প্রণয়_কোন্দল #মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম) পর্ব:১৩

0
833

#প্রণয়_কোন্দল
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:১৩

‘গতকাল এসেছ আর আজই চলে যাবে এখনো তো জামাই আদর ঠিক মতো করতেই পারলাম না।’

– এখানে আর এক মুহূর্তও থাকব না এখানে এসেই বউ আমাকে পাত্তা দিচ্ছে না একরাতেই আমায় ভুলে গেছে আর কয়েকদিন থাকলে তো আপনার মেয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করবে আপনি কে ভাইয়া? তখন আমার কি হবে! না না অঘটন ঘটার আগেই চলে যেতে হবে।

– বেয়াদব ছেলে।

উৎস শাওন হাসানের কথায় পাত্তা দিল না। শাওন হাসান শতাব্দীকে ডাক দিলেন। বাবার ডাক শুনে শতাব্দী দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করলো,

– হ্যা বাবা বলো।

– উৎস বলছে আজ নাকি চলে যাবে।

শতাব্দী উৎসের দিকে তাকালো।উৎস শাওন হাসানের উদ্দেশ্যে বলল,
– সাথে আপনার মেয়েকেও নিয়ে যাব এটা হয়তো বলতে ভুলে গেছেন।

– আমি এখন যাব না আরও কিছুদিন থাকব।

– আমিও তো এটাই বলছি আর কিছুদিন থেকে যা কিন্তু উৎস শুনছেই না।(শাওন হাসান)

উৎস মিটিমিটি হেসে বলল,
– আজ যাচ্ছি তবে যাচ্ছি না আবারও আসবো আপনার নাতি-নাতনি নিয়ে।

শাওন হাসান হালকা কাশলেন শতাব্দী ধমক দিয়ে বলল,
– ঠোঁট কাঁটা।

শতাব্দী রাগ দেখিয়ে চলে গেল।উৎসও ঘরে চলে গেল, শতাব্দী ব্যাগ গুছাচ্ছে আর উৎসের গুষ্টি উদ্ধার করছে।উৎস বিছানায় বসে শতাব্দীর দিকে তাকিয়ে আছে, শতাব্দী ব্যাগ গুছিয়ে উৎসের দিকে ছুঁড়ে মা’রলো। উৎস সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করলো না এখন বউয়ের রাগ ভাঙানোর চেয়ে বউকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দরকার হলে বাড়িতে গিয়ে বউয়ের হাতে ধরে রাগ ভাঙাবে তবুও বাড়িতে যেতেই হবে।

শতাব্দী ঘর থেকে বের হলো কয়েক মিনিট পর ফিরে এলো চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে সুহাকে কোলে নিয়ে।উৎস বিছানায় বসে ছিল তাই সুহাকে উৎসের কোলে দিয়ে বলল,

– ওকে একটু কোলে রাখুন আমি আসছি।

– বাচ্চা পালার ট্রেনিং করাচ্ছো!

– এসব কথা বললে মুখে মরিচ ঢুকিয়ে দিব।

– তুমি নিজেই তো ধানি লঙ্কা চাইলে তুমি নিজেই আসতে পারো কিন্তু আমার ছোট মুখে কিভাবে ঢুকবে?

– অসভ্য।

শতাব্দী আবারও ঘর থেকে চলে গেল।উৎস সুহাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে কোলে বসালো, সুহা বাম হাতের বুড়ো আঙ্গুল মুখে দিয়ে উৎসের দিকে তাকিয়ে আছে। উৎস মৃদু হেসে বলল,

– তাকিয়ে কি দেখছো?

সুহা উৎসের ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে আছে।সুহার বয়স নয় মাস এখনও কথা বলা শিখেনি।উৎস সুহার হাত ধরে গম্ভীর মুখে বলল,

– এত আদরের দরকার নেই তোমার ছোট ছোট হাত দিয়ে কখন আমার ঠোঁট ছিঁড়ে ফেলো ঠিক নেই ঠোঁট ছিঁড়ে গেলে তোমার ফুপিকে চুমু খাবো কি করে?

