#প্রণয়িনী,০২
লেখনীতে: নুসরাত সুলতানা সেঁজুতি
” আমি বিয়ে করব। ”
শোনিত কন্ঠস্বরের হঠাৎ কথাটায় চমকে তাকাল সকলে। অভ্রর সদ্য মুখে নেয়া পানিটুকু ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাইল। রেহানা অবাক চোখে ঘাড় ফেরালেন। নিশ্চিত হতে শুধালেন,
” কী বললে?”
রুদ্র পায়ের ওপর পা তুলে সোফায় বসে। দুজন মানুষের এই বিস্ময়ে হাবুডুবু খাওয়া চেহারা তার ওপর কোনও প্রভাবই ফেলল না। আগের মতোই উদ্বেগহীন বলল,
” আমি বিয়ে করতে চাইছি। ”
অভ্র তাড়াহুড়ো পায়ে রুদ্রর সামনে এসে দাঁড়াল। গোল গোল চোখ মেলে অবলোকন করল রুদ্রর নিরেট,ফর্সা মুখ। তার এই ভাইটাকে বোঝার ক্ষমতা আল্লাহ তাকে দেয়নি। কষ্টিপাথরে মাথা ঠুকে মরে গেলেও কোনও দিন এ কৌশল রপ্ত হবেওনা। কিন্তু চেষ্টা করতে ক্ষতি কী? এই যে তার ভাই, রুদ্র রওশন চৌধুরী! যে কীনা বিয়ে করবে না বলে একদিন বাড়িতে এক দফা ভাংচূর করেছিল। কারন, বিয়ে মানে সময় নষ্ট,ফোকাস লস । সেও আজ বিয়ের জন্যে রাজী? যেঁচে বিয়ে করতে চায়? সম্ভব?
” মুখের সামনে হা করে আছিস কেন? ”
রুদ্রর গম্ভীর কন্ঠে নড়েচড়ে উঠল অভ্র। খানিক থতমত খেয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াল। রয়ে সয়ে শুধাল,
‘ সত্যি তুমি বিয়ে করবে ভাই? ”
” মিথ্যে বিয়ে করা যায়? ”
রুদ্র সরু চাউনিতে অভ্র কাচুমাচু করে বলল,
” তুমি তো বিয়ে করতে চাওনি। তোমার চিরকুমার থাকার সিদ্ধান্তের জন্যেই তো মা আগে আমার বিয়ে টা ঠিক করলেন। ”
রেহানা ধাক্কাটা এতক্ষনে সামলে উঠেছেন। অভ্রর কথায় তাল টেনে বললেন,
” তো আর কী করব? আরিশার তো বিয়ে ঠিক করছিল ওর বাবা,তুই এমন কা*ন্নাকা*টি জুড়লি এসে আমিই না বাধ্য হলাম। নাহলে কোনও দিন দেখেছিস,বড় ভাইয়ের আগে ছোট ভাইয়ের বিয়ে হয়? অবশ্য হয়,যেসব বড় ভাইরা আমার এই একগুঁয়ে ছেলের মত হবে, সেখানে সব সম্ভব। ”
রুদ্র মুখ থেকে “চ” বর্গীয় শব্দ করে বলল,
” এত কথা বলছো কেন মা? আগে বিয়ে করতে চাইনি,এখন চাইছি। বিয়ে দিলেইত হচ্ছে।
রুদ্র যতটা সহজ,সাবলীল ভাষায় বলল,ততটাই অবাক হলেন রেহানা। ছেলের সোজাসাপটা কথায় একটু অপ্রস্তুতিতে পরলেন। মনে মনে জ্বিভ কাটলেন ওর বেহায়াপনায়। বিয়ে করবে না বলে স্লোগান তুলে ফেলা ছেলে এখন এইভাবে ঠোঁট কাটার মত কথা বলছে? হা কপাল!এদের কী ল*জ্জ্বা শরম বলতে আল্লাহ কিচ্ছু দিলো না?
অভ্র সব কিছু ভুলে গেল। নিমিষে হৈহৈ করে প্রস্তাব রাখল,
” তাহলে মা ভাইয়ের জন্যে মেয়ে দেখা শুরু করি?
