প্রেমবিভ্রাট ২০ তানভীর তুহিন

0
687

প্রেমবিভ্রাট
২০
তানভীর তুহিন

দীপ্তি মাথা উচু করতেই থমকে যায়। তুহিন একদম ওর কাছে এসে দাঁড়িয়ে আছে। তুহিনের চোখে এক মাতাল ঘোরের ছাপ স্পষ্ট। যে ঘোরে ধীরে ধীরে সংক্রমিত হচ্ছে দীপ্তি। তুহিন দীপ্তির কোমর টেনে দীপ্তিকে নিজের আরো কাছে নিয়ে আসে। দীপ্তি সেলোয়ার কামিজ পড়া। তুহিন দীপ্তির ওড়নাটা গলা থেকে সড়িয়ে ফ্লোরে ফেলে দেয়। দীপ্তির বাম হাতের কামিজের হাতাটা ধরে হালকা টান দেয় তুহিন। ফলে দীপ্তির কাধটা সম্পুর্নভাবে উন্মুক্ত হয়ে যায় তুহিনের কাছে। তুহিন দীপ্তির কাধের ঠিক মাঝখানটায় গভীর চুমু খায়। পরম আবেশে চোখ বন্ধ করে কেপে ওঠে দীপ্তি। আস্তে আস্তে তুহিনের চুমু গভীর হতে থাকে। তুহিন দীপ্তির কাধে এবং গলায় চুমু দিতে থাকে। ধীরে ধীরে তুহিনের চুমু মাঝারি আকারের কামড়ে রূপ নেয়। তুহিন দীপ্তির গলা আর কাধের ঠিক মাঝখানটায় কামড় বসাতে থাকে। দীপ্তির কাপনরোগটা চরম সীমানায় পৌছে গেছে। তুহিনের প্রত্যেকটা স্পর্ষে দীপ্তির কাপনরোগের মাত্রা বেড়েই চলেছে। দীপ্তি তুহিনের চুল খামচে ধরে আছে। তুহিন এবার দীপ্তির ঠোটে ঠোট ডোবায়। দীপ্তির ঠোটে আলতো করে কামড় বসাচ্ছে তুহিন। দীপ্তি আর এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। মনে হচ্ছে কেপে কেপে মরেই যাবে। দীপ্তি তুহিনের টি-শার্টের কলার ধরে টেনে খাটে শুয়ে পড়ে। তুহিন দীপ্তির উপরে শুয়ে দীপ্তির গলা আর বুকের মাঝখানের খালি যায়গাটায় কামড় দিচ্ছে। আলতো আলতো কামড়ে দীপ্তির ধবধবে ফর্সা ত্বক লাল হয়ে যাচ্ছে। তুহিন প্রবল অধিকার ফলাচ্ছে দীপ্তির ঠোট দুটোতে। দীপ্তি তুহিনের ঘাড় আর গলায় নিজের নখ দিয়ে খামচে দাগ করায় ব্যাস্ত। দীপ্তি হাপিয়ে উঠেছে আর শ্বাস আটকে রাখা সম্ভব না তারপক্ষে। সাথে শরীরের কাপনটাও বেড়ে চলেছে। দীপ্তি হাত দিয়ে তুহিনের মাথাটা আলতো করে সরিয়ে বলে, ” শ্বাস আটকে রাখতে পারছি না আর। ”

তুহিন বসে থাকার মানুষ না। সে দীপ্তির গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়। আলতো আলতো করে ছোট কামড়ে ভরিয়ে দিতে থাকে দীপ্তির গলা। দীপ্তি কাঁপছে। তীব্রভাবে কাঁপছে। দেখলে মনে হবে প্রচন্ড শীতের প্রোকোপে ঠকঠক করে কাঁপছে। কাপাস্বরে দীপ্তি তুহিনকে বলে, ” আপনি এতো ভারী কেনো? দেখলে কিন্তু বোঝা যায় না শরীরে এতো ওজন। ”

তুহিন দীপ্তির গলায় চুমু খেতে ব্যাস্ত ছিলো। দীপ্তির কথা শুনে হাতে ভর দিয়ে মাথা উচু করে বলে, ” তুমি এরকম সিরিয়াস সিচুয়েশনেও এসব উদ্ভট টাইপ কথাগুলো পাও কোত্থুকে? ”

দীপ্তি কাঁপছে। কাঁপন যেনো থামছেই না। দীপ্তি আবার কাঁপাস্বরে বলে, ” আসলেই আপনি বেশ ভারী। ”

তুহিন দীপ্তির নাকে আলতো করে একটা কামড় বসিয়ে বলে, ” যখন তুমি প্রেগন্যান্ট হবে তখন তুমিও ভারী হয়ে যাবা। তখন তুমি আমার থেকেও ভারী হয়ে যাবে। তেমন কোনো চিন্তার ব্যাপার না। ”

দীপ্তি লজ্বা পেয়ে হেসে দেয়। তুহিন দীপ্তির গালে চুমু দিয়ে বলে, ” তাহলে তোমায় ভারী করার ব্যাবস্থা করি? ”

দীপ্তি কিছু বলে না। চোখ নামিয়ে নেয় দীপ্তি। লজ্বায় যেনো মরন হচ্ছে দীপ্তির। এই মুহুর্তগুলোর জন্য কত অপেক্ষা করেছে দীপ্তি। সেই কবে থেকে অপেক্ষা করেছে। অবশেষে সব অপেক্ষার অবসান ঘটলো। আজ দীপ্তির তীব্র সুখের রাত, আজ দীপ্তির তীব্র প্রাপ্তির রাত, আজ দীপ্তির সকল অনুভুতি পরিনতি পাবার রাত।

