প্রিয়জন❤Part-33
Writer-Moon Hossain
মোমের মনে প্রচন্ড ভয় কাজ করছে। আসলাম একেবারে তার কাছাকাছি এসে পড়েছে।
মোম চোখ বন্ধ করে বলল – একজন পবিত্র বিবাহিতা নারীকে অসম্মান করার শাস্তি ভয়াবহ।
মোম প্রাণ পণে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।
মোম তার দুই হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করেও কিছুতেই কিছু করতে পারলো না।
আসলাম মোমের নেকাবে হাত দিতে দিতে বলল- ঐ অসভ্য ইবলিশ লোকটার কাছে যেতে খুব ভালো লাগে তোমার?
আমার সামনে পর্যন্ত আসতে চাওনা।
ঐ লোক কে মুখ দেখাতে তোমার ভালো লাগে অথচ আমাকে?
মোম কি করবে না করবে ভেবে পেলো না। এটা আসলামের কোন কে জানে।
আসলাম আজ ভয়াবহ রেগে আছে এটা সে বুঝতে পেরেছে। মোম কে আসলাম ভালোবেসে ফেলেছে এটা আসলামের চোখ দেখলেই বোঝা যায়।
মোমের চোখ থেকে পানি পড়ছে।
হঠাৎ কিছু আওয়াজ পেলো আসলাম। আসলাম অন্য দিকে তাকাতেই মোম আসলাম কে ধাক্কা দিয়ে সোজা রুমে এসে দরজা বন্ধ করলো।
মোম এসে বোরখা খুলে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো।
মোমের খুব বেশি পরিমাণ কষ্ট হচ্ছে। মোম গড় গড় করে বমি করতে লাগল।
হঠাৎ দরজা লক করার আওয়াজ এলো। মোম কাঁপা কাঁপা হাতে দরজা খুলে দিলো।
মোমের মা হাসি হাসি মুখে মোমের হাতে গুড় মড়ির
প্লেট দিলো।
মোম প্লেট হাতে নিয়ে টেবিলে রাখলো।
মোমের মা বলল – তোকে কেমন যেন দেখাচ্ছে? এখানকার পরিবেশ ভালো লাগছে?
-কি যে বল মা! আল্লাহ যেভাবে রাখবে সেভাবেই আমি খুশি।
-তোর পছন্দের গুড় মুড়ি খাচ্ছিস না কেন? অন্য সময় হলে তুই কিভাবে খেতিস তা মনে আছে?
-মোম গুড় মুখে দিয়ে বলল, মা আমার শরীরটা ভালো নেই।
মোমের মা গায়ে হাত দিতেই মোম গড় গড় করে বমি করে দিলো।
মোম কে বোরখা খোলায় তার মা সাহায্য করলো।
মোম বলল- মা তুমি তোমার কাজ করো। আমি ঠিক আছি।
-কিভাবে ঠিক আছিস দেখতে পাচ্ছি।
গায়ে জ্বর উঠেছে। বমি করছিস।
মোম ইতস্তত করে বলল তার তেমন কিছুনা। এমনিতেই মনে হয় শরীর খারাপ লাগছে।
মোম কে শুইয়ে দিয়ে মোমের মা মোমের মাথায় গাত বুলাচ্ছে।
মোম আসল কথা বলল না। মা কে বললে তা বাবার কানে যাবে। বাবা শুনলে কষ্ট পেতে পারে তাই মোম চুপ হয়ে আছে। । কিন্তু আজ যা যা হলো বিশেষ করে আসলাম যা করলো তাতে বমি না এসে পারেনা। মোমের গা গুলাচ্ছে।
মোম গিয়ে শুয়ে পড়ল।
মোমের মা মোমের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
মোমের সারাদিনের ক্লান্তিতে চোখ জুড়ে ঘুম নেমে এলো।
.
.
মোম যখন গভীর ঘুমে রয়েছে তখন মোমোর মা এক গ্লাস গরম দুধ এনে টেবিলের উপরে রাখলো।
.
.