রেহান দম ফেলে বললেন,
” সেতো করতেই হবে।”
অভ্র চকচকে চোখমুখ নিয়ে রুদ্রর পাশে বসল। আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলল,
” বলো ভাই,তোমার কেমন মেয়ে পছন্দ? ফর্সা,শ্যামলা? উম না না, তুমি ফর্সা মানে তোমার বউকে হতে হবে ধবধবে সাদা। আচ্ছা তাহলে কী লম্বা মেয়ে,নাকি খাটো? তুমি আমাকে বিস্তারিত বোঝাও, চোখ নাক, ঠোঁট কেমন হবে? বড় নাকি___
” তোর ছোট শালির মতন। ”
রুদ্রর হঠাৎ কথাটায় মাঝপথেই আটকে গেল অভ্র। বকবক করতে থাকা জ্বিভ ঢুকে গেল ভেতরে। ভড়কে তাকাল মায়ের দিকে। রেহানা ভীমড়ি খেলেন। দুজন পরপর বড় বড় চোখে একে অপরকে দেখে রুদ্রর দিক ফের তাকালেন। সমস্বরে বললেন,
” কী?
অভ্র তড়াক করে উঠে দাঁড়ায়। ধারনাতীত কথাটা তখনও মাথায় ঢোকেনি। রুদ্রও বসা থেকে উঠে দাঁড়াল এবার। পকেটে এক হাত ঢুকিয়ে মায়ের দিক চাইল। কোনও রকম ভণিতা ছাড়াই বলল,
” আরিশার বোন সেঁজুতি, আমি ওকে বিয়ে করতে চাই। আজই ওর বাবার কাছে প্রস্তাব পাঠাও। ”
ছোটখাটো ব*জ্র ফেলে রুদ্র সিড়ি বেয়ে উঠে যায়। পেছনে রেখে গেল হকচকিয়ে চেয়ে থাকা চারটে চোখ।
___
সেদিনের মতো রাতে আর আমার ঘুম হয়নি। প্রচন্ড অস্থিরতায় দিন কাটিয়ে রাতে থম মেরে বসেছিলাম। সামনে তখনও সেই টিস্যু রুপী চিরকুট। আমার মস্তিষ্ক ছুটছে। প্রশ্ন করছে। কয়েক জায়গায় ঘুরে ঘুরে ফিরে এসে তালগোল পাঁকাচ্ছে। জানতে চাইছে,
” কেন এই চিরকুট? কেন এই লেখা? কী এর উদ্দেশ্য?
নিরুত্তর আমি,কোনও যুতসই জবাব খুঁজে পাইনি। তবে আমার তরুনি মন সবার প্রথমে যেদিকে বা*ণ ছুড়েছে,তা নিতান্ত ভিত্তিহীন।
আমার মন ঘোষণা করছে এই চিরকুট, কোনও চিরকুট নয়। প্রেম পত্র। রুদ্র রওশন চৌধুরী ইনিয়েবিনিয়ে আমায় বুঝিয়ে গেলেন ” উনি আমার প্রেমে পড়েছেন।”
পরমুহূর্তে স*পাটে নিজেরগালে চ*ড় বসালাম আমি। অতী আশ্চর্যে মানুষের মতিভ্রম হয়,আমারও হয়েছে তাই। যে লোক আজ সন্ধ্যে থেকে আমাকে ধমকালেন, রেগেমেগে আ*গুনের স্ফু*লিঙ্গ ছুড়লেন বার্তার সহিত মিশিয়ে, সে লোক একদিনে কী করে প্রেমে পড়বে? ওনার সাথে কথা টা মিলছে না। চরিত্রের সঙ্গে যাচ্ছেনা। না না একদমই না।
তাহলে? এই তাহলে তেই বারবার আটকে যাচ্ছি আমি, আর আমার ছট*ফটে বুক। জীবনে প্রথম বার ক্রাশ খেয়েছিলাম ওনার ওপর। উনি তার মান রাখলেন না। বরং বাদামের খোসার মত ফু দিয়ে উড়িয়ে দিলেন আমার ক্ষনিকের ভালো লাগা। ওনার ক*র্কশ কন্ঠে হঠাৎ অনুভূতি হঠাৎ করেই নিভে গেল। আমার মত একটা ছোট্ট মেয়ের সঙ্গে একটু মিষ্টি করে কথা বললে কী হতো? জাত যেত ওনার?
