পূর্ণময়ীর_বিসর্জন,৫,৬

0
1118

#পূর্ণময়ীর_বিসর্জন,৫,৬
#মৌমি_দত্ত
#পর্ব_৫

– ওকে সন্দেহ করলে লাভ হবে না ভাইয়া। দোষ বা ভুলটা আমাদেরই। বিদেশের মাটিতেই বাংলার বংশোদ্ভূত এক বিদেশিনী ও। আমরা একটু খেয়াল করলেই হয়তো বুঝতাম। একটু লক্ষ্য করে দেখো ওর চুল আর পাঁচটা বাঙ্গালী মেয়েদের মতো কালো না। কেমন বাদামী ভাব আছে ওর চুলে। শুধু তাই নয়, আমরা ভেবেছি ও গুছিয়ে কথা বলতে পারে না। হয়তো তা সত্যিও। কিন্তু ভালো করে শুনলে বুঝা যাবে ওর বাংলা টা কেমন যেন ভাঙ্গা ভাঙ্গা। হয়তো ও প্রতিবন্ধী না। অন্য কোনো ভাবে মানসিক সমস্যায় আছে।

রায়ান অনুবিকার কথা মন দিয়ে শুনলো।নার্সের দেখিয়ে দেওয়া ঔষধ ভাইয়ের হাতে তুলে দিয়ে অনুবিকা আলতো হাসলো।
– ও আমাদের পরিবারের অংশ ভাইয়া। আমার বোনের মতো।

রায়ানের যেন পছন্দ হয়নি বোন শব্দটা। রায়ান মৃদু হাসলো। সে পাগল হয়েছে নির্ঘাত। অনুবিকা বললো,
– ইশশ! মেয়েটা কিছু না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েছে। তোমার হাত ছাড়া তো ও খায় না। এখন কি যে হবে!

অনুবিকা এগিয়ে যাচ্ছিলো পূর্ণর দিকে। রায়ান হাত ধরে আটকে দিলো।
– থাক! একটু ঘুমাক। মুখ শুকিয়ে গেছে ওর।
রায়ানের কথা শুনে অনুবিকা মাথা নাড়লো।
– তুই খেয়ে আয় ক্যান্টিন থেকে। যা!
অনুবিকা ভ্রু কুঁচকে মানা করতে যাবে। তখনই রায়ান রেগেমেগে তাকালো। ভাইকে উত্তেজিত হতে দিতে চায় না সে। তাই মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানিয়ে চলে গেলো। রায়ান নিষ্পলক তাকিয়ে রইলো সামনে শুয়ে থাকা মেয়েটির দিকে। সে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। সুস্থ হলেই পূর্ণকে ভালো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে। নিজের অজান্তেই রায়ান বিড়বিড়িয়ে বললো,
– এতোদিন ছিলে মায়াবিনী এখন জানি বিদেশিনী। আর কতো রুপ তোমার?

