প্রেমানন্দোল-১২,১৩

0
530

#প্রেমানন্দোল-১২,১৩
#তাসনিম_তামান্না
১২

স্বাধীন ড্রাইভ করতে করতে দ্বিধার হাস্যউজ্জ্বল মুখের দিকে তাকিয়ে বলল
” সাবধানে থাকবেন আর আমি না আশা পর্যন্ত গেটের সামনে থেকে কোথাও যাবেন না ”
” আমি বাচ্চা না ”
” আমার থেকে বড় তার নন তাই আপনি আমার কাছে বাচ্চা ”
দ্বিধা রেগে মুখ ফুলিয়ে বলল
” তাহলে এই বাচ্চাকে বিয়ে করলেন কেনো? আপনার থেকে বড় কাউকে বিয়ে করতেন ”
স্বাধীন শব্দ করে হেসে বলল
” কথাটা মন্দ বলেন নি তো ”
” তাহলে কি এখন আমাকে ছেড়ে দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করবেন? ”
স্বাধীন করে গাড়ি থামিয়ে দিলো। দ্বিধা ঝুঁকে গেলো। দ্বিধা ভ্রু কুঁচকে বলল
” কি হলো এভাবে হঠাৎ গাড়ি থামালেন কেনো? ”
” আপনার ইউনিভার্সিটি এসে গেছে ”
দ্বিধা খেয়াল হলো এতোক্ষণ কথার মাঝে তার খেয়াল ছিলো না। দ্বিধা গাড়ি থেকে নামতে নামতে বলল
” ওহ আসলে খেয়াল ছিল না আপনি যান আমি গেলাম ”
স্বাধীন দ্বিধাকে ডেকে উঠলো।
” দ্বিধা। ”
দ্বিধা পিছাতে ফিরে তাকালো। স্বাধীন বলে উঠলো
” আপনি ছাড়া আমার লাইফে কেউ ছিলো না আর আসবেও না তাই এটা নিয়ে এতো টেনশন করবেন না ”
কথাটা বলে গাড়ি স্টাট দিয়ে চলে গেলো। দ্বিধার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটলো। হাসি মুখে কলেজে ডুকলো। চারিদিকে খেয়াল হতেই ভ্রু কুঁচকে গেলো। কলেজ চত্বরে কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগলো। দ্বিধা মনে প্রশ্ন জাগলো। ” কিছু কি হলো কলেজে এমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে ”
দ্বিধা আর কিছু না ভেবে সোজা ইংরেজি ডিপার্টমেন্ট চলে গেলো। ক্লাস শুরু হতে এখনো ১০ মিনিট বাকি। ক্লাসে এসে দেখলো তেমন কেউ নেই ছেলেরা নেই বললেই চলে মাত্র ২ জন টপার আছে। মৃধা লাস্টের ব্রেঞ্চে একা বসে ফোনের মধ্যে ডুবে আছে। দ্বিধা দ্রুত পায়ে মৃধার পাশে দাঁড়িয়ে মাথায় ঠুয়ো মেরে বলল
” কি রে সাতচুন্নি কেমন আছিস ”
মৃধা চমকে মাথা উঠিয়ে দ্বিধাকে দেখে বলল
” এসেই মারা শুরু করছিস। আসলে দিনটাই খারাপ ”
দ্বিধা বসতে বসতে বলল
” কেনো কি হলো আবার ”
” কি আবার হবে। তোর হাতের মার খেতে হলো ”
” ফাউল কথা বাদ দিয়ে বলল কলেজ কেমন জেনো মরা মরা ”
” সেটা তো কেউ ই বুঝতে পারছে না বইন কি যে হচ্ছে তলে তলে ”
” কি হচ্ছে ”
” সেটা তো জানি না শুধু জানি কিছু তো একটা হচ্ছে ”
