প্রনয়ের_ছন্দ,পর্ব- ৪,৫

0
966

প্রনয়ের_ছন্দ,পর্ব- ৪,৫
আনজুম_তানিশা
পর্ব- ৪

০৫.

সকালের প্রথম আলো ফুটতে শুরু করেছে। মুয়াজ্জিন এর মধুর কন্ঠে মহান রবের মহত্ব ঘোষিত হচ্ছে। পাখি রা নিজ বাসস্থান থেকে বেরিয়ে কলরবে উওলা করছে ভোরে পরিবেশ। দূর এক গাছের মগ ডালে বসে চেচিয়ে যাচ্ছে কাক মহাশয়। তার চেচানো শুনে আশেপাশের আরো কিছু কাক মহাশয় রাও যোগ দিলেন। হয়ত এই জন্য ই একে কাক ডাকা ভোর বলে। পূর্বাকাশে লাভা আভা দেখা যাচ্ছে। সূর্য উঠার পূর্ব মুহূর্তের আভাশ জানান দিচ্ছে।

লেকের স্বচ্ছ পানিতে দুজন মানুষের প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠেছে। দুজন এক সাথেই দাড়িয়ে আছি সেই মধ্য রাত থেকে। কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দুজন দুজনের বিশ্বস্ত বন্ধু হয়ে গেছি৷ নিরবতা ভেঙে আফ্রাম সাহেব বললেন,

— এবার তোমার বাড়ি ফেরা উচিত। তোমার সেই ভাই ভাবি যদি কিছু জানতে পারে তাহলে সমস্যা। কারন টা নিশ্চয়ই জানা আছে।

— সমস্যা নেই রুমের দরজা ভেতর থেকে লক করা৷ আর আমি ১০ টা ছাড়া উঠি না৷ তাই আমায় খুজবে না৷

— রিস্ক নেয়া প্রয়োজন নেই। তুমি সারারাত ঘুমাও নি৷ এখন বাড়িতে গিয়ে ঘুমাও। আমি হসপিটালে গিয়ে ১/২ ঘন্টা রেস্ট নিয়ে ক্লাসে যাবো।

— কিন্তু আমাদের নেক্সট প্লেন কী আর আমরা

নূর কে থামিয়ে দিয়ে আফ্রাম বলল,

— আমি তোমার পাশে আছি। আপাতত তুমি বাড়ি যাও আর নিজের ভাই দের খোজার ব্যবস্থা করো। সাথে তোমার মা কে ও । তারপর তাদের লোকেশন আমাকে জানাবে আমি আমার পরিচিত কিছু লোক কে তাদের পিছনে লাগিয়ে দিবো। তাদের ২৪ ঘন্টার আপডেট আমরা পেয়ে যাবো৷ তারপর জানা যাবে আসলে যা আনরা ভাবছি তা সত্য কিনা?

— আনরা যতটা ইজি ভাবছি, সব টা ততটাও ইজি নয়। তাও আমরা চেষ্টা করব।

তারপর বিদায় জানিয়ে রওনা হলো দুজন। বাড়িতে ফিরে নূর একটা ঘুম দিলো আর আফ্রাম চেম্বার ঘুম দিলো।

০৬.

ক্লান্ত দেহখানি চেয়ারে এলিয়ে দিতেই চেম্বারের দরজা ঠেলে হুড়মুড় করে কেউ ডুকলো। গর্জনাধিকারী আকাশটা ধীরে ধীরে কালো রঙা মেঘে ছেয়ে যাচ্ছে। ঘরময় জুড়ে ঠান্ডা বাতাসের বিচরণ। আফ্রাম ভ্রু কুচকে অস্বাভাবিক অবাকতা নিয়ে তাকিয়ে থাকার কালেই জামা ঝেড়ে বিরক্ত মুখে নূর এসে বসলো চেয়ারে। বাইরে একদম হালকা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। নূরের বদ্ধ কালো চুলের উপর বিন্দু বিন্দু সাদা উজ্জ্বল পানির আলোড়ন। চুল ঝাড় দিয়ে নূর অত্যন্ত বিরক্ত কন্ঠে বলল,