পরক্ষনেই নিজের কথায় নিজেকে ধিক্কার জানুয়ে চোখ বুজলো রায়ান। এই মেয়ে সাংঘাতিক কোনো কুহকী।বেশি সময় তাকিয়ে থাকলে মোহ জালে ফাঁস খেতে হবে। ঔষধের কার্যক্ষমতার জন্য ঘুমিয়ে পড়লো রায়ান।
.
.
দেখতে দেখতে কেটে গেলো আরো এক সপ্তাহ। পূর্ণ নিজ হাতে খাওয়া শিখে নিয়েছে কষ্ট করে। কিন্তু রায়ান ছাড়া অন্য কারোর হাতে খাবে না প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেনি। রায়ান এই ৭ দিনে পূর্ণর সাথে ইংলিশেই কথা চালিয়েছে। আর যা বুঝেছে তা হলো পূর্ণ সত্যিই এখানকার না। সে লন্ডনেই বড় হয়েছে। কথাবার্তায় আরো বুঝেছে বায়োলজিকাল মেয়ে ছিলো না সে যাদের বাবা ও মা ভাবতো। তাই তারা ফেলে চলে গেছে। যদিও এতে পূর্ণর কষ্ট নেই। কারণ অতোটুকু বিকাশ ঐ মস্তিষ্কের হয়নি এখনো। এই ৭ দিনে রায়ান এই হাসপাতালেই একজন ডাক্তারকে দেখিয়েছে পূর্ণকে। অনেক বড় সাইকোলজিস্ট। পূর্ণ ভালো করে পর্যবেক্ষনের পর তিনি জানিয়েছেন পূর্ণ অটিস্টিক নয় মানসিক ভাবে হালকা অপরিপক্ক রয়ে গেছে। তার জন্য কাউন্সেলিং, পরিবারের সহযোগিতা আর কিছু ঔষধ পত্র যথেষ্ট। সময় সীমা বেঁধে দিয়েছে ডাক্তার ৬ মাসের। এই ৬ মাস পর আশা করা যায় পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে উঠবে অনেকটাই। যদিও আর দশটা মানুষের মতো চালাক চতুর হবে তা বলা যাচ্ছে না। রায়ান ইতোমধ্যেই পূর্ণর চিকিৎসা শুরু করে দিয়েছে। তাই পূর্ণর সময় রায়ানের কেবিন, ডাক্তারের কেবিন, রেহানা, আয়ান আর অনুবিকার সাথে হাসপাতালেই আড্ডা দিয়ে কেটে যায়। এখানের থেকে সে এই একসপ্তাহে এক পাও নড়েনি। তার জামা এখানেই এনে দেওয়া হয়েছে। সে রায়ানের কেবিনটাকেই নিজের রুম বানিয়ে নিয়েছে। পূর্ণ লন্ডনে স্কুল লাইফে সবে উঠেছিলো যখন তার বাবা মা বাংলাদেশে নিয়ে আসে তাকে আর ফেলে চলে যায়। তাই রায়ান সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ণর বাবা মাকে সে খুঁজবে। পূর্ণকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যে নয়। তার সকল কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্যে। এই দেশেই রেখে দেবে পূর্ণকে।
.
.
আজকে হাসপাতালে ৮ম দিন রায়ানের। আজকেই বাসায় ফিরে যাচ্ছে সে। মিস্টার হেনরিক ফেয়োল খোদ নিজে আসছেন আজকে বাংলাদেশে পূর্ণ ও রায়ানকে দেখতে। পূর্ণ রায়ানের ফিরে আসার জন্যে পুরো বাড়ি সুন্দর করে সাজিয়েছে অনুবিকাকে বলে। এই কয়েকদিন রায়ানের ঔষধপত্র, দেখভাল সব নিজের অপরিপক্ক মস্তিষ্ক ও একরাশ ভালোবাসা দিয়ে পূর্ণ নিজেই করে গেছে যা দেখে বাদ বাকি সকলে এমনকি পূর্ণর ডাক্তারও অবাক হয়েছে। পূর্ণর ডাক্তার সাজেস্ট করেছে যেন রায়ান পূর্ণকে একটু বেশি সময় আর প্রায়োরিটি দেয়। এতে করে পূর্ণর সেড়ে উঠার চান্স দ্রুত বাড়বে। রায়ানকে সকালবেলা ঘুম ভাঙ্গার পর ধরে ধরে পূর্ণ ওয়াসরুমের সামনে নিয়ে গেলো আর নিজে ওয়াসরুমের বাইরে দাঁড়িয়ে রইলো। এরপর রায়ান ফ্রেশ হয়ে নিলে তাকে এনে আবার খাটে বসালো। খালি পেটের দুটো ঔষধ দিয়ে দিলো। ততোক্ষনে অনুবিকাও চলে এসেছে। অনুবিকার থেকে স্যুপের বাটি নিয়ে আর বাদ বাকি দিনগুলোর মতো রায়ানকে খাইয়ে দিলো স্যুপ কেননা রায়ানের ডান হাতের কনুইয়ে আর মাথায় এখনো ব্যান্ডেজ আছে। রায়ানকে খাইয়ে দিয়ে কিছুক্ষন অনুবিকার সাথে বসে গল্পগুজব করলো আর নিজেও খেয়ে নিলো। এরপর রায়ানকে ঔষধ খাইয়ে নিজেও ঔষধ খেয়ে নিলো। রায়ানকে টিশার্ট পড়িয়ে দিলো অনুবিকার সাথে মিলে। প্যান্টটা রায়ান ওয়াশরুমেই পড়ে নিয়েছিলো। এরপর পূর্ণ অনুবিকার সাথে কথা বলতে বলতে এদিক ওদিক ছুটে ছুটে বাচ্চাদের মতো রায়ানের জিনিস গুছিয়ে নিতে লাগলো। রায়ান শুধু দেখছে পূর্ণর কার্যকলাপ। মাঝে মাঝে তার মনে হয় এই মেয়েটার ঠিক হওয়ার কোনো দরকার নেই। একটা রোগ রয়ে গেছে বলেই এতো ভালো লাগে মেয়েটাকে। হয়তো নিঁখুত বানাইনি আল্লাহ তাকে এই একটিমাত্র কারণে, যাতে সবাই তাকে প্রাণ খুলে ভালোবাসে।

বেচারা রায়ান, পূর্ণ এদের জীবনে কি হতে যাচ্ছে তা সম্পর্কে কোনো জ্ঞানই হয়তো এদের নেই।