ওদের কথার মাঝে স্যার চলে আসলো। ক্লাস চলাকালীল সময় ও দুজনে এতো দিনের রাখা কথাগুলো ফুসুরফুসুর করে বলতে লাগলো। স্যার কয়েকবার অর্নিং দিলে-ও ওদের ফুসুরফাসুর থামলো না। শেষে না পেরে স্যার দুজনকেই ক্লাস থেকে বের করে দিলো। ক্লাসের বাইরে এসে দু’জনে আনমনা হয়ে হেসে উঠলো। মৃধা বলল
” ক্লাসে না গিয়ে ক্যাম্পাসে বসে গল্প জুড়ে দিলেই হতো শুধু শুধু স্যারকে খেপালাম ”
দ্বিধা আবারও হেসে উঠলো। বলল
” হুম। বিথি, হালিমা, আঁখি ওরা কই ”
” ওদের তো মনে হয় এখন ক্লাস নেই চল কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে গল্প করছে মনে হয় ”
” চল ”
গিয়ে দেখলো সত্যি তাই। ৫ জনে গল্প জুড়ে দিলো। আর কোনো ক্লাস করলো না। বান্ধবীরা গল্প জুড়ে দিলে কখন যে কোন ফাঁক দিয়ে নিমিষেই সময় চলে যায় কারোর খেয়াল থাকে না। ১ ঘন্টা গল্প করে দ্বিধার ফোনে ফোন আসলো। রং নম্বর দেখে কেটে দিতে গিয়ে ও ফোন কানে দিয়ে বলল
” আসসালামু আলাইকুম। কে? ”
ওপাশ থেকে চুপ থেকে গম্ভীর কন্ঠে বলল
” বরের নম্বর সেভ করে রাখনো কেমন বউ আপনি ”
দ্বিধা দাঁত দিয়ে জ্বীব কাটলো। দ্রুত বলল
” না মানে আমি জানতাম না আসলে… ”
দ্বিধার কথা শেষ করতে না দিয়ে স্বাধীন বলল
” বাইরে আসুন আমি ওয়েট করছি ”
” এতো তারাতাড়ি আপনার কাজ শেষ হয়ে গেলো? ”
” হুম ”
দ্বিধা ফোন কেটে মন খারাপ করে বলল
” থাক তোরা বাকি ক্লাস গুলো কর আমি চলে যাচ্ছি ওনি এসেছে ”
বিথি হেসে বলল
” সে-তো আমরা ও বুঝতে পেরেছি তোমার ওনি এসেছে ”
দ্বিধা বিথির বাহুতে চাপড় মেরে বলল
” তোরা না খুব ফাজিল ”
মৃধা দ্বিধার থুতনি ধরে নাড়িয়ে বলল
” ওলে বাবু টাও দেখি এখন লজ্জা পেতে শিখে গেছো ”
হালিমা বলল
” তা এতো কথা বললি বাসর রাতে কি হলো সেটা তো বললি না ”
দ্বিধা বোকার মতো প্রশ্ন করলো
” কি হবে? ”
আঁখি বলল
” কি হবে বা হয় বুঝো না বেবি ”
দ্বিধা বিরক্ত হয়ে বলল
” থাক তোরা গেলাম আমি কাল না হয় পৌশু আসবো ”
দ্বিধা আর দাড়ালো না দ্রুত পায়ে চলে গেলো। দ্বিধার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে সকলে উচ্চ সুরে হেসে উঠলো। দ্বিধা একবার পিছনে ফিরে তাকালো। কিন্তু কিছু না বলেই চলে গেলো। ওরাও আর বেশিক্ষণ না থেকে ক্যান্টিন থেকে খেয়ে। যে যার ক্লাসে গেলো। গেটের বাইরে আসতেই দ্বিধা স্বাধীনের গাড়ি দেখতে পেলো। গাড়িতে উঠে বসতেই স্বপ্না পিছন থেকে ‘ভাও’ বলে উঠলো। দ্বিধা ভয় পেয়ে সিটের সাথে লেগে গেলো। স্বপ্না হেসে উঠলো। স্বাধীন স্বপ্না ধমক দিয়ে বলল
” এমন কেউ করে ”
স্বপ্না হাসি চাপিয়ে বলল
” সরি ভাবি এতো ভীতু আমি জানতাম না-কি ”