মোমের মোমের গালে হাত বুলিয়ে বলল সারাদিন দিন এটা সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মেয়ের খেয়াল নিতে পারেনি সে। মোম তার মায়ের সাথে খুব কম সময় কাটিয়েছে।
মোমের কপালে একটা চুমু দিয়ে বলল- মা আমার আমার উপর কোন রকম অভিমান রেখো না। আল্লাহ তোমার পাশে আছে সব সময়।
.
.
সকালে মোম যখন রেডি হচ্ছিল তখন আয়েশা এসে মোমের পাশে দাড়ালো।
-কিছু বলবে?
-তোমার শরীর ভালো?
– আল্লাহর রহমতে ভালো। হঠাৎ একথা কেন?
-এমনিই বললাম। এখন যেখানেই যাও নাশতা খেয়ে যাও।
মোম বলল আজ নাশতায় কি হয়েছে?.
মোম সোজা রান্না ঘরে গিয়ে পায়েস তৈরি করলো।
একদম খাঁটি দুধের পায়েস।
পায়েসের উপরে মোম কিছু বাদাম ছড়িয়ে দিলো।
আগুন বাদাম পছন্দ করে পায়েসে।
মোম আর আগুন নৌকায় বসে আছে।
মোম পায়েস বের করতেই আগুন বলল – খাইয়ে দাও। আগুন বিসমিল্লাহ বলে খেতে শুরু করলো।
মোম আগুনকে পায়েস খাইয়ে দিতে দিতে বলল – আপনার এখানে কোন অসুবিধা হচ্ছে না?
-না। অসুবিধা কেন হবে। আমি সবচেয়ে নিরাপদ স্থানে আছি। আল্লাহর পবিত্র স্থানে আছি।
-আচ্ছা আপনি জানলেন কি করে এখানে আমি আছি?
আগুন মাথা চুলকে বলল- তুমি যেখানে যাবে আমাকেও সেখানে পাবে। তুমি একদিন তোমাদের নদীর তীরে বাংলোর কথা বলেছিলে।
এখানে নাকি প্রতি বছর এই সময়ে আসো।তাই দুই দুয়ে চার মিলিয়ে চলে এলাম।
মোম বলল- আমি অভিমান করেছি। আপনি আরও আগে কেন এলেন না?.
আগুন মাথা চুলকাচ্ছে সে এক্সিডেন্টের কথা মোম কে বলে কষ্ট দিতে চায়না।
তাই কিছু বলছে না।
-বুঝতে পেরেছি কিছু একটা হয়েছিল আপনার।
আপনি ঠিক আছেন তো?
কি হয়েছিল আপনার আল্লাহর দোহায় বুলন?
-সামান্যই একটু চোট পেয়েছিলাম ড্রাইভিংয়ের সময়।
মোম কথা শুনে কান্না করতে করতে বলল – দেখি দেখি কোথায় চোট পেয়েছিলেন?
মোম আগুনকে চ্যাক করা শুরু করলো।
পান্জাবি বোতাম খুলে চোট কোথায় কোথায় পেয়েছে সেটা দেখতে লাগলো।
আগুন মজা করে বলল- আরে আরে বাসরের কাজ এখানে করছো কেন?
এসব পাঞ্জাবি এখানে খোলার জায়গা নয়।
তুমি আর আমি যখন একা থাকব তখন খুলে ফেলো আমি কিছু বলব না বরং নিজে সাহায্য করব।
মোম আগুনকে চোখ রাঙিয়ে বলল- একদম চুপ। আমাকে আমার কাজ করতে দিন।
মোম আগুনের বুকের মাঝে অনেকটা চোট পাওয়া অংশ দেখে সেখানে স্পর্শ করে কাদঁতে লাগল।
আগুন মোমের চোখের পানি মুছে দিলো।
মোম চোট পাওয়া জায়গায় একটা চুমু দিলো।
আগুন বলল- এখন আমি ভালো হয়ে গেলাম পুরোপুরি।
তো স্পর্শ হলো আমার ভালো হওয়ার ঔষধ।
আগুন হাতের চোটও দেখালো।
মোম সেখানেও একটা চুমু দিলো।
আগুন তারপর তার ঠোঁটে হাত দিয়ে বলল – এখানেও চোট পেয়েছি প্রিয়তমা।
মোম চোখ গরম করে তাকালো।
আগুন বলল- না মানে তুমি চোট পাওয়া জায়গা ভালো করে দিচ্ছো তাই বললাম আরকি। এখন এই জায়গায় ভালো করে দাও৷
মোম আগুনকে চোখ রাঙিয়ে বলল কিভাবে এক্সিডেন করেছিলেন?