উৎসের আচমকা মনে হলো কেউ তার শরীরে গরম পানি ঢেলে দিচ্ছে। বুঝতে পেরেই সুহাকে কোল থেকে সরিয়েই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল।সুহা উৎসের কোলে হিসু করে দিয়েছে।উৎস শান্ত দৃষ্টিতে সুহার দিকে তাকালো,সুহাও উৎসের দিকে তাকিয়ে আছে। শতাব্দী সুহার জন্য খাবার নিয়ে ঘরে এসেছে, বিছানার কাছে এসে উৎসের অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করলো,

– আপনার প্যান্ট ভিজলো কিভাবে?

– এই বাচ্চাটা হিসু করে দিয়েছে।

উৎসের কথা শুনে শতাব্দী হেসে দিল, সুহাকে নিজের কাছে এনে বলল,
– মা আঙ্কেলের কোলে হিসু করেছ তুমি! হিসু না করে হাগু করতে পারতে তাহলে ভালো হতো।

– একে তো ডাইপার না পরিয়ে আমার কোলে দিয়ে গেলে এখন বাচ্চাটাকে হাগু করতে শিখাচ্ছো?

– আমার কোলে যখন ছিল তখন তো হিসু করেনি আপনার কোলে কেন করলো?

– নিশ্চই তুমি শিখিয়ে দিয়েছ।

– বাচ্চাদের কি এসব শেখানো যায় নাকি? আর শেখালেও ওরা শিখবে নাকি?

– তোমার দ্বারা সব সম্ভব।

– এখন ঝগড়া না করে চেঞ্জ করে আসুন।

– ঝগড়া তুমি করো আমি না।

বলেই ব্যাগ থেকে পোশাক বের করে বাথরুমে চলে গেল উৎস। এতক্ষণ ধরে চেপে রাখা হাসি বেরিয়ে আসছে শতাব্দীর।
_________

সকালে নাস্তা করেই শতাব্দীকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছে উৎস। এসে থেকেই ফ্রেশ হয়ে ড্রয়িং রুমে বসে আছে শতাব্দী।উৎস এবার শতাব্দীর পাশ ঘেঁষে বসলো, শতাব্দীর মোবাইলে উঁকি দিয়ে বলল,

– নিজের এত সুন্দর জামাই রেখে ফেসবুকে অন্য ছেলেদের দেখতে লজ্জা করে না উকিল সাহেবা।

– আসছে আমার সুন্দর জামাই আয়নায় নিজের চেহারাটি ভালো করে দেখে আসুন।

– অপমান করলে!

শতাব্দী চুপ করে রইলো।উৎস শতাব্দীর কাঁধে হাত রেখে বলল,
– বউ চলো না ঘরে যাই।

– যান আপনি নিষেধ করেছে কে?

– তুমিও চলো।

শতাব্দী শুনেও না শোনার ভান করে রইলো।উৎস আর কোনো উওর না পেয়ে শতাব্দীকে কোলে তুলে নিয়ে ঘরের দিকে হাঁটা ধরলো। আচমকা এমন একটা ঘটনা ঘটায় শতাব্দী ভরকে গেল, উৎস মুচকি হেসে বলল,

– বেহায়া বউকে এভাবেই নিয়ে যেতে হয়।

– কথায় কথায় কোলে তোলা, চুমু দেওয়ার অভ্যাস বাদ দিন।

– তুমিও জামাইয়ের অবাধ্য হওয়া বাদ দেও।

– এমন জামাইয়ের বাধ্য হওয়ার ইচ্ছে নেই।

– তাহলে আর কি কোলে উঠার এবং চুমু হজম করার অভ্যাস গড়ে তুলো।

– খবিশ লোক।

উৎস শতাব্দীকে কোলে নিয়ে বাথরুমে চলে এলো। শতাব্দী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
– বাথরুমে আনলেন কেন?