কথাটা বলে আবারও হাসতে লাগলো দ্বিধা মুখ গোমড়া করে রইলো।
ক্লাস শেষে কাঠ ফাটা রোদে ভ্যাপসা গরমে মৃধা হেঁটে যেতে লাগলো রিকশা সিএনজি যাকেই ডাকছে সে-ই যাবে না বলছে। বিরক্তিতে মৃধার মাথা ফেটে যাচ্ছে। কিছু দূর যেতেই ফাঁকা যায়গা দিয়ে হাটছিলো মৃধা কোথা থেকে মাইক্রো এসে মৃধার মুখ চেপে গাড়িতে উঠিয়ে নিলো। ঘটনাটা এতোই তারাতাড়ি ঘটলো মৃধা কিছু বুঝে উঠতে বা আত্মরক্ষা করার সুযোগ টুকু পেলো না।

চলবে ইনশাআল্লাহ

#প্রেমানন্দোল-১৩
#তাসনিম_তামান্না

স্বাধীন দ্বিধা বাসায় আসতেই হইচই পড়ে গেলো। দ্বিধার মা তো কি করবে কি না করবে দিশেহারা হয়ে গেলো নতুন জামাই আজ প্রথম বাসায় এসেছে বলে কথা। দ্বিধা বাবা খবরটা পাওয়া মাত্র কাজ ফেলে বাজারে ছুটেছে। ন্দ্বদ্ব বাসায় নেই স্কুলে। সবাইকে এতো ব্যস্ত হতে দেখে দ্বিধা অবাকে শীর্ষে চলে গেছে। তার দিকে কারোর খেয়াল নেই সব যত্ন নতুন জামাই এর আর এতোদিন পর যে সে বাসায় আসলো। তার কোনো দাম নেই সবাই তাকে ভুলে গেলো? ভেবেই আকাশ ছোঁয়া অভিমান হলো। মুখ আঁধার করে নিজের রুমের দিকে অগ্রসর হলো। রুমে এসে শাওয়ার নিয়ে রুমে এসে দেখলো স্বাধীন দ্বিধার খাটে হেলান দিয়ে বসে আছে। দ্বিধা স্বাধীনকে পাত্তা না দিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে ভেজা চুলগুলো মুছতে লাগলো। স্বাধীন বলল
” কি হয়েছে মুখটা এমন করে আছেন কেনো? ”
” আমার মুখ আমার ইচ্ছে ”
” বাবাহ! রেগে আছেন মনে হচ্ছে ”
” নাহ”
” তাহলে কি হয়েছে? ”
” কিছু হয় নি বললাম না। কি হবে আমার আবার? ”
স্বাধীন আর দ্বিধাকে ঘটালো না। উঠে ফ্রেশ হতে গেলো। দ্বিধা চুল মুছে। স্বপ্নার খবর নিতে গেলো।
” স্বপ্না। আসবো? ”
স্বপ্নাও তখন তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছছিলো। বলল
” আরে কি বলো ভাবি? তোমাদের বাড়ি আর তুমি কি না আমার কাছ থেকে পারমিশন নিচ্ছো? ”
” পারমিশন নেওয়া কি অপরাধ না-কি? ”
” অবশ্যই ”
” মোটেও নয়। রুমটায় তুমি আছো মানে রুমটা তোমার এখন। আর তোমার একটা প্রাইভেসি আছে। আমি আমার বাড়ি বলে হুটহাট ডুকে পরলে তোমার রাগ হবে। অস্বস্তিতে পড়বে। তাই যে-কারও রুমে ঢোকার আগে পারমিশন নিয়ে ঢোকাটা একটা কমনসেন্সের মধ্যে পড়ে ”
স্বপ্ন হেসে বলল
” আসলেই ভাবি তুমি ঠিক বলেছ। আমি এতো গভীর ভাবে ভাবি নাই ”
” আচ্ছা তোমার কোনো প্রবলেম হচ্ছে না তো? ”
স্বপ্না দ্বিধার গাল টিপে বলল
” সুইট ভাবি না গো কোনো প্রবলেম হচ্ছে না ”
দ্বিধা স্বপ্নার বাচ্চামো দেখে বলল