চলবে,

#পূর্ণময়ীর_বিসর্জন
#মৌমি_দত্ত
#পর্ব_৬

রায়ান আর পূর্ণ গাড়িতে চড়ে বসলো। একটু আগেই রেহানা অনুবিকাকে কল করে দ্রুত মিষ্টি দই নিয়ে যেতে বললো। কেননা তাদের বাসায় ডাক্তার হেনরিক ফেয়োল এসছে। তাই অনুবিকা চলে গেছে। পূর্ণ গাড়িতে রায়ানের বুকের একপাশে মাথা রেখে বসে আছে। রায়ান গাড়ির জানলা দিয়ে প্রকৃতি দেখতে ব্যস্ত। আর ড্রাইভার আপন মনে ড্রাইভ করছে। হঠাৎ রায়ান বুঝলো পূর্ণ কেঁপে কেঁপে উঠছে। বসন্ত চলছে বলা যায়। শীত তো নেই আর। তাহলে পূর্ণ কেঁপে উঠছে কেন ভাবতে গিয়ে রায়ানের ভ্রু কুঁচকে এলো। মৃদু ভাবে শুকনো হয়ে যাওয়া ঠোঁট জোড়া ভিজিয়ে রায়ান ইংলিশে প্রশ্ন করলো,
– কি হয়েছে পূর্ণ?
পূর্ণ মাথা সড়িয়ে নিলো রায়ানের বুক থেকে। ঠোঁট উলটে মুখ ফুলিয়ে চোখে জল নিয়ে তাকালো রায়ানের দিকে। রায়ান যেন মূহুর্তের মাঝে অস্থির হয়ে গেলো। পূর্ণর একগালে নিজের ডান হাত রাখতে গিয়ে ব্যাথা অনুভব হলো তার। কিন্তু পূর্ণর চোখের জলকণা গুলো তার মস্তিষ্কে যেভাবে ঝড় তুলছে। সে অনুপাতে এ শারীরিক ব্যাথা কি একবিন্দুও গুরুত্ব রাখবার মিতো? পূর্ণ ভাঙ্গা বাংলায় বললো,
– রাজনীতি আর না। কথা দাও?
এই সাতদিনে হাসপাতালে করবার মতো কিছুই ছিলো না পূর্ণর। তাই অনুবিকা, রেহানা, আয়ান আর সর্বশেষে রায়ানের থেকে বাংলাটা শিখতে শুরু করেছে পুরোদমে। মাইন্ড অনেক শার্প বলে সাধারণের তুলনায় দ্রুত আয়ত্ত করছে সে ভাষাটা। তবে এখনো অনেকটা শেখার প্রয়োজন আছে তার। রায়ান তবুও এইটুকু বাংলা অনায়াসে বুঝলো। এই একই কথা যদি তাকে আয়ান সাহেব গর্জে, আদর করে বলতো। তাহলে মনে হতো বাবার জন্য সে তো সর্বদা থাকবে। চিন্তা কিসের বাবার এতো? কিন্তু এখন রায়ানের ক্ষনিকের জন্য বুক কেঁপে উঠলো। এই মেয়েটাকে এই রাজনীতির চক্করে হারাবে না তো? এতোদিন একবারও কিভাবে সে ভাবলো না নিজের বাবা, মা ও বোনের কথা? বাবা একজন ভালো ব্যবসায়ী। আর তার ছেলে রাজনীতি করে। না জানে কতোটা হেয় হতে হয় তাকে তার পার্টনার দের কাছে। মা’টা ঘরে একা থাকে। যদি কখনো বিরোধী দলের কোনো শত্রু আঘাত হানে তার উপর? বোনটাও তো একাই কলেজে যায়। সামনেই এইচএসসি। পাশ করবার পর সাইকোলজি নিয়ে পড়বে আশা রাখে। যদি রাজনীতির কারণেই কোনো শত্রুর কবলে পড়ে বোনটাকে হারাতে হয় তার স্বপ্ন গুলো? রায়ান যদি পরিবারের এই মানুষগুলোকে হারিয়ে ফেলে? যদি হারিয়ে ফেলে এই নিষ্পাপ প্রাণ যা রায়ান ছাড়া অচল? রায়ান চোখ বুজে নিলো। সিটে মাথা এলিয়ে দিলো। গায়ের মাঝে এক অনুশোচনার উত্তাপ সে অনুভব করছে যেন।হঠাৎ চোখ বুজে রাখা অবস্থায় সে বুঝলো পূর্ণ রায়ানের হাত গলে মাথা ঢুকিয়ে বুকে রেখেছে। উত্তাপ যেন মূহুর্তে মিশে গেলো হাওয়ায়। শুধুই একরাশ প্রশান্তি। আচ্ছা এভাবেই কি একটা মেয়ে এসে একটা যুবককে পরিপূর্ণ করে দেয়? তাই কি তার মা বিয়ের কথা বলে? পূর্ণ আসার আগেও সে পরিবারকে ভালোবাসতো। কিন্তু দায়িত্ব অনুভব করেনি কখনোই। এখন দায়িত্বের পাশপাশি ভালোবাসাটা কি তীব্র ভাবে আগলে নিচ্ছে না তার মস্তিষ্ক? পূর্ণর জন্য কি রাজনীতি ছাড়া যায়? নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করলো রায়ান। পরমূহুর্তেই তাচ্ছিল্য ভরে হাসলো।
