প্রেমানন্দোল-১০,১১

0
527

#প্রেমানন্দোল-১০,১১
#তাসনিম_তামান্না
১০

চারিদিকে হইহট্টগোল হাই ভলিউমে গান, নাচ, হাসাহাসিতে মেতে আছে সকলে। দ্বিধা মাথা ব্যথা নিয়ে বসে আছে। এতোক্ষণ বসে থাকায় মাঝায়ও অসম্ভব ব্যথা করছে। এর মধ্যে থেকে উঠে রুমে যেতেও কেমন লাগছে ব্যপারটা সকলের চোখে লাগবে। তাকে নিয়েই তো এতো আয়োজন সে চলে গেলে কীভাবে হবে? দ্বিধার কষ্ট হলেও হাসি মুখে মেহেদি হাতে দিয়ে বসে আছে। সকলের সাথে হাসি মুখে কথা বলছে। স্বাধীনকে দেখা যাচ্ছে না। দ্বিধার পাশ থেকে সকলে উঠে নাচতে গেলো। দ্বিধা টানাটানি করলেও দ্বিধা গেলো না। ক্লান্ত হয়ে সোফায় হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে রইলো। মাথায় কারোর হাতের স্পর্শ পেয়ে চমকে চোখ খুলে দেখলো স্বাধীন দ্বিধার পাশে বসে মাথায় ম্যসেজ করে দিচ্ছে। দ্বিধা সোজা হয়ে বসলো
” মাথা ব্যথা করছে? ”
” না ঠিক আছি ”
” আমি এজন্য বিয়েতে এসব অনুষ্ঠান করতে চাই নি আপনার কষ্ট হবে বলে কিন্তু আমার বোন… ”
” ঠিক আছি আমি ”
“হুম। আপনার ফেন্ডরা আসে নি? ”
” না কাল আসবে ”
” ও ”
” হ্যাঁ। ”
স্বাধীন চুপ করে দ্বিধার পাশে বসে রইলো। কিছুক্ষণ পর স্বাধীন বলল
” খেয়েছেন কিছু? ”
” হ্যাঁ পকোড়া খেয়েছিলাম। আপনি খেয়েছেন? ”
কথার পিঠে কথা বলতে নিলেই সব কাজিন গুলো এসে দ্বিধা আর স্বাধীনকে টেনে স্ট্রেজে নিয়ে গেলো। দ্বিধা স্বাধীন নাচলো না দাঁড়িয়ে হাতে তালি দিতে লাগলো। সকলে ওদের দু’জনকে ঘিরে নাচতে লাগলো। স্বাধীন খেয়াল করলো স্বচ্ছ দূরে দাঁড়িয়ে দেখছে। স্বাধীন স্ট্রেজ থেকে নেমে স্বচ্ছের পাশে এসে দাঁড়ালো। স্বচ্ছ অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে আবার সামনের দিকে তাকালো। স্বাধীন স্বচ্ছের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে তাকলো স্বচ্ছ আড়চোখে খেয়াল করে বলল
” কিছু বলবে? ”
স্বাধীন স্বচ্ছ সম্পর্কটা অদ্ভুত কখনো তুই আবার কখনো বা তুমি সেটা তাদের উপরে ডিপেন করে। স্বাধীন বলল
” তুমি কি কখনো শুধরাবে না? ”
” নান ওফ ইউর বিজনেস ”