— ওমন হা করে তাকিয়ে রয়েছেন কেনো? এক গ্লাস পানি খাওয়ান। নাকি আপনাদের এখানে পানিও পাওয়া যায়না? থাক, এসব ডাক্তার ফাক্তারের পানিও রোগী রোগী গন্ধ করবে। খাবো না।

আফ্রাম ছোট ছোট চোখে তাকালো। হঠাৎ মনে হলো ভেজা চুলের নূর বেশি সুন্দর। ওই ফোলা রক্তিম ফর্সা গাল দুটোর সাথে কালো চুল নূরকে মনে হয় অধিক চিন্তাশীল, বিচক্ষণ, মেধাবী, বুদ্ধিসম্পন্ন নারী এবং ভীষণ চতুর। অন্যরকম আলাদা আদুরী নূর। আফ্রাম নিজেকে যথাসম্ভব স্বাভাবিক করে তুলে গম্ভীর মুখে বলল,

— তুমি এখানে কেনো?কেউ দেখে নি তো?

— উফফ ডাক্তার…সবসময় গম্ভীর মুখে কথা বলবেন না তো। আর আমি রেইনকোট পড়ে এসেছি যেটা এখন আপনার এসিস্ট্যান্ট এর কাছে।

আফ্রাম নড়েচড়ে বসলো। এরপর বলল,

— আমরা বাইরে দেখা করতাম…. তোমার ভাই যদি

আফ্রামের কথা শেষ হওয়ার আগেই নূর ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলল,

— বাইরে দেখা করতাম মানে? আমি এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছি। আপনি কি বাইরে রেস্টুরেন্ট কিংবা পার্কে বসে আমার চিকিৎসা করতেন? আর এত বছর পরে কার ই বা কাকে মনে আছে বাদ দিন। আজ ৫ দিন পর দেখা করতে আসলাম নিশ্চয়ই কোনো কারন আছে।

আফ্রাম থতমত খেলো। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই উদ্ধিগ্ন গলায় বলল,

— চিকিৎসা নিতে এসেছো মানে? মাথা ব্যথা আবার বেড়েছে নাকি? ঠিকমতো ওষুধ খাও না ?

গালে হাত দিয়ে ঠোঁট উল্টে বলল,

— ওসব কিছু না ডাক্তার।

আফ্রাম ভ্রু কুচকে বলে,

— তবে?

নূর ভিষণ হতাশ কন্ঠে বলে উঠলো,

— আমি স্বপ্নে দেখিছি কেউ একজন আমাদের মারতে তাড়া করছে৷ আর আমরা পালাচ্ছি। তারপর হঠাৎ ই কেউ একজন এসে আমাদের বাচাঁয়। আর সে আমার বড় ভাইয়া।

আফ্রাম ভ্রুর কোণা উঠিয়ে তাকালো। নূর আবারো দুঃখে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলে উঠলো,

— আমি স্বপ্ন দেখবো না। এই কয়দিনে এতটুকু তো বুঝতে পেরেছি আমি না থাকায় সবাই খুশি বিশেষ করে আমার ভাইরা। কিন্তু কে তাড়া করলো আর বড় ভাই কপন বাঁচালো?

আফ্রাম চেয়ারে হেলান দিলো। মাথাটা এলিয়ে দিয়ে চেয়ারটাকে দুলাতে দুলাতে গোপনে বাকাঁ হেসে বলল,

— তোমার আজগুবি স্বপ্ন রাখো। আমি তোমাকে ঘুমের ওষুধ লিখে দিচ্ছি। খেয়ে ঘুমাবে। ভালো ঘুম হবে। আর হ্যা হুড়মুড় করে ঢুকে পরেছো। নিশ্চয়ই ভিজিট দেওনি। এখন ভিজিট সহ ৬০০ টাকা জরিমানা দিবে আমার টাইম ওয়েস্ট এর জন্য।