.
.
হেনরিক সাহেবের বুকে ঘাপটি মেরে বসে কেঁদেই চলেছে অঝরে পূর্ণ। ঘরে ঢুকে সোফায় হেনরিক সাহেবকে দেখেই সে ছুটে যেতে চাইছিলো। কিন্তু আবারও ফিরে এসে রায়ানকে ধরে ধরে নিয়ে গেলো লিভিং রুমে বসে থাকা সকলের কাছে। রেহানার পাশেই একটা সোফায় বসিয়ে দিয়ে ছুটে গেলো হেনরিক সাহেবের দিকে। তারপর বুকে ঝাপিয়ে পড়ে কেঁদে চলেছে। উপস্থিত সবার খুব মায়া লাগছে মেয়েটির জন্য। হেনরিক সাহেব না পেরে মুখ খুললেন। ইংলিশে বললেন,
– কেঁদো না সোনা। কেন কাঁদছো তুমি?
পূর্ণ মাথা আরেকটু গুঁকজে দিয়ে বললো,
– ওরা আমায় ছেড়ে দিয়েছে হ্যান্ডসাম। ওরা আমায় এই ভীনদেশে ফেলে চলে গেছে। এতোটাই অনীহা তাদের আমার প্রতি? কেন ফেয়োল? ওরা তোমার মতো কেন হলো না? আমার মাঝে কমতি আছে তা আমি বুঝেছি। কিন্তু আমি বুঝে পাইনা এই কমতি কিভাবে কমাবো? আমাকে কেও ভালোবাসে না কেন ফেয়োল?
হেনরিক খুব মায়া অনুভব করলো। পূর্ণকে আগলে নিলো। সে কখনো বিয়ে করেনি। করলে হয়তো পূর্ণর মতো একটা সন্তান তারও থাকতো। হেনরিক পূর্ণকে জড়িয়ে ধরেই মুখ খুললো পূর্ণর সম্পর্কে সবাইকে জানাতে। কেননা বুঝা যাচ্ছে সবার মাঝে চাপা কষ্টের পাশাপাশি প্রবল কৌতুহল বিরাজ করছে।
– মিস্টার আবির ও মিসেস নিয়াশা নিঃসন্তান ছিলেন। অনেক চেষ্টার পরেও যখন তারা সন্তানের সুখ পেলো না। তখন তারা এডোপ্ট করলো একটি বাচ্চা। কিন্তু তা নিয়ে কখনোই তারা সুখী ছিলো না। তার প্রকৃত কারণ ছিলো মিসেস নিয়াশার কুটিল ভাই বাদল ও তার স্ত্রী হিয়া। তাদের সবসময় নজর মিস্টার আবির ও নিয়াশার সম্পদে। যা একটা সন্তানের জন্য বাঁধা পড়ে ছিলো। তাই তারা সবসময় তাদের মাঝে বিষ সৃষ্টি করতো রক্ত সম্পর্কিত কথা তুলে। আর তাতে সফলও হলো। মিস্টার আবির আর মিসেস নিয়াশা ঐ স্থানে নামকরা তাই এভাবেই পূর্ণকে ত্যাগ করা যেতো না। তাই তারা বাংলাদেশের ট্রিপে এসে পূর্ণকে ফেলে চলে যায়। আমরা সকলে জানতাম পূর্ণ এখানে স্টে করছে কারণ বাংলাদেশ তার ভালো লেগেছে।
হেনরিক থামলো। তার আর বলবার মিতো কিছুই নেই। পূর্ণর কান্না থেমে গেছে। তবুও হিচকি তুলে যাচ্ছে। আয়ান সাহেব কথা বদলালেন। আরো কিছু কথাবার্তার পর সবাই দুপুরের খাওয়া সেড়ে নিলো। হেনরিক জানালেন সে খুব অসুস্থ এক পেশেন্ট ফেলে এসছে অপারেশনের পর। তাকে আজকেই ফিরতে হবে। সন্ধ্যের দিকে সে ফিরে গেলো। পূর্ণর হালকা মন খারাপ হলেও রায়ানের সাথে থেকে তাও ভুলে গেলো। তবে এতো কিছুর মাঝে যে পূর্ণকে জড়িয়ে রায়ানের মাথায় ভয়ংকর কিছু চলছে তা কেও বুঝলোই না। বুঝবার কথাও না।
.
.

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here