” জানি। কিন্তু তবুও ঠিক হও সময় থাকতে থাকতে আমি চাইছি না তুমি কোনো ঝামেলায় জড়াও ”
স্বচ্ছ চুপ করে রইলো। স্বাধীন আবার বলল
” আমি কিন্তু জানি তুমি কোন খেলায় মেতেছ। সময় থাকতে শুধরে যা-ও ”
স্বচ্ছ স্বাধীনের দিকে একপলক তাকালো। স্বাধীন হেসে বলল
” আজ যখন তোমাকে পেয়েছি। আশা করি কাল আমার বিশেষ দিনেও তোমাকে আমার পাশে পাবো ”
স্বচ্ছ স্বাধীনের মুখ পানে চেয়ে চেয়ে দেখলো। স্বাধীন উঠে নিচে চলে গেলো। কিছুক্ষণ পর সাদিয়া ওপরে এসে সকলকে বলল
” তোমরা সকলে এনজয় করো। দ্বিধার রেস্টের প্রয়োজন ”
সকলে মেনে নিলো। দ্বিধা ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই যেনো শান্তি ফিরে পেলো। তন্দ্রা ভাব আসতেই দরজা খুলে স্বাধীন খাবার নিয়ে আসলো। দ্বিধা চমকে লাফিয়ে উঠে বসলো। ভয়ার্ত চোখে স্বাধীনের দিকে তাকালো। স্বাধীন হেসে ফেললো বলল
” রিলাক্স আমি অন্য কেউ নয় ”
” না মানে হুট করে তো সেজন্য ”
” হ্যাঁ বুঝতে পারছি। খাবার আনছি খেয়ে নেন ”
” আপনি খেয়েছেন? ”
” না আপনার কষ্ট হচ্ছে আমি আপনাকে খাইয়ে দি ”
দ্বিধা চমকে গেলো বড় বড় চোখ করে স্বাধীনের দিকে তাকিয়ে রইলো। অনুভূতি গুলো শূন্যে রঙিন ডানা মেলে আকাশে উড়াল দিলো। কথা বলার মতো শব্দ খুঁজে পেলো না। যেনো খুশিতে বাক হারা হয়ে গেলো। দ্বিধার মনে হলো মনের মতো একটা কেয়ারিং হাসবেন্ড পেয়েছে যেমনটা ও চাই তো ঠিক তেমনটা কতটা ভাগ্যবতী হলে এমন হাসবেন্ড পাওয়া যায়। নিরবতা সম্মতির লক্ষ্মণ ভেবে স্বাধীন ততক্ষণে তানদুরি রুটি ছিড়ে দ্বিধার মুখের কাছে ধরলো। দ্বিধা সময় নিয়ে নিজেকে ধাতস্থ করে খাবারটা মুখে পুরে চিবাতে লাগলো।
” আপনি-ও খান আপনি-ও তো খান নি ”
কথাটা বলে দ্বিধা সামনে বসা সুদর্শন পুরুষটাকে এক মনে দেখতে লাগলো। স্বাধীন তাকালে দ্বিধা চোখ সরিয়ে নিলো। স্বাধীন মুখ টিপে হেসে বলল
” লুকিয়ে দেখার কি আছে আমি তো আপনার ই মন ভরে দেখুন ”
স্বাধীনের কথা শুনে দ্বিধার বিশুম লেগে গেলো। স্বাধীন ব্যস্ত হয়ে পানি দিলো। আর খাবার পুরোটা সময় কেউ কোনো কথা বলল না। দ্বিধা লজ্জা পেয়ে আর স্বাধীনের দিকে তাকায় নি মুখ নিচু করে ছিল।