-শুধু শুধু।
-শুধু শুধু কেউ এক্সিডেন করে?
আমাকে কথা দিন কখনো তাড়াহুড়ো করে ড্রাইভ করবেন না?
-আচ্ছা ঠিক আছে কখনো করবো না তাড়াহুড়ো।
.
.
দুপুরে মোমের বাবা মোমের রুমে এসে বলল সে যে পথে এগুচ্ছে সে পথ ঠিক না। আগুন নাকি সব সময় যার তার গায়ে হাত তোলে।
চিৎকার চেচামেচি করে পরিবেশ নষ্ট করে।
মোম বলল – বাবা তুমি আসলাম শেখের সাথে আমাকে একা ভার্সিটি পাঠাওনি। তুমিও আমাদের সাথে ছিলে। এটা আমরা জানি উনি জানেন না কারণ কখনো তুমি গাড়ি থেকে নামও নি।উনি ভেবেছিল আসলাম শেখের সাথে আমি একা এসেছি।যেদিন উনার সাথে আসলাম শেখের ঝামেলা হয় ঐদিন তুমি আমাকে ড্রপ করে আসলাম শেখ কে রেখে অফিসে গিয়েছিলে তোমার গাড়ি নিয়ে। তুমি আমার ক্লাস শেষে যখন এসেছিলে পেছন থেকে দেখছিলে উনি কিভাবে আঘাত করেছিলেন আসলাম শেখ কে। তুমি
তোমার সাথে আসলাম শেখ কে নিয়ে এসেছিলে দুটো কাজের জন্য।
১- আসলাম শেখের সাথে আমার কথা বলিয়ে দিতে এবং আমার সামনে উনার গুনগান গাইতে যেন আমি আমার স্বামিকে ভুলে যায়।
২- আসলাম শেখের সাথে আমাকে দেখলে উনি যা করবেন সেটা দেখে আমাকে উনার বিরুদ্ধে বলার জন্য। কারণ উনি কখনো সহ্য করতে পারবেন না আমাকে অন্য কারও সাথে।
বাবা আমি তোমার প্ল্যান এর কথা বুঝেও উনাকে বলিনি কারণ উনার সামনে চাইনি আমার বাবা ছোট হোক। উনি কিন্তু খুব কষ্ট পেয়েছিলেন।
আরমান সাহেব মেয়ের কথা শুনে চুপ করে আছেন।
বিকেলে মোম তার মায়ের সাথে পাশের এলাকায় এসেছিল। মোমের মা মহিলাদের সাথে কথা বলছিল। মোম নিজের মতো এদিক ওদিক হাঁটছে। আগুন নামাজ পড়ে নদের কিনারায় বসে আছে। মোম সেটা দেখতে পেয়ে আগুনের কাছে গেলো।
আগুন মোমের হাত ধরে নিজের কাছে বসালো।মোম আর আগুন অনেক ক্ষণ কোন কথা বললো না।
হঠাৎ আগুন মোমের হাত ধরে হাত মোজা খুলে কুনইয়ে চোট পাওয়া অংশে মলম লাগাতে শুরু করলো।
মোম চোট ঢেকে রেখেছিল আগুনের জানার কথা নয়।
আগুন বলল- ঐ আসলাম শেখ কে আমি আমি…..।
কত বড় সাহস আমার প্রিয়তমার গায়ে হাত দেয়।
আমার ইচ্ছে করছে ওর হাত ভেঙে গুড়িয়ে দিতে।
মোম বলল – রাগের বসে কোন কাজ করবেন না৷
আপনার রাগের কারণেই বাবা অমত করেছে।
মোম কাঁদতে শুরু করলো।
আগুন মোমের চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল- তাই বলে আমি ঐ ইবলিশ কে কিছু বলব না? ওকে আমি…
মোম আগুনের হাত ধরে বলল- দোহায় কিছু করবেন না আপনি। কাউকে ইবলিশ বলতে নেই। অনেক সময় আমিও বলি আপনাকে কিন্তু এটা ঠিক না। মানুষ কখনো শয়তান হতে পারে না। মানুষ সৃষ্টির সেরা।
ঐ লোক কে আঘাত করলে আপনার আর ঐ লোকের মাঝে পার্থক্য কি?