উৎস পৈশাচিক হাসি দিয়ে শতাব্দীকে পানি ভর্তি বাথটাবে শুইয়ে দিয়ে আবার বালতি থেকে মাথার উপর পানি ঢেলে দিল। শতাব্দী চেঁচিয়ে বলল,

– এটা কি হলো? এসবের মানে কি?

উৎস ভাব নিয়ে বলল,
– বলেছিলাম না সব শোধে আসলে ফেরত দিব, এবার দেখো কেমন লাগে।

– মামলা ঠুকে দিব বলে দিলাম।

– তোমার মামলায় আমি ভয় পাই নাকি?

শতাব্দী কটমট করে তাকিয়ে আছে।উৎস মিটিমিটি হাসছে।
.
.
কয়েকদিন ধরে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে তার কারণেই শীত শীত একটা ভাব লাগছে। অসময়ে অনেকক্ষণ পানিতে ভিজায় শতাব্দী শীতে কাঁপছে।উৎস একদৃষ্টিতে শতাব্দীকে দেখে যাচ্ছে, শতাব্দী কাঁপতে কাঁপতে বলল,

– এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? খুব মজা লাগছে আমার এই অবস্থা দেখে।

– মজা লাগবে কেন? আমি তো বলেছি আমাকে ধরে শুয়ে থাকো শীত আর কাঁপুনি চলে যাবে।

– আপনি একাই শুয়ে থাকুন।

শতাব্দী চাদর মুড়ি দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। মিসেস উপমা সোফায় বসে টিভি দেখছেন শেফালীও উনার পাশে বসা। শতাব্দী মিসেস উপমার পাশে বসে পড়লো, মিসেস উপমা শতাব্দীকে দেখে বললেন,

– কি ব্যাপার এভাবে কাঁপছো কেন?

– আপনার ছেলে আমাকে আধ ঘণ্টা ছোলার ডালের মতো পানিতে ভিজিয়ে রেখেছে তাই তো শীতে কাঁপছি।

– তোমার শক্তি নেই তুমি পারলে না ওকে ভিজাতে।

শতাব্দী বিড়বিড় করে বলল, ‘আমি ভিজিয়েছিলাম বলেই তো আমার উপর শোধ তুললো।

– ঘরে গিয়ে কাঁথা মুড়ি দিয়ে কিছুক্ষণ ঘুমাও ভালো লাগবে।

– আমি এখানেই ঠিক আছি।

মিসেস উপমা মৃদু হাসলেন হয়তো শতাব্দীর মনের কথা আঁচ করতে পেরেছেন। শতাব্দীর কাঁধে হাত রেখে নিজের কোল দেখিয়ে বললেন,

– এখানে মাথা রাখো।

শতাব্দী বাধ্য মেয়ের মতো মিসেস উপমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো। মিসেস উপমা যত্ন সহকারে শতাব্দীর চুলে বিলি কাটতে লাগলেন।
_________

ইদানিং শতাব্দী একটু বেশিই ব্যস্ত হয়ে গেছে একের পর এক কেস নিয়ে।উৎস প্রতিদিন তাকে কোর্টে দিয়ে আসে আবার নিয়ে আসে এতে শতাব্দী বিরক্ত হলেও উৎসের কিছু যায় আসে না তার মতে বউকে একা ছাড়লে এলাকার চেংড়া ছেলেরা পিছনে লাগবে এমনিতেই বউটা কথা শুনে না। কয়েকদিন ধরে কে বা কারা যেন শতাব্দীকে ফোন কলে হুমকি দিচ্ছে পুলিশে কমপ্লেইন করবে ভেবেও করা হচ্ছে না।

উৎস শতাব্দীকে কোর্টে পৌঁছে দিয়ে নিজের কাজে চলে গেছে। শতাব্দীকে দেখে আয়মান আর তন্নী এগিয়ে এলো তাদের উদ্দেশ্যে শতাব্দী বলল,

– সব কিছু ঠিক আছে তো?