অনুষ্ঠানে দ্বিধাকে লাল রংয়ের শাড়ির সাথে গর্জিয়াস সাজ স্বাধীন কালো কোর্ট প্যান দু’জনকে পাশাপাশি বেশ মানিয়েছে। গেস্টরা একে একে এসে পরিচিত হয়ে নিচ্ছে দ্বিধা ও হাসি মুখে সকলের সাথে কথা বলছে। দ্বিধার বাবা-মা আসলে দ্বিধা তাদের জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললো। দ্বন্দ্ব বলল
” কি রে দ্বিধা কা বাচ্চু কেমন আছিস ”
” তুই আমার ছোট ”
” সো হোয়াট? ”
দ্বিধা রেগে বলল
” আমার মুন্ডু ”
দ্বন্দ্ব এবার বাবা-মায়ের চোখ রাঙানোতে ভালোভাবে বলল
” কেমন আছিস আপুনি ”
দ্বিধা অভিমান করে বলল
” তোদের ছাড়া ভালোই আছি। তোরাও তো ভালো আছিস না আমার মতো আপদকে বাড়ি থেকে বিদায় করে ”
দ্বন্দ্ব আগুনে ঘি ডেলে দেওয়ার মতো করে বলল
” সে আর বলতে বিন্দাস আছি ”
দ্বিধার অভিমান পাহাড়ে গিয়ে ঠেকলো। দ্বিধা বাবা-মা স্বাধীনের বাবা-মায়ের সাথে কথা বলতে গেছে। দ্বন্দ্ব আগুনে ঘি ডেলে স্বাধীনের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। দ্বিধার রাগে দুঃখ কান্না পেলো।
কিছুক্ষণ পর দ্বিধার ফেন্ডরা আসলো। মৃধা তো দ্বিধাকে দেখেই জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেছে যেনো কত জন্ম পর দেখা হলো। দু’জন দু-জনের প্রাণ কি না।
গেস্টরা আসায় দ্বিধার ফেন্ডরা স্ট্রেজ থেকে নেমে দূরে দাড়ালো। মৃধা শাড়ি ঠিক করতে করতে। হাটছিলো। ধাক্কা খেয়ে দু কদম পিছনে গেলো চোখ তুলে স্বচ্ছকে দেখে অবাক কন্ঠে বলল
” আপনি এখানে? ”

