#প্রণয়_কোন্দল
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:১১
‘অল্প বয়সে পিরিতি করিয়া হয়ে গেল জীবনেরও শেষ’
শতাব্দীকে শুনিয়ে শুনিয়ে উৎস গান গাইছে, গান গাইছে বললে ভুল হবে উৎসের গলায় এই সুন্দর গানটাকে মনে হচ্ছে কবিতা আবৃত্তি করছে। শতাব্দী কাপড় ভাঁজ করতে করতে ব্যঙ্গ করে বলল,
– এত পিরিতি আসে কোত্থেকে? মেয়ে দেখলেই পিরিত করার স্বপ্ন দেখতে হবে কেন?
– মেয়ে দেখে প্রেম আসেনি দেখেছিলাম তো পরী কিন্তু সেই পরী যে বড় হয়ে ডাইনি হয়ে যাবে স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।
– বিয়ের পর সব ছেলেরই নিজের বউকে ডাইনি লাগে পরের বউকে পরী লাগে।
– নিজের বউয়ের মাইর খেতে খেতেই তো কাহিল পরের বউকে দেখার সময় কোথায়?
শতাব্দী উৎসকে ভেংচি কাটলো।উৎস গালে হাত দিয়ে বলল,
– বউ সত্যি করে বলো তো তোমার সাথে কিছু কি আছে?
– কিছু বলতে কি বুঝাচ্ছেন?
– ইয়ে মানে বদ জ্বীন আছে তোমার সঙ্গে?
শতাব্দী ড্রেসিং টেবিল থেকে চিরুনি নিয়ে উৎসের দিকে ছুঁড়ে মা’রলো। উৎস চিরুনি ক্যাচ ধরে বলল,
– যা সন্দেহ করেছিলাম তাই সত্য প্রমাণিত হলো।
শতাব্দী আরও কিছু বলতে যাবে তার আগেই তার মোবাইল বেজে উঠলো। শতাব্দী কল রিসিভ করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। শতাব্দীর বাবা ফোন করেছে, শাওন হাসান অপরপাশ থেকে বললেন,
– কেমন আছিস আহী?
– ভালো বাবা, তুমি কেমন আছো?
– ভালো, তোর চাচারা কাল বেড়াতে আসবে ফোনে বারবার বলে দিয়েছে এসে যেন তোকে আর উৎসকে দেখতে পায়, অনেকদিন হয়ে গেল তুই আসিস না উৎস তো একবারও এলো না আজ চলে আয় দু’দিন থেকে যা।
– আমার যেতে সমস্যা নেই কিন্তু উৎস যাওয়ার জন্য রাজি হয় না।
– কোথায় ও কল দে ওকে।
– বাড়িতেই আছে দিচ্ছি ওয়েট করো।
শতাব্দী উৎসের দিকে মোবাইল এগিয়ে দিয়ে বলল,
– বাবা আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাইছে।
– কার বাবা?
– আমার।
উৎস মোবাইল কানে ধরে সালাম দিল। শাওন হাসান সালামের জবাব দিয়ে বললেন,
– আমার মেয়েকে আমার বাড়িতে আসতে দিচ্ছো না কেন?
উৎস আড়চোখে শতাব্দীর দিকে তাকিয়ে বলল,
– একেবারে আপনার নাতি-নাতনি নিয়ে তারপর বেড়াতে আসবো তার আগে কোনো রিস্ক নিতে চাই না আপনি তো আবার ভিলেন শ্বশুর।
– এখনও বেয়াদবই আছো।
– আপনিও খিটখিটেই আছেন।
– আজ তোমাদের দু’জনকে আমার বাড়িতে দেখতে চাই এটাই আমার শেষ কথা।
বলেই শাওন হাসান কল কেটে দিলেন।উৎস ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ছাড়তেই শতাব্দী উৎসের হাত থেকে নিজের মোবাইল নিয়ে বলল,
– কেমন দিল বাবা? এখনও কি যাব না বলবেন!