অহেতুক,অযাচিত অপমান ঘিরে ধরল আমায়। ঠোঁট উলটে শুয়ে পরলাম। আর ভাবব না ওনার কথা। চিরকুটের মানে যা ইচ্ছে তাই হোক। গো*ল্লায় যাক এসব। সাথে নিয়ে যাক ওই দেমাগি রুদ্র রওশন চৌধুরীটাকেও।
___
সকাল থেকে খেয়াল করছি বাড়ির লোকেরা আমায় কেমন বক্রচোখে দেখছে। আমার মোটামুটি বুদ্ধি বিবেচনা বুঝিয়ে দিলো তাদের দৃষ্টি অস্বাভাবিক। এই চাউনীর অন্য কোনও মানে রয়েছে। কিন্তু, সবাই এভাবে কেন দেখছে? কী করেছি আমি? আচ্ছা,রুদ্র যখন আমার হাতে টিস্যু ধরিয়ে দিয়েছিলেন কেউ কি দেখে ফেলল?
আমি ভ*য়ার্ত দৃষ্টিতে খাবারের প্লেট থেকে মুখ তুলে সামনে তাকালাম। টেবিলে বসা প্রত্যেককে দেখলাম একবার একবার করে। এখনও কেমন কেমন করে তাকাচ্ছে এরা।
আমি ধৈর্য হারিয়ে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম,
” কিছু হয়েছে? ”
আমার প্রশ্নে আম্মু আকাশ থেকে পরার ভাণ করে বললেন,
” কী হবে? ”
মিনমিন করে বললাম,
” না কিছুনা।”
আম্মু কিছু বললেন না। দু একবার বাবার সঙ্গে চোখাচোখি করলেন। ইশারায় কিছু একটা নিয়ে আলাপ করলেও আমি আগামাথা উদঘাটন করতে ব্যর্থ হই।
আম্মু গলা খাকাড়ি দিয়ে কেশে নিলেন একটু। তারপর সময় নিয়ে বললেন,
” আরিশার ভাসুর কে দেখেছিলি না কাল?”
” হু।”
” কেমন লাগলো?”
আমি মনে মনে বললাম,
” মাকালফল ”
মুখে বললাম ” খারাপ না। হঠাৎ এই কথা? ”
আম্মু উশখুশ করে বললেন
“ও বাড়ি থেকে ফোন এসেছিল রাতে।
তোর আপুর শ্বাশুড়ি ওনার বড় ছেলের বউ করে তোকে নিতে চাইছেন । ”
” ও আচ্ছা।”
কথাটা বেখেয়ালে যতটা নিরুদ্বেগ ভাবে বলেছি, খেয়াল পরতেই হো*চট খেয়েছি শতভাগ। আমার চোখ দুটো রীতিমতো বেরিয়ে এলো বাইরে। বিস্ময়ে কথা ভুলতে ভুলে গেলাম। হা করে চেয়ে রইলাম খানিকক্ষন।
চোখ পিটপিট করে শুধালাম,
” কীহ?”
আপু বলল,
” হ্যাঁ, ওনাদের না কি তোকে ভালো লেগেছে খুব। তাই আন্টি চাইছেন রুদ্র ভাইয়ার বউ হিসেবে তোকে ঘরে তুলতে। বাবার কাছে সরাসরি প্রস্তাব রেখেছেন। আমিতো শুনে অবাক হয়েছিলাম,তবে ভীষণ খুশিও হয়েছি,কারন আমরা দু বোন একসঙ্গে থাকতে পারব।”
আপুর ঠোঁটে প্রসস্থ হাসি দেখা গেলেও আমার হাসি গায়েব। তড়িৎ বেগে বাবার দিক চেয়ে শুধালাম,
” তুমি কি মত দিয়েছো বাবা?”