” তুমি বাচ্চা। কোনো প্রবলেম হলে বলো ”
” ওকে ”
” আচ্ছা তুমি রেস্ট নিয়ে নাও আমি তোমাকে লান্সের সময় ডাক দিবো ”
” ওকে ”
দ্বিধা রান্নাঘরে এসে মাকে পিছন থেকে গলা জড়িয়ে ধরে রাখলো। দ্বিধার মা আদুরে কন্ঠে বলল
” আমার বাবুইপাখি কি হয়েছে? ”
” কষ্ট হয়েছে খুব কষ্ট ”
” কষ্ট হয়েছে আস্তে আস্তে সয়ে যাবে আমারও আগে কষ্ট হতো মা’কে ছাড়া থাকতে ”
দ্বিধা ওভাবে মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে পড়ে রইলো। বাবার গলার আওয়াজ পেতে গ্লাসে করে ঠান্ডা পানি নিয়ে গেলো। দ্বিধাকে দেখতে পেয়ে দ্বিধার বাবা আবেগে আপ্লুত হয়ে বলল
” মা তুই এসেছিস? ”
গ্লাসটা দিয়ে বলল
” হ্যাঁ তোমরা তো আমাকে ভুলেই গেছো ”
দ্বিধার বাবা এক চুমুকে পানিটা খেয়ে আয়েশ করে বসে শব্দ করে হাসলেন। দ্বিধা বুক ভরা অভিমান নিয়ে বাবার হাত জড়িয়ে কাঁধে মাথা রাখলো। বাবা- মেয়েতে মিলে গল্প জুড়ে দিলো। একথা সেকথা থেকে দ্বিধার বাবা বলল
” ও বাড়ির সবাই কেমন? ”
” অনেক ভালো। শুধু আমি খারাপ ”
” কেনো? কে বলেছে একথা? আমি মেয়ে বেষ্ট! ”
” তাহলে এতো তারাতাড়ি বিয়ে দিলে কেনো? আমি কি বোঝা হয়ে গেছিলাম তোমাদের কাছে? ”
দ্বিধার বাবা দ্বিধার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল
” সবসময় মনে রাখবি বাবা-মা যা করে সব সন্তানের ভালোর জন্য-ই। আর আমি জানি স্বাধীন ছেলেটা ভালো। সব জেনে শুনে আমি তোকে ওখানে বিয়ে দিয়েছি ”
” স্বাধীন স্বচ্ছ বড় ভাই এটাও জানো আমরা এক বাড়িতেই থাকি। আমার ভয় হয় ”
” দূর পাগলি। শোন কথা তুই যত ওর থেকে পালাতে চাইবি ও ততো তোকে খোঁজে বের করতে চাইবে ওর চেয়ে তুই ওর সামনে আছিস আর তুই ওর বড়ভাইয়ের বউ তোর ক্ষতি করার কথা ওর মাথাতে আনলে স্বাধীন কি ছেড়ে দিবে না-কি? ”
” তারমানে তুমি আমার সেফটির জন্য আমার বিয়ে দিয়েছ? ”
” বলতে পারিস ”
” কিন্তু তোমাদের যদি ক্ষতি করে দেয়? ”
” ওর তো শুধু এই বাড়ির ওপরে নজর এই বাড়ির মানুষ গুলোর ওপরে না। তুই ছিলি তোকে গুটি বানিয়েছিলো কিন্তু তুই এখন সেফ আছিস এটাই অনেক ”
” তাই বলে তুমি… ”
” আর কিছু হবে না দেখিস তোর বিয়ের পর থেকে স্বচ্ছ একদিন ও এ বাড়িতে আছি নি। আর স্বাধীন ও সবটা জানে এতো ভয় পাওয়ার কিছু নেই ”
কথা শেষ হতেই স্বাধীন ওপর থেকে নিচে নেমে আসলো। দ্বিধার বাবার সামনের সোফাটায় বসলো। দ্বিধা বাজারের ব্যাগটা নিয়ে রান্নাঘরে গেলো।