– তুমি আর তোমার বাপ একরকম দু’জনেই হিটলার।
– একদম আমার বাবাকে নিয়ে এসব বলবেন না।
– বলার বাকি রেখেছি কোথায়? বলেই তো দিয়েছি।
– অসভ্য।
– বাপে বলে বেয়াদব আর মেয়ে বলে অসভ্য।
__________
দুপুরের পর উৎস আর শতাব্দী বেরিয়ে গেল। গাড়ি চলছে শতাব্দীর বাড়ির দিকে উৎসের মুখ মলিন হয়ে আছে, তৌসিফকে দিয়ে ফলমূল মিষ্টি আনিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে রেখেছিল। শতাব্দী উৎসের উদ্দেশ্যে বলল,
– মুখটা এমন করে রেখেছেন কেন? দেখে মনে হচ্ছে কেউ জোর করে নিম পাতার রস খাইয়ে দিয়েছে।
– নিম পাতার রসের থেকেও তিতা তোমার বাবা।
শতাব্দী প্রতিত্ত্যুরে হাসলো।এক ঘন্টা জার্নির পর শতাব্দীদের বাড়িতে পৌঁছালো দু’জন। শাওন হাসান মেয়ের অপেক্ষায় এতক্ষণ বসে ছিলেন গাড়ি থামার শব্দ শুনেই দ্রুত বাইরে আসলেন। শতাব্দী বাবাকে দেখেই জড়িয়ে ধরলো, শাওন হাসান মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন,
– ভেতরে চল।
উৎসের দিকে চোখ যেতেই গম্ভীর মুখে বললেন,
– তুমিও আসো মাথায় হাত বুলিয়ে দেই।
উৎস নাকমুখ কুঁচকে বলল,
– দরকার নেই।
– শতাব্দী আমার জামাই বাবাজিকে আমার কাছে কিছুদিনের জন্য রেখে যাস আদব-কায়দা শিখিয়ে দিব।
উৎস অন্যদিকে ফিরে বলল,
– নিজের মেয়েকেই শেখাতে পারেনি আবার আমাকে শেখাতে আসছে।
– আমার মেয়ে তোমার মতো বেয়াদব না।
– আমার বাপ এখানে থাকলে সেইম কথাই বলতো আমার ছেলে বেয়াদব না।
শাওন হাসান কিছু বলতে যাবেন তার আগেই মিসেস তাসলিমা এসে বললেন,
– মেয়ে আর মেয়ের জামাইকে এখানে দাঁড় করিয়ে রেখেছ কেন? তোমরা ভেতরে এসো।
উৎস ড্রাইভারকে বললো সবকিছু ভেতরে নিয়ে যেতে তারপর মিসেস তাসলিমার সঙ্গে ভেতরে যেতে যেতে বলল,
– আপনার হাজব্যান্ডের কোনো ম্যানার্স নেই আন্টি, এতগুলো বছর সংসার করলেন কিভাবে?
– এগুলো সব কপালের দোষ তোমায় আরেকদিন বলবো বাবা।
– আপনার জন্য আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে আন্টি।
শাওন হাসান উৎস এবং নিজের স্ত্রীর কথপোকথন শুনে হতভম্ব হয়ে গেল। শতাব্দী মুখ টিপে হাসছে, ড্রয়িং রুমের সোফায় বসতেই একটা বাচ্চা দৌড়ে এসে শতাব্দীর কোলে বসলো, শতাব্দীকে জড়িয়ে ধরে বলল,
– ফুপি এসে গেছে ইয়ে।
শতাব্দী ছেলেটির গালে চুমু দিয়ে বলল,
– তূর্য বাবা কেমন আছে?
– ভালো না।
– কেন?
– মা বকেছে।
– নিশ্চই পড়াশোনায় ফাঁকি দিয়েছিলে?