বাবা এতক্ষন নীরব ছিলেন। উত্তরে ধীরস্থির কন্ঠে বললেন,
” না। তোমাকে না জিজ্ঞেস করে আমি মতামত দেই কী করে? ভেবেছিলাম সকালে তোমাকে জিজ্ঞেস করেই তারপর ওনাদের হ্যাঁ বল____”
আমি মাঝপথেই বলে ফেললাম,
” না বলে দাও। ”
তিন জোড়া চোখ আমার দিকে আছড়ে পরল একসঙ্গে। সকলে বিস্মিত দৃষ্টি ফেলল। আম্মু যত্রতত্র প্রশ্ন করলেন
” কেন? ছেলে টা খারা*প কীসে? ভালো দেখতে, কত বড় ব্যবসার মালিক। তাছাড়া __
” আমার ওনাকে পছন্দ নয়। আশা করছি তোমরা আমাকে জোর করে বিয়ে দেবেনা!”
এই একটা কথা বলে দিয়ে আমি উঠে দাঁড়াই। আমার মেজাজ এতটাই বিগ*ড়েছে খাবারটুকুও শেষ করিনি। পাশের চেয়ার থেকে ব্যাগ কাঁধে তুলে হনহনিয়ে বেরিয়ে পরলাম । আজ ভার্সিটিতে আমার প্রথম ক্লাশ। ভোর থেকে এ নিয়ে মন ফুরফুরে থাকলেও এই মাত্র উবে গেল সব।
আমার রাজ্যের যত রা*গ গিয়ে পরল ওই অহংকারী রুদ্র নামক লোকটার ওপর।
কাল যে মানুষটা আমাদের বাড়ি এসে আমাকেই হম্বিতম্বি,চোটপাট দেখিয়ে গেলেন,তাকে বিয়ে করব আমি? কদাপি সম্ভব?নিজের পায়ে কু*ড়াল মা*রা যায়, কিন্তু রুদ্র রওশন চৌধুরীকে বিয়ে করা যায়না। ওই ক’ঘন্টায় যা রুপ দেখেছি ওনার তাতে আমি কেন কোনও মেয়েই ওমন র*গচটা পাব্লিক কে স্বামী হিসেবে মানবেনা। মেয়েরা চায় রোমান্টিক, লুতুপুতু একটা বর। সেখানে রুদ্র? ইশ! ভাবতেই তো কেমন লাগছে। হোক সুন্দর, হোক আমার ব্যর্থ ক্রাশ,তাই বলে ড্যাংড্যাং করে ওনাকে বিয়ে করতে যাব,এমন ক্ষ্যা*পাটে পা*গল আমি নই। আচ্ছা, হঠাৎ ওনার সঙ্গে আমার বিয়ের কথা কেন উঠল? এটা কী শুধুই ওনার মায়ের ইচ্ছে? নাকি……
আমি হাঁটা থেকে থমকে দাঁড়ালাম৷ পরক্ষনে নিজেই নিজেকে বোঝালাম,
” না সেঁজুতি, ওরকম মানুষের বউ হিসেবে তোকে মানাবেনা। বি*শ্রি লাগবে,ভীষণ বি*শ্রী!
” মেয়েটা তোমার অনেক ছোট। একদম বরাবর দশ বছরের!
রুদ্র ল্যাপটপ থেকে চোখ ওঠাল,
” তো? ”
রেহানা কিছু বললেন না। আসলে কী বলবেন ভেবে পেলেন না। সেঁজুতির বাবা ফোন করে বিনয়ী কন্ঠে জানালেন, সেঁজুতি প্রস্তাবখানা সম্পূর্ন নাকচ করে দিয়েছে। মেয়ের অমতে বিয়ে কী করে দেবেন?
কথার পিঠে রেহানা উত্তর দিতে পারেন নি। ফোনের লাইন কেটে ঝিম মেরে ভাবছিলেন,
” ছেলেকে কী বলব?”
