প্রাক্তন?,পর্ব__১+২

0
2716

প্রাক্তন?,পর্ব__১+২
Wendrilla Jahan Nira

কয়েকদিন আগে,

“আমার রুম এ এক কাপ কফি নিয়ে আসেন”
__আচ্ছা।

উনি হলেন আমার প্রাক্তন এবং আমিও উনার।উনি হলেন সমুদ্র আহমেদ। আমি নীরা। আমি উনার বাসাতেই ভাড়া থাকি।
বাবা-মার ছোট ছেলে।যখন বাসা টা ভাড়া নিয়েছিলাম জানতাম না বাসাটা তার।জানলে হয়তো নিতাম না।আমি যখন বাসা টা ভাড়া নিয়েছিলাম সে দেশে ছিলো না।আংকেল আন্টি থাকেন শুধু, তার বড় ছেলে বউ সন্তান নিয়ে আলাদা। তাদের মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে আর ছোট ছেলে বিদেশে। আর আমিও একটা থাকার জায়গা খুজছিলাম, বলা গেলে টুনো টুনির সংসার এ আমি ই ছিলাম সব বিগত ৭ মাস যাবত। সকালে আন্টি ঘুম থেকে উঠিয়ে দিতেন।খাওয়া করে ভার্সিটি চলে যেতাম। ভার্সিটি থেকে এসে আন্টি কে কাজে সাহায্য করতাম। কাজ তেমন কিছু জানতাম না আম্মু ও খুব একটা করতে দিতো না।তাই আর শিখা হয় নি, তবে আন্টির কাছে এসে অনেক কিছুই শিখেছি। পড়াশুনা করার পর বাকি সময় টা আংকেল আন্টির সাথে ভালোই কেটে যেত।
৭ মাস পর আসলেন আমার প্রক্তন মানে জনাব সমুদ্র।তাকে এখানে দেখে প্রায় ভিমড়ি খাওয়ার মত অবস্থা।নিজেকে সামলে নিয়ে চুপচাপ তার সামনে দাড়িয়ে আছি।সে বলল আপনি এখানে? আন্টি বলল ও নীরা রে সমু, আমাদের বাসায় ভাড়া থাকে। কিছু না বলে তাকে সালাম দিয়ে জিজ্ঞাস করলাম কেমন আছেন?সে রাগী গোলায় বলল মা তুমি যাকে তাকে বাসায় রাখো কেনো???
আমি আর কিছু না বলে চলে আসলাম আমার রুম এ।গোটা দুপুর এ আর রুম থেকে বের হই নি।কি করবো বুঝতে পারছি না।
এত দিন পরে তার সাথে দেখা হয়ে যাবে তা সপ্নেও ভাবি নি। তাকে তো বলেছিলাম ইচ্ছে করে তার সামনে আর কোনো দিন আসবো না।কিন্তু আজ!!
উফফফ খোদা রহম কর।বাসা টা ছেড়ে দিতে হবে।কিন্তু অন্য বাসা পেতেও তো সময় লাগবে। কি করবো আমি?? এগুলো ভাবতেই কখন যে ঘুমিয়ে গেছি জানি না।সন্ধ্যায় আন্টি ডেকে দিলো এই নীরা ঊঠ।সন্ধ্যা হয়ে গেছে। যা ফ্রেশ হয়ে আয় আমি পায়েস রান্না করেছি।
__হ্যা আন্টি আমি আসছি।
ফ্রেশ হয়ে গিয়ে দেখি সমুদ্রে সাহেব আংকেল এর সাথে গল্প করছে। আমাকে দেখেও না দেখার ভান করলো।আমিও তাকে দেখে না দেখার ভান করলাম।আন্টি পায়েস এর বাটি টা হাতে দিয়ে ছেলের কাছে গেলেন, অনেক দিন পর আদরের ছেলে কে পেয়েছে?…
দেখাম আন্টি তার ছেলের সাথে ব্যস্ত তাই নিজে গিয়ে পানি খাচ্ছিলাম।হঠাৎ করেই হাত থেকে গ্লাস টা পরে গেলো।সবাই দৌড়ে এলো।আন্টি বললো নীরা তোর আসার কি দরকার ছিলো আমাকে বললেই তো হতো?আমি বললাম তুমি তো ব্যস্ত ছিলে তাই আর বলিনি।