— ডাক্তারগুলো সত্যি কিপটা হয়।

আফ্রাম হাসলো। হাতের কলম নাড়াতে নাড়াতে বলল,

— তো? শুনো এখন তোমার ভাই রা তো ডারেক্ট অস্বীকার যে তাদের কোনো বোন ছিলো। আর তোমার মা কে পাশের বাসার এক আন্টির সাহায্য জিজ্ঞেস করাইসিলাম আকার ইঙ্গিতে তোমার কথা৷ সে কিছুটা আবেগী হইসিলো। বাট পরে রাগে ফায়ার হয়ে অন্য প্রসংঙ্গে গেসেন। তোমার বাপ তে নাম্বার ওয়ান হিটলার। তুমি মরার পর পর ই তোমার পরিবারের আর্থিক অবস্থার অনেক উন্নতি হইসে। ব্যাপার টা বহুত ঘাপলা আসে। বাজারের আড্ডা আলোচনায় তারে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করায় বলল ‘ সে নাকি লটারি পাইসে’! বুঝতে পারসো কেমন হিটলার লোক।

— অবশ্যই। আমি জানি বাট আমার জানা মতে লটারি টাইপ কিসুই নাই। এখন আমাকে আগে আমার কেস রি-ওপেন করতে হবে। আর সেটা করবেন আপনি।

— সেটা করলাম বাট যদি জিজ্ঞেস করে এত বছর কী করসি তাহলে কী করবো? বুঝতে পারসো ব্যাপার টা কোন দিকে৷ যাবে? আর তুমি তখন যে কেস হ্যান্ডেল করতাসি তা নরমাল ছিলো যেখানে খুন করার মতো কিছুই নাই। এটা পূর্ব শত্রু তামির জের।

আফ্রামের কথা শেষে নূর নিজের প্লেন বলল। আর তা শুনে আফ্রাম বড় বড় চোখ করে চেয়ে রইল নূরের দিকে। যা দেখে হাসতে লাগল নূর৷

চলবে…..

#প্রনয়ের_ছন্দ
পর্ব- ৫
#আনজুম_তানিশা

০৭.

আফ্রাম সাহেবের সাথে কথা বলতে বলতে হসপিটালের নীচে নামতেই দেখি বড়দাভাই এর মতো কিছুটা দেখতে একজন কে হুড়মুড় করে ঢুকতে দেখলাম। আমিও কিছুনা ভেবে তার পিছন ছুটলাম। আফ্রাম সাহেব ও আমার পিছন ছুটলেন আর জিজ্ঞেস করতে লাগলেন আমি কেন ছুটছি। এত বছর পর ভাই কে দেখে আবেগে চোখে পানি চলে আসলো। এক হাতে চোখ মুছছি আর ভাইয়ার মতো দেখতে লোকটাকে ফলো করছি। লোকটা সিড়ি বেয়ে বেবি ইউনিট এ ডুকল। আমিও দূর থেকে দেখতে লাগলাম। একজন ডক্টর ঐ লোকটাকে দেখে বলতে লাগল,

— মি. নিশান মির্জা এত লেট কেন আপনি? আপনার জন্য আমি রাউন্ডেও যেতে হবে তো। হুর কিন্তু প্রচুর দুষ্ট । মনে হয় আপনার মতো।

— আমার মতো না ও ঠিক ওর

আর বলল না নিশান৷ কিছুটা দূর থেকে সব কিছু দেখল আর শুনল। সব কিছু শুনে নূরের বুঝতে বাকি নেই এটাই ওরই ভাই নিশান। কিন্তু নামের পদবী চেন্জ। একটা নার্স তোয়ালে মোড়ানো ফুটফুটে একটা বাবু কে এনে ভাইয়ার কোলে দিল। ভাইয়া বাবু কে কোলে নিয়ে বলল,

— আমার হুর মামনি টা র কি হয়েছে। সে আন্টিকে খুব বেশি জালিয়েছে। মামনি তুমি না খুব ভালো। মামনি চলো এখন তোমার আম্মু তোমার জন্য ওয়েট করছে। ওমা বাবার সাথে রাগ করেছো তাকাও না বাবার দিকে৷ সরি তো একটা জরুরি কাজে একটু বাহিরে গেসিলাম।