– ইয়েস ম্যাম আজকের কেসটাও আমরাই জিতবো।

– ওকেহ ভেতরে চলো।

আজকের কেসটা অনেক জটিল উৎসের কেস শেষ হওয়ার পরেই এই কেসটা হাতে নিয়েছে শতাব্দী। কেসটা প্রপার্টি বিষয়ক, বেআইনী ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে শপিং মল করার জন্য আরেকজনের সম্পত্তি নিজের নামে করে নিতে চাইছেন ওই এলাকার গন্যমান্য এক ব্যক্তি। ভোক্তভোগী শেষে বাধ্য হয়ে মামলা করেন কেসটা শতাব্দীর হাতে দেন।
শতাব্দীর কেসের সব তথ্য প্রমাণ আয়মান আর তন্নী এনে দেয়।
.
.
আজকের কেসটাও শতাব্দী জিতে গেছে কোর্টের বাহিরে আসতেই শতাব্দীর ক্লাইন্ট শহিদুল আলম বললেন,

– অনেক উকিলের কাছে গেছিলাম কিন্তু নয়ন শেখের কারণে কেউ কেসটা নিতে চাইছিল না আপনি সাহস নিয়ে কেসটা লড়ে আমার অনেক উপকার করেছেন। আপনাকে অনেক…

– ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার নেই এটা আমার প্রফেশন।

– আপনার ফি আপনার এসিস্ট্যান্টের কাছে দিয়ে দিয়েছি আজ তাহলে আসি ম্যাডাম।

– জ্বি আসুন।

উৎস একটা কাজে আটকে গেছে তাই শতাব্দীকে নিতে আসতে পারেনি তবে নিজের গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে শতাব্দীকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য। শতাব্দী গাড়িতে উঠে যাওয়ার পর পরই গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে ড্রাইভার।মাঝ রাস্তায় আসতেই গাড়ি থেমে গেল শতাব্দী ব্রু জোড়া কিঞ্চিৎ কুঁচকে ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলো,

– কি হলো গাড়ি থামালেন কেন?

– কারা যেন দাঁড়িয়ে আছে পুরো রাস্তা ব্লক।

শতাব্দী বিরক্ত হলো গাড়ির জানালার কাঁচ নামিয়ে মাথা বের করে দেখতে লাগলো। একটা লোক এসে গাড়ির দরজা খুলে বলল,

– উকিল ম্যাম একটু যদি নিচে নেমে পায়ের ধুলো দিতেন খুশি হতাম।

শতাব্দী নিজের পিস্তলটা বাম হাতে নিয়ে শাড়ির আঁচল দিয়ে আড়াল করে দিল যাতে কেউ দেখতে না পায়। এবার গাড়ি থেকে নেমে সামনের দিকে এগুতে থাকলো, ড্রাইভারও নিচে নেমে গিয়ে শতাব্দীর পিছনে যেতে লাগলো কিন্তু সেই লোকটা তাকে আটকে দিয়ে বলল,

– তোমার এখানে কোনো কাজ নেই যাও গাড়িতে গিয়ে বসো।

শতাব্দী ড্রাইভারকে ইশারা দিয়ে ভেতরে বসতে বললো কিন্তু ড্রাইভার শতাব্দীর ইশারায় গুরুত্ব না দিয়ে বলল,
– স্যার আমাকে ভালো করে বলে দিয়েছে আপনাকে যাতে ঠিকমতো বাড়িতে পৌঁছে দেই আপনার কিছু হলে স্যার আমাকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলবে ম্যাডাম।

– আমার কিছু হবে না আপনি ভেতরে গিয়ে বসুন।

শতাব্দী সামনের সবার দিকে তাকালো পাঁচ ছয় জন লোক দাঁড়ানো তাদের মধ্যে একজনকে দেখে সহজেই চিনতে পেরে গেছে তার ঠিক সামনে নয়ন শেখ দাঁড়িয়ে আছে।নয়ন শেখ শতাব্দীর চারিদিকে ঘুরতে ঘুরতে ড্রাইভারের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

– তোমার স্যার কে?