তূর্য নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। শতাব্দী তূর্যের গাল আলতো করে টেনে দিয়ে বলল,
– এবার থেকে মনোযোগ দিয়ে পড়বে মা যা বলে তাই শুনবে তারপরেও যদি বকে তাহলে আমি তোমার মা’কে বকে দিব।
তূর্য শতাব্দীর কোল থেকে নেমে গিয়ে উৎসের কাছে গেল।উৎস এতক্ষণ শতাব্দী আর তূর্যের কথাগুলো শুনছিল।তূর্য এবার সোফায় দাঁড়িয়ে উৎসের গলা জড়িয়ে ধরে বলল,
– আঙ্কেল চকলেট দাও।
– চকলেট খেলে দাঁতে পোকা হয়।
– চকলেট খেয়ে দাঁত ব্রাশ করে নিব তাহলে তো পোকা হবে না।
– কিন্তু আমি তো চকলেট আনিনি।
তূর্য মুখটা গোমড়া করে ফেলল,উৎস তূর্যকে টেনে নিজের কোলে বসিয়ে পকেট থেকে একটা চকলেটের প্যাকেট এগিয়ে দিয়ে মৃদু হেসে বলল,
– আরও এক বক্স চকলেট আছে পাকা বাচ্চা।
তূর্য খুশি হয়ে উৎসের গালে চুমু দিয়ে দৌড় দিল।
_______
শাওন হাসানের সামনে বসে আছে উৎস। শাওন হাসানের দৃষ্টি উৎসের দিকে কিন্তু উৎস নিজের মতো করে মোবাইল টিপছে এমন একটা হাবভাব যেন সামনে কেউ নেই। শাওন হাসান গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন,
– গুরুজনদের প্রতি কোনো সম্মান নেই সামনে যে শ্বশুর বসে আছে সেদিকে খেয়াল আছে?
– আপনার কিছু বলার থাকলে বলতে পারেন শ্বশুর আঙ্কেল।
– ডাকের কি ছিড়ি, আমার মেয়ের জন্য কত ভালো ভালো সম্বন্ধ এসেছিল শেষে কিনা অপছন্দের ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল। কতবার বলেছিলাম শতাব্দী এই মামলায় নিজেকে জড়াস না কথা শুনলো না আর এই অবস্থা হলো।
উৎস মোবাইল পকেটে ঢুকিয়ে শাওন হাসানের দিকে তাকালো। মৃদু হেসে বলতে লাগলো,
– আপনার পছন্দ অপছন্দ দিয়ে আমার কিছু যায় আসে না, এই মামলায় না জড়ালেও শতাব্দীকে আমি নিজের করেই ছাড়তাম। আপনি তো অনেক বিচক্ষণ এবং জ্ঞানীগুণী ব্যক্তি আপনার একবারও মাথায় আসেনি একটা কেস জেতার জন্য উকিলকে বিয়ে করে নিব আমি!
– তার মানে তুমি!
– এক্সাক্টলি আমি সুযোগ কাজে লাগিয়েছি প্রথম সুনানির দিন যখন জানতে পারি শতাব্দী আমার বিপক্ষে কেস লড়বে তখনি তাকে পাওয়ার ইচ্ছে আবারও জেগে উঠেছিল কিন্তু আপনার মতো হিটলার একটা শ্বশুরের জন্য এত নাটক করে বিয়ে করতে হয়েছে।
শাওন হাসান চমকায়িত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।উৎস আবারো বলতে লাগলো,
– দেখলেন এক বুদ্ধিতে আমার কতগুলো লাভ হলো, প্রথমত ভালোবাসার মানুষকে সারাজীবনের জন্য পেয়ে গেলাম দ্বিতীয়ত কেস জিতে গেলাম তৃতীয়ত আপনাকে হারিয়ে আবারও জিতে গেলাম।
উৎস শাওন হাসানের দিকে ঝুঁকে পৈশাচিক হাসি দিয়ে বলল,
– আমি চাইলেই আপনার মেয়েকে সরাসরি তুলে নিয়ে বিয়ে করতে পারতাম কিন্তু করিনি কেন জানেন?