আরো কিছুহ্মন কথা বলল হুরের সাথে। তারপর ডক্টর থেকে বিদায় নিয়ে হাটা ধরল নিশান। আর নূর আফ্রাম আবারও তার পিছন পিছন ছুটলো। নিশান হসপিটাল থেকে বেড়িয়ে একটা প্রাইভেট কারের উঠল। বুঝা যাচ্ছে গাড়িটা দামী আর পার্সোনাল। ততক্ষণে আফ্রাম নিজের গাড়ি নিয়ে আসলো। তারপর নূর আফ্রামের সাথে গাড়িতে উঠে নিশান কে ফলো করতে লাগল। একসময় গাড়িটা একটা আলিশান দুতলা ডুপ্লেক্স বাড়ির সামনে এসে থামল। নূর রা ও কিছু টা দূরে গাড়ি থামিয়ে ফলো করতে লাগল। বাড়িটা দেখে নূরের বুঝতে বাকি নেই এইটা নিশানের বাড়ি। কারন বাড়ির নাম টা নিশানর পছন্দের নাম “নিভৃত মঞ্জিল”। বাড়ির সদর গেট টা খোলা। তাই দূর থেকে নূর আফ্রাম দেখতে লাগল সবটাই।

বাড়ির গার্ডেনে একজন সুন্দরী রমনী বসে আছে। আর তারপাশেই এক বৃদ্ধ দম্পতি বসে আছে। ভাইয়া সেই রমনীর কাছে বাবুকে দিতেই সেই রমনী বাবুকে কোলে নিলো পরম মমতায়। বুঝাই যাচ্ছে বাবুটা র মা সেই রমনী। হঠাৎ নূরদের পিছনে গাড়ির হর্ন বাজতে লাগল। হঠাৎ এমন শব্দে কিছুটা চমকে গেল নূর আফ্রাম। গাড়ি থেকে একটা সুদর্শন ছেলে নামল। লোকটা আর কেউ না নিবিড়৷ নিবিড় কে দেখে নূর অনেকটা বোবার মতো হয়ে গেলো। চোখ টা ছলছল করে উঠল। নিবিড় নূরদের সামনে এসে তাড়িয়ে জিজ্ঞেস করল,

— কে আপনারা? এমন বাড়ির ভিতর উঁকিঝুঁকি মারছেন কেন?

আফ্রাম নূরের দিকে তাকিয়ে দেখল নূরের চোখ ছলছল করছে। যেকোনো সময় কেদে ফেলতে পারে। তাই আফ্রাম বুদ্ধি করে কিছুটা একটা বলল যা নূরের কান অবধি পৌছালো না। তারপর লোকটা কিছুহ্মন চুপ থেকে আমাদের বাড়ির ভিতর প্রবেশের সুযোগ দিলো। আফ্রাম নূরের হাত ধরে বাড়িতে প্রবেশ করল। নূর অবাক নয়নে নিজের ভাইদের দেখছে।

বলাবাহুল্য ভালো নূর এখন বোরকা নিকাব পড়ে আছে। তাই ওকে চিনার উপায় নেই।

নিবিড় ওর ভাই-ভাবীর সামনে গিয়ে কিছু বলল তারপর নিশান আর তার স্ত্রী নূরের সামনে এসে হুর কে নূরের কোলে দিলো। নূর অবাক হয়ে আফ্রামের দিকে তাকালো। আফ্রাম ইশারা কোলে নিতে বলল হুর কে। নূর ও ছলছল চোখে হুর কে কোলে নিয়ে কেঁদে ফেলল। নিশান বলে উঠল,

— বোন কেঁদো না। সব ঠিক হয়ে যাবে।

নিশানের কথায় বিষম খেলো নূর। নূর একবার নিশান নিবিড় কে দেখতে লাগল অন্য বার আফ্রাম কে। আফ্রাম চোখের ইশারায় আশ্বস্ত করল নূর কে। নূর কিছু না বলে কাঁদতে লাগল। নিশানের স্ত্রী বলল,