সে বলে উঠলো গ্লাস টা তো ভাঙলেন এর দাম কে দিবে??
__আমি ই দিবো। স্যরি ইচ্ছে করে ভাঙিনি।
তা জেনে আমার লাভ নেই।রুম টা পরিষ্কার করে দিন।দেখবেন যেনো একটা কাচের টুকরো ও না থাকে।
__জ্বী আচ্ছা।
সে চলে গেলো। আন্টি বলল নীরা তুই রুম এ যা আমি করছি।
__না আন্টি আমি ই করে দিচ্ছি।কাচ আছে হাত কেটে যাবে তোমার।আর গ্লাস এর দাম টা বাড়ী ভাড়ার সাথে দিয়ে দিবো।
নীরা তুই সমুর কথায় রাগ করিস না ছেলে টার যে কি হয়েছে বুঝতে পারছি না।আগে তো এরকম করতো না।তুই রাগ করিস না মা।
_না আন্টি রাগ করি নি।তুমি তোমার ছেলের কাছে যাও। যাও গল্প করো।কত দিন পর ছেলেকে কাছে পেলে বলো?
হুম তা ঠিক।যাই।আর শুন সবধানে মা। কাচ দিয়ে আবার হাত কাটিস না যেনো।
__নাহ।যাও তুমি।☺
মনে মনে ভাবছি।একটা মানুষ এত্তটা পরিবর্তন কি করে হয়?? এত রাগ কিসের আমার উপর? আমি তো সম্পর্ক টা ভাঙি নি।সে আর আমাকে চায় নি তাই নীরবে চলে এসেছি।
বাসাটা পাল্টাতে হবেই। দেখি নতুন বাসা খুঁজি। এগুলো ভাবতে ভাবতেই আনমনে আঙুল টা গেলো কেটে।
তা যাক।পরিষ্কার করে রুম এ চলে আসলাম।এসে দেখি আম্মুর ২টা মিস্ডকল।চল ব্যাক করলাম।
“আসসালামু আলাইকুম আম্মু”
_ওয়ালাইকুম আসসালাম
__কল দিয়েছিলে?? বাইরে ছিলাম।
_হ্যা।কি রে তুই বাড়ি তে আসবি না??কত দিন দেখি না তোকে।?
হুম মা যাবো।একটু ব্যস্ততা টা কমুক যাবো।বাবা কেমন আছে গো?
__হুম ভালো আছে।
শুন তোর জন্য না একটা ভালো সমন্ধ এসেছে।ছেলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। তোর মামা এনেছে।ভালো না??
_(কথা টা শুনতেই কেমন জানি খারাপ লাগলো বুঝলাম না কেনো!!
আনমনেই ভাবতে বসলাম আর সমুদ্র??
পরে মনে পড়লো ধুর আমি তো তার প্রক্তন)
__মা পড়াশুনা টা শেষ করি।নিজে কিছু একটা করি তার পর না হয় বিয়ে নিয়ে ভাববো।ওই ছেলে কে নিসা আপুর(খালাতো বোন) বিয়ে দিয়ে দাও।?
_হুম তোর বাবা ও ওই টাই বললো আগে লেখা পড়া টা শেষ করুক।
আচ্ছা মা ভালো থেকো রাখি কেমন?এসাইনমেন্ট করার আছে গো।
__আচ্ছা রাখ।
ভাবলাম ছাদে যাই ভালো লাগছে না।একটু হাআআআ করে বাতাস খেয়ে আসি?.
ছাদে গিয়ে বসেছি মাত্র দেখি সমুদ্র সাহেব ফোন এ কথা বলতে বলতে ছাদে আসছে। আমাকে দেখেই বললো (আমার ধারনা ভুল ও হতে পারে আমি তো তার কেউ না যে আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে কথা বলবে)”জানো এখানে তোমায় ছাড়া একটু ও ভালো লাগছে না তোমায় খুব মনে পড়ছে।কি করি বলতো?”
একটা আপ্পা(চুমু) দাও তো মন টা ভালো হয়ে যাবে।
আমি নেমে এলাম কারো পার্সলান মুহূর্ততে থাকা উচিৎ না।এসে দেখি আন্টি খাবার সাজাচ্ছেন। আমিও হ্যাল্প করলাম।
সমু খেতে বসেছি নিচে আয়।
সমুদ্র সাহেব এলেন আর রাগী গলায় বললেন”মা ছাদ টাও কি সেয়ার করো নাকি যার তার সাথে?এখন কি তোমার ভাড়াটিয়ার সাথে বসে খেতে হবে??
__আমি আর ছাদে যাবো না। ? ছাদ সেয়ার করতে হবে না।আর আমার সাথে বসে খেতেও হবে না।?
আন্টি বলল নীরা ওর কথা বাদ দে তো।রাগ করিস না।ও ও যা আমার কাছে তুই ও তা।আয় খেতে বোস।
আমি একটু খেয়েই উঠে যাচ্ছিলাম
সে বলে উঠলো “কে জানি বলেছিলো খাবার নষ্ট করলে আল্লাহ্‌ পাপ দেয়।তাই পাতে যা থাকে তা খেয়ে উঠতে হয়”