-তাই বলে…। আচ্ছা আমি শারীরিক ভাবে শাস্তি দেব না। কিন্তু শাস্তি অবশ্যই দেব।
মোম বলল – আপনি কিভাবে জানলেন?
আগুন বলল -আয়েশা ভাবি বলেছিল ফোন করে। উনাকে আমার কার্ড দিয়েছিলাম যেদিন তোমাদের বাসায় গিয়েছিলাম।
– এক্সিডেন্টের সময় আপনার ফোন ভেঙে গিয়েছিল তাহলে..
-আগুন হেসে বলল -কার্ডে দুটে নাম্বার ছিল। এখনকার টা অন্য ফোনে ছিল।
মোম মনে মনে বলল তার মানে ভাবি সব দেখেছিল। ভাবি বুদ্ধি করে আওয়াজ করেছিল তখন।
আগুন আর মোম হাত ধরে পাশাপাশি হাটছিল।
আগুন মজার মজার কথা বলছিল আর মোম হাসছিল। এই মূহুর্তে মোম আর আগুন পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দম্পতি ।
আগুন বলল – কাজ হয়েছে।
-কি হয়েছে?
আগুন হাত দিয়ে ইশারা করে দেখালো ডেইজি আর তার সব বন্ধু বান্ধব নৌকা করে এদিকেই আসছে।
মোম বলল -উনারা জানলো কিভাবে?
আগুন বলল- সেটা খুব সহজ। কেউ চাইলেই কাউকে খুঁজে বের করতে পারে প্রিয়তমা।
নদরে কিনারায় সবাই বসে বসে খুব মজা করছে। আগুন আর মোম কে ঘিরে রেখেছে সবাই।
সবাই টিফিন ক্যারিয়ারে খাবার নিয়ে এসেছিল।এখন এগুলো দিয়ে পিকনিকের মতো হচ্ছে।
মোম কে ঘিরে রেখেছে সবাই। মোম যখন ওপাশে বসে খাচ্ছিল তখন বিসমিল্লাহ বলে খাওয়া শুরু করতেই মেয়েরা বলল -খাওয়ার আগেই বিসমিল্লাহ বলতে হয় নাকি আরও সময়ে বলতে হয়।
মোম বলল – দৈনন্দিন অনেক কাজের আগে অনেক কিছু বলতে হয়। বলতে হয় – ১. ভালো কোন কিছু খাওয়া বা পান করার সময়, কোন কিছু লেখা বা পড়ার সময়, কোন কাজ শুরু করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করে । -(বুখারীঃ ৫৩৭৬)
২. ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোন শুভ সংবাদ শোনা হলে, কেউ কেমন আছো জিজ্ঞেস করলে- তার জবাবে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা । -(ইবনে মাজাহঃ ৩৮০৫)
৩. কারো হাঁচি আসলে ”আলহামদু লিল্লাহী ‘আলা কুল্লী হা-ল” বলা । -(আত তিরমিযীঃ ২৭৪১)
৪. কোন হাঁচি দাতা ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে শুনলে- ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা । -(বুখারীঃ ৬২২৪)
৫. আল্লাহ তা’আলার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ব বা বড়ত্বের কোন কৃতিত্ব দেখলে কিংবা শুনলে ‘আল্লাহু আকবর’ বলা । স্বাভাবিকের মধ্যে কোন ব্যতিক্রম দেখলে কিংবা আশ্চর্য ধরণের কোন কথা শুনলে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা । -(বুখারীঃ ৬২১৮)
৬. ভালো যে কোন কিছু বেশি বা ব্যতিক্রম দেখলে ‘মা-শা আল্লাহ’ বলা । -(মুসলিমঃ ৩৫০৮)