____________________
অন্ধকার রুমটায় গুমোট ভাব গরমে দম বন্ধ কর অবস্থা রুমেটায় শুধু নিঃশ্বাস আর উম উম করে ছাড়া পাওয়ার আকুতি। মৃধার শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। অন্ধকারে আবছা আলোয় দেখা গেলো মৃধা ছাড়াও আরো অনেক মেয়ে হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে। মৃধার চোখ দিয়ে অনলগল পানি পড়ছে। মৃধার বুঝতে অসুবিধা হলো না এটা ট্রাপে পড়েছেন। মৃধা দড়ি গুলোর সাথে অনেকক্ষণ ধস্তাধস্তি করলো কিন্তু কোনো লাভ হলো না উলটো হাত পায়ে দড়ির ঘষনে ছিলে গেলো। ক্লান্ত হয়ে থেমে গিয়ে হু হু করে কেঁদে উঠলো। চারিদিকের মেয়েগুলোর অঝোর ধারায় কাঁদছে। মৃধা দৃষ্টি শূন্যে মিলিয়ে মনে মনে চাইলো
” কেউ আসুক আমাকে সহ সব মেয়েকে রক্ষা করুন ”
মৃধার চোখের সামনে মা, ভাই, বোনের মুখ ভেসে উঠলো। আজ-ই বোধ হয় জীবনের শেষ দিন। স্প্রে করার শব্দ আসলো। কিছু সুবাস নাকে আসতেই। চোখ ঘোলাটে হয়ে আসলো। লাইট জ্বলে উঠলো। মৃধা ঝাপসা চোখে পরিচিত হয়েও অপরিচিত মুখটার অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখতে পেলো। মৃধা অবাক হওয়ার সুযোগ পেলো না। তার আগেই জ্ঞান হারালো।
—–
ন্দ্বদ্ব বাড়িতে এসে হই চই বাধিয়ে দিলো। দ্বিধা ন্দ্বদ্বের ঝগড়া লেগে গেলো। ঝগড়া থামাতে ওদের মা খুন্তি নিয়ে মারতে আসলেই ওরা ছুটে এদিক ওদিক চলে গেলো। ওদের বাচ্চামো দেখে দ্বিধার বাবা, স্বাধীন, স্বপ্না হাসলো। দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করে ন্দ্বদ্ব, স্বাধীন, স্বপ্না লুডু খেলতে বসলো দ্বিধা বসে রইলো ও খেলবে না বলে দিয়েছে।দ্বিধার বাবা রুমে চলে গেলেন। দ্বিধা মাও কাজ গুছিয়ে চলে গেলে।
” আপু জানে হেরে যাবে তাই আগে থেকে না খেলে হেরে বসে আছে ”
” ন্দ্বদ্ব তুই কিন্তু আমার কাছে মার খাবি ”
” তাহলে খেলছো না কেনো? আমরা চারজন আছি জোড়ায় জোড়ায় খেলি ”
” আচ্ছা যা খেলবো ”
ওরা খেলা শুরু করলো। গার্লস ভার্সেস বয়েস টিম। সবার প্রথমে দ্বিধার ছক্কা পড়লো। ন্দ্বদ্ব বলল
” যার আগে ছয় পড়ে সে হেরে যায় ”
দ্বিধা ভাব নিয়ে বলল
” দেখা যাবে ”
খেলা জমে উঠলো। কাটা- কুটি এদল ওদলকে কাটছে। কে জিতবে বোঝা যাচ্ছে না হাড্ডা হাড্ডি লড়াই। বয়েস এককে একে গুটি ঘরে তুলে ফেলছে।
গার্লসরা ৩ গুটিতে হেরে গেলো।
দ্বিধা ন্দ্বদ্বের আবারও ঝগড়া লাগলো। ঝগড়ার মুল টপিক। ওরা কেইল করে জিতেছে। দ্বিধা ন্দ্বদ্বের ঝগড়াঝাটি মধ্যেই বোঝা যায় ওদের নামটা সাথ্যক হয়েছে।

চলবে ইনশাআল্লাহ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here