চলবে………
প্রাক্তন
দ্বিতীয় পর্ব
Wendrilla Jahan Nira

আমি একটু খেয়েই উঠে যাচ্ছিলাম
সে বলে উঠলো “কে জানি বলেছিলো খাবার নষ্ট করলে আল্লাহ্‌ পাপ দেয়।তাই পাতে যা থাকে তা খেয়ে উঠতে হয়”
আমি আবার বসে গেলাম।খাচ্ছি আর ভাবছি আমার কথা গুলো এখনো মনে আছে দেখছি। খাওয়া শেষ করে যে যার ঘরে চলে গেলাম।আমার ঘরটা তার ঘরের পাশেই।আগে তো ফাকাই থাকতো আজ থেকে উনি থাকবেন।তা যেথায় ইচ্ছে থাকুক আমার কি?
রাত ২;৩৫ ফোন বাজছে।
অচেনা নাম্বার
একরাশ বিরক্তি নিয়ে ধরলাম
“হ্যালো আসসালামু ওয়ালাইকুম কে বলছেন?”
__আমি স্পর্শ।
কে স্পর্শ? এই নামে তো কাউকে চিনি না? কে আপনি?
_আপনি কি ঘুমোচ্ছিলেন??
এখন রাত আড়াইটা বাজে।এই সময় কি কেউ জেগে থাকে??
__অহহ তাই তো স্যরি স্যরি। আপনি ঘুমান আমি কাল কল দিবো। আর মীস নীরা ঘুমের মধ্যে আপনার কণ্ঠ কিন্তু আমার দারুন লেগেছে।শুভ রাত্রি.
কিছু বলার আগেই সে কল কেটে দিলো।কে এই স্পর্শ? আমার নাম ই বা কি করে জানেন? ধুরু ঘুম পাইছে ঘুমাবো।
সকালে ঘুম থেকে উঠেছি রেডি হয়ে ভার্সিটি যাবো এমন সময় আংকেল বলল নীরা তুমি কি ভার্সিটি যাচ্ছো??
__জ্বী আংকেল।কেনো?? কি বলবে তুমি?
সমুদ্র বাসায় ফিরেছে বলে একটা ছোট আয়োজন করবো খাওয়া দাওয়ার।ওর বন্ধু বান্ধবী আর কিছু আত্মীও আসবে।

তুমি কি একটু আজ আমার সাথে থাকতে পারবে??
__হ্যা পারবো। বলো কখন থাকতে হবে??
__এই সন্ধার দিকে।বোঝোই তো বয়স হয়েছে।
__হ্যা সেই জন্য তো পাশের ফ্যাটেই আন্টি টা তোমাকে……..বলবো বলবো?
__নীরা তুমি কি যে বলো না??
__আচ্ছা আংকেল ও আন্টি আমি গেলাম গো।
আন্টি বললেন নীরা গেলাম বলতে নেই বলতে হয় আসি তোকে না কত বার বলেছি বলবি আসি।
এইবার সমুদ্র সাহেব তার রুম থেকে বের হয়ে বলবো তার কি কারো কথা বুঝার বা শুনার ইচ্ছে আছে?? সে তো নিজেই সব বুঝে।
আমি কিছু না বলে আন্টি কে বললাম আচ্ছা আসি আমি লেট হয়ে যাচ্ছে।
__সাবধানে যাস মা।
__হুম আন্টি।

