পরিমাণ কষ্ট নেই। ও যে কত খুশি আরশিদের মতো একটা পরিবারকে পেয়ে তা বলার বাইরে। অবশ্য এই ভালো লাগার মূখ্য কারণ হলো আরশি নিজেই। কারণ আরশির সবচেয়ে কাছের মানুষটা হলো এই নায়লা। আরশির বয়স এখন আঠারো চলে। সামনের মাসেই ও উনিশে পড়বে৷ ওদের বয়সের গ্যাপ অতটা বেশি না হওয়ায় নায়লা ওকে আপু বলে ডাকতে বলেছিল। কিন্তু আরশি বলে ওকে আণ্টি বলে ডাকবে। কারণ আতশির কোন আণ্টি নেই। মানে ওর মায়ের কোন বোন নেই। সেও একদম ওর মতো একা। তাই নায়লা হাসিমুখে তা গ্রহণ করে। সেই থেকেই আরশি নায়লাকে আণ্টি বলে ডাকে। ওদের মাঝে সম্পর্কটা অনেক গভীর। আরশি ওর মনের সব কথা নায়লাকে বলে। নায়লাও ওর সাথে তাল মিলিয়ে ওর সব কথা শুনে৷ ওর বিপক্ষে কখনো যায় না। যার জন্য আরশির আরও বেশি ভালো লাগে নায়লাকে।
আরশি দ্রুত নাস্তা করে উঠে পড়ে। হাত ধুয়ে ব্যাগ হাতে নিয়ে সবার কাছে এসে বলে,
~ তাহলে আমি আসি। তোমরা থাকো।
— যা। কোন সমস্যা হলে আমাকে বলিস৷
~ আচ্ছা।
~ সাবধানে যাস মা।
~ আচ্ছা আচ্ছা৷
নায়লাও দ্রুত খাওয়া শেষ করে আরশির সাথে সাথে বাইরে আসে। আরশি গাড়ির কাছে আসতেই ড্রাইভার ওর জন্য গাড়ির দরজা খুলে দেয়৷ আরশি নায়লার দিকে তাকিয়ে বলে,
~ আণ্টি যাই তাহলে?
~ আচ্ছা। সাবধানে যেও৷ ভাইজান সাবধানে যাবেন কিন্তু।
— জি অবশ্যই৷
আরশি গাড়িতে উঠতেই ড্রাইভারও গাড়িতে উঠে ওকে নিয়ে রওনা হয় ওর ভার্সিটিতে। আজ ওর প্রথম ক্লাস ভার্সিটিতে। গত পরশু দিন অরিয়েন্টেশন ছিল। সেদিনই দু’জন বান্ধবীও বানিয়ে ফেলে আরশি। আসলে তারা নিজে থেকেই ওর সাথে ফ্রেন্ডশিপ করতে আসে৷ আজ তাদের সাথে প্রথম ক্লাস ওর। আরশি খুব এক্সাইটেড হয়ে আছে। ও খুব ভালো ছাত্রী হওয়ায় নামকরা একটা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চান্স পেয়েছে ও। আগামী চার বছর এই ভার্সিটিতেই ও একাউন্টটিং নিয়ে অনার্স পড়বে৷
দেখতে দেখতে আধা ঘণ্টার মধ্যে ওরা ভার্সিটির সামনে চলে আসে। ড্রাইভার গাড়ি পার্ক করে দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে আরশির জন্য দরজা খুলে দেয়৷ আরশি গাড়ি থেকে নামতেই অনেক ছেলের চোখ ওর দিকে আটকে যায়৷ অনেকেই হা করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। আরশি ড্রাইভারকে বলে,
~ আমি ছুটি হলে এখানেই আসবো নি।
~ ঠিক আছে ম্যাম।
এরপর আরশি সোজা হাঁটা শুরু করে ওর ক্লাসের উদ্দেশ্যে। অনেক সিনিয়র ছেলেরা ওর দিকে তাকিয়ে ছিল। মনে হচ্ছিল চোখ দিয়ে ওকে গিলে খাচ্ছে। আরশি ঠিক যখনই ওর ক্লাসের বিল্ডিংয়ে ঢুকবে একদল ছেলে ওর রাস্তা আটকায়। তাদের মধ্যে থেকে যে সবচেয়ে সুন্দর সে আরশির দিকে এগিয়ে এসে বলে,
— হায়! আমি রায়হান। নাইস টু মিট ইউ৷ তুমি?