– কেন?
– আপনি আমাকে অহেতুক কারণে রিজেক্ট করেছিলেন আপনার জন্য শতাব্দী আমাকে অপছন্দ করা শুরু করেছিল তাই চেয়েছিলাম আপনি নিজে আপনার মেয়েকে আমার হাতে তুলে দিবেন তাই তো এতকিছু।
শাওন হাসান নিরব হয়ে উঠে চলে গেলেন, উৎস পায়ের উপর পা তুলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।
~~
শতাব্দী এবং উৎস দু’জন দু’জনকে অনেক আগে থেকেই চিনতো। উৎস যখন অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়ে তখন শতাব্দী সবেমাত্র কলেজে ভর্তি হয়েছে। তাদের কলেজে অনার্সেরও ব্যবস্থা ছিল, উৎস ওই কলেজেই উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে অনার্সে ভর্তি হয়েছিল। কলেজ লাইফেই রাজনীতির ভেতরে ঢুকে যায় উৎস যার দরুন পুরো কলেজেই তার একটা নামডাক ছিল।
কলেজের পাশেই একটা বড় মাঠ ছিল যেখানে বড় বড় ছেলেরা খেলতো মাঠের পাশ দিয়েই মেইন রোড গেছে। এমনি এক বর্ষার দিনে উৎস তার বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে ফুটবল খেলছিল বেলা তখন তিনটা, আকাশ ছিল মেঘলা চারিদিকে হালকা বাতাস বইছিল পরিবেশটা দেখে মনে হচ্ছিল বৃষ্টি বৃষ্টি আমেজ। অনেকক্ষণ খেলার ফলে উৎসের গলা শুকিয়ে গেছে তাই সবাইকে বলে একটু ব্রেক নিয়ে পানি খেতে গেছিল, পানি খেতে খেতে চোখ যায় রাস্তার অপরপাশের সাদা ইউনিফর্ম পরিহিত একটি মেয়ের দিকে। সাদা ইউনিফর্মের বিভিন্ন জায়গায় কাঁদা লেগে আছে, মেয়েটি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে একটু পর পর বাম হাতের উল্টো পাশ দিয়ে চোখের পানি মুছতে ব্যস্ত।তার পাশেই দু’টো মেয়ে তাকে শান্তনা দিচ্ছিল। আশেপাশের মানুষগুলো তাকিয়েছিল কেউ কেউ তো হেসেই দিয়েছে এতে যেন মেয়েটি আরও বেশি লজ্জা পাচ্ছিল।
কিছুক্ষণ আগেই কলেজ ছুটি হয়েছে মেয়েগুলো যে তাদের কলেজের উৎস পোশাক দেখেই বুঝতে পেরেছে। পানির বোতল হাত থেকে রেখে কি মনে করে যেন উৎস তাদের দিকে এগিয়ে গেল। সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই মেয়েটি বেশ ভয় পেল, উৎস জিজ্ঞেস করলো,
– নাম কি তোমার?
মেয়েটি কাঁপা কাঁপা কন্ঠে উওর দিল,
– শতাব্দী।
– রাস্তায় এভাবে কাঁদছিলে কেন? শরীরে কাঁদা লেগে আছে কেন? কাঁদার মধ্যে কি হামাগুড়ি খেয়েছ?
শতাব্দী চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো খুব লজ্জা লাগছে ইচ্ছে করছে দৌড়ে বাড়িতে চলে যেতে। পাশ থেকে আরেকটা মেয়ে বলল,
– হামাগুড়ি খায়নি ওকে কাঁদায় ফেলে দিয়েছে।
উৎস ব্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
– কে ফেলেছে?
