প্রেমবিভ্রাট
২১
তানভীর তুহিন
পেরিয়েছে প্রায় তিনমাস।
প্রতিদিনের মতো আজও দীপ্তির ঘুম ভাঙলো সারা শরীরে চিনচিনে ব্যাথা নিয়ে। প্রতি রাতের মতো গতকাল রাতেও তুহিন এলোপাথাড়ি কামড়েছে দীপ্তিকে। একদম সারা শরীরে কামড়েছে। দীপ্তি উঠতে চাচ্ছে কিন্তু তুহিন কিছুতেই উঠতে দিচ্ছে না। দীপ্তির বিরক্ত লাগছে খুব। দীপ্তি বিরক্তি নিয়ে ঘুমজড়ানো কন্ঠে তুহিনকে বলে, ” ছাড়ো না। উঠবো আমি। ”
তুহিন দীপ্তিকে আরো চেপে জড়িয়ে ধরে বলে, ” কয়টা বাজে? ”
দীপ্তি চোখ পিটপিট করে দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকায়। তারপর দেয়াল ঘড়িতে সময় পরখে বলে, ” ৮ টা ১৯ বাজে। ”
তুহিন এখনও চোখ বুজে আছে। চোখ বুজে থাকা অবস্থায়ই তুহিন বলে, ” সাড়ে আটটা অবধি শুয়ে থাকো আমার ছাড়তে ইচ্ছে করছে না। ”
– ” ধুর! ছাড়ো না। আমার ঘুম পাচ্ছে না। ”
– ” আমি কী ঘুমাতে বললাম নাকি? আমি শুয়ে থাকতে বলেছি। শুয়ে থাকো। ”
দীপ্তি ” উফফ! ” বলেই নাকিকান্না কেঁদে দিলো।
তুহিন আলতো করে দীপ্তির গালে একটা মিছিমিছি থাপ্পড় দিয়ে বললো, ” সকাল সকাল নাকিকান্না কাঁদছো কেনো? ”
দীপ্তি নাকিকান্নার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে বলে, ” আমার অস্বস্তি লাগছে। গোসল করবো। ছাড়ো না। ”
তুহিন এবার দীপ্তিকে ছেড়ে দিয়ে বলে, ” ঘুম পাচ্ছে।নাহয় আমিও তোমার সাথে একসাথে গোসলে ঢুকতাম। ”
দীপ্তি উঠে আলমারির কাছে যেতে যেতে বলে, ” হু! আমার মাথায় ছীট আছে তো? আমি আর জীবনেও তোমার সাথে একসাথে গোসলে ঢুকবো না। তোমার সাথে গোসল করা মানে লাখ খানেক কামড় খাওয়া। রাক্ষস কোথাকারের। মাঝে মাঝে মন চায় একদম দাতগুলো ভেঙে ফোকলা করে দেই। ”
তুহিন হেসে ফেলে। তুহিন বলে, ” এভাবে ক্ষেপিয়ো না আমায়। তাহলে এখন ঘুম বিসর্জন দিয়েই তোমার সাথে গোসলে ঢুকবো। ”
দীপ্তি জামাকাপড় হাতে নিয়ে এক দৌড়ে বাথরুমের দরজার কাছে চলে যায়। তারপর খিটখিট করে হেসে বলে, ” এবার আর আসার সুযোগ নেই চান্দু। চুপচাপ ঘুমাও। লুচ্চাবেডা কোথাকার। ” বলেই ঠাস করে দরজা বন্ধ করে দেয় দীপ্তি। কারন দীপ্তি জানে আর কিছুক্ষন এভাবে কথা বললে তুহিনের ঘুমের ঘোর কেটে যেতো। তখন তুহিনকে আটকানোও যেতো না।
একেতো তুহিনের নাকি আমার এই ঘুম থেকে ওঠা ঘুমু-ঘুমু চেহারা ভালো লাগে তারউপরে সারা শরীরে কোনো সুতা পরিমান কাপড়ও ছিলো না। তুহিন ঘুম থেকে উঠলেই আমার কয়েক লাখ কামড় সহ্য করতে হতো এই সকাল বেলা। এসব ভেবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে মিটিমিটি হাসলো দীপ্তি।
গোসল সেড়ে চুল ঝাড়তে ঝাড়তে বাথরুম থেকে বের হয় দীপ্তি। বাথরুম থেকে বের হয়ে তুহিনকে দেখেই ফিক করে হেসে ফেলে দীপ্তি। চুল মুছতে মুছতে গিয়ে আলমারি থেকে একটা থ্রি-কোয়াটার প্যান্ট বের করে সোজা তুহিনের মুখে ছুড়ে মারে। তুহিন হালকা নড়ে ওঠে। দীপ্তি তুহিনকে উদ্দেশ্য করে বলে, ” এই যে বেশরম নাঙ্গুপাঙ্গু! প্যান্ট পড়ে নাও। আমি দড়জা খুলে নিচে যাবো। ”
তুহিন প্যান্টটা মুখ থেকে সড়িয়ে দু পা দিয়ে গলিয়ে পড়ে নেয়। প্যান্টটাকে কোমড় অবধি তুলে মাঝারি ধরনের একটা চিৎকার দেয় তুহিন। দীপ্তি আলমারির ভেতরকার কাপড়গুলো গোছাচ্ছিলো। দীপ্তি পিছনে ফিরে তাকাতেই তুহিন ছটফটে ভঙ্গিতে বলে, ” দীপ্তি! দীপ্তি! চেইন আটকে গেছে..। ”
