প্রেমবিভ্রাট ২৮ তানভীর তুহিন

0
547

প্রেমবিভ্রাট
২৮
তানভীর তুহিন

বেলকনির কার্নিশের ফাঁক দিয়ে বাইরে পা ঝুলিয়ে বসে আছে তুহিন। সন্ধ্যা প্রায় হবে, হবে। সূর্যটা আজ ডুবতেই চাচ্ছে না। পুরো আকাশে সূর্যের অস্তিত্ব নেই। তবুও আকাশটা যেনো কেমন অদ্ভুদভাবেই আবছা রৌদ্রজ্জ্বল। গত ১৫ দিন ভালোই কেটেছে তুহিনের। মোটেই ভালো কাটেনি। ভালো আর ভালোই এর মধ্যে বিস্তর তফাৎ। ভীষন বিস্তর। আমরা সাধারনত ভালো তখন থাকি যখন আসলেই প্রকৃতপক্ষে আমরা ভালো থাকি। আর ভালোই তখন থাকি যখন হাজারো কষ্টের মাঝে সবার সামনে স্বাভাবিক থাকতে হয়। নিজেকে আড়াল করে গুটিয়ে-গুছিয়ে রাখতে হয়। তখন অনেকটা সৌজন্যতার খাতিরেই আমাদের বলতে হয়, ভালোই আছি।

তুহিনও ভালোই আছে। অথচ তার কিন্তু ভালো থাকার কথাই ছিলো। এরকম বিচ্ছেদ আর বেইমানির সাথে তো এর আগেও লড়াই করেছে সে। সে লড়াই থেকে জীবন চিনতে শুরু করেছে, চরম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়েছে, মানষিক ভাবেও শক্ত হয়েছে। বিচ্ছেদের পরের যুদ্ধে কীভাবে জিততে হয় তা তুহিন ভালো করেই জানতো, এখনও জানে। তবুও যেনো সে সব কৌশল নিস্তেজ হয়ে পড়েছে, হয়ে পড়েছে পথভ্রষ্ট। সব কৌশলই প্রায় প্রয়োগ করে ফেলেছে তুহিন। তবুও কেনো যেনো একটা চাপা কষ্ট থেকেই যাচ্ছে ভেতরে। একা থাকলেই প্রচুর মনে পড়ে দীপ্তির কথা। তুহিনের মাথাটা খারাপ হয়ে যায়,পাগল হয়ে যায়, উন্মাদ হয়ে যায় একদম। রাগে, ঘৃনায় মনে হয় নিজেকেই খুন করে ফেলুক সে। নারীজাতির প্রতি এক তুমুল বিদ্বেষের সৃষ্টি হয়েছে তুহিনের মনে। আজও বেলকনিতে বসে একা একা বিয়ার গিলছে তুহিন। একা থাকলেই কেমন যেনো ভেতরের মানুষটা নিজে নিজে কথা বলতে শুরু করে, নিজের মতো করে ভাবতে শুরু করে। তুহিনও ভাবছে। দীপ্তির কথা ভাবছে, কেমন আছে দীপ্তি? ভালোই হবে হয়তো। তার নতুন প্রেমিক হয়তো তাকে আমার চেয়েও বেশি ভালো থাকা উপহার দিয়েছে। তাইতো আমার সাথে চরম বেইমানিটা করেছে সে। একবার তো বলতেই পারতো। কিন্তু আমার কেনো কোনোদিনও মনে হয়নি এসব কথা? দীপ্তি আমার কাছে এলে, আমি দীপ্তির কাছে গেলে, আমি কেনো উভয় পাশ থেকেই উন্মাদ ভালোবাসার সুভাস পেতাম?