ক্লাস করছি কোনো এক বাদর কল এর উপর কল দিয়েই যাচ্ছে। দেখি আম্মুও কল দিয়ে যাচ্ছে। ক্লাস শেষ করে আম্মু কে কল দিলাম।
কি গো আম্মু ক্লাস এ ছিলো এত্ত কল দেবার কি আছে??
__শুন তোর মামা যে ছেলে টা কে দেখেছে সে তোর নাম্বার নিয়েছে কল দিলে ভালো মত কথা বলিস।তোর যা কথা বলার শ্রী।
_মা আমি যেমন আমি তেমন ই।আর নাম্বার কেন দিয়েছো।ধুরু আচ্ছা রাখো।দেখি।
পরে ওই অচেনা নাম্বার থেকে কল।
হ্যালো কে বলছেন??
__আমি। আমি স্পর্শ। আপনার মামা আমাকে….
অহহ আচ্ছা।ইঞ্জিনিয়ার সাহেব??তো বলেন কি বলতে চান??

__একটু দেখা করা যাবে এখন?আপনি যেখানে ভালো মনে করেন সেখানেই।
আচ্ছা।আমি তো বাসায় যাচ্ছিলাম। আমার বাসার সামনে একটা ক্যাফে আছে ওখানেই যাই।আমি ঠিকানা টেক্স করে দিচ্ছি।