বলেই হাতটা বাড়িয়ে দেয়৷ আরশির প্রচন্ড খারাপ লাগছিল। ওকে যে এরকম একটা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়তে হবে ও কল্পনাও করে নি। এতগুলো ছেলের মাঝে ও একা। খুব ভয় করছিল ওর৷ আরশি ছেলেটার সাথে হাত না মিলিয়ে ভীতু কণ্ঠে বলে,
~ আমি আরশি।
— কি ব্যপার হ্যান্ডসেইক করলে না কেন? এটা কেমন অভদ্রতা? আমরা সবার তোমার সিনিয়র। জানো তো?
~ না মানে আসলে…
— কি মানে মানে করছো? ভাব নিচ্ছো? জানো আমি কে?
আরশি ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। ওর রীতিমতো কান্না চলে আসছে। ও স্বপ্নেও ভাবে নি ওর ভার্সিটি জীবন শুরু হতে না হতেই এরকম একটা খারাপ অবস্থার শিকার হতে হবে৷ আরশি কিছুই বলতে পারছে না। ভয়ে কাচুমাচু দিয়ে আছে। রায়হান আবার কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই ওর পাশের ছেলেটা ওকে টেনে টেনে বলে উঠছে,
— রায়হান তাড়াতাড়ি চল। নাহলে প্রবলেম হবে৷ রায়হান চল।
— কেন কি হয়েছে?
— দেখ কে দাঁড়িয়ে আছে।
আরশি সবটা শুনছিল। ও দেখে এবার ছেলেগুলো ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। যেন ওর পিছনে বাঘ এসেছে। বিশেষ করে রায়হান ছেলেটার মুখ দেখার মতো হয়েছে। ও আরশিকে আর কিছু না বলে শুধু এটা বলেই দৌড়।
— স্যার সরিইইই….
রায়হানের সাথে ওর বন্ধুরাও দৌড়ে পালায়। আরশি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। কি এমন স্যারকে ওরা দেখলো যে এত ভয় পেল! আরশি ঘুরে তাকানোর আগে বেশ ভারী পুরুষালী কণ্ঠ ওর পিছন থেকে ঘুরে এসে সামনে দাঁড়িয়ে বলে,
— আপনি ঠিক আছেন? ওই রাস্কেল ছেলেগুলোকে আবার সায়েস্তা করতে হবে দেখছি। ওরা কি খারাপ কিছু বলেছে আপনাকে?
আরশি স্যারটার দিকে তাকিয়ে পুরো স্তব্ধ হয়ে যায়। বেশ ইয়াং এবং হ্যান্ডসাম একটা স্যার। দেখতে পুরো হলিউড নায়কের মতো। উঁচা লম্বা সুঠাম দেহ, গায়ের রঙ শ্যামলা, গালে হালকা চাপ দাড়ি, চুলগুলো বেশ ঘন কালো তবে মাঝারি আকারের। মানে বেশি বড়োও না আবার ছোটও না। চোখে জিরো পয়েন্ট এর চশমা। আর দেখতে কিছুটা রাগী রাগী৷ এরকম স্যার আরশি আগে কখনো দেখেনি। ও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। তার উপর নায়কের মতো কোথা থেকে এসে ওকে এতগুলো ফালতু ছেলের হাত থেকে বাঁচিয়েছে৷ আরশি তো পাগল হয়ে যাচ্ছে এই স্যারকে দেখে। এদিকে স্যার তার কোন কথার উত্তর না পেয়ে আরশিকে এভাবে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে সে হালকা একটা কাশি দিয়ে উঠে। সাথে সাথে আরশির হুশ হয়। ও লজ্জায় মাথা নিচু করে বলে উঠে,
~ নো নো স্যার। ওরা খারাপ কিছু বলে নি।
— ওহ! আচ্ছা তাহলে আপনি ক্লাসে যান৷ একটু পরই ক্লাস শুরু হবে৷
~ ও..ওকে স্যার। স্যা..