তুহিনের মনে পড়ে যায় সেই স্টেথোস্কোপের ঘটনাটা। খানিক মুচকি হাসে তুহিন। মেয়েটার দম আছে বলতে হবে। ঠিকই তো করে নিয়েছিলাম আর কোনোদিন কোনো মেয়েকে ভালোবাসবো না। অথচ মেয়েটা কেমন জাদু করলো। পাগলই হয়ে গেলাম ওর প্রেমে। এই হৃদযন্ত্রটাও পাগল পাগল ভাবে স্পন্দিত হতো ওর জন্য। ওর হৃদয়ের উন্মাদ ধ্বনিও তো শুনেছিলাম সেদিন। তা কী আসলেই মিথ্যে ছিলো? একজন হৃদযন্ত্র বিশেষজ্ঞ হয়েও কী ভুল করে ছিলাম সেদিন? মেয়েরা কী নিজের হৃদপিন্ডটার স্পন্দকেও নিজের মতো করে মিথ্যে ভাবে চালনা করতে পারে? পারে হয়তো। দীপ্তি তো পেরেছিলো সেদিন। আমি সবসময় চেয়েছি ও ভালো থাকুক। পরোক্ষ ভাবে আমি তো ওকে ভালোই রেখেছি। ও মুক্তির তিল পরিমান আভাস দিতেই আমি ওকে মুক্ত করে দিয়েছি। মহৎভাবে ভালোবেসেছি ওকে। ঠকেছি তো কী হয়েছে? আচ্ছা দীপ্তি এখন ঠিক কী করছে? আমাদের সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে তো ও আর আমি এখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রেম উপভোগ করতাম। হয়তো এখনও প্রেম উপভোগই করছে শুধু বদলে গেছে বারান্দাটা। বারান্দার সাথে সাথে বদলে গেছে বারান্দার মানুষটাও। দীপ্তি প্রেম উপভোগ করছে, আর আমি উপভোগ করছি ঠান্ডা বিয়ারের আধো ঝাঝ। ভেবেই একগাল তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে তুহিন। ও প্রেমে মত্ত আর আমি শোক পালন করে দুঃখবিলাসে ব্যাস্ত, ভেবেই আবার চওড়া তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে তুহিন।