— বোন তুমি কেঁদো না। এখনো অনেক সময় আছে। তুমি আবার কনসিভ করতে পারবে। আর যখনই মন চাইবে তখনি চলে আসবে হুরের কাছে। আমরা সবাই তোমার পাশে আছি।

এমন বহুত কথা বলে নূর কে শান্তনা দিতে লাগল সবাই। সবার কথা নূরের মাথার ১০ হাত উপর দিয়ে গেলো। নূর বোকা বোকা চোখ নিয়ে আফ্রামের দিকে তাকালো। আফ্রাম হাসছে।

আরো কিছুহ্মন থেকে নূর আফ্রাম বিদায় নিলো ওদের থেকে৷ কিন্তু আসার সময় নূর হুর কে নিজের গলার থেকে খুলে একটা চেইন পড়িয়ে দিলো। যদিও নিশান মনিকা নিতে চায় নি। কিন্তু একপ্রকার জোড় করেই নূর আফ্রাম দিয়ে আসলো৷ সবাই ওদের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করছে। দুপুড়ে খেয়ে যাওয়ার জন্য অনেক জোড় করেছে কিন্তু নূর আফ্রাম তাদের অন্য দিন আসবে বলে চলে আসলো।

???

মাঝরাস্তায় দৌড়াচ্ছে আফ্রাম আর তার পিছন পিছন হকিস্টিক নিয়ে ছুটছে নূর। নিজের বোরকা খুলে গাড়িতে রেখে এসেছে তাই দৌড়াতে সুবিধা হচ্ছে ওর। রাস্তার লোকজন অবাক হয়ে চেয়ে ওদের দিকে। আফ্রাম দৌড়াচ্ছে আর বলছে,

— এইবারের জন্য মাফ করে দে বইন, এই কান ধরলাম আর এমন কথা কমু না।

নূর পিছন থেকে চেচিয়ে বলল,

— আগে থামেন আপনি দুয়েক ঘা দেই তারপর কান ধইরেন।

কিছুদূর গিয়ে আফ্রাম একটা ছেলের পিছনে লুকালো৷ আর নূর সেই ছেলেটার সামনে এসে দাড়ালো। বেচারা ছেলেটা বেকুবের মতো দুজনকে পরখ করতে লাগল। বেকুন ছেলেটা হলো আফিম।

— এই আপনি লুকালেন কেন? তাড়াতাড়ি ওনার পেছন থেকে বের হন৷ নাইলে আজকে আপনারে আমি নদীতে ফিক্কা মারমু!

রাগে ফুসতে ফুসতে বলল নূর৷ আফিমের পেছন থেকে মাথা টা বের করে আফ্রাম বলল,

— আমারে ভুতে কিলাইসে তো বের হমু।আর তুমি দইরা কিলাইবা।

আফিম বেচারা এত শক নিতে না পেরে অঙ্গান হয়ে গেলো। কারন এত বছর আফ্রাম একদম শান্তশিষ্ট ছিলো৷ এইসব কথা শুনে বেচারা আফিম শক্ড৷ আফ্রাম নিজের বন্ধুদের সাথেও মনে হয় এমন করে কথা বলে যেভাবে নূরের সাথে বলল। আফিমের এমন ঙ্গান হারানো দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল নূর আফ্রাম। নূর আফ্রাম দুজনেই আস্তে করে আফিমের শ্বাস চেক করল। তারপর এজটু সস্থির নিঃশ্বাস ফেলে আফিমের ঙ্গান ফিরানোর চেষ্টা করল।

আফিম চোখ মেলে নিজেকে একটা গাছের নিচে আবিষ্কার করল। আর তার দুই পাশেই আফ্রাম নূর বিরক্তি নিয়ে বসে আছে৷ আফিম কিছুহ্মন এদিক-সেদিক তাকিয়ে বলল,

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here