প্রেম_নিবেদন Part- 2

0
2643

story- #প্রেম_নিবেদন Part- 2
Writer- #Nur_Nafisa

.
.
আরাফ- ছুটির সময় গেইটের সামনে বাইকে বসে আছি ওই মেয়েকে কিছু একটা শিক্ষা দেওয়ার জন্য। কিন্তু দেখতে তো পাচ্ছি না।
নিলয়- কিরে, আর কতক্ষণ থাকবি? চল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে একটু ঘুরে আসি।
আরাফ- ওকে।
তারপর আমি আর নিলয় আমার বাইকে, শিহাব আর ফাহিম শিহাবের বাইকে, জয় একা এক বাইকে। রওনা দিলাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশ্যে।
নাফিসা- ছুটির সময় কলেজে দেড়ি না করে দিনা কে সাথে নিয়ে বই কিনতে গেলাম। দিনা ও বই কিনলো।
দিনা- চল, ঝাল মুড়ি খাই।
নাফিসা- ওকে চল। মামা ১০টাকার করে ২ প্যাকেট ঝাল মুড়ি দিন তো।
মামা- আচ্ছা।
.
আরাফ- বাইক দিয়ে যাওয়ার সময় শিহাব ডেকে ইশারা করলো। রাস্তার পাশে তাকিয়ে দেখি সেই মেয়েটি ঝাল মুড়ি কিনছে। ব্যাস, পাশে গিয়ে বাইক থামিয়ে দিলাম।
নাফিসা- যেই নাকি মামা ঝাল মুড়ি আমার হাতে দিতে যাচ্ছে, এমনিই কেউ প্যাকেট গুলো নিয়ে নিলো। পিছনে তাকিয়ে দেখি সেই ছেলেটা। মেজাজ আমার চড়ম পর্যায়ে উঠে গেল। ?
আরাফ- আমার কাছে ১প্যাকেট রেখে শিহাবের হাতে আর ১ প্যাকেট ধরিয়ে দিলাম।
নাফিসা- এটা কি হলো? ?
আরাফ- কোনটা??
নাফিসা- আমার ঝাল মুড়ি আপনি নিয়ে নিলেন কেন?
আরাফ- তোমার ঝাল মুড়ি নাম লিখা আছে নাকি! যাই হোক, মামা ঝাল মুড়ি কিন্তু অনেক মজা হয়েছে। ?
তারপর আমি বাইকে উঠে পড়লাম।
নাফিসা- আরে, আপনি টাকা না দিয়ে চলে যাচ্ছেন কেন?
আরাফ- আরে, ঝাল মুড়ি কি আমি কিনেছি নাকি! টা টা ?
নাফিসা- আমি রাগে শেষ! ?
দিনা- চল, ঝাল মুড়ি আর খেতে হবে না। বাসায় চলে যাই।
নাফিসা- হুম। টাকা দিয়ে বাসায় চলে আসলাম।

.
বাসায় –
মা- কিরে, এমন রেগে আছিস কেন? কি হয়েছে?
নাফিসা- কই, কিছুনা।
মা- আচ্ছা হাতমুখ ধুয়ে নামাজ পরে খেয়ে নে। তোর ছাত্ররা আবার এসে পড়বে।
নাফিসা- হুম যাচ্ছি।
.
আরাফ- ঘুরেফিরে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলাম।
আম্মু – কিরে! এতো দেড়ি করে বাসায় ফিরলি কেন? পড়াশোনা কি নেই নাকি। সামনে তোর এক্সাম, পড়তে না বসলে রেজাল্ট ভালো হবে কিভাবে?
আরাফ- দূর! আম্মু সেই চিন্তা তোমার করতে হবে না। তোমার ছেলে এমনিই ভাল রেজাল্ট করবে।
নিসা- আহহহ! কি বিদ্যাছাগল ভাই আমার। না পড়ে ই ভালো রেজাল্ট করবে। ???
আরাফ- অই, তুই বেশি কথা বলছ কেন? নিজের পড়ায় মনযোগ দে।?
নিসা- সেটা তোমাকে বলতে হবে না ?।
আম্মু- হয়েছে যা, ফ্রেশ হয়ে খেতে আয়।
আরাফ- তোমরা খেয়ে নাও, আমি বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি। এখন আর খাব না।
তারপর রুমে এসে দিলাম এক ঘুম।
সকালে নিসার চেচামেচিতে ঘুম ভেঙে গেল।
আরাফ- কিরে এমন শুরু করলি কেন? ঘুমাতে দে।
নিসা- আজান দিছে কখন। নামাজ পড়তে যাও। আব্বু বলছে ডেকে দিতে।
আরাফ- দূর যা তো, আব্বুকে গিয়ে বল আমি এখন যাবো না। আর ১বার ও ডাকবি না।
নিসা চলে গেলো।
.
.
নাফিসা- প্রতিদিনের মতো সকালে উঠে নামাজ পড়ে কুরআন শরীফ পড়লাম। তারপর মায়ের সাথে রান্নার কাজে সাহায্য করলাম। তারপর ভার্সিটির জন্য রেডি হয়ে ভার্সিটিতে গেলাম। আজ ক্লাস করতে ভালো লাগছিলো না। Math ক্লাস গুলো করে বেরিয়ে কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে আমি আর দিনা গত ক্লাসে করা অংক গুলোর সমাধান করতে লাগলাম। হঠাৎ ১টা কলার খোসা এসে আমাদের সামনে পড়লো। আশেপাশে তাকিয়ে দেখি কিছুটা দূরে অই ছেলে গুলো বসে বসে কলা খাচ্ছে আর বিভিন্ন জায়গায় খোসা ফেলে ১টা ছেলেকে দিয়ে সেগুলো তুলিয়ে ডাস্টবিন এ ফেলতে বলছে।
নাফিসা- আচ্ছা, ওরা এমন কাজ কেন করছে?
দিনা- অই ছেলেটা আমাদের সাথে ই পড়ে। ওকে র‍্যাগিং দিচ্ছে।
নাফিসা- এগুলো করে ওরা কি মজা পায়?
দিনা- এগুলো তে ই ওদের মজা। দূর বাদ দে, এই অংকটা দেখ।
নাফিসা- হুম।
.
.
গল্প ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ 🙂

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here