#প্রেমানন্দোল-৬,৭
#তাসনিম_তামান্না
৬
সময়টা সন্ধ্যা বেলা ভাজাপোড়া নাশতা করেছে সাদিয়া বেগম। নানু বাসা থেকে বাসায় আসা থেকে স্বপ্না দ্বিধাকে ছাড়ছে না। গল্পে মেতে আছে। দ্বিধার প্রথম প্রথম অসস্তি হলেও এখন বেশ ফ্রী হয়ে গেছে। স্বাধীন নিচে এসে স্বপ্না বলল
” ভাইয়া কেমন আছো?”
” ভালো তুই? কেমন ঘুরলি? ”
” ভালো কিন্তু তুমি এভাবে বিয়ে করে নিলে চুপিচুপি? আমার কত ইচ্ছে অপূর্ণ রয়ে গেলো ”
“নিজের বিয়েতে করিস ”
” সে তো করবোই তোমাকে বলতে হবে না হুহ্ ”
স্বাধীন দ্বিধা দিকে তাকালো একবার দ্বিধা তাকিয়ে ছিলো স্বাধীনের দিকে স্বাধীন তাকাতেই দু’জনের নয়ন মিলন ঘটলো। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দৃষ্টি সরিয়ে নিলো দ্বিধা। লজ্জায়, অসস্তিতে পড়ে গেলো দ্বিধা। গালের দু পাশ রক্তিম হয়ে উঠলো। স্বপ্না চালাকচতুর মেয়ে সবটা খেয়াল করলো। মিটমিট করে হাসলেও কিছু বলল না এ ব্যাপারে।
স্বচ্ছ বাসায় এসে কোনো দিকে না তাকিয়ে নিজের রুমের দিকে গেলো। যাওয়ার আগে বলল “আমার জন্য কফি পাঠাও ওপরে”
সবার দৃষ্টির মধ্যে মনি ছিল স্বচ্ছ কিন্তু স্বচ্ছ কারোর দিকে ফিরেও তাকালো না। চলে গেলো ওপরে।
নিরবতায় ছেয়ে গেলো পরিবেশটা। নিরবতা থাকলো না বেশিক্ষণ নিরবতাবিচ্ছিন করে দিয়ে স্বপ্না বলল
” কি হলো চুপ হয়ে গেলে কেনো তোমরা? আচ্ছা বাদ দাও শোনো ভাইয়া যত তারাতাড়ি পারো রিসিভশনের ব্যবস্থা করো ”
” কেনো? ”
” কেনো মানে? আমার ভাইয়ের বিয়ে আর আমি একটু মজা করবো না? রিসিভশনটাকে না একদম বিয়ে সব রিচুয়াল করবো দেখো ”
” না ওসব কিছু হবে না ”
” হলে সমস্যাটা কোথায় ভাইয়া? মেহেন্দি, সাংঙ্গিত এগুলোই হবে তাও বাসার ভিতরে প্লিজ ভাইয়া না করো না আমি কিন্তু জোরে জোরে কাঁদবো ”
স্বাধীন সোফায় আরাম করে পায়ের ওপর পা তুলে বসে বলল ” আচ্ছা তাই না-কি কাদ তো দেখি অনেক দিন তোর কান্না দেখি না”
” ভাইয়া এ্যাঁ এ্যাঁ ও আম্মু তোমার ছেলেকে একবার হ্যাঁ বলতে বলো না হলে ওসব করতে দিবে না ও ভাবি তুমি কিছু বলো ”
সাদিয়া কাজ করতে করতে বলল ” তোদের মাঝে আমি নেই ”
দ্বিধা শুকনো ঢোক গিলে স্বাধীনের দিকে তাকালো আমতা আমতা করে বলল ” ও যা বলছে দিন ”
স্বাধীন দ্বিধার দিকে তাকালো কিছু না বলে উঠে চলে গেলো। স্বপ্নার কান্না থামিয়ে চুপ হয়ে গেছে ভেবে ছিল দ্বিধার কথায় কাজ হবে কিন্তু হলো না দেখে বলল ” তোমার বর আস্ত শয়তান। ”