চলবে ইনশাআল্লাহ

#প্রেমানন্দোল-১১
#তাসনিম_তামান্না

মৃধা শাড়ি ঠিক করতে করতে। হাটছিলো। ধাক্কা খেয়ে দু কদম পিছনে গেলো চোখ তুলে স্বচ্ছকে দেখে অবাক কন্ঠে বলল
” আপনি এখানে? ”
স্বচ্ছ ও অবাক না হয়ে পারলো না। যাকে বলে ডাবল অবাক একে তো মৃধাকে শাড়িতে প্রথম দেখছে তার ওপরে আবার মৃধাকে এখানে দেখে ডাবল সকর্টে বলল
” তুমি এখানে কি করছ? ”
মৃধা রেগে গেলো ” আবার তুমি? ”
” সরি সরি তুমি না আপনি এখানে? ”
” আমার ও তো একই প্রশ্ন আপনি এখানে? আমি প্রশ্নটা আগে করেছি মানে আপনার উত্তরটা আগে দেওয়া উচিত ”
স্বচ্ছের ভ্রু কুঁচকে গেলো। ভাবনায় পড়ে গেলো কি উত্তর দিবে? স্বচ্ছকে চুপ থাকতে দেখে মৃধা আবারও বলল
” এই যে হ্যালো আপনার কাছে একটা কথা জিজ্ঞেসা করছি ”
স্বচ্ছ দিশেহারা হয়ে গেলো। তার পরিচয় কি? কে সে? এ বাড়ি কে হয় সে? মস্তিষ্কে তন্নতন্ন করে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে লাগলো। কিন্তু সবটা ফাঁকা লাগলো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেলো না। কি উত্তর দিবে সে? এ বাড়ির আশ্রিতা?
কোথা থেকে স্বাধীন এসে বলল
” এ বাড়ির ছোট ছেলে। আমার ভাই। আপনারা কি দুজন দুজনকে চিনেন? ”
মৃধা সন্দিহন চোখে মুখে হাসি আনলো বলল
” না ভাইয়া আসলে তেমন নয়। ওনার বাইকের সাথে আমার রিকশার ধাক্কা লাগছি ”
” ওমাইগড কবে কখন? আপনাদের লাগে নি তো? ”
” না ভাইয়া ঠিক আছি। একটু চোট লাগছিল বাট ইট’স ওকে ”
” ওহ। থ্যাংক গড। ওতো বাসায় এসে কিছু-ই বলে না ”
স্বচ্ছ স্বাধীনের দিকে অদ্ভুত চোখে তাকালো। স্বাধীন হাসলো কানে কানে বলল
” বাইরের লোকের কাছে নিজেকে ছোট করা বা কনফিউজড হয়ে যাওয়ার আর পার্সোনাল প্রবলেম ও জানতে দেওয়ার কোনো মানে হয় না ”
স্বাধীন হেসে মৃধাকে বলল
” আপনারা কথা বলেন আমি ওদিক টায় যাচ্ছি কোনো প্রয়োজনে অবশ্যই বলবে ”
” জী অবশ্যই ভাইয়া ”
স্বাধীন চলে যেতে স্বচ্ছ মৃধাকে বলল
” কেমন আছেন ”
” ভালো না থাকলে কি এখানে আসতাম? ”
” সবসময় এমন ঝাঁজ মেশানো গলায় কথা বলেন কেনো? মনে হয় আমি আপনার শত্রু আমি তো জাস্ট নরমালি আপনাকে জিজ্ঞেসা করলাম আপনিও নরমালি এন্সার দিতেন তা না এমন ভাবে বলছেন যেনো হু-ম-কি দিচ্ছেন ”
মৃধা চোখ ছোট ছোট করে বলল
” আপনার মতো ছেলেদের আমার ভালো মতো চেনা আছে ভালো মুখ দিলেই গাছে উঠে বসবেন ”
” হোয়াট ডু ইউ মিন বাই আমার মতো ছেলে? ”
মৃধা জোর পূর্বক হেসে বলল
” আই মিন আপনার মতো এতো ভালো ছেলে কোথায় পাওয়া যায় বলুন তো? ”
” হোয়াট? আপনি কি আমাকে ইনসাল্ট করছেন? আর এমন ভাবেই বা কথা বলছেন কেনো আমি আপনার কি-ই বা ক্ষতি করলাম? ”
” জানেন না কি ক্ষতি করছে? ভুলে গেলেন? আপনি একটা খারাপ লোক ভালো লোকেরা কখনো সিগারেট খাই না স্মোক করে না বুঝলেন ”
স্বচ্ছ ভাবলেশহীন হয়ে জবাব দিলো
” বুঝলাম আর মানলাম তো আমি খারাপ ”
কথাটা বলে গটগট পায়ে চলে গেলো। মৃধা ও স্বচ্ছকে ভেংগিয়ে। শাড়ির কুঁচি ধরে স্বচ্ছকে বকতে বকতে দূরে দাঁড়িয়ে থাকে হালিমা, আঁখি, বিথির কাছে গেলো। তারা সন্দিহান চোখে মৃধার দিকে তাকিয়ে আছে। সেটা দেখে মৃধা বলল
” কি সমস্যা আমার কি রূপ বেয়ে বেয়ে পড়ছে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো? ”
হালিমা বলল
” ঔ ছেলেটা না ঔ ছেলের সাথে তোর আবার এতো কি কথা? ”
” প্রেম করতে যায় নি ঔ ছেলে এখানে কেনো সেটা শুনছিলাম ”
আঁখি কৌতুহলী হয়ে বলল
” কি বলল? কি বা কে হয়? ”
” দ্বিধার দেবর ”
সবাই ফাটা চোখে তাকিয়ে এক সাথে বলল
” কিহ? ”
” জী ”
আঁখি বলল
” তাহলে আমার সাথে ওর সেটিংটা দ্বিধায় করে দিতে পারবে ”
মৃধা চোখ মুখ কুচকে নাক সিটকে বলল
” ছিঃ ঔ ছেলেকে তোর এতো পছন্দ হইছে ”
বিথি হেসে বলল
” আরে ওর তো সবাইকে ভালো লাগে। এখন যদি এখান থেকে একটা টাকলা ব্যাটা যায় তখনো আঁখি বলবে দোস্ত ক্রাস খাইছি তাই ওর ব্যাপারটা এতো সিরিয়াসলি নেওয়ার মতো কিছু হয় নি ”
বিথির কথায় বিথিসহ হালিমা, মৃধা হেঁসে উঠলো। আঁখি গোমড়া মুখ হয়ে বলল
” তোরা আমাকে এমন ভাবে বলতে পারলি? ”