দীপ্তি বারান্দায় আধশোয়া অবস্থায় বসে আছে। মানসিক যন্ত্রনা আর চাপা কষ্টে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে সে। বুকটা চাপা কষ্টে কষ্টে ভর্তি হয়েগেছে পুরো, হৃদপিন্ডটা যেনো এই কষ্টের ফলে নিয়ম মেনে ঠিকভাবে স্পন্দন করাটাই ভুলে গেছে। অনেক কেঁদেছে সে। এখন ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, সে চাইলেই কাঁদতে পারে না। না পারে চিৎকার দিয়ে বুক হালকা করতে। কিন্তু বুকের গহীনে ঠিকই অসহনীয় ব্যাথা অনুভব হয়। এই কষ্ট থেকে মুক্তি পাবার কোনো উপায়ই খুজে পাচ্ছে না সে। দিন দিন তীব্র ব্যামোর সাথে সখ্যতা হচ্ছে তার। তুহিনকে দেখতে না পারার ব্যামো, তুহিনকে অকারন মিথ্যে শাসন করতে না পারার ব্যামো, তুহিনকে কাছ থেকে ভালোবাসতে না পারার ব্যামো, তুহিনের ভালোবাসায় নিজেকে সিক্ত করতে না পারার ব্যামো। হাজারটা ব্যামো, অথচ প্রতিষেধক? নেই। কোনো প্রতিষেধক নেই। তার ডাক্তার প্রেমিক যে বেখবরে তুলেছে নিজেকে। ভুলবুঝে প্রেম তুলেছে শাস্তির নিলামে। তুহিনকে একপলক দেখার জন্য বুকটা তড়পে মরে দীপ্তির। কিন্তু দীপ্তি কাছ থেকে দেখার উপায় খুজে পায় না। শুধু দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চোখ বন্ধ করে নেয় যদি একটু কান্না আসে। একটু কান্না প্রয়োজন তার। দিনদিন কেমন যেনো মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে সে। কী দোষ তার? কী দোষে এসব সহ্য করতে হচ্ছে তাকে? এসব নানান প্রশ্ন তো আছে দীপ্তির কাছে। কিন্তু এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই তার কাছে। সঠিক উত্তর তো দূরের কথা কোনো ভুল উত্তরেরও সন্ধান পায় না দীপ্তি। এই মানসিক অশান্তি, এই মানসিক যন্ত্রনা আর সহ্য হচ্ছে না তার। মাঝে মাঝে মনে চায় আত্মহতি দিয়ে দিতে। বহুবার ভেবেওছে আত্মহত্যার কথা। কিন্তু পরক্ষনেই ভেবেছে সে যদি তুহিনকে নীলের মতো ছেড়ে দেয় তাহলে তুহিন কোনোদিনই নিজেকে ক্ষমা করতে পারবে না। অপরাধবোধের কারনে সে জীবন্ত লাশ হয়ে যাবে। আর দীপ্তি মোটেই চায় না যে; সে যে অমানবিক, দুঃসহনীয় মানষিক কষ্টে ভুগছে সে অসুখে তুহিনও পড়ুক। তুহিন কেমন আছে? হয়তো ভালো নেই। আমায় ছাড়া কী সত্যিই তুহিন ভালো থাকতে পারে? কীভাবে পারবে? আমিই যে ওকে ছাড়া ভালো নেই। আমি জানি তুহিন আমায় আমার থেকেও বেশি ভালোবাসে। ভেবেই একটু জোরপূর্বক মুচকি হাসে দীপ্তি। চোখের নিচের অংশটা কালচে হয়ে গেছে। রাতে যে ঘুম হয় না তার। আগে তো চোখের পানি দিয়ে বালিশ ভেজানোর দায়িত্ব পালন করতো। এখন চোখে পানি না থাকায় সে দায়িত্ব থেকেও বাধ্য হয়ে অব্যাহতি নিয়েছে। এখন রাত্রিবেলাটায় এই বারান্দায় বসে চাঁদের সাথে কথা বলেই কাটিয়ে দেয় দীপ্তি। কথা বলার মানুষের যে বড়ই অভাব তার। কিছুদিন আগেই বাড়ির সবাই তাকে ড্রয়িংরুমে টেনে নিয়ে গিয়ে টিভিতে তুহিনের ঐ খবরটা দেখিয়েছে। যেখানে তুহিন স্পষ্ট বলছে, ” বিয়ে তার কাছে বোঝা। প্রেম তার কাছে পাপ। তার বৈবাহিক জীবন জাহান্নাম সমতুল্য, সে কিছুদিনের মধ্যেই তার বউকে তালাক দেবে। ” খবরটা দেখে দীপ্তি আনমনে বোকা হেসে সবাইকে বলেছিলো, ” ও খুব শান্তশিষ্ট স্বভাবের তো, সহজে রাগে না। এরকম প্রকৃতির মানুষ রাগলে আর মাথার ঠিক রাখতে পারে না। যা বলেছে রাগের বশেই বলেছে। তোমরা চিন্তা করো না। দেখবে কিছুদিন বাদে ও ঠিকই নিতে আসবে আমায়। ও আমায় ডিভোর্স দেবে সেটা তোমরা ভাবো কী করে? ও কোনোদিনই আমায় ডিভোর্স দিতে পারে না। কোনোদিন না। ”

তুহিন একদিন দীপ্তির কাছে আসবেই সবটা জানতে। তুহিন একদিন আসবেই তার ভালোবাসাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এটা দীপ্তির দৃঢ় বিশ্বাস। সে বিশ্বাস, আর সে আশাটুকু নিয়েই টিকে থাকার লড়াই কাধে বয়ে টানছে দীপ্তি।

দীপ্তির বাবা-মা বহুবার তুহিনকে জিজ্ঞেস করেছে তাদের ঝগড়ার কারন কী? তুহিন প্রত্যেকবারই বলেছে, ” এই প্রশ্নের উত্তর আমার থেকে আপনার মেয়ের কাছে স্পষ্টভাবে পাবেন। তাকেই জিজ্ঞেস করে নিন। আমায় এসব ফালতু প্রশ্ন করে বিরক্ত করবেন না। আমি আপনাদের অসম্মান করে একটি অক্ষরও উচ্চারন করতে চাইনা। ”