এসে দেখি উনি বসে আছেন। আমাকে দেখে বলে উঠলো নীরা আমি এই দিকে। গেলাম তার কাছে।
কেমন আছেন? বসেন।
__হুম ভালো আছি। আপনি? তো কোনো দরকার ছিলো কি??
হ্যা একটু ছিলো। নেন কফি শুরু করেন।
কথা বলতে বলতেই দেখি সমুদ্র ও তার এক বন্ধুর সাথে এসেছে।আমাকে স্পর্শ সাথে দেখে খুব একটা ভালো লাগে নি তার তা বুঝাই যাচ্ছে তার মুখ দেখে।কিন্তু কেনো তার ভালো লাগছে না??আমি বা জনাব স্পর্শ তো তাকে কিছু করি নি।তাহলে??
স্পর্শ তেমন কিছুই বললো না। শুধু বললো সময় করে একদিন বলবো।
__আচ্ছা তো আজ উঠি।
আমি নামিয়ে দিয়ে আসি। গাড়ি আছে আমার সাথে।
__না থাক। কাছেই আমার বাসা।
ভালো থাকবেন নীরা।
__জ্বী আপনি ও।
সমুদ্র দেখে আছে লাল চোখ নিয়ে এই মনে হয় আমায় খেয়ে ফেলবে।বরাবরি তার চোখ আমি ভয় পেতাম এখনো পাই।তার চোখের দিকে আমি ৩০সেকেন্ড ও কখনো তাকিয়ে থেকতে পারি নি।কেমন জানি এক ভয় কাজ করতো।কিন্তু আজ চোখ দেখে বেশি ভয় লাগছে।কিন্তু কেনো?কিছু বলতে চায় সে?কি ই বা কথা থাকতে পারে!!
বাইরে এসে দেখি সে রক্তবর্ণ চোখ করে আমায় দেখি।তার চোখের চাহনি উপেক্ষা করে আমি চলে আসলাম বাসায়।কিছুক্ষন পরে সে ও এলো।সারা দুপুরে কেউ কারো সাথে কথা বলি নি।আংকেল আর আমি গেষ্টদের দাওয়ার দিলাম। তাকে বলা হলো তার বন্ধুবান্ধবদের যেনো সে ইনভাইট করে।
ছাদে তার বন্ধুবান্ধবরা ইঞ্জয় করবে আর নিচে আন্টি আর আংকেল এর গেষ্ট।
সবাই ক্লান্ত প্রায় ভাবলাম কফি নিয়া আসি।
আংকেল আন্টিকে দিলাম।
সে বলে উঠলো
“আমার রুমে এক কাপ কফি নিয়ে আসুন”
__আচ্ছা।
সে রুম এ চলে গেলো
কফি নিয়ে রুমে ঢুকলাম।
সে বলল কারো রুম এ ঢুকতে হলে পারমিশন নিয়ে হয়। জানেন না??
__স্যরি।
দরজায় টোকা মেরে বললাম “আসতে পারি?”
এসেই তো গেছেন। দিন কফি দিন।
__নিন।
হুট করে হতচ্ছাড়া মোবাইল টা বেজে উঠলো।
__হ্যালো আসসালামু আলাইকুম। কে বলছেন??
__ওয়ালাইকুম আসসালাম।আমি স্পর্শ। নাম্বার টা বুঝি এখনো সেভ লিষ্টে উঠার যোগ্যতা পায় নি।
__না না সেরকম কিছু নয়। (বেশ লজ্জা পেয়ে গেছি)
__তাহলে কি রকম কিছু?
আসলে ব্যস্ত ছিলাম সময় পাইনি।
দেখি সমুদ্র সাহেব রাগে জ্বলে যাচ্ছে।
__অহহ।তো এখন ফ্রি আছেন??
সত্যি বলতে একটু ব্যস্ত আছি।পরে কথা বলি?আমি ফ্রি হয়ে নক করছি।
__আমিও অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকবো।
নাহ নাহ অপেক্ষা করতে হবে না। আমি ফ্রি হয়েই নক দিবো।রাখি এখন।
__আচ্ছা।
কল কেটে দেওয়ার সাথে সাথে সমুদ্র সাহেব বলে উঠলো।”নতুন প্রেমিক বুঝি?”
__তা জেনে আপনার লাভ?
হুম তাই তো আমার লাভ?
__হুম আপনার জানার কোনো দরকার নেই।
আচ্ছা।একটা কথা জিজ্ঞাস করতে পারি??
__জ্বী করেন?
এই ছেলে টাই কি সেই ছেলেটা?? মানে কপি শপ এর ছেলে টা??
__হুম
নাম কি ওর
__স্পর্শ। কেনো?
অহহ। কি করে?
__ঠিক জানি না।তবে আম্মু বললো সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। বাড়ি থেকে ছেলে দেখছে।উনাকে পছন্দ করেছে।তাই আজ দেখা করলাম।
অহহ।ভালো তো।ধনী ছেলে!!
আর কি চাই বলো??
স্পর্শর কাছে নতুন স্পর্শর খোজে যাচ্ছো?
__সমুদ্র আহমেদ। নিজের সীমা রেখা অতিক্রম করবেন না।কপি টা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে খেয়ে দিন।আমি গেলাম।শুভ রাত্রি।
কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে চলে এলাম।
আংকেল আন্টি ঘুমিয়ে পরেছে।
আমিও বাড়ির সব লাইটস অফফ করে নিজের রুম এ চলে আসলাম।
তখন ই স্পর্শ এর টেক্সট “নীরা আছেন”?
নাম্বার টা সেভ করে নিলাম।
আমি ই কল দিলাম।
হ্যালো
__জ্বী বলেন নীরা।
আমার তো কিছু বলার নেই।আপনি কল দিয়েছিলেন।তখন ব্যস্ত ছিলাম তাই এখন কল দিলাম
__অহহ।তো আমাকে কেমন লাগলো বললেন না তো।
ভালোই লেগেছে।
__ তো আমাকে বিয়ে করছেন??
আসলে স্পর্শ আমার সময় লাগবে।নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে তবেই বিয়ে করবো।আর….
__ আর কি?? কাউকে পছন্দ করেন?তাকেই বিয়ে করতে চান?
নাহ। বিয়ে করতে চাওয়ার মত কেউ নি।তবে কাউকে ভালোবাসি।আর তাকে ভালো বাসার জন্য আমার তাকে প্রয়োজন হয় না।
__আমি ওয়েট করতে রাজি আছি।কিন্তু বিয়ের পর আমাকে ভালোবাসতে হবে।ভাগ করতে পারবো না আপনাকে।কারোর সাথেই না।
অন্য কাউকে বিয়ে করে ফেলেন।ভালো থাকবেন।
__আপনার সাথে ভালো থাকতে চাই। আমি কষ্ট পেতেও রাজি আছি, অপেক্ষা করতেও রাজি আছি।
আমার না ঘুম পেয়েছে।অন্য দিন কথা বলল।
__আচ্ছা শুভ রাত্রি।
হুম।শুভ রাত্রি।
সকাল হয়ে গেলো।অনেক কাজ।আজ বাসায় ওর আসার জন্য একটা গেট টুগেদার আছে।
সব কাজ প্রায় শেষ।যাক বাবা একটু শান্তি পেলাম।
“মা সাবাই মানে মেয়ে রা শাড়ি পরবে আর ছেলে রা পাঞ্জাবী নীল রঙ এর।তুমি ও পরবা।
এই যে নীরা না কি নাম আপনার,আপনি ও নীলশাড়ি পরবেন।
__আমার নীল শাড়ি নেই।

(চলবে…..)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here