তুহিন দীপ্তির মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। লজ্বায় একদম টুকটুকে লাল টমেটো হয়ে গেছে দীপ্তির মুখখানা। তুহিন অপেক্ষা করছে শুধু দীপ্তির এক পলক চাহনির জন্য। যে চাহনিটুকুতে লেখা থাকবে প্রেমের তীব্র স্পষ্টতা। দীপ্তি লজ্বামাখানো দৃষ্টিতে এক পলক তাকায় তুহিনের দিকে। তারপর চোখ বন্ধ করে তুহিনের ঠোটে একটা আলতো ছোট চুমু খায়। তুহিন যে স্পষ্টতা মাখা প্রেমের আভাস চাচ্ছিলো তার থেকে কয়েকশতগুন বেশি দিয়ে দিয়েছে দীপ্তি। তুহিন দীপ্তির কপালে চুমু খেয়ে নিজের টি-শার্ট খুলে ফ্লোরে ছুড়ে মারে। তারপর ব্যাস্ত হয়ে পড়ে দীপ্তির কামিজ খুলতে। একে একে তুহিন নিজের এবং দীপ্তির দুজনেরই সব খুলে ফ্লোরে ফেলে দেয়। দুজনের দেহে একটা সুতোরও অস্তিত্ব নেই। তুহিন দীপ্তির ঘাড়ে, কাধে, গলায়, কানের লতিতে, কানের পেছনের অংশে, বাহুতে, বুকে, পেটে, নাভীর একটু নিচে চুমু খাচ্ছে। চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছে দীপ্তির পুরো শরীর। তুহিন দীপ্তির পায়ে চুমু দিতে নেয়। দীপ্তি পা সরিয়ে নিয়ে বলে, ” কী করছেন? পায়ে কেউ চুমু খায় নাকি? ”
তুহিন বিরক্তি নিয়ে বলে, ” এতো কথা কেনো বলো তুমি? ”
– ” কথা বলবো না? পায়ে চুমু খাচ্ছেন কেনো? ”
– ” তোমার পায়ে যাদু আছে তাই! ”
– ” কীহ? পায়ে কীভাবে যাদু থাকে? ”
– ” কিছুদিন আগে ছাদ থেকে বৃষ্টিতে ভিজে রুমে এসেছিলে মনে আছে? ”
– ” হু। ”
– ” সেদিন চোখ পড়েছিলো তোমার পায়ে। ঐ বৃষ্টির পানিতে ভেজা পা দুটোর প্রতি সেদিনই তীব্র লোভ জন্মেছিলো। মন চাচ্ছিল পা দুটোতে গাল ঘষে, ঠোট ছুইয়ে দিতে, কামড়ে দিতে আঙুল গুলো। ”

দীপ্তির পায়ের মধ্যেও যে সৌন্দর্যতা ছিলো সে ব্যাপারে সন্দিহান ছিলো দীপ্তি। ইশ! মানুষটা কী সুন্দর করে রুপের প্রশংসা করতে পারে। নাহলে পায়ের প্রতিও কারো এমন তীব্র লোভ জন্মায় নাকি? ভেবেই লজ্বায় গুটিয়ে যায় দীপ্তি।

তুহিন দীপ্তির পায়ের আঙুল গুলোতে কামড় দিচ্ছে। এক অন্যরকম অনুভুতি হচ্ছে দীপ্তির। মনে হচ্ছে ও কোনো চরম আনন্দের প্রভাবে শূন্যে ভাবছে। বুকের ভেতরটায় কেমন এক অদ্ভুত প্রবাহ অনুভব করছে দীপ্তি। তুহিন দীপ্তির পা ছেড়ে এবার সারা শরীর কামড়ানো শুরু করে। দীপ্তির পুরো শরীরে ছোপ ছোপ লাল দাগ বসাতে চরম ব্যাস্ত তুহিন। তুহিনের প্রত্যেকটা কামড়ে খানিক ব্যাথা পাচ্ছে দীপ্তি তবে তার থেকে বেশি পাচ্ছে এক অদ্ভুত ভালোবাসার মিশেল অনুভুতি। দীপ্তির শরীরের এক মিলিসেন্টিমিটার যায়গাও বাদ দিচ্ছে না তুহিন। পাগলের মতো আলতো আলতো কামড় বসাচ্ছে দীপ্তির সারা শরীরে। দীপ্তি অনুভব করছে তুহিনের প্রত্যেকটা তীব্র স্পর্ষ। ধীরে ধীরে তুহিনের স্পর্ষ গভীর হতে থাকে। তীব্র গভীর হতে থাকে। দীপ্তির অনুভবের মাত্রাও যেনো সীমানা যুদ্ধে জয়ী হতে থাকে। দুজনেই মেতে ওঠে এক আদিম নেশাযুক্ত খেলায়। আজ দুজনের প্রাপ্তির রাত, আজ সকল অপেক্ষা অবসানের মুহুর্ত, আজ তুহিন আর দীপ্তির তীব্র ভালোবাসা প্রকাশের মাহেন্দ্রক্ষণ। আজ ওদের অনুভুতির পরম পরিনয়ের সন্ধিক্ষণ।

চলবে!
#thetanvirtuhin

প্রিয় গল্পপ্রেমিরা যুক্ত হয়ে যান পরিবারে ►
” Tanvir’s Writings “

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here