দীপ্তির বাবা-মা, আসাদ সাহেব, শায়লা বেগম, আয়েশা কমকরে হলেও কোটিবার ওদের ঝগড়ার কারন জিজ্ঞেস করেছে দীপ্তির কাছে। দীপ্তি কোনোবারই কারন বলেনি। প্রত্যেকবারই জবাবে বলেছে, ” আমি বলতে পারবো না। আমি বলবো না। আমি বলতে চাইনা। তুহিনের অসম্মান হবে। তুহিনকে ছোট করা হবে। সেটা আমি পারবো না। আমায় তোমরা জোর কোরো না। ” সবাই ক্লান্ত হয়ে হাল ছেড়েছে। দু পরিবার এই সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত হয়েছে যে, ওদের ঝামেলা ওরা ওদের সময় অনুযায়ীই মিটিয়ে নেবে। আমরা নীরব দেখে যাই শুধু।

তুহিনের বাড়ির কারো সাথেই তুহিনের যোগাযোগ নেই। শুধু শায়লা বেগম আর আয়েশা মাঝে মাঝে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করে। কান্নাকাটির একপর্যায় গিয়ে প্রতিবারই তারা জিজ্ঞেস করে, ” কীসের জন্য তোরা এমন করছিস? কী সমস্যা নিয়ে আলাদা হয়ে গেলি তোরা? ”

তুহিনের মা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে। নিজের স্বামি আর ছেলের এই সম্পর্কের ভাঙন মেনে নিতে পারে না সে। সে কেঁদে কেঁদে অনুনয় করে ছেলেকে, ” কী হয়েছেরে আব্বু? আমায় বল না। আমি সব সমস্যার সমাধান করে দেবো। দীপ্তিটাকে দেখতে গিয়েছিলাম। মেয়েটা কেমন যেনো হয়ে গেছে। আগে কী সুন্দর ছিলো, এখন দেখতে কালো হয়ে গেছে। একদমই সুন্দর লাগে না এখন। মিটিয়ে নে না সবকিছু। তোর বাবা প্রতিটা দিন তোদের জন্য মন খারাপ করে। অনেক রাত তো না খেয়ে কেঁদে ঘুমিয়ে যায়। দোহাই লাগে শেষ কর এসবের। ”

তুহিনের বুক ফেটে যায় নিজের মায়ের কান্নায়। বুকটা দুভাগ হয়ে যায় নিজের বাবার কান্নার কথা শুনে। যে বাবার সুখের জন্য আজিবন নিজের স্বপ্নগুলো বিসর্জন দিয়ে এসেছে তুহিন সে বাবার কান্নার কারনই আজ সে। ভাগ্যের কি নিষ্ঠুর পরিনতি। কিন্তু সে যে অপরাগ, নিরুপায় সে। কিছুই করার ক্ষমতা নেই তার। একবার ইচ্ছে করে বাবাকে, মাকে, আয়েশাকে, সবাইকে সবটা বলে দিতে। কিন্তু খুব লজ্বা হয় তুহিনের, খুব ঘৃনা হয় তুহিনের। যে লজ্বা আর ঘৃনার কারনে কাউকেই সে কোনো কারনের ব্যাখ্যা দিতে পারে না। দীপ্তির এই কাজের জন্য সে বারবার নিজের ব্যার্থতা খুজে বেড়ায়। কিন্তু কিছুই খুজে পায় না।

আয়েশাটাও কেঁদে কেঁদে অনুরোধি গলায় বলে, ” এই ভাইয়া আমায় মন খুলে বল না কী হয়েছে? বিশ্বাস কর আমি সব ঠিক করে দেবো। বাড়িতে তুই নেই, জানু নেই, বাড়িটা কেমন যেনো খা খা করে রে। একদম নির্জীব লাগে বাড়িটা। এভাবে আর ভালো লাগছে না। বল না কী হয়েছে? মিটিয়ে নে না সবকিছু। ”