বাবা-মা, ভাই, ফেন্ডগুলো চলে যাওয়ার সময় দ্বিধার বড্ড মন খারাপ হলো। মন চাইছে ছুটে চলে যেতে তাদের সাথে। কিন্তু তার হাত-পা তো অদৃশ্য সিকল দিয়ে বাঁধা চাইলেও যেতে পারবে না। স্বাধীন যেতে দিতে চাইলেও দ্বিধা গেলো না বিয়ের পর প্রথম নিজের বাড়ি যাবে তা-ও স্বামী ছাড়া? এটা চোখে লাগবে। এদিকে স্বাধীনেও সময় নেই সেজন্য আর যাওয়া হলো না তবে স্বাধীন কথা দিয়েছে সময় নিয়ে হুট করে একদিন গিয়ে সারপ্রাইজ দিবে। সকলে এমন ফ্রী মাইন্ডের মনের মতো জামাই পেয়ে খুশি।

———————————————————

অনুষ্ঠান শেষ হলো রাত ১১ টার দিকে। দ্বিধা ক্লান্ত শরীরে গা থেকে গহনা গুলো খুলে ড্রেসিংটেবিলের ওপরে রাখছে। শরীর আর চলছে না যেনো রাতে ঠিক মতো ঘুম হয় না নতুন জায়গায় এসে তার ওপরে আবার বিয়ের ধকল দ্বিধা আর নিতে পারছে না। স্বাধীন ও বড্ড ক্লান্ত। স্বাধীন রুমে এসে হাতের ঘড়ি খুলতে খুলতে বলল
” আপনি ওনাদের সাথে গেলেই পারতেন আমি না হয় কদিন পরে গিয়ে নিয়ে আসতাম ”
দ্বিধা কথা ঘুরিয়ে বলল
” খেয়েছেন আপনি? ”
” আপনার পাশে বসেই তো খেলাম মনে নাই ”
” ওহ হ্যাঁ আসলেে ভুলে গেছিলাম ”
” না বরং আপনি কথা ঘুড়াতে চাইছেন ”
“হ্যাঁ তাই সে ব্যপারে কথা না বেরানোই শ্রেয় ”
” কিন্তু আপনার কষ্ট হচ্ছে আমি জানি রাতে ঠিক মতো ঘুমাতে পারেন না এপাশ ওপাশ করেন ”
দ্বিধা চুপ থাকলো উত্তর দিলো না। পাশ কাটিয়ে থ্রি পিচ নিয়ে ওয়াসরুমে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।
স্বাধীন দীর্ঘ শ্বাস ফেলে। ফোনে ই-মেইল চেক করতে লাগলো।
দ্বিধা ফ্রেশ হয়ে এসে শুয়ে পড়লো। স্বাধীন ফ্রেশ হয়ে এসে দ্বিধা কে ডেকে বলল
” দ্বিধা শুনছেন? ঘুমিয়ে গেলেন না-কি? ”
” না বলুন ”
” কাল থেকে রেগুলার ইউনিভার্সিটিতে যাবেন। আপনার সামনে ফাইনাল এক্সাম খেয়াল আছে আপনার ”
দ্বিধা ছোট করে উত্তর দিলো
” হুম ”
” কাল থেকে যাবেন আর আপনার বইগুলো তো নেই এখানে কাল ক্লাস করে গেটের সামনে দাঁড়াবেন আমি আপনাকে নিয়ে ও বাড়িতে যাবো কাল থেকে পৌশু আসবো ”
দ্বিধা খুশিতে বাক-বাকুম হয়ে উঠে বসলো। ক্লান্তিগুলো যেনো নিমিষেই উদ্ধাও হয়ে গেলো। গলায় উচ্ছ্বাস ঢেলে আবেগি হয়ে বলল
” সত্যি ”
দ্বিধার আনন্দে চিকমিক করা চোখ মুখ দেখে হেসে বলল
” হ্যাঁ ”
” কিন্তু আপনার না কাল কাজ আছে ”
” ওটা ম্যানেজ হয়ে যাবে ”
” আচ্ছা। আম্মু আর স্বপ্নাকেও নিয়ে যাবেন? ”
” আম্মু যাবে না। স্বপ্না নাচতে নাচতে যাবে। খুশি? ”
দ্বিধা হেসে বলল
” আকাশ ছোঁয়া ”

চলবে ইনশাআল্লাহ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here