দীপ্তি কাপড় গোছানো ফেলে রেখে তুহিনের কাছে ছুটে যায়। দীপ্তি তুহিনের কাছে যেতেই তুহিন দীপ্তিকে ধরে হ্যাচকা টান মারে। দীপ্তি তাল সামলাতে না পেরে তুহিনের ওপর পড়ে যায়। পড়ে যাবার ফলে দীপ্তির ভেজা চুলগুলো সামনে চলে আসে। তুহিন সযত্নে দীপ্তির চুলগুলো কানের পেছনে গুজে দেয়। দীপ্তি তুহিনের বুকে ভর দিয়ে মাথা উঠিয়ে ভ্রু কুচকে তুহিনকে জিজ্ঞেস করে, ” এভাবে ভং ধরলে কেনো? ”
তুহিন দীপ্তির নাক টিপে বলে, ” ভং না ধরে ডাকলে কী তুমি আসতে নাকি? ” বলেই তুহিন দীপ্তির গলায় মুখ ডোবানোর জন্য মুখ বাড়ায়।
দীপ্তি খপ করে তুহিনের গালদুটো ধরে বলে, ” একদম না। ঘুম থেকে উঠে এখনও ফ্রেশ হওনি। মুখ তেলতেলে হয়ে আছে তোমার। এই তেলতেলে মুখ একদম আমার গলায় লাগাবে না। মাত্রই গোসল করে এসেছি। ”
তুহিন বিরক্তিমাখানো স্বরে বলে, ” উফ তুমি না রোমান্সই বোঝো না। একদমই আনরোমান্টিক। অথচ বিয়ের পরে বলতে আমি নাকি আনরোমান্টিক হ্যান ত্যান, প্যানপ্যান। ”
দীপ্তি তুহিনের গালে চিমটি কেটে বলে, ” আমি মোটেই আনরোমান্টিক না। তোমার মধ্যে রোমান্টিকতা বেশি সেজন্যই আমায় আনরোমান্টিক মনে হয় তোমার। অসভ্য একটা। ” বলেই দীপ্তি তুহিনকে একটা আলগা ধাক্কা মেরে উঠে যায়। তুহিন চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে বসে। তুহিন খাটে বসে চোখ কচলাচ্ছে আর অনবরত হাই তুলছে। দীপ্তি আয়নার সামনে গেছে চুল বাধবে বলে। আয়নার সামনে গিয়েই দীপ্তির চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। পুরো গলায়, বুকে স্পষ্ট লাভ বাইটের দাগ। ছি! এসব নিয়ে কীভাবে নিচে নামবে দীপ্তি? এমনিতেই আরো কয়েকবার এই দাগ নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছে দীপ্তি। আজ আবার? আম্মু আর বুয়া মিটিমিটি হেসে জ্বালাবে, আয়েশা চুন্নিটা তো সোজা জোরে জোরে চিৎকার দিয়ে বলবে, ” কীরে জানু ঘরে রাক্ষুসে মশা পালিস নাকি? কামড়ে কামড়ে কী হাল করেছে তোর! ” ছি! ছি! মান-সম্মান শেষ। রাগে ক্ষোভে অস্থির হয়ে উঠেছে দীপ্তি। মন চাচ্ছে একটা হাতুড়ি এনে সোজা তুহিনের দাতকটা ভেঙে দিতে। দীপ্তি আর রাগ সামলাতে পারলো না। সোজা লাফিয়ে খাটে উঠে তুহিনকে শুইয়ে দিয়ে তুহিনের বুকের উপর বসে জোরে জোরে তুহিনের চুল টানা শুরু করলো। একদম খুব জোরেই টানা শুরু করলো। এতই জোরে যে তুহিনের চুল মাথা থেকে উঠে যাবার উপক্রম। তুহিন দীপ্তির হাতদুটো শক্ত করে চেপে ধরে গোঙানো স্বরে বলে, ” কী হয়েছে? এরকম জংলিপনা করছো কেনো? ”
দীপ্তি রাগে ফুসছে। একদম তেলেবেগুনে জ্বলছে দীপ্তি। দীপ্তি চেঁচিয়ে বলে, ” তোমায় কতদিন বলেছি না এভাবে কামড়াবে না আমায়। কথা শুনো না কেনো তুমি? এখন আমি নিচে যাবো কীভাবে? নিচে গেলেই এখন কী বিড়ম্বনাটায়’ই না পড়তে হবে। তা বোঝো না তুমি? ”
তুহিন চোখ ছোট করে দীপ্তির গলা আর বুকের দিকে তাকায়। আসলেই লাল ছোপ-ছোপ দাগ হয়ে আছে। তুহিন দীপ্তির তুলনায় আরোজোরে চেঁচিয়ে বলে, ” আমার চুল কেনো টানছো? সব দোষ তো তোমার। ”