সবার কান্না পেলোও তুহিনের কান্না পায় না। শুধু বুকে ব্যাথা অনুভব করে, নানান ধরনের অদ্ভুত অদ্ভুত ব্যাথা। যা সহ্য করে, নিজেকে সামলে নিতে খুব কষ্ট হয় তুহিনের।

সন্ধ্যার দিকে আশিক, নেহাল সহ তুহিনের বেশিকিছু বন্ধু আসে তুহিনের ফ্ল্যাটে। একদম অগোছালো আর বিদঘুটে অবস্থা তুহিনের ফ্ল্যাটের। আসার সময় ফাস্টফুড আর লাইট বিয়ার নিয়ে এসেছে ওরা। আড্ডা দেবে আর চিল করবে তাই। নেহাল আর আশিক মিলে তাদের কাচা হাতে ফ্ল্যাটটা খানিক গুছিয়ে নেয়। তারপর আড্ডায় বসে। সবার হাতে লাইট বিয়ার শুধু তুহিন ছাড়া। তুহিনের হাতে মদ। ছোট ফ্রিজটা ভর্তি মদ। একদম মদ কিনে পুড়িয়ে রেখেছে। যাতে কখনও অভাব না পড়ে। মদ ছাড়া এখন আর চলেই না তুহিনের। মদ, বিয়ার, স্লিপিং পীল, হ্যাংওভার স্টাফ, আর হোটেলের ফাস্টফুডের উপরেই বেঁচে আছে তুহিন। তবে বেশি মদ খায় না তুহিন। একদম পরিমিতভাবেই কয়েক গ্লাস গিলে নেয়। তাও শুধু রাতে, তারপর একটা লো-মিড রেঞ্জের স্লিপিং পিল খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। ডাক্তার কিনা তাই সব গুছিয়েই করে তুহিন। হোক না কেনো সেটা নেশা করা। ঘুম আসতেই চায় না। এতসব কিছু খাবার পরেও ঘুম আসেনা প্রায় সময়ই কিন্তু রাতের একটা সময় শরীরিটা ঠিকই নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকে।

সবাই প্রায় ঘন্টা দেড়েক আড্ডা দেয়। তুহিন আশিককে ডিভোর্সের জন্য তাড়া দেয়। আশিক হতাশ আর আহত হয়ে বলে, ” আরো মাস দেড়েক লাগবে। ”

সবাই চলে যাবার পরে আবার একা হয়ে যায় তুহিন। খুব বেশি করে দীপ্তি আজ জ্বালাচ্ছে তাকে। আজ আর নিয়ম মানছে না তুহিন। প্রতিদিনের তুলনায় আজ একটু বেশিই মদ খাচ্ছে। আর মদ গেলার শক্তি পাচ্ছে না। গলার ভেতরটা কেমন যেনো মদের ঝাঝে, তেজে ছিলে গেছে। একটা লোয়ার রেঞ্জের স্লিপিং পিল খেয়ে শুয়ে পড়ে তুহিন। একটা সময় বেহুশের মতো হয়ে পড়ে থাকে তুহিন। কারন ঘুম তো তার আসে না বললেই চলে।

সকাল ৮ টা বাজে। ফোনের রিংটোনের চড়া শব্দে হুশ ফিরছে অর্ধ বেহুশ হয়ে পড়ে থাকা তুহিনের। চোখটা খোলার বিন্দুমাত্র শক্তি খুজে পাচ্ছে না সে। ফোনটা বেজেই চলেছে থামার নাম নেই। চরম বিরক্তি নিয়ে ফোনটা রিসিভ করে তুহিন।

চলবে!
#thetanvirtuhin

প্রিয় গল্পপ্রেমিরা যুক্ত হয়ে যান পরিবারে ►
” Tanvir’s Writings “

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here