দ্বিধা কিছু বলল না ফ্লোরে স্থির দৃষ্টি দিলো। স্বপ্না আবার বলল ” বাই দ্যা ওয়ে তুমি আপনি করে কথা বলো? তোমাদের রিলেশনের বিয়ে নয়? তাহলে? ”
দ্বিধা কি উত্তর দিবে ভেবে পেলো না। এলোমেলো দৃষ্টি দিয়ে বলল ” ওটায় ভালো লাগে ”
স্বপ্না সন্দেহসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল ” তাই? ”
দ্বিধা উত্তর দিতে পারলো না চুপ করে মুখে কুলুপ এঁটে বসে রইলো।
রাতেরবেলা খাওয়ার সময় শাহাদাত হোসেন এর সাথে দ্বিধার প্রথম দেখা হলো। সালাম বিনিময় করলো। শাহাদাত হোসেন দ্বিধার দিকে অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে দেখলো। দ্বিধা অসস্তিতে পড়ে গেলেও কিছু বলল না। শাহাদাত হোসেন বলল
” নাম কি তোমার? ”
“দ্বিধা জয়ন্তিকা ”
” তোমার বাবা কি করে? ”
” আব্বু প্রাইমারি স্কুলের হেড টিচার ”
” তার মানে তোমরা মধ্যেবিত্ত? ”
দ্বিধা চুপ হয়ে গেলো। স্বাধীন কঠিন চোখে তাকালো শাহাদাত হোসেন এর দিকে। ছেলে রেগে যাচ্ছে দেখে শাহাদাত হোসেন চুপ হয়ে খেতে লাগলেন। পুরো টেবিল জুড়ে নিরবতা গ্রাস করলো। দ্বিধা বেশি খেতে পারলো না। অল্প খেয়েই উঠে চলে গেলো। স্বাধীন বুঝতে পারলো শাহাদাত হোসেন এর কথায় দ্বিধার খারাপ লেগেছে। দ্বিধা চলে যেতেই স্বাধীন বলল ” আমার স্ত্রীর অসম্মান হয় এমন কোনো রকম কিছু আমি টলারেট করবো না ফাস্ট টাইম বলে ছেড়ে দিলাম নেক্সট টাইম যেনো এমন কোনো ভুল না হয় ”
স্বাধীন খেয়ে উঠে রুমে গিয়ে দেখলো। দ্বিধা জানালার গ্রিল ধরে চন্দ্র হীন আমাবস্যার রাতের আকাশের দিকে দৃষ্টি স্থির রেখেছে। স্বাধীন দ্বিধার পিছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলল
” দ্বিধা আপনি আসলে আমি ওনার হয়ে আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি প্লিজ আপনি কষ্ট পাবেন না ”
দ্বিধা স্বাধীনের দিকে দৃষ্টি দিয়ে বলল
“আরে না না কষ্ট পাওয়ার কি আছে ওনি তো ঠিকি বলেছেন।”
” সত্যি বলছেন তো? ”
“হুম। আই থিংক ইউ ক্যান নট ডিজাভ মি। আপনি আরো বেটার কাউকে… ”
দ্বিধার পুরো কথা শেষ হতে পারলো না তার আগে স্বাধীন দ্বিধাকে ধমক দিয়ে উঠলো।
” দ্বিধা। ”
স্বাধীন দ্বিধাকে বক্ষপিঞ্জরের দু’হাতে আলিঙ্গন করে নিলো। হঠাৎ এমন হওয়ায় দ্বিধা হতভম্ব হয়ে গেলো৷ জমে গেলো। স্বাধীনের বুকের সাথে লেপ্টে বুকের ধুকপুকানি শুনতে লাগলো। কড়া পারফিউমের ঘ্রাণ নাকে এসে বাড়ি খেলো। স্বাধীন দ্বিধার মাথার মাঝে ঠোঁট ছুঁয়ে বলল