আরশি অচেনা এই স্যারকে থ্যাংকস দিতে নিয়েও পারে না। স্যার হনহন করে কোথায় যেন চলে যায়। সাথে ওর মনটাও নিয়ে যায়। আরশি লজ্জাসিক্ত হয়ে দ্রুত ওর ক্লাসে চলে যায়। ক্লাসে ঢুকতেই ওর নতুন বান্ধবীরা ওকে দেখে বলে,
~ হায় আরশি, তোমার পুরো মুখ এমন লাল হয়ে আছে কেন? আর মুচকি মুচকি হাসছো দেখছি? কিছু হয়েছে? (অনু)
~ হ্যাঁ। ইসসস…(লজ্জায় মুখ ঢেকে ফেলে আরশি)
আরশির ফ্রেন্ড দুজন বেশ কৌতূহল নিয়ে ওর পাশে বসে বলে,
~ কি হয়েছে কি হয়েছে প্লিজ আমাদের বলো না? (তন্নি)
~ বলছি বলছি। আসলে একটু আগে…
আরশি সবটা খুলে বলে। ও স্যারের খেয়ালে বিভোর হয়ে আছে। অনুও অনেক এক্সাইটেড হয়ে বলে,।
~ ইসস! আমরাও যদি স্যারটাকে দেখতে পারতাম।
~ আমারও খুব ইচ্ছা উনাকে আবার দেখার। কিন্তু আবার কখনো দেখা হবে কিনা জানি না৷ জানো ওনাকে প্রথম দেখেই ক্রাশ খেয়েছি। এই প্রথম আমি আরশি কোন ছেলের উপর ক্রাশ খেয়েছি। ইসস! উনি যদি আমার বয়ফ্রেন্ড হয় না। ইইইইই….(ও খুব লজ্জা পায়)
তন্নি হাসতে হাসতে বলে,
~ ধুর কি যে বলো না। উনি আমাদের স্যার। হয়তো বিয়েও করেছেন। তখন কি করবে?
~ না না৷ এ আমি মানি না৷ অসম্ভব। কি বলছো তুমি! (অস্থির হয়ে)
~ আরে শান্ত হও। ও মজা করেছে৷ (অনু)
~ হ্যাঁ হ্যাঁ আমি মজা করেছি। সত্যি। (তন্নি)
আরশি জানে তন্নির কথাটা সত্যি হতে পারে৷ তাহলে কি ওর ক্রাশকে আগে থেকেই কেউ নিয়ে গিয়েছে? আরশির মনটা খারাপ হয়ে যায়। ও মুখটা ভারী করে চুপচাপ বসে থাকে। অনু আর তন্নি এটা ওটা বলছে। কিন্তু আরশির সেদিকে কোন খেয়াল নেই। একটু পরই বেল পড়ে৷ সবাই সবার সিটে বসে পড়ে। হঠাৎ করেই একজন স্যার আরশির ক্লাসে ঢুকেন। সবাই তাকে দাঁড়িয়ে সালাম দেয়৷ আরশি স্যারের দিকে না তাকিয়েই নিচে তাকিয়ে সালামটা দেয়। এবার স্যার বলে উঠেন,
~ অলাইকুম আসসালাম। কেমন আছেন সবাই?…আরে বসুন সবাই। দাঁড়িয়ে আছেন কেন৷
মুহূর্তেই আরশির কানে যেন সক লাগে। এ যে সেই পরিচিত ভারী পুরুষালী কণ্ঠ। ও কোন কিছু না ভেবেই হুট করে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে দেখে একটু আগের সেই স্যার ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। পুরো ক্লাসে ও একা দাঁড়িয়ে যাওয়ায় স্যারের নজরও ওর দিকে যায়। এদিকে আরশি অসম্ভব খুশি হয়ে স্যারের দিকে তাকিয়ে আছে। যেন হারিয়ে যাওয়া খুব মূল্যবান কিছু ও খুঁজে পেয়েছে আবার। স্যার ওর তাকানি দেখে একটু বিব্রত ফিল করেন৷ তবে সেও নিজেকে সামলে বলেন,
— আরে তুমি তো একটু আগের সেই মেয়েটা তাই না?
আরশি এবার ঘোর থেকে বের হয়। স্যারকে ওর একদম সামনে দেখে ও….
চলবে..?