মায়ের ভাবুক মুখভঙ্গি রুদ্রর ঈগল চোখে ঠিক ধরা পরল। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি বুলিয়ে জিজ্ঞেস করল,
” ফোন করেছিলে?”
রেহানা খানিক নড়েচড়ে উঠলেন। জ্বিভ দিয়ে ঠোঁট চেটে বললেন,
” হু? হ্যা করেছিলাম।”
রুদ্র সজাগ হয়ে তাকায়। ল্যাপটপ বন্ধ করে মনোযোগ সমেত শুধায়,
” কী বললেন ওনারা?”
রেহানা মহাবি*পদে পরলেন যেন। স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলে দুটোকে নিজ হাতে মানুষ করলেও দুটো তৈরি হয়েছে দুপ্রান্তের মতোন। অভ্র চঞ্চল,চটপটে। রুদ্র ততটাই গ*ম্ভীর, চুপচাপ। সব থেকে বড় কথা ছু*ড়ির ডগায় ছেলের মে*জাজ। শেষ দুটো বছর ধরে এই ছেলেকে ‘বিয়ে কর’, ‘বিয়ে কর’বলে হেদিয়ে ম*রলেন। মুখে ফে*না তুলে ফেললেন। কিন্তু কোনও রকম ভ্রুক্ষেপ দেখা গেল না। বরং একবার রেহানা যেচে এক সুন্দরী মেয়েকে পছন্দ করলেন। পাত্রীপক্ষ বাড়িতে ডাকলেন। ভাবলেন,ছেলে মেয়ের আলাপ হলে রুদ্র রাজী না হয়ে যাবে কোথায়? সব ঠিকঠাক ছিল। রুদ্র এলো,সবার সঙ্গে যৎসামান্য কথা বলল। যেই মাত্র অতিথিরা বিদেয় নিলেন,ওমনি হু*লস্থুল কা*ন্ড বাধাল। মাকে কিচ্ছুটি না বললেও বসার ঘরের একটা জিনিসও আ*স্ত রাখল না। ভা*ঙ*চূর থেকে ছাড় পেল না একটি অবলা আসবাবপত্রও। আর সেই ছেলে আজ নিজে জানাল সে বিয়ে করবে। আগ বাড়িয়ে এক মেয়েকে পছন্দ ও করল। এখন ওর মুখের ওপর রেহানা কী করে বলবেন, “যে মেয়ে রাজী নয়। সে তোকে বিয়ে করবেনা? ”
রেহানার দুঃখ হলো। মন ভারী লাগল।
মাকে অনেকক্ষন চুপ দেখে রুদ্র খেই হারাল মেজাজের। ভ্রু কুঁচকে বলল,
” হয়েছে কী বলবে ?”
রেহানা মুখ কালো করে তাকালেন। থেমে থেমে বললেন,
” বিয়ে হবে না। ”
রুদ্রর ভ্রু বেঁকে গেল আরো।
” কেন?”
” সেঁজুতি মানা করে দিয়েছে। ”
রুদ্রর কপাল শিথিল হয়। ভ্রু ফিরে আসে আগের জায়গায়। চোয়াল ফুটে উঠল। শক্ত গাল হয়ে ওঠে অভঙ্গুর।
রেহানা দুঃ*খভারাক্রান্ত মন নিয়ে দু-পা এগিয়ে এলেন। ছেলেকে শান্তনা দিতে বললেন,
” তোমার ওর থেকেও সুন্দর মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হবে বাবা। ছাড়ো ওসব। ”
রুদ্র জবাব দিলোনা৷ টু শব্দ অবধি করল না। চুপ করে বসে রইল। রেহানা হ*তাশ হয়ে ঘর ত্যাগ করলেন । রুদ্র তখনও কাউচে বসে। ক*টম*ট করছে চোয়াল, পি*ষে এসছে দাঁত।
” রুদ্র রওশন চৌধুরী কে রিজেক্ট করার দুঃসা*হস দেখালেন সেঁজুতি?
বিয়ে করলে তো আপনাকেই করব,পারলে ঠেকান।
চলবে,