দীপ্তির রাগের পরিমান বাড়ে। হাতদুটো তুহিন চেপে ধরে রেখেছে নাহলে এখনই তুহিনের মাথার সব চুল টেনে উঠিয়ে তুহিনকে টাকলা বানিয়ে দিতো। দীপ্তি দাত খিটিমিটি দিয়ে চোখ উল্টে বলে, ” আমার কীসের দোষ? আমি কী তোমায় আমাকে কামড়াতে বলেছি নাকি? ”
– ” না তা বলোনি। কিন্তু দোষ তোমারই। তুমি এতো সফট যে না কামড়ে থাকতেই পারি না। ”
– ” মেয়েরা একটু নরমই হয় এতে দোষের কিছু নেই। তাই বলে এভাবে কামড়াবে নাকি? ”
– ” একটু নরম? তোমায় তো আমার একদম নরম ভ্যানিলা আইস্ক্রিমের মতো লাগে। তারপরে ওই যে হয়না বেকারিতে বানানো সদ্য পাউরুটি আর কেক ঠিক ওরকম নরম মনে হয় আমার। না কামড়ে কীভাবে থাকি বলো? ”
– ” তোমার এসব যুক্তির গুষ্টি কিলাই। তুমি ফারদার আর আমায় কামড়াবা না! ”
– ” অসম্ভব… আমি কামড়াবোই। ”
– ” একদম দাঁত ভেঙে ফোকলা করে দেবো তোমায়। ”
তুহিন খিলখিল করে হেসে বলে, ” তারপর তোমারই পাঁচজনের কাছ থেকে খোটা শুনতে হবে ফোকলা ব্যাটার বউ! ফোকলা ব্যাটার বউ! নামে। ”
– ” খুব হাসি পাচ্ছে তোমার না? ” নাকিকান্না জুড়ে দেয় দীপ্তি। নাকিকান্না কাঁদতে কাঁদতে বলে, ” আমি নিচে যাবো কীভাবে? আয়েশা এসব দেখলেই আব্বু-আম্মুর সামনে ক্ষ্যাপাবে। ছী! কী লজ্বা..। ”
তুহিন দীপ্তিকে সড়িয়ে বলে, ” প্রতিদিনই তো কামড়াই। কই কোনোদিন তো এমন দাগ হয় না। আজ এতো গভীর দাগ হলো কীভাবে? ”
দীপ্তি দাত খিটে বলে, ” কারন আপনি বেশ মুডে ছিলেন। অসভ্যা খরগোশ কোথাকার..। ”
– ” আশ্চর্য! তোমায় এভাবে কামড়াচ্ছিলাম। তুমি আটকাবে না আমায়? ”
– ” ওরে ঢং রে। একবার কামড়ানো শুরু করলে আপনি আর এ দুনিয়াতে থাকেন নাকি? ”
দীপ্তি গুঙিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে, ” এখন কী করবো বলো? এভাবে আমি কোনোমতেই নিচে যেতে পারবো না আজ। ”
তুহিন খাট থেকে নেমে গিয়ে দীপ্তির ফেসক্রিম আর মেকাপ বক্স নিয়ে আসে।
দীপ্তি কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করে, ” এসব এনেছো কেনো? এসব দিয়ে কী করবে? ”
তুহিন ফেসক্রিমের ঢাকনা খুলতে খুলতে বলে, ” একদম চুপ করে বসে থাকবে। কোনো কথা বলবে না। কথা বললে আজ তোমায় ফেসক্রিম আর মেকাপের চটপটি বানিয়ে খাইয়ে দেবো। ”
দীপ্তি রাগ নিয়েই মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। তুহিন প্রথমে দীপ্তির সুতির ওড়নাটা দিয়ে দীপ্তির গলা এবং গলার নিচে বুকের খালি অংশ মুছে দেয়। তারপর ফেসক্রিম নিয়ে ছোপ ছোপ দাগগুলোতে একটু একটু করে ক্রিম লাগায়। দুহাত দিয়ে মালিশ করে একদম ভালোভাবে ত্বকে মিশিয়ে দেয় ক্রিমটা। তারপর মেকাপ বক্স খুলে ফেসপাউডার ব্রাশে মাখিয়ে ওই দাগগুলোর উপর লাগিয়ে দেয়। দীপ্তি বেশ ফর্সা হওয়ায় ওর ত্বকের ওপরের হালকা মেকাপ বোঝা যাচ্ছে না। তবে মেকাপের প্রলেপে একদম বেশ ভালোভাবে দাগগুলো উধাও হয়ে গেছে। তুহিন দীপ্তির কাধে ধরে দীপ্তিকে আয়নার সামনে নিয়ে দাড় করায়। দীপ্তি ব্যাপারটা দেখে একদম বেয়াক্কেল বনে যায়। দাগ একদম উধাও হয়ে গেছে বললেই চলে। দেখে মনে হচ্ছে এটাই ওর ত্বকের প্রকৃত রূপ। যেখানে কোনো দাগের অস্তিত্বই নেই। একটা মেয়ে হয়েও এই বুদ্ধিটা দীপ্তির মাথায় এলো না কেনো?