– কলেজ ছুটির পর কলেজের ছোট মাঠ দিয়ে আমরা আসছিলাম তখনি সেকেন্ড ইয়ারের একটা ছেলে পেছন থেকে ওকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় সবাই অনেক হাসাহাসি করছিল।
উৎস ছোট করে ‘ওহ’ বলে একটা রিক্সা ডাকলো। মেয়েটির কাছ থেকে ওদের ঠিকানা জেনে রিক্সাওয়ালাকে বুঝিয়ে বলে ভাড়া দিল। শতাব্দীর দিকে তাকিয়ে বলল,
– দাঁড়িয়ে আছো কেন রিক্সায় উঠো।
শতাব্দী নিচের দিকে তাকিয়েই রিক্সায় উঠলো। যতক্ষণ রিক্সাটা দেখা যাচ্ছিল ততক্ষণ তাকিয়ে ছিল উৎস।
নাঈম উৎসের কাঁধে হাত রেখে বলল,
– কিরে মেয়েটা কে?
– আমাদের কলেজে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে।
– এমন অবস্থা কেন?
– কলেজের কোন ছেলে বলে কাঁদার মধ্যে ধাক্কা মে’রেছে।
– ওহ আচ্ছা খেলতে চল।
– এখন আর খেলব না কাল কলেজ শুরু হবার আগে চলে আসিস।
– কেন?
– আসার পরে জানতে পারবি।
.
.
পরেরদিন কলেজে পা রাখতেই সেই ছেলেটা এসে শতাব্দীর সামনে দাঁড়ালো। শতাব্দী ভেতরে ভেতরে ভয় পাচ্ছে এর আগেও ছেলেটা অনেকবার বিরক্ত করেছিল আর গতকাল তো একেবারে সবার সামনে ফেলেই দিল। ছেলেটি মাথা নিচু করে বলল,
– আমাকে মাফ করে দাও শতাব্দী আমার ভুল হয়ে গেছে আর কখনও তোমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করবো না তুমি আমার বোনের মতো।
বলেই আর এক মুহূর্তও না দাঁড়িয়ে চলে গেল ছেলেটি। শতাব্দী অবাক হয়ে বান্ধবীর দিকে তাকালো, তারপর বলল,
– এই ছেলে এত ভালো হয়ে গেল কিভাবে?
সামিয়া উচ্ছ্বসিত কন্ঠে বলল,
– উৎস ভাইয়ার মাইর খেয়ে এমন অবস্থা হয়েছে।
– উৎস ভাইয়া কে?
– তুই উৎস ভাইয়াকে চিনিস না!
– না।
– আরে গতকাল তোকে যে রিক্সায় উঠিয়ে দিয়েছিল সেই তো উৎস ভাইয়া।
শতাব্দী আরও অবাক হলো। সামিয়া বলল,
– ভাইয়াকে তোর একটা ধন্যবাদ দেওয়া দরকার।
– কলেজ ছুটির পর দিব কিন্তু পাবো কোথায়?
– আমি নিয়ে যাব।
– আচ্ছা।
কলেজ ছুটি হতেই সামিয়া শতাব্দীকে নিয়ে উৎসের কাছে গেল।আজকেও উৎস এবং তার বন্ধুরা মিলে খেলছে। সামিয়া জোরে ডাক দিল,
– উৎস ভাইয়া…
উৎস ডাক শুনে তাদের দিকে তাকালো। নাঈমকে কিছু একটা বলে তাদের দিকে এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো,
– কিছু বলবে?
– আমি না শতাব্দী বলবে।
উৎস শতাব্দীর দিকে তাকালো। শতাব্দী নিচের দিকে তাকিয়ে আঙ্গুল মুচড়ামুচড়ি করছে। উৎস জিজ্ঞেস করলো,
– কি বলবে? আবার কেউ কিছু বলেছে?
– উহু।
– তাহলে?
– ধন্যবাদ।
– কেন?
– গতকাল হেল্প করেছেন আবার ওই ছেলেটাকে মে’রেছেন তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
চলবে………