” কখনো এসব বলবেন না। আপনি আমার শুধু আমার অন্য কারোর নয়। আমি আপনাকেই ডিজাভ করি আর কাউকে নয় ”
______________________________
” বাসায় এসে রুমে নিজেকে বন্ধি করে রাখার মানে কি মৃধা ”
” কোনো মানে নাই ভাইয়া তুই যা আমি মেন্টালি ডিস্টার্ব আছি কি বলে দিবো নিজেও জানি না ”
জাহিদ বোনের পাশে বসে মাথা হাত বুলিয়ে বলল
” কি হয়েছে বল আমাকে? কেউ কিছু বলছে? ”
” না আমাকে আবার কে কি বলবে? ”
” তাহলে কি হয়েছে বল আমাকে শেয়ার করলে নিজেকে হালকা লাগবে ”
” বললাম তো কিছু হয় নি ”
” আচ্ছা তাহলে খেতে আয় ”
” খেতে ইচ্ছে হচ্ছে না তুই গিয়ে খা ”
” তুই যতক্ষণ না আমাকে বলছিস কি হয়েছে ততক্ষণ আমি এখান থেকে যাবো না ”
” তুই কি চাস আমি চলে যায় ”
” উহুম আমি জানতে চাই তোর কি হয়েছে ”
মৃধা কিছুটা সময় নিয়ে বলল
” ভাইয়া আমি বিয়ে করবো ছেলে দেখ ”
জাহিদ এতোটাই বিস্মিত হলো যে কথা বলতে ভুলে গেলো। কিছুটা সামলে নিজেকে প্রশ্ন করলো
” মানে কি বলছিস তুই তোর মাথার ঠিক আছে ”
” হ্যাঁ মাথা ঠিক আছে আমি বড় হয়ে গেছি বিয়ে দিয়ে এ বাসা থেকে তাড়ানো দরকার ”
” কে বলবে আবার? কোন একটা আন্টি আসছিলো বাসায় আমাকে দেখেই তার মন্তব্যটি পেশ করলো সাথে তোর মা ও সাই দিলো। আমার ফেন্ডদের ও বিয়ে হয়ে যাচ্ছি তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমিও বিয়ে করবো ”
জাহিদ বোনের কথা শুনে হু হা করে হেসে দিলো। হাসিটা যেনো মৃধার আগুনে ঘি ঢেলার জন্য যথেষ্ট রেগে ফোঁস ফোঁস করতে লাগলো। জাহিদ হাসি থামিয়ে বলল
” ওহ নো তুই এই কারণে মাথা গরম করে আছিস? ওকে মাথা ঠান্ডা কর তারপর ভেবে সিদ্ধান্ত নে। রাগে মাথা ঠান্ডা রাখতে হয় আর কিছু দিন পর আপুর ডেলিভারি এভাবে থাকলে তোকে নিয়ে টেনশন করে এমন করে কেউ পাগলি ”
জাহিদ চলে গেলো। মৃধা জোরে জোরে বার কয়েক শ্বাস নিলো। মাথা ঠান্ডা করতে লাগলো।
————————————————–
স্বচ্ছ বারান্দায় বসে নিকোটিনের ধোঁয়া ছাড়ছে আর সুরেলা কন্ঠের মালিকের কথা ভাবছে। কিছু তেই মাথা থেকে সরাতে পারছে না মস্তিষ্কে একেবারে গেঁথে গেছে।
চলবে ইনশাআল্লাহ।
#প্রেমানন্দোল-৭
#তাসনিম_তামান্না
স্বচ্ছ বারান্দায় বসে নিকোটিনের ধোঁয়া ছাড়ছে আর সুরেলা কন্ঠের মালিকের কথা ভাবছে। কিছু তেই মাথা থেকে সরাতে পারছে না মস্তিষ্কে একেবারে গেঁথে গেছে। সেই চোখ রাঙানো, ঝাঁজ মেশানো কথা, গোলাপি রাঙা পাপড়ির মতো ঠোঁট।