৭. ভবিষ্যতে কোন কিছু করবে বললে ‘ইন শা আল্লাহ’ বলা । -(আল কাহাফঃ ২৩-২৪)
৮. কোন বাজে কথা শুনলে কিংবা আল্লাহর আজাব ও গজবের কথা শুনলে বা মনে পড়লে “না’উজু বিল্লাহ” বলা । -(বুখারীঃ ৬৩৬২)
৯. কোন বিপদের কথা শুনলে কিংবা কোন খারাপ বা অশুভ সংবাদ শুনলে, কোন কিছু হারিয়ে গেলে, কোন কিছু চুরি হয়ে গেলে, কোন কষ্ট পেলে ‘ইন্না লিল্লাহ’ বলা । –(মুসলিমঃ ২১২৬)
১০. কথা প্রসঙ্গে কোন গুনাহর কথা বলে ফেললে, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলা । -(সূরা মুহাম্মদঃ ১৯)
১১. উপরে উঠার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলা এবং নিচে নামার সময় ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা । -(বুখারীঃ ২৯৯৩)
১২. নিশ্চিতভাবে না জেনে কোন বিষয়ে কিছু বললে, কথা শেষে ‘ওয়াল্লাহু আলুম’ বলা । -(বুখারীঃ ৫৫৭০)
১৩. কেউ কিছু দিলে কিংবা কারো মাধ্যমে কোন কাজ হলে তার বদলে ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলা । -(বুখারীঃ ৩৩৬)
১৪. কোন কিছু জবেহ করার সময় ‘বিসমিল্লাহী ওয়া আল্লাহু আকবর’ বলা । -(মুসলিমঃ ৫০৮৮)
সবাই মোমের কথা শুনে হাত তালি দিলো।
আগুনের কিছু বন্ধুরা বলল – মোমের সাথে আলাপ করিয়ে দিতে।
মোমকে একবার দেখতে চায় তারা।
আগুন ঘোর আপত্তি করলো।
মোম আগুনকে বলল বাংলোতে এগিয়ে দিতে তার গা গুলাচ্ছে কারণ ডেইজিদের ড্রেস যথেষ্ট উগ্র ছিল। ছেলেরা কথা বলার থেকে এগুলোই বেশি দেখছে।
হঠাৎ ডেইজি জোরে জোরে বলল- আগুন যদি ছেলে হয়ে থাকে তাহলে ওকে সারাক্ষণ ফেস দেখিয়ে বেড়ান কেন? ওর সাথে জিএফ এর মতো ঘুরে বেড়ান কেন?
এখন আবার ভালো সাজার চেষ্টা করছেন কেন? আগুনের সাথে মিশতে পারলে আমাদের ফ্রেন্ডের সাথে মিশতে আপত্তি কোথায়?
আগুন যদি আপনার বিএফ এর মতো আপনার সাথে ঘোরাঘুরি করতে পারে তাহলে ওরা কেন পারবে না। সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।
মোম কি বলবে ভেবে পেলো না। মোমের চোখে পানি চিকচিক করছে।
আগুন আর চুপ থাকতে না পেরে ডেইজি বলল থামতে।
তারপর সত্যি কথাটা বলে দিলো।
আগুন বলল – কারও সম্পর্কে না জেনে এভাবে কথা বলা উচিৎ না।
আগুন থেমে বলল – তোমাদের কাউকে বলা হয়নি আমি বিবাহিত।
সবাই যেন চমকে গেলো বিশেষ করে ডেইজি।
আগুন আবার বলল – ছোট বেলায় আমার সাথে ছোট একটা মেয়ের বিয়ে হয় অনেকটা পারিবারিক ভাবে।
আমি এতোদিন বলিনি কারণ একটা প্রবলেম ছিল।
আমি বলিনি বলেই না জেনে তোমরা ওকে কষ্ট দিলে।
আগুন মোমের হাত ধরে বলল – আশা করি বুঝতে অসুবিধা নেই কে আমার বউ!
আগুন মোমের চোখের পানি মুছে মোমকে নিয়ে চলে এলো সেখান থেকে।
.
.
চলবে…..