ড্রাইভার ঢুক গিলে বলল,
– উৎস স্যার।

নয়ন শেখ এবার শতাব্দীর উদ্দেশ্যে বলল,
– উকিল ম্যাডামের হাজব্যান্ড নাকি?

– এভাবে রাস্তা আটকানোর মানে কি?

– জেনেও না জানার ভান করছেন? কতবার বললাম এই ঝামেলায় জড়ানোর দরকার নেই তারপরেও জড়ালেন আপনার জন্য আমার কতগুলো টাকা লস হয়েছে বুঝতে পারছেন।

– আমি কোনো অন্যায় করিনি বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়েছি।

– এটাই তো বড় একটা ভুল করে ফেললেন।

শতাব্দী বিরক্তি প্রকাশ করলো।নয়ন শেখ শতাব্দীর দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এতে অনেক অস্বস্তি লাগছে শতাব্দীর। শতাব্দী গাড়ির দিকে যেতে লাগলো কিন্তু নয়ন শেখ আবারও শতাব্দীর পথ আটকে দাঁড়িয়ে বলল,

– এত তাড়া কিসের সুন্দরী? তোমাকে ভালো করে একটু দেখতে দাও।

শতাব্দী নিজের বন্দুক নয়ন শেখের দিকে তাক করে বলল,
– সবার সাথে বেয়াদবি করা উচিত নয় নয়ন শেখ কেস কোর্টেই শেষ এই ব্যাপারে আমি আর কথা বলতে চাই না আপনার মুখটাও দেখতে চাই না।

– বন্দুকের ভয় দেখাচ্ছেন নয়ন শেখকে? এগুলো আমাদের খেলার জিনিস প্রতিদিন খেলি এছাড়া এই সুন্দর হাতে বন্দুক মানায় না আপনি যদি চান অন্যকিছু আমাদের মধ্যে হতেই পারে টাকা নিয়ে ভাববেন না যত চাইবেন দিব।

শতাব্দীর গাঁ গুলিয়ে আসছে দ্রুত গাড়িতে উঠে ড্রাইভারকে বলল,
– গাড়ি ছাড়ুন।

ড্রাইভার গাড়ি ছেড়ে দিল, নয়ন শেখ হেসে বলল,
– আমার বিরুদ্ধে কেস লড়া?তোমার মতো দুই পয়সার উকিলের এমন অবস্থা করবো কাউকে মুখ দেখাতে পারবে না।
________

বাইরে থেকে এসেই শতাব্দী গোসল করে শুয়ে পড়েছিল একসময় ঘুমিয়েও পড়ে।উৎস ফিরতে ফিরতে অনেক রাত এগারোটা বাজে। ঘরে প্রবেশ করতেই শতাব্দীকে ঘুমন্ত দেখতে পেল।ফ্রেশ হয়ে এসে বিছানায় বসে শতাব্দীর মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে কপালে চুমু দিয়ে কাঁথাটা শরীরে টেনে দিয়েছে। শতাব্দীর ঘুম ভেঙ্গে গেছে সামনে উৎসকে দেখে উঠে বসলো, উৎস বলল,

– এত তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙ্গে গেছে?

– তাড়াতাড়ি কোথায়? বিকেলে ঘুমিয়েছি আর এখন ভাঙ্গলো।

– বাবাহ এত ঘুম? তোমাকে তো কুম্ভকর্ণের সঙ্গে তুলনা দেওয়া উচিত।

শতাব্দী শুকনো হাসলো কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া করলো না, উৎস গলা খাঁকারি দিয়ে বলল,
– কোনো কারণে আপসেট তুমি?

– না তো

– তাহলে মুখ এমন শুকনো শুকনো লাগছে কেন?

– ঘুম থেকে উঠার কারণে এমন লাগছে কিছু হয়নি আমার।

উৎস এ বিষয়ে আর ঘাটলো না শতাব্দীর কথাই মেনে নিলো।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here