ভাবতে ভাবতেই স্বচ্ছের হাতে থাকা সি-গা-রে-টা পুড়ে গেলো হাতে আগুনের ছ্যাকা খেলো। স্বচ্ছ সি-গা-রে-ট ফেলে দিলো।
” কি হচ্ছে এগুলো আমার? ঔ মেয়েটা আমার মাথা থেকে সরছে না কেনো? ঔ অচেনা মেয়েকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারতেছি না কেনো হোয়াই? ”
স্বচ্ছ বিয়ারের ক্যানে থেকে ঢোক ঢোক করে বিয়ার খেলো। নেশা হলো না। স্বচ্ছ উঠে গিয়ে কয়েকটা ঘুমের ঔষধ খেয়ে বিছানায় উবুড় হয়ে এলোমেলো হয়ে শুয়ে পড়লো। চোখ বন্ধ করলেও চোখের সামনে ভেসে উঠলো মেয়েটার প্রতিছবি। বিরবির করে কি জানি বলতে বলতে স্বচ্ছ আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়লো।
__________________________
সকালের ঝকঝকে তকতকে কমলা সোনালী রোদে চারিদিকে ছড়িয়ে আছে। সবুজ গাছে রোদ পড়ায় পাতাগুলোয় ও হলুদ রঙের মনে হচ্ছে। দ্বিধা চোখ খুলে নিজেকে স্বাধীনের বাহুডোরে আবদ্ধ অবস্থায় নিজেকে আবিষ্কার করলো। চমকালো! থমকালো! জমে গেলো। নড়তে চড়তে ভুলে গেলো। বুকে ৃাথা ঠেকিয়ে হৃৎস্পন্দন শুনতে লাগলো। ধুকপুক…ধুকপুক…
কতক্ষণ এমন ভাবে থাকলো দ্বিধার খেয়াল নেই। স্বাধীন নড়াচড়া করতেই দ্বিধা দ্রুত চোখ খিঁচে বন্ধ করে নিলো। এই বুঝি স্বাধীনের কাছে ধড়া পড়ে গেলো। কিন্তু স্বাধীন উঠলো না নড়েচড়ে দ্বিধাকে আরো জোরে জড়িয়ে ধরলো। পাড়লে যেনো বুকের ভিতরে ঢুকিয়ে ফেলতো। দ্বিধা সাবধানে স্বাধীনের বুকে গুটিসুটি মেরে রইলো। যেনো স্বাধীন ঘুম থেকে জেগে না যায়। দ্বিধা এভাবে শুয়ে থাকতে থাকতে স্বাধীনের মুখের দিকে তাকালো শ্যামবর্ণের মানবটিকে ঘুমত অবস্থায় বড্ড আদুরে লাগছে। স্লংকি চুলগুলো এলোমেলো হয়ে কপালে আচরে পড়ে আছে।
দ্বিধার তাকিয়ে থাকা অবস্থায় স্বাধীন আস্তে করে চোখ খুললো। দ্বিধার চোখ বড়বড় হয়ে গেলো। স্বাধীন ঘুম থেকে জেগে উঠা মুখে হেসে বলল
” আমাকে কি সুন্দর লাগছে? পছন্দ হয়েছে? ”
দ্বিধা অসস্তিতে পড়ে যায়। চটপট উঠে বসতে নিলেই স্বাধীনের টি-শার্টের বোতামে টান খেলো। ব্যথাতুর শব্দ তুললো
” আহ ”
” ইশ রিলাক্স এতো তাড়াহুড়োর কি আছে? ”
দ্বিধা কিছু বলল না অন্য দিকে তাকিয়ে রইলো। স্বাধীন আলতো হাতে বোতাম থেকে চুল ছাড়িয়ে দিলো। দ্বিধা আর একমুহূর্ত নষ্ট না করে উঠে বসে একপ্রকার দৌড়ে ওয়াসরুমে চলে গেলো। স্বাধীন শব্দ করে হাসলো। দ্বিধা কানে স্বাধীনের হাসির শব্দ আসলো দ্বিধা লজ্জা লাল হয়ে গেলো।
.
.