দীপ্তি সন্দিগ্ধ নয়নে তাকায় তুহিনের দিকে। দীপ্তি বলে, ” সত্যি করে বলো। এসব তুমি কীভাবে পারো? এর আগেও কোনো মেয়েকে এভাবে কামড়ে, মেকাপ করে দাগ ঢেকে দিয়েছো নাকি? ”
– ” এসব পারার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি বা পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। শুধু একটু উপস্থিত বুদ্ধি হলেই চলে। মাথামোটাদের মাথায় এসব উপস্থিত বুদ্ধি আসে না। ”
– ” তুমি আমায় মাথামোটা বলছো? ”
– ” তুমি মাথামোটাই তো। নাহলে কেউ এই টিনি জিনিস নিয়ে এতো প্যানিক করে নাকি? ”
– ” মাথামোটা মানে বেশি বুদ্ধিমান। মনে আছে তোমায় বলেছিলাম? মাথামোটা বলে তুমি আমায় অধিক বুদ্ধিমানের আখ্যা দিলে। থাক থাক এতো প্রশংসা করতে হবে না। আমার আবার বেশি প্রশংসায় বদহজম হয়। ” বলেই খিটখিট করে হেসে দেয় দীপ্তি। তুহিনও হেসে দেয়।
তুহিন হেসে বলে, ” তোমার ওই উদ্ভট যুক্তিটা হাজারো মাথামোটাদের কলঙ্ক মোচনের সুত্র। তোমার এই উক্তি শোনার পরে যে কেউ কাউকে মাথামোটা বলার আগে একশোবার ভাববে। কেমন যেনো ছিলো কথাটা? ”
দীপ্তি হেসে বলে, ” মাথামোটা মানে হলো মাথা যত মোটা হবে মাথার ভেতর তত বেশি যায়গা হবে। যত বেশি যায়গা হবে তত বড় মস্তিষ্ক । আর যত বড় মস্তিষ্ক তত বেশি বুদ্ধি। তারমানে দাড়ালো মাথামোটা মানে হলো বেশি বা অধিক বুদ্ধিমান। ” বলেই দীপ্তি খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে। তুহিনও দীপ্তির হাসির সঙ্গে তাল মেলায়।
দীপ্তি তুহিনকে আলমারি থেকে জামাকাপড় নামিয়ে দিয়ে বলে, ” এই ধরো গোসলে যাও। আমি নিচে যাচ্ছি। ১০ মিনিটে রেডি হয়ে নিচে আসো। ক্লিনিকে যাবা লেট হয়ে যাচ্ছে। ” বলেই দীপ্তি চলে যাওয়া ধরে। তুহিন দীপ্তির হাত টেনে ধরে বলে, ” চলো না গোসলটা রিপিট করো। একসাথে গোসল করে একসাথে নিচে নামবো নাহয়। ”
দীপ্তি চোখ তাঁতিয়ে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলে, ” একদমই না। সারাদিন শুধু অসভ্যতামির ধান্দা। চরিত্রহীন কোথাকার। ঝলদি গোসল করে নিচে আসো এমনিতেই দেড়ি হয়ে গেছে আজ। ”
বলেই দীপ্তি নিচে চলে যায়। তুহিনও গোসল করতে বাথরুমে ঢুকে যায়।
চলবে!
#thetanvirtuhin
প্রিয় গল্পপ্রেমিরা যুক্ত হয়ে যান পরিবারে ►
” Tanvir’s Writings “