সকালে খাবার টেবিলে খাচ্ছে সবাই শাহাদাত হোসেন সকাল সকাল না খেয়ে বেড়িয়ে গেছে বাইরে কাজ আছে বলে। স্বাধীন রেডি হয়ে খেতে বসেছে। আজ কাজ আছে স্বাধীনেরও। স্বাধীন খেতে খেতে সাদিয়া বেগমকে বলল
” আম্মু যার যার দাওয়াত দেওয়া আছে দিয়ে দাও এই শুক্রবারে রিসিভশন হবে। ”
স্বপ্না খাবার ছেড়ে লাফিয়ে দাঁড়িয়ে বলল
” সত্যি? আজ সোমবার তাইলে আর তিনদিন বাকি এ্যাঁ এর মধ্যে কেমন কি সবটা পসিবল হবে? ”
” হইলে এর মধ্যে করতে হবে নাহলে… ”
স্বাধীনের পুরো কথা শেষ করতে দিলো না স্বপ্না তার আগে তাড়াহুড়ো করে বলল
” এই না না সব এর মধ্যে-ই হবে। কে বলেছে হবে না অবশ্যই হবে। তুই তোর ফেন্ডদের যারা যারা বাকি ইনভাইট দিস আমরা এদিকটা সামলে নিবো। কি বলো ভাবি তাই না ”
দ্বিধা রুটি চিবাতে চিবাতে ওদের কথা শুনছিল। হঠাৎ স্বপ্না দ্বিধাকে টেনে কথা বলায় দ্বিধা স্বাধীনের দিকে তাকিয়ে অনুভূতিহীন নির্জীব হয়ে উত্তর দিলো ” হ্যাঁ ”
দ্বিধার উত্তর দেওয়া স্বাধীনের পছন্দ না হওয়ায় ভ্রু কুঁচকে গেলো। স্বপ্না হুট করে ডিরেক্ট প্রশ্ন করলো
” ভাবি তুমি খুশি না-ও ”
দ্বিধা কৃত্রিম হাসি মুখে টেনে বলল
” কি বলো খুশি হবো না কেনো অবশ্যই খুশি ”
স্বপ্নাও আর কিছু বলল না খাতা কলম নিয়ে বসে গেলো। স্বাধীন কিছুক্ষণ দ্বিধার মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু না বলে চলে গেলো নিজের কাজে। সাদিয়া বেগম ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে ফোন দেওয়া শুরু করলো। দ্বিধা বসে রইলো।
স্বচ্ছ তখন নিচে নামলো। স্বপ্না স্বচ্ছকে ডেকে উঠলো বলল
” স্বচ্ছ ভাইয়া ”
স্বচ্ছ দাড়িয়ে গেলো বুকে অদ্ভুত অনুভূতিরা দলা পাকিয়ে গেলো। স্বচ্ছের সাথে স্বপ্নার তেমন ভালো সম্পর্ক না হলেও টুকটাক কথা বলে স্বপ্না যখন ভাইয়া বলে ডাকে স্বচ্ছের কোথাও একটা শান্তি পাই। অনুভূতিরা দলা পাকিয়ে যায়। দ্বিধা সহ সাদিয়া বেগম চমকালেন। স্বপ্না উঠে দাড়িয়ে এগিয়ে গিয়ে স্বচ্ছের সামনা-সামনি দাঁড়িয়ে বলল
” ভাইয়া তোমার কি আজ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কোনো কাজ আছে? ”
স্বপ্নার প্রশ্নে স্বচ্ছের ভ্রু কুঁচকে গেলো বলল
” কেনো কোনো দরকার? ”
” আরে বলোই না আগে ”
” তেমন কাজ নাই ”
” যাক তাহলে তো ভালোই হলো ”
” কেনো? ”
” হ্যাঁ স্বাধীন ভাইয়ার রিসিভশন কত কাজ বলো তো তুমি বসে থাকলে চলবে? তোমারও বাড়ির হিসেবে তো একটা দায়িত্ব আছে না-কি? বসে থাকলে চলবে? ”
স্বচ্ছ একবার দ্বিধার দিকে তাকালো। অতঃপর স্বপ্নার দিকে তাকিয়ে বলল
” কি কাজ? ”
” সে তোমাকে আমি পরে জানিয়ে দিবো। এখন খেয়ে না-ও। আর শুনো তুমি কাকে কাকে ইনভাইট করবে করে দিও ”
স্বচ্ছ উত্তর দিলো না। টেবিলের ওপর থেকে পানি খেলো শুধু তারপর চলে গেলো।
চলবে